সাইকো পাস সিজন ২ আলোচনা; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

psy

একটা অ্যানিমে যখন আমাদের ভাল লাগে, তখন আমরা সবাই আশা করি যে ঐ অ্যানিমেটার আরেকটা সিজন আসুক, এবং একই রকম চমক উপহার দিক আমাদের। আর অ্যানিমে ইন্ডাস্ট্রি চলেই আমাদের এই এক্সপেকটেশনের ওপর নির্ভর করে। সেক্ষেত্রে সাইকো পাসের সফলতার পরে যখন সিজন ২ আসার খবর পাওয়া যায়, আমরা আগ্রহ নিয়ে দেখব এটা যেমন সত্য, তেমনি এটাও সত্য যে এটা আমাদের আশা পূর্ণ না করে যদি শুধু নাম ভাঙিয়ে খাওয়ার একটা প্রচেষ্টা হয়, তাহলে বিরক্ত লাগাটাও স্বাভাবিক। এখন প্রশ্ন হল, সাইকো পাস সিজন ২ আগের সিজনের সেই চমৎকার এক্সপেরিয়েন্সটা দেয়ার ক্ষমতা রাখে কিনা।

প্রথমে দেখা যাক, কি কি কারণে সিজন ২ অনেকের দেখতে ইচ্ছা না হতে পারে।

# প্রথম সিজনটা ছিল গেন উড়োবুচির সৃষ্টি। কিন্তু পরেরটায় তিনি কোন কাজই করেননি। এটা খুব সহজেই ধরে নেয়া যায় যে অন্য কেউ তার লেখা গল্প তার মত করে এক্সিকিউট করতে পারবে না, কাজেই সবচেয়ে বড় রিস্কটা ওখানেই। তবে শেষমেশ অবস্থা কি হল, তা জানতে হলে তো দেখতেই হবে।

# Studio পাল্টে গেছে। এটা যদিও আমার কাছে তেমন বড় ফ্যাক্ট না, তবে বাজেট, গ্রাফিক্স আরও যা যা একটা অ্যানিমে বানাতে প্রয়োজন, সেটা তো এরই সাথে পাল্টাবে। তবে এইক্ষেত্রে আমার চোখে গ্রাফিক্সে খুব পার্থক্য ধরা পড়েনি, হয়ত এপিসোড সংখ্যা কমিয়ে সেটা ম্যানেজ করা গেছে।

# শিনিয়া কৌগামি। সবচাইতে বড় পার্থক্যটা সে একা গড়ে দিয়েছে। এই সিজনে একমাত্র আকান সুনেমোরির কল্পনাতে ছাড়া কোথাও তার দেখা নেই। একটা প্রধান চরিত্রের অনুপস্থিতিটা অনাগ্রহ জাগিয়ে তোলার জন্যে যথেষ্ট।

# Storyline এ আগের সিজনের সাথে ধরতে গেলে কোন সম্পর্কই নেই। আবার সেই সিবিল সিষ্টেমকে চ্যালেঞ্জ, এটাকে জাজ করার প্লট, আকানে সুনেমোরির ওপর প্রেশার। ক্রাইম সিনে মারামারি কাটাকাটি যা হয় তা এই সিজনের চরিত্রগুলোর মাঝেই সীমাবদ্ধ। সম্ভবত গেন উড়োবুচি নিজের সৃষ্ট চরিত্রগুলোকে নিজহাতে খুন করতে চান।

# আগের সিজনের সাথে পাল্লা দিয়ে ব্রুটাল করার চেষ্টা করেছে। এবং তাতে কিছুটা মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছে।

# ক্যারেক্টার ডিজাইন কিছুটা বিরক্তিকর। প্রায় সব ফিমেল ক্যারেক্টার দেখতে একই রকম। আমি শেষ এপিসোড পর্যন্ত তাদের চিনতে ভুল করেছি বারবার।

# শুরুর দিকে কাহিনীটা একটু জট পাকিয়ে গিয়েছিল। পরে যেটা শুধরে নেয়।

# সবশেষে আবার স্টোরিটাকে মোটামুটি ঐ সিজন ১ যেখানে শেষ হয়েছে ঐরকমই একটা পর্যায়ে ফিরিয়ে আনা হয়েছে, যদিও এটা কেবল একটা অনুমান মাত্র, ঠিক নাও হতে পারে।

