ডি-ফ্রয়াগ(মেন্টস) [D-Frag(ments)] অ্যানিমে প্রিভিউ/ফাহিম বিন সেলিম

ডি-ফ্রয়াগ(মেন্টস) [D-Frag(ments)]
জনরা: কমেডি, সেইনেন, স্কুল
প্রচার শুরু: ৭ জানুয়ারী, ২০১৪
পর্ব: অজানা

কাজামা কেনজি, স্কুলের ডেলিঙ্কুয়েন্ট নেতা। কিন্তু চিতোসে, সাকুরা, মিনামি, রোকি ― চারজন উদ্ভট মেয়ে তাকে বাধ্য করে তাদের ‘গেম ক্রিয়েশন ক্লাব’-এ যোগ দিতে! তার গ্যাঙ্গকে নিয়ে কাজামার সাধাসিধে স্কুল জীবন পাল্টে যায় আগাগোড়া।
১ জন ছেলে, ৪ জন মেয়ে; কিন্তু হারেম না! রোমান্স-ও সেভাবে নেই! কমেডিটাই এর মূল আকর্ষণ। কাজামা আর তার ক্লাব সদস্যদের স্কুল জীবনে ঘটা বিভিন্ন মজার, বিব্রতকর আর অদ্ভূত ঘটনা কেন্দ্র করেই এই ‘মানজাই’, যাকে বলা যায় একপ্রকার জাপানিজ স্ট্যান্ড-আপ কমেডি।

প্রত্যাশা: ৭-৮

সৌল ইটার নট![Soul Eater Not!] অ্যানিমে প্রিভিউ/ফাহিম বিন সেলিম

সৌল ইটার নট![Soul Eater Not!]

জনরা: কমেডি, শৌনেন, সুপারন্যাচারাল
প্রচার শুরু: ৬ জানুয়ারী, ২০১৪
প্রযোজক: বোনস
পর্ব: অজানা

বহুল জনপ্রিয় শৌনেন অ্যানিমে সৌল ইটারের স্পিন-অফ। যার কাহিনী গড়ে উঠেছে ফ্রেশ্মেন সুগুমি হারুদরি আর তার দুই মাইস্টার বন্ধু মেমে তাতানে ও আনিয়া হেপবার্নকে কেন্দ্র করে। যারা DWMA তে যোগ দেয় NOT(Normally Overcome Target) ক্লাসের অংশ হিসেবে। [যেখানে সৌল, মাকা, কিড রা ছিলো EAT(Especially Advanced Talent)-এর অন্তর্ভুক্ত।]

প্রত্যাশা: ৬-৭.৫

রিভিউ নয়, ব্যক্তিগত অনুভূতি_ বাকুমান – লিখেছেন সাদিয়া হুমায়রা মৌনতা

1558622_10201703298878787_1222419740_n

Baku(chi) Man(ga)- Gambling Manga
রাইটারঃ অহবা সুগুমি
আর্টিস্টঃ অবাতা তাকেশি
আনিমে জেনারে স্লাইস অফ লাইফের উৎকৃষ্ট উদাহরণ ‘বাকুমান’ আনিমেটি। জীবনের প্রতিটা দিকই এই আনিমেতে সুন্দর ভাবে তুলে ধরা হয়েছে। ডেথ নোট এর পরেই অহবা সুগুমি আর অবাতা তাকেশি কম্বোর আরেকটি সৃষ্টি এই মাঙ্গা। যদিও ডেথ নোট নামটাই একটা সেলিং পয়েন্ট হিসেবে কাজ করবে দেখার আগেই, কিন্তু যা পাবেন তাতে আশাহত হবেন না, বরং বিস্মিত ও মুগ্ধ করবে মাঝে মাঝে। তারা তাদের জনপ্রিয়তা ও মানদন্ড অক্ষুণ্ন রেখেছেন।

প্লট সংক্ষেপঃ মাশিরো মরিতাকা ও আকিত তাকাগি দুই নাইন গ্রেডের ছাত্র। তাকাগির প্রেরণায় ও আগ্রহে মাশিরো রাজি হয় তাকাগির লেখা কাহিনীকে মাঙ্গার রূপ দিতে। তাকাগি-রাইটার ও মাশিরো-আর্টিস্ট, এভাবেই একদিন ওদের জীবনের যুদ্ধ শুরু হয় এমন এক মাঙ্গা সৃষ্টির যা মাস্টারপিস হিসেবে আলোচিত হবে, এবং পরবর্তীতে আনিমে হবে। প্রেরণা হিসেবে করেছিল মাশিরোর চাচা এবং আযুকি মিহোর সাথে তার প্রতিশ্রূতি এবং অনুঘটক হিসেবে ছিল তাকাগির উচ্ছাভিলাষ। এইযাত্রার শুরু থেকে শেষ নিয়েই এই আনিমেটা।
প্রেরণা, প্রতিদ্বন্দিতা, প্রতিযোগিতা, সংগ্রাম, সাফল্য, ব্যর্থতা, অনুরাগ, ভালোবাসা সবই খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু অংশে আলোকপাত করা হলো-

