Hal — মোঃ আসিফুল হক

যা দেখলাম – Hal.

এক ঘন্টার একটা মুভি।

রোবট আর রোমান্স – মেইনলি। কোন একজনের মৃত্যুর পর তার জায়গাটা রোবট নিয়ে নিলে কি হবে না হবে – টাইপ কাহিনী। স্টোরিতে টুইস্ট আছে একটা; স্টোরি বেশি বলতে গেলে সেই টুইস্ট রিভিল করে দেওয়ার চান্স বেশি। সো; বাকিটা দেখে নিলেই বোঝা যাবে।

Hal 1

ভাল লাগার পার্টঃ ছেলে মেয়ে দুইজনই তাদের উইশ রুবিক্স কিউবে লিখে স্ক্র্যাম্বল করে আরেকজনকে দেয়। পছন্দের মানুষের কোন ইচ্ছে পূরণ করতে হলে সল্ভ করতে হবে রুবিক্স কিউব – বোথ ইন্টেলিজেন্ট এন্ড রোমান্টিক – নাইস।

মুভিটা অনেকটাই এই রুবিক্স কিউবের পাজলের মতন। একেবারে শুন্য থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে একটু একটু করে সব কিছু রিভিল করতে থাকে।

সবচেয়ে স্ট্রং দিক – ভিজ্যুয়াল। সিমপ্লি দুর্দান্ত। প্রচুর কালারের ব্যবহার, দারুণ ক্যারেক্টার ডিজাইন – এক মুহূর্তের জন্যও চোখ ফেরানোর জো নেই।

সাউন্ডট্র্যাকও সুন্দর; কাজ চালানোর মতন। ভয়েস এক্টিং বেশ ভাল।

Hal 2

হাল অতীতকে ফিরে পাবার এবং একজন আরেকজনের কাছে আসার রোমান্টিক একটা গল্প; যেটা আমাদেরকে এই মেসেজ দেয় যে প্রিয়জনের খুতগুলো, কিংবা কম আকাঙ্ক্ষিত বিষয়গুলোকে মেনে নেওয়ার মাধ্যমেই প্রকৃত ভালবাসা এবং বোঝাপড়ার সূচনা হয়। ভালবাসা হটাত করেই থেমে যেতে পারে; নির্মমভাবে সমাপ্তি ঘটতে পারে; কিংবা খুব অন্যায়ভাবে দূরত্ব তৈরি হতে পারে; কিন্তু সেই জিনিসগুলো মেনে নিয়েই প্রিয় মুহূর্তগুলোকে সাথে করে নির্মম বাস্তবতাকে মুখোমুখি ফেইস করাটাই সেই ভালবাসার সার্থকতা।

হাতে ঘন্টাখানেক সময় থাকলে বসে যেতে পারেন দেখতে; সময়টা খারাপ কাটবে না আশা করি।

হ্যাপি এনিমিং !

Hal 3

Movie Time With Yami – 54

Name: Psycho-Pass Movie
Duration: 1 hr. 53 min.
MAL Score: 8.41
Ranked: 348
Genres: Action, Sci-Fi, Police

শুরুতেই বলে রাখি, আমি এই রিভিউটাতে কিছুটা ভেতরের স্টোরি আলোচনা করেছি, কাজেই মুভি দেখা না থাকলে আগে দেখে নেয়াটা ভাল হবে বোধকরি।

সাল, ২১১৬। জাপানে আধিপত্য চলছে সিবিল সিস্টেমের। এই সিস্টেমের অধীনে পুরো দেশটিতে শান্তি, সমৃদ্ধি ও শৃঙ্খলা বজায় রয়েছে, যেখানে বাকি পৃথিবীর বেশিরভাগটাই ছেয়ে আছে অশান্তি ও যুদ্ধ-বিগ্রহ দিয়ে।

এমনই এক যুদ্ধ কবলিত এলাকা সাউথ ইস্ট এশিয়া ইউনিয়ন। তাদের এলাকায় যুদ্ধ মাত্রই শেষ হয়েছে। কিন্তু তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বারবার ব্যর্থ হচ্ছে তাদের প্রশাসন। তাই, দ্রুততম উপায়ে দেশটির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য দেশটির প্রশাসন শরণাপন্ন হয় সিবিল সিস্টেমের। পরীক্ষামূলকভাবে সিবিলকে পাঠানো হয় জাপানের বাইরে, যেখানে গড়ে তোলা হচ্ছে শাম্বালা- এক ভাসমান নগরী, যেখানে যুদ্ধ-বিগ্রহের চিহ্ন নেই, আছে শুধু সিবিলের অনুমোদিত শান্তিপ্রিয় ও কর্মঠ মানুষ।

কিন্তু এদের সাথে শিনিয়া কৌগামির সম্পর্ক কি? সে কেন এই SEAUn এ সন্ত্রাসীদের সাথে যোগ দিয়েছে? জাপান থেকে তদন্ত করতে SEAUn এ আসে ইন্সপেক্টর সুনেমোরি আকানে। অবশেষে কি জানতে পারা যাবে নিরূদ্দেশ হয়ে যাওয়া শিনিয়া কৌগামির আসল উদ্দেশ্য?

মুভিটি সাইকো পাস নামক বিখ্যাত অ্যানিমেটির সিক্যুয়াল, আর্টওয়ার্ক, ক্যারেক্টার ডিজাইন সবকিছুই আগের মতই আছে প্রায় (যদিও শিনিয়া কৌগামির সিক্সপ্যাক দেখে খুব একটা ভাল লাগেনি আমার)। ওএসটি আগের মতই অসাধারণ, লিং তোশিতে র করা ওপেনিংটা খুব আহামরি না লাগলেও যথেষ্ট ভাল, সেইসাথে ফ্ল্যাশি ভিজুয়াল একে আরও আকর্ষণীয় করেছে। এন্ডিং থিম হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে সাইকো পাস সিজন ১ থেকে আমার অতিরিক্ত পছন্দের একটি গান, ইগোইস্ট এর করা “নামায়ে নো নাই কাইবুতসু”। মুভিতে মেকার পরিমাণ অনেক বেশি ছিল, ক্ষেত্রবিশেষে সেটা মেনে নিতে একটু কষ্টই হচ্ছিল, তবে হ্যান্ড টু হ্যান্ড কমব্যাটগুলো ভাল ছিল। SEAUn এর পরিবেশ দেখে আমার বারবার টেম্পল রান গেমটির কথা মনে পড়ছিল (:v), বেশ ইন্টারেস্টিং লেগেছে তাই! কাহিনী সাইকো পাসের আগের দুটো সিজনের মতই, সিবিলের কার্যকারিতার দিকে ছুড়ে দেয়া প্রশ্ন এবং আকানে সুনেমোরির মানসিক যুদ্ধ। আর সেইসাথে বোনাস ছিল নিকোলাস ওয়াং এর কণ্ঠে হিরোশি কামিয়ারকে পাওয়া!

