Grave of the Fireflies – Reactional Post by Monirul Islam Munna

এনিমে দেখেও মন খারাপ হয়ে যাবে, এমনটা হয়তো সাধারণত কেউ চিন্তা করে না। কিন্তু প্রচুর এমন অনেক মুহূর্ত রয়েছে মনটা যেন ভালো হতেই চায় না। মনে ঘুরে ফিরে একই প্রশ্ন জাগে, একটু ভিন্ন কিছু না হয় হতো। এমন একটা অনুভূতির মধ্যে ফেলে দেওয়ার মত একটা মুভি ‘Grave of fireflies’

স্টুডিও গিব্লির মুভি ‘গ্রেভ অফ ফায়ার ফ্লাইস’, এমন একটা স্টুডিওর নাম শুনলেও ১ম এই আমরা ধরেই নি, ভালো কিছু একটা আছে। হ্যাঁ, এই মুভিটাতেও আছে, শুধু আছেই যে তা নয়, হয়তো আপনার চোখ দিয়ে নিজের অজান্তে ছলছল করে পানি পরবে!!!

২য় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপানে বসবাসরত ২ ভাই বোন ‘সেতস্কু’ and ‘সেইতা’কে নিয়ে মুভিটা। যুদ্ধের দুর্যোগপূর্ণ মুহূর্তে মাকে হারিয়ে, আর সৈনিক বাবার কোন খোঁজ না পেয়ে এক নিকট আত্মীয়ের বাসায় ঠাই নে ২জন। কিন্তু সেই আত্মীয়ের কাছে বেশ অবহেলিত হল ২ ভাই বোন। সৈনিকের ছেলে বলে, সেতস্কু অবহেলা মেনে না নিয়ে বোনকে নিয়ে পরিত্যক্ত এক স্থানে আশ্রয় নেয়। কিন্তু নিজের কাছে সম্বল বলতে কিছু নেই, কোন মতে খেয়ে না খেয়ে দিন পার করার চেষ্টায় লিপ্ত সেতস্কু আর সেইতা। আর সাথে রাতের তারার মত আলো ছড়ানো জোনাকি পোকাগুলা যেন ছোট প্রান ২টাকে আবার সতেজ আর সজিব করে তুলে। 

সেই ১৯৮৮ সালের মুভি কিন্তু মুভিটার আর্ট দেখে সত্যিই মুগ্ধ। এতো ভালো লেগেছে শুধু আর্টওয়ার্কের জন্য ১০ এ ১০ দিয়ে দিতে ইচ্ছে করবে। সাথে ভয়েস অ্যাক্টরগুলোর অ্যাক্টইং আর ওএসটিগুলোও বেশ ভালো। মাঝে মাঝে এনিমের কাল্পনিক জগত থেকে বাস্তব জগত যে কতটা কঠিন বা কষ্টের হতে পারে, সেই অনুভূতি সৃষ্টির জন্য ভিন্ন কিছুর মধ্যে খুজতে যেতে হবে না, এমন একটা এনিমে দেখেই সেটা ফীল করতে পারবেন।

Grave of the Fireflies

 

Pokemon Rants by Monirul Islam Munna

১. Metapod vs metapod একটি অমানবিক, রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।

খুব বেশী এনিমে দেখি নাই। কিন্তু কত ফাইট দেখতে গিয়ে যে হাতের লোম দাঁড়িয়ে গেছে, শরীর কেপে উঠেছে, নিশ্বাস বন্ধ হয়ে গেছে, সে ফাইট গুলার একটা লিস্ট করতে গেলে হয়তো, পেইজ ফুঁড়িয়ে যাবে। তবে এইরকম এপিক লেভেলের ব্যাটেল আজ পর্যন্ত দেখতে পারেনি,কোন এনিমেতে। আজ পর্যন্ত কেউ ধারের কাছে যেতে পারেনি এইরকম অমানবিক, রক্তক্ষয়ী, একশনে ভরপুর ব্যাটেলে!!! পকেমনের এই ব্যাটেলটা আমার জীবন ধন্য করেছিল ছোট বেলায়,আজও ঘুমাতে জাবার আগে একবার চিন্তা করি, আমি এতো লাকি কেমনে হলাম?? এমন একটা যুদ্ধ দেখতে পারে আমি চিরদন আনন্দিত।
Metapod Vs Metapod!! ওহ মাই, এখনই হাত কাপছে এটা লিখে লিখতে!!!

