”জাপানিজ শিখুন,জীবন গড়ে তুলুন” – ৪০ তম পার্ট By অরিন শারমিন

(অনেকদিন পর আবার জীবন গড়ে তুলার কার্যক্রম নিয়ে ফেরত আসছি 😛 )

জাপানিজ শিক্ষাকার্যক্রমের ৪০তম লেসন

আজকে শিখাব কমন একটা এক্সপ্রেশনের নানাবিধ প্রয়োগ…এক্সপ্রেশন টা হল “ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু” (“ইওরোশকু ওনেগাইশিমাস”).. এটা বেশি পোলাইটলি বললে বলে “দোজো ইওরোশিকু ওনেগাইইতাশিমাসু”

এটা এমন একটা এক্সপ্রেশন যেটা বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ইউজ করা যায়…

১মে বলি যেটা সবথেকে কমন সেটা

যখন কোন একজন মানুষের সাথে আরেকজন মানুষের ১ম দেখা হয় ধর আমার সাথে অবন্তীর ১ম দেখা হল..আমি বললাম “হাজিমেমাশিতে..ওয়াতাশি অরিন দেসু..ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু”

এখানের মিনিং টা কিছুটা এমন “hello..i am orin..nice to meet you” এখানে “ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু” ,”nice to meet you” এই টাইপের কিছু একটা  বুঝায়ছে…(হাজিমে মাশিতে শুধু ১ম বার কারো সাথে দেখা হলে বলে সেম পারসনের সাথে আবার দেখা হলে ইউজ করা যায় না একজনের সাথে একবারই ইউজ করা যায়)

আবার ধর আমি নতুন কোন একটা স্কুলে ট্রান্সফার হয়ে গেলাম .. তারপর নতুন ক্লাসে গিয়ে সবার সামনে দাঁড়িয়ে বললাম “হাজিমেমাশিতে..ওয়াতাশি অরিন দেসু..ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু” এখানেও “ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু”, “nice to meet you all” এই টাইপের মিনিংই বুঝাই আবার “please be kind to me/please take a good care of me/i’m looking forward to have a good relationship with all of you” এই টাইপের মিনিংও বুঝায়…

আবার নতুন অফিসে জয়েন করছি নতুন কলিগের সাথে নাম পরিচয় পালা শেষে যদি বলি “ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু” তাইলেও “nice to meet you”এর পাশাপাশি “i’m looking forward to working with you” এটাও বুঝায়..

কোন চিঠি বা মেইল লিখার সময় লাস্টে “ইওরোশিকু ওনেগাইশিমাসু” লিখে …. আমরা ইংরেজিতে চিঠি বা মেইল লিখার সময় যেমন লাস্টে “best regards/sincererly yours” এগুলা লাগায়..”ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু” এখানে এই টাইপের মিনিং বুঝায় ..

কোন খেলা/ম্যাচের শুরুতে ২ টা দল সামনাসামনি দাঁড়ায়ে মাথা নত করে বলে “ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু” আবার ধর দাবা খেলতে গেছি আমি…আমি আর আমার অপোনেন্ট মুখোমুখি বসে মাথা ২ জনে নত করে বললাম “ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু”…. এইসব ক্ষেত্রে এটার মিনিং কিছুটা এমন হয় “lets work hard and give our best”

আবার ধর আমি কারো কাছে হেল্প চাইলাম কোন ব্যাপারে এবং কথার শেষে বললাম “ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু”…তখন “please do me this favor/ i’m counting on you” এই টাইপ বুঝায় …

কারো বাসায় ধর আমি বেড়াতে গেলাম..পরিচয় পালা শেষে বললাম “ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু” তখন “please take a good care of me/would you please take care of me?” এই টাইপের অনেক কিছু বুঝাতে পারে…

“ইওরোশিকু ওনেগাই শিমাসু”এর এইরকম আরো অনেক ইউজ আছে…আনিমে দেখতে গেলে টের পাওয়া যায় এইটা কত জায়গায় কত রকম ভাবে ইউজ হয়…মোটামটি মাথায় যেটা কয়টা আসল শিখানোর ট্রাই করলাম …মিনা সান..মাতা নে 🙂

লার্নিং কানজি উইথ বাকারিন সামা – অষ্টদশ পাঠ

**কানজি কানজি কানজি**

আগের দিনের “বড় ভাই” এর কন্টিনিউয়েশনে আজকে “ছোট ভাই” এর কানজি শিখাব ..

এই কানজিটার উচ্চারণ “দাই/তেই/দে/ওতৌতো”

dai tei

বড় ভাইরে বিভিন্ন ভাবে ডাকা গেলেও “ছোট ভাই”রে খালি “ওতৌতো” ( আমার জানামতে ) বলেই ডাকে ..”ওতৌতো” মানে “ছোট ভাই”…. “ওয়াতাশি নো ওতৌতো”-আমার ছোট ভাই ..

এর আগের দিন বলেছিলাম বড় ভাই আর ছোট ভাই এর কানজি পাশাপাশি লিখলে কিওদাই (brothers) বুঝায়….এখানে “দাই” এর জায়গায় এই কানজি বসে ….

“তোতেই” মানে হল “apprentice” …এখানে তেই এর জায়গায় এই কানজি টা বসে …

“দেশি” মানে “disciple/pupil” এখানে “দে” এর জায়গায় এই কানজি টা বসে

“উচু কিওদাই” আনিমে টার নামের মধ্যে এই কানজি টা আছে ….. (আগের দিনও এই আনিমের উদাহরণ দিছিলাম 😛 )

ছোট ভাই এর কানজি নিয়ে আজকে এতটুকুই থাক 🙂 নেক্সট দিন বড় বোনের কানজি নিয়ে হাজির হব
মাতা নে 🙂

স্বপ্নযাত্রা – Shirobako এনিম রিভিউ — মোঃ আসিফুল হক

1

রোজকার মতন ফাইল ঠেলাঠেলি করে আর বসের ঝাড়ি খেয়ে লোকাল বাসে ঝুলতে ঝুলতে কখনও কি মনে হয়েছে “ব্যাস, অনেক হয়েছে; আর না?” মাঝে মাঝে কিছুটা একাকী সময়ে কি মনে হয়েছে এখন যেটা করছেন হয়ত সেটা করার কথা ছিল না কখনও? কিংবা হয়ত সেই সময় এখনও আসে নি; হয়ত এখনও ছাত্রজীবন পার করছেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে কোন একটা সাব্জেক্টে বছর দুয়েক পার করে ফেলেছেন; হটাত করেই কোন এক নির্ঘুম রাতে সোডিয়াম আলোয় ফাঁকা রাস্তায় হাটতে হাটতে মনে হল “এরপর কি?” ভবিষ্যতে আসলে কি করবেন বা কি করতে চান সেই সমন্ধে আপনার পরিষ্কার কোন ধারণাই নেই। হয়ত ক্লাসে ফলাফলের দিক থেকে আপনার অবস্থান ততটা আশাপ্রদ না; খুব চেষ্টা করে যাচ্ছেন ঠিকই, কিন্তু ঠিক যে পরিমাণ ফলাফল আসার কথা তার কিছুই পাচ্ছেন না? সবকিছু ছেড়েছুড়ে দেবার; দু’টো বছর আগে ফিরে যাবার; আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করার প্রবল ইচ্ছেটা মাঝে মাঝেই একগাদা সাঙ্গপাঙ্গ নিয়ে ফেরত আসে সুযোগ পেলেই?