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Psycho-Pass-Movie

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Caster [Fate/Zero] — Shifat Mohiuddin

¤
চরিত্র: Caster
এনিম: ফেইট/জিরো
ভূমিকা: খলনায়ক
¤
আসল নাম: Gilles de Rais
জাতীয়তা: ফ্রেন্ঞ্চ
উপাধি: মার্শাল,ব্যারন,ডিউক অব ব্রিটানি
জন্ম: সেপ্টেম্বর,১৪০৫
মৃত্যু: ২৬ অক্টোবর,১৪৪০
মৃত্যুর ধরন: মৃত্যুদন্ড
¤
আমরা অনেকেই ফেইট জিরো এনিমেতে অদ্ভুত চেহারা এবং খনখনে কন্ঠস্বর বিশিষ্ট চরিত্র ক্যাস্টারের কাজকর্ম দেখে আতঙ্কিত হয়েছি।শিশুহত্যায় পারদর্শি এই চরিত্রটি ইতিহাসের একটি বাস্তব চরিত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত।যদিও তিনি আরতুরিয়া,ইস্কান্দর এবং গিলগামেশের মত সুপরিচিত নন এবং তার আসল নাম খুব কমই উল্লেখ করা হয়েছে।এনিমেতে তাকে অনেক আন্ডারএস্টিমেট করা হলেও বৈচিত্রের দিক দিয়ে তার জীবন অন্যান্য হিরোয়িক স্পিরিটদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
¤
গিলাস ডি রেইস ছিলেন একাধারে একজন বীর নাইট এবং অত্যন্ত ধনী একজন জমিদার।তিনি তার পিতামহ কর্তৃক লালিত হন এবং তার বিশাল সম্পত্তির মালিক হন।তিনি ছিলেন ফ্রান্সের ব্রিটানি প্রদেশের জমিদার।পরবর্তিতে তিনি বিয়ের মাধ্যমে তার সম্পত্তি আরো বৃদ্ধি করেন।তিনি Anjou এবং Poito প্রদেশের জমিদারিত্বও লাভ করেন।
¤
গিলাস ফেন্ঞ্চ সেনাবাহিনীতে ১৪২৭ থেকে ১৪৩৫ পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে সংগঠিত হওয়া শতবর্ষী যুদ্ধে তিনি জোয়ান অফ আর্কের সাথে যুদ্ধ করেন।যুদ্ধে বীরত্বসূচক অবদানের জন্য মার্শাল অফ ফ্রান্স উপাধি লাভ করেন।
¤
১৪৩১ সালে যখন জোয়ান অফ আর্ককে খুঁটিতে অগ্নিদগ্দ্ধ করা হয় তখন তিনি সেখানে উপস্হিত ছিলেন না।এই ব্যাপারে মনে হয় গিলাসের মনে অনেক আফসোস ছিল।ফেইট জিরো এনিমেতে জোয়ানের[আরতুরিয়ার]প্রতি তার দুর্বলতা দেখে বিষয়টা বোঝা যায়।
¤
১৪৩৫ সালে গিলাস সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।তিনি একটি বিলাসবহুল বৃহৎ গির্জা নির্মানে হাত দেন।নির্মানকাজের অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি তার সব সম্পত্তি বিক্রি শুরু করেন।কিন্তু ক্যাথলিক কর্তৃপক্ষ গিলাসের আত্নীয়দের অনুরোধে তার এই গনহারে সম্পত্তি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এতে গিলাস গির্জা কর্তৃপক্ষের উপর অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হন।
¤
১৪৩৮ সালে গিলাস অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য আলকেমি এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।কথিত আছে তিনি নাকি ব্যারন নামের একটি আত্নাকে নিজের অধীনে আনতে চেয়েছিলেন।
¤
১৪৩২ সালে গিলাসের বিপক্ষে প্রথম শিশুহত্যার অভিযোগ আনা হয়।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গিলাসের বিপক্ষে ট্রায়াল গঠন করা হয়।ট্রায়ালে গিলাসের বিপক্ষে তিনটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।তার বিরুদ্ধে ১৪০ জন শিশুহত্যার প্রমান পেশ করা হয়।অনেকের মতে নাকি হত্যাকান্ডের সংখ্যা নাকি ৬০০ এর উপরে!হত্যাকান্ডগুলো ১৪৩২ থেকে ১৪৪০ সালের মধ্যে সংগঠিত হয়।১৪৩৭ সালে গিলাসের এক আস্তানা থেকে ৩৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।গিলাস তার চাকরদের সাহায্যে গ্রামান্ঞ্চল থেকে তার শিকারদের সংগ্রহ করতেন।তার ভিকটিমদের বয়স ছিলো ছয় থেকে আঠারো বছরের মধ্যে।মূলত ছেলে শিশুরাই তার মূল আকর্ষন ছিল।হত্যাকান্ডগুলোর বর্ননা অত্যন্ত নৃশংস বলে আমি বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছি।যারা ফেইট জিরো দেখেছন তারা বিষয়টি ভালো বুঝতে পারবেন।
¤
গিলাস জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে[পড়ুন রিমান্ডে] তার সকল অপরাধ স্বীকার করেন।তার এক বিশ্বস্ত চাকর হত্যাকান্ডের কৌশল এবং পদ্ধতি বর্ননা করে।গুরুতর অপরাধের সাজা হিসেবে গীর্জা গিলাস এবং তার দুই চাকরকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।২৬ অক্টোবর,১৪৪০ সালে গিলাস ডি রেইসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
¤
মজার ব্যাপার যে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে গিলাস নির্দোষ এবং সবকিছুই গীর্জার কারসাজি।সর্বোপরি বলা যায়,গিলাস ডি রেইস ছিলেন একজন জ্বাজল্যমান বীর যোদ্ধা,কিন্তু তিনি পতিত হলেন পাপের অন্ধকার গহ্বরে।
¤
আরেকটা ব্যাপার হলো এত নিষিদ্ধ কাজ করার পরেও গিলাস পুরোপুরি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন।এই ব্যাপারটি ফেইট জিরোতে গিলাসের প্রতি ঈশ্বরের প্রত্যাখানের বিষয়টি ব্যাখা করে।
¤
অনেকে গিলাসকে বিখ্যাত লোককথা ‘Bluebeard’ এর উৎস মনে করে।এজন্যই বোধহয় গিলাস তার মাস্টার রিয়োনসকিকে গিলাসকে ব্লুবিয়ার্ড সম্বোধনে ডাকতে বলে।
¤
পোস্টটা অনেক বড় তাই অনেকে বিরক্ত হবেন।তবে আশা করি সকলেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Fate Zero - Caster

