Vinland Saga [মাঙ্গা রিভিউ] — আতা-এ রাব্বি আব্দুল্লাহ

Vinland Saga 1কল্পনা করুন আপনি ১১শতকের দিকে নদীর পারে একটি ছোট্ট শহরের বাসিন্দা । সকালে উঠে নদীর পাড়ে ঘুরতে গেছেন । শীতের সকাল , কুয়াশায় মোড়া সবকিছু । সেই কুয়াশা ভেদ করে এগিয়ে আসছে কিছু জাহাজ । দম দম করে দামামা বাজছে । কিছুক্ষনের মধ্যেই বোঝা গেল যে তারা আর কেউ নয় , তারা হল ডেনিশ জলদস্যু অর্থাত্‍ ভাইকিং । অসুরের মত শক্তি , হাতে কারুকাজ খচিত অস্ত্র , মাথার শিংযুক্ত শিরস্ত্রাণ যেন তাদেরকে আরও অসুরীয় করে তুলছে । তারা এগিয়ে আসছে রক্তলোলুপ নেকড়ের দলের মত । যেন হিমদল চিরশীতের দেশ থেকে তার বাহিনী নিয়ে এগিয়ে আসছে । চোখের পলকে তারা হত্যা করছে , নারী ,পুরুষ , শিশু , বৃদ্ধ কারো রেহাই নেই । পুরুষদের দাস , নারীদের যৌনদাসী হিসেবে বিক্রি করে দিচ্ছে । ভাইকিংদের লক্ষ্য তিনটি : মদ , নারী ও যুদ্ধ । এই ভয়াল জাতটিকে নিয়ে বহু কাহিনীর প্রচলন আছে , বহু গান গাওয়া হয়েছে । আরে এদের নিয়ে মাঙ্গা হবে না তা কি হয় !? এই ভয়ডরহীন রক্তলোলুপ যোদ্ধাদের নিয়েই মাঙ্গা ভিনল্যান্ড সাগা ।

Vinland Saga 4এর কাহিনী ১১শতকের ইংল্যান্ডে ডেনিশ রাজা Sweyn Forkbeard এর আক্রমন এবং তার ২পুত্র Harlard আর Canute মধ্যে চলা সিংহাসনের খেল নিয়ে । এবং এর প্রধান চরিত্র বলা যায় থরফিনকে । ভাইকিং বীর আসকাল্যাড এর অধীনে এক কিশোর হিংস্র যোদ্ধা । তার লক্ষ্য একটাই আসকাল্যাডকে সম্মুখযুদ্ধে হত্যা করা , কেননা এই আসকাল্যাডই থরফিনের পিতার ঘাতক । জ্বী , থরফিন কাজ করছে তার পিতার ঘাতকের আন্ডারে । কাহিনী তো সবে শুরু । রাজপুত্র Canute এর মসনদে বসার অভিপ্রায় । থরকেল এর মত চরিত্র যার নিষ্ঠুরতা সীমাছাড়া কিন্তু তাকে ভাল না লেগে পারবে না । এক অসাধারণ কাহিনীর জন্য যে অসাধারণ চরিত্রের দরকার তা সবই আছে ।
প্রথম কথা হল মাঙ্গার আর্ট । এর আর্ট সেরা পাঁচে থাকার যোগ্য । প্রতিটা ক্যারেকটারের অভিব্যাক্তি , এক্সপ্রেশন নিঁখুত ভাবে দেখানো হয়েছে । প্রতিটা দৃশ্য ডিটেইলড । অস্ত্র , পোষাক , জাহাজ সবকিছুর ডিজাইন ডিটেইলড যেন বইয়ের মেইন কভারের আর্টের মত । বার্সাক এর কথা বারবার মনে পড়ে যায় কিছু জায়গায় এর আর্ট দেখলে ।
ভাইকিং ইতিহাস , তাদের জীবনযাত্রা , তাদের মানসিকতা ,সে সময়কার সমাজের জীবনধারার উপর একটা কোর্সই হয়ে যাবে এই মাঙ্গা পড়লে । এরকম নিঁখুত ইতিহাস ভিত্তিক মাঙ্গা আর পড়েছি কেবল কিংডম । যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি , Game of thrones অর্থাত্‍ মসনদে বসার খেল সবই আছে এই মাঙ্গায় ।

Vinland Saga 2
এই মাঙ্গার প্রত্যেকটা ক্যারেকটারের ডেভলপমেন্ট চোখে পড়ার মতো । সবচেয়ে নির্মম যে তারও অতীত ছিল হৃদয় বিদারক । এবং সবই রুঢ় বাস্তবতার আলোকে ।তবে আমার সবচেয়ে প্রিয় ক্যারেকটার আসকাল্যাড ।
এই মাঙ্গা পড়ার সময় একরকম ঘোরে চলে যাবেন । যেন টাইম মেশিনে করে ভ্রমণ । খুবই কম মাঙ্গা এটা করতে পারে । তো এই মাঙ্গা না পড়ার কোন কারণ আমি দেখি না । পড়ে ভাল না লাগার কোন চান্স নেই ।
মাঙ্গার চ্যাপ্টার 127 টি এবং অনগোয়িং । রেগুলারলি আপডেট হয় ।
পড়তে পারেন এখানে :http://kissmanga.com/Manga/Vinland-Saga

পড়ার সময় Ensiferum বা Equilibrium এর যে কোন এলবাম ছেড়ে নিলে তো সোনায় সোহাগা ।
Ensiferum :https://www.youtube.com/watch…
Equlibrium:https://www.youtube.com/watch…

তো সময় থাকতে পড়ে ফেলুন অসাধারণ এক মাঙ্গা Vinland Saga!

Vinland Saga 5

Vinland Saga 3

Dareka no Manazashi [রিভিউ] — Shahoriar Rafi Amil

Dareka no Manazashi 1

Dareka no Manazashi

Genre : Drama, Slice Of Life
Duration : 6min
MAL Rating : 7.6
Directed By Makoto Shinkai

পরিবারে জন্ম হলেও অন্যান্য জিনিসের জাঁকজমকে আমরা সেটার মর্ম ভুলে যাই। শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবতে থাকি। আর পরিবারের মধ্যে সৃষ্টি হয় এক না চাওয়া দূরত্ব। তখন কি আর এই জাঁকজমক ভালো লাগে?