1512349_10201703181475852_2092669348_n

প্রেরণাঃ three rule of being mangaka if you arn’t genius
1. be conceited (believe you can do better than anyone else)
2. work hard
3. be lucky
এই কথাটি আসলে যেকোন লক্ষ্য পুরণ করার জন্য সত্যি, শুধু মাঙ্গাকা হওয়ার জন্যই না। সবসময়ই আমরা লক্ষ্য তৈরি করি, পরিশ্রম করি। কিন্তু ভুলে যাই সৌভাগ্যও একটা বড় অবদান আছে। তাছাড়া আমাদের হীনমন্যতাই মাঝে মাঝে আমাদেরকে পিছিয়ে নিয়ে যায়, সামনে আগাতে হলে কিছু দাম্ভিকতা থাকতেই হবে। তাকাগি ও মাশিরোর মাঙ্গা এডিটর কে নিয়ে আমরা ভাগ্যের উদাহরণ দেখতে পাই। একটা ভালো মাঙ্গা সৃষ্টী করার জন্য একজন ভালো এডিটর ও দরকার। এবং একজন উইনার এডীটর পাওয়া ভাগ্যের ব্যপার। আর দেখা যাবে তাদের দুজনের একগুয়েমি সিদ্ধান্ত তাদের এগিয়ে নিয়ে গেছে! তাদের পরিশ্রম তাদেরকে সহয়তা করেছে এবং সঠিক সময়ে সঠিক সুযোগের কারণেই লক্ষ্যে পৌঁছতে পেরেছে।

1531599_10201703200756334_1864367_o

অনুরাগঃ Love has many different types of form
এই আনিমেতে অনেক ধরনের রোমান্স দেখতে পাই। প্রতিটাই প্রতিটা থেকে আলাদা এবং অনন্য। মাশিরো-মিয়োর প্ল্যাটোনিক ভালোবাসা যেমন আপনাকে বিস্মিত করবে তেমন তাকাগি-কায়া’র সহজ সম্পর্ক আপনাকে আনন্দিত করবে। তাছাড়া পার্শ্ব চরিত্রের প্রেমের একটা বিরাট ভূমিকা আছে এই আনিমেতে। আইকো, হিরামারু, নাকাই, আওকি এদের প্রত্যেকের অনুভূতির গভীরতা, উত্থান-পতন, কৌতুক, হাস্যরস, দৃঢ়তা, কলহ খুব সুন্দর ভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

 

1537414_10201703198116268_1552219425_o

প্রতিদ্বন্দিতাঃ “Eternal rivals, it should be written as formidable enemy but pronounced friend.”
শক্তিশালী ও বন্ধুত্বপূর্ণ প্রতিদ্বন্দির উপস্থিতি এই আনিমেতে এক আকর্ষিত ও ভিন্ন দিক। ততকালীন মাঙ্গাকাদের নিয়ে গঠিত ফুকুদা টিম এর যেকাউকেই পছন্দ হবে,তারা তাদের পরস্পরের কাজকে সম্মান করে, অনুপ্রেরণা দেয়, সাহায্য করে আবার প্রতিযোগিতাও করে।এইযি দ্য জিনিয়াস ও তাকাগি-মাশিরো দুই পক্ষই অপর পক্ষকে দেখে উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে যায়। নাকামা শব্দের নতুন এক দিক তুলে ধরা হয়েছে। টিপিকাল শৌনেন এর মত ব্যাটেল ফিল্ড না থাকলেও নিজেদের দক্ষতা দিয়ে তাদের মাঝের যে এগিয়ে যাওয়ার যুদ্ধ, সেটা কোন অংশে কম না।

সবশেষে, এই আনিমে থেকে আপনি ইন্সপায়ার হওয়ার প্রচুর কারণ ও সুযোগ পাবেন। আপনার জীবন বদলে যাওয়া টাইপ অনুঘটক হিসেবে কাজ করতে পারে।এবং স্বাগতম আপনাকে এই দুই তরুণের মাঙ্গাকা হওয়ার সফর-যাত্রায়। 🙂

 

এফ এ সি ১৬– Farsim Ahmed

লাস্ট উইকে বলা ফ্যাশনেবল কথাটা নিয়ে বেশ কিছু স্পেকুলেশন দেখেছিলাম। আসলে আজকের সবগুলো সেগমেন্টই ফ্যাশন নিয়ে।

 

 

রান্ডম টপিক

সেরাফুকু

 

জাপানি স্কুলের সেইলর ইউনিফর্ম(Sailor Uniform—>Serafuku[fuku=dress/uniform]) এর আইডিয়া এসেছে মূলত ইউরোপের অভিজাত পরিবারগুলোর বাচ্চাদের ইউনিফর্ম থেকে। এই আইডিয়া এডাপ্ট করার কারণ হলো, সেরাফুকুর ডিজাইন বেশ সুন্দর, আর সেই সাথে এগুলো সেলাই করাও সহজ। ঋতুভেদে সেরাফুকুর মেজারমেন্ট পাল্টে যায়। মোটামুটি ৫০% জুনিয়র হাইস্কুলে আর ২০% সিনিয়র হাইস্কুলে সেরাফুকু পরা হচ্ছে। তবে সেরাফুকুর ব্যাপারটা জাপানের একচেটিয়া নয়, সাউথ কোরিয়া আর চীনেও এর ব্যবহার আছে।