এবার বলি কেন আমার কাছে সাইকো পাস সিজন ২ কে ভাল লেগেছে।

# কৌগামি নেই, মাকিশিমা নেই, তো কে আছে? কিরিতো কামুই। মাকিশিমা যদি ক্রিমিনালি অ্যাসিম্পটোম্যাটিক হয়, তো কামুই আরেক আশ্চর্য বস্তু। কামুই এর কাজকর্ম দেখার জন্য হলেও এটা দেখা উচিৎ।

# স্টোরিলাইন। সিবিল সিস্টেমকে বেশ ভালভাবে সংশয়ে ফেলতে সক্ষম হয়েছে কিরিতো। টানটান উত্তেজনাটা ধরে রাখতে পেরেছে।

# আকানে সুনেমোরি। সে যেভাবে ল’ কে প্রতিনিয়ত বুদ্ধিমত্তার সাথে রক্ষা করে যাচ্ছে, তার প্রমাণ আরও একবার পেতে ভালই লাগবে।

# আমি নিশ্চিত সুনেমোরির কালার নিয়ে সবার মনে প্রশ্ন আছে। ওর কালার কি আসলেই কখনো পাল্টাবে না? Well, there is a surprize for you regarding that fact!

# নতুন ইনস্পেক্টর এবং এনফোর্সার আছে বেশ কয়েকজন, তারা যদি হঠাৎ করে মুভিতে এসে পড়ে, চিনতে কষ্ট হবে। তারওপর একরকম দেখতে, ঐ ব্যাপারটা তো আছেই।

# সিবিলকে কামুই এর শেষমূহুর্তে ছুড়ে দেয়া প্রশ্নটা। এটা মুভির সাথে সিজন ২ কে জুড়ে দিতে পারে।

# সিবিল নিজেকে কিভাবে পাল্টাবে কামুইকে জাজ করতে। এটা জানাটা বোধহয় সবারই উচিৎ।

# মাত্র ১১টা এপিসোডের মাঝে অনেক কিছুই দেখিয়ে ফেলেছে, যে সময়টা দেখতে ব্যয় হবে, তা মোটেই নষ্ট হবেনা।

সবমিলিয়ে সাইকো পাস সিজন ২ কে আমার কাছে অনেকটা ফিলার সিজনের মত মনে হয়েছে। কিন্তু এঞ্জয়েবল, ভাল স্টোরিলাইনের এবং চমৎকার ওএসটি যুক্ত একটি ফিলার এবং আমি বেশ উপভোগ করে দেখেছি। আবার বলাও যায়না, কোন না কোনভাবে মুভির কাহিনী যদি এর সাথে জুড়ে যায়, তাহলে এটা মাস্ট ওয়াচে পরিণত হবে। কাজেই, আমার মতে, মুভি আসতে আসতে একটু কষ্ট করে এটা দেখে নেয়াটাই উচিৎ।

inspiring and motivational anime character from anime khor bd group


Tasnim M Hasan
 

সারভে কর্পস আইডিয়াটা (এরেনদের বাদে,দামে এরেন) আমাকে ইন্সপায়ার করতেসে এই কয়দিন,Walking onward,even they know the certain death awaits.
আবারো আলুকারড,সিম্বল অভ সারটেইন ভিক্টরি।দিস কারেক্টার গিভস মি কনফিডেন্ট.যেকোনো সমস্যায় পিঠ-বাকা করা হাসি :V
ইপ্পো,পিউর স্পোর্টসম্যানশীপ।ইপ্পোর মত যদি স্পোর্টসম্যান হইতে পারতাম

Md Asiful Haque
স্পোর্টস এনিমের মধ্যে আমার জন্য সবচেয়ে “inspiring and motivational” শিনোজাকি মিকোতো !!! অন্য ৮-১০ টা এনিমের মত এখানে মিকোতো শেষে ট্রফি মফি দিয়ে বাড়ি ভরে ফেলে না; বরং এক্টাই টুর্নামেন্ট দেখায় এইখানে; এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রেইস শেষ করতে না পারায় সেই টুর্নামেন্ট এ তাকে ডিস্কোয়ালিফাইড ঘোষণা করা হয়। রেজাল্ট শুনে সে তার সাইকেলের কাছে যখন “গমেন্নাসাই গমেন্নাসাই” করে কাঁদতে থাকে; এবং বার বার stronger হবার কথা দিতে থাকে – সেই মুহূর্ত আমি কখনই ভুল্ব না। প্রোবাব্লি মিকোতো আমার কাছে সবচেয়ে ইন্সপায়ারিং ক্যারেক্টার; শুধু স্পোর্টসে না; বরং ওভারঅল।

