Ninja Batman (2018) [মুভি রিভিউ] — Md Anik Hossain

Ninja Batman

কয়েক সপ্তাহ যাবত্‍ দেখব দেখব করে দেখা হচ্ছিল না। শেষে আজ সকালে দেখলাম।

মূল কাহিনীর সারাংশ হয়ত শিরোনাম দেখেই বোঝা যায়। তবুও বলি আর কি- ব্যাটম্যান যখন গোরিলা গ্রড এর সাথে মারামারি করছে এমন সময় গ্রডের বানানো টাইম মেশিন সম্ভবত দুর্ঘটনাঃবশত এক্টিভেট হয়ে যায়। আর ব্যাটম্যান টাইম মেশিনের বদৌলতে প্রাচীন জাপানে চলে আসে। সেখানে গিয়ে খুঁজে পায় তার কিছু চিরশত্রুদেরকে। আর তাদের খতম করে আবার বর্তমানে ফিরে আসা নিয়েই Ninja Batman এর মূল theme.

প্রথমেই স্টোরিলাইনের কথা বললে কাহিনী পুরাই লুলমার্কা হাস্যকর মনে হইছে আমার কাছে। কিন্তু একইসাথে প্লট টা মজাদার ছিল এটা মানতে হবে।
প্লট-কাহিনী মিলিয়ে 6/10 দিব।

আর্টওয়ার্ক বেশ ভালো লেগেছে। ওয়েস্টার্ন কমিকের এডাপ্টেশন হিসেবে মানানসই ছিল। এটার এনিমেশনে বেশ Uncommon একটা vibe পাওয়া যায়। Afro Samurai খ্যাত তাকাশি ওদাকাই এর সৃষ্টি বলে কথা। CGI এনিমেশন এর মুভমেন্টগুলো খারাপ লাগেনি। আর একশন সিকোয়েন্সগুলো অস্থির ছিল। বিশেষত একবারে শেষের ব্যাটম্যান বনাম জোকার এর Duel টা 
এই খাতে 8/10 দিলাম।

ব্যাটম্যান সেই চিরাচরিত ব্যাটম্যানের মতোই ছিল। নিজের আদর্শ ও বাস্তবতার মাঝে বিরোধ ভালোভাবেই ফুটেছে মুভিতে। আর বিখ্যাত জোকার মামু এবং কুইন এর পাগলামি ছিল এক্কেবারে দারুণ! পুরা মুভিতে জোকার মামুর কান্ডকারখানাই সবচেয়ে উপভোগ্য ছিল। ক্যাটওমেন,টু ফেইস,গোরিলা গ্রুড কেও কমবেশি ঠিকভাবে উপস্থাপন করতে পেরেছে বলে মনে হলো। অন্যান্য ক্যারেক্টার রা খুব বেশি স্ক্রীনটাইম পায়নি।যেটুকুও পেয়েছে, চলে আরকি।
তো চরিত্রগুলোর মিথস্ক্রিয়ার দিকটাতে 7+1/10 দিব(জোকার মামুর জন্য ১ বোনাস)

নেগেটিভ দিকের কথা আর কি বলব, মুভির নাম দিছে নিনজা ব্যাটম্যান আর পোশাক পরাইছে সামুরাই যোদ্ধাদের মতো, পুরাই আজব! তার উপ্রে প্রাক-শিল্পবিল্পব জমানায় ইয়া বিশাল বড় বড় রোবোট নিয়ে মারামারি দেখায় দিল। দেখে তো আমি হাসতে হাসতে কতক্ষণ লুটোপুটি খেলাম।

মুভির সবচেয়ে সেরা মূহুর্ত: বাতুমান-দোনো যখন হাত দিয়া নারুটোর মতো শারিনগান(?) জুত্‍সুর হ্যান্ড সিগনাল দেখাইল।