Pokemon 1

 

২. নিকি মিনাজের ইন্সপিরেশন ‘জিনক্স’

গোপন সূত্রে খবর পাওয়া গেছে, বিখ্যাত, মেধাবী, সুরেলা, সুশীল সঙ্গীতশিল্পী এবং নর্তকী ‘নিকি মিনাজ’ পোকেমনের অনেক বড় ফ্যান। ছোটবেলায় অনেক সুইট, কিউত থাকার পরও, পোকেমনের প্রতি তার গভীর টান থাকার কারণে এবং তার সব চেয়ে প্রিয় পকেমন ‘জিনিক্স’ এর রূপে প্রবাভিত হয়ে উনি সব সময় জিনিক্সের মত সেজে থাকতে পছন্দ করেন। মার্স গ্রহে দাঁড়িয়ে এমন একটা ফ্যানের জন্য আমার পক্ষ থেকে স্যালুট
#রিয়াল_এনিমে_লাভার

Pokemon 2

 

৩. একজন মেজিকারপের মনের কথা

অত্যন্ত ব্যাডএস একটা চরিত্র, পুরা এনিমেটা মাতিয়ে রেখেছে। কত কিছু শিখিয়েছ এই ছোট্ট মাছটি। ছোট বলে নীরবে সহ্য করে গেছে সকল অপমান। ছোট বলে কত না অধিকার খুন্ন করেছে, বড় বড় পকেমন গুলো। কিন্তু ছোট্ট মেজিকারপ কোন অপমান, কোন দিন ভুলেনি। তিলে তিলে মনের মধ্যে বেঁধে রেখেদে, কে কখন হেয় করেছে তাকে!!! শত আঘাত দিয়ে ক্ষত বিক্ষত শরীরে হয়ত সেই অত্যাচারের প্রতিবাদ করে উঠতে পারেনি মেজিকারপ। কিন্তু ঠিকই জেগে উঠবে একদিন ও, ধ্বংস করে দিবে চারপাশ, প্রতিশোধের আগুনে ছাড় খার করে অত্যাচারী সেই পকেমনদের!!!
~ছোট বলে কাউকে অপমান করা উচিৎ না। মনে রাখবেন ঘুমিয়ে আছে সকল পিতা সব শিশুদের অন্তরে!!!
#Magikarp

Pokemon 3

৪. কেউ জিগ্লিপাফকে বালুবাসে না

কত সংগ্রাম, কত সাধনা, কত পরিশ্রম করে সঙ্গীত জগতের সান্নিধ্য পেতে নিরলশ খেটে গেছেন এই পোকেমন। রাতের পর রাত জেগে, আবার কখনও কাক ডাকা ভোর থেকে সময়ের দিকে না চেয়ে রেওয়াজ করে গেছেন। এতো সাধনার পরও ২টা লাইন গান শুনতে চায় না কেউ, মধুর সুকণ্ঠি স্ত্রাগ্লিং এই পোকেমনের। এইভাবে কত প্রতিভা হারিয়ে যাচ্ছে, এই পোকেমন জগত থেকে, কে জানে। জিগ্লিপফকে কেউ বালুবাসে না, ভ্যাআআআআআআআআআআআআআআ

 

Pokemon 4

এফ এ সি ১৯

রান্ডম টপিক

এংকা[(演歌]

এংকাকে বলা হয় বক্তৃতা গীতি[স্পিচ সং]। মেইজি পিরিয়ডে মূলত এই জনরার গানের উত্পত্তি, রাজনৈতিক বক্তৃতাকে গানে রূপান্তর করে তাকে এংকা বলা হত. এর মধ্যে একটা ঐতিহ্যবাহী ছাপ থাকে। মূলত মহিলারাই এংকা পারফর্ম করেন, ইউকাতা পরে।

এংকা পারফরমারদের একটা সিলেবল উচ্চারণ করতে গেলে তার মধ্যে যথেষ্ট ফ্লাকচুয়েশন আনতে হয়, স্কেলের ব্যাপারে তাদের হতে হয় দারুন পারদর্শী।[এগুলো কি তা আমিও বুঝি না, আমি স্রেফ উইকি থেকে দেখে এগুলো জানাচ্ছি, আমি কোনো মিউজিক এক্সপার্ট না.]