Shafiul Munir 

নারুতো, তার ‘জেত্তাই আকিরামেনো’ মোটো আমাকে সবসময় ই ইন্সপায়ার করে। 
লুফি, নতুন কিংবা অদ্ভুতকে সহজে মেনে নেবার/আপন করে নেবার অস্থির ব্যাপারটা খুব ভালো লাগে।

Torsha Fariha তাকেমোতো। ও আমাকে কিভাবে ইনস্পায়ার করসে বলতে গেলে আসলে বিশাল কাহিনী লিখতে হবে। তাই সংক্ষেপে বলি 
আমি তাকেমোতোর মধ্যে নিজেকে দেখতে পেয়েছিলাম, আমার স্বপ্নগুলো দেখতে পেয়েছিলাম। আমি এতদিন ধরে কি খুঁজছি সেটা খুঁজে পেয়েছিলাম। আসলে তাকেমোতো অন্য অ্যাকশন অথবা রোমান্টিক মুভির সুপার কুল নায়ক না। ও আমার মতই সাধারন। পর্দায় একজন সাধারন মানুষকে দেখতে ভালো লাগে। যদিও আমি ক্রাশ খাই মোরিতার সুপার কুলদের উপর  

খুব সাধারন হয়ে, খুব সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম অনুভূতি গুলো মনের ভেতর লালন করে কিভাবে খুব সুন্দর জীবন যাপন করা যায় সেটা আমি তাকেমোতোর কাছে শিখেছি।

আমার জীবনের বড় একটা ব্লেসিং হানি অ্যান্ড ক্লোভার।

Torsha Fariha's photo.
কুরোসাকি ইচিগো…..নিজের ভালোবাসার মানুষদের রক্ষা করার জন্য ওর যে দৃঢ় ইচ্ছাশক্তি,সেটা আমাকে প্রেরনা দেয়,নিজেকে আরো উন্নত করে তোলার জন্য!!!!!
arhad Mohsin 
বসে বসে পুরানো নারুতো মাঙ্গা পড়ছিলাম। শেষ করলাম গিয়ে চ্যাপ্টার ৩৮২ তে। যারা মাঙ্গা পড়ে নাই বা মনে নাই(মনে না থাকা মনে হয় স্বাভাবিক, আমার মনে ছিল না) তাদের জন্য বলি, এই চ্যাপ্টারে জিরায়া vs পেইন লড়াইয়ের সমাপ্তি ঘটে।
চ্যাপ্টারের নাম The Real Choice.
আসিফের ইমোশনাল ইভেন্টের পোস্টের এবং তারপর ইন্সপিরেশনাল ক্যারেক্টারের পোস্টের সময়ও আমার প্রথম যেটার কথা মনে হচ্ছিল, তা হচ্ছে জিরায়া, হাউ হি লিভড, হাউ হি ডাইড। আই ডোন্ট স্টিল রিড নারুতো ফর নাথিং। আই ডোন্ট গেট ফ্রাস্ট্রেটেড অ্যাট কিশিমতো ফর নাথিং আইদার। যে লোক জিরায়ার মত ক্যারেক্টার লিখতে পারে, তার কাছ থেকে অনেক বেশি কিছু আশা করাটা আসে।
লাইট- ডেথ নোট পাওয়ার পর লাইট world change করার যেই ডিসিশন টা নিসিল তার যায়গাই এল হইলেও এত লিজেন্ডারি এক্টা ডিসিশন নিতে পারত না। সাধারণ এক্টা ছাত্র হয়েও সে যেভাবে এলের মত ডিটেকটিভের সাথে লড়াই করে…. এক্টা ক্যারেকটার কিভাবে এতটা বুদ্ধিমান হতে পারে! “A change is brought about because ordinary people do extraordinary things.” – Barack Obama

নারুতো- গারাকে যেভাবে ইন্সপায়ার করসিল আমাকেও ঠিক সেভাবে ইন্সপায়ার করে। Naruto taught me to never lose hope no matter how difficult things get and never give up on my dreams.

Itachi- for making me realize that a meaningful silence is always better then meaning less words.

