MADE IN ABYSS [রিভিউ] — Zunaid Mashrafee

MADE IN ABYSS
লেখক: আকিহিতো সুকুশি
 
•> মাঙ্গা
প্রকাশকাল: ২০১২-চলমান।
ভলিউম:- ১১টি
প্রকাশিত: তাকেশোবো ম্যাগাজিন
 
•> এনিমে
প্রথম সিজন:
প্রচারকাল: ৭ জুলাই-১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এপিসোড: ১৩ টি
স্টুডিও: কিনেমা সাইট্রাস
ডাইরেক্টর: মাসায়ুকি কজিমা
 
২০১৯ সালে মোট ২টি মুভি বের হয়। “Journey’s dawn” আর “Wandering twilight”. মুলত এই দুইটা মুভিতে প্রথম সিজনে যা দেখানো হয়েছে তা একসাথে কভার করা
হয়েছে। ২০২০ সালে আরেকটি মুভি বের হয়, “Dawn of the deep soul”.
•>সিজন ২: The golden city of the scorching sun
পর্বসংখ্যা:- ১২
সম্প্রচার: জুলাই ৬-সেপ্টেম্বর ২৮,২০২২।
****
এক বিশাল খাদের আবিষ্কার হয় হঠাৎ, যে খাদের শেষ গিয়ে ঠেকেছে পৃথিবীর তলায়। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই একে চেনে, Abyss নামে। খাদটি কেবল বিশাল খালি গহ্বর না। এর ভেতরে রয়েছে আমাদের চেনা জগতের থেকে আলাদা আরেকটা জগৎ। রয়েছে জীববৈচিত্র্য, বিভিন্নরকম ভৌগোলিক পরিবেশ, আর বিচিত্র রকমের artifacts. এমন সব পদার্থ যার সন্ধান abyss এর বাইরের পৃথিবীতে কখনো পাওয়া যায় না ‌। কিন্তু সেখানে যাওয়াটা মোটেও সহজ না। পুরো abyss একটি অজানা শক্তির চাদরে আবৃত, যেটি curse of abyss নামেই পরিচিত। যে কেউই খাদে নামুক, উপরের দিকে আসতে গেলেই শারিরীক ভাবে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে, হতে পারে মৃত্যুও। যতো গভীরতা, ততোই অভিশপ্ত শক্তির প্রভাব বিদ্যমান সেই “abyss” এ।
 
পৃথিবীর বুকে রহস্যময় জায়গার শেষ নেই। এই জায়গাগুলো চিরকাল মানবজাতির জন্য কৌতুহলের খোরাক জুগিয়েছে‌। মানবসভ্যতার সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে দুর্গম অঞ্চলগুলো‌। মৃত্যুর হাতছানি যতোই থাকুক, বিচিত্র জগৎকে ছুঁতে পারার তাড়না কখনোই থামে নি। Abyss ও ব্যাতিক্রম না, abyss কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে “ওর্থ” শহর। গড়ে উঠেছে একদল অভিযাত্রী, যাদের কাজ abyss এর তলা থেকে বিভিন্ন ধরণের artifact সংগ্রহ।অভিশপ্ত শক্তির সাথে খাপ খাইয়ে গভীরে যেতে পারার সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই অভিযাত্রীদের দলকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে‌। একেক দলের কাছে একেক রঙের বাশি দেয়া হয়, পদবীর প্রতীক হিসেবে। একেবারে নবীন যারা খাদের মুখে কাজ করে, তারা লাল বাশি, আর যারা একেবারে ভিতরে, ভয়াবহ প্রতিকুল পরিবেশে সংগ্রামে সক্ষম তারা পায় সাদা বাঁশি।
মাটির হাজারখানেক ফিট নিচে কাজ করা সহজ না অবশ্য‌ই, তাই abyss আবিষ্কারের পর খুউব কম white whistles এসেছে। এর‌ই মধ্যে একজন কিংবদন্তী white whistles লাইজা। যার মেয়ে রিকো ওর্থ শহরের‌ই বেলচেরো এতিমখানায় বড় হয়, এবং তাকেও abyss এর artifact সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করা হয়। “Red whistle” প্রাপ্ত রিকো যে কিনা একজন ব‌ইপড়ুয়া ও “Nerd”, হঠাৎ করেই একদিন বিদ্যুৎচালিত cyborg সদৃশ একটি artifact খুঁজে পায়। রিকো এর নাম দেয়, রেগ‌‌। এবং সেদিন থেকে তার বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তব হবার সম্ভাবনা দেখতে পায়। খাদের শেষ প্রান্তে যেখানে white whistles দের বসবাস, সেখানে সে যাবে, দেখা করবে, তার মা লাইজার সঙ্গে।qqখনির নিচের প্রতিকুল আবহাওয়া, ভয়ংকর প্রাণী জগৎ আর অভিশপ্ত শক্তির প্রভাব- সব উপেক্ষা করেই ছোট্ট রিকো সিদ্ধান্ত নেয়, তার অভিযান চলবেই! অদ্ভুতরকম সক্ষম রেই, তাকে প্রেরণা যোগায় এই অসম্ভব প্রতিকুল পরিবেশ জয় করার।
Made in abyss এনিমের সবচেয়ে বড় শক্তি এর অসম্ভব সুন্দর এবং detailed World building. আমার কাছে abyss এর সাথে রাশিয়ার kola super deep borehole এর সাযুজ্যটা চোখে পড়েছে ভীষণ। খাদের প্রতিটা স্তরে লেখক বিভিন্নরকম পরিবেশ আর জীবজগতের বিস্তারিত ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
পুরো এনিমেটাই খাদের প্রতিটা স্তরে রিকোর অভিযান, তার সম্মুখে থাকা পরিবেশগত challenge এবং সেগুলোকে উতরে আসার ছোটবড় গল্পে সাজানো। তবে এর‌ই সাথে বেলচেরোর এতিমখানায় রিকোর আপাত করুণ জীবন, abyss কে ঘিরে artifact ব্যবসা, অভিজাত white whistles দের জটিল মনোজগৎটা মাঙ্গাকা সুন্দরভাবে চিত্রায়ণ করেছেন। রিকোর প্রখর মেধা ও ইচ্ছাশক্তি আপনাকে যেমন নাড়া দিয়ে যাবে। রেগ একটি cyborg ধরণের কিছু। কিন্তু এর আচার আচরণ আর প্রকৃতি বেশ আশ্চর্যজনক। একটি ভালো গল্পে নায়কের পাশাপাশি খলচরিত্রের প্রয়োজন আছে। গল্পের antagonist বন্ড্রিউডকে সময়ের অন্যতম সেরা antagonist বললে ভুল হবে না হয়তো।
সব মিলিয়ে, আমি বলবো, এই এনিমে মিস করার মতো না। এই শীতকালে কম্বলের তলায় শুয়ে দেখে ফেলুন, “Made in abyss”.

Inu-Oh [রিভিউ] — Shan To

Inu-Oh
Genre: Fantasy.
Themes: Historical, Music, Performing Arts.
সময়সীমা: ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট.
 