হুম, জীবনের কোন না কোন সময়ে অথবা কিছু কিছু ক্ষেত্রে অনেক সময়েই এইরকম সময়ের মুখোমুখি হই আমরা সবাই। কিন্তু কঠোর বাস্তবতা হল বেশিরভাগ সময়েই এইসব প্রশ্ন বা ইচ্ছের কোন জবাব থাকে না। শুধু নিজের উপর বিশ্বাস ধরে রেখে সামনে আগাতে হয়, পথের শেষটা দেখার জন্য; জীবন সেই পথের শেষে কোন বিস্ময় লুকিয়ে রাখে কি না তা খোঁজার জন্য। ঠিক এমনই একটা থিমকে কেন্দ্র করে দাঁড় করানো এনিম সিরিজ “shirobako”.

 

2

আওই, এমা, সিজুকা, মিসা এবং মিদোরি – হাইস্কুলের এনিমেশন ক্লাবের পাঁচ বান্ধবী স্কুলের ফেস্টিভালের জন্য ছোট্ট একটা এনিমেশন তৈরি করার সময়েই বুঝতে পারে যেভাবেই হোক এনিমের জগতই হবে তাদের ভবিষ্যতের ঠিকানা। সকলে মিলে লক্ষ্যও ঠিক করে ফেলে একটা; একদিন না একদিন তারা একসাথে খুব বড় কিছু একটা সৃষ্টি করবে। কিন্তু তারা যেমনটা ভেবেছিল বাস্তবতা আসলে ততটা সহজ নয়। কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করে সবাই-ই টিকে থাকার সংগ্রাম আর নানা প্রতিকূলতার মুখোমুখি হয় প্রতিদিন। কিন্তু তার পরেও কেউ হাল ছেড়ে দেয় নি। সবাই সবাইকে অবলম্বন করে একটু একটু করে এগিয়ে যায় তাদের স্বপ্নের পথে।

পুরো সিরিজটা মোটামুটি ভাবে আবর্তিত হয়েছে আওইকে ঘিরে, যে তার ক্যারিয়ার শুরু করে বড় একটা এনিম কোম্পানির প্রোডাকশন সেক্টরে। একটা এনিম তৈরি করা বিশাল হ্যাপার কাজ; ডিরেক্টরের স্টোরি বোর্ড ড্রয়িং থেকে শুরু করে এনিমেশন, মোশন, সিজি ইফেক্ট, সাউন্ড ইফেক্ট, ব্যাকগ্রাউন্ড, ভয়েস এক্টিং থেকে ফিনিশিং কিংবা ডেলিভারি – প্রতিটা এপিসোডই এক একটা বিরাট কর্মযজ্ঞ। প্রোডাকশনের দায়িত্ব এই সকল কাজের জন্য আলাদা আলাদা টিমের মাঝে যোগাযোগ করিয়ে দেওয়া, তাদের শিডিউল তৈরি করা, ইন হাউজ প্রোডাকশনে না কুলালে বাইরে থেকে কাজ করিয়ে নেওয়া থেকে শুরু করে যাবতীয় দেখভালের। আওইর পারস্পেক্টিভ থেকে আমরা তাই একটা এনিম তৈরি করতে কি পরিমাণ এফোর্ট এবং টানাপোড়েন চলে তার প্রায় পুরো ছবিটাই স্পষ্ট দেখতে পাই। সেই সাথে ক্রিয়েটিভ লোকজনের পারস্পরিক ইগো ক্ল্যাশ, নিজের সাথে যুদ্ধ, নিজেকে দিন দিন নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সংগ্রাম; স্বপ্ন, আশা; বাস্তবতার সাথে কল্পনার জগতের ব্যালেন্স করার লড়াই – সব কিছুই খুব সুন্দর করে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে সিরিজটায়।

সিরিজটার শক্তির জায়গাগুলোর একটা হল বেশিরভাগ প্রোটাগোনিস্ট চরিত্রই মেয়ে হলেও তাদের কেউই ট্রেডিশনাল এনিম সিরিজের ড্রামাকুইন ক্যারেক্টার না; বরং তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা স্বপ্ন পুরণে তারা সকল সন্দেহ আর প্রতিবন্ধকতার সাথে লড়াই করে যায় নিরন্তর। প্রত্যেকটা চরিত্রই ভীষণ রকম বিলিভেবল, একটু খুজলেই আমাদের আশেপাশেই পাওয়া যাবে এমন লোকজন। এরা প্রত্যেকেই হোঁচট খায়, মাঝে মাঝেই সব কিছু ছেড়ে ছুড়ে দেবার চিন্তা ভর করে মাথায়; এবং সেই চিন্তাগুলো দূরে সরিয়ে আবারও যার যার কাজে নেমে পড়ে।

 

3

কিছু ছোটখাট পয়েন্টঃ
১) রোজার দিন সিরিজটা দেখা খানিকটা কষ্টকর। নাহ; ফ্যানসার্ভিস না; ফ্যানসার্ভিস বলে একটা বস্তু পুরো সিরিজে একেবারেই নাই (থ্যাঙ্ক গুডনেস); বরং কিছুক্ষণ পর পরই কেউ না কেউ কিছু না কিছু মজাদার খাবার খেতে থাকে। :(

২) বিপুল পরিমাণ চরিত্রের উপস্থিতি। আবছা আবছাভাবে সবার নাম আর একজনের সাথে আরেকজনের সম্পর্কগুলো বুঝে উঠতেই আমার ৪-৫ পর্ব লেগে গেছে। এই দিকটার জন্য প্রথম প্রথম সিরিজটার সাথে তাল মিলাতে কষ্ট হতে পারে; কিন্তু একবার এই Phase পার হয়ে গেলেই আসল মজাটা পাওয়া যাবে। :)

৩) ম্যাল এ সিরিজটায় দুটো ট্যাগ দেওয়া; একটা ড্রামা, আরেকটা কমেডি। পুরো সিরিজে কমেডি এসেছে মুলত লোকজনের পারস্পরিক ইন্টারেকশনে, খুব ন্যাচারালি; কোথাও খুব বেশি অতিরঞ্জন নেই; জোর করে হাসানোর চেষ্টাও নেই। তারপরেও হেসেছি, দম ফাটায়েই হেসেছি, খুব দুর্দান্ত কিছু সিচুয়েশনাল কমেডি এবং ওভারঅল সিরিজের লাইট থিমের জন্যই।

সিরিজটার সাউন্ডট্র্যাক অত আহামরি কিছু না; তার কারণ পুরোটাই সংলাপ নির্ভরতা এবং দ্রুতগতি। প্রায় পুরোটা সিরিজেই টেকনিকাল টার্ম এক্সপ্লেনেশন থেকে শুরু করে প্রত্যেকটা সেক্টরের কাজকর্ম, দায়িত্ব ব্যাখ্যা করেছে খুব সুন্দর করে, এবং সেটা সিরিজের ফ্লো-তে কোনরকম বিঘ্ন না ঘটিয়েই।