Another [এনিমে রিভিউ] — Maruf D. Raihan

15 Another

Another

জেনরা: থ্রিলার,রহস্য,সামান্য হরর,ট্রাজেডি,স্কুল
এপিসোড সংখ্যা: ১২+১(এক্সট্রা)
স্টুডিও: পি.এ.ওয়ার্কস
নভেল ও মানগা রচয়িতা : ইয়ুকিতো আয়াতসুজি
এনিমে পরিচালনা : সুতোমু মিজোশিমা

MyAnimelist Point : ৭.৯৭
ব্যক্তিগত রেটিং : ৭.৭৫

‘Have you heard the story of a girl named Misaki of class 3 who died in an accident? ‘
খানিকটা এরকম একটা প্রশ্ন(মৃদু গলায়),একটি পুরোনো ক্লাসরুম, মৃত্যুপুরীর ন্যায় একটি স্কুল প্রাংগন-
এভাবে যদি কোন এনিমে শুরু হয় তবে কেমন অনূভুতি হয় তা জানতে চান?? জানতে হলে অল্প সময় বের করে দেখে ফেলুন ‘Another’ নামের এই অন্যরকম এনিমেটি।

গল্প খুবই ক্ষুদ্র এবং প্লট সীমিত হলেও রোমাঞ্চ ও উত্তেজনাময় কিছু ঘটনাবলি এনিমেটাকে খুবই আকর্ষণীয় করে তুলেছে। তবুও গল্পের অল্প ইংগিত দেওয়াই যাক। নাহলে রিভিউ টা প্রশংসা-নিন্দা সর্বস্ব এক রচনা হয়ে দাড়াবে।

ইয়োমিয়ামা নর্থ মিডল স্কুলের এক অস্বাভাবিক ঘটনাচক্র ও তার পরিণতিই কাহিনীর ক্ষেত্র। ব্যাপারটা প্রথম প্রথম ভৌতিক মনে হলেও গল্পের মূল প্রতিপাদ্য ১৯৭২ এর এক অভিশাপ। আর সেই অভিশাপ এর প্রভাব ও কি হয়েছিল এই অভিশাপের কারনে, তা জানতে হলে এনিমে টা দেখতেই হবে।।

সুতরাং,যারা অতিমাত্রায় যুক্তিবিদ এবং অশরীরী ধারণায় বিশ্বাসী নন, তাদের এনিমে টা ভাল লাগবে কি না তা অনিশ্চিত।

উল্লেখযোগ্য চরিত্র বলতে দুইজনের কথা বলা যেতে পারে। দুই প্রোটাগোনিস্ট কোউচি সাকাকিবারা ও মিসাকি মেই। অর্থাৎ,গল্পের ধাচ ভালো হলেও আয়তন সংকীর্ণ হওয়ায় ক্যারেকটার ডেভেলপমেন্ট এর আলোচনা এখানে অবান্তর। মাঝের দিকের কতগুলো (৩-৪ টি) এপিসোড বোরিং লাগলেও শেষের দিকের এপিসোডগুলো আপনার ও কম্পিউটার মনিটরের দূরত্ব কমিয়ে আনবে তা অনেকটা নিশ্চিত।

পি.এ.ওয়ার্কস এর ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড এর কাজ যথেষ্ট সার্থকতার দাবিদার। যখন যেমন পরিবেশ ও দৃশ্য, ঠিক তার উপযোগী ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক দাড় করানো বেশ কঠিন। খুবই কম এনিমের মাঝে এমনটা দেখা যায়।
এনিমেটার ১ম এপিসোড দেখার সময় ওপেনিং সং টা শুনে অনেকেই একে ‘পিউর হরর’ টাইপ মনে করতে পারে। কিন্ত এনিমেটা পুরো দেখলে আপনি নিজেই এর প্রকৃতি নিরূপণ করতে পারবেন।

ওপেনিং –
https://www.youtube.com/watch?v=mbMp3YERJ2k

পরিশেষে, এনিমেটা দীর্ঘসময় যে আপনার মনে রেখাপাত করে থাকবে সে ব্যপারে আমি নিজেই সন্দিহান। তবে এনিমেটা দেখার সময় আপনার উত্তেজনা ও রক্তচাপ কিছুটা হলেও বাড়বে বলে আশা করা যায়।

আর এই এনিমেটার উইকি বা কোন ওয়েবসাইট ঘাটতে যাবেন না,অধিকাংশ ওয়েবসাইট এ স্পয়লার দেওয়া হয়েছে। তাই সময় নষ্ট না করে চলে যান সরাসরি এনিমে তে।

লার্নিং কানজি উইথ বাকারিন সামা – একবিংশতম পাঠ

**কানজি কানজি কানজি**

আজকের কানজি “wife” এর কানজি… এটার উচ্চারণ হল “সাই/তসুমা/জুমা”…

tsuma

“তসুমা” মানে “wife”..”তসুমা ও আইশতেরু-i love my wife”…

“আই সাই-beloved wife”..”সাইশি-wife and children” (এখানে wife এর কানজি আর children এর কানজি পাশাপাশি বসে)

উপরের উদাহরণে “সাই” এর জায়গায় এই কানজি টা বসে…

“হিতোযুমা-married women”….”ইনাযুমা-lighting”….এইখানে “যুমা” এর জায়গায় এই কানজি টা বসে …..