এমনই স্বাভাবিক ঘটনা ঘটছে “আয়া অকুমার” জীবনে যে পড়ালেখা শেষ করে নতুন চাকরি তে ঢুকেছে। চাকরির খাতিরে সে আলাদা বাসায় থাকে। তার মা ও চাকরির সুবাদে দূরে থাকে। আর তাদের বাসায় শুধু থেকে যায় আয়ার বাবা আর তার ছোট বেলার খেলার সাথী “মি” নামের বিড়াল যে কিনা এখন শেষ বয়সে। এক ঝামেলাপূর্ন দিন শেষে আয়া তার বাসায় এসে বিছানায় কেবল গা এলিয়েছে আর তার বাবা ফোন আসলো!! কেমন আছে না আছে আলাপে মেয়ে বাবা দুই জনেই নিজেদের মিথ্যা সুখের কথা বলে। কিন্তু তার পর এমন কিছু ঘটে যা তাদের আবার এক হতে বাধ্য করে!!

Dareka no Manazashi 4

আর্ট দেখে সহজেই মাকোতো শিনকাই এর কাজ বোঝা যায়, এই মাত্র ৬ মিনিটে অনেক তাড়াতাড়ি একটা গল্প বলা হয়েছে যার সাথে আপনি তখনই মিশে যাবেন এবং সব শেষে এটা আপনাকে অনুপ্রাণিত করবে। বুঝতে পারবেন পরিবারের কাছে ফিরে যেতে কারন লাগে না চাইলেই যাওয়া যায়। কেননা পরিবার পরিবারই!!

লিংক: https://kissanime.to/Anime/Dareka-no-Manazashi/Episode?id=51158

Dareka no Manazashi 2

A Brief Discussion on KanColle (+Review) — Imamul Kabir Rivu

Kancolle 1

কোন সাধারণ আনিমে ভক্তকে যদি প্রশ্ন করা হয় কয়েকটি উদ্ভট আনিমের নাম বলতে তাহলে সে তালিকায় Kancolle-র নামটা আসাটাই স্বাভাবিক। তবে যদি গেমটির সাথে অথবা জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জলযুদ্ধগুলোর সাথে পরিচিত থাকেন তাহলে আনিমেটার মূল ধারণা এবং কি দেখাতে চাচ্ছে সে বিষয়টা অনেকটা হলেও ধরতে পারবেন। Kancolle আনিমেটা মূলত ৮০% গেম এবং ২০% দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সংমিশ্রনে তৈরি একটা আনিমে। মূলত কথা হল, সেই সময়ে জাপানের নৌ বাহিনী তাদের গর্বের এক অংশ ছিল আর এখন তাদের সব বিষয় মোয়েতে পরিবর্তন করা তাদের গর্ব। তো সেকাল এবং একাল, এই দুই ভিন্ন যূগের গর্বের ফলাফল হল Kancolle.

Kancolle 2

Kancolle-এর কাহিনী মূলত জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহৃত জাহাজগুলোকে কিউট কিউট মেয়েদের রুপে তুলে ধরা এবং প্যাসিফিক ফ্রন্টের নৌযুদ্ধগুলোকে তাদের কাজ কর্মের মাঝে তুলে ধরা। এখানে আপনাকে সরাসরি আমেরিকার জাহাজদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তা দেখাবে না বরং ধারণা অনেকটাই ওরকম সে বিষয়টা ধরিয়ে দিবে। এই হল সাধারণ ব্যাখ্যা। তবে আসল কাহিনী চিনজুফু (naval district)-এর কানমুসুদের সাধারণ দিনগুলো তুলে ধরা। এ বিষয়টা আরো ভালো ভাবে উপলবদ্ধি করতে হলে আপনার অন্তত গেমটার সাথে পরিচিত হতে হবে।

Kancolle 3

Pacific War-এর নানা রকম সংঘর্ষ আনিমেটিতে কিছুটা প্যারোডির মত করে তুলে ধরেছে যেমন Battle of the Wake Island-কে প্যারোডি করে “W Island” হিসেবে তুলে ধরা হয়েছে । তবে Operation FS, RY, MI এগুলো কোন প্যারোডি নয় বরং বাস্তব মিশনগুলোর রেফারেন্স ছিল যেগুলো হল জাপানের ওশানিয়ার দ্বীপুঞ্জগুলো দখলের প্ল্যান আর MI হল মিডওয়ের রেফারেন্স ছিল এবং “curry ocean raid’ ছিল Indian Ocean Raid. এছাড়া প্রথম পর্বেই ইয়ূদাচি এবং মুৎসুকির আকাগি এবং কাগার প্রতি প্রশংসা সেটা ‘Pearl Harbour’-এর রেফারেন্স ছিল। এছাড়া ‘Battle of Santa Cruz’-এর ও হালকা রেফারেন্স ছিল আনিমেতে। আনিমের শেষ সংঘর্ষটি ছিল মূলত Battle of Midway-এর উপর তবে এটা জাপানি আনিমে এবং তাই সংঘর্ষটি একটু জাপানের পক্ষপাতেই থাকবে, আগে থেকে বলে দেই এটা স্পয়লার না। কথা হল রেফারেন্সগুলো Pacific War সম্পর্কে বেশ ভালো ধারণা থাকলে ধরতে পারবেন নাহলে পারবেন না। আর পাশাপাশি এক্সেডিশন মিশনের যে ব্যাপারটা নিয়ে অনেক সময়ই আনিমেতে উল্লেখ করে সেটা বুঝতে হলে আসলে গেমটা খেলতে হবে কিন্তু মূলত ‘Commerce Raiding’ বিষয়টাই এখানে এক্সপেডিশন হিসেবে দেখিয়েছে।