আনিমেতেও এংকা ব্যবহার হয়েছে, এবং এংকাটা সম্ভবত যারা বিশেষ আনিমেটা দেখেছেন, তাদের সবারই পছন্দ।

 

আনিমে সাজেশন

হায়াতে নো গতোকু[Hayate no Gotoku]

 

 Hayate

কতখানি দুর্ভোগ পোহালে একজনকে আসলেই দুর্ভাগা বলা যায়? বেকার বাবা-মা তার  টাকায় চললে? ধার পরিশোধ করার জন্য তার কিডনি বেচে দেয়ার কন্ট্রাক্ট করলে? ১৫ কোটি ইয়েনের বোঝা মাথায় চেপে বসলে? অদ্ভুত এক ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে সান্জানিন নাগির বাটলার হলো এই মহা দুর্ভাগা আয়াসাকি হায়াতে। তবে দুর্ভাগা হলে কি হবে, সে কিন্তু বাটলার হিসাবে ওভার-কোয়ালিফাইড।তারপর?

কেন দেখবেনঃ খুব ভালো কমেডি+প্যারোডি আনিমে, টিপিকাল হারেম স্টোরি না, ফ্যানসার্ভিসও নেই তেমন। মান্গাকা গল্পের উপর জোর দিয়েছেন অনেক বেশি।

কেন দেখবেন না: প্রথম দুই সিজন দেখা উচিত, পরের দুটো না দেখলেও চলবে।

 

ম্যাল রেটিং ৭.৯১+৮.০৯+৭.০৮+৭.১৭

আমার রেটিং ৮+৯[মূলত হিনামাত্সুরি আর্কের জন্য]+৭+৭

 

মাঙ্গা সাজেশন

আজকে দুটো ওয়ান শট সাজেস্ট করব.

নেকোমরি কুন নো হিমিত্সু নো তোবিরা[Nekomori-kun no Himitsu no Tobira]

ম্যাল রেটিং ৭.৮২

আমার রেটিং ৯

 

মনস্টার এন্ড চাইল্ড[Monster and Child]

ম্যাল রেটিং ৭.৬৯

আমার রেটিং ৮

 

এফ এ সি ১৮

রান্ডম টপিক

কোতাত্সু

 

 

জাপানে শীতের সময় সবচেয়ে আরামদায়ক অভিজ্ঞতা সম্ভবত কোতাত্সুর নিচে আরাম করে বসে থাকা আর মিকান অরেঞ্জ খাওয়া। কোতাত্সু মূলত একটা টপলেস কাঠের টেবিল, যার টপ একটা ভারী কম্বল দিয়ে ঢাকা থাকে।এর সাথে একটা বিল্ট ইন ইলেকট্রিক হিটার থাকে, যদিও ঐতিহ্যবাহী কোতাত্সুতে হিটিং সিস্টেম কয়লার। কোতাত্সুর ব্যবহার অবশ্য শুধু জাপানে না, অন্য অনেক দেশেই আছে, তবে ভিন্ন নামে। বলা হয়ে থাকে, কোতাত্সুর সান্নিধ্যে সব দুশ্চিন্তা চলে যায়, ঘিরে ধরে এক আরামদায়ক উষ্ণতা, আর প্রশান্তিতে ভরে যায় মন.

 

তাহলে আর দেরী কেন, কিনে ফেলুন কোতাত্সু, ৭৫*৩৬*৭৫ সাইজের একটা কোতাত্সুর দাম পড়বে ১০০ ডলারের মত.