এই কানজি টা দেখতে খুবই বিদঘুটে ….কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল কইর/কইরেন সবাই…উপরে একটু হাবিজাবি দিয়ে নিচের অংশ টা কিন্তু “ওন্না”র (女)কানজি…

আজকে এই টুকুই ..মাতা নে

”জাপানিজ শিখুন,জীবন গড়ে তুলুন” – ৪৩ তম পার্ট By অরিন শারমিন

আজকে শিখাব “Japanese onomatopoeia”

ওনোমাতোপিয়া খুবই মজার একটা জিনিস.. জাপানিজরা দৈনন্দিন জীবনের কথাবার্তায় অনেক অনেক ওনোমাতোপিয়া ব্যবহার করে..এই গ্রুপে আমরা যারা আনিমে দেখি তারাও অনেকে জান্তে/অজান্তে অনেক ওনোমাতোপিয়া শিখে থাকার কথা … আজকে কিছু ওনোমাতোপিয়া কিছু উদাহরণ দিয়ে একটু ডিটেইলস শিখান হবে..

১মে আসি ওনোমাতোপিয়া কি জিনিস?

ওনোমাতোপিয়া হল “sound symbolic word/mimetic word”..সরাসরি কোন কিছুর শব্দ(sound) নকল করে কিনবা কোন পরিস্থিতি,কাজ,অনুভূতি,অবস্থা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত শব্দ(sound) অনুকরণ করে যে সকল শব্দ(word) ব্যবহার করা হয় সেগুলিই হল ওনোমাতোপিয়া..যেমনঃ দোকি দোকি,নিয়ান নিয়ান,উকিউকি ইত্যাদি..

জাপানিজে সাধারনত ২ ধরনের ওনোমাতোপিয়া আছে…

১.গিওনগো ২.গিতাইগো

১.গিওনগো
যে সব ওয়ার্ড কোন কিছুর (ব্যক্তি/বস্তু/প্রানী ইত্যাদি) সাউন্ড সরাসরি নকল করে হল সেগুলাগিওনগো…যে সব জিনিস সাউন্ড করতে পারে/করে সেগুলির সাউন্ড নকল করে গিওনগো ….গিওনগো সাধারণত কাতাকানা দিয়ে লিখে ..

এবার গিওনগোর কিছু উদাহরণ দেই..

নিয়ান নিয়ান/নিয়ানিয়া-বিড়ালের ডাক অনুকরণ করে এই শব্দ টা এসেছে

কেরোকেরো-ব্যাঙ  এর ডাক

বানবান-এটা আসছে bang bang থেকে (বন্দুক দিয়ে গুলি মারার শব্দ)

কন কন-এটা knock knock থেকে (দরজা নক করার শব্দ)

জাআজাআ-অনেক জোরে বৃষ্টি পড়ার শব্দ থেকে আসছে…এটা একটা সেন্টেন্সের মাধ্যমে বুঝাই..

“আমে গা জাআজাআ ফুত্তেইমাইসু”(/জাআজাআ ফুত্তেইমাসু)-It’s raining heavily/it’s raining cats and dogs

পোতসুপোতসু-আস্তে আস্তে বৃষ্টি পড়ার শব্দ থেকে

পোতসুপোতসু ফুত্তেইমাসু-It’s raining softly

সবশেষে আসি যেটা আমাদের সবার প্রিয় সেটাতে 😛 দোকি দোকি…হার্টবিটের সাউন্ড অনুকরণ করে এই শব্দ টা আসছে…

আনাতা নো তামেনি ওয়াতাশি নো কোকোরো গা দোকি দোকি সুরু-for you my heart beats so fast

২.গিতাইগো
গিতাইগো সরাসরি যে সব জিনিস সাউন্ড করে তা নকল করে না.. কোন পরিস্থিতি,কাজ,অনুভূতি,অবস্থা ইত্যাদির সাথে সম্পর্কিত শব্দ(sound) অনুকরণ করে যে সকল শব্দ(word) ব্যবহার করা হয় সেগুলিই হল গিতাইগো…গিতাইগো সাধারণত হিরাগানা দিয়ে লিখা হয়.. কিছু উদাহরণ দিলে ক্লিয়ার হবে..

ওয়াকুওয়াকু/উকিউকি- এই শব্দ টা excitement,happiness এগুলার অবস্থা বুঝায়.. কেউ যদি কোন কিছু নিয়ে খুব খুশি থাকে বা কোন কিছুর জন্য খুবই এক্সাইটেড থাকে তখন অনেকে বলে.. “ওয়াকু ওয়াকু সুরু/উকিউকি সুরু”.. এর মানে হল I’m very excited..

পেকোপেকো-খুদা লাগলে অনেকে বলে “ওনাকা পেকো পেকো”…এর মানে হল I’m very hungry…

গুগু-এটাও খুদা লাগার সাথে সম্পর্কিত … খুদা লাগলে পেটের মধ্যে শব্দ হয় ঐখান থেকে এটা আসছে..”ওনাকা গা গুগুইত্তে মিন্না নো মাএনি ইত্তে হাজুকাশিকাত্তা”..এর মানে হল “I was so embarrassed in front of evrybody because of my stomach grumbling ”

পাকুপাকু-অনেক বেশি খুদা লাগলে অনেকে বলে “পাকুপাকু তাবেরু”-eat enthusiastically and quickly.. (বাংলা করলে হয় সমানে সব খাইয়া ফেলামু 😛 )

কিরাকিরা/গিরাগিরা/পিকাপিকা-sparkle,shine,glitter….এগুলা বুঝায় এই শব্দ টা দিয়ে.. “হোশি গা কিরাকিরা দেসু”-star is shining

ইরাইরা/মুকামুকা-angry,impatient,irritated এই অবস্থাগুলা বুঝায়..”ইরাইরা সুরু”-i’m very angry..

বুইয়োবুইয়ো-অনেক বেশি মোটা হয়ে গেলে বা চর্বি জমলে অনেকে বলে “বুইয়োবুইয়ো নি নাত্তেশিমাশিতা”-I’ve become very fat

আতসুআতসু-super hot…”কোরে আতসু আতসু দাকারা কিওতসুকেতে নে”-this is super hot.. so be careful..

তোরোতোরো-melty state..”কোনো তোরোতোরো চিজু ঐশিই”-this melting cheese is very tasty..

আরো কিছু আছে যেমন নিকোনিকো-smiling face, নিইয়া নিইয়া-smirking/ grinning face,গেরাগেরা-laughing very much,শিকুশিকু-crying/weeping,পিওনপিওন-jumping state,মোরিমোরি-state of swelling ..ইত্যাদি ইত্যাদি….

এরকম আরো অনেক শত শত ওনোমাতোপিয়া জাপানিজরা রেগুলার কনভারসেশনে ব্যবহার করে… মোটামোতি যেগুলা পারি শিখালাম ভবিষ্যতে আরো কিছু শিখলে শিখানর ট্রাই করব…আজকে এ পর্যন্তই..মাতা নে 🙂

শিকড়ের সন্ধানেঃ পর্ব ৬

SS 6

Movie: The Wind Rises: Background Discussion!