Kancolle 5

কাঙ্কোলের চরিত্রগুলোর মাঝে ইন্টারেকশন মূলত বাস্তব জীবনে জাহাজগুলোর নাবিকদলের একে অপরের প্রতি আচরণের উপরই তুলে ধরেছে। যেমন কাগা যেভাবে জুইকাকু এবং শৌকাকুকে ছোট চোখে দেখে বলা আছে বাস্তবেই সেই জাহাজগুলোর নাবিকদল তা করেছে। একেক চরিত্রের ব্যক্তিত্ব এবং ‘catch phrase’ মূলত গেমে যা আছে ওটাই হুবাহু বসায় দিয়েছে। গেমটা না খেলা থাকলে একেকজনকে একেক ‘unique’ চরিত্র হিসেবে উপোভগ করতে পারবেন তবে গেমটা খেলা থাকলে বিষয়টা আরেকভাবে মজা পাবেন, বুঝতে পারবেন যে সেইয়ূরা গেমে ব্যবহৃত লাইনগুলো আনিমের বহু দৃশ্যে অনেকবার রিপিট করেছে। তবে যারা গেমের সাথে পরিচিত নয় তারাও কয়েকটা চরিত্রের catch phrase ধরতে পারবেন, সেগুলো হল সেন্দাই-এর ‘yasen (night battle)’, কঙ্গৌর ‘Burning Love’, 6th Destroyer Division-এর একেকজনের catchphrase, আতাগোর ‘Pan Paka Pan’ এবং ইয়ূদাচির ‘POI’. যা সাধারণত কেউ ধরতে পারে না সেটা হল আকাগির ‘Manshinshite wa dame’, আশিগারার ‘Shouri wo Kizamu (will snatch victory) কিংবা Ueta Ookami (Hungry Wolf)’. আনিমের পার্শ চরিত্রগুলো সবাই কম-বেশি বেশ ইন্টারেস্টিং ছিল সুধু প্রধাণ চরিত্র ফুবুকি বাদে।

Kancolle 6

আনিমেটার সেইয়ূ কাস্টটা অনেক মজার। ২-৩ টা চরিত্র একই আনিমেতে একজন সেইয়ূকে দিয়ে কণ্ঠ দেওয়া বিষয়টা অসাভাবিক কিছুই নয় তবে একাধিক জনেক ৮-৯ টা করে জিনিশটা বড়ই হাস্যকর। আনিমেটায় সাকুরা আয়ানের ৮টা, তৌয়ামা নাওর ৬টা, সুজাকি আয়ার ৬টা রোল, ইগুচি ইয়ুকার ৩টা রোল পুরা কাস্টা হল হাজার হাজার চরিত্র কিন্তু ঘুরে ফিরে কণ্ঠ দিয়েছে মাত্র হাতেগোনা কয়েকজন। ফুজিতা সাকি, তানেদা রিসা, কায়ানো আই, হোরিয়ে ইয়ুই এরাও গেমটিতে অনেকগুলো চরিত্রের কণ্ঠ দিলেও কায়ানোন এবং হোচ্চানের (মামিয়া বাদে) কোন রোলই ছিল না, সাকির শুধু মাত্র আকাগি এবং রিসার নাচি ও হাগুরো থাকলেও মূলত কথা বলার সুজোগ পেয়েছে আশিগারা। তবে কণ্ঠ অভিনয় অসাধারণ, সাকুরা আয়ানে যে নাগাতোর মত এত ডিপ কণ্ঠে কথা বলতে পারে কাঙ্কোলে না চিনলে বিষয়টা অজানাই থাকতো। আর পুরো আনিমের এতোগুলো জাহাজের সেইয়ূ যে হাতেগোনা কয়েকজন বিষয়টা আপনি না ঘাটলে ধরতেই পারবেন না, মনে হবে অনেকগুলো সেইয়ূই আছে পুরো কাস্টে। আর একটা বিষয় পরিষ্কার করে দেই, আসলে গেমে প্রত্যেকটা জাহাজের ক্লাসের জন্য একজন করে সেইয়ূ এবং এর জন্যই একজন এতোগুলো চরিত্রের কণ্ঠ দিয়েছে। অবশ্য ব্যতিক্রমও আছে, যেমন শিরাৎসুয়ু ক্লাসের হারুসামের কণ্ঠ দিয়েছে কানেমোতো হিসাকো কিন্তু বাকি ৩ জনের কণ্ঠে ছিল তানিবে ইয়ুমি। আনিমেটির কাস্টে এ কয়জন ছাড়া নোতো মামিকো, কাওয়াসুমি আয়াকো, উয়েসাকা সুমিরেও আছে।

Kancolle 4

আনিমের আর্টটা সুন্দর খালি অনেকগুলো অ্যাকশনেই বেখাপ্পা CG ব্যবহার করেছে সে বিষয়টা বাদে। OST-টা অসাধারণ, ওপেনিং মীরো (https://goo.gl/0uczzL) এবং এন্ডিং ফুবুকি (https://goo.gl/ZA8wIU) এই দুইটা গান যে কারো ভালো লাগবে। থীমটার সঙ্গে মানানসই ছিল সবই।