 

বি.দ্র.(শুধু ছেলেদের জন্য)জাপানের বিভিন্ন এলাকায় সেরাফুকুতে ব্যবহৃত স্কার্টের দৈর্ঘ্য বিভিন্ন রকম. কাজেই জাপানে ইমিগ্র্যান্ট হতে চাইলে কোন এলাকায় থাকবেন তার একটা গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর হিসাবে এটাকে কনসিডার করতেই পারেন।হেহেহে।

 

 

আনিমে সাজেশন

প্যারাডাইস কিস(Paradise Kiss)

ইউকারীর একঘেয়ে হাইস্কুল লাইফের মধ্যে ধুমকেতুর মত এসে হাজির হলো “প্যারাডাইস কিস”, কয়েকজন ফ্যাশন ডিজাইনিং স্টুডেন্টের গড়ে তোলা একটা প্রতিষ্ঠান। ইউকারীকে মডেল হবার প্রস্তাব দিল তারা। আমতা আমতা করে রাজিও গেল ইউকারী। তাদের সাথে ইউকারীর রসায়ন হলো চমত্কার, বুঝতে পারল, সে আসলে এমন রোমাঞ্চকর ঝলমলে জীবন চেয়েছিল, সাধারণ ম্যাড়মেড়ে জীবন নয়।ঘটনা মোড় নিল অন্যদিকে, যখন ইউকারী প্রেমে পড়ে গেল প্যারাডাইস কিসের নেতা জর্জের সাথে। ইউকারীর প্রাধান্য কি হবে, তার প্রেম, নাকি তার মডেলিং ক্যারিয়ার?

 

 

কেন দেখবেনঃম্যাচিউর স্লাইস অব লাইফ, অনেকটা হানি এন্ড ক্লোভার এর মত। যারা হাইস্কুল স্লাইস অব লাইফ(পড়ুন ফ্যানসার্ভিস) দেখতে গিয়ে ক্লান্ত, তারা টেস্ট বদল করতে পারেন এটা দেখে।ঝলমলে এবং ডিফরেন্ট ধরনের ভিজুয়াল, ওপেনিং সংটা প্রচন্ড ক্যাচি, শুনলে আপনাআপনি পা নাচা শুরু হয়ে যায়। http://www.youtube.com/watch?v=1nQJgzF6g6M

 

ইন্টারেষ্টিং এন্ডিং, আমার বেশ পছন্দ হয়েছে।

 

ম্যাল রেটিং ৮.০১

আমার রেটিং ৮

 

 

মাঙ্গা সাজেশন

দ্য ওয়ান(The One)

 

 

সুপার মডেল মা-বাবা যদি প্লেন ক্র্যাশে মারা যায় তাহলে নিশ্চই তাদের মেয়ের ফ্যাশন জগতে আসার আগ্রহ থাকে না। কিন্তু কেইন লেলেকে তার আন্টি বুঝিয়ে শুনিয়ে শেষ পর্যন্ত একটা ফটোশুটের জন্য রাজি করাতে পারলেন।দেখা হয়ে গেল তার জনপ্রিয় মডেল আঙ্গাস এর সাথে। কিন্তু সে তখন জানত না, আঙ্গাস এর জমজ ভাই এরোস ঘুরঘুর করছে আশেপাশেই। সুদর্শন দুই তরুণ, আর ফ্যাশন জগতে নবাগতা এক তরুণী- ত্রিভুজ প্রেমের গল্পের জন্য আর কি মশলা লাগে?

 

 

কেন পড়বেনঃরীতিমত আকর্ষনীয় আঁকা, প্লটটা বহুল ব্যবহৃত মনে হতে পারে, কিন্তু প্রয়োজনীয় টুইস্ট আছে, ক্যারেক্টারদের ভালো ডেপথ আছে, সব মিলিয়ে বেশ ভালো প্যাকেজ।আর এর একটা সাইড স্টোরি আছে, ইটারনাল টেম্পটেশন, ওটা যদি শুধু একটা ওয়ান শট হত তাহলে আমি প্রবাবলি ওটাকে ১০ এ ৯ দিতাম। লিংক দিয়ে দিচ্ছি, আগে এটা পড়ে তারপর ঠিক করতে পারেন মূল কাহিনী পড়বেন কিনা।

 

http://mangafox.me/manga/the_one/v03/c017.5/3.html

 

ম্যাল রেটিং ৮.৪২

আমার রেটিং নেই, যেহেতু কমপ্লিট হয়নি।

 

 

 

কেন দেখবেন না/পড়বেন না: আজকের সাজেস্ট করা দুটো সিরিজই মূলত স্লাইস অব লাইফ জোসেই। অ্যাকশন/কমেডির হার্ডকোর ফ্যানদের না দেখা/পড়াই ভালো।

 