আকাশ ছোঁয়ার প্রয়াস দুর্ধর্ষ, ভয়ংকর সুন্দর; ডানা মেলে দিয়ে বিস্তীর্ণ শুন্যপথে উড়ে বেড়ানোর প্রত্যাশা অলৌকিকতা আর লৌকিকতার মাঝে মেলবন্ধন জুড়ে দেওয়া একটা অতি আকাঙ্ক্ষিত স্বপ্ন। কিন্তু ঝড়ো হাওয়ায় যদি মুহূর্তে ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায় ডানাগুলো, তখন ফরাসি সাহিত্যিক পল ভেলারির মত বলতে হয়ঃ ‘The wind is rising! We must try to live on’.

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে জাপানিজ ইমপেরিয়াল নেভি আকাশযুদ্ধে শুভ সূচনা করেছিল, সৃষ্টি করেছিল ত্রাস, বোমারু বিমান দিয়ে নয়, দূর্দান্ত কিছু ক্যারিয়ার ফাইটার প্লেন দিয়ে। জাপানিজ পাইলটরা এই অভিনব ডিজাইনের প্লেনের নাম দিয়েছিল ‘রেইসান’ (জিরো ফাইটার)। Maneuverability আর লং-রেঞ্জ এর কম্বিনেশনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রথমদিকে পুরো বিশ্বের সেরা ফাইটার হিসাবে নাম ছড়িয়ে পড়েছিল এই জিরো ফাইটারের, একে ডগফাইটের (বিমান-বিমান যুদ্ধ, ১৯৭০-৮০ পর্যন্ত অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ব্যাপার ছিল একটা) লিজেন্ড হিসাবে চিহ্নিত করা হচ্ছিল। তবে ধীরে ধীরে ইউরোপ-আমেরিকা আরো উন্নত এবং ভয়ংকর ফাইটার প্ল্যান বানিয়ে ফেলে যুদ্ধ শেষের আগেই। যাইহোক, এই প্লেন বানিয়েছিল মিটসুবিশি হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ, আর মূল উদ্ভাবক ছিলেন লিজেন্ডারি জাপানিজ এরোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জিরো হোরিকোশি। তার জীবন নিয়েই কিংবদন্তী নির্মাতা হায়াও মিয়াজাকি নির্মাণ করেন তার স্বঘোষিত শেষ চলচ্চিত্র এনিমেশন মুভি, ‘দ্যা উইন্ড রাইজেস’।

তবে এক্ষেত্রে মজার ব্যাপার হলো মুভিতে জিরো’র জীবনকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে অনেক কাল্পনিক প্রেক্ষাপটের মধ্য দিয়ে। কয়েকটা বিরাট পার্থক্যের কথা বলতে গেলে, বাস্তবের জিরো কিন্তু ছোটবেলা থেকে এয়ারক্রাফট নিয়ে ফেসিনেটেড ছিলেন এমন কোন নজির নেই, মূলতঃ তিনি ভার্সিটি পড়ুয়া অবস্থায় তার বড় ভাইয়ের এক এরোনটিক্স প্রফেসর বন্ধুর সংস্পর্শে এসে অনুপ্রাণিত হন এই ব্যাপারে। হুম বড় ভাই কিন্তু, তার কোন ছোট বোন ছিল না। তিনি ইউরোপীয় এয়ারক্রাফট ম্যাগাজিনের পোকা ছিলেন সত্য; কিন্তু তার সাক্ষাৎকার, আত্মজীবনী কিংবা অন্য কোনখানে ইতালীয়ান এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনিয়ার জিওভান্নি ক্যাপ্রোনির উল্লেখ ছিল না, ছিল না ম্যাকারেল বোনের কীর্তি! আর সবথেকে বড় কথা, মুভির মূল হিরোইনের বাস্তব অস্তিত্ব সম্পূর্ণ ভিন্ন। তারপর, বাস্তব জীবনে অন্যান্য জিনিয়াসের মতই জিরোও ছিলেন কিছুটা সমাজবিমুখ, কিন্তু হ্যাঁ, তিনি কখনোই চাননি তার উদ্ভাবন মানুষ মারার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার হোক।(যদিও এ ব্যাপারে অনেক কিছু বলার আছে, এখানে বলতে চাই না)। ১৯২৩ এর ভয়ানক ভূমিকম্পের যে দৃশ্যটা আছে সেটা মুভির সবথেকে আবেগ-জাগানীয়া দৃশ্য সম্ভবত, কিন্তু জিরো নিজে এই ভূমিকম্পের প্রত্যক্ষদর্শী ছিলেন এমনটাও কোথাও রেফারেন্স নেই।
মুভিতে জিওভান্নির উল্লেখের পিছনে কাজ করেছে মিয়াজাকির নিজস্ব ফ্যাসিনেশন, বিমানের প্রতি, বিশেষ করে ইটালীয়ান এয়ারক্রাফটের প্রতি (যেমনঃ Porco Rosso)। ‘Ghibli’ নামটাও এসেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে সাহারার স্কাউটিং প্লেনগুলোর ইটালীয়ান নাম থেকে। আর বড় ভাইয়ের জায়গায় ছোটবোন দেবার কারণও বোধহয় নির্মাতার ব্যক্তিগত দর্শনের সাথে সম্পর্কিত। তার অনেক মুভিতেই থাকে শক্তিশালী নারী চরিত্র (প্রিন্সেস মনোনকে, স্পিরিটেড এওয়ে), এক্ষেত্রে এর একটা প্রভাব থাকতে পারে। (যদিও এই চরিত্র অতটা প্রভাবশালী নয়)

মিয়াজাকির নিজস্ব ইনোভেশনের পাশাপাশি এই মুভিতে রয়েছে ‘হরি তাতসুও’ নির্মিত ‘দ্যা উইন্ড হ্যাজ রাইজেন’ শীর্ষক উপন্যাসের প্রভাব। মিয়াজাকি নিজেও এক টিভি শোতে বলেছেন ‘নাওয়াকো’ চরিত্রটি উক্ত উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র সেটসুকোর আলোকে তৈরীর কথা। আরো একটা ব্যাপার হলো এই নোবেলে ব্যবহৃত মেটাফোর ‘A mackerel sky’ থেকে হয়ত মুভিতে জিরোর মেকারিল পছন্দের ব্যপারটাও এসেছে।
যাইহোক, মুভিটা কালজয়ী নির্মাতা হায়াও মিয়াজাকির সম্ভবত সর্বশেষ উপহার; অনেক ইন্সপায়ারিং, অনেক ইন্টারেস্টিং একটি সৃষ্টি। সবার জন্য ‘অবশ্যই দেখা উচিত’ ক্যাটেগরীতে থাকবে নিশ্চিতভাবে।