Kancolle 7

গেমটা না খেলা থাকলে পুরা আনিমে জুড়ে ৩টা বিষয় আপনার কাছে অস্পষ্ট লাগবে (না লাগতোও পারে), সেইগুলোর উত্তর একটু বলে দিচ্ছি। প্রথমত Abyssal জিনিশটা কি? অনেকেই ধরে নেয় এটা হয়তো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের আমেরিকা এবং ব্রিটেইনের জাহাজগুলোকে Abyssal হিসেবে দেখানো হয়েছে। ধারণাটা কিছু কিছু দিক থেকে ঠিক আবার কিছু কিছু দিক থেকে ভুল। গেমটার বসগুলো অনেক সময় কিছুটা হলেও বিভিন্ন বিখ্যাত নৌযুদ্ধে জাপানের প্রতিপক্ষগুলোর (আমেরিকা) প্যারোডি থাকে। যেমন মিডওয়ে প্রিন্সেস যে কি না আনিমের মূল খলনায়িকা থাকে সে কিন্তু মিডওয়ের আমেরিকার ক্যারিয়ারগুলোরই প্যারোডি। বিষয়টা কখনই পরিষ্কার করে না, ধারণা হিসেবেই রেখে দেয় কেননা আমেরিকা এখন জাপানের খুব ভালো বন্ধু। তবে মিডওয়ে প্রিন্সেসের ব্যবহৃত প্লেনগুলোর নাম ছিল Abyssal Cat Fighter, Abyssal Revenge Torpedo Bomber, Abyssal Hell Dive Bomber যেগুলো কিনা আমেরিকার ব্যবহৃত F6F Hellcat, TBF Avenger, SBC Helldiver এর প্যারোডি ছিল। এ ধারণাটা অনেকটাই সঠিক হলেও একেবারে সঠিক না কেননা আজকে থেকে গেমে শুরু হতে যাওয়া Spring 2016 ইভেন্টেই আসছে আমেরিকার অন্যতম বিখ্যাত রণজাহাজগুলোর একটি USS Iowa. তাই তাদের অনেকটা Bleach-এর Hollow-দের মত কিছু একটা ধরেই আনিমেটা উপভোগ করা শ্রেয়। দ্বিতীয় প্রশ্নটি হল, ‘অ্যাডমিরাল কে’? গেমে মূলত অ্যাডমিরাল হলেন আপনি মানে গেমের প্লেয়ার। তো এই ক্ষেত্রে সাধারণত আপনার naval district-তে কানমুসুগুলোর (Ship girl) দৈনন্দিন জীবনই আনিমের রুপে দেখানো হয়েছে। আর ইয়ূদাচির বিবর্তনটাও অনেকে বুঝে না। এ বিষয়টা হল গেমে চরিত্রগুলোকে খেলায় লেভেল আপ করানো হয়। তো এক নির্দিষ্ট লেভেল পর্যন্ত লেভেল-আপ করলে জাহাজগুলোকে রি-মডেল করা যায়। তো এই রি-মডেলের দুই পার্ট আছে, প্রথমটা হল kai যেটা lvl 18,20,25,30 একেক জাহাজের জন্য এক লেভেলে করা যায়, ইয়ামাতো এবং মুসাশিপ জন্য সেটা lvl 60 অবশ্য। দ্বিতীয়টা হল kai ni যেটা lvl 55, 60, 65, 70, 75, 77 এ করা যায় এখানেও একেক জাহাজের জন্য একেক লেভেল আর অনেকেরই kai ni নেই অথবা এখনো আসে নাই। তো kai ni করলে জাহাজের চেহারা এবং রুপের পরিবর্তন ঘটে, ইয়ূদাচির ক্ষেত্রে ঠিক তাই হয়েছে। ফুবুকিকেও kai ni করা হয়েছিলো, চেহারায় পরিবর্তন হয়নি কিন্তু গেমে কিছুটা হলেও হয়। Kai ni করতে হলে জাহাজগুলোকে একাধিক ‘sortie’-তে পাঠাতে হয়, আনিমেতে সে বিষয়টা অনেকটাই মিশন এবং ট্রেইনিং-এর মাধ্যমে দেখানো হয়েছে।

Kancolle 8

আনিমেটি দেখার উপভোগ করার ক্ষেত্রে অনেক কিছুই নির্ভর করে আবার এতকিছু না চিন্তা করে সাধারণ একটা আনিমে হিসেবেও উপভোগ করা যায়। প্রধাণত গেমটা খেলা থাকলে একভাবে উপোভগ করবেন, না খেলা থাকলে আরেকভাবে। খেলা থাকলে চরিত্রদের অনেক কিছুই ধরতে পারবেন। আনিমেটাতে যে ওশিয়ো, কুরোশিয়ো, রিয়ুজৌ, হিরয়ূ, সোরয়ু, আসাশিয়ো, কাগোরৌ এরা ছিল এ বিষয়টা ধরতে পারবেন। না খেলা থাকলে ওদের সুধু চিনজুফুর সাধারণ কানমুসু হিসেবে দেখবেন অবশ্য বিষয়টা ধরতে পারা কিংবা না পারা এটা তেমন কোন বড় বিষয় না। জাহাজ এবং সংঘর্ষগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকলে একভাবে উপোভগ করবেন, না থাকলে আরেকভাবে। মূলত আনিমেটা বুঝতে চাইলে wiki-তে নৌবাহিনির নানা রকম যুদ্ধের জাহাজ, জাপানের দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের জাহাজ, নৌযুদ্ধ এ বিষয়গুলো নিয়ে বিস্তৃত গবেষণা করুন কিংবা গেমটা খেলুন তারপর আনিমেটা ধরুন আর যদি উপভোগ করতে চান তাহলে সাধারণ ‘Daily life of cutie ship girls’ এভাবে ধরেই আনিমেটি উপভোগ করুন। যদি আপনার এই নানা রকম জিনিশ মোয়েফাই করা এ বিষয়টা নিয়ে আপত্যি থাকে তবে আমার মতে এই আনিমো না ধরাই ভালো।

ডিয়ার গ্রীন [মাঙ্গা রিভিউ] — Fatiha Subah

Dear Green

ডিয়ার গ্রীন

ধরণঃ ওয়ানশট
জানরাঃ ড্রামা, রোমান্স, শৌজো
মাঙ্গাকাঃ সাকুরা আমইয়ূ
মাইআনিমেলিস্ট রেটিং: ৭.৯০
ব্যক্তিগত রেটিং: ৮

মাত্র একটি চ্যাপ্টারের মাঝে কতটুকু গল্পই বা বলা সম্ভব? শৌজো ওয়ানশটগুলোতে সাধারণত নায়ক-নায়িকার ধুমধাম হঠাৎ দেখা হবে তারপর কিছু ঝক্কি-ঝামেলা পোহানোর পর মধুর মিলন হবে কাহিনী এখানেই শেষ। ভালো, নতুনত্ব থাকা গল্প পাওয়াই কঠিন। সেখানে অর্থপূর্ণ কোন ওয়ানশট মাঙ্গা তো আশা করাও ভুল। কিন্তু সাকুরা আমইয়ূ তার ডিয়ার গ্রিন মাঙ্গাটি মাত্র একটি চ্যাপ্টারেই তুলে ধরেছেন অর্থবহ একটি গল্প যেটির অভিজ্ঞতা বাস্তবে আমাদের সবারই কম-বেশি আছে।