 

 

আনিমে সাজেশন

টাইগার এন্ড বানি[Tiger & Bunny]

 

হিরোদের কাজ হচ্ছে মানুষকে বাঁচানো। কিন্তু যখন এই মানুষ বাঁচানোর সাথে ব্যবসায়িক স্বার্থ জড়িয়ে যায়, পুরো ব্যাপারটা হয়ে পড়ে একটা রিয়ালিটি শো, যাতে অংশগ্রহনকারী হিরোদের থাকে বিভিন্ন স্পন্সর, আর তারা পয়েন্ট পায় মানুষকে বাঁচানোর জন্য, তাহলে ব্যাপারটা কেমন দাঁড়াবে?

কেন দেখবেনঃবেশ নতুন ধরনের কনসেপ্ট, ডিসেন্ট অ্যাকশন, এবং সবচেয়ে ইম্পর্টান্ট পয়েন্ট হলো এখানের এক হিরোকে পেপসি স্পন্সর করে, প্রতি পর্বের মাঝে পেপসির বিজ্ঞাপন দেখায়।

কেন দেখবেন না: পরবর্তী সিজনের আভাস দিয়ে শেষ করেছে, কিন্তু এখনো তা রিলিজ করেনি। ক্লিফ্হ্যান্গারটা অনেকটা শার্লকের সিজন ৩ এর এপিসোড ৩ এর মত.

 

ম্যাল রেটিং ৮.২৬

আমার রেটিং ৮

 

 

মাঙ্গা সাজেশন

ব্লাডি মানডে[Bloody Monday]

 

হাই স্কুলে পড়ুয়া জিনিয়াস হ্যাকার তাকাগিকে লড়াইয়ে নেমে পড়তে হলো ভয়াবহ এক ভাইরাসের বিরুদ্ধে, যা কিনা মানুষের সংস্পর্শে আসার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই মানুষের মৃত্যু ঘটবে। সংগঠিত ভয়াবহ শত্রুর বিরুদ্ধে কি করবে এখন তাকাগি?

 

কেন পড়বেনঃবেশ উত্তেজনাপূর্ণ, খানিকটা ওয়ান ম্যান শো-ই বলা যায়, সৌনেন+সেইনেন মাঙ্গার বেশ ভালো এগজাম্পল। এন্ডিংটাও যথেষ্ট স্যাটিসফ্যাক্টরি।

কেন পড়বেন না: না পড়ার তেমন কোনো কারণ নেই.

 

 

ম্যাল রেটিং ৮.১১

আমার রেটিং ৮

 

এফ এ সি ১৭

রান্ডম টপিক

শিজু [四獣]

 

 

ফোর বিস্টের রেফারেন্স প্রচুর আনিমেতে পাবেন, ফুশিগি ইউগী, বেব্লেড, তরিকো, ইউ ইউ হাকুশো ইত্যাদি। তবে এর অরিজিন কিন্তু জাপানে না, চীনে। চাইনিজ মিথোলজিতে শিজু বা ফোর বিস্ট দিয়ে মূলত ৪টা প্রানীকে বোঝায়, যারা চাইনিজ সাম্রাজ্যকে রক্ষা করে. প্রতিটি প্রানী একটি করে দিক এবং একাধিক এলিমেন্ট রেপ্রেসেন্ট করে, যেমন সেইরিউ[ব্লু ড্রাগন]- পূর্ব-কাঠ, গেনবু[কৃষ্ণ কাছিম]-উত্তর-পানি, বিয়াককো[শ্বেত ব্যঘ্র]-পশ্চিম-ধাতু, সুযাকু[ফিনিক্স]-দক্ষিণ-অগ্নি। এছাড়া আরো একটি প্রাণী চাইনিজ সাম্রাজ্যকে রক্ষা করে সবার মাঝে থেকে, সেটি হচ্ছে ইয়েলো ড্রাগন। এগুলো মূলত এস্ট্রোলজিক্যাল ব্যাপারস্যাপার। এই ব্যাপারে আরো বেশি কিছু জানার আগ্রহ থাকলে এই লিঙ্কে যেতে পারেন, এছাড়া গুগল তো আছেই। http://www.onmarkproductions.com/html/ssu-ling.shtml

 

 