P.A. Works এর এনিমেশন এবং ডিজাইন, এবং তারা তাদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পেরেছে পুরোপুরিই। প্রত্যেকটা চরিত্রের এক্সপ্রেশন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে দুর্দান্তভাবে; যেটার উপর অনেকটাই সিরিজটার সাফল্য – ব্যার্থতা নির্ভর করছিল।

ছাত্রজীবনের প্রায় শেষ দিকে থাকার দরুণ ব্যাক্তিগত জীবনে আমি নিজেও বেশ খানিকটা ধাঁধার মধ্যে আছি, ভবিষ্যৎ, ক্যারিয়ার, স্বপ্ন, পরিবার – সব কিছু নিয়েই। সে দিক থেকে সিরিজটার সাথে খুব সহজেই নিজেকে রিলেট করতে পেরেছি, উপভোগ করতে পেরেছি, প্রত্যেকটা চরিত্রের স্ট্রাগল দেখে তার মাঝে নিজেকে খুজেছি, তারা কি করে সেখান থেকে উৎরে আসে সেটা দেখেছি আগ্রহভরে, তাদের সাথে তাদের সাফল্যে আমিও হেসেছি। বেশ কিছুদিন ধরেই দুই দিনে ২৪ পর্বের একটা সিরিজ শেষ করা আমার জন্য খুব দুর্লভ, shirobako আমাকে সেই দুর্লভ মুহূর্তের সাথে আবারও দেখা করিয়ে দিয়েছে। :)

I simply loved it !

4

 

Movie Time With Yami – 49

k38pCXNJGTFyADyMSWqOjbXREOs

Name: Summer Days with Coo / Kappa no Coo to Natsuyasumi
Duration: 2 hr. 15 min.
MAL Score: 7.68
Ranked: 1056
Genres: Adventure, Shounen

এদো আমলের জাপান। সভ্যতা তখনও পৃথিবীকে পুরোপুরি দখল করে নিতে পারেনি। পৃথিবীতে মানুষ এবং বনের পশুপাখিরা সহাবস্থান করে শান্তিপূর্ণভাবে। এই আমলেই পৃথিবীতে বাস করত “কাপ্পা” নামের একধরণের প্রাণী। বনের ভেতরের জলাশয় ছিল তাদের বাসস্থান। নির্বিবাদী এ প্রাণীগুলো সবসময় চেষ্টা করত মানুষের নজর এড়িয়ে নিজেদের মত করে বেঁচে থাকতে।এই আমলেই একদিন এক মাতাল সামুরাইয়ের অবিবেচনার শিকার হয়ে মারা যায় একটি কাপ্পা। সামুরাইয়ের হাত থেকে প্রাণ বাঁচিয়ে পালিয়ে যায় তার ছেলে, কিন্তু তখনই হঠাৎ সংঘটিত হওয়া এক ভূমিকম্পের কবলে পড়ে জীবন্ত জীবাশ্মে পরিণত হয় সে।

এরপর কেটে যায় প্রায় ২০০ বছর। পৃথিবীকে গ্রাস করেছে সভ্যতা। বনাঞ্চলকে সরে গিয়ে জায়গা দিয়েছে রাস্তাঘাট, বাড়িঘরকে। এই যুগেরই স্কুলছাত্র কৌইচি। একদিন স্কুল থেকে বাড়িতে ফেরার পথে জীবাশ্মে পরিণত হওয়া কাপ্পাটিকে খুঁজে পায় সে। বাড়িতে এনে জীবাশ্মটিকে পানি দিয়ে পরিষ্কার করতেই আবার প্রাণ ফিরে পায় সেটি। আস্তে আস্তে বিভিন্ন দ্বিধা-দ্বন্দ্ব, ভয়-ঘৃণার অবসান ঘটিয়ে কৌইচির পরিবারের অংশ হয়ে ওঠে সে। কিন্তু বর্তমান পৃথিবীর এত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে কিভাবে নিজের বেঁচে থাকার ব্যবস্থা করবে কাপ্পাটি?

মুভিটির কাহিনী খুব সহজ-সরল, হাসিকান্না, দুঃখ, অভিমান এবং টুকরো টুকরো আনন্দে ভরা, যে কারণে এটি যে কোন সময়ে বসে উপভোগ করা যায়, কিন্তু একইসাথে এতে কিছুটা নৃশংসতার উপস্থিতি রয়েছে, ঐ অল্প কিছু অংশ দেখলে একটু অস্বস্তি লাগতে পারে অনেকের। কিন্তু কাহিনীটি খুবই চমৎকার, মনকে ছুঁয়ে যাওয়ার মত, পেসিং খুবই ভাল, একটুও বোরিং লাগেনি কখনো, প্রতিটা মূহুর্তে “কি হবে, কি হবে” ধরণের একটি উত্তেজনা কাজ করতে থাকে দেখার সময়। ক্যারেক্টার ডিজাইন ডিসেন্ট, কিন্তু ডেভেলপমেন্ট চমৎকার, তাদের কিছুক্ষণের মাঝেই আপন বলে মনে হতে থাকে। আর্টওয়ার্ক এবং ওএসটি মানানসই, কাহিনীটিকে সুন্দরভাবে চোখের সামনে তুলে ধরে।

তাই সময় পেলে দেখে ফেলুন দুই ঘন্টার এ সুন্দর মুভিটি, আর ঘুরে আসুন গ্রীস্মের সেই দিনগুলোতে; ক্যু এবং কৌইচির সাথে!

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Summer-Days-with-Coo

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

আনিমে রিভিউ- ইয়ামাতো নাদেশিকো শিচি হেঙ্গে; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

জনরা- কমেডি, শৌজো
এপিসোড সংখ্যা- ২৫৪ জন সুদর্শন হাইস্কুল ছাত্রের ওপর তাদের ল্যান্ডলেডী দায়িত্ব চাপিয়ে দিলেন, তার অসামাজিক ভাতিজিকে সমাজে চলার উপযোগী এবং আকর্ষণীয় করে গড়ে তুলতে হবে। কাজটা করতে পারলে তাদের জন্য দারুণ পুরস্কার !! কিন্তু কাজটা না করতে পারলে শাস্তি হিসেবে তাদের বাড়িভাড়া বেড়ে হবে তিনগুণ !!