কাউকে ভাইবোনের সাথে তুলনা করা আমাদের সমাজে নিত্তনৈমিত্তিক ব্যাপার। যখন এই তুলনা চলে তখন কেউ ভেবে দেখে না যে মানুষটিকে তুলনা করা হচ্ছে তার উপর তাদের মন্তব্য কি বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। বিশেষ করে অপর ভাই বা বোনটি যদি হয় মেধাবী, প্রতিভাবান তাহলে তো কথাই নেই। আওয়ি শুন এমনই এক হতভাগা মেয়ে যার সেই ছোটবেলা থেকে গুণী বড় বোনের সাথে তুলনা চলে। সারাক্ষণ এই তুলনা দেখতে দেখতে সে বিরক্ত। শুন বাঁশি বাজাতে পছন্দ করলেও বোনের কারণে তাও আত্মবিশ্বাসের অভাবে ঠিক মত চালিয়ে যেতে পারে না। সবকিছুর প্রতি উদাসীনতা, নিজের ইচ্ছামত চলা আর শহরের লুকানো এক সুন্দর জায়গায় একা একা বাঁশি বাজানো নিয়েই তার জীবন। সেখানে শুন একদিন একজন তরুণ ফটোগ্রাফারের দেখা পায়। এই ফটোগ্রাফারই শুনের দৃষ্টিভঙ্গিতে পরিবর্তন আনে। সবকিছু থেকে পালিয়ে বেড়ানোর স্বভাব আর হাল ছেড়ে দেওয়ার মানসিকতার চেয়ে নিজেকে আরও ভালো করে তোলা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা সে বুঝতে পারে।

শুন চরিত্রটির সাথে অনেকেই নিজের মিল খুঁজে পাবেন। বোন হিসেবে আওয়ি মিয়ো ভালো লাগার মত যদিও খুব ক্ষুদ্র সময়ের জন্য তাকে দেখা যায়। আর ইয়োহসুকের মত অনুপ্রেরণা জোগানো মানুষ বোধ হয় প্রতিটি মানুষের জীবনেই দরকার।
মাঙ্গাটির আর্ট খারাপ না আবার খুব আহামরি কিছুও না। একদম সচরাচর শৌজো মাঙ্গায় যেরকম আর্ট দেখা যায় তেমনটাই।

৫৪টি পৃষ্ঠা দিয়ে মাঙ্গাকা একটি কথাই বলতে চেয়েছেন। নিজেকে সম্মান করতে শিখ, নিজেকে ভালবাসতে শিখ। বড় বড় মাঙ্গাতেও এরকম সুন্দর কোন বার্তা পাওয়া যায় না। তাই ওয়ানশট হলেও এটি পড়ার মতই একটি মাঙ্গা।