Imawa no Kuni no Alice [Alice in Borderland]: Mini Review / Anime Recommendation — Tahsin Faruque Aninda

Alice in Borderland

Alice/Arisu আর তার দুই বন্ধু একদিন বসে বসে আড্ডা দিচ্ছিল, এমন অবস্থায় হঠাত এক “দুর্ঘটনায়” তারা অন্য এক দুনিয়ায় চলে আসে। প্রথম দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছিল তারা জনহীন এক এলাকায় আছে, যেখানে দোকানপাট আছে, সেখানে গরম গরম খাবারও আছে, অথচ মানুষ নাই। বাস্তব জীবনের উপর বিরক্ত হওয়া এই তিন বন্ধু এমন অদ্ভুত জায়গায় চলে এসে প্রথম প্রথম বেশ আনন্দেই সময় কাটায়, কিন্তু কিছু সময় পরেই বুঝতে পারে তারা এক ভয়াবহ জায়গায় চলে এসেছে। বেঁচে থাকতে হলে তাদেরকে হরহামেশাই খেলতে হবে বিভিন্ন রকমের খেলা, যেখানে একটু এদিক-সেদিক হলেই মৃত্যু নির্ঘাত। একটা খেলায় বিজয়ী হলে সেই খেলার difficulty অনুযায়ী তাদেরকে কিছু নির্দিষ্ট দিন নির্বিঘ্নে বেঁচে থাকার সুযোগ দেওয়া হয়। সময় শেষ হলেই তাদের জীবনের সময়েও ফুড়িয়ে আসবে। অতএব বেঁচে থাকতে হলে তাদের একের পর এক ভয়ানক সব খেলা খেলে যেতেই হবে।

৩ পর্বের OVA, যদিও মাঙ্গা অনগোইং। অনেকটা BTOOOM! এর স্বাদ পাওয়া যাবে এখানে। তাই এরকম Survival কোন সিরিজ দেখতে ইচ্ছা হলে জলদি জলদি দেখে নিতে পারেন Alice in Borderland OVAটি।

নেটে এই মুহুর্তে মাত্র প্রথম ২ পর্বের ইংলিশ সাবটাইটেল সহ available, ৩য় পর্বের raw ভার্শন আছে, ইংলিশ সাবটাইটেল নেই। তবে এই পেইজে গেলে সেখানে ৩য় পর্বের ইংলিশ ট্রান্সলেশন পাওয়া যাবে: http://elliej-95.tumblr.com/post/115601312217/imawa-no-kuni-no-alice-ova-3-translation

Movie Time With Yami – My Favorite 15 (টিং টং মুভি টাইম)

11655141_683686608404441_742062122_n

 

একটু স্মৃতিচারণ করি!

আজ থেকে ঠিক একবছর আগে এই তারিখে আমি লিখেছিলাম মুভি টাইম উইথ ইয়ামির প্রথম পর্ব। একটু হযবরল করে শুরু করেছিলাম, অনভিজ্ঞতা ও নার্ভাসনেসের কারণে শুরুতে হোঁচট খেতাম প্রতি সপ্তাহে নিয়মিত লিখতে গিয়ে। একসময় কখন সেটা অভ্যাসে পরিণত হয়ে গেল, নিজেও বুঝতে পারিনি। গত একবছরে এই সেগমেন্ট লেখার জন্য ভাল খারাপ বহু মুভিই দেখেছি, সেখান থেকে আমার যেগুলো ভাল লেগেছে, আমি সবসময় সেগুলোকেই সাজেস্ট করতে চেষ্টা করেছি; জানিনা সবার সেগুলো পছন্দ হয়েছে কিনা। সাজেস্ট করা সব মুভিই আমার বেশ পছন্দের, তবে তার মাঝেও তো কমবেশি থাকেই! অ্যানিমে গ্রুপগুলোতে একটা রীতি প্রচলিত রয়েছে, পছন্দের ১০-২০ টা অ্যানিমের তালিকা তৈরি করা। আমিও এই রীতি অনুসরণ করে আমার পছন্দের অ্যানিমে সিরিজের তালিকা তৈরি করেছি আগে, তবে কখনো অ্যানিমে মুভির তালিকা করা হয়নি। তো মুভি টাইমের জন্মদিন উপলক্ষে (:3) আমি আমার সবচেয়ে পছন্দের ১৫ টি মুভির তালিকা প্রকাশ করছি। অনেকেরই হয়ত বেশি মুভি দেখার সময়/সুযোগ নাও হয়ে উঠতে পারে, আমি আশা করব অন্তত এই ১৫ টি মুভি আপনারা সবাই দেখবেন।

1. Flanders no Inu / The Dog of Flanders

১৮ বছর আগে মুক্তি পায় এ মুভিটি। তারও আগে ৫২ এপিসোডের একটি সিরিজ ছিল একই নামে; তা প্রায় ৪০ বছর আগের কথা। সিরিজটির কথা জানিনা, তবে মুভিটিতে ছোট্ট ছেলে নেলো এবং তার কুকুর পাতরাশ এর হাসি-কান্না, সংগ্রাম, বেদনার গল্প যেভাবে দেখানো হয়েছে, আমি সত্যিকার অর্থেই বাকরূদ্ধ হয়ে গেছি দেখে। প্রতিটা মূহুর্তে নেলো এবং পাতরাশের অনুভূতিগুলোকে মন থেকে অনুভব করেছি, ওদের ব্যর্থতায় কান্না পেয়েছে বারবার, আর এন্ডিংটা একই সাথে আমার পছন্দের খুব, আবার আফসোসও লাগে। আর কোন মুভিই আমাকে এতটা স্পর্শ করতে পারেনি।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-34/