এফ এ সি ১৫ – Farsim Ahmed

রান্ডম টপিক

সেন্পাই-কোউহাই

সেন্পাই-কোউহাই মূলত রিলেশনশিপসূচক শব্দ, যা ব্যবহার করা হয় নির্দিষ্ট কিছু ক্ষেত্রে, যেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে, চাকরিতে সহকর্মীর সাথে বা কোনো ক্লাবে সতীর্থদের সাথে।সহজ কথায়,  সেন্পাই দিয়ে বোঝানো হয় সিনিয়র, আর কোউহাই দিয়ে জুনিয়র। তবে সেন্পাই বা কোউহাই সম্বোধন করার সময় অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে এটা যথাযথ হচ্ছে কিনা। একই প্রতিষ্ঠানের সরাসরি সিনিয়র বা জুনিয়রের ক্ষেত্রে এই পন্থা অনুসরণ করা হলেও অন্য প্রতিষ্ঠানের মানুষের সাথে এসব কেইগো(সম্মানসূচক শব্দ) পরিহার করাটাই শ্রেয়। যেমন বাংলাদেশে ভাই, ভাইয়া ইত্যাদি টার্ম ব্যবহার করা হয়।

 

 

আনিমে সাজেশন

নাত্সুমে ইউজিন চো (Natsume Yuujinchou)

 

ছোটবেলা থেকেই বাবা-মা হারা নাত্সুমে তাকাশি ইওকাইদের(ভুতপ্রেত) দেখতে পেত, এই অস্বাভাবিক ক্ষমতার কারণে সবাই তাকে এড়িয়ে চলত। আত্মীয়রা কেউই তার ভার নিতে চাইলেন না, সবাই তাকে চাপিয়ে দিলেন অন্যদের ঘাড়ে। একের পর এক আত্মীয়ের বাড়ি ঘুরে ঘুরে যখন নাত্সুমে এক জায়গায় থিতু হলো, তখন সে খুঁজে পেল একটা বই, যে বইয়ে লেখা আছে হাজারখানেক ইওকাই এর নাম। ইওকাই মাদারার মাধ্যমে সে পারল, এই বইটা তার দাদী নাত্সুমে রেইকোর, যিনি ছিলেন অসাধারণ আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী। ইওকাইদের হারিয়ে তাদের আনুগত্যের স্বীকৃতি স্বরূপ তিনি এই নামগুলো যোগাড় করেছিলেন।তাকাশি ঠিক করলো সে এই ইওকাইদের মুক্ত করে দেবে, তার সাথী হলো মহা পরিক্রমশালী মাদারা।

 

কেন দেখবেনঃঅসাধারণ স্লাইস অব লাইফ।

কিছু আনিমে আছে, যেগুলো দেখলে মন ভীষণ শান্ত হয়ে যায়, কাম এন্ড সিরিন একটা ভাব আসে, আমি এই পর্যন্ত এমন  দুটো আনিমে দেখেছি, তার মধ্যে এটা একটা। ৪টা সিজন বেরিয়েছে, একটার চেয়ে এর পরেরটার রেটিং বেশি, তার মানে বোঝাই যাচ্ছে প্রতি সিকুয়েলেই আনিমেটা দর্শকদের মন ভরাতে সক্ষম হয়েছে।

 

কেন দেখবেন না:স্লো পেসিং, যেটা স্লাইস অব লাইফে মাস্ট। কাজেই ঘোর অ্যাকশনপ্রেমীর না দেখাই ভালো।

 

ম্যাল রেটিং ৮.৪৬+৮.৬৮+৮.৭০+৮.৮০

আমার রেটিং ৯+৯+৯+৯

 

 

মাঙ্গা সাজেশন

গুড এন্ডিং(Good Ending)

টেনিস ক্লাবের সিনিয়র ইকেতানি শো-কে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে ব্যর্থ হলো উত্সুমি সেইজি। মন ভেঙ্গে গেল তার।তাকে সাহায্য করার জন্য এগিয়ে এলো একই ক্লাবের সদস্য, রহস্যময়ী এক সুন্দরী, কুরোকাওয়া ইউকি।চমত্কার বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো তাদের মধ্যে। সেই বন্ধুত্ব গড়ালো প্রেমে। কিন্তু একদিন সেইজি দেখতে পেল বিধ্বস্ত শো-কে, তার প্রেমিক তার সাথে করেছে প্রতারণা। পুরনো অনুভূতিগুলো সব বাঁধ ভেঙ্গে ছুটে এলো সেইজির মাঝে। কি করবে এখন সে?

 

কেন পড়বেনঃবেশ ভালো রোমান্টিক গল্প, ত্রিভুজ প্রেমের কাহিনী এগিয়েছে ভালোভাবেই, গুড এন্ডিং নামটা মানানসই।বলে রাখা ভালো, গুড এন্ডিং প্রথমে ছিল ওয়ানশট, পরে এর ব্যাপক জনপ্রিয়তায় কাহিনীটা নিয়ে পুরো ১৬ ভলিউমের মাঙ্গা বানিয়ে ফেলা হয়।

 

কেন পড়বেন নাঃ **স্পয়লার** সেইজি অনেকটা স্কুল ডেইস এর মাকোতোর মত, এটুকু বলাই যথেষ্ট। তার কিছু অ্যাকশন আমি কখনোই ক্ষমা করতে পারব না।

 

