আজকের পর্ব মানহোয়া ওরফে কোরিয়ান মাঙ্গা ওরফে ওয়েবটুন। আপনার পছন্দের একশান, জোসেই বা রোমান্স মানহোয়ার আপডেট আসছে। গেছেন পড়তে, দেখেন নোটিশ “আর্টিস্ট এর স্বাস্থ্যের অবনতির কারনে দুইসপ্তাহের ব্রেক। আপনার মন খারাপ, আর্টিস্ট এর জন্য দোয়া কইরা ওয়েট করলেন। ওদিকে আর্টিস্ট এডিটর এর চাপে মরমর। রিসেন্টলি কোরিয়ার occupational safety and health Agency প্রায় ৩০০ আর্টিস্টদের ওপর জরিপ করে। জরিপে বের হয়।
1. 28.7% of Webtoon writers that responded to the survey have depression, compared to the national average of 7.7%
2. 17.3% had suicidal thoughts, 8.5% planned it, 4% tried it. Nationals averages being (10.7%, 2.5%, 1.7%)
জিনিসটা কত ভায়বহ খেয়াল করসেন? সোলো লেভেলিং এর আর্টিস্ট ব্রেইন হেমোরেজের কারনে মারা গেছেন কিন্তু তার স্বাস্থ্য আগে থেকেই খারাপ ছিল আর তা ছিল প্রত্যেক উইকে ওই লেভেলের আর্ট দিয়ে চ্যাপ্টার বের করা আর বাজে ওয়ার্কিং কন্ডিশন। রোক্সানা ওয়েবটুন নামে আরেক ফিমেইল আর্টিস্টকে এত প্রেশার আর এবিউজ করা হইসিল যে তার মিসক্যারেজ হয়ে যায় অসুস্থ হয়ে। জাপানি মাঙ্গা আর্টিস্টরা প্রেশারে থাকে জাস্ট সাদাকালো ড্রয়িং এর কারনে আর সেখানে কোরিয়ান মানহোয়া আর্টিস্টদের আকা প্লাস কালার করা লাগে, অনেক সময় এসিসটেন্ট থাকে, অনেকসময় থাকে না। সবাই ইউসুকে মুরাতা বা নর্দান ব্লেইডের মত ইনহিউম্যান ট্যালেন্ট নাই যে এত ডিটেল আর্ট এত অল্প সময়ে করবে। কিন্ত তা করার সুযোগ নাই, এরা বিভিন্ন স্টুডিওর আন্ডারে থাকে ডেডলাইনে। একজন মোটামুটি মানের আর্টিস্ট বছরে দেড় থেকে তিনলাখ টাকা কামায় যা কোরিয়ার মত ব্যায়বহুল দেশে কিছুই না।
এর কারন কি? কারন প্যাশনের এবিউজ আর স্টুডিওর টাকা খাবার ধান্দা। স্টুডিও সাইটে হোস্ট না করলে ভিউ নাই টাকা নাই। আপনি যতই লিগ্যালি পড়েন তাতে লাভ নাই টাকা যাবে স্টুডিওর হর্তা কর্তাদের পকেটে। আর ওয়েবটুনের ফিজিক্যাল কপিও থাকে না যেখান থেকে টাকা ইনকাম করতে পারবে। এখানে আসলে রিডারদের কিছু করার নাই। জাপানের এনিমে ইন্ডাস্ট্রির এই এবিউজটা ঠিকই কোরিয়ার ওয়েবটুন ইন্ডাস্ট্রি শিখে গেছে। সাথে হইসে ক্রিয়েটিভ বা নতুন ভালো ওয়েবটুনের অকাল মৃত্যু। যেই কোরিয়া থেকে আন্নারাসুমারানার, চিলার্স, রেড বুক এর মত অসাধারণ জিঞ্জস পাইসি আজকে সব কপি পেস্ট হান্টার, রিভেঞ্জ, লেভেল মানহোয়ায় ভর্তি। আর্টিস্টদের করার কিছু নাই। প্যাশন দিয়ে পেট চলে না, আর পাবলিকে খাওয়ার মত জিনিস বের না করলে পেটে দানা পড়বে না। কোরিয়ান মানহোয়া ইন্ডাস্ট্রিও ট্যালেন্টের অকাল মৃত্যু ঘটাচ্ছে৷ করার কিছু নাই।