Naruto Fan Fiction: ৪র্থ হোকাগে: সাকুমো হাতাকে — Rahat Rubayet

———–Naruto Fan Fiction——
———-৪র্থ হোকাগে: সাকুমো হাতাকে———

বোরুটো আজ তার প্রথম মিশন শেষ করেছে। সেই উপলক্ষে আজ পারিবারিক ভোজের আয়োজন করেছে মিনাটো। ফ্যামিলির সবাই বলতে, মিনা-কুশি, নারুটো, বরুটো, হিনাটা আর হিমাওয়ারি ছাড়াও আরেকজন রয়েছেন খাবার টেবিলে। মাউন্ট ওবুকুর সেইজ জিরাইয়া। এরো সেন্নিন বলেই যাকে চিনি আমরা। হাসি-ঠাট্টা আর খোশগল্পে পুরোটা সময় মাতিয়ে রাখলো সবাইকে। মাত্র সাত বছর বয়সেই অন্য গ্রামের ৫ জন জোউনিন শিনোবির হাত থেকে কিভাবে মিনাটো একা কুশিনাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সে গল্প করতেই কুশিনা লজ্জায় লাল হয়ে যেতে থাকে। আড় চোখে একবার মিনাটোর দিকে তাকাল নারুটো আর বোরুটো দু’জনে। অপ্রভিত হাসি হাসছে মিনাটো।
নারুটো বলতে থাকে, “বাবা, তুমি কি তখন থেকেই মাকে ফলো করতে? না হলে জানলে কিভাবে যে…”
উত্তরে কিছু না বলে তার ভুবনভোলানো হাসি দিয়ে উদ্ধার পাবার চেষ্টা করে মিনাটো। জিরাইয়া সেন্সেই শেষমেশ উদ্ধার করলেন ওকে। এবার বলতে শুরু করলেন, কিভাবে নারুটো ওরোচিমারুকে ঘোল খাইয়ে ছেড়েছিল সে বর্ণনা। এসব শুনতে শুনতেই বোরুটো মনে মনে ভাবতে থাকে তার বাবা আর দাদা দু’জনেই কত বড় মাপের শিনোবি। ও জানে, নাইন টেইল সমেত মাদারা উচিহাকেও হারিয়েছে মিনাটো আর নারুটো মিলে। তাও আজ থেকে ১৫ বছর আগের কথা। এসব কথা ভাবতে ভাবতেই মনে মনে প্রতিজ্ঞা করে ও, “i will surpass both of you, Grandpa, Papa”
খাওয়া দাওয়া শেষ হতেই হিনাটা আর কুশিনা থালাগুলো রান্নাঘরে নিয়ে যেতে থাকে। বাকি সবাই তখনো খাবার টেবিলেই আড্ডায় মেতে আছে। প্রায় বিকেল পর্যন্ত চলল আড্ডা।
এর পর নেজী এসে বোরুটো আর হিমাওয়ারিকে নিয়ে মেলা দেখতে বেরুলো। বোরুটোর হাতটা এক হাতে ধরে হিমাওয়ারিকে কাধে নিয়ে হাটছে ও। একগাল হাসি আর নীলরঙা চোখে তাকিয়ে মেলার রঙবেরঙের জিনিষ দেখছে বোরুটো। হটাতই, দাঁড়িয়ে পরে নেজি। একপাশে সরে গিয়ে একটা ছেলের মাথায় হাত বুলিয়ে জিজ্ঞেস করে,
“কি খবর, সাতোশি? মিশন শেষ করে ফিরলে কবে?”
বোরুটো বড় বড় চোখে সাতোশির দিকে তাকিয়ে থাকে। বয়সে বোরুটোর থেকে মাস দুয়েকের বড় সাতোশি। কিন্তু, এরই মাঝে চুনিন হয়ে গেছে। শুধু তাই না। চারিদিকে কানাঘুষা শোনা যাচ্ছে, রিসেন্ট পারফরমান্স বিবেচনায় এনে তাকে আরেক ধাপ প্রোমোশন দেয়া হবে। ভাবা যায়? বোরুটো যেখানে কেবল নিনজা একাডেমী থেকে গেনিন হয়ে বের হল, ওর বয়সেই জৌনিন হতে চলেছে সাতোশি। অবশ্য ওর দাদা সাকুমো হাতাকে গ্রামের ৪র্থ হোকাগে। সেক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধা নিশ্চয়ই ও পায়, ভাবতে থাকে বোরুটো।
হিমাওয়ারি আর বোরুটোর সাথে কুশল বিনিময় শেষে নিজের ছেলেকে নিয়ে লাইব্রেরির দিকে এগোয় কাকাশি। কথা ছিল, চুনিন এক্সামের মার্কে কাকাশিকে(কাকাশির নিজের চুনিন এক্সামের মার্ক) পেছনে ফেলতে পারলে, ছেলে সাতোশিকে জিরাইয়া সেন্সের নতুন বই কিনে দেবে ও। সাতোশি চুনিন এক্সামের ইতিহাসে রেকর্ড মার্ক তুলে পেছনে ফেলেছে কাকাশিকে। এখন চুনিন এক্সামের ইতিহাসের ২য় সেরা স্কোরধারি সে। ১ম স্থান যৌথভাবে মিনাটো আর ইটাচির দখলে।
ওয়েল, সাতোশির কাছে জিরাইয়া সেন্সের ‘মেক আউট ট্যাক্টিক্স’ এর শেষ খন্ড বিক্রি করবে না লাইব্রেরিয়ান। তাই, কাকাশিই কিনে দেয় বাধ্য হয়ে।
দ্রুত পা চালায় কাকাশি। রাতে সপরিবারে রিন-অবিতোর বাসায় দাওয়াত আছে ওর ।
—-
হোকাগে অফিস। সাকুমো হাতাকে অফিসের জানালা ধরে দাড়িয়ে আছেন। ধূসর চোখে বাইরের শান্ত পরিবেশ দেখছেন। বয়সের সাথে সাথে মন্থর হয়ে আসছে তার শরীরও। কিছুদিন পর হয়তো মস্তিষ্কেও দানা বাধবে স্থবিরতা-ভাবতে লাগলেন তিনি। তার আগেই সবকিছু গুছিয়ে নিতে হবে। তারপর এই চেয়ারে কাউকে বসিয়ে দিয়ে অবসর নেবেন তিনি। লর্ড থার্ড অবসর নেবার পর প্রায় ২৫ বছর গ্রামে শান্তি বজায় রেখেছেন। একের পর এক উদ্ভট সমস্যার জট খুলে পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলোর মধ্যেও সাম্যাবস্থা বজায় রেখেছেন। যেকোন গ্রামের যেকোন বিপদেই পাশে দাড়িয়েছেন। এই তো সেদিনও হিডেন রেইন ভিলেইজ আক্রমণ করে বসে আকাটসুকিরা। সঙ্গে সঙ্গেই তিনজনের একটা ফুলস্কেল ব্যাটেল টিম পাঠিয়ে দিলেন-যদিও তা হিডেন লিফের জন্যে মোটেই মাথা ব্যাথার কারন ছিল না। তবুও, গ্রামগুলোয় শান্তি বজায় রাখতে যে কোন মূল্য দিতে প্রস্তুত তিনি। তাই, ফুলস্কেল ব্যাটেল হবে জেনেও হাজার খানেক শিনোবির সামনে- অনেকটা নিশ্চিত মৃত্যুর দিকেই ঠেলে দেন নিজ গ্রামের সব থেকে চৌকশ ৩ জন শিনোবিকে। মিনাটোকে ইনচার্জ করে কাকাশি আর শিসুইকে সে মিশনে পাঠান তিনি।