আনিমে সাজেশন

গোস্ট হান্ট[Ghost Hunt]

 

 

”দুর্ঘটনা”চক্রে সাধারণ মেয়ে তানিয়ামা মাই জড়িয়ে গেল পেশাদার এক্সরসিস্ট শিবুইয়া কাজুইয়ার সাথে। আস্তে আস্তে মাই বুঝতে পারল, বন্ধুদের সাথে ভূতের গল্প শেয়ার করা বেশ মজার হলেও আধিভৌতিক ব্যাপার-স্যাপার আসলে এত সহজ নয়, এতে পদে পদে আছে রক্তজল করা সব অভিজ্ঞতা।

 

কেন দেখবেনঃএটা রেয়ার সেসব হরর আনিমের একটা, যাতে হরর কন্টেন্টকেই প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। ভৌতিক সিকোয়েন্সগুলোর সাথে উপযুক্ত আবহ সঙ্গীত, আর সেই সাথে রোম খাড়া করে দেয়া ওপেনিং থিম. http://www.youtube.com/watch?v=eHaxcnHRJoc

কেন দেখবেন না:না দেখার তেমন কোনো কারণ নেই.

 

 

ম্যাল রেটিং ৮.১৪

আমার রেটিং ৮

 

 

মাঙ্গা সাজেশন

আজকে দুটো ওয়ান শট সাজেস্ট করব.

 

আদাবানা[Adabana]

 

ম্যাল রেটিং ৭.২৮

আমার রেটিং ৭

 

 

আকুমা গা কিতারিতে[Akuma ga Kitarite]

 

ম্যাল রেটিং ৭.৬৪

আমার রেটিং ৮

 

 

ওয়ান শট বলে আর ইউজুয়াল কাহিনী সংক্ষেপ ইত্যাদি বলছি না, অল্প ৩০-৪০ পেইজের, সাজেস্ট করব এখনি পড়ে এসে মতামত জানাতে।

আর এই দুটো ওয়ান শটের কাহিনীর সাথে খুবই জনপ্রিয় দুটো আনিমের মিল আছে.

 

Samurai Champloo reaction by Monirul Islam Munna

সামুরাইদের নিয়ে এনিমে দেখতে গেলেই, সব সময়ই মনে করতাম যে এনিমেটা হবে খুবই ফাস্ট ধরণের আর অস্থির একশন, sword fight,ব্যাডএস character ভরপুর কিছু। কিন্তু Samurai champloo দেখে আমার সেই ভুল ভাঙল।

মূলত ৩ চরিত্র মুগেন, জীন আর ফু কে নিয়েই এনিমেটা। কিন্তু একজন থেকে একজনের দূরদুরান্তে কোন মিল নেই। মুগেন ruthless, মাথা নষ্ট একটা character আর জীন ঠাণ্ডা মাথার, cool একটা সামুরাই। অন্যদিকে ফু খুবই সাধারণ, cute , sweet মেয়ে

এক রহস্যময়ই সামুরাইর খোজে মত্ত ছিল ফু। আর ভাগ্যের জের ধরেই, ফু এর সেই যাত্রার মধ্যে পরিচয় জীন আর মুগেনের সাথে। ২ মেরুর ২জগতের বাসিন্দা হলেও, সেই রহস্যময়ই সামুরাইর খোজে যোগ দেন ২জন। যাত্রাটাকে বেশ সুন্দর একটা adventure হিসেবে দেখানো হয়েছে এনিমেটাতে। লম্বা সময়ের সেই যাত্রায় হরেক রকমের যায়গায়,হরেক রকমের মানুষের সাথে হরেক রকমের অনুভূতি ছিল। কেমন যেন একটা উনিকনেস আছে এর কাহিনীর মধ্যে।

এনিমেটার উনিকনেস যেন সব কিছুতেই ছিল,কমেডিগুলো, ফু এর facial expression আর বিশেষ করে OST গুলা। একবার শুনলে বার বার শুনতে ইচ্ছা করবে। আমার সব চেয়ে বেশী পছন্দের OST এখন এটাঃ http://www.youtube.com/watch?v=9lhqg-hO61Q