গল্পটি ইনু-ওহ এবং টোমোনার জীবন সংগ্রমের গল্প।টোমোনা একটি দুর্ঘটনায় তার বাবা এবং তার দুই চোখ হারায়।অপরদিকে,ইনু-ওহের বাবা তার নিজ স্বার্থের জন্য রাক্ষস মুখোশের সাথে একটি চুক্তি করেছিলেন।যার কারনে ইনু-ওহ বিকৃত শরীর নিয়ে জন্মায়।তবে তাদের মাধ্যে ছিলো বিশেষ প্রতিভা।যেমন টোমোনা বিওয়া বাজাতে এবং ইনু-ওহ নোহ নাচ করতে পারতো।তাদের এ প্রতিভার সংমিশ্রণে এমন এক জিনিস তৈরি করে যা তাদের সংস্কৃতি থেকে পুরোপুরি ভিন্ন।যার কারনে তাদের খ্যাতি সারা শহরে ছড়িয়ে পরে এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
একদিকে,ড্যান নো উরার যুদ্ধে গেঞ্জি বংশ হেইক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে।তখন শিশু সম্রাট ও তার দাদু এক বিশেষ তরোয়াল বহন করার সময় ডুবে যায়।যুদ্ধের কয়েকশত বছর পর আশিকাগা ইয়োশিমিতসুর লোকেরা টোমোনা এবং তার বাবাকে ভাড়া করে ডুবে যাওয়া তরোয়ার খুজে বের করার জন্য।তারা হেইক গোষ্ঠীর জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি তরোয়াল খুজে পেলে,এই তরোয়াল একটি শক্তির ফলক ছেড়ে দেয় যা টোমোনার বাবাকে অর্ধেক কেটে ফেলে এবং টোমোনাকে অন্ধ করে ফেলে।পরবর্তীতে টোমোনা অন্ধ বিওয়া খেলোয়াড়দের একটি সদস্য হয়ে যায়।যারা মারা যাওয়া যুদ্ধার আত্মাদের সুরেলা কন্ঠে গল্পের মাধ্যমে শান্ত করে।আরেকদিকে,ইনু-ওহ জন্মায় বিকৃত দেহ নিয়ে।তবুও সে নোহ নাচে পারদর্শী হয়ে ওঠে এবং তার ইচ্ছে ছিলো সারা দেশে সে বিখ্যাত হয়ে উঠবে নাচের মাধ্যমে।পরবর্তীতে টোমোনার সাথে তার বন্ধুত্ব হয়।একপর্যায়ে টোমোনা তার বাবার আত্মার কথা ইনু-ওহকে বললে সে খেয়াল করে হেইক যোদ্ধাদের অনেক আত্মা ইনু-ওহকে ঘিরে রেখেছে এবং তাকে তাদের গল্প বলছে।এ থেকে তারা উৎসাহিত হয়ে পারফরম্যান্স শুরু করে যেখানে টোমোনা তার নাম পরিবর্তন করে টোমোরি রাখে এবং সে নিজেকে তার
সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে যেমনঃ- মেয়েলি পোশাক পরতে শুরু করে,মেকআপ করা শুরু করে, এবং চুল বড় রাখে।তারা দুজন আধুনিক যুগের ব্র্যান্ড এর মতো গানের পাশাপাশি নাচ করা শুরু করে,,, আরো কতকি।তারা খুব তারাতাড়ি শহরে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।তারা খ্যাতি অর্জন এর পাশাপাশি ইনু-ওহের বিবৃত শরীর ধিরি ধিরে সাভাবি হতে শুরু করে।
এনিমেশন,ভয়সে এক্টিং,সাউন্ডট্র্যাক খুবই ভালো।আনেক কালারফুল একটা এনিমে।ভয়সে এক্টাররা প্রতিটি কথাকে যেভাবে গানের মাধ্যমে বলেছে তা অসাধারণ।সব মিলিয়ে খুবই মজার একটা এনিমে এটা।

Yawara! A Fashionable Judo Girl [রিভিউ] — Nazmus Sakib

আনিমে – Yawara! A Fashionable Judo Girl
এপিসোড সংখ্যা – ১২৪ + ১টি মুভি
লেখক – নাওকি উরাসাওয়া
স্টুডিও – ম্যাডহাউজ
ম্যাল রেটিং – ৭.৫০
ব্যক্তিগত রেটিং –
 
ধীরলয়ের, রিল্যাক্সিং, ও ব্যতিক্রমী স্পোর্টস কমেডি ড্রামা। “মন্সটার”- খ্যাত উরাসাওয়ার অপেক্ষাকৃত হাল্কা স্বাদের ও হ্যাপি মুডের কাজ এটি। পুরোনো দিনের স্লো পেসড ড্রামা দেখতে চাইলে এটি হতে পারে আইডিয়াল।
 
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
সময়কাল আশির দশকের শেষদিক। ভীষণ প্রতিভাধর এক জুডো খেলুড়ে পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের কিশোরী মেয়ে ইয়াওয়ারা। জুডোতে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু জুডোতে মোটেও আগ্রহ নেই ওর। সে বরং চায় সাধারণ মেয়ের মতই জীবনটাকে উপভোগ করতে, যৌবনের স্বাদ নিতে, ট্রেন্ডি স্টাইলের কাপড়চোপড় পরতে। কিন্তু বাদ সাধেন ওর দাদু। এক সময়কার ডাকসাইটে জুডোকা ঐ দাদুর শাসনে ইয়াওয়ারাকে প্রতিনিয়ত জুডোর প্র্যাকটিস করতে হয়। তার দাদুর একটাই ইচ্ছা – ইয়াওয়ারা যেন বার্সেলোনা অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে। শুরু হয় ইয়াওয়ারার স্বাভাবিক জীবন আর জুডোকা হিসেবে ক্যারিয়ারের মাঝে ব্যালেন্স করে পথচলা। পথে ওর অনেক বন্ধু জুটে, ভালোবাসার পাত্রও জুটে যায়। এভাবেই আমাদের চোখের সামনে সে বেড়ে উঠতে থাকে আর জীবনের নানা মোড় পেরোতে থাকে।
 
গল্পঃ ৭
ট্রাডিশনাল স্পোর্টস সিরিজগুলো থেকে এটি একটু আলাদা। এখানে মেইন ক্যারেক্টার ইতিমধ্যেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবার দাবি রাখে। কিন্তু সে কিছু মানসিক বাধার কারণে নিজের ফুল পটেনশিয়ালটা ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে। উল্টাদিকে ওর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কিছু রাইভ্যালের আবির্ভাব ঘটে, যারা দিনরাত খেটে ওর লেভেলে যাবার চেষ্টা করতে থাকে। এর পাশাপাশি গল্পে ঐ সময়কার জীবনের নানা দিক ও আবেগ ফুটে উঠেছে নৈপুণ্যের সাথে।
 
চরিত্রায়ণঃ ৯
সিরিজের স্ট্রং পয়েন্ট আসলে এই জায়গাতেই। ইয়াওয়ারাকে ভালো না লেগে থাকাই যায় না, এমন করেই বাস্তবতার ছোঁয়া দিয়ে তাকে গড়ে তুলেছেন লেখক। প্রায় প্রতিটা পার্শ্বচরিত্রের আছে আলাদা বৈশিষ্ট্য, যা মনে গেঁথে যায়। বেশ দীর্ঘ এই সিরিজে মূল চরিত্র ছাড়াও এদের সবাইকে সময় নিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন লেখক। প্রায় কেউকেই ওয়ান ডিমেনশনাল বলা যাবে না।
 
আর্ট ও এনিমেশনঃ ৮
আনিমের সময়কার আর্ট ও এনিমেশন স্টাইল ফলো করা হয়েছে। উরাসাওয়ার চিরাচরিত বাস্তবধর্মী ডিজাইনের প্রয়োগ ঘটেছে এখানে, যা গল্পের সাথেও যুতসই হয়েছে। “A Fashionable Judo Girl ” তকমা পাওয়া ইয়াওয়ারাকে একেক এপিসোডে একেক সাজে দেখতে পাওয়া যায়। জুডো ম্যাচের ডাইন্যামিক মুভমেন্টগুলো যত্নের সাথে দেখানো হয়েছে।
 