তো সে যাইহোক, সামগ্রিকভাবে সময় কাটানোর জন্য ভালোই লাগল। ৭/১০ দিলাম সব মিলিয়ে।

সাইতামা x ইটাচি উচিহা [ফ্যান ফিকশান ক্রসওভার(প্যারোডি)] — Rahat Rubayet

সুপার হিরোরা ভিলেইনদের সাথে মারামারি করবে, পিটিয়ে লাশ বানিয়ে প্যাকেট করে দেবে এটাই অলিখিত নিয়ম। একা একা না পারলে আরো দশটা হিরোর সাহায্য নিবে। এটলিস্ট জাস্টিস লিগ আর এভেঞ্জারস থেকে তাই শিখেছি আমরা। কিন্তু, এক হিরোকে আরেক হিরোর সাথে লড়তে সচরাচর দেখা যায় না। Assosiation of Super-heroes Fans নামক এক সংগঠন আবার এক কাঠি সরেস। তারা প্রায় সকল এনিমে, মাঙ্গা, কমিক থেকে সবচাইতে শক্তিশালী একজন হিরো/ক্যারেক্টার কে আমন্ত্রন জানিয়ে এক কম্পিটিশানের আমন্ত্রন জানিয়েছে।
সেই কম্পিটিশানের ফাইনাল আজ। ফাইনালে উঠেছে নারুটো থেকে উচিহা ইটাচি আর অভাররেটেড পাঞ্চ ম্যান থুক্কু, ওয়ান পাঞ্চ ম্যান থেকে সাইতামাতামা।
ওয়েল, নারুটো থেকে সবচাইতে শক্তিশালী হিসেবে জুবি মাদারা তার ব্যাগ আর রিনেঙ্গান প্যাক করে রেডি হচ্ছিল। নারুটো আর সাস্কে বাইরে দাড়িয়ে উশখুশ করলেও কিছু বলার সাহস পাচ্ছিল না। এমন সময়, ইতাচি এসে মাদারার মাথায় এক চাটি মেরে বসিয়ে দিয়ে তার হাত থেকে সেই ইনভাইটেশান কার্ড নিয়ে হাঁটা শুরু করলো। মাদারা ভয়ে ভয়ে বলতে শুরু করে,
“ইটাচি সেনপাই, আপনি কেন কষ্ট করে আসতে গেলেন? আমি নিজেই আপ্নার বাসায় গিয়ে দিয়ে আসতাম।”
ইটাচি মুখে কিছু না বলে অগ্নিদৃষ্টি হানলো জুবি রিকোডু সেন্নিন মাদারার ওপর, যা আক্ষরিক অর্থেই ছিল অগ্নিদৃষ্টি। কারন, ইটাচির আমাতেরাসুর আগুন ধরে গেল মাদারার গায়ে। টেন টেইল সমেত ইটাচির আমাতেরাসুতে ভস্মীভূত হল রিকোডু সেন্নিন মাদারা। মারা যাবার সময় শুধু বলল,”মাথ্যে ইথা যো হাশিরামা!”
ইটাচি ইনভাইটেশান কার্ড টা নিয়ে সাস্কের দিকে ঘুরেই বলল, “সাস্কে, তোমার জন্যে আমি এই চ্যাম্পিয়ন ট্রফিটা এনে দেব। এরপর আর কেউ এডওয়ার্ড এলরিককে আমার থেকে সেরা ভাই বলতে পারবে না।”
এতো গেল ইটাচির কম্পিটিশানে আসার ফিলার। সাইতামার আসার কারনটা বলা যাক এবার। ওর বিষয়টা আরও বেশি তাৎপর্যপূর্ণ। কারন, এই কম্পিটিশান জিতলেই, সে C র‍্যাঙ্ক থেকে এক লাফে S র‍্যাঙ্ক হিরো হয়ে যাবে। এতে ওর এলাউন্সও বাড়বে। আর তার ফলে ওকে ছাড়সমেত কেনাকাটার জন্যে শপিং মল চষে ফেলতে হবে না। সাইতামাকে চিয়ার আপ করার জন্যে গ্যালারিতে বসে আছে মুমেন রাইডার, অত্যন্ত সুপুরুষ পুরিপুরি প্রিজনার আর সাইতামার একমাত্র শিষ্য জেনোস।
পুরিপুরি প্রিজনার চুপচাপ বসে থাকলেও মুমেন রাইডার সাইতামার জন্যে “হিরো হিরো” বলে চিৎকার করে কি এক জ্ঞান গেয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জেনোসের এসব দিকে মন দেবার সময় নেই মোটেই। সে ব্যস্ত তার সেন্সের অপোনেন্টকে স্ক্যান করতে। ইটাচির ফুলবডি স্ক্যান করে এসে চোখের কাছে আস্তেই চারদিকে এরোর ম্যাসেজ দেখতে পায় জেনোস। কিছু বুঝে উঠার আগেই ইটাচির গেনজ্যুতসুতে তলিয়ে যায় রোবোটিক দেহসম্পন্ন জেনোস। যদিও যারা চাকরা ইয়্যু করে না, তাদের ওপর গেনজ্যুতসু কাজ করে না। তবুও সামহাউ তা কাজ করল।
ওদিকে ইটাচিকে সমর্থন দিতে গ্যালারীতে দেখা যাচ্ছে সাস্কে আর শিসুই উচিহাকে। বুড়ো ধামরা এক ছোকরা যদি এক গাড়ির কোম্পানির নাম বলে চিৎকার করতে থাকে, তবে তাকে অস্বাভাবিক বলে ধরে নেয়ার নিয়ম। শিসুই আর থাকতে না পেরে, সাস্কেকে জিজ্ঞেস করল, “আচ্ছা সাস্কে। তোমার কি মনে হয়, কে জিতবে?”
-“কেন? নি-সান। ওই টেকো লোকটাকে হারাতে এক মিনিট টাইম লাগবে না নি-সানের।”
“কেন তোমার এমন মনে হল সাস্কে?” কিছুটা বিরক্তি মিশিয়ে জানতে চাইল শিসুই।
-“কেন আবার? কিশিমোটো সেন্সেই হিমসেলফ সেইড দ্যাট,……”
মাঝপথেই হাত তুলে ওকে থামিয়ে দেয় শিসুই। তারপর বলে,”আচ্ছা সাস্কে। তোমার নি-সান যেন আমার সাথে ব্যাটেলে কয়বার জিতেছে?”
সাস্কে হাতের কড় গুনতে থাকে,”১,২,৩,৪,…” হটাতই মুখ টা কালো হয়ে যায় ওর। কিন্তু, দৃঢ় গলায় বলল, “তাই বলে ওই টাকলুটা নি-সানের জন্যে কোন ম্যাচই না”
-“বাকা,… আই মিন, বোকা! ওই চকচকে টাকটাই ইটাচির গেনজ্যুতসুর বিরুদ্ধে ওর প্রধান অস্ত্র। ইটাচি এর জন্যেই গেনজ্যুতসু কাস্ট করতে পারবে না। কারন, তা সাইতামার ওই চকচকে টাকে লেগে রিফ্লেক্ট করবে। উলটো ইটাচি নিজেই নিজের জ্যুতসুর স্বীকার হবে।”
সাস্কে অবিশ্বাসের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে সাইতামার দিকে।
ওদিকে ব্যাটল শুরু ইঙ্গিত দিল রেফারি ইযায়া ওরিহারা। ম্যাচ হচ্ছে একটা বিশাল উপত্যকার মতন জায়গায়, যার চারিপাশে স্টেডিয়ামের মতন করে বসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। জায়ান্ট স্ক্রিনও আছে দর্শকের সুবিধার জন্য। কমেন্ট্রির দায়িত্ব রয়েছে হিসোকা আর গিনতোকির ওপর। আজকের ফাইনাল ম্যাচের আগে এবারের এইচ.এস.সি পরীক্ষার মতোই ২৮ দিনের মতো গ্যাপ পায় ওরা প্রিপারেশানের জন্যে। সে জাজ্ঞে।
লড়াই শুরু হয়ে গেল। কিন্তু, একি!! সাইতামা তখন তার বেল্ট ঠিক করছে। ইটাচি থমকে দাড়িয়ে ওকে জাজ করতে থাকে ওর শারিঙ্গান দিয়ে। এর পরে অ্যাটাকে যাবে কেয়ারফুল্লি।
সাইতামা বেল্ট পরিষ্কার করতে থাকে।