ম্যাল রেটিং ৭.৯১

আমার রেটিং ৮

 

 

 

পরের সপ্তাহে এই বছরের শেষ এফ এ সি, আর তা হবে ফ্যাশনেবল। রেডি থাকুন।

স্পেস*ড্যান্ডী [Space*Dandy] অ্যানিমে প্রিভিউ/ফাহিম বিন সেলিম

 

জনরা: সাই-ফাই, স্পেস, কমেডি, সেইনেন
প্রচার শুরু: ৪ জানুয়ারী, ২০১৪
পর্ব: ২৬
প্রযোজক: বোনস (এফ।এম।এ, সৌল ইটার)
পরিচালক: সিনিচিরো ওয়াতানাবে (কাউবয় বীবপ, সামুরাই চ্যামপ্লু, অ্যানিমেট্রিক্স)

সিরিজের প্রধান চরিত্র ড্যান্ডী হল আন্তঃমহাকাশীয় এলিয়েন শিকারী। যে কিনা মহাকাশের আনাচে কানাচে ঘুড়ে বেড়ায় এলিয়েনের খোঁজে। আর তার এই অভিযানের সহযাত্রী, রোবট কিউ।টি আর বিড়ালা কৃতির এলিয়েন মিয়াও!
নেমে পড়ুন ড্যান্ডীর সাথে এই মহাকাব্যিক যাত্রায় যেখানে আছে নাম না জানা সব এলিয়েন, বু*ইস, হৃদয় নাড়ানো মিউজিক, বু*ইস, বোনসের চোখ জুড়ানো অ্যাকশন দৃশ্য, বু*ইস, ওয়াতানাবের ব্যাড-অ্যাসারি এবং…হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন বু*ইস!

স্পেস ড্যান্ডী জাপানে প্রচারিত হবে ৫ তারিখ থেকে। কিন্তু তার আগেই ৪ তারিখ থেকে তার ইংলিশ ডাব সিমুলকাস্ট শুরু হবে অ্যাডাল্ট-সুইমের টুনামিতে!

প্রত্যাশা: ৯+
টায়ার: পোটেনশিয়াল বেস্ট অ্যানিমে অফ দ্য ইয়ার

Annarasumanara [মানহোয়া রিভিউ] by Tahsin Faruque Aninda

 

ছোটকালে মানুষের জীবন থাকে অনেক রকমের স্বপ্নে পূর্ণ, জীবনের প্রতিটি ছোটবড় ঘটনা যেন জাদুর ছোঁয়ায় হয়ে উঠে রঙিন। বয়স বৃদ্ধির সাথে সাথে যেন সেই সব অদ্ভুত সৌন্দর্যময় দিনগুলি জায়গা ছেড়ে দেয় কর্মব্যস্ততার জীবনকে, জাদুময় পৃথিবীকে গ্রাস করে নেয় নির্মম বাস্তবতা। সমাজে সম্মানজনক অবস্থানের জন্যে বেঁছে নিতে হয় ভাল পেশা, পরিবারকে দেখে শুনে রেখে দুনিয়ার সামনে মাথা উঁচু করে হেঁটে চলবার পথ। নিজে ভালমতো খেয়েপরে নিয়ে সবাই চায় তাদের সন্তানেরাও যেন তাদের দেখানো পথে চলে, সবাই যেন ঠিকমতো “বড় হয়ে উঠে”।
তবে কেউ যদি সমাজের দেখানো পথে “বড় হয়ে উঠতে” না চায়, তাহলে কী হবে? সমাজ কি তার এই “ছোট থেকে যাওয়া” মেনে নিবে? নাকি সবাই তাকে আর সবার মতই তথাকথিত স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্যে উঠেপরে লাগবে?
তারচেয়েও বড় প্রশ্ন, সবার দেখানো পথে “বড় হয়ে উঠে” জীবন গড়ে তুলার বিরোধিতা করে ছোটকালের সেই স্বপ্নময় জীবনকে তাড়া করে ছুটলে কী হবে সেই মানুষটির? তার জীবন কি সেখানেই থেমে থাকবে? নাকি কারও তোয়াক্কা না করে আপন গতিতে ছুটে চলতে পারবে জীবনের পথে?

Annarasumanara নামক মানহোয়াটি পড়ার সময়ে এরকম বিচিত্র প্রশ্ন মাথায় আসবে পাঠকদের। Ha Il-Kwon এর আঁকা ও লেখা এই ওয়েবটুনটি ৩টি ভলিউমে ২৭ চ্যাপ্টারে প্রকাশিত হয়।