2. Eve no Jikan / Time of Eve

সাই-ফাই এবং স্লাইস অফ লাইফ। আমার অত্যন্ত পছন্দের দুটি জনরা। অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছিলাম মুভিটি, এবং আমাকে এটি হতাশ তো করেইনি, বরং মুগ্ধ করেছে। উজ্জ্বল আর্ট, ব্যাকগ্রাউন্ডে নামীদামী শিল্পীদের করা সাউন্ডট্র্যাক মুভিটির খুব সাধারণ কাহিনীটিকে অসাধারণভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। রোবটের ব্যাপারে আমার নিজের মতামত রোবটেরই মত (!), মুভিটি দেখার পরে তাই বেশ ভাবনায় পড়ে গেছিলাম। স্নিগ্ধ, পরিপাটি, ছিমছাম ক্যাফেতে বেড়াতে আসা মানুষ এবং রোবটগুলোর পারস্পারিক সম্পর্কগুলো মনটাকে নিমেষেই ভাল করে দিয়েছে।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-29/

3. The Secret World of Arrietty / Karigurashi no Arrietty

স্টুডিও জিবলীর মুভিগুলোর মাঝে এটি আমার সবচেয়ে প্রিয়। জিনিসপত্রের মিনিয়েচার ভার্সনের প্রতি আমার আগ্রহ আছে, তাই এই মুভিটিতে আরিয়েট্টির চোখে মানুষের পৃথিবী দেখে অনেক ভাল লেগেছে।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-32/

4. Ojii-san no Lamp / Grandfathers Lamp

ইয়ং অ্যানিমেটর ট্রেনিং প্রজেক্টের সাথে পরিচয় আছে? এটি জাপানের অনভিজ্ঞ কিন্তু মেধাবী অ্যানিমেটরদের প্রতিবছর সুযোগ দেয়, কোন একটি নামকরা স্টুডিওর অধীনে নিজেদের মেধাকে দুনিয়ার সামনে তুলে ধরার। খুব চমকপ্রদ মুভি তৈরি করে বসে মাঝে মাঝে এই অনভিজ্ঞ অ্যানিমেটররা, এটিও সেগুলোর একটি। সেই লণ্ঠন-কুপির আমলের মানুষের জীবন, তাদের আশা-আকাংখা, পৃথিবীর পরিবর্তনের ফলে তাদের স্বপ্নভঙ্গের গল্প- পুরোটাই খুব পরিপাটিভাবে দেখানো হয়েছে, মাত্র ২৪ মিনিটে!

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-30/

5. Hotarubi No Mori E / Into the Forest of Fireflies’ Light

ভালবাসা আসলে কি? ভালবাসার রূপ কতরকম? শুধু কি একসাথে জীবন পার করে দেয়ার নামই ভালবাসা? ভালবেসে সেই মানুষটিকে কাছে না পাওয়ার ব্যাথা, তাকে সারাজীবনের জন্য হারিয়ে ফেলার কষ্ট- এর মধ্যেও কি ভালবাসা লুকিয়ে নেই? মুভির কাহিনীটি হয়ত অবাস্তব, কিন্তু দেখার পরে যে হাহাকারটা অনুভূত হয়, সেটি একেবারে নিখাদ বাস্তব।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-06/

6. My Neighbor Totoro / Tonari no Totoro

এটির সহজ-সরল এবং হাসিখুশি প্লট আমাকে সবচেয়ে বেশি টানে। ছোট্ট দুটি বাচ্চা মেয়ের হাসিখুশি উচ্ছ্বল কথাবার্তা, কাজকর্ম দেখলে মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়, সেইসাথে আছে তোতোরো এবং তার মজার কাজকর্ম। মুভিটিতে অ্যাডভেঞ্চারের অংশটা খুব সুন্দর, হালকা এক্সাইটমেন্ট এবং বেশি মজার ছোঁয়াটা খুব বেশি মুভিতে পাওয়া যায়না।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-53/

7. Neko no Ongaeshi / The Cat Returns

বিড়ালপ্রেমী হিসেবে আমার সুনাম (কিংবা দুর্নাম) আছে, বিড়াল দেখলেই আমি যেকোন কিছুতে আকৃষ্ট হয়ে যাই। এই মুভিটিও বিড়ালের আধিক্যের কারণেই আমার অনেক পছন্দ, তবে কাহিনীটাও যে মজার ছিল, এটা স্বীকার করতেই হবে।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-37/

8. Ookami Kodomo no Ame to Yuki / Wolf Children Ame and Yuki

ভালবাসার অনেক রকম রূপ আছে। কিন্তু তার মাঝে সবচেয়ে সুন্দর রূপটি হল মা এবং সন্তানের সম্পর্ক। নিঃস্বার্থভাবে নিজের কথা সামান্যতম চিন্তা না করে একজন মা তার সন্তানকে ভালবেসে যান। কিন্তু আমরা কি সবসময় মায়ের কষ্টটাকে উপলব্ধি করতে পারি? মাকে তার প্রাপ্য ভালবাসা, সম্মানটুকু দিতে পারি? মুভিটিতে একজন মায়ের তার বাচ্চাদেরকে ভালভাবে বড় করে তোলার যে সংগ্রাম দেখানো হয়েছে- এককথায় অসাধারণ!

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-31/

9. Colourful

প্লটটি অ্যানিমে মুভির ক্ষেত্রে বেশ ব্যতিক্রমধর্মী, মৃত মানুষের পৃথিবীতে ফিরে আসার ব্যাপারটিও হয়ত নতুন নয়, কিন্তু এই মুভিটি তারপরেও অনেক স্পেশাল! পরবর্তী কোন সেগমেন্টে এটির রিভিউতে বিস্তারিত আলোচনা করব।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-55/

10. Millennium Actress / Sennen Joyuu Chiyoko

এই গল্পটির বর্ণনাশৈলী একেবারেই অন্যরকম, সচরাচর এ ধরণের বর্ণনাশৈলী পাওয়াই যায়না। গল্পটির প্রায় পুরোটাই চলে ফ্লাশব্যাকে, এবং তা দেখানো হয় চিয়োকোর বিভিন্ন বিখ্যাত মুভির শুটিং এর দৃশ্য দেখানোর মাধ্যমে। গল্পটি আমাদের কখনো নিয়ে যায় ফিউডাল জাপানে, কখনো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, তো কখনো কল্পনার ভবিষ্যতে, যেখানে স্পেসশিপে করে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে মহাকাশে। ফিল্মমেকার এবং ক্যামেরাম্যান যে কখন এই ফ্ল্যাশব্যাকের অংশ হয়ে যান, টেরও পাওয়া যায়না। কোনটা মুভির অংশ এবং কোনটা বাস্তবতা, তা নিজের অজান্তেই অদৃশ্য হয়ে যায় একসময়।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-35/