অনিজুকা- তার লাইফ স্টাইল, সীমাবদ্ধ জীবনের সীমিত সময় টা একদম নিজের মতো করে বাঁচা, যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজেকে খাপ খাইয়ে নেওয়ার মতো অসাধারণ দিক গুলা গ্রেট টিচার অনিজুকা দেখার সময় ইন্সপায়ার করসিল। এখনো আমার মাঝে মাঝে অনিজুকার মত করে বাচতে ইচ্ছা করে। কোনরকম টেনশন ছারা ব্যাচেলার লাইফ, যেখানে বাধা দেওয়ার জন্য কেউ থাকবে না।

Ekjon Rafat O Holud

 কয়জনের নাম কমু!!সর্বপ্রথমে কইতে হয় ওনিযুকা দ্যা গ্রেটের কথা,শিক্ষক আর ছাত্রের সম্পর্কগুলি কেমন হইব এক্কেরে চোখে আঙ্গুল দিয়া দেহায়া দিসে ,
তারপর ব্লিচের উরাহারা,ইচিগো,নারুতোর নারুতোর “জেদ্দাই আকিরামেনাই”,জিরাইয়্যা,পিচ্চি ওবিতো,ইতাচি,শিজো সাইকোনো দেশি কেনিচির কেনিচি,কেনিচির সবগুলি মাস্টার,ফেয়ারি টেইলের নাটসু,কোড গিয়াসের লিলুশ,ওয়ান পিসের লুফি,বেলমের সান,ডক্টর হিলুলুক

Black Lagoon: Roberta’s Blood Trail – by Tariqul Islam Ponir

3 Black Lagoon - Roberta’s Blood Trail
Revi: Hey chniglish. Want a job? You get to kill a whole lot of dipshits.
Shenhua: I’ll be happy to skin you for free, slut.
Revi: Jesus, what’s with the attitude.

Black Lagoon: Roberta’s Blood Trail দেখলাম। যদিও দুইবছর আগের টাইটেল কিন্তু ইংলিশ ডাব এর জন্য ওয়েট করাতে এত দেরি হল দেখতে।

আগের সিজনের মত অস্থির ডায়ালগ বেশ কম। রক এর ক্যার‍্যাক্টার এ যে চেঞ্জটা এনেছে সেটাও বেশ মজাদার। এইভাবে চলতে থাকলে মনে হয় সিরিজটাকে আরো অনেকদূর নেয়া সম্ভব। আর একটা দিক, রবার্টা মনে হয় আর কখনোই আসবে না সিরিজটাতে, তার গল্পের এখানেই সমাপ্তি। অবশ্য আমি প্রথম সিজনের কিডন্যাপিকং আর্ক এর পরই এই ক্যার‍্যাক্টার আবার আসবে এটা আশা করলেও এভাবে আসবে ভাবি নাই।

তবে, আগের দুইটা সিজনই রোজার মধ্যে দেখার উপযোগী না (Don’t get me wrong. শুধুমাত্র গালাগালির কারনে) আর এই সিজন এসেছে ওভিএ ফরম্যাট এ। তো বুঝতেই পারছেন!! তবে টু বি অনেস্ট, FLCL এর পর একমাত্র এই ওভিএটাকেই আমি রেকমেন্ডেবল বলতে পারি (And yes, I have watched Hellsing Ultimate) কমিক রিলিফগুলো আগেরবারের মতই সুন্দর করে করা হয়েছে। এবং ফাইটিং অবশ্যই অভার দা টপ এন্ড অফ কোর্স লজিকলেস। আমি যখন প্রথম সিজন দেখেছিলা তখন অনেক লজিক খুজেছিলাম সিরিজটাতে, সেকেন্ড সিজনে এসে বাদ দিয়ে দিয়েছি আর মজা পেয়েছি +_+  তবে এই আর্কে মজাও সেই তুলনায় কম। কিন্তু চলে।

প্রথম তিন পর্বে রবার্টার হার্ডকোর পার্ফর্মেন্স এর পর পঞ্চম পর্বে আবার মেইড আউটফিটে আসা তা খুব একটা ভালো লাগে নাই। ফ্যান সার্ভিস ফ্যান সার্ভিস মনে হইসে। T_T