সাইতামা বেল্ট পরিষ্কার করে ওর দিকে তাকিয়ে ছোট্ট করে একটু মাথা ঝাকায় । যার অর্থ, সে রেডি। এরপর, হটাতই ইটাচির একেবারে সামনে এসে পরে। সাইতামা নিরাসক্ত শুরে শুধু বলল, “কঞ্জিকিউটিভ নরমাল পাঞ্চো”
ইটাচি দেখলো সাতামা লুফির থার্ড গিয়ার ইয়্যুজ করলো যেন। দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখালেও সাইতামার শক্তি আর এজিলিটি দেখে প্রশংসার সুরে বলল, “উইদ আউট অ্যা ডাউট ইয়্যু আর স্ট্রং, বাট নট ম্যাচিউরড”। বলেই কাক হয়ে উড়ে যেতে থাকে ও। ওদিকে সাইতামা কঞ্জিকিউটিভ নরমাল পাঞ্চ দিতে গিয়েই বোকা বনে যায়। কাকে পাঞ্চ করবে এই মহাশক্তিধর এক ঘুষি-মানব? ইটাচি তার আগেই স্রেফ উড়ে গেছে ওখান থেকে। শুধু অবাক হওয়ার এক্সপ্রেশান দেখা যায় সাইতামার চোখেমুখে। মুখে শুধু বলল, “ও……..”
পাঞ্চ থামিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সাইতামা। ইটাচি বুঝলো এটাই তার মোক্ষম সময় আঘাত হানার একই সাথে অপনেন্টকে রিড করার। হ্যান্ড সাইন ওয়েভ করে বল্লল, “ফায়ার স্টাইল, ফিনিক্স ফ্লাওার জ্যুতসু”
অবাক হয়ে পুরো গ্যালারী দেখল, ফিনিক্স পাখির মতোই ইটাচির মুখ দিয়ে বিশাল আগুনের গোলা ছুটে গেল সাইতামার দিকে। ওদিকে কিছু বুঝে উঠবার আগেই সাইতামা দেখলো তার দিকে ভয়ঙ্কর রকমের আগুন তেড়েফুড়ে আসছে। ইটাচি দেখল, মুহূর্তের নোটিসে হাওয়া হয়ে গেছে সাইতামা। ও জানে এই সুযোগ হাতছাড়া করবে না ওই টেকো লোকটা। আক্রমনে যাবেই। তাই সাথে সাথেই সুসানো এরাইজ করলো ও। ওর লাল রঙ্গা সুসানোর এক হাতে ইয়াটা মিরর অন্য হাতে টোতস্কা ব্লেইড।
চোখের কোনে হালকা নড়াচড়া ধরা পরতেই, ইয়াটা মিরর টা সেদিকে পেতে দিল ও। ইয়াটা মিররের বিশেষত্ব হল, তা যে কোন নিনজ্যুতসুকেই কাউন্টার করতে পারে তার আরেকটা চাকরা নেচার দিয়ে। কিন্তু, পিউর এনার্জির কথা আলাদা। তবে এক ঘুষি মানবের ভয়ানক “নরমাল পাঞ্চ” তা ঠেকিয়ে দিতে পারল কোনোমতে। তবে এর পেছনে ইটাচি ফ্যানদের কারসাজি ছিল নাকি সাইতামার ঘুষি আসলেই অতটা পাওয়ারফুল না, সে বিতর্কে না যাই।
ঘুষিটা ঠেকিয়ে দিতে দাতে দাত বাড়ি খায় ইটাচির। কিন্তু, একি!! পুরো গ্যালারি লক্ষ্য করলো একটা ঝোড়ো বাতাসের গতিতে কিছু একটা প্রচন্ড গতিতে ছুটে বেড়িয়ে যায় গ্যালারী থেকে। সবাই তাকিয়ে দেখল, সাইতামার টিকিটিও নেই ব্যাটেল গ্রাউন্ডে।
নিয়মানুযায়ী মঠে প্রতিযোগী ১০ সেকেন্ডের বেশি সময় অনুপস্থিত থাকলে সে ডিস্কোয়ালিফাইড হয়ে যাবে। রেফারি, ইযায়া অরিহারা গুনতে শুরু করে, “১,…..২” দুই গুনে শেষও করতে পারে না, তার আগেই ঠিক ইটাচির পেছনে ধুমকেতুর বেগে হাজির হল সাইতামা। দ্রুত নড়াচড়া ধরা পড়ল ক্যামেরায়। ইটাচির ব্রেইন নড়াচড়া করার জন্যে শরীরে সিগ্ন্যাল পাঠানোর সময়টুকু পায় না। এইটুকুন সময়ের ভিতরেই পুরো পৃথিবী একবার প্রদক্ষিণ করে এসেছে এই C র‍্যাঙ্ক হিরো সাইতামা। তার ডান হাতটা ওর পিঠের ৪ ফিট দূরে এনেই থামিয়ে দিল সাইতামা।