খুব ফাস্টও না, আবার খুব স্লোও না,কিছুটা ঠাণ্ডা ধাঁচের মজার একটা এনিমে। খালি একশন না দেখে, ভালো কাহিনী সহ কোন সামুরাই/একশন based এনিমে দেখতে চাইলে সামুরাই চাম্পলো অবশ্যই দেখা উচিৎ। খুবই ভালো সময় কাটবে নিশ্চিত।

MAL rating 8.51
My Rating 8.2

স্পেস ব্রাদার্স-নতুন এক ভুবন by Monirul Islam Munna

 

মাত্র ১২ এপিসোড দেখেছি , কিন্তু এনিমেটা নিয়ে লিখতে প্রচণ্ড ইচ্ছা করল, তাই লিখতে বসে গেলাম 

খুব কম এনিমের ১ম এপিসোড দেখেই মনে ধরে যায়, ‘স্পেস ব্রাদার্স’ সেই বিরল লিস্টের ১ম দিকে থাকবে কোন সন্দেহ নেই। এনিমেটার মধ্যে কেমন যেন একটু আলাদা স্বাদ আছে, প্রতি এপিসোড দেখলেই একই রকম একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়, আর কেন যেন মন ছুঁয়ে যায়।

এনিমেটা মুলত ২ভাই ‘নানবা মুত্তা’ আর ‘নানবা হিমিত’কে নিয়ে। ছোট থেকেই ২জনের মন জুড়ে ছিল, আমাদের মাথার উপর বিস্তর এই রহস্যময়ই মহাশুন্য। কখনও মহাশূন্য নিয়ে কিছু দেখলেই কে পায় তাদের, এর মধেই হারিয়ে যেত ২জন!!! যে ছোট্ট মনের মধ্যে খেলনা ,খেলাধুলা নিয়ে মেতে উঠার মজার স্মৃতি ভরপুর থাকার কথা, সেই মনের মধ্যে শুধু ভিড় করছে মহাশূন্য নিয়ে খুঁটি নাটি কত তথ্য,কত রহস্য। একদিন রাতে আকাশের মধ্যে গোলাকার কি যেন একটা দেখতে পেল ২জন, ধরেই নিল কোন ‘UFO’ দেখেছে ওরা। সে দিন পন করেই বসলো, ২জনকেই নভোচারী হতেই হবে।

ছোটবেলায় থেকে মুত্তা মেধার জ্যোতি ছড়ালেও, ছোট ভাই হিমিত,বড় ভাই মুত্তার চেয়ে একটু পিছিয়ে ছিল। একটু কম মেধাবী থাকলেও, প্রতি পদক্ষেপে হিমিতর ছায়ার মত হয়ে থাকতো মুত্তা। পড়ালেখার খুঁটিনাটি ধড়িয়ে দেওয়া, মেথে সাহায্য সবই করতো মুত্তা। আস্তে আস্তে ভালো করতে শুরু করল হিমিত। কিন্তু বড় ভাই মুত্তারও একটা আদর্শ ছিল, ‘বড় ভাই হিসেবে কখনও পিছিয়ে থাকা যাবে না ছোট ভাইয়ের থেকে, অবশ্যই এগিয়ে থাকতে হবে।’ কিন্তু সময়ের সাথে হিমিত নভোচারী হয়ে গেলেও, পিছিয়ে পরে মুত্তা। পিছিয়ে থাকলেও অনেক বছর পর আবার নভোচারী হওয়ার এক সুযোগ পায় মুত্তা। কিন্তু এতো দিন পর, এতো প্রতিযোগিতার মধ্যে, কঠিন পরীক্ষার মধ্যে দিয়ে নভোচারী হওয়ার ছোট বেলার সেই পন কি রক্ষা করতে পারবে মুত্তা??

