ভিডিও ব্লগিং বা Vlogging হাল আমলের তুমুল জনপ্রিয় জিনিস। বিশেষত ভিডিও আপলোড করে অর্থ উপার্জনের দুয়ার খুলে যাওয়ায় অনেকে জীবিকার পথ হিসাবেই বেঁছে নিয়েছে এটা। যা একটি বৈপ্লবিক ব্যাপার। ইউটিউব, বা চীনের উইবু এর মতো প্লাটফর্ম এই বিপ্লবে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রেখেছে। শুধু যে অর্থ আয়ের রাস্তা তা নয়, রীতিমতো সেলিব্রেটি বনে গেছে অনেকে ভিডিও ব্লগিং করে। তো ইউটিউবে ভিডিও আপলোড করে পয়সা, খ্যাতি অর্জন নিয়ে চমৎকার একটা ওয়েবটুন/মানহোয়া রয়েছে। নাম How to Fight.
☆কাহিনী সারসংক্ষেপ✰
হবিন এক গরিব হাই স্কুল পড়ুয়া ছেলে। দুর্বল হবিনের উপর সহপাঠীদের bullying চলে। চুপচাপ সহ্য করে গেলেও একদিন সহ্যের বাধ ভেঙে একজনের সাথে মারামারি লেগে যায়। কিন্তু অপ্রত্যাশিতভাবে এই মারামারির দৃশ্য লাইভ ভিডিও আকারে আপলোড হয়ে যায়। আর এতেই সে রাতারাতি ভাইরাল হয়ে উঠে! এরপর সেই ভিডিও কে কাজে লাগিয়ে নতুন চ্যানেলকে আরো জনপ্রিয় করার মনস্থির করে হবিন। যাতে প্রত্যক্ষভাবে উৎসাহ যুগিয়েছে টাকা আয়ের বাসনা। সিদ্ধান্ত নেয় মারামারির ভিডিও আপলোড করেই চ্যানেলটা গড়ে তুলবে। কিন্তু দুর্বল ছোট্টখাট্টো হবিন এর সাথে আর যাই হোক মারামারির ব্যাপারটা যায় না। তাই ইউটিউব থেকেই ঘরোয়া উপায়ে মারামারি শিখার টিউটোরিয়াল দেখে ভ্লগিং করার খোঁজ চালায় সে। এরপর যা হয় তা বললে স্পয়লার হয়ে যাবে মনে হয়। তাই বেশি কিছু বললাম না।
মানহোয়ার আর্ট খুব নজরকাড়া। মুখের অভিব্যক্তিগুলো তো দেখার মতো। উদাহরণ হিসাবে ৩য় ছবিটি দেখুন। চরিত্রগুলোর বিকাশ বেশ ভালো লাগছে এখন পর্যন্ত। মানহোয়াটার মূল আকর্ষণ এটার মারামারির দৃশ্যগুলি। মজার ব্যাপার হলো, মারামারিতে বাস্তব মার্শাল আর্ট / স্পোর্টস এর বিভিন্ন রেফারেন্স ব্যবহার করা হয়েছে। মার্শাল আর্ট নিয়ে আগা-মাথা কিছু না জানলেও মারামারিগুলো দেখতে চরম আকর্ষণীয় লাগে। সম্প্রতি Line Webtoon থেকে ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশ করা শুরু হয়েছে Viral Hit নামে। কিন্তু শুনেছি অনুবাদ সুবিধার না। PH Scans, Death Troll স্ক্যানলেশন গ্রুপের ব্যানারে ৫৮ টা চাপ্টার বের হয়েছে এখন পর্যন্ত। তাদেরটা পড়ে দেখতে পারেন।
অতিরিক্ত তথ্য- এই ওয়েবটুন এর স্রষ্টা এর আগে জনপ্রিয় Lookism সিরিজটা তৈরি করেছেন।