আর ডাবটার ব্যাপারটা বলতেই হয়। আমি বেশিরভাগ সময়ই ডাব দেখার পর সাব টা চালু করে দেখি (ডুয়াল অডিও এনকোড আরকি )। এটার জাপানিজ অডিওটাতে দেখলাম লাভলেস ফ্যামিলি এর আরেক পিচ্চি মেইড ফ্যাবিওলাকে ‘শ্রিম্প’ বলে ডাকে পুরা এনিমেতে। কিন্তু ইংলিশটা বলেছে Minimaid যা চরম হাসির, অন্যদিকে Shenhua কে জাপানিজ ভার্সনে Revi তার নাম ধরে ডাকলেও এখানে দেকেছে Chinglish (Cninese+English) হিসাবে। আর রেভির ডায়ালগ ডেলিভারি দেখলে অনেকটা টারান্টিনো আর গাই রিচি এর ফিল্মে বিভিন্ন গ্যাংস্টার এর ডায়ালগ ডেলিভারি এর কথা মনে পরে। হুইচ ইজ অসাম। আফটার অল, ইটজ অল এবাউট ডায়ালগস। 

“I appreciate the help. But after all these is finished and my hunt is complete, I’ll reward you with a painless death.”

 

সিজন ১ আর ২ ডাউনলোড করতে পারেন।

Click This Link

মেলোরিন – এই শব্দ টি কোথা থেকে এল ? একটি “ওয়ান পিস” গবেষণা by Adnan Mohsinur Rahman

মেলোরিন – এই শব্দ টি কোথা থেকে এল ?
একটি “ওয়ান পিস” গবেষণা
J

Untitled

ডিস্ক্লেইমার– আমি এই লেখা টা পেয়েছি ফ্যান ফিকশন ডটনেটে। মূল লেখার লিঙ্ক –
http://www.fanfiction.net/s/5585768/1/Mellorine

ইহা একটি ভাবানুবাদ মাত্র ।

 

দৃশ্য – সানি গো জাহাজ এর ডেক ।

“সানজি -কুন।“
“জ্বী,নামি- সুওয়ান  ”সোনালি চুলের রাধুনী সানজি গুন গুন করে গান গাইতে গাইতে,প্রায় নাচতে নাচতে  হাজির হল ডেকের শেষ প্রান্তে যেখানে কমলা চুলের নাবিক আগেই অপেক্ষমান ছিল।

যদি সানজি অই মুহূর্তে নামি ছাড়া অন্য কোন দিকে চোখ রাখত তাহলে সে দেখতে পেত অন্য সহযাত্রীদের আনন্দিত আশান্বিত মুখ । যদি তার চোখ  এর আকার ধারন না করত তাহলে সে অবশ্যি দেখতে পেত নামির ক্রুদ্ধ দৃষ্টি , অথবা তার অধৈর্য পায়ের নাচন , অথবা  তার হাতের আড়াআড়ি অবস্থান ,কিন্তু …

-সানজি কুন , আমাকে তুমি যে নামটা ধরে প্রায় ই ডাক …

– “অথবা , রবিন কে” উসপ যোগ করল ।
– “ অথবা দৃষ্টির সম্মুখে থাকা যে কোন মেয়ে কে” জোরো বাকা হাসি দিল ।
– “হ্যা , সেটা যেন কি ?”
– “মেলোরিন~~” সানজি সুর করে গাইল ।
-“অইতো , আবার বলল” উসপ সানজির দিকে আঙ্গুল তুলল ।
-“হুম , এই বইয়ে তো এই বানান টাই দেখা যাচ্ছে” জোরো একটা মোটা বই ঘাটতে ঘাটতে বলল ।
-“ সানজি কুন , তুমি কি সত্যি ই মেলোরিন বলতে চেয়েছ ?”
-“হ্যা , নামি সুওয়ান”
– যেমন ,  “ আইস্ক্রীম এর একটি কম দামী বিকল্প , যা তৈরি হয় প্রানীর চর্বি এবং সবজি থেকে … “
নামি শব্দ খুজে পাচ্ছিল না
-“বাস্তবিক ই , নামি সুয়ান”
সানজির এই নিষ্পাপ সত্যই যথেষ্ট ছিল নামির তেলে বেগুনে জ্বলে উঠার জন্য ।
“তুমি বলতে চাচ্ছ এই পুরো সময় আমাকে তুমি “সস্তা” এবং “মোটা” ডেকেছ ?”
“আমি আসলে …”
সানজি শুধু হুপ জাতীয় একটা শব্দ করার সময় পেল নামির ঘুষিতে সমুদ্রের পানিতে হারিয়ে যাওয়ার আগে ।
“আর তোমাদের দুইজনের জন্য … “ নামি এবার বাকি দুই জনের দিকে দৃষ্টি দিল ,যারা পালিয়ে যাচ্ছিল ।
তাদের চোখ বিস্ফোরিত হয়ে গেল যখন নামির মুষ্টিবদ্ধ হাত তাদের কেও ছুড়ে দিল সাগরে , সানজির অনুকরণে ।