এনিমেটার এপ্রোচটা খুবই উনিক লেগেছে আমার কাছে, সাথে মুত্তা চরিত্রের ভয়েস এক্ত্যরও প্রশংসা না করে পারলাম না। ইমসনটা এমন ভাবে ফুটিয়ে তুলে ভয়েস শুনেই হাসতে বাধ্য হবেন!! সাথে এনিমেজুড়ে রহস্যময়ই মহাকাশ, ‘NASA’,’JAXA’ আরও কত কিছু জানতে পারবেন। নতুন এক ভুবনের সাথে জড়িয়ে ফেলে এনিমেটা।

Barefoot Gen(1983) রিভিউ লিখেছেন মেঘময়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ প্রায় শেষের দিকে, সবার প্রত্যাশা এবার যুদ্ধ শেষ হবেই। জাপানের জনগন তাকিয়ে রয়েছে তাদের সরকারের দিকে, কখন সরকার যুদ্ধ শেষ হবার ঘোষণা দেবে। কিন্তু জাপান সরকার নির্বিকার। জনগন এদিকে অভাব অনটনে নিক্ষিপ্ত। সরকারি ration প্রয়োজন অনুযায়ী একেবারেই সামান্য। এইরকম অভাব অনটনে নিক্ষিপ্ত পরিবার এর সদস্য Gen. Gen,তার মা বাবা, বড়বোন আর এক ছোট ভাইকে নিয়েই এই গল্প শুরু হয়। Gen এর বাবা নানা রকম কাজ করে তার পরিবারের চাহিদা মিটাতে বদ্ধপরিকর। কারন gen এর মা আবার অন্তঃসত্ত্বা। নতুন অতিথি কে বরন করবার জন্য gen আর তার ভাই সবসময়ই চিন্তা করে। কিন্তু Gen এর জীবনে নেমে আসে এক নির্মম দুঃখ। আর সেই দুঃখের নাম পারমানবিক বোমা। পারমানবিক বোমা কেরে নেয় Gen এর হাসি। ভাজ্ঞক্রম্রে বেচে  যায় তার মা। কিন্তু বোমার radiation চারদিকে মৃত্যুর হাহাকার তোলে। Gen কি পারবে তার মাকে বাঁচাতে? পারবে কি তার সদ্য জন্ম নেয়া ভাই কে বাঁচাতে? জানতে হলে দেখতে হবে Barefoot Gen.

              454


মুভিটা দুই পার্ট এ বিভক্ত। Barefoot Gen এর সাথে যদি আমি Ghibli এর “grave of the fireflies” এর তুলনা দেই তবে আমি বলব Barefoot Gen একটু হলেওএগিয়ে থাকবে tragedy এর দিক থেকে। Grave of the fireflies যেখানে simplicity বজায় রেখে তার গল্প সম্পন্ন করেছে সেখানে আপনি হয়ত বলতে পারেন Barefoot Gen এর স্টোরি slow আর incomplete। তবে আপনি যদি এইসব বাদ দেন তবে Barefoot Gen দেখার মত একটি মুভি এবং একটি masterpiece.

 

 

545

 

একনজরে Barefoot Gen:

 

Director:Mori Masaki(Mamoru Shinzaki)

Writer:Keiji Nakazawa(manga)

Release Date: 1983

IMDB rating:8.1

MAL Rating: 8

My rating:8.6

 

         989

 

সামার ওয়ার্স (summer wars) লিখেছেন Torsha Fariha

 1513308_725623344116479_1745633721_n
ডিরেক্টর- মামোরু হোসোদা। (যার কিছু বিখ্যাত মুভির নাম- the girl who leapt through time, wolf children ইত্যাদি।)

জানরা- সায়েন্স-ফিকশন।

IMDb rating- 7.6

প্লট- এই গল্পের নায়ক নায়িকা হচ্ছে কেনজি আর নাৎসুকি। তারা দুইজনই একই হাইস্কুলে পড়ে। কেনজি পার্টটাইম মডারেটর হিসেবে কাজ করে একটা ইন্টারনেট বেইজড ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ড ‘OZ’ এ। নাৎসুকি হচ্ছে স্কুলের খুব বিখ্যাত একটা মেয়ে । কেনজির সেনপাই।

এক গ্রীষ্মে সে কেনজি আর তার ফ্রেন্ড তাকাশিকে বলে তারা একটা পার্টটাইম জব করবে কিনা! যে কোন একজনকে দরকার তার। গ্রামে যেতে হবে তার সাথে। দুইজনই তো শুনে সাথে সাথে রাজি! পরে রক-পেপার-সিসর খেলে সুযোগটা জিতে নেয় কেনজি।