11. When Marnie Was There / Omoide no Marnie

স্টুডিও জিবলীর শেষ মুভি এটি, আর শেষ মুভিতেই এত চমৎকার একটা কাহিনী উপহার দিয়ে গেল, যে এটা দেখার পরে অনেকদিন আফসোস করেছি, কেন আর কাজ করবে না জিবলী!! ওদের গতানুগতিক অন্য কোন কাহিনীর সাথেই মিল নেই মুভিটির, আর তাই এটি আমার এত বেশি প্রিয়। কোন এক পর্বে এটি নিয়ে ভালভাবে আলোচনা করব।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-56/

12. Hal / Haru

গ্রাফিক্সের জন্য অ্যানিমে দেখেন? টলটলে পরিষ্কার আর্টওয়ার্ক না হলে মন ভরেনা? তাহলে নিশ্চিন্তে দেখতে বসে যান; হারু। হতাশ হওয়ার কোন সুযোগই নেই! সেইসাথে কাহিনীটা বেশ হৃদয়স্পর্শী; উইথ এ টুইস্ট!

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-27/

13. Summer Wars

এই মুভিটির নামটা মনে পড়লেই প্রথম যে কথাটা মাথায় আসে, তা হল, পরিবার। আমরা সবাই আমাদের পরিবারের সাথে থাকি। কিন্তু আমরা যেভাবে জীবনযাপন করছি, সেটাকে কি আসলেই পরিবারের সাথে থাকা বলা যায়? এই মুভিটি দেখে আজকালকার সময়ের বহুল প্রচলিত প্রশ্নটি নতুন করে মাথায় উঁকি দিয়েছে। পরিবার পরিজন, আত্মীয় স্বজন যে একজন মানুষের কত বড় সম্পদ, তা এই মুভিতে খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-13/

14. Harmonie

প্রতিটি মানুষের নিজস্ব জগৎ আলাদা। একজনের জগতের সাথে আরেকজনের জগত কখনোই তেমন একটা মেলে না। কারো কল্পনার জগতের সাথে যদি আরেকজনের জগৎ মিলে যায়, তাহলে তারা অনেক ভাগ্যবান মানুষ। ইয়ং অ্যানিমেটর ট্রেনিং প্রজেক্টের আরেকটি চমৎকার কাজ এটি।

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-10/

15.  Domain of Murder / Hello Harinezumi: Satsui No Ryoubun

আর্টওয়ার্ক খুবই পীড়াদায়ক, কিন্তু কাহিনীর জবাব নেই। মিস্ট্রি জনরার অমূল্য সম্পদ এটি!

রিভিউ লিঙ্ক- http://www.animeloversbd.com/movie-time-with-yami-13/

Movie Time With Yami – 53

 

maxresdefault

 

Name: My Neighbor Totoro / Tonari no Totoro
Duration: 1 hr. 26 min.
MAL Score: 8.51
Ranked: 98
Genres: Adventure, Comedy, Supernatural

বাসাবাড়ি বদল করতে কার ভাল লাগে? নিজের পরিচিত পরিবেশ, বন্ধুবান্ধব, একটা চলমান জীবন ছেড়ে নতুন একটা অচেনা জায়গায় যেতে যে কারওই অস্বস্তি বোধ হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ব্যাপারটাকে তো ইচ্ছে করলে উল্টোভাবেও দেখা যায়। সম্পূর্ণ নতুন একটি জায়গা দেখার মধ্যে যে আনন্দটা আছে, নতুন পরিবেশটিকে আপন করে নেয়ার মধ্যে যে তৃপ্তি আছে, তা তো একঘেয়ে দৈনন্দিন জীবন কোনদিন কাউকে দিতে পারবে না!

ছোট্ট সাতসুকি আর মেই দুই বোন। তারা তাদের পুরনো আবাস ছেড়ে গ্রামের ধারে ছিমছাম এক বাড়িতে বাস করতে আসে তাদের বাবার সাথে। বাড়ির চারপাশে জঙ্গল, সবচেয়ে কাছের বাড়িটিও বেশ দূরে অবস্থিত। এরকম খোলামেলা এবং নিরিবিলি পরিবেশ পেয়ে দুই বোনের আনন্দের সীমা থাকেনা। দৌড়াদৌড়ি করে পুরো এলাকা চষে বেড়াতে থাকে তারা।

এভাবে বাড়ির আশেপাশে ঘোরাঘুরি করতে করতে ছোট্ট মেই হঠাৎ দেখা পায় এক আজব জন্তুর। বনের মধ্যে বিশাল এক গাছের নিচে ঘুমন্ত এ অদ্ভুত জন্তুটিকে দেখে বেশ মজা পেল সে। তাই জন্তুটির সাথে সখ্যতা গড়ে তুলতেও বেশি দেরি হলনা তার। আর শুরু হল তোতোরোর সাথে সাতসুকি আর মেই এর মজার অভিযান।

এই মুভিটি আমার প্রিয় মুভির তালিকায় বেশ ওপরের দিকে রয়েছে, এর মূল কারণ হল, এটির সহজ-সরল এবং হাসিখুশি প্লট। ছোট্ট দুটি বাচ্চা মেয়ের হাসিখুশি উচ্ছ্বল কথাবার্তা, কাজকর্ম দেখলে মন এমনিতেই ভাল হয়ে যায়, সেইসাথে আছে তোতোরো এবং তার মজার কাজকর্ম। মুভিটিতে অ্যাডভেঞ্চারের অংশটা খুব সুন্দর, হালকা এক্সাইটমেন্ট এবং বেশি মজার ছোঁয়াটা খুব বেশি মুভিতে পাওয়া যায়না। স্টুডিও জিবলীর ছিমছাম পরিষ্কার আর্ট এবং মুভির চমৎকার ধারাবাহিক কাহিনীবিন্যাস এটিকে আরও অনন্য করে তুলেছে।

এই মুভিটির কাহিনী নিয়ে বেশ কিছু থিওরী প্রচলিত আছে ইন্টারনেটে, সেগুলোর সত্যমিথ্যার দায়ভার আমি নিতে পারব না, তবে মুভিটি দেখার পর যদি থিওরীগুলো ঘাটাঘাটি করে দেখেন, আমি নিশ্চিত যে মুভিটির হাসিখুশি প্লটটিকে নতুন চোখে দেখতে বাধ্য হবেন আপনি!

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/My-Neighbor-Totoro

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!