এই আনাহুত ঘটনার বা দুর্ঘটনার পরেও ,জোরো এবং উসপ একমত হল যে “অপারেশন- মেলোরিন-শব্দের –চারদিকে- গোল্লা –দেও- এবং -নামির -ডেস্কে -বইটা -রেখে –আস “ বিশাল সাফল্য নিয়ে এসেছে ।

লেখকের কথা –

আজকে আমি হঠাত ভাবলাম “মেলোরিন” মানে কি ? এবং এই অর্থটাই আমাকে উইকিপিডীয়া জানাল J  । আরলং পার্ক ফোরাম এর একটি থ্রেড বলছে – মেলোরিন সত্যিকার অর্থে হয়ত “মেরো-রিন” যার “মেরো “ মানে ভালবাসায় পতিত হওয়া (যেমন হ্যাঙ্ককের মেরোমেরো ফল) এবং অদা-san হয়ত “রিন” যোগ করেছেন একটা সুর তৈরির জন্য , যেমন জোরোর অনেক গুলো মারের নাম খাবারের সাথে সুর তৈরি করে – উদাহরণ – “ অনি-গিরি “। হয়তবা সানজি শুধুশুধুই এই শব্দ ব্যবহার করে ।

জোরো কে সাধারন দুষ্টামি করার মত মনে না হলেও , আমি মনে করি সানজির শাস্তি দেখতে সে আনন্দই পাবে J।

যাই হোক ,

আমাকে জানাও তোমরা কি ভাব ???

 

বাকেমোনোগাতারি – ভূত নিয়ে কিন্তু ভয়ের নয় ! — লেখক Adnan Mohsinur Rahman

বাকেমোনোগাতারি – ভূত নিয়ে কিন্তু ভয়ের নয় !

 

14 Best-bakemonogatari-hybrid-mixed-girl-thread

একদম ছোট বেলার কথা মনে আছে ? যখন আমাদের রাতে ঘুমাতে যাওয়ার অনুষঙ্গ ছিল রুপকথার গল্প-বিশেষত ভুত প্রেত পিশাচ দের নিয়ে রোমহরষক সব গল্প গাথা যা শুনলে সারা গায়ে কাটা দিয়ে উঠত । এখন হয়ত আর ভয় লাগবে না , কিন্তু ছোটবেলার সেই সব রুপকথা গুলোকেই যদি আমাদের এই বাস্তব জীবনে ঘটতে দেখি , কেমন হবে ? আমার মনে হয় যথেষ্ট  উপভোগ্যই হবে ।আজকে আমি যে এনিম টা নিয়ে কথা বলব তার মুল গল্প গড়ে উঠেছে এই ভুত প্রেত দের নিয়েই , ভাল করে বললে “ভূতের আছর” হও্য়া কিছু চরিত্রকে নিয়ে । এনিম এর নাম বাকেমোনোগাতারি।

বাকেমোনোগাতারি  আসলে দুইটি জাপানীজ শব্দের যোগফল – বাকেমোনো , মানে ভুত/প্রেত এবং মোনোগাতারি, মানে গল্প ।ইংরেজি তে এর নাম করা হয়েছে এরকম ghostory= ghost+story .এই নাম এর ব্যাপার টাই আমাকে প্রথম আগ্রহী করেছিল ।হাতে সময় থাকায় দেখতে বসে গেলাম ।

