Gintama Fanfiction: প্যারোডি — Rahat Rubayet

গিন্তোকি, কাগুরা আর শিনপাচি ৩ জনই তাদের অফিস রুমে বসে আছে! ওয়েল, তাদের অফিস রুমের বৈপ্লবিক পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা অন্যকোন দিনও করা যাবে। তবে, তাদের রুমের একপাশে একটি ১৭ইঞ্চি মনিটর সমেত কম্পিউটর আর তাতে ইন্টারনেট কানেকশান যে এসে পরেছে, তা জানানো প্রয়োজন। ৩ জন মিলে সেই মনিটর স্ক্রীনের দিকে ১ দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। নেট কানেকশন নিয়েই একটা ডোমেইন আর হোস্টিং নিয়ে একটা ফোরাম খুলে ওরা। ইতিমধ্যে বেশ ভালই সাড়া ফেলে দিয়েছে, শিনসেংগুমির প্রায় সবাইই ফোরামে জয়েন করেছে।
আজ সেই ফোরামে একজন কেউ একজন তাদের নিয়ে একটা ফিকশান পোস্ট করে বসে আছে! তাই ৩ জনে মিলে যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যের সাথে তা খুঁটিয়ে লক্ষ্য করছে কোথাও উলটপালট কিছু লিখেছে কিনা! লিখা পড়তে পড়তেই হটাত, নতুন নোটিফিকেশন আসল, শিনসেংগুমির একজন হাতে আকা একটা ছবি পোস্ট করেছে!
লিখাটা রেখে ছবিটায় ক্লিক করল, গিন্তোকি!
ক্লিক করতেই মুখ দিয়ে অস্ফুটভাবে বেরোয়, “আরে….”
-“কি হল গিন-সান”
-“এই পুলা আবার আমাদের রাইখে ফুলমেটালের ক্যারেক্টার এর ফ্যান আরট আকসে! এত্ত কষ্ট করে, এত্ত এত্ত প্যারোডি বানায়ে এত্ত কমেডি কইরে মাই এনিমে লিস্টের ১ নম্বরে আসলাম- আর……… “

এই পর্যায়ে শিনপাচি তার চশমা ঠিক করতে করতে বলে, “গিন-সান, মাংগা আর এনিমেগুলার একটা আরেকটার প্রতি পারস্পরিক সম্মান রাখাটা উচিত, না হলে ফ্যান্ডমে খুনোখুনি বেধে যাবে! আর তাছাড়া,……… ” এইটুক বলে একটু রহস্যময় একটা লুক দেয় পাঞ্চলাইন-মাস্টার শিনপাচি।
“আর তাছাড়া,….??” অবাক হয়ে জিজ্ঞাসা করে কাগুরা।
“তাছাড়া, মাই এনিমে লিস্টের টপ পজিশন আর আমাদের দখলে নেই। গেল হপ্তায় নূতন একটা এনিমে মুভি আমাদের কাছ থেকে এই পজিশন ছিনিয়ে নিয়েছে!”
“না, না না!!! এ হতে পারে না, চৌধুরী সাহেব! এ ঘটনা ঘটার আগে আমি কেন বেচে উঠলাম না!” বলে বিলাপ করতে থাকে কাগুরা।
“ওয়ে, কাগুরা! এইসব বাংলা সিনেমার ডায়লগ দিয়ো না! এইসব উলটাপালটা ডায়লগ শিখলেই বা কই থেকে”
“আরে, আমি কি করবো, ধুর! স্ক্রিপ্টে তো অমনই লিখে রেখেছে! সব ওই নচ্ছার লেখকের কারসাজি! সেইদিন আমার ইতাচিকুনকে পচায়ে কি প্যারোডিই না করলো এক লেখায়!”
” ওয়ে কাগুরা! শান্ত হও! আমরা এখনো তার লেখার ভিতরেই বন্দী। কাজেই ওকে নিয়া উলটাপালটা কিছু বলা ঠিক হবে না!”
এবার কথা পারলো শিনপাচি ” তাছাড়া, নারুতো এনিমেটা শেষ এর দিকে- আমার মনে হয়, আমাদের একটা ট্রিবিউট এর মতন দেয়া উচিৎ, গিনসান!”
-“হুম, বোকু নো হিরো আকাদেমিয়া থেকে এট্যু যেড কপি করলেও ফিলার দিয়ে এনিমেটা সবার মনে জায়গা করে নিয়েছে”, বলে চলে গিন্তোকি সাকাতা “তাই আমাদের উচিৎ কিশিমোতো সেন্সেইর প্রতি একটা ট্রিবিউট দেয়া!”
“হুম হুম, ইতাচি আর ইতাচি শিপ্পুডেন এনিমেটা আসলেই সর্বকালের সেরা এনিমে” যেন ঘোষনা করল কাগুরা।”
“কিন্তু, গিনসান! তাহলে তো আমাদের ব্লিচ নিয়েও একটা প্যারোডি থুক্কু ট্রিবিউট দেয়া উচিৎ।”
গিন্তোকি উত্তর করে, শিনপাচির উদ্দেশ্যে, “না! কারন, এই ফিকশানের লেখক নারুতো এনিমের ফ্যান- ব্লিচের ফ্যান না! আমরা যদি ব্লিচ নিয়ে কিছু করতে যাই- নগদে খায়ে দেবে লেখক”
-“কিন্তু, গিনসান আমার তো ব্লিচের একশন বেশি ভাল্লাগে। ইভেন, আমার কাছে ব্লিচ ইজ বেটার দ্যান……………”
………………
………………
দু:খিত যান্ত্রিক গোলযোগ আর মব সাইকোর ১০ম এপিসোড দেখার জন্য ফ্যানফিকের রাশ এন্ডিং টানতে বাধ্য হলেন লেখক!

দ্রষ্টব্য : (সথাসম্ভব সংক্ষেপিত আর প্রচন্ড মাত্রায় পরিমার্জিত)

Comments