সাউন্ডঃ ৭
তিনটার মতো আলাদা ওপেনিং ও এন্ডিং গান ব্যবহার হয়েছে। কয়েকটা বেশ মনে ধরার মতো। তাছাড়া পুরনো দিনের কিছু সুদিং মিউজিক শোনা যাবে এই আনিমেটিতে।
 
এঞ্জয়মেন্টঃ ৯
উরাসাওয়ার ও পুরনো দিনের আনিমে ভক্ত হিসেবে এটি সত্যিকার অর্থেই এঞ্জয় করেছি। মধ্যভাগে এসে খুব বেশি স্লো হয়ে যাওয়ায় ধৈর্যচ্যুতি যে একেবারেই হয়নি তা বলতে পারি না, তবে মোটের উপর এটি দেখে সময়টা দারুণ কেটেছে। দেখার পর আনিমেটাকে মিস করছি। আনিমেটি দেখতে গিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন রকম আবেগ অনুভব করেছি। চরিত্রগুলিকে খুব কাছের মনে হয়েছে।
 

Kenichi the Mightiest Disciple [রিভিউ] — Zunaid Mashrafee

কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপল
Kenichi the Mightiest Disciple
 
জাপানি উচ্চারণ: শিজো সাইকিয়ো নো দেশি কেনিজি
মাঙ্গা:
(original)
লেখক:-সিয়ুন মাৎসুয়েনা
প্রকাশকাল:-১৯৯৯-২০০২
ভলিউম:-৫
(Remake)
এপ্রিল ২০০২-সেপ্টেম্বর ২০১৭
ভলিউম:-৬১টি
এনিমে:
প্রকাশকাল:-অক্টোবর ২০০৬- সেপ্টেম্বর ২০০৭
এপিসোড সংখ্যা: ৫০টি
স্টুডিও:- TMS entertainment
নির্দেশনা:-হাজিমে কাগেয়ামা
ওভিএ:
প্রকাশকাল: মার্চ ২০১২-২০১৪
স্টুডিও: Brains Base
পর্বসংখ্যা: ১১
 
 
একটি চরম underrated এনিমে।
শোনেন জনরায় কিছু বিষয় এতোই কমন যা প্রতিটি এনিমেতেই এসে হাজির হয়। তাদের মধ্যে একটি বিষয় হলো, দুর্বল চিকনচাকন প্রধান চরিত্রের হাট্টাকাট্টা বিশ্ববিজয়ী হয়ে ওঠার গল্প। এইটা প্রায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব শোনেনে পাওয়া যায়, যার ফলে এটাই সবচেয়ে কমন “ট্রোপ”।
বিরিয়ানি তো দিনশেষে গিয়ে ভাত আর মাংস‌ই। কিন্তু রন্ধনের পদ্ধতি আর গুণে কিছু হয় কাচ্চি, কিছু হয় তেহারি কিছু হয় স্রেফ খাওয়ার অযোগ্য। শোনেন‌ও তেমনি এক‌ই কনসেপ্টের উপর বেজ করে হলেও কাহিনী বর্ণনার গুণে কোনগুলো লিজেন্ড, কোনগুলো উল্লেখ করার মতো না।
আর তারপর আসে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের মতো আন্ডাররেটেড, কেউ চিনে না টাইপ রত্ন।
জাপানি স্কুল পড়ুয়া চিকন চাকন বুলির হাতে পেদানি খাওয়া ছেলে কেনিচি। নিজেকে ডিফেন্ড করা শিখতে তাই বিভিন্ন ব‌ইপত্র পড়ে কেনিচি। কিন্তু গ্রন্হগত বিদ্যা দিয়ে কি আর বাস্তবজীবনে টিকে থাকা যায়?
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস হোক, আর যা হোক কোনো না কোনোভাবে রিওজানপাকু বলে একটা মার্শাল আর্ট দোজোর সন্ধান পায়। পায় বলতে, দোজোটা তাকেই একধরণের খুঁজে নেয়।
এই এনিমেটাতে যেই জিনিসটা ভালো লেগেছে, সেটা হলো মার্শাল আর্টের বাস্তবসম্মত উপস্হাপন। টেকনিক ও প্রাক্টিসের সমন্বয়ে যে সাধারণ মানুষ‌ও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারে, এই মেসেজটা এখানে স্পেশাল। পপুলার মার্শাল আর্ট এনিমেগুলো বলতে সাধারণত আমরা যেগুলো চিনি, যেমন বাকি দ্য গ্রাপলার, কেনগান আশুরা এগুলোর থেকে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের একটা দিক একটু অনন্য বলতে হবে। এখানে নেই কোন ভয়ংকর রকমের রক্তারক্তি বা masculine fantasy. এটা আমার আপনার মতো স্রেফ একটা সাধারণ ছেলের বুলির বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর একটা অসাধারন কাহিনী।
কাহিনীর পেসিং শুরুর দিকে ভালো থাকলেও মাঝখানে একটু বোরিং লাগতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে দেখতে থাকলে রতন পেতে পারেন। এনিমেশনটা পুরনো যুগের এনিমের মতোই, ঐখান থেকে ঝা চকমকে ইউফোটেবল বা মাপ্পা ক্লাসের কিছুই পাবেন না। কমেডি আছে প্রচুর, কারো কাছে একটু sketchy লাগতে পারে। কেনিচির সময় সময় হাল্কা করে মরে যাওয়ার expression টা দারুণ লেগেছে।
তো, সময় করে দেখে নিতে পারেন এই আন্ডাররেটেড এনিমেটা। কম ভালো লাগলেও হতাশ হবেন না। আর Ost টা মিস করবেন না।

Maquia: When the Promised Flower Blooms [মুভি রিভিউ] — Md. Anik Hossain

Iorph – এক পৌরাণিক জাতিবিশেষ। অন্য মানুষদের থেকে যারা একটুখানি আলাদা। স্বাভাবিকের থেকে যারা বাঁচে অনেক বেশি বছর। তাদের শারীরিক ও মানসিক বৃদ্ধিও তাই ঘটে খুবই ধীরে ধীরে। ফলে শত শত বছর যাবত্ তারা যেন ধরে রাখে নিজেদের তারুণ্য। মানব সভ্যতা থেকে দূরে পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা প্রত্যন্ত কিন্তু অপার সৌন্দর্যে ঘেরা ছোট্ট একটা গ্রামে তাদের বসবাস। চিরযৌবনা এ জাতির জীবন আবর্তিত হয় “হিবিওল” নামের তাঁতের এক বিশেষ মিহি কাপড় বুনে। তাঁতের বুননে বুননে তাদের ইতিহাস, ধর্মবিশ্বাস ,সংস্কৃতি ফুটে উঠে। নিজেদের মনের ভাষা পর্যন্ত এই কাপড়ের মাধ্যমে আদান-প্রদান করার কৌশল রপ্ত করেছে তারা। আর তাদের ই একজন Maquia. লাজুক, একাকী এতিম কিশোরী মেয়ে। গ্রাম প্রধানের আশ্রয়ে থাকে আর তার ছোটো-খাটো কাজে সাহায্য করে। একাকীত্বে ভোগা মাকিয়া দেখতে চায় এই জগত্টাকে, অনুভব করতে চায় অকৃত্রিম ভালো লাগার। কিন্তু গ্রাম প্রধান তাকে নিষেধ করে বাইরের জগতের মানুষের সাথে মিশতে, তাদের ভালোবাসতে। কারণ সেই মানুষগুলো মরে যাবে দীর্ঘজীবি Iorph দের তুলনায় অনেক আগেই। তখন প্রিয় মানুষগুলো হারিয়ে যাবে এক এক করে। অথচ Iorph রা থেকে যাবে প্রায় অনন্ত সময় ধরে। হারানোর এই ব্যাপারটি শুধু কষ্টই দিয়ে যাবে… সৃষ্টিকর্তা যেন Iorph দের এভাবেই তৈরি করেছে।
 