ভয়ঙ্কর এক বাজিই ধরেন তিনি। এমন মিশনে যাবার জন্যে কাউকে অর্ডার করা যায় না। কিন্তু, মিনাটোর ওপর আস্থা ছিল তার। যে শিনোবি, নাইন টেইল আর মাদারাকে তার ১৭ বছরের ছেলেকে নিয়ে আটকে দিতে পারে, অন্তত তার প্রতিটা কথার গুরুত্ব বোঝেন সাকুমো। তাই, মিনাটো যখন একাই এই নিশ্চিত মৃত্যুর দিকে ঝাপ দেবার জন্যে ওর ডিসিশান জানাল, বাধা দেন নি তিনি। তবে, নিজের ছেলে অর্থাৎ, কাকাশিকেও সাথে দিয়ে দেন ওর। কাকাশিকে আগুনে ঝাপ দিতে বলার অধিকার তিনি রাখেন। নিজের ছেলেকে ভালই চেনেন সাকুমো।
ওদিকে একেবারে শেষ সময়ে আরো দু’জন স্বেচ্ছাসেবক জুটে যায়-ইটাচি আর শিসুই। কিন্তু, ইটাচিকে লিস্ট থেকে বাদ দেন সাকুমো কারন, শিসুই আর ইটাচির কেউই না ফিরলে, উচিহাদের ভেতর অসন্তোষ দানা বাধবে, সেই সাথে দূরত্বও তৈরি হবে- যেটা তিনি চান না।
এক হাজার এর বিরুদ্ধে মাত্র ৩ জন। এক অসম আর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মারা পড়ে প্রায় ছয়শোর ওপর শিনোবি। আশ্চর্য জনক হলেও সত্য মিনাটো, শিসুই, কাকাশি কেউই সিরিয়াসলি ইঞ্জুরড পর্যন্ত হয় নি। কিভাবে এই মরণপণ যুদ্ধে স্রোতের মতো আসতে থাকা শত্রুকে হারিয়ে প্রায় অক্ষতভাবেই গ্রামে ফিরলো ওরা, সে গল্প আরেকদিন।
এসব কথা ভাবতে ভাবতেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেললেন। পরবর্তীতে কাকে তার চেয়ারে বসাবেন। দরোজায় নক হতেই পিছন ফিরলেন সাকুমো। জিরাইয়া ঢুকছে রুমে। হাসিমুখে জিজ্ঞেস করলেন,
“তারপর, কি খবর তোমার? সাহিত্যচর্চা কেমন চলছে?”
-“তা তোমার ছেলেকেই জিগ্যেস করো না। সে-ই ভালো বলতে পারবে।”
খোঁচাটা হাসিমুখেই হজম করলেন সাকুমো। তারপর, শান্তস্বরে বললেন, “সারাটা জীবন কি এমন ভবঘুরে হয়েই কাটিয়ে দেবে নাকি?”
-“এই বয়সে বিয়ে থা করতে বলছ নাকি?”
সাকুমো কিছু বললেন না। তিনি জানেন জিরাইয়া বিয়েশাদি করে থিতু হওয়ার মানুষ না, ভবঘুরে টাইপ। যে’কদিন বাঁচবে, এভাবেই কাটিয়ে দেবে। দীর্ঘশ্বাস টা চাপা দিয়ে কাজের কথা পারলেন তিনি, “আকাটসুকির হালচাল কেমন, কোন খবর পেলে?”
-“ওরা আপাতত রেডিও সাইলেন্স মেইন্টেইন করছে। ”
“তাহলে তো ভালই”, বলে উদাস চোখে গ্রামের যেখানটায় পাথরে খোদাই করে হোকাগেদের প্রতিকৃতি তৈরি করা হয়েছে সেদিকটায় তাকিয়ে থাকলেন। ভাবতে লাগলেন, তার অবসর নেবার সময় এসে পরেছে।
—-
ওদিকে সারাদাকে কুনাই-জ্যুতসু শেখাচ্ছে ইটাচি। ইতিমধ্যে ফায়ার বল জ্যুতসু আয়ত্তে নিয়ে এসেছে ও। কুনাই জ্যুতসুও খুব তাড়াতাড়িই রপ্ত করছে। এতো দ্রুত শিখে ফেলার ক্ষমতা দেখে বিস্মিত হল ইটাচি। কিছুক্ষন কি যেন ভাবল, তারপর সারাদাকে জিগ্যেস করল,
“আচ্ছা সারাদা, তোমার জীবনের লক্ষ্য কি?”
-“আমি? আমি বড় হয়ে হোকাগে হব”, বলেই দু’হাতে থাকা আটটা কুনাই ছুড়ে মারলো। লক্ষ্য- গাছের সাথে লাগোয়া আটটা হিট পয়েন্ট, সবগুলোই লক্ষ্যভেদ হল।তারপর, ঘুড়ে দেখল, ইটাচি উঠে দাঁড়িয়েছে।
“আজকের মতো ট্রেইনিং শেষ। চলো, বাড়ি ফেরা যাক। দেরি হলে আবার তোমার মা রাগ করবেন”, স্মিতহেসে বলল ইটাচি।
-“কিন্তু, তুমি না আজ বুনশিন জ্যুতসু শেখাবে….”
ইটাচি মুখে হাসিটা ধরে রেখেই ইশারায় কাছে ডাকে সারাদাকে। কাছে আসতেই কপালে টোকা দেয়ার মতো আলতো করে আঙুল ছোঁয়ালো যেন। তারপর, ওকে নিয়ে বাড়ির পথ ধরে।
————————————————
এ পর্যন্ত লিখেই থামলেন এ গল্পের লেখক। তিনি তার গল্পের স্বল্প পরিসরে সবাইকে সুখি একটা জীবন দেয়ার চেষ্টা করেছেন। চেষ্টা করেছেন, দুঃখ-কষ্ট ব্যাধি-মৃত্যুহীন একটা সুখি লিফ ভিলেজেইর ছবি আঁকতে, যেখানে সবাই মিলে শান্তিতে বাস করতে পারবে।

Ajin [রিভিউ] — Nazmus Sakib Oyon

Ajin

আনিমের নাম : Ajin
এপিসোড : ১৩
ম্যাল রেটিং- ৭.৮৯
ব্যক্তিগত রেটিং- ৮.৪
জনরা – Seinen, Action, Horror, Mystery, Supernatural

সিনপ্সিস : আজিন নামক এক ধরনের বিশেষ প্রজাতি আবিষ্কৃত হয় আফ্রিকাতে সতের বছর আগে। এর পর পুরো দুনিয়া জুড়ে আরও বেশ কিছু সংখ্যক আজিন আবিষ্কৃত হয়। আজিনরা অমর এবং অতিপ্রাকৃত ক্ষমতার অধিকারী। আনিমের প্রধান চরিত্র কেই, একজন সাধারণ হাই-স্কুলের ছাত্র। অবশ্য একটি ঘটনা তার পুরো জীবন কে পাল্টে দেয়।

চরিত্রসমূহ: কেই নাগাই নামের একজন ছাত্র আনিমেটার প্রধান চরিত্র। এছাড়াও কেই এর বাল্যবন্ধু কাইতো, বোন এরিকো, হেলথ মিনিস্ট্রি এর অফিসার তোসাকি, আজিন সাতউ ইত্যাদি চরিত্র সহকারী রুপে থাকে এবং কাহিনীর এগিয়ে যাবার ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখে।

আর্ট এন্ড এনিমেশন : আনিমেটার আর্ট বেশ পরিচ্ছন্ন ও সাবলীল। চরিত্র ও ব্যাকগ্রাউন্ড বেশ সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। এনিমেশন এর ক্ষেত্রে CGI এনিমেশন ব্যবহার করা হয়েছে।

সাউন্ড : আনিমেটার ওপেনিং সং ভালো। এন্ডিং মোটামুটি। কিন্তু এর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক অসাধারণ। আনিমের হরর এবং সুপারন্যাচারাল আবহ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক এর মাধ্যমে খুব ভালোভাবে ফুটে উঠেছে।

আনিমেটার যে দিকগুলো ভালো লেগেছে :

১। প্রধান চরিত্র ” I have done nothing wrong” ঘরানার হলেও এই ধরনের অন্য চরিত্রগূলো হতে বেশ আলাদা। যেখানে এই ধরনের চরিত্রসমূহ সহজে নিজেদের পরিবর্তনের
সাথে খাপ খাওয়াতে পারে না, কেই সেদিক দিয়ে অনেকটাই ভিন্ম। সে বেশ চালাক এবং সহজেই খাপ খাইয়ে নেয়। বিভিন্ন প্রতিকূলতার সম্মুখীন হলেও সে নিজ বুদ্ধি খাটিয়ে বেরিয়ে আসে।