চার তরুণ ভাবল, সুন্দরী ল্যান্ডলেডীর ভাতিজিই তো, কতই বা কঠিন হবে তাকে সামাজিক করে তোলা ? রাজি হয়ে গেল তারা এই প্রস্তাবে।

কিন্তু তারা আসলে স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি, নাকাহারা সুনাকো আসলে কি জিনিস। সুনাকোকে দেখে চোখ কপালে উঠে গেল ওদের। লম্বা চুল দিয়ে মুখ ঢেকে রাখে কেন সে? তার উপস্থিতি এতটা ভৌতিক কেন? তার খেলার সাথীরাও বা এত ভয়ঙ্কর কেন? পুরস্কার পাওয়া তো দূরের কথা, নিজেদের থাকার জায়গা বাঁচানোর চিন্তায় অস্থির হয়ে উঠল চার তরুণ।

এভাবে চার তরুণ এবং ওয়ালফ্লাওয়ার সুনাকোকে ঘিরে এক মজার কাহিনী নিয়ে গড়ে উঠেছে আনিমেটি। একটু পুরানো আনিমে, আর্টওয়ার্ক অবশ্যই এখনকার মত অত উন্নত না, তবে আমার কাছে এ ধরণের আর্টওয়ার্ক কেন যেন ভাল লাগে। কাহিনী এপিসোডিক, তাই ভাবনা চিন্তা ছাড়া দেখতে পেরেছি। আর সুনাকোর “খেলার সাথী” রাও যথেষ্ট মজার !!

আনিমেটি কেন দেখবেন- আপনি কি সারাক্ষণ ঘরে বসে আনিমে দেখার কারণে সৌন্দর্যজনিত সমস্যায় ভুগছেন? কিন্তু সমস্যা সমাধানের জন্য কষ্ট করতে মন চাইছে না? তাহলে এই আনিমেটি দেখা আপনার জন্য আবশ্যক! এর প্রতিটি এপিসোডেই আপনি পাবেন, সৌন্দর্যবর্ধনের টিপস থেকে শুরু করে গৃহ ব্যবস্থাপনা এবং কমন সেন্সের ব্যাপারে মূল্যবান উপদেশ! বিশেষ করে আদর্শ নারী হয়ে উঠতে চাইলে এই অ্যানিমেটি দেখা আবশ্যক!

আমি জানিনা এ ধরণের আনিমে সবার পছন্দ হবে কিনা, তবে আমার মনে হয় একটা এপিসোড ট্রাই করে দেখলে ভালই লাগবে।

Movie Time With Yami – 48

antiqueshop

 

Name: Whisper of the Heart / Mimi wo Sumaseba
Duration: 1 hr. 51 min.
MAL Score: 8.34
Ranked: 202
Genres: Adventure, Drama, Fantasy, Romance, Slice of Life

স্টুডিও জিবলীর বেশিরভাগ মুভিতে যে কমন ব্যাপারটা পাওয়া যায়, তা হল প্রাচীন বনভূমি দিয়ে ঘেরা পৃথিবী এবং জাদুবিদ্যার উপস্থিতি। কিন্তু চোখ ধাঁধানো সেসব মুভি বাদেও এ স্টুডিওর কিছু মুভি আছে, যেগুলো ফোকাস করে আমাদের শহুরে যান্ত্রিক জীবনের ওপর, সেই জীবনের চাওয়া-পাওয়া, আনন্দ-বেদনা, সাফল্য ও ব্যর্থতার গল্পের ওপর। খুঁজে দেখলে আমাদেরই দৈনন্দিন জীবনের কাহিনীর সাথে গল্পগুলোর খুব মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। তেমনই একটি কাহিনী হল মিমি উয়ো সুমাসেবা।

কৈশোর মানুষের জীবনের অত্যন্ত চমৎকার একটি সময়। এই সময়ে তারা পৃথিবীটাকে নতুন করে চিনতে পারে, চেনা পৃথিবীটা হঠাৎ করে অচেনা হয়ে ওঠে। একদিকে থাকে ভবিষ্যতের অনিশ্চয়তা নিয়ে দুশ্চিন্তা, অন্যদিকে নিজের জীবনের সবচেয়ে সুন্দর এবং মূল্যবান স্মৃতিগুলোকে তৈরি করারও সবচেয়ে উপযুক্ত সময় এটি।

সেরকমই একটা বয়স পার করছে সুকিশিমা শিজুকু। সে একজন সাধারণ জাপানি হাইস্কুল বালিকা। জাপানের একটি সাধারণ পরিবারের অংশ সে, যেখানে বাবা-মা দুজনেই নিজেদের কাজ নিয়ে সবসময় ব্যস্ত থাকে, বড় বোনও নিজের ভবিষ্যতের দিকে পা বাড়িয়েছে। শিজুকু নিজের ভবিষ্যত নিয়ে তেমন চিন্তিত নয়, তবে সঠিক পথ কোনটা হতে পারে, তা নিয়ে সংশয়ে আছে সেও।

শিজুকু ভালবাসে বই পড়তে, তাই পাবলিক লাইব্রেরীতে যাওয়া তার নিত্যদিনের অভ্যাস। একদিন লোকাল ট্রেনে চড়ে পাবলিক লাইব্রেরীতে যাওয়ার সময় সে দেখতে পায়, ঠিক তার পাশেই একটি মোটাসোটা স্বাস্থ্যবান বিড়াল বসে আছে। বিড়ালটাকে দেখে শিজুকুর মজা লাগে, তাই সে কোনকিছু চিন্তা না করেই ট্রেন থেকে নামার পর সেটিকে অনুসরণ করতে থাকে। বিড়ালটির পিছু পিছু গিয়ে সে হাজির হয় একটি অ্যান্টিকের দোকানের সামনে, আর এই দোকানের এই ভিজিটটিই শিজুকুকে পরবর্তীতে সাহায্য করে তার নিজের জীবনে এগিয়ে যাওয়ার পথে পা বাড়াতে।

মুভিটির কাহিনী খুব জটিল কিছু না, সাদাসিধে হাসিখুশি দৈনন্দিন জীবনের গল্প, যেন আমাদের কারও কারও কৈশোরকেই তুলে আনে গল্পের মাধ্যমে। উজ্জ্বল আর্টওইয়ার্ক এবং ক্যারেক্টার ডিজাইনে হায়াও মিয়াজাকির কাজের ছাপ স্পষ্ট, হালকা রমকম এবং মানানসই ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মুভিটিকে হালকা মেজাজে উপভোগ করার উপযোগী করে তুলেছে। এন্ডিংটি খুব ভাল লেগেছে আমার কাছে, আর সবচেয়ে ভাল লেগেছে গায়ক “জন ডেনভার” এর “কান্ট্রি রোড” গানটির জাপানি ভার্সনটি, যা মুভিতে কয়েক জায়গায় এবং এন্ডিং সং হিসেবে ব্যাবহৃত হয়েছে।

তাই, হাতে অবসর সময় থাকলে দেখে ফেলুন এই মন ভাল করা মুভিটি, দেখার সময় অন্তত একবার হলেও নষ্টালজিয়াতে ভুগবেন আশা করি!