মাকিয়া ও অন্যান্য Iorph রা সুখে শান্তিতেই বাস করছিল। ছবির মতো সুন্দর জনপদ আর আছে অপূর্ব কাপড়। যার কদর চারিপাশজুড়ে। কাপড় বিক্রি করেই মিটে যায় পেশা নির্বাহের কাজ। কিন্তু কোনো সুখ চিরস্থায়ী নয়। Iorph দের এই চিরযৌবনের দিকে নজর পড়ে Mezarte রাজ্যের রাজার। সেই কুনজরে এক রাতে পুরো Iorph দের গ্রামে নেমে আসে ধ্বংসলীলা। অধিকাংশ Iorph মারা যায় ড্রাগনের পিঠে চরে আসা রাজকীয় বাহিনীর হাতে, নয়ত ধরে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীতে। কিন্তু কোনো এক ভাবেই হোক , মাকিয়া সেই নারকীয় অবস্থা থেকে বেঁচে যায় আর এক বনে এসে উপস্থিত হয়। কিন্তু পুরো গ্রামকে হারিয়ে ভেঙ্গে পড়ে মাকিয়া….. আর উঁচু থেকে লাফিয়ে আত্মহত্যার জন্য উদ্যত হয়, ঠিক তখন ই বনের অদূরে ভেসে ওঠে এক বাচ্চার কান্নার আওয়াজ। হতোদ্যম মাকিয়া এগিয়ে যায় কান্নার উত্সের দিকে, আর এক তছনছ করা বসতিতে খুঁজে পায় একটি শিশুকে… মৃত মা শেষপর্যন্ত তার জীবন দিয়ে রক্ষা করেছে কলিজার টুকরো ঐ বাচ্চা শিশুটিকে। প্রথম নজরেই ছোট্ট এই বাবুর প্রতি মমতা অনুভব করে মাকুয়া। তারপর উদ্ধার করে খুঁজে পাওয়া অনাথ এই শিশুকে সাথে করে নিয়ে যায় আরেক অনাথ মাকিয়া। অতঃপর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে মাকিয়া খুঁজে পাওয়া সেই বাবুকে নিজের সন্তানের মতো বড় করতে থাকে। কিন্তু সেই মা নিজেই মনের দিক থেকে শিশুশুলভ, সে কীভাবে আরেক শিশুকে লালন পালন করবে? তারচেয়েও বড় কথা – একদিন এই বাচ্চাটি বড় হবে, নিজের সন্তানের বাবা হবে, বৃদ্ধ হবে, একদিন চোখের সামনেই মারা যাবে। কিন্তু শত শত বছর ধরে বাঁচতে সক্ষম Maquia চিরদিন দেখতে একই রকম থেকে যাবে, দিন পেরিয়ে বছর যাবে, তবুও বাহ্যিক কোনো পরিবর্তন তাকে ছুঁতে পারবে না। একদিন সে বেঁচে থাকবে, কিন্তু প্রিয় সন্তান আর অন্যেরা তাকে ছেড়ে না ফেরার দেশে চলে যাবে। মূলত এমন বাস্তবতাকে ঘিরেই এগিয়ে যায় এই বছর মুক্তি পাওয়া এনিমে মুভি “Maquia : When the Promised Flower Blooms” এর কাহিনী।
উপরের অংশটিতে মূলত মুভি নিয়ে একটু জানানোর চেষ্টা করেছি, আরো ছোটো করে লিখতে চেয়েছিলাম তবে সহজ করে বর্ণনা করতে গিয়ে একটু বড় হয়ে গেল। তবে মুভির পটভূমি নিয়ে আজকের লেখাটা নয় প্রধানত। ব্যক্তিগত বিচার-বিশ্লেষণ, ভালো লাগা-মন্দ লাগা নিয়ে অল্প-স্বল্প লিখব নির্দিষ্ট করে বললে।
 
মুভিটা সম্পর্কে প্রথম জেনেছিলাম অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড অঞ্চলে এনিমে ডিস্ট্রিবিউটর Madman Entertainment এর অফিশিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে, সেখানে মুভির ট্রেইলারটা দেখে বড়ই সন্তুষ্ট হয়েছিলাম। তয় অনলাইনে তখনো আসেনি তাই সেসময় দেখতে পারিনি।এই ৬-৭ মাসে প্রায় ভুলেই গেছিলাম এটার কথা। কিন্তু দিন কতক আগে দেখলাম ইতোমধ্যেই অনলাইনে এসে গেছে! কেন যেন এতদিন চোখে পড়েনি এটা। দীর্ঘসূত্রিতা না করে তত্ক্ষণাত্ নাফিয়ে ফেলি পুরো মুভি। আর আজ শুক্রবার বন্ধের সকালে নাশতা খাওয়ার পরই দেখতে বসে যাই। প্রায় দু’ঘন্টার এক চমত্কার মুভি উপভোগ করলাম তা নিঃসংকোচে বলা যায়।
 
 
প্রথমত, মুভির visual ছিল এক কথায় দারুণ! P.A. Works কে ধন্যবাদ দিতে হয় এজন্য। তবে ক্যারেক্টার ডিজাইনগুলো কোনো এক কারণে খুব বেশি আকর্ষণ করেনি আমাকে। বিশেষত মাকিয়া এর ডিজাইন। হতে পারে চিরায়ত চোঁখা চোঁখা আকৃতির মুখ দেখতে দেখতে গোলগালা ডিজাইনের সাথে মানিয়ে নিতে পারিনি। কিন্তু এটুকু বলতে পারি কিছু কিছু দৃশ্যে সাইডের দিক থেকে মাকিয়া এর চেহারা খুব বেমানান ছিল। এক্ষেত্রে সম্ভবত উন্নতি করার সুযোগ ছিল। যাই হোক, সব দিক বিবেচনায় আমি ৯/১০ দিব এনিমেশন আর্টওয়ার্ক বিভাগে। এই বিভাগটি যদিও একান্ত ব্যক্তিগত ভালো লাগার জিনিস। হতে পারে ওভাররেটিং করছি, তবে মনে করি কেউ আশাহত হবেন না মুভির এনিমেশন দেখে।
 
দ্বিতীয়ত, মুভির পটভূমি ছিল আগ্রহজাগানিয়া, কাহিনী প্রবাহও বেশ স্মুথ লেগেছে। এখানে একটা বিষয় বলে রাখি, টাইম স্কিপের একাধিক দৃশ্য ছিল। যার বেশিরভাগ খাপ ছাড়া লেগেছে। টাইম স্কিপগুলো আরো ভালো করতে পারত।একেবারে খারাপ লেগেছে তা নয়, কিন্তু আহামরি ছিল না। ডিরেক্টর ও একইসাথে রাইটার হিসেবে মারি ওকাদা এর প্রথম মুভি ছিল এটি। আশা করি ভবিষ্যতে আরো জোড় দিবেন টাইম স্কিপিং এর ব্যাপারটাতে। সামগ্রিকভাবে এই ডিপার্টমেন্টে ৮/১০ দিব।
 