প্রচন্ড ধাক্কায় ইটাচি যেন স্রেফ উড়ে গেল, গ্যালারীর কাছাকাছি জায়গায় মাটিতে আছাড় খেয়ে পড়ল। সুসানো আগেই ভেঙে গেছে ওর। ঊঠে দাঁড়াতে গিয়ে টলতে থাকে। অনেকটাই বিধ্বস্ত লাগছে ওকে। আর রেফারি ইযায়া তখন মিটিমিটি হাসছে। হাঁসতে হাঁসতেই মনে মনে বলল, “অয়েল নাউ। ডাজেন্ট হী রিমাইন্ড মি এবাউট শিজ্যু-চান?”
পরবর্তী ৫মিনিট ইটাচি ক্রমাগত তাইজ্যুতসু স্কিল এর প্রদর্শনী দেখিয়ে গেল। সাইতামা ওর একের পর আঘাতগুলো ঠেকিয়ে দিতে থাকে। কিন্তু, পালটা কোন আঘাত ইচ্ছে করেই হানছে না, নাকি তার ফুসরত পাচ্ছে না, তা নিয়ে খুনোখুনি বেধে গেছে গ্যালারিতে।
তবে, ওদিকে ইটাচি সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে। যেভাবেই হোক এডওয়ার্ড এলরিক কে পেছনে ফেলে সেরা ভাইয়ের তকমা তার চাই-ই চাই। তার জন্যে ট্রফিটা সাস্কে কে উপহার দেবে। এতে যদি তার ইজানামি ইয়্যুজ করতে হয়, তবে তাই করবে ও। হুম, ইযানামিই ইয়্যুজ করবে ও। ইজানামি তে একটা চোখ হারাবে সে। কিন্তু তাতে কি? নাগাটোর কাছে থেকে তার রিনেঙ্গান টা ছিনিয়ে নেয়া ওর জন্যে 1-2 এর ব্যপার।
ইটাচি দাড়িয়ে দাড়িয়ে চিন্তা করছিল। ওকে দাঁড়াতে দেখেই, সাইতামাও দাঁড়িয়ে পড়লো। এক আঙ্গুল দিয়ে কান চুলকাতে থাকে ও। তারপর সে আঙ্গুল দিয়ে আবার নাক চুলকাতে শুরু করল, সবশেষে পশ্চাতদেশ। ঠিক সে মুহূর্তেই ইজানামি কাস্ট করল ইটাচি।
এতে যা হবার তাই হল। সাইতামা, কান, নাক আর পশ্চাতদেশ চুলকানোর ভেতর একটা লুপে আটকে গেল। বাড়বার ঘুরে ফিরে একই কাজ করতে থাকল সে। মনে মনে হাসলো ইটাচি। ওর কাছে হার স্বীকার না করা পর্যন্ত এই লুপ থামবে না। বাস্তব জগতে স্থির হয়ে দাড়িয়ে থাকাতেই, হটাত সাইতামা লক্ষ্য করলো ওর গালে একটা মশা বসে রক্ত খেতে শুরু করে দিয়েছে। আর যাই হোক, সাইতামা মশা সহ্য করতে পারে না। সঙ্গে সঙ্গেই টাশশশশ! করে চড় বসাল নিজের গালেই। মশাটা মারা পড়ল তৎক্ষণাৎ।
আর ওদিকে ইটাচি অবাক হয়ে দেখল, স্রেফ মশা মারতে গিয়ে ওর ইজানামি ব্রেক করে ফেলেছে ওই C র‍্যাংক হিরো সাইতামা। আর ইজানামি ইয়ুজ করার সাথে সাথেই ওর এক চোখ সাদা হয়ে গেছে। তার সাথে সাইতামার সেই চার ফিট দূরে থামিয়ে দেয়া ঘুষির এফেক্ট দুইয়ে মিলে কাবু করে ফেলেছে ইটাচিকে। মুখ থেকে গলগল করে রক্ত বেরুতে থাকে ওর। হাটু গেরে বসে পড়ল।
দেখতে পেয়েই ছুটে এল সাইতামা। “তুমি অসুস্থ! ওয়ে, জেনোসে! ওকে হাস্পাতাল নিতে হবে!” বলে চিৎকার করে ও। ফিরল, ইটাচির দিকে।
ইটাচি যেন মৃদুস্বরে বলতে থাকে,”বাস্টার্ড! ইয়্যু অয়্যারন্ট ইভেন ফাইটিং!”
ম্যচ রেফরি ম্যাচ সমাপ্ত গোষনা করতেই গ্যালারী চঞ্চনল হয়ে উঠলো আবার।
আর ওদিকে কমেন্টেটোর গিন্তোকি বলতে থাকে, “ইভেন ইফ আর দ্যা মেইন ক্যারেক্টার অফ ইয়োর শো, ইয়্যু স্টিল মেয় ডাই। আই বেটার বি কেয়ারফুলাত্তাবায়ো”
——————–­সমাপ্ত————–­———–
বিঃদ্রঃ সকল ইটাচিটারডদের জন্যে ফিকশানটা উৎসর্গ করা হল!
(আই বেটার বি কেয়ারফুল, দাত্তেবায়ো wink emoticon )