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Whisper-of-the-Heart

Ending Song Link-
https://youtu.be/ispeh2bW1AQ

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

 

লার্নিং কানজি উইথ বাকারিন সামা – সপ্তদশ পাঠ

**সানজি কানজি গেঞ্জি **

আজকের কানজি “বড় ভাই” এর কানজি…..উচ্চারণ হল “কেই/কিও/আনি/নিই”

বড় ভাই এর জাপানিজ মোটামটি যে কয়টা আছে সেগুলা আগে বলি …(এগুলা সবই সবার জানা থাকার কথা )

ওনিইচান,ওনিইসান,ওনিইসামা,নিইচান,নিইসান,নিইসামা,আনিকি,আনিচান,আনিসান,আনিসামা…আবার অনেক সময় শুধু আনি বা শুধু নিই ও বলে …

এখানে যেসব জায়গায় “আনি/নিই” আছে সবখানে এই কানজি টা বসে…

“কিওদাই” মানে হলে brothers..এখানে “কিও” এর জায়গায় এই কানজি বসে..বড় ভাই আর ছোট ভাই এর কানজি পাশাপাশি বসলে “কিওদাই” বুঝায়..”উচুউ কিওদাই” আনিমে টা নিশ্চয় অনেকে দেখছে…ঐ আনিমে টার নামের মধ্যে এই কানজি টা আছে

“কেইজিসুরু” মানে হল কাউকে বড় ভাই এর মত সন্মান দেয়া …এখানে “কেই” এর জায়গায় এই কানজি টা বসে ..

এই কানজি নিয়ে মোটামোটি এতটূকুই জানি.. নেক্সট দিন “ছোট” ভাই এর কানজি নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ 🙂

আর মনে রাখার সুবিধার জন্য পাশে একটা ছবি দেয়া হল

kei

মাতা নে .. 🙂

Lovely Complex রিভিউ — Maisha Musarrat Ahmed

2

Lovely complex.…আমার অত্যাধিক প্রিয় একটা আনিমে.… পার্সনালি আমি একজন shoujo ফ্যান …সেহেতু এইটা আমার একটু বেশিই ভালো লাগসে। অন্যান্য যে কোনো shoujo আনিমের চেয়ে এটি একটু আলাদা…এখানে কোনো সুপারহিউম্যান সুপারপপুলার হিরো নেই , নেই কোনো অসম্ভব kawaii হিরোইন …খুবই সাধারণ চরিত্রের খুবই সাধারণ কাহিনী ..তবুও সব মিলিয়ে ……বেশ ভালো লাগার মতন . 🙂

তো এই অসাধারণ আনিমেটির প্রধান চরিত্র koizumi Risa আর atsushi Otani. ..যারা উচ্চতার দিক দিয়ে দুই বিপরীত মেরুর ..রিসা যেখানে সাধারণ যেকোন মেয়ের চেয়ে অনেকটাই লম্বা (১৭০ সেমি বা প্রায় ৫ফুট ৭)…ওতানি সেখানে সাধারনের চেয়েও খাটো (১৫৬ সেমি বা ৫ ফুট ১) ..তা সত্ত্বেও চরিত্রের দিক দিয়ে একই রকম হওয়ায় তাদের মাঝে বন্ধুত্ব গড়ে উঠতে বেশী সময় লাগে না। কিন্তু সমস্যার সুত্রপাত হয় তখনই যখন রিসা তার চেয়ে প্রায় আধফুট(!) খাটো ওতানির প্রেমে পড়ে যায় ..তো রিসা কি পারবে ওতানির চোখে নিজেকে ”বন্ধুর চেয়েও বেশী কিছু” হিসেবে তুলে ধরতে??? নাকি dumb headed ওতানির অগোচরেই রয়ে যাবে রিসার ভালবাসা? ????

জানি এখানে অনেকেই আনিমেটি দেখেছেন …কেননা আনিমেটা একটু পুরনো(২০০৭)..তবুও যারা এখনো দেখেননি তারা দেরী না করে দেখে ফেলুন ২৫ পর্বের এই রোমান্টিক কমেডি আনিমেটি। আপনার সময় উপভোগ্য হবে আশা করি।

1

When Marnie Was There রিভিউ — Fatiha Subah

2

হোয়েন মারনি ওয়াস দেয়ার
জানরাঃ মিস্ট্রি, সাইকোলজিক্যাল
ডিউরেশনঃ ১ ঘণ্টা ৪৩ মিনিট
ম্যাল রেটিং: ৮.৪৫
ব্যক্তিগত রেটিং: ৯/১০

স্টুডিও জিব্লির প্রতিটি মুভিই অসাধারণ এবং অনেক জনপ্রিয়। বিখ্যাত ডিরেক্টর হায়াও মিয়াযাকির কল্যাণেই যে এটা সম্ভব হয়েছে তা সবার জানা কথা। কিন্তু এত সব ভালো ভালো মুভির মাঝে স্টুডিও জিব্লির বানানো আমার সবচেয়ে প্রিয় দুটি মুভিরই ডিরেক্টর ছিলেন অন্য কেউ। তাই এই মুভি দুটো নিয়ে আলোচনাও কম হয় এবং অনেকেই মুভি দুটো চিনে না। এর মাঝে একটি হল “হোয়েন মারনি ওয়াস দেয়ার”।

একদিকে হায়াও মিয়াযাকি ডিরেক্টর না অন্যদিকে স্টুডিও জিব্লি তখন অনেক চরাই-উতরাই পার হচ্ছে। স্বাভাবিকভাবেই তাই আমার মুভিটা নিয়ে তেমন একটা প্রত্যাশা ছিল না। শুধু মুভির পোস্টারটা খুব পছন্দ হয়েছিল। অনেকটা হুট করেই দেখে ফেলি মুভিটি। দেখার সময় শুধু একটা কথাই মাথায় ঘুরছিল। কেন এই মুভিটা আরও আগে দেখলাম না!! যদি আরও পরে দেখতাম তো সারাজীবনের একটা আফসোস থেকে যেত।

1

কাহিনীটি আন্না নামের একটি মেয়ের হাত ধরে শুরু যে অ্যানাক্সাইটি অ্যাটাকে ভুগছে। স্কুলে কারো সাথে সে খুব একটা মিশতে পারে না। নিজের প্রতি তার প্রচণ্ড ঘৃণা। তাকে নিয়ে সবসময় দুশ্চিন্তায় থাকে তার মা। কিন্তু কষ্টের বিষয় আন্না একজন দত্তক নেয়া সন্তান। তাই মায়ের এই দুশ্চিন্তা, মমতা কিংবা ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ সবই যেন আন্নার কাছে অর্থহীন ও মিথ্যার বেড়াজালে লুকানো অভিনয় বলে মনে হয়। চুপচাপ, মনমরা আন্নাকে তাই ডাক্তারের পরামর্শে তার মা গ্রামে এক আত্মীয়ের বাসায় পাঠিয়ে দেন গ্রীষ্মের ছুটি কাটাতে। সেখানে গিয়েও সে বিমর্ষ ছিল। না, গ্রামের কোন মানুষের সাথে মিশে সে তার আগের উৎফুল্ল জীবনে ফিরে যায়নি। বরং কিছু ঝামেলাই বাধিয়ে ফেলে। কিন্তু আন্নার জীবন এবং কাহিনী পাল্টে দেয় অন্যকিছু। নিশ্চুপ আর শান্ত সাগরের পাড়ে বসে ছবি আঁকতে গিয়ে আন্না আবিষ্কার করে সাগরের ওপারে রয়েছে এক সুন্দর বাড়ি। বাড়িটি এখন পরিত্যক্ত। কিন্তু শুধু একটি ঘরের জানালায় আলো দেখা যায়। আন্না কল্পনায় বা ঘুমের মাঝে সেই জানালার পাশে একটি সোনালি চুলের মেয়েকে দেখতে পায়। কেমন যেন এক অচেনা অনুভুতি তাকে টানে। এই রহস্যময় বাড়ির এক মেয়ে মারনির সাথে আন্নার বন্ধুত্ব হয়। কিন্তু মারনির পরিচয়ও অনেক রহস্যময়।