তৃতীয়ত, ইমোশনাল ব্যাপার নিয়ে আমার আলাদারকম দূর্বলতা আছে। আর এক্ষেত্রে মুভির আবহ, চরিত্রগুলোর মধ্যে মিথস্ক্রিয়া,বাস্তবতার নিরিখে মাকিয়া ও তার ছেলের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে সৃষ্ট টানাপড়েন খুব বাস্তবসম্মত লেগেছে। প্রচন্ড রকম ইমোশনাল ছিল। মুভি শেষে চোখ ভিজে গিয়েছিল একদম। অবশ্য অনেক ক্ষেত্রেই দূর্বল চরিত্রায়নও চোখে লেগেছে। কয়েকটা চরিত্রকে ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারেনি। রাজার সেনাপ্রধানের কথা এ ক্ষেত্রে বলা যেতে পারে। এখানে আমি কোনো রেটিং দিব না কিছু সংগত কারণে।
 
চতুর্থত, মুভিতে গান না থাকলে হয় নাকি :v ? Ending সাউন্ডট্র্যাক টা অসাধারণ ছিল! একদিকে প্রাণ জুড়িয়ে দিচ্ছিল পিয়ানোর বাজনায় সুরেলা কন্ঠের গানটা। অন্যদিকে চোখের কোণে অনবরত পানি ঝরছিল গানটা শুনে। কোনো এক শূন্যতা অনুভূত হচ্ছিল। যদিও বাকি মুভিতে উল্লেখ করার মতো আর কোনো গান বা এজাতীয় কিছু ছিল না। মোটমাটে ৮/১০ দিব মিউজিকে। আর হ্যা ভয়েস কাস্টিং কিন্তু ভালো লেগেছে খুব। মাকিয়া এর কন্ঠ যে কী মিষ্টি লেগেছে! বলে বোঝানো যাবে না।
 
সব দিক বিবেচনায়, ৯/১০ দিব ফাইনাল স্কোর হিসাবে (মুভিতে আমি এক ধাপ বেশিই রেটিং দেই অবশ্য)।
 
সবশেষে এটাই বলব, আমার মতে এটা ২০১৮ সালে বের হওয়া সবচেয়ে সেরা এনিমে মুভি। এটা হয়ত কোনো কিংবদন্তীতুল্য মুভি নয়, ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ এনিমে মুভিগুলোর একটি নয় কিন্তু নিঃসন্দেহে চমত্কার একটা মুভি। মায়ের মমতা, সমাজ বাস্তবতা নিয়ে এরকম মুভি খুব বেশি আছে বলে বোধ করি না। যারা Wolf Children দেখেছেন এবং পছন্দ করেছেন, তারা খুব উপভোগ করবেন আশা করি। এত সুন্দর একটা মুভি অথচ এটা নিয়ে এনিমে গ্রুপগুলোতে সাড়া শব্দ নেই তেমন। ব্যাপারটি খুব হতাশাজনক। Kimi no na wa আর Koe no Katachi পরবর্তী কোনো মুভি নিয়েই কোনো হইচই দেখি না।
 
তো আপনারাও দেরী না করে দেখে ফেলুন “Maquia : When the Promised Flower Blooms”…..
 
একটা শেষ কথা , ফ্যান্টাসি-ড্রামার এই মুভি তে ন্যুডিটি, সেক্সুয়াল সিনারি নেই। ফলে পরিবার পরিজন সকলকে নিয়ে নিশ্চিন্তে উপভোগ করার মতো আদর্শ এক মুভিটা।
 
তো আজ এটুকুই থাকুক।
Happy anime watching!

Bleach [লাইভ অ্যাকশন রিভিউ] — Tahsin Faruque

(Mild Spoilers warning)

 
অ্যানিমে লাইভ অ্যাকশন অ্যাডাপ্টেশন, আর নেটফ্লিক্স – এই দুইটার কম্বিনেশন অনেকের মনেই আতঙ্কের সৃষ্টি করে এসেছে যেন। এই সিরিজে এর আগে দুটি এরকম লাইভ অ্যাকশন মুভি দেখেছিলাম, ডেথ নোট আর ফুলমেটাল অ্যালকেমিস্ট। দুটি দেখেই ভয়ংকর হতাশ হয়েছিলাম। তার অনেকদিন পর আজকে হঠাত এটার ট্রেইলারটা চোখে পড়তে মনে হল, ট্রেইলারে যেসব দৃশ্য চোখে পড়লো তা দেখে অন্তত মনে হয়েছে সোর্সকে সম্মান করেই বানিয়েছে (এক্ষেত্রে মাঙ্গার সাথে অ্যানিমেকেও সোর্স হিসাবে ধরছি)। মুভিই তো, দেখেই নেই না হয় কেমন হল!
 
খুব অল্প যে কয়টা লাইভ অ্যাকশন অ্যাডাপ্টেশন দেখা হয়েছে অ্যানিমের, তার মধ্যে এখন পর্যন্ত সবচাইতে বেশি ভাল লেগেছে এইটা, তবে মন্দের ভাল হিসাবে নয়, আসলেই ভাল লেগেছে। শুরুতেই বলে নেই, এই মুভিতে ব্লিচের Agent of the Shinigami আর্কটি পুরাটা অ্যাডাপ্ট করেছে। যারা ব্লিচ পড়েছেন বা দেখেছেন, তারা জানেন এই আর্ক অ্যাডাপ্ট করলে গল্পের কোন জায়গায় গিয়ে মুভিটি শেষ হবে। একই জায়গাতেই শেষ হয়েছে, তবে গল্পে সামান্য বৈচিত্র হলেও এনেছে যেন মুভিটি স্বতন্ত্র মুভি হিসাবেও কাজ করে। সিকোয়েল মুভি আসবে কি আসবে না তার যেহেতু নিশ্চয়তা নেই, তাই সেরকম হিসাব করেই গল্প শেষ করতে হয়।
 
মুভিতে স্ক্রিন রাইটার ও ডিরেক্টরের যে হাল্কা কিছু ক্রিয়েটিভ সিদ্ধান্ত নেয় নাই তা নয়, বরং লাইভ অ্যাকশন মুভি হিসাবে একটা মাঙ্গা বা অ্যানিমের গল্পকে তুলে ধরতে হলে কিছু জিনিসের পরিবর্তন করতেই হবে। মাঙ্গাতে বা অ্যানিমেশনে অনেক দৃশ্য ও রিয়্যাকশন যেভাবে কাজ করে, লাইভ অ্যাকশনে তা কাজ করে না। সেখান বাস্তব মানুষের বাস্তব রিয়্যাকশন দেখাতে হয়, যা গল্পের অরিজিনাল সোর্সের সাথে কনফ্লিক্ট করতেও পারে। তবে ব্লিচের এই মুভিতে সেসব ছোটখাট পরিবর্তন যা এনেছে, আমার কাছে তা খুবই পজিটিভ দিক মনে হয়েছে মুভিটির। এমনিতে মূল গল্পে ও তার চরিত্রদের মধ্যে এতটুকুও পরিবর্তন আনে নাই এখানে। ব্লিচের অরিজিনাল গল্পের প্রথম দিকের অংশতে অনেক কমেডি উপাদান ছিল, মুভিতেও সেগুলি রয়েছে। ইচিগো-রুকিয়ার কথোপকথন, ইচিগোর বন্ধুদের সামনে রুকিয়ার উপস্থিতি ও তাদের নিজেদের মধ্যে কথোপকথন, চালচলনে কোন অহেতুক জিনিস আনা হয় নি। যা ছিল, একদম আসল গল্পকে সম্মান জানিয়েই দেখানো হয়েছে। ইচিগো রুকিয়ার কথাবার্তা শুনে শব্দ করেই হেসেছিলাম মুভি দেখার মাঝে।
 