School Days [রিভিউ] — Zakaria Mehrab

ড়িভিউ! ড়িভিউ!! ড়িভিউ!!! 😀 😀 😀

আজ একটু আগে পড়ন্ত বিকেলে একটি সুন্দর এনিমে শেষ করিয়া আমি যারপরনাই ইম্প্রেসড । ইম্প্রেশনের ঠেলায় আমার হাত একটু পরপর ই কেঁপে কেঁপে উঠছে । কাজেই কিছু বানান ভুল টুল হলে একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন ।

Anime: ইশকুলের দিনগুলি / School days (কি কিউট নাম , আসলেও কিউট একটা এনিমে)

Genre: ইয়ে আসলে এমন কোন জানরা নাই যেটা এই এনিমে কভার দেয় নাই । পুরাই মাস্টারপিস একখান ।

School Days 2
প্লটঃ
জাপানের ছোট একটি স্কুল । সেইখানে ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ে । তাদের মধ্যে কিউট একটি বাচ্চা হল মাকোতো শিশিও থুক্কু মাকোতো ইতো । সে পছন্দ করে আরেক কিউট বাচ্চা কাটাছিড়া থুক্কু কাতসুরা রে (ইয়ে আসলে একটু ভূমিকম্প হইতেসে মেবি , তাই হাত টা বেশি ই কাঁপতেসে) । কিন্তু ইতো এরশাদের থেকেও লাজুক কিনা , সরাসরি কিছু বলতে পারে না । তাই এ বিষয়ে তার আরেক কিউট বান্ধবীর সাহায্য নেয় (হুম সে ও আরেক কিউট বাচ্চা) । এভাবেই একটি কিউট প্লটের ভিতর দিয়ে গল্পের কাহিনী আগাতে থাকে । আসলে আমার লেখায় তো আর বুঝা যাবে না এইটা কি একটা মাস্টারপিস । বরং কাছাকাছি ধারনা পাওয়ার জন্য আসিফুল হক ভাই এর একটি উক্তির কথা স্মরণ করতে পারি —

“স্টোরিটা হয়ত একেবারে ইউনিক কিছু না; কিন্তু যেভাবে পুরো গল্পটা সাজানো হয়েছে; উপস্থাপনা, দৃষ্টিকোণ এবং সম্পাদনা – তা আসলেই চমৎকারিত্বের দাবি রাখে। একটা টিপিকাল কিউট প্লটের মাঝেও অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্বে পূর্ণ চরিত্রগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, লড়াই এবং একত্রে একে অপরের পাশে থাকার যে প্রবণতা এবং নাকামার জন্য যে আত্মত্যাগ – তা এই সিরিজকে দিয়েছে অন্য এক মহিমা।”

চরিত্রঃ
কি আর বলব চরিত্রের কথা !! একটি কিউট ছেলে আর অনেক গুলা কিউট মেয়ে । প্রত্যেকের অবদান ই সমান গুরুত্বপূর্ণ । আর মেইন ক্যারেক্টার এর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট তো অসাধারণ । শুরুতে মেইন ক্যারেক্টার একটু ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু গল্পের মাঝামাঝি সময়ে সে জেগে উঠে । আর সে কি জাগরণ !! সেই জাগরণের পর সে নিজে তো আর ঘুমায় ই না , অন্য কাউকেও আর ঘুমাতে দেয় না । আমার প্রায় ই মনে হচ্ছিল “এমুন জাগরণ ই কি আমরা চেয়েছিলুম ?” অন্যান্য ক্যারেক্টার গুলার ও ডেভেলপমেন্ট উল্লেখযোগ্য । বলা যায় সকল চরিত্রের পারস্পরিক সহযোগিতায় ( কিংবা আবারও আসিফুল হক ভাইয়ের ভাষায় “মিথস্ক্রিয়ায়”) ক্যারেক্টার গুলা ডেভেলপমেন্টের এক চরম শিখরে আরোহণ করেছে ।

School Days 1

ওএসটি/গানঃ ইয়ে আসলে হয়েছে কি , প্লট দেখে এত ই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম , যে এ দিকে আর কোন খেয়াল ই ছিল না । (প্লিজ মাইরেন না আমারে ) । তবে এত মাস্টারপিস এনিমের গান গুলাও তো মাস্টারপিস ই হবে, কি বলেন ?