কেউ যদি এ পর্যন্ত পড়ে ভেবে থাকেন এটা আমেরিকান কোন ভূতের গল্প তাহলে বড় ভুল করবেন। জানরায় যেমনটা বলা হয়েছে, আনিমেটা সাইকলজিক্যাল। সাথে কিছুটা ফ্যান্টাসি বা সুপারন্যাচারালের মিশেল। আমেরিকান ভূতের গল্প না হলেও গল্পটি ব্রিটিশ লেখক জোয়ান জি. রবিনসনের একই নামের উপন্যাস থেকে নেওয়া। তাই আগেকার আমলের ইংরেজি সংস্কৃতির স্বাদ পাবেন বেশ ভালোই। যারা পুরাতন ইংরেজি গল্প, উপন্যাস বা তখনকার আমলের জীবনাচরণ পছন্দ করেন তাদের মুভিটি ভালো লাগবে বলে আমার ধারণা।

3

মুভিটি পুরোটা দেখে কাহিনী বুঝার পর ভালো লাগাটাই স্বাভাবিক কিন্তু আমার একবারে শুরু থেকেই কাহিনীর ভিতরে না ঢুকতেই অনেক ভালো লাগতে শুরু করেছিল। আমার আবার “ভিজুয়ালি প্লিজিং” আনিমে পেলে আর কিছু লাগে না। মুভিটির অ্যানিমেশন অসম্ভব সুন্দর। দেখলে চোখ জুড়িয়ে যায়। নিরিবিলি গ্রাম, শান্ত প্রকৃতি, পাখির কলকাকলি, সবুজ পাহাড়, তুলোর মত মেঘ আর নীলাকাশ, বালুচর, সাগরের ঢেউ পাড়ে আছড়ে পড়া, সাগরে নৌকা ভাসানো, বিরাট ম্যানশন, পূর্ণিমা রাত কিংবা বৃষ্টি, সোনালি চুলের গাউন পড়া একটি মেয়ে… দৃশ্যগুলো আপনাকে সম্মোহিত করে রাখবে। ছোটবেলায় পড়া রূপকথার বইয়ের ছবিগুলোর মত। সাথে তো বাকগ্রাউন্ড মিউজিক আছেই। আর আন্নার অ্যাডভেঞ্চার গল্পের মাঝে ঢুকিয়ে নিবে। যদিও আমি ধীর গতির দৈনন্দিন জীবনের কাহিনী নিয়ে আনিমে দেখে অভ্যস্ত তারপরেও আমার কাছে কেন জানি শুরুতে গল্পটা বেশ ধীর গতির লাগছিল। কেননা শুরুর আধ ঘণ্টায়ও মুভিটি মূল গল্পে প্রবেশ করে না। অনেক সময় নিয়ে ধীরেসুস্থে আগায়। যারা ধুমধাড়াক্কা মারামারি বা শুধু মাত্র একটা নির্দিষ্ট গল্পের জন্যই আনিমে দেখেন তাদের একটু অধৈর্য লাগার সম্ভবনা আছে শুরুতে। কিন্তু পরে গিয়ে গল্পে বেশ উত্তেজনা আসে। তাই একটু ধৈর্য ধরে অপেক্ষা করলে উপভোগ করতে পারবেন। আর সমাপ্তিটা বেশ হৃদয়গ্রাহী। এখানে একই সাথে দুটি মেয়ের জীবনের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। শেষের দিকে কিছু চমক অপেক্ষা করছে।

মুভিটির একই সাথে যত ভালো দিক রয়েছে তাতে এর আরও বেশি নামডাক বা জনপ্রিয়তা পাওয়া উচিত ছিল। তাই লেখাটি পড়ে যদি আপনার রুচির সাথে মিলে যায় তবে অবশ্যই দেখতে ভুলবেন না “হোয়েন মারনি ওয়াস দেয়ার” বা “ওমোইদে নো মারনি”।

7 8 9 5 6 4

Legend of the Galactic Heroes/Ginga Eiyuu Densetsu(1988-1997) রিভিউ — Fahim Bin Selim

2

লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস/গিঙ্গা এইয়্যু দেনসেতসু(১৯৮৮-১৯৯৭)
Legend of the Galactic Heroes/Ginga Eiyuu Densetsu(1988-1997)

জনরাঃ স্পেস অপেরা, সাই-ফাই, ড্রামা, রোমান্স, মিলিটারী
প্রযোজকঃ আর্টল্যান্ড
মূলঃ ইয়োশিকি তানাকা
পরিচালকঃ নোবুরো ইশিগুরো (স্পেস ব্যাটলশীপ ইয়ামাতো(১৯৭৪))
সেন্সরঃ ভায়োলেন্স মাঝে মাঝে নৃশংস, খুব কম হলেও ন্যুডিটি আছে
মাইঅ্যানিমেলিস্ট রেটিংঃ ৯.০৬(#৮)

বাংলাদেশী এবং নিয়মিত অ্যানিমে দেখাটা গত ৪-৫ বছর থেকে শুরু হলে হয়তো বড় একটা সময় ধরে এই অ্যানিমে সাথে পরিচিতও ছিলেন না। তারপর একদিন মাইঅ্যানিমেলিস্ট-এর “টপ অ্যানিমে” পেজ এ গেলেন। “ফুলমেটাল…হুম, স্টাইন্স;গেট…আচ্ছা, গিন্তামা…হুম, ক্লানাড…, কোড গিয়াস…গি-গিঙ্গা-এ-এই-ইয়া…কী!!?”
নয় বছর, চার সিজন আর ১১০ পর্ব। মাইঅ্যানিমেলিস্ট-এ এত রেটিং, আইএমডিবিতে এত রেটিং(৮.৯)। তবুও এই অ্যানিমে (বাংলাদেশ/বর্তমান অ্যানিমে ফ্যানদের কাছে) এতো কম জনপ্রিয় হওয়ার কারণ কী? অনেক পুরান বলে?

“In every time, in every place, the deeds of men remain the same”
৩৫ শতাব্দী।
স্পেস ক্যালেন্ডার ৭৯৬। ৭৯৬ বছর হয়েছে মানুষ পৃথিবী ত্যাগ করেছে।
প্রায় আট শতাব্দী আগে পৃথিবী ত্যাগ করা মানুষ যে একত্রে সুখে-শান্তিতে বাস করছে তা কিন্তু না। ছায়াপথে ছড়ানো নক্ষত্রগুলোর শ’ শ’ গ্রহে তারা ছড়ানো, আর ভাবাদর্শ দিয়ে দুভাবে বিভক্ত। একদিকে যেমন “ওডিন” গ্রহকে কেন্দ্র করে একনায়কতন্ত্র আর আভিজাত্যের আদলে রাজা আর প্রজার ষ্পষ্ট বিভেদ থাকা “ইম্পেরিয়াল” সাম্রাজ্য। আরেকদিকে শত শত আলোকবর্ষ দূরে তেমন “হাইনেসেনপোলিস”-এ টিকে আছে “ফ্রি প্লানেটস অ্যালায়েন্স” সরকার আর তার জনগণ, সাম্যবাদের ঝান্ডা উড়িয়ে, গনতন্ত্রের ধারক ও বাহক হিসেবে।
আর দেড় শতাব্দী ধরে এই দুই মতবাদের যুদ্ধ চলে আসছে, মহাকাশে। দখলের লড়াই। গনতন্ত্র, না একনায়কতন্ত্র? কোনটা বেছে নিবেন আপনি? সমান অধিকার নাকি প্রজাত্ব? গণতন্ত্র অবশ্যই? আসলেই কী ব্যাপারটা এতো সহজ?