 
মুভির স্বার্থেই মাঙ্গা বা অ্যানিমের প্রথম দিকের হলোর সাথের অনেকগুলি ফাইট দেখানো হয় নি, এবং সেই ব্যাপারটি খারাপ হয় নি আসলে। হলোর উপস্থিতি অতিরিক্তও নয়, একদম কমও নয়। আর এখানে সিজিআই-এর কাজ একদম খারাপও নয়, বেশ বিশ্বাসযোগ্য।
চরিত্রদের মধ্যে সবচাইতে ভাল লেগেছে আসলে ইচিগোকেই। নায়ককে ধন্যবাদ দিতেই হবে, এই চরিত্রটাকে লাইভ অ্যাকশনে প্রাণ দেবার জন্যে। এই আর্কে ওরিহিমের উপস্থিতি সেরকম গুরুত্বপূর্ণ ছিল না আসলে, তাই ওরিহিমে এখানে সাইড ক্যারেক্টারদের দলেই চলেই গিয়েছে। চাদো ও উরইয়ুর চরিত্র করা অভিনেতাদের কাজ ভালই ছিল। তবে রুকিয়ার চরিত্রটি একটু সমস্যাজনক ছিল। নায়িকার কাজ একদম খারাপ যে তা নয়, কিন্তু রুকিয়ার মুখে ৯০% সময় জুড়েই একটি রিয়্যাকশন লেগে ছিল, তা সে ঐ মুহুর্তে খুশি হোক বা অবাক, বিরক্ত হোক বা রাগ, চেহারার অভিমূর্তি দেখে বুঝে উঠে সমস্যা হত। মাঙ্গা পড়া ছিল বলে জানি এই জায়গাতে রুকিয়া আসলে কেমন অনুভব করছিল, ঐ জায়গাতে রুকিয়া আসলে রাগ নয়, অবাক হয়ে ছিল। এটা জানা না থাকলে মুভিটি দেখার সময়ে মনে হয়, রুকিয়ার সমস্যা কী!? আর রেঞ্জি ও বিয়াকুয়ার চরিত্র দুটি যেহেতু এই আর্কের ভিলেইন ছিল, আমার কাছে মনে হয়েছে কিছু ক্ষেত্রে তাদের আচরণ একটু বেশি ভিলেইনসুলভ হয়ে গিয়েছিল। ভিলেইন হলেও যে তাদের আচরণ এরকম হবার কথা নয় তা মাঙ্গা পাঠক বা অ্যানিমের দর্শকের জানার কথা। রেঞ্জির অভিব্যক্তি মাঝেমধ্যে অতিরঞ্জিত হয়েছে।
 
আর চরিত্রদের কথা বললে ইচিগোর দুই পিচ্চি বোন দুটির কথা না বললেই নয়! অতিরিক্ত কিউট দুটি পিচ্চি তাদের স্ক্রিনটাইমের প্রায় পুরাটাই মুখে হাসি ফুটিয়ে রাখার মত অভিনয় করেছে।
 
সব শেষে মুভির পজিটিভ ও নেগেটিভ দিকগুলি অল্পের মধ্যে তুলে ধরিঃ
 
(+) পজিটিভ দিকঃ
  • সোর্সের প্রতি সম্মান দেখানো
  • ইচিগো
  • ইচিগোর দুই বোন
  • ইচিগো-রুকিয়ার কথোপকথন
  • সোর্ড ফাইটের দৃশ্যগুলি (চমৎকার ছিল এগুলি)
  • অ্যানিমেশন (সেরকম আহামরি না হলেও, বিশ্বাসযোগ্য)
  • ইচিগোর স্কুলের অংশগুলি
  • সউল-রিমুভিং গ্লাভস
  • শেষের ফাইট
(-) নেগেটিভ দিকঃ
  • রুকিয়ার চরিত্র
  • রেঞ্জি ও বিয়াকুয়ার “ভিলেইন” সুলভ আচরণের অতিরিক্ততা
ট্রেইলার দেখে বা একের পর এক অ্যানিমে লাইভ অ্যাকশনের ব্যর্থতা দেখে ভয় পেয়ে থাকলে চিন্তা ছাড়া মুভিটি দেখে নিতে পারেন। ব্লিচের লাইভ অ্যাকশন মুভি আমার দৃষ্টিতে অন্যতম সফল অ্যাডাপ্টেশন। এই মুভির সিকোয়েল বের করুক এই আশাতেই আজকের রিভিউ শেষ করছি।
 
ও হ্যাঁ, আমার রেটিংঃ
মুভি হিসাবেঃ ৭/১০
অ্যানিমে আডাপ্টেশন মুভি হিসাবেঃ ৮/১০
 

Odd Taxi [রিভিউ] — Nazmus Sakib

আনিমে – ODD TAXI
এপিসোড সংখ্যা – ১৩
ডিরেক্টর – বাকু কিনোশিতা
স্ক্রিপ্ট – কাযুইয়া কোনোমোতো
ম্যাল রেটিং – ৮.৫৯
ব্যক্তিগত রেটিং – ১০
 
এক কথায় একটা মডার্ন মাস্টারপিস। না দেখার কোনই কারণ নেই। মিস্টেরি জানরার সর্বকালের একটা রত্ন হয়ে থাকবে এইটা।
 
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
গল্পের স্থান জাপানের টোকিও শহর। গল্পের নায়ক ওদোকাওয়া নামের এক মধ্যবয়স্ক ট্যাক্সি ড্রাইভার। তার স্বভাব হল কথা কম বলা আর বললেও সিনিকাল টোনে কথা বলা। গল্পের একেক পর্বে সে ভিন্ন ভিন্ন যাত্রীদের সার্ভিস দেয়। ঘটনাক্রমে সে এক হাইস্কুল ছাত্রীর কিডন্যাপিং এর ঘটনার সাথে জড়িয়ে পড়ে। শুধু তাই না, জাপানী মাফিয়ার দুই সদস্য ওর পিছনে হন্যে হয়ে লেগে যায়। ওদোকাওয়া কী পারবে নিজেকে বাঁচিয়ে আবার স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে?
 