১৫ পর্বের ছোট একটা এনিম । মূল গল্পের নায়ক কোয়োমি আরারাগি , হাইস্কুল ৩য় বর্ষের ছাত্র । ক্লাসের ভাইস প্রেসিডেন্ট সে । তার অতীত সম্বন্ধে শুধু এতটুকুই জানা যায় যে ভ্যাম্পায়ারের আক্রমণে ভাম্পায়ারে পরিণত হয়েছিল সে , কিন্তু তা অতি অল্প সময়ের জন্য ।পরবর্তী তে মেমে অশিনো নামের এক রহস্যময় চরিত্রের সহায়তায় সে পুনরায় মানুষ হয়ে গেছে , কিন্তু কিছু পরিমাণে ভ্যাম্পায়ার  বৈশিষ্ট্য তার মাঝে এখন ও রয়ে গেছে । পুরো এনিমে তে মেম অশিনো চরিত্র টাই যেন আরারাগির গুরু , যেকোন সমস্যায় তার কাছেই ছুটে যায় আরারাগি । গল্পের শুরু আরারগির ক্লাস মেট হিতাগি সেঞ্জোগাহারা কে নিয়ে। শুরু টা অনেক টা বাংলা সিনেমার মতই , গল্পের নায়িকা হিতাগি কলার খোসায় পা পিছলে সিড়ি দিয়ে পড়ে যায় । আরারাগি তখন তাকে ধরে ফেলে, কিন্তু অবাক বিস্ময়ে সে আবিষ্কার করে হিতাগি যেন ওজনহীন । হিতাগি তার এই সিক্রেট কাউকে বলতে নিষেধ করে , এবং আরারগি কে মোটামুটি হুমকিও দেয় । তারপরেও আরারগি এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধান চালায় , হিতাগিকে সাহায্যের প্রস্তাব দেয়, এবং হিতাগি কে মেমের সাহয্য নিয়ে সুস্থ ও করে তোলে । হিতাগি পরবর্তী তে আরারগির বন্ধু এবং এক সময় প্রেমিকা হয়ে উঠে । হিতাগির চরিত্র টা আমার কাছে বেশ কৌতুহল উদ্দীপক লেগেছে , যখন যেমন ইচ্ছা তেমন কাজ করে বসা এক মেয়ে হিসেবে । আরারাগি  কে মোটামুটি পুরো সিরিজ ধরেই সে হুমকি ধামকির উপর রেখেছে অথচ আরারাগির প্রতি তার ভালবাসাও কম নয় ।
পুরো সিরিজে যতই সময় আগায় নতুন চরিত্র গুলো উপস্থিত হয়, যাদের প্রত্যেক এরই নিজস্ব কোন অস্বাভাবিকতা আছে , যা আসলে কোন প্রেতের অশরীরী উপস্থিতির ফল । চরিত্র গুলো হল – একটি হারিয়ে যাওয়া শিশু মায়ই হাচিকুজি, আরারাগির জুনিওর স্কুল মেট সুরুগা কানবারু, আরারাগির ছোট বোনের বান্ধবী নাদেকো সেঙ্গোকু এবং তার ক্লাসের প্রেসিডেন্ট সুবাসা হানেকাওয়া ।এরা প্রত্যেকেই মেয়ে চরিত্র (এটা নিয়ে একবার সুবাসা মজা করে বলেও যে ভ্যাম্পায়ার দের নাকি বিপরীত লিংগকে আকর্ষণ ক্ষমতা অনেক বেশি । ), এবং সবাই কোন কোন না কোন ভাবে অশরীরী উপস্থিতি দ্বারা প্রভাবিত । তাদের প্রত্যেক কেই আরারাগি সাহায্য করে মেমের মাধ্যমে, এবং পরবর্তী তে হানেকাওয়ার ক্ষেত্রে শিনবো নামের এক ভ্যাম্পায়ার এর সহযোগিতায় ।

পুরো সিরিজ টা আসলে দাঁড়িয়ে আছে চরিত্র গুলোর কথোপকথনের উপর । লেখক নিসিও ইসিন এর ডায়লগ নির্বাচন  খুব ই চমৎকার , প্রচুর ওয়ার্ড প্লে আর জোক আছে । পিছনের সাউন্ডট্রেক গুলোও বেশ ভাল ছিল । আর ছবি আকার স্টাইল টাও অন্যরকম ছিল , বিশেষত কিছু কথা চরিত্রের মুখ দিয়ে না শুনিয়ে শুধু কাগজে লিখে স্ক্রীনে দেখানোর আইডীয়া টা আমার কাছে ভাল লেগেছে । এতে এনিম এর attarctiveness বেড়েছে। ১২ তম এপিসোডটা সেরকম রোমান্টিক ছিল ,অনেকদিন মনে থাকবে , গ্যারান্টি J ।

অশরীরী উপস্থিতি গুলোর বর্ণনা (আরো ভাল করে বললে এদের রূপায়ন এবং  আক্রান্ত চরিত্রের উপর প্রভাব) নেয়া হয়েছে প্রাচীন জাপানীজ উপকথা থেকে । একের মাঝে দুই, এনিম টা দেখলে জাপানের কিছু প্রাচীন উপকথার সম্বন্ধেও জানা হয়ে যাবে J ।