২। CGI এনিমেশনের ব্যবহারের ফলে আনিমেটার ভূতুড়ে আবহ বেশ ভালোভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

৩। অসাধারণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক পুরো আনিমেটাকেই ভিন্মমাত্রা দিয়েছে।

আনিমের যে দিকগুলো খারাপ লেগেছে :

১। CGI এনিমেশনের ফলে চরিত্রগুলোর চলাফেরা কিছুটা আড়ষ্ট এবং ধীরগতির মনে হয়েছে। ফলে এর বেশ ভালো একশন দৃশ্যগুলো পুরোপুরিভাবে ফুটে উঠেনি।

সবশেষে একটা কথাই বলবো, আনিমেটা বেশ ভালো। দেখে টাইম ওয়েস্ট বলে মনে হবে না।

Ichi the killer [মাঙ্গা রিভিউ] — আতা-এ রাব্বি আব্দুল্লাহ

Ichi the Killer

বিশ্বের অনেক দেশেই সরকারের পর সবচেয়ে শক্তিশালী অঙ্গ হল সে দেশের মাফিয়া, কোন কোন ক্ষেত্র মাফিয়াই শক্তিশালি। তো বিভিন্ন গ্যাংয়ের সহবস্থানে চলে এই মাফিয়া ইন্ডাস্ট্রি। এই অন্দ্ধকারে ঢাকা এবং সকলের অগোচরে থাকা এই ইন্ডাস্ট্রির একটি ছোট্ট ঘটনা নিয়েই মাঙ্গা ইচি দ্যা কিলার।
ইচিকে প্রথম দেখায় মনে হবে চোখ টলটলে এক সদ্য কৈশোর পেরোনো যুবক। ভীত হচকিত ভাব, যেন ভাজামাছ উল্টে খেতে জানে না। আসলে তাই, ছোটবেলা থেকে বুলিয়িং এর শিকার হয়ে তার মাথার স্ক্রু ২ একটা আলগা হয়ে গেছে। বড়ধরনের মানসিক সমস্যাতে ভুগছে সে। কিন্তু সে মার্শাল আর্টে দক্ষ এবং তার পায়ে অসুরের জোর। তো এই ইচিকে কাজে লাগিয়ে জিন সান নামক এক বুড়ো লোক। ভুল বুঝিয়ে, ম্যানুপলেশনের মাধ্যমে ইচিকে কাজে লাগিয়ে সে বেশ কয়েকটা খুন করায় এবং ইচি এই খুনগুলো করে ঘোরের মধ্যে, এই ইচির শিকারের হয় যারা তাদের আর এক খন্ডে পাওয়া যায় না। তো এক গ্যাং লিডারকে খুন করে টাকার জন্য এবং সেই খুনের সূত্রে তারা এক পাগলা সাইকো গ্যাং লিডার কাকিহারার সামনে পরে যায় যাকে দেখলে মনে হবে কোন দুঃস্বপ্নের দানব এবং তাদের মধ্যে চলতে থাকে ইদুর বেড়াল খেলা।
প্রথমেই এই মাঙ্গা পড়তে হলে মানসিকতা যথেষ্ট শক্ত থাকতে হবে। নুইড্যিটি, ভায়োলেন্স, গোর টর্চার আরও প্রচুর এডাল্ট আর অবসেন্স দৃশ্য আছে যা সকলের কাছে হজম নাও হতে পারে। আর্টও বেশ ডিস্টার্বিং। এই মাঙ্গার উপর ভিত্তি করে ২০০১ সালে একটি মুভিও বানানো হয়। এর ক্যারেকটারগুলো ইন্টারেস্টিং এবং চালবাজিগুলো অসাধারণ। যারা গোর এবং একশানের ভক্ত তারা পড়ে দেখতে পারেন এই ১০ভলিউমের মাঙ্গা ইচি দ্যা কিলার।

 

‘ইফ ইউ লাইক দিস ইউ মে অলসো লাইক দ্যাট’ – ১৯

ইফ ইউ লাইকড ‘Mahou Shoujo Madoka★Magica’ ইউ মে অলসো লাইক ‘Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru

Madoka 1

আপনার কাছে ‘Mahou Shoujo Madoka★Magica ভালো লাগলে ‘Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru ও ভালো লাগতে পারে
কারণ-
Mahou Shoujo Madoka★Magica’ ও ‘Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru’ এর মধ্যে মিল-
* সেইম কনসেপ্ট।
* মাহৌ শৌজোদের (ম্যাজিকাল গার্ল) নিয়ে কাহিনি।
* ড্রামা আর ম্যাজিক জনরার মিল।
* পৃথিবীর মানুষকে বিভিন্ন ক্ষতিকর ক্রিয়েচারের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য একদল মেয়ের এইসব ক্রিয়েচারের বিরুদ্ধে ফাইট করা নিয়ে কাহিনি।
* ফাইট করতে করতে অবশেষে সত্যি জানতে পারা।
* ম্যাজিকাল গার্ল হওয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে ক্যারেক্টারদের নিজেদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব।
* দুই অ্যানিমের ক্যারেক্টারদের মাঝে মিল।
* সিমিলার ভাইব।
* কাহিনি আগানোর সাথে প্লট ডার্ক হতে থাকা।
* ভালো OST.
Yuki Yuna
Mahou Shoujo Madoka★Magica ও ‘Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru এর মধ্যে অমিল-
* Mahou Shoujo Madoka★Magica তুলনামূলকভাবে বেশি ডার্ক আর সাইকোলজিক্যাল জনরার ম্যাটেরিয়াল বেশি।
* Mahou Shoujo Madoka★Magica এর সিকুয়েল হিসেবে মুভি আছে, Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru শুধু ১২ এপিসোড এর সিরিস।
* Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru এর এন্ডিং Mahou Shoujo Madoka★Magica এর এন্ডিং এর তুলনায় লাইট।
* Mahou Shoujo Madoka★Magica, Shaft studio এর করা। Yuuki Yuuna wa Yuusha de Aru, Studio Gokumi এর করা।
Yuuki Yuuna Madoka MagicaYuuki YuunaMadoka 2