গল্পঃ ১০
দারুণ প্লট। যেমন আনপ্রেডিক্টেবল, তেমনি মজাদার। অনেকগুলি আপাত বিচ্ছিন্ন প্লট পয়েন্ট এখানে প্যারালেলি চলেছে। প্রতি পর্বে দর্শকদের ছোটবড় ক্লু দেওয়া হয়েছে, যেন তারা ওদোকাওয়ার সাথে গল্পের মূল রহস্য সমাধানে অংশ নিতে পারে। এর সাথে দারুণ ডিরেকশন আর স্ক্রিপ্টরাইটিং-এর জোরে গল্পটিতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। আর গল্পের শেষ এপিসোডের টুইস্টটি একে নিয়ে গেছে মাস্টারপিসের উচ্চতায়।
 
 
চরিত্রায়ণঃ ১০
মূলত গল্প নির্ভর এই আনিমেতে যতটুকু চরিত্রায়ণ আশা করা যায়, তার সবই আছে। গল্পটির এপিসোড সংখ্যা কম হলেও অনেকগুলি চরিত্র আছে। তা সত্ত্বেও চরিত্রগুলির সাথে সহজেই নিজেকে কানেক্ট করা যায়, ওদের মনমানসিকতা বোঝা যায়, ওরা কখন কী করতে পারে তা আন্দাজ করা যায়। ওদেরকে বাস্তব চরিত্র বলেই মনে হয়। সাইড ক্যারেক্টারগুলোকেও যত্নের সাথে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
 
আর্ট ও এনিমেশনঃ ৮
গল্পের সাথে তাল মিলিয়ে কিছুটা ইউনিক আর্টস্টাইল আর ক্যারেকটার ডিজাইন এখানে ব্যবহৃত হয়েছে। চোখ ধাঁধানো কিছু না হলেও তাতে এঞ্জয়মেন্টে কোনই ব্যত্যয় ঘটেনি।
 
সাউন্ডঃ ৯
ওপেনিং গান, এন্ডিং গান, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক – সব জায়গায় মূলত সিটি পপ থিমের আলোকে সাউন্ড ব্যবহার করা হয়েছে। টোকিও শহরে ঘটা থ্রিলিং গল্পের সাথে এক্কেবারে খাপে খাপ মিলে গেছে। গল্পের মুড অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন সাউন্ড ইউজ করতে ডিরেক্টর কার্পণ্য করেননি।
 
এঞ্জয়মেন্টঃ ১০
মিস্টেরি জানরার ফ্যান হিসেবে এই আনিমেটা এই বছরের সেরা উপহার ছিল আমার কাছে। প্রতি সপ্তাহে এটার জন্য সবচাইতে বেশি মুখিয়ে থাকতাম। গল্পের চরিত্রগুলি, ওদোকাওয়ার সিনিকাল কথাবার্তা, গল্পে উঠে আসা এক্কেবারে বাস্তব ইস্যুগুলি, আর গল্পের শেষের সেই জব্বর টুইস্টটা আমার অনেকদিন মনে থাকবে।
 
দেরি না করে এইটা দেখে ফেলুন। বারবার দেখুন। কারণ খুব চাতুর্যের সাথে নানা ক্লু ছড়ানো আছে এই রত্নটির মধ্যে!
 

Onanie Master Kurosawa [মাঙ্গা রিভিউ] — Rafid Rafsani

পড়া শেষ করার পর প্রথমেই যা মনে আসছে “Never judge a book by It’s cover”। পড়ার আগে নাম দেখে Onanie Master Kurosawa (Masturbation Master Kurosawa) কত কিছুই ভেবেছিলাম! নাম শুনে সবার হেন্টাই, ইচ্চি মনে হলেও ধারণা পুরোপুরি ভুল প্রমাণিত হবে। কারণ এটার জেনারে যে সাইকোলজিক্যাল ড্রামা!

কাহিনির মূল চরিত্র জুনিয়র হাইস্কুলের ছাত্র কুরোসায়োয়া। সবার সাথে কথা-বার্তা কম বলে, তেমন বন্ধুও নেই চুপ-চাপ স্বভাবের। স্কুলে অবসর সময়ে লাইব্রেরিতে কাটায়। বন্ধুদের আড্ডাও এড়িয়ে চলে। যাকে ‘ইন্ট্রোভার্ট’ বলা চলে আরকি। কিন্তু সবার অগোচরে সে ছুটির পর গার্লস টয়লেটে হস্তশিল্প চর্চা করে (if you know what I mean ) যেটিকে মাঙ্গায় ‘ডেইলি রুটিন নামে পরিচয় দেয়। তো এইভাবেই তার দিন যেতো। তার ক্লাসেরই একজন মেয়ে কিরিহারা, দুর্বল ও বোকা হওয়ায় ক্লাসের অন্য মেয়েরা তাকে বিভিন্ন বিরিক্ত করতো। ঘটনা ক্রমে কিরিহারা, কুরোসাওয়াকে বাথরুমে ডেইলি রুটিনের কাজ করতে হাতেনাতে ধরে এবং তাকে ব্ল্যাকমেইল করা শুরু করে যেন সে যেসব মেয়েরা কিরিহারাকে বিরক্ত করে অথবা যাদের কিরিহারা পছন্দ করে না তাদের বিভিন্ন জামা, বই, অন্যান্য ব্যবহারের জিনিসে সাদা তরলের শিল্পকর্ম করতে। এইভাবেই কাহিনি এগিয়ে যায়।

৩১ চ্যাপ্টারের মাঙ্গাটিতে কাহিনি সাধারণ অথবা নোংরা মনে হলেও ২৬ চ্যাপ্টারের পর একটা অন্যরকম টার্ন নেয়, যার কারণের myanimelist-এ পোস্ট লেখার মুহুর্তে ৮.৪+ রেটিং নিয়ে #70 most popular manga-তে এর অবস্থান। সেই স্পয়লার আর না দিলাম, তবে কাহিনীর সেই ভিন্ন মোড় নেওয়ার কারণেই সাধারণ একটা মাংগা অসাধারণ হয়ে উঠে। আমাদের মেইন ক্যারেক্টারের প্রত্যেকটা অনুভুতি যেমন বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে বাজেভাবে ভেংগে পড়া,খারাপ সময়ে শক্ত থাকা এরকম অনেক কিছুই আমাদের কমবেশি সবার জীবনেই ঘটায় কাহিনিটা অনেক বেশি রিলেটেবল সবার কাছে। এটিতে মাত্র ৩১ চ্যাপ্টারে যতটুকু ক্যারেক্টর ডেভলপমেন্ট হয় অনেক মাংগাতে ২০০ চ্যাপ্টারেও তা দেখা যায় না।

নামটা আবার বলি Onanie Master Kurosawa. নাম যেমনই হোক, পড়া শেষ করলে নিঃসন্দেহে মনে অন্যরকম একটা ছাপ ফেলে যাবে এটি।

Name: Onanie Master Kurosawa
Genere: Physiological,Drama,School
Personal Ratings: 9.5/10

 

Plunderer [রিভিউ] — Rakib Amin

Anime name: Plunderer
Genre: Action, Adventure, Comedy, Ecchi, Fantasy, Shounen
Episodes: 24
Aired: 2020 (winter)
 
Detailed Review:
★ This anime is the embodiment of the word “meh”. খুবই অ্যাভারেজ একটা এনিমে। অ্যাভারেজ প্লট, অ্যাভারেজ ক্যারেক্টার, অ্যাভারেজ এনিমেশন, বোরিং সাউন্ডট্র্যাক, বাজে স্টোরি-রাইটিং, আর প্লট-হোল দিয়ে ভরা। ওভারঅল খুবই হতাশাজনক অ্যাডাপ্টেশন।
 
★ এনিমেটা দেখে যা বুঝলাম যে রাইটারের অনেকগুলা আইডিয়া মাথায় ছিল, আর সেগুলা সবই কোনো চিন্তাভাবনা ছাড়া স্টোরির উপর ঢেলে দিয়েছে। যার কারণে স্টোরির আগা-মাথা হযবরল হয়ে একাকার অবস্থা। এক এপিসোড পুরাটাই চাইল্ডিশ হিউমার দিয়ে ভরা, তো আরেক এপিসোড একেবারে খুনাখুনি টাইপ সিরিয়াস। কমেডি এবং সিরিয়াসনেস -এর মাঝে ব্লেন্ডটা একেবারে বাজেভাবে করা হয়েছে।
 