স্পেস ক্যালেন্ডার ৭৯৬। ইম্পেরিয়াল ক্যালেন্ডার ৪৮৭।
ব্যাটল অফ আসতার্তে-তে মুখোমুখি হল ইম্পেরিয়াল আর অ্যালায়েন্স সৈন্যদল।
ইম্পেরিয়াল সৈন্যদের নেতৃত্বে এক যুবক ফ্লিট কমান্ডার; সবকিছু হারানো, প্রতিশোধস্পৃহা যার জ্বালানী আর অনন্যসাধারন নেতৃত্ব যার অস্ত্র – রাইনহার্ড ভন মুসেল। প্রথমবারের মত দেখালো তার ঝলক।
অ্যালায়েন্স এর সৈন্যদের নেতা না হয়েও এই ব্যাটল অফ আসতার্তে-তে প্রথম প্রচারের আলোয় আসলো প্রায় ত্রিশ ছোঁয়া এক অ্যাডমিরাল; মিলিটারিতে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা যার কখনোই ছিলো না, বরং ইতিহাসবেত্তা হওয়ার স্বপ্নদেখা, “মিরাকল ইয়াং” – ইয়াং ওয়েনলী।
তারা একে অপরের সরাসরি মুখোমুখি হল না। কিন্তু এই ব্যাটল অফ আসতার্তে-তে প্রথম বয়ে গেল এক পরিবর্তনের বাতাস। ঝড়ের পূর্ভাভাস নিয়ে।
আর এখান থেকেই তাদের গল্পের শুরু, সমান্তরালে।
তাদের দৈরত্ব্যের গল্প।
তাদের উত্থানের গল্প।
তাদের পতনের গল্প।
তাদের পুনোরুত্থানের গল্প।
রাইনহার্ড আর ওয়েনলী – এই দুই মহাকাশীয় নায়কের কিংবদন্তী।

ইয়োশিকি তানাকার লেখা উপন্যাস সিরিজের গল্প অবলম্বনে বের হওয়া লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর মূল গল্প হল ১১০ পর্বের ওভিএ (আর ডালাপালা ছড়ানো সাইডস্টোরি, প্রিকুয়াল নিয়ে আরো একটা ৫২ পর্বের সিরিজ আর ৫-৬টা মুভি, দেখা আবশ্যকীয় না)। যার চার সিজন, যথাক্রমে ২৬, ২৮, ৩২ ও ২৪ পর্বের এবং যা প্রচারিত হয়েছে যথাক্রমে ১৯৮৮-৮৯, ১৯৯১-৯২, ১৯৯৪-৯৫ ও ১৯৯৬-৯৭ সালে।

প্রতি দুই বছরে গড়ে মাত্র ২৮ পর্ব। লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোসের অ্যানিমেশন তো বেশ উচ্চমানেরই আশা করা যায়, না? এদিকেই আপনি প্রথম আশাহত হবেন। ‘৮০-এর শেষ কিংবা ‘৯০-দশকের অন্যান্য সেরা অ্যানিমের সাথে তুলনা করলে লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস-এর অ্যানিমেশন পিছিয়েই থাকবে। যদিও প্রতি সিজনে ক্রমশ উন্নতি হয়েছে, কিন্তু শুধু আধুনিক অ্যানিমেশনের ভক্ত হলে তা আপনার তৃষ্ণা মেটানোর জন্য হয়তো যথেষ্ট না।

3

সাই-ফাই স্টোরি – রোবট, অটোমেটিক অস্ত্র, স্পেসশীপের অসাধারন অ্যাকশন সীন? আপনি তাও পাবেন না। স্পেসশীপ গুলো খুব সাধারন, যুদ্ধের দৃশ্যগুলো অধিকাংশ সময়ই শূধু মনিটর স্ক্রিনের কিছু ত্রিভুজ আর চতুর্ভুজের “ফর্মেশন”-এই সীমাবদ্ধ।

4

হার্ড সাই-ফাই হিসেবে প্রতিষ্ঠার চেষ্টা জন্য যদি আপনি বৈজ্ঞানিক যুক্তির আতশ-কাঁচের নিচে রাখেন তবুও হতাশ হবেন।
পেসিং? প্রতিটি সিজনই একটি ক্লোজার দিয়ে শেষ হয়, তাই প্রতিটি সিজনের প্রথম পর্বগুলো বেশ ধীর। বিশেষ করে প্রথম সিজনের গল্প ভালোভাবে শুরু হতে, লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর ইউনিভার্স সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা পেতে আপনাকে পার করতে হবে প্রায় ১৩-১৪ টি পর্ব।
লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর পরিচালনাতেও বিশেষ কিছু পাবেন না, অন্তত অন্যান্য “সেরাদের সেরা” অ্যানিমের তুলনায়। অ্যানিমেটোগ্রাফি খুবই সাধারন, মাঝে মাঝে একঘেঁয়ে। পর্বে পর্বে ক্লিফহ্যাঙ্গার নেই, নেই হঠাৎ কোন টুইস্টও। এর গল্পের বাঁক আপনি খুব সহজেই আঁচ করতে পারবেন এবং বেশ আগে থেকেই। অন্যান্য “সেরাদের সেরা” অ্যানিমের তুলনায় এর “মাইনাস পয়েন্ট”-এর সংখ্যা অনেক বেশি।

কিন্তু অন্যান্য যেকোন অ্যানিমের তুলনায়, “যেকোন” অ্যানিমের তুলনায় লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর “প্লাস পয়েন্ট” ও অনেক অনেক বেশি।

এর সবচেয়ে সেরা দিক? এর সংলাপ আর সংগীত। স্পেস অপেরার থেকে যা আশা করা করবেন, ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ, নাটুকে আর দার্শনিক।

5- democracy
6
7

কিন্তু লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস শুধু এখানেই সীমাবদ্ধ না। এই অ্যানিমে আপনাকে যেমন ভাবাবে, তেমন দিবে নির্মল বিনোদনও। সেন্স অফ হিউমার অসাধারন। বাস্তবিক আর সহজাত। অন্যান্য বর্তমান বেশিরভাগ অ্যানিমের মতই জোর করে হাসানোর (অপ)চেষ্টা না।

8
9
10

আবহ সংগীত মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখার মত। মোজার্ট, বেটোফেন, বাখদের ধ্রুপদী যন্ত্রসংগীত যুদ্ধের দৃশ্যগুলোর প্রাণসঞ্চারক।

আর এর আর্ট গুমোট, মধ্যযুগীয় পেইন্টিং এর মত। অ্যানিমেটার “আভিজাত্য”-এর প্রতিকও কি না?