কাহিনী: গল্পের নায়িকা Yoon Ah-Ee এক গরীব পরিবারের মেয়ে। পড়াশুনায় তুখোড় এই ছাত্রীর জীবন দারিদ্রতায় অসহনীয় হয়ে উঠে। পরার কাপড় ছিড়ে গেলেও নতুন কাপড় কিনতে চিনতা করতে হয় যে এই খরচের পর মাসের বাকি দিনের জন্যে খাবার কিনবার মত টাকা থাকবে নাকি হাতে। নতুন ক্লাসে তার পাশের চেয়ারেই জায়গা হয় Na Il-Deung-এর, যে শহরের অন্যতম ধনী পরিবারের ছেলেই শুধু নয়, ভাল ফলাফলে সবাইকে ছাপিয়ে স্কুলের সেরা ছাত্রও বটে। পড়াশুনার জন্যে অঢেল টাকা খরচ করে ফেলা তার কাছে কোন ব্যাপারই নয়। এদিকে এত বড় সম্পদশালী পরিবারের ছেলের পাশে বসে থেকে Ah-Ee-এর চিন্তাভাবনায় সারাক্ষণ চলে আসে তাদের দুজনের মধ্যে জীবনধারণের পথের এত বড় পার্থক্যের ব্যাপারটি।

তাদের স্কুলে একদিন হঠাৎ একটি গুজব ছড়িয়ে পরে যে পরিত্যক্ত এমিউজমেন্ট পার্কে এক জাদুকর এসে উঠেছে, আর সেখানেই থাকে এখন। জাদুকরটি একটু রহস্যময়, আর সে নাকি যেকোন মানুষকে গায়েব করে দেবার জাদু দেখাতে গেলে সত্যি সত্যি সেই মানুষকে গায়েব করে ফেলতে পারে। Yoon Ah-Ee ঘটনাচক্রে একদিন সেই জাদুকরের সামনে পরে, যে তাকে প্রথমেই একটি প্রশ্ন জিজ্ঞেস করে, “Do you believe in magic?”

Ah-Ee এর ছোটকালে সবসময়ে শখ ছিল জাদু শিখা, বড় হয়ে সে হতে চেয়েছিল একজন জাদুকর। কিন্তু তার বাবা তাকে ও তার ছোট বোনকে ফেলে চলে যায় ঋণের বোঝা মাথায় চাপিয়ে দিয়ে। সংসারের টানাটানিতে এক সময়ে ছোটকালের সেই সুন্দর স্বপ্ন ঝেড়ে ফেলে বাস্তবতার মুখোমুখি হয়। নুন আনতে পান্তা ফুরানো জীবনে সে জলদি বুঝে উঠে, পড়াশুনায় ভাল ফলাফল করে ভাল একটি চাকুরী পেতে হবে তাকে। আর তাই এতদিন পর ছোটকালের সেই পূরণ করতে না পারা স্বপ্নের ব্যাপারটি তাকে গভীরভাবে আঘাত করে। জাদুকরের জীবন বেঁছে নিলে পরিবারকে কী খাওয়াবে? সমাজ তাকে কী চোখে দেখবে? সত্যিকারের জাদু বলতে কিছু নেই। এটি শুধুই চোখে ধুলো দেওয়া এক খেলা, যা মানুষকে বিনোদনই দিতে পারে, এর বেশি কিছুই না।

এদিকে রহস্যময় জাদুকর বারবার তাকে একটি কথাই বলে, সে সত্যিকারের জাদুকর। সে সত্যি সত্যিই জাদু জানে। কথাটি Ah-Ee মেনে নিতে না চাইলেও তাকে মাঝেমাঝেই কিছু অবাস্তব ধরণের জাদু দেখিয়ে দিতে থাকে। আর সেই সাথে Ah-Ee-কে একটি প্রশ্নের সামনে দাঁড় করিয়ে দেয়, তার ছোটকালের স্বপ্ন কি সে চাইলে এখনও পূরণ করতে পারবে?

চরিত্র: গল্পের মূলে রয়েছে তিন প্রধান চরিত্র: দরিদ্র কিন্তু মেধাবী ছাত্রি Yoon Ah-Ee, বড়লোক ঘরের দেখতে হ্যান্ডসাম ও মেধাবী ছাত্র Na Il-Deung, এবং রহস্যময় জাদুকর। পুরো গল্পটি এই তিনজনকে কেন্দ্র করে গড়ে হয়ে উঠে, আর ধীরে ধীরে তিনজনেরই চরিত্রের বিকাশ দেখানো হয়েছে সুন্দরভাবে।

বাস্তবতার দিকে তাকিয়ে অনেক পরিণত চিন্তার Yoon Ah-Ee জানে অনেক পরিশ্রম করে গরীব পরিবারের হাল ধরতে হবে। আবেগে গা ভাসিয়ে না দিয়ে সত্যের মুখোমুখি হওয়া তার সিদ্ধ্বান্তে লক্ষণীয়।
Il-Deung বিশ্বাস করে উন্নত সুখময় জীবনের জন্যে দরকার অনেক টাকা-পয়সা ও ভাল পেশা। আর বড়লোকের ঘরে জন্মানোতে সে সেইসব সুবিধা উপভোগ করতে পেরে নিজেকে আসলেই অনেক সৌভাগ্যবান ভাবে।
বিলাসিতার জীবন ছেড়ে আসা জাদুকর নিজের জীবনের স্বপ্নের পথেই পা বাড়ায়। বয়স বাড়লেও, মানসিকভাবে কখনও বড় হয়ে উঠতে না চাওয়া এই জাদুকর সবাইকে মনের কোনে লুকিয়ে থাকা ছোট্ট শিশুটিকে জাদু দেখিয়ে আনন্দ দেখিয়ে বেড়ায়। তার বিশ্বাস জীবনে সবসময়ে স্বপ্নের পথেই এগিয়ে যাওয়া উচিৎ, সমাজের বাহবা পাওয়ার লক্ষ্যে নিজেকে বিলিয়ে না ইয়ে জীবন উপভোগ করাই হওয়া উচিৎ জীবনের সত্যিকারের লক্ষ্য।