এন্ডিংঃ সবচেয়ে পারফেক্ট এন্ডিং কোন এনিমের বলেন তো ? ফুলমেটাল ? আরে নাহ । কোডগিয়াস ? হাসাইলেন । স্টেইন্স গেট ? ধুর মিয়া, মজা লন ক্যা ? অবশ্য ই ইস্কুল ডেজ । কিউট একটু একশন এর এন্ডিং কে এমন এক পূর্ণতা এনে দিয়েছে যে এটি দেখার পর আপনার দেহ মন সবকিছু পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং আপনি আক্ষরিক অর্থেই একজন নতুন মানুষে রূপান্তরিত হবেন ।

একটাই কথা । মাস্ট ওয়াচ !! এই জিনিস যারা দেখবে , তারাই অনুভব করতে পারবে , জীবন কত কিউট !!

ম্যাল রেটিং জানার দরকার নাই । আমার রেটিং ? এত মাস্টারপিস এনিমেকে রেটিং দিব ? আমার ঘাড়ে আর কটা মাথা ?

পরিশেষে দুটি কথা বলতে চাই

১)এনিমে টি এত ই কিউট যে এটা বাচ্চাদের দেখানো উচিত না । কারণ কিউটনেস ওভারলোড হয়ে বাচ্চা হাঁ করে ফেলতে পারে এবং তখন তার মুখে মশা মাছি ইত্যাদি ঢুকে নানারকম রোগ সঞ্চার করতে পারে

২) এনিমে টি দেখার সময় আপনি পুরাপুরি perplexed হয়ে যাবেন এবং আপনার স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে । এজন্য এনিমে টি দেখার সময় অন্যান্য কাজ যেমনঃ খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি না করা ই ভালো (গলা দিয়ে খাবার না নামতে পারে , কারণ আপনার গলা তো perplexed)

School Days 3

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #৩০: Mirai Nikki — Zakaria Mehrab

এনিমেঃ মিরাই নিক্কি (দ্যা ফিউচার ডায়েরি)

জনরাঃ মিস্টেরি, সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজিকাল, থ্রিলার
এপিসোড সংখ্যাঃ ২৬ এপিসোড + ১ ওভিএ
ম্যাল রেটিংঃ ৮.২

শব্দসংখ্যা সীমিত । সূচনা বাদ দিয়ে তাই অন্য পয়েন্ট এ চলে যাই । তবে যেটা মাথায় রাখতে হবে এইটা হচ্ছে ড়িভিউ 😎 গ্যাগ হিসেবে কন্টেস্ট এ পাঠালাম 😀

প্লট (আই সুলেমানলি সয়্যার দ্যাট আই এম আপটু নো গুড)ঃ

হাইস্কুল বালক আমানো ইউকিতেরু উরফে “ইউক্কি” ; পড়াশুনায় মনোযোগ নাই , মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে তার দোস্ত ডিউস এর সাথে বকবক করে আর সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি করে । তবে ফেসবুক-টুইটার না ; তার আসক্তি হল ডায়েরি লেখায় । পুরা মোবাইলটাকে সে একটা ডায়েরি বানিয়ে ফেলে যেইখানে তার প্রতিটি কাজকর্ম সে লিপিবদ্ধ করে রাখে । বেশি মোবাইল টিপলে , চোখের বারোটা বাজে । আমানোর ও বারোটা বাজল । তবে চোখের না , তার মোটামুটি পুরা চৌদ্দগুষ্টির বারোটা বেজে গেল । একদিন আমানো দেখে ঐদিনের দিনলিপি আগে থেকেই মোবাইলে এন্ট্রি করা আছে । এবং  সব এন্ট্রিগুলাই মিনিটে মিনিটে সত্য প্রমাণিত হতে থাকে । হতভম্ব আমানো আরো থ হয়ে যায় যখন সে জানতে পারে তার কল্পনার দোস্ত ডিউস আসলে একজন গড, আমানোর ডায়েরি একটি ফিউচার ডায়েরি যেটা তার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুর ভবিষ্যৎবাণী করে এবং তার মত আরো এগারোজন ডায়েরি ইউজার আছে । প্রত্যেকের উদ্দেশ্য বাকিদেরকে চন্দ্রবিন্দু করে বেঁচে থাকা । সবশেষে যে একজন টিকে থাকবে সেই হবে ডিউস এর উত্তরাধিকারী । সুতরাং ডিউস চোধুরী সাহেবের সম্পত্তির লোভে ডায়েরি ইউজাররা রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠে । আমানোর সাথে যোগ দেয় তার উপর উথালপাথাল ক্রাশ খাওয়া গাসাই ইউনো যে আমানোকে “পাবার জন্য সবকিছু করতে রাজি” ।  বাংলা সিনেমা লাগছে ?  এইখানে “সবকিছু” বলতে কি বুঝায় আপনার ধারণাই নাই । ধারণা পাওয়ার জন্য  ২৬ এপিসোড+১ ওভিএ এর এনিমেটি দেখে ফেলতে হবে ।