★ প্রথমদিকে ২-৩ এপিসোড মোটামুটি ভাবে এগুচ্ছিলো; তারপর সবকিছু উল্টাপাল্টা করে এমন অবস্থা যে অলমোস্ট ড্রপ করেই ফেলেছিলাম এনিমেটা। তবে মাঝের কয়েকটা এপিসোডে কিছু ব্যাকস্টোরি কাভার করা হয়েছিল যেটা এই এনিমের অনলি সেভিং-গ্রেস বলা যায়। ওই ব্যাকস্টোরি দেখার পর পুরা ওয়ার্ল্ড-বিল্ডিং সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেলে কিছুটা ইন্টারেস্ট ফিরে আসে এই এনিমের প্রতি। তারপর লাস্টের দিকের কয়েক এপিসোড আবারো একেবারে লেইম হয়ে পরে। সবচেয়ে বিরক্ত লেগেছে যখন দেখলাম যে এতো কষ্ট করে ২৪ এপিসোড দেখার পরেও দেখি যে স্টোরি কমপ্লিটেড না। মানে, এই ফালতু এনিমেরও আবার সেকেন্ড সিজন বের করতে চায় নাকি? অনেক মিস্টিরি এখনো ক্ল্যারিফাই করে নাই।
 
★ টু বি ফেয়ার, স্টোরির ইনিশিয়াল আইডিয়াটা খারাপ না। কিন্তু হয়তো প্রোপার প্ল্যানিং-এর অভাবে অথবা বাজে এনিমে অ্যাডাপ্টেশন -এর কারণে এতো বাজে অবস্থা। এইটার মাংগা’র রেটিং ভালোই দেখলাম। তাই আমার মনে হয় ভালো ডিরেক্টর এবং ভালো প্ল্যানিং থাকলে এনিমেটা কিছুটা বেটার হতে পারতো।
 
★ অ্যাকশন ফাইটগুলা খুবই, খুবই লেইম ছিল। এর বেশি কিছু বললাম না।….. কমেডি মোটামুটি ছিল, যদিও বেশিভাগ ছিল চাইল্ডিশ হিউমার। Ecchi পার্টগুলা একেবারেই লেইম ছিল। আমার মতো Ecchi -লাভারেরও মাঝেমাঝে বিরক্ত ধরে যাচ্ছিলো। 😑
 
★ ক্যারেক্টারগুলা খুবই এভারেজ। মেইন মেল্ ও ফিমেল ক্যারেক্টার আমার কাছে লেইম লেগেছে একেবারে। বরং সেকেন্ডারি ক্যারেক্টারগুলা এই দুইজনের চেয়ে বেটার ছিল। মেইন এন্টাগোনিস্ট ব্যাকস্টোরিতে দেখলাম একেবারেই দরদি এবং সিম্প্যাথেটিক একটা ক্যারেক্টার। কিন্তু মেইন টাইমলাইনে এসে সে পুরাই কোল্ড-ব্লাডেড ভিলেইন হয়ে পড়েছে। মানে কিছুই বুঝলাম না।
 

Ratings:
MAL ratings: 6.49
Personal rating: 6.2 (very generous rating)
 

World Trigger [রিভিউ] — Arnab Basu

উইকলি শোউনেন জাম্পকে অবিসংবাদিতভাবেই শোউনেন সিরিজের সবচেয়ে সেরা উৎস হিসাবে বিবেচনা করা যেতে পারে। সর্বকালের সেরা সব শোউনেন সিরিজগুলা বেশিরভাগই এই ম্যাগাজিনে পাব্লিশ হয়েছে বা হচ্ছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই এই ম্যাগাজিনে প্রকাশিত মাঙ্গাগুলো অনেক জনপ্রিয়তা পায়। আর এই সিরিজগুলার এনিম এডাপ্টেশন নিয়ে সবারই কম বেশি এক্সপেক্টেশন কাজ করে আর বেশিরভাগ সিরিজই কম বেশি পপুলারিটি পায়। তবে দুই একটা সিরিজ যে ব্যাতিক্রম, তা কিন্তু না। সেটা এডাপ্টেশনের কারণে হোক, বা প্লটের দুর্বলতার কারণেই হোক। জাম্পের এমন সিরিজ খুব কমই আছে, যা অনেক সিরিজের মত লোকচক্ষুর আড়ালে পড়ে যায়। জুজুতসু কাইসেনের মত হাইপ তোলা সেরা এনিমেশন, ওয়ান পিসের মত লং রানিং মহীরথি কিংবা হিনোমারু সুমো আর প্রমিসড নেভারল্যান্ডের মত হতাশ এডাপ্টেশন, এই সিরিজগুলার প্রতি মানুষের এটেনশনের কমতি নেই। সেই হিসাবে World Trigger কে শোউনেন জাম্পের হিডেন জেম বলা যেতে পারে। হিডেন জেম এই অর্থে, যে জাম্পের মত কাটথ্রোট ম্যাগাজিন, যেখানে পপুলারিটির কমতির কারণে যে কোন মাঙ্গা কুড়ালের নিচে পড়তে পারে, সেখানে এই সিরিজটা ২০১৩ সাল থেকে এখনও চলছে (যদিও ২০১৮ তে জাম্প স্কয়ারে ট্রান্সফার হয়ে যায়)। আর World Trigger এনিমের ২ টা সিজন আছে, যার মোট পর্ব ৮৫ টি, যদিও প্রথম সিজনের শেষের দিকে একটা ফিলার আর্ক আছে। কিন্তু এই সিরিজটা দেখেছে এমন মানুষের সংখ্যা খুব বেশি না।তাহলে এমন একটা অবসিকিওর সিরিজে কি এমন আছে যা খুব একটা নাম ডাক না থাকা সত্ত্বেও এখনও থেমে যায়নি? উত্তরটা হল এই সিরিজের ফাইট। World Trigger এর প্লট শুনলে খুবই সাদামাটা মনে হবে, এনিমের প্রথম কয়েকটা পর্ব দেখার পরে এনিম ড্রপ দিলে কাউকে দোষও দেয়া যাবে না। কিন্তু এই সিরিজের ফাইটগুলা এক কথায় অসাধারণ। জাম্পের ম্যাক্সিমাম সিরিজই ফ্যান্টাসি নির্ভর আর ফাইট বেশিরভাগই স্ট্রেংথ আর উইল নির্ভর। সেই দিক থেকে সাই-ফাই জন্রার এই সিরিজের ফাইটগুলা ভীষণ স্ট্র্যাটেজিক। হালের OP টাইপ MC রা হয়তো কুলনেস আর ব্যাডএসারি দিয়ে আপনাকে মুগ্ধ করবে, কিন্তু একই সাথে সিরিজের পাওয়ার স্কেলিং এর বারটা বাজবে, যার কারণে সিরিজ কিছুদিন পরেই ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যাবে (ব্লিচ 😛 )। সেই দিক থেকে World Trigger এর ফাইটগুলা ইন্ডিভিজুয়াল স্ট্রেংথ এর থেকে টিম ওয়ার্ক আর স্ট্র্যাটেজির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং আর আনপ্রেডিক্টেবল।

জাম্পের কিছু সিরিজ স্লো স্টারটার। শুরুতে আহামরি না লাগলেও একটা সময় যেয়ে ঠিকই জনপ্রিয়তা পায়। এই সিরিজটাও তেমন। World Trigger নিয়ে আরও অনেক কিছুই বলা যাবে, কিন্তু এই ভিডিওটা দিয়ে পোস্টটা আপাতত এখানেই শেষ করলাম। Happy Watching!