আর্ট: মানহোয়াটির আর্টের মধ্যে একটা অন্যরকম সৌন্দর্যের ছোঁয়া আছে। মাঝে মাঝে এবস্ট্রাক্ট আর্টের ব্যাপারটি চোখে পরার মত, আর সেই সৌন্দর্য অনেক বেশি উপভোগ্য! জাদুর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা মানহোয়াটিতে মাঝে মাঝেই দেখা যায় একটি পুরানো বন্ধ হয়ে যাওয়া এমিউজমেন্ট পার্কের চোখজুড়ানো সৌন্দর্য! চিত্রবহুল এই মানহোয়াতে এক প্যানেল থেকে আরেক প্যানেলে অংকনের পরিবর্তনগুলি কাহিনীতে গভীর ছাপ ফেলে। সবচেয়ে বেশি চোখে যা পরবে তা হল আর্টে একটা ডার্ক থিম থাকলেও কাহিনী সেরকম ডার্ক নয়, যাতে এ দুটি জিনিসের কম্বিনেশন অসাধারণ হয়ে উঠেছে!

একজন বাস্তববাদী, একজন অভিজাত-বংশীয় এবং একজন জাদুকরের কাহিনী আপনাকে মনে করে দিবে শুধু লোকদেখানো নয়, নিজের জীবনকে নিজের মত করেও গড়ে তুলা উচিৎ। স্বপ্ন শুধু স্বপ্নে থেকে যাবার জন্যেই নয়, সেটাকে বাস্তবে রূপ দিতে পারাটা জীবনের সবচেয়ে সুন্দরতম দিক!

মনে গভীর ছাপ রেখে যাবার মত ঘটনাবহুল একেকটি অধ্যায়, সেই সাথে চোখজুড়ানো আর্ট এই মানহোয়াটিকে স্বাভাবিকভাবেই খুব জলদি আপনার মনোযোগ কেড়ে নিবে। গল্পের একটি উল্লেখযোগ্য দিক হল, কাহিনী আগানোর সাথে সাথে চরিত্রগুলি অনেক সুন্দর ভাবে বিকশিত হয়। চরিত্রগুলিতে দেখার মতন পরিবর্তন আসে। জাদুর উপর ভিত্তি করে গড়ে উঠা কাহিনীতে চরিত্রগুলিও জাদুময় কিছু মুহুর্ত উপহার দিতে পারবে। 

প্রায় ৪০-৫০ পাতার একেকটি চ্যাপ্টার পড়তে খুব বেশি সময় নিবে না হয়তো। অতএব কমিক্স, মাঙ্গা, মানহুয়া ও মানহোয়া পাঠকেরা এই মানহোয়াটি না পড়ে থাকলে আর দেরী না করে এখনই পড়ে ফেলুন, আর উপভোগ করুন অসাধারণ সুন্দর একটি গল্প! জাদুময় কিছু মুহুর্তই আপনার জন্যে অপেক্ষা করছে 

MyAnimeList Rating: ৮.৬৯/১০
আমার রেটিং: ১০/১০

[লেখাটি একই সাথে somewhereinblog-এও আপলোড করা হয়েছে, লিংক: http://www.somewhereinblog.net/blog/aulaaninda/29911178 ]

Towa no Quon anime review by Monirul Islam Munna

 

অল্প এপিসোডের এনিমে যাদের পছন্দ বিশেষ করে একশন, সুপার পাওয়ার,মেকা, সুপার ন্যাচারাল, সাই ফাই ধরণের এনিমে দেখতে যারা পছন্দ করেন,তাদের জন্য বিশেষ এক উপহার ৬ এপিসোডের (১২ এপিসোড এক হিসেবে, প্রতিটা এপিসোড ৪০মিনিটের ) ‘Towa no Quon’

এনিমের মূল চরিত্র তোয়া আর তার কিছু বন্ধু নিয়ে, যাদের ‘Attractors’ হিসেবে পরিচত করা হয়েছে এই এনিমে। ‘Attractors’ হচ্ছে আমাদের মতই সাধারণ মানুষ কিন্তু বিভিন্ন পরিস্থিতে তাদের প্রত্যেকের অন্তর্নিহিত সুপ্ত শক্তি বিকশিত হয়েছে। এই শক্তির কারণে হয়তো তারা কারও কাছে ঘৃণিত বা কারও কাছে পরিতেক্ত্য হয়েছে, কিন্তু ভুল কারও হাতে এই শক্তির যেন অপব্যবহার না হয়, সে জন্য ‘তোয়া’ খুজে বেড়াচ্ছেন নিজের অজান্তে বা পরিস্থিতির কারণে জাগিয়ে তোলা অতিমানবীয় শক্তিশালি মানুষগুলোকে। কিন্তু শুধু তোয়াই নয়,সরকারের এক গুপ্ত সংস্থাও খুজে বেড়াচ্ছেন এই Attractorsদের।