এর সবচেয়ে সেরা দিক? এর চরিত্র। ১১০ পর্বের যেকোন অ্যানিমেতে সর্বোচ্চ কয়জন চরিত্র থাকতে পারে? লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর শুধু গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের সংখ্যাই প্রায় অর্ধশতাধিক। এবং তারা আপনার দেখা, বর্তমান, অতীতের আর সব মানুষের মতই বাস্তব আর ত্রুটিযুক্ত। কোড গিয়াসের মত ওয়ান-ম্যান-শো ও না, ডেথনোটেরর মত টু-ম্যান-শো ও না। হ্যাঁ, রাইনহার্ডের অসাধারণ নেতৃত্ব গুণ আপনাকে মুগ্ধ করতে পারে, আপনি অভিভূত হতে পারেন ওয়েনলী বুদ্ধিদীপ্ত রনকৌশল দেখে। রাইনহার্ড আর ওয়েনলী প্রধান হলেও গল্পে ইউলিয়ান, কিরকিয়াইস, গ্রীনহিল, রয়েন্টাল আর মিত্তারমায়ারদের অবদান আর প্রভাবও প্রবল। সিরিজের প্রথমে পার্শ্বচরিত্র মনে হওয়ারাও পরে বড় কিছুর অংশে জড়িয়ে যাবে। আমাদের নায়কদের পরিবর্তন আসবে, শারীরিকভাবে, মানসিকভাবে, ছয়টি বসন্তব্যাপী, বদল আসবে অন্যান্য চরিত্রদেরও। সিরিজের মাঝখানে যখন কেউ চার-পাঁচ বছর আগের কোন ঘটনার কথা উল্লেখ করবে তখন তা ফ্ল্যাশব্যাক না, আসলেই চার-বছর আগের ঘটা। আপনি তা দেখে এসেছেন, আপনি তার অংশ ছিলেন।
এটা শুধু এই দুজনের ভাবাদর্শগত পার্থক্যের যুদ্ধেরও গল্প না, সমগ্র মানব্জাতিরই যুগ যুগ ধরে চলে আসা যুদ্ধ-বিগ্রহের গল্প। আপনি এই গল্প দেখবেন রাজাদের চোখ থেকে, সরকারের উচ্চতর কর্মকর্তাদের চোখ থেকে, সৈন্যদের চোখ থেকে, সাধারণ মানুষের চোখ থেকে, কু আর অপসংষ্কারে আটকে থাকা গোঁড়াদের চোখ থেকেও। লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস পক্ষপাতবিহীন, মানবিক গল্প।

এর সবচেয়ে সেরা দিক? এর গল্প। যখন বলব অ্যানিমে মাধ্যমেরই সর্বসেরা গল্প, তখন হয়তো বিশ্বাস করতে কষ্ট হবে। মনস্টার, ফুলমেটাল ব্রাদারহুডরা এর থেকে ভালো “অ্যানিমে” হতে পারে, কিন্তু লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস এর গল্পের কাছে তারা হার মানবে। না এটাতে কোন মাথা ঘুরিয়ে দেওয়া কোন কনসেপ্ট নেই, প্রচন্ড প্যাঁচ লাগা কোন রহস্যও নেই – লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস বাস্তব আর সাধারন। সম্ভবত যুদ্ধ আর রাজনীতি নিয়ে টিভিতেই প্রচারিত হওয়া সবচেয়ে বাস্তব এবং সাধারন ফিকশনাল শো। গণতন্ত্র, একনায়কতন্ত্র, অভিজাততন্ত্র, নির্বাচন, সরকার, দূর্নীতি, ধর্মব্যবসা, টেরোরিজম, অভ্যুত্থান, আন্দোলন, গৃহযুদ্ধ, ষড়যন্ত্র – লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস হল সমাজ বই। রাজনীতি/অপরাজনীতির এত ভালো শিক্ষক আর পাবেন না। ইতিহাস আর যুদ্ধ? এতে মানুষ মারা যাবে, অগণিত; সম্ভবত যেকোন অ্যানিমের মধ্যে সংখ্যাটা সবচেয়ে বেশি। যুদ্ধে মারা যাবে, আত্নহত্যায় মারা যাবে, দূর্ঘটনায় মারা যাবে, টেরোরিজমে মারা যাবে, গণহত্যায় মারা যাবে, গুপ্তহত্যায় মারা যাবে।
“Heroes do not neccessarily die heroic deaths” – এই চরম সত্যটাও খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দিয়ে যাবে।
আগেই যেটা বলেছি পর্বে পর্বে ক্লিফহ্যাঙ্গার নেই, টুইস্টও। সময়ে সময়ে বুদ্ধিরখেলাটা শুধু দ্বিমুখীই না – ত্রিমুখী, চতুর্মুখী এমনকি পঞ্চমুখীও। কিন্তু তবুও গল্পের বাঁক আপনি খুব সহজেই আঁচ করতে পারবেন এবং বেশ আগে থেকেই। আর এখানেই এর অসাধারণ গল্পের মহাত্ব্য, আপনি অনিবার্যের অপেক্ষা করবেন্ অসহায়ভাবে। লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস একই সাথে “সাহসী” গল্পও।

এসব কিছুর পরও এই অ্যানিমেটা একটা নির্দির্ষ্ট দর্শকের কাছেই সীমাবদ্ধ কেন? কারণ লেজেন্ড অফ দ্য গ্যালাক্টিক হিরোস হল আমার দেখা সবচেয়ে “ম্যাচুর” অ্যানিমে। রাজনীতি, ইতিহাস আর যুদ্ধবিগ্রহ, যাতে আবার ভালো কোন অ্যাকশন নেই, নায়কদের অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা নেই – তা বেশির ভাগ মানুষের কাপেরই চা না। সংলাপ নির্ভর, কাহিনী নির্ভর, চরিত্র নির্ভর অ্যানিমের ভক্ত না হলে আপনাকে এই অ্যানিমে ১১০ পর্ব ধরে আকর্ষন করতে পারবে না।
কিন্তু আপনি যদি ভালো কিছু দেখতে চান, আসলেই খুব ভালো কিছু দেখতে চান, তাহলে প্রস্তুত হোন। এখন বেশ সস্তা হয়ে যাওয়া “এপিক” শব্দটার আদি ও অকৃত্রিমতার জন্য। ১১০ পর্ব আর ৬ বছর আর পুরো মহাকাশ জুড়ে চলা বিশাআআআআআল এক কাহিনীর জন্য। “কাইজার” রাইনহার্ড আর “মিরাকল” ইয়াং – ছায়াপথের ইতিহাস চিরদিনের জন্য বদলে দেওয়া এই দুই নায়কের ধ্রুপদী, অভিজাত আর মহাকাব্যিক এই কিংবদন্তীর জন্য। অ্যানিমের ইতিহাসের সর্বকালের সর্বসেরা গল্প আপনার জন্য প্রস্তুত।

রেটিংঃ ★★★★★