এইবার কাটাছেড়া করি 😀

নক্সঃ

এনিমে মেইন ক্যারেক্টার বললে চোখে কি ভেসে উঠে? বোকা, স্থিরপ্রতিজ্ঞ , বন্ধুবৎসল, সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে স্মার্ট ইত্যাদি আরো কিছু । তবে এই এনিমেটির মেইন ক্যারেক্টারটি একটি অভিজাত শ্রেণীর বলদ বাদে আর কিছু ই না । সুতরাং আপনি যদি বিন্দুমাত্র কুলনেস চান মেইন ক্যারেক্টার এর ভিতরে আপনাকে হতাশ হতে হবে ।  খালি একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই । আপনার ক্লাসের কোন মেয়ে যদি বলে বড় হয়ে আপনাকে বিয়ে করবে , কত উচ্চ শ্রেণীর বলদ হলে আপনি এই অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে পারেন? আরেকটি সতর্কতা হল ক্ষণে ক্ষণে ন্যাকা গলায় “ইউককককি , ইউককককি” আহ্লাদ শুনে যদি নায়িকার গলা চেপে ধরার পৈশাচিক আক্রোশ জেগে উঠে তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে ।

লুমোসঃ

 উৎসাহ হারাচ্ছেন ? তাইলে এইবার ভালো কিছু ফেলি । স্বীকার করতেই হবে, প্লট বেশ ইন্টারেস্টিং এবং আমার দেখা সেরা (সম্ভবত) প্লট টুইস্ট টি এই এনিমেতে রয়েছে । স্পয়লার ছাড়া এনিমেটি দেখে যেতে পারলে আপনি যে একটি বেশ ভালো কাহিনী উপভোগ করে উঠবেন এতে সন্দেহ নাই । রোমাঞ্চকর ও পিলে চমকানো কিছু সিন পাবেন , সেই সাথে রয়েছে মানানসই ওপেনিং ও এন্ডিং সং । মেইন ক্যারেক্টার বাদে বেশ কিছু প্রভাব ফেলা ক্যারেক্টার আছে । আর রয়েছে গাসাই ইউনো । ন্যাকামি বাদ দিলে ইউনোর প্রভাব সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী এবং তার কাজকর্ম দেখে মুহূর্তের জন্য মস্তিষ্ক অবশ করার জন্য হলেও এনিমেটি দেখা আসে ।

ইন্টারেস্টিং একটি জিনিস বলে রাখি । এপিসোডের নামগুলো খেয়াল করলে দেখবেন সেগুলো প্রতিটি ই মোবাইল সম্পর্কিত কোন টার্ম ।

মিসচিফ ম্যানেজডঃ 

সুতরাং পপকরন এবং প্যারেন্টাল গাইডেন্স নিয়ে বসে পড়ুন এবং দেখে ফেলুন মিরাই নিক্কি । তবে দেখার পর যখন আপনার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটিং এ যাবেন তখন দয়া করে কোন ক্রিটিকাল কোন স্থানে (যেমন ছাদে, নদীর পাড়ে ইত্যাদি) বসবেন না । গার্লফ্রেন্ড আদুরে কন্ঠে “জানু, বাবু” ডাকলে সমস্যা নাও থাকতে পারে । তবে চমকে গিয়ে আপনি ছাদ থেকে কিংবা নদীতে পড়ে গেলে সেটা সমস্যা ।

30 Mirai Nikki

সাসকের প্রতিশোধ by Farsim Ahmed

তো নারুতো দেখছিলাম। অনেকেই এই দারুন আনিমেটা দেখেননি, তাদের জন্য কাহিনী সংক্ষেপ।
নারুতো আনিমেটার মূল ক্যারেক্টার হচ্ছে উচিহা সাসকে।  বেচারা ছোটবেলা থেকেই একা মানুষ হয়েছে, কারণ তার গোত্রের সবাই খুন হয়েছে।  আর এই খুন করেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নরকের কীট নরপিশাচ এক নিনজা, উচিহা ইতাচি।  সে হচ্ছে সাসকের বড় ভাই। প্রতিশোধ নেবার তীব্র বাসনায় সাসকে নেমে পরে। তাকে মারামারি করতে শেখায় নিনজা জগতের সাধু বলে পরিচিত অরোচিমারু। প্রতিশোধ নেবার পথে সাসকের পরিচয় হয় কিছু মাইনর নিনজার সাথে। সাসকে কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? সে কি পারবে হোকাগে হবার স্বপ্ন পূরণ করতে?

ছবিতে সাসকে। ইনসেটে তার সন্ত্রাসী ভাই।
তো নারুতো দেখছিলাম। অনেকেই এই দারুন আনিমেটা দেখেননি, তাদের জন্য কাহিনী সংক্ষেপ।
নারুতো আনিমেটার মূল ক্যারেক্টার হচ্ছে উচিহা সাসকে। :)  বেচারা ছোটবেলা থেকেই একা মানুষ হয়েছে, কারণ তার গোত্রের সবাই খুন হয়েছে। :(  আর এই খুন করেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নরকের কীট নরপিশাচ এক নিনজা, উচিহা ইতাচি। >:o  সে হচ্ছে সাসকের বড় ভাই।  প্রতিশোধ নেবার তীব্র বাসনায় সাসকে নেমে পরে। তাকে মারামারি করতে শেখায় নিনজা জগতের সাধু বলে পরিচিত অরোচিমারু। প্রতিশোধ নেবার পথে সাসকের পরিচয় হয় কিছু মাইনর নিনজার সাথে। সাসকে কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? সে কি পারবে হোকাগে হবার স্বপ্ন পূরণ করতে?
ছবিতে সাসকে। ইনসেটে তার সন্ত্রাসী ভাই।
Shafin Tousif's photo.
পুলিশ বাহিনীর কাছে মাদকসহ ধরা পরবার পর মুখ লুকাচ্ছেন কোনোহার ত্রাস ইটাচি।