এইরকম একশনধর্মী অনেক এনিমের ভালো কাহিনী না থাকায় অনেক সময় ভালো লাগে না। তবে তোয়া নো কুউন আপনাকে হতাশ করবে না। কিছুটা মিস্ত্রী রাখলেও, এনিমেটার কাহিনীর ভালো বেকগ্রাউডন আছে। সাথে চরিত্রগুলোর বিলডাপও বেশ ভালো।
মেকা আর সুপার পাওয়ারওয়ালা একশন প্রেমিরা বেশ ইঞ্জয় করবেন এনিমেটা দেখার সময়। আর এনিমটার গ্রাফিক্স/এনিমেশনও বেশ ভালো। সাথে অস্থির কিছু OST!! একটা আপানাদের সাথে শেয়ার করলাম 

http://www.youtube.com/watch?v=gof4vnF1mqU

আর EDটা- http://www.youtube.com/watch?v=g6faVLeA6cA

 

যদিও ৬টা মুভি হিসেবে এটা রিলিজ পেয়েছে। তবে মুভিগুলো সিকুয়াল, দেখার সময় ৬ এপিসোডের সিরিজ হিসেবেই দেখতে পারবেন। এবং যত দেখবেন, তত বেশী ভালো লাগবে আগের চেয়ে। 

Mal rating: 7.62+7.59+7.73+7.88+7.82+7.86
My rating: 7.4+7.5+7.8+8.0+8.0+8.0

গিন নো সাজি ২ এর অ্যানিমে প্রিভিউ/ফাহিম বিন সেলিম

 

গিন নো সাজি ২
জনরাঃ স্লাইস অফ লাইফ, শৌনেন, কমেডি,
স্কুল
প্রযোজকঃ অ্যানিপ্লেক্স
ব্যাপ্তিঃ ২৪ মিনিট/পর্ব
পর্ব সংখ্যাঃ ১১
প্রচার শুরু: ১০ জানুয়ারী, ২০১৪

এফএমএ-খ্যাত হিরুমো আরাকাওয়া-সেনসের অসাধারন এই জীবনধর্মী অ্যানিমের দ্বিতীয়(এবং শেষ?) সিজন। ৩ মাস বিরতির পর আবার ফিরে আসছে ইয়ুগো হাচিকেন আর তার ইয়েজো এগ্রিকালচারাল স্কুলের বন্ধুরা। ইকুয়েস্ট্রিয়ান ক্লাব, পোর্ক বোল, কাকডাকা ভোরের প্রাক্টিকাম, জাপানের কান্ট্রি-জীবন…হাচিকেন, মিকাগে-সান  আর অনেক, অনেক লাইফ লেসন। 

প্রত্যাশা: ৯+ 
টায়ার: পোটেনশিয়াল বেস্ট স্লাইস অফ লাইফ অফ দ্যা সিজন( ইয়ার টু মেবি?), সিকুয়াল

তোনারি নো সেকি-কুন এর অ্যানিমে প্রিভিউ/ফাহিম বিন সেলিম

তোনারি নো সেকি-কুন
প্রচার শুরু: ৬ জানুয়ারী
জনরা: সেইনেন, স্কুল, কমেডি
ব্যাপ্তি: ১০ মিনিট/পর্ব
মাঙ্গা রেটিং: ৭.৯৭ (২০১০-)
স্কুলে কোন বিরক্তিকর ক্লাস চলছে? পাশের জনের সাথে যে আলাপ করবেন সেই সুযোগও নেই। কী করতেন আপনি?
আমার নিজের কথা বলি, আমার ছোটবেলার ক্লাসে সবচেয়ে প্রিয় খেলা ছিল কলম দিয়ে রেসলিং খেলা!
আমাদের মূল চরিত্র, যার নাম সেকি-কুন, শুধুই সেকি-কুন, সে-ও এক্ষেত্রে আর যে কারো মত। বেঞ্চের উপরের কোন গর্ত কে হোল ধরে একটা ডিটেইলড গলফ কোর্স বানানো বা কাগজের শোগি পিচ দিয়ে কোন ড্রামাটিক যুদ্ধক্ষেত্র তৈরী করা – সেকি-কুনের এসব খেলা তীব্র ভাবে আকর্ষন করে তার সিট-প্রতিবেশী ইয়োকোই কে। কিন্তু মজার ব্যাপার হল, সেকি-কুনের এই মজার খেলা গুলোর কারণে আবার তাকেই পরতে হয় বিপদে!
এই নিয়েই তোনারি নো সেকি-কুন।

১০ মিনিটে সম্ভবত দুই-তিনটা করে কাহিনী দেখানো হবে। বলার মত কোন প্লট নাই। গ্যাগধর্মী, সম্ভবত সংলাপহীন। কাহিনীর স্বল্প পরিসরতার কারণে ক্লিশে হয়ে যেতে পারে আবার নিচিজৌ, ডি এল এইচ বি-এর মত অনেক হাসির, আকর্ষনীয় একটা অ্যানিমে ও হতে পারে।

প্রত্যাশা: ৮
টায়ার: ফিল-গুড