গ্রেট-গ্র্যান্ডমাদার সাকায় জিন্নোচির ৯০ তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নাৎসুকি গ্রামের বাড়ি যাচ্ছে। সেই সাথে আছে কেনজি যে তখনো বুঝেনি তার পার্টটাইম জবটা কি!
যা হোক পৌঁছানোর পর জানা গেল আসল কাহিনীটা কি! নাৎসুকি কেনজিকে ধরে নিয়ে এসেছে তার ফিয়ন্সে হিসেবে অভিনয় করার জন্য!

কেনজি হতভম্ব হয়ে দেখতে থাকল আশেপাশের পরিস্থিতি। ইয়া বিশাল একটা বাড়ি নাৎসুকির আত্মীয়-স্বজনে ভর্তি! এঁদের মাঝে তাকে অভিনয় করতে হবে বয়ফ্রেন্ড হিসেবে!

যা হোক কোনোমত সামলে নিয়ে ঘুমাতে গেল সে। রাতে হুট করে তার ফোনে একটা দুর্বোধ্য সংখ্যায় ভর্তি মেসেজ আসলো। ম্যাথ পাগলা কেনজি সাথে সাথে বসে গেল সলভ করতে। সলভ করে সেটা সে পাঠিয়ে দিল রিপ্লাই হিসেবে।

পরদিন সকালে কেনজি জানতে পারলো আসলে গতরাত্রে সে ‘OZ’ এর পাসওয়ার্ড সলভ করে একজনকে পাঠিয়ে দিয়েছে। ‘লাভ মেশিন’ নামে এক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কেনজির অ্যাকাউন্ট আর তার অ্যাভাটার ইউজ করে ‘OZ’ এর ইনফ্রাস্ট্রাকচার হ্যাক করে ফেলে। যার ফলে সারা পৃথিবীতে নানারকম সমস্যা শুরু হয়।

কেনজি বুঝতে পারে সে যদি এই লাভ মেশিনকে থামাতে না পারে তবে সামনে আরও বড় বিপদ হবে। তাই সে, নাৎসুকির কাজিন কাজুমা আর নাৎসুকির বিশাল পরিবার নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক যুদ্ধে- যে যুদ্ধ পিসির চারকোণার পর্দার ভেতর সীমাবদ্ধ হলেও এর উপর নির্ভর করে আছে পুরো পৃথিবীর ভবিষ্যৎ।

সংক্ষেপে এই হল কাহিনী। সত্যি বলতে যেমন জটিল শুনাচ্ছে কাহিনীটা আসলে দেখলে সেরকম মোটেও মনে হবে না। নাম সামার ওয়ার্স হলেও এটা কোন সিরিয়াস ধরনের মুভি না। বরং খুবই মজার, হালকা মেজাজের। পৃথিবীর এত বড় বিপদের মাঝেও তারা যেমন মন-প্রাণ ঢেলে সেটা ঠেকানোর চেষ্টার করছে তেমনি মজা-মস্করাও করছে। এই মুভির মূল থিমটাই হল- একতাই বল।

নাৎসুকিদের জিন্নোচি ক্ল্যান টা দেখে আপনি একবার হলেও আফসোস করবেন ‘ইশ! এরকম একটা জয়েন্ট ফ্যামিলি যদি থাকতো আমার!’ হ্যা। আমারও সেরকম মনে হয়েছে। সবাই হাত-পা ছড়িয়ে গল্প করছে, কাজ করছে, একসাথে খাওয়াদাওয়া করছে- ইশ! কি মজারই না ব্যাপারটা ! অ্যানালগ আর ডিজিটাল- দুই রকম ওয়ার্ল্ডের এত সুন্দর সমন্বয় আর কোথাও দেখিনি এখন পর্যন্ত!
একদম স্বপ্নের মত সুন্দর, হাশিখুশি আর রঙিন মুভিটা।

 

1512250_725623977449749_967160331_o