 

## Sasuke Shippuden – a small fairytale## by Tahsin Faruque Aninda

 

~~ ১৮+, ১৮-, সকলকেই সাবধানতা অবলম্বন করে রুপকথাটি পড়বার অনুরোধ জানানো হইলো। বিখ্যাত এই রুপকথাটি নিয়ে বেশ কিছু বছর আগে নাম পরিবর্তন করে Naruto নামে একটি আনিমে তৈরি হয় যা এখনও বেশ দাপটের সাথে এগিয়ে চলছে ~~

## Sasuke Shippuden – একটি ছোট্ট রুপকথা ##

একদা সাসকিকুন এক “ছেলে”ধরা পেদো-সাপের খপ্পরে পড়লো, যে কিনা সাসকির “শরীর” চায়।

প্রথম প্রথম সাসকি বললো, “তুই আমার দেহ পেলেও এটা-সেটা পাবি না”
পেদোকুন বলিলো, “দেহই তো চাই! বাকিটুকু নিজে করে নিব। তবে আমার বাসায় অনেক খেলনা আছে।”
সাসকি ভাবলো, আহা কি ভাল সাপ! খেলনা দিবে, খালি শরীরটা নিবে। খারাপ কি! তখন খুশিতে গদগদ হয়ে নাচতে নাচতে সাপটির সাথে চলে গেলো সাসকিকুন, যাবার সময়ে তার বান্ধবি শাক্রাকে ঢুশ মেরে দিয়ে গেল যেন তাকে কখনই না ভুলে। আর এতদিন জানের সাথি নার্তুকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে চলে যেতে একটুও দ্বিধা করলো না…

এদিকে দিন যায়, বছর যায়, সাসকি বড় হয়। সাসকির “শরীর”-এর দেখভালের জন্যে পেদো-সাপ তাকে অনেক ভাল খাবার দেয়, সুন্দর খেলনা দেয়, তার বয়সী কিছু ছ্যাছড়া পোলাপাইনের সাথে খেলাধুলার সুযোগ দেয় যাতে “শরীর”-এর সাথে সাথে সাসকির এটা-সেটা এবং “মন”টাও পেয়ে যেতে পারে!
তবে বয়সের দোষে বড় হতে হতে খেলনার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়, আর নিজেই অন্যের শরীরের দিকে আকর্ষিত হতে থাকে। নিজে রীতিমত খোলামেলা কাপড়চোপড় পরা শুরু করে।

সাসকির এই পরিবর্তন দেখে পেদো-সামা আর লোভ সামলাতে পারলো না! ভাবলো, “এতদিনের আরাধনা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে! সাসকি হবে আমার! ওর শরীর হবে আমার! ওর এটা-সেটাও হবে আমার!!!”

যদিও পেদো-সামা এত কিছু পরিকল্পনা করছিল, আর ভাবছিল কিভাবে সাসকিকুনকে ধোঁকা দিয়ে তার শরীর হাতিয়ে নেবে, কিন্তু তাকে বিস্মিত করে সাসকি নিজে চলে আসে পেদোসামা-সর্পরাজের কাছে। পেদোরাজকে বিছানায় পেয়ে বলেই বসে, “পেদোসামা সর্পকুন, এবার কি চাও বল।”

সাসকিকুনের বীরত্মে সর্পসামা আর লোভ সামলাতে না পেরে ঝাপিয়ে পরে সাসকিকুনের উপর। কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তি চললো। সাসকিকুন তার জামা খুলিয়া ফেলিল, পেদোসামা দেখিল সাসকির পাখা গজিয়ে গিয়েছে! পিপীলিকার পাখার কাহিনি মনে পরে খুশিতে সাসকিকুনের উপর ঝাপিয়ে পরলো পেদোদামা, সাসকির শরীর এবার শুধুই তার হবে, আর কারও নয়!
তবে বয়সের সেই পুরানো দোষ, সাসকি নিজের শরীর দিতে নয়, পেদোসামার শরীরই পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলো। এবং চক্ষু দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে পেদোরাজের সমস্ত শরীর নিজের করে নিল!

পেদো হয়ে গেল সাসকিকুনের, এখন সে মুক্ত! কিন্তু যেমন গুরু তেমন শিষ্য বলে কথা। পরের শরীর ভোগের সেই লালসা সাসকির এখনও যায় নি। এবার পালা তার ছ্যাছড়া ডিজুস দলের। একে একে তিনজনকেই মুক্ত করে নিল সাসকি। যখন শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে, তখন রাক্ষুসে জুগুকে শরীর শোষণ করে নেয়। পানির ছলনা দেখে মোহিত হতে গেলে চুইগেতুসকে নিয়ে ছেলেখেলায় মত্ত হয়। আর কারিনার তো কথাই নাই! ক্ষুধা লাগলেই কামড়িয়ে বসে!!!

এভাবেই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো সাসকিকুন ও তাহার তাকু নামক দলটি।

~~ আমার কাথাটি মুড়িল, জুবি-গাছটি ফাটিল ~~