এই এনিম এর সিকুয়েল্ হল নিসেমোনোগাতারি (১১ পর্ব ) আর প্রিকুয়েল নেকোমনোগাতারি (৪পর্ব ) । আমি এখনও এগুলো দেখি নাই , দেখলে এগুলো নিয়ে লেখার ইচ্ছাও আছে । আর এই সিরিজের ২য় সিজন  “মোনোগাতারি ,সিজন ২ “ নামে জুলাই ৭ ,২০১৩ থেকে প্রচার শুরু হয়েছে ।

এনিম ডাউনলোড লিঙ্ক ঃ  (টরেন্ট )
http://thepiratebay.sx/torrent/7210278/

যারা এখনো এই সিরজ টা দেখেন নি , দ্রুত দেখে ফেলুন , আশা করি ভাল লাগবে ।

গিনতামা মুভি – ফারসিম আহমেদ

কয়েকদিন আগে গিন্তামা নিয়ে কথা উঠেছিল, কয়টা আনিমে দেখে গিন্তামা দেখা উচিত। তো ছবি মাঝে মাঝে অনেক জোরালো বক্তব্য রাখে।
কোন কোন আনিমের রেফারেন্স আছে সেগুলো কুইজ রইলো, আমি শুধু সিনেমারটা বলে দিচ্ছি, এটা রোমান হলিডের প্যারোডি। গ্রেগরী পেক আর অড্রে হেপবার্ন ভালো অভিনয় করেছিলেন, আর সিনেমাটা বেশ উপভোগ্যও ছিল।
Gin 1
Gin 2
Gin 3

Psycho pass: সিস্টেম সিবিলাস কিংবা সংখ্যায় অস্তিত্বের পরমাপ– লেখক আসিফুল হক


“I want to see the splendor of people’s souls.” – Makishima shogo.

ধরুন; কোন এক সুন্দর সকালে ঘুম থেকে উঠে দেখলেন দেশ থেকে সব মারামারি কাটাকাটি সব দূর হয়ে গেসে। পাব্লিক সব “আমরা সবাই রাজা আমাদের এই রাজার রাজত্বে” গান গাইতে গাইতে যার যার কাজে যাচ্ছে। কিভাবে? ধরুন; দেশ থেকে থানা পুলিশ কোর্ট কাচারি আদালত সব উঠে গেসে; এইগুলোর আসলে দরকারই নেই। এমন টেকনোলজি বের হয়েছে যে রাস্তার মোড়ে মোড়ে লাগানো ক্যামেরা স্ক্যান করেই বলে দিতে পারবে কে কি অপরাধ করতে যাচ্ছে; কে মনে মনে কি ভাবছে; কার ট্যালেন্ট কি; এই মুহূর্তে কার কি করা দরকার – সব। যন্ত্রের স্ক্যানে একবার ধরা খেলেই সব শেষ; সেই লেভেলের সব অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী হাজির; ধুমধাম যা ব্যাবস্থা নেওয়ার নিয়ে নিবে।

মোটামুটি এইরকম একটা প্লট নিয়েই শুরু হয়েছে “psycho pass” এনিমটার কাহিনী। দূর ভবিষ্যতে জাপান এমন একটা সময়ে বাস করতেসে যেখানে সব কিছুই কন্ট্রোল করে “সিবিল সিস্টেম” নামক একটা স্বয়ংক্রিয় সিস্টেম। যদিও সিস্টেমটি কিভাবে কাজ করে কিংবা আদৌ সিস্টেমের সব সিদ্ধান্ত যুক্তিযুক্ত কি না – সেটা কেউ ভেবে দেখে না; আসলে প্রয়োজন মনে করে না। কারন এই সিস্টেম সমাজে এক ধরণের কড়া “rules and order” maintain করতে সক্ষম হয়েছে। জনগন এই শান্তির বিঘ্ন কিছুতেই চায় না।


“The law doesn’t protect people. People protect the law. People have always detested evil and sought out a righteous way of living. Their feelings, the accumulation of those peoples feelings are the law. They’re neither the provisions, nor the system. They’re the fragile and irreplaceable feelings that everyone carries in their hearts.” – Tsunemori akane.

এই পর্যন্ত পরার পর প্রথম রিএকশন যেটা হওয়া স্বাভাবিক সেটা হল, “ভালই তো; প্রব্লেমটা কই? যন্ত্র সমাজ কন্ট্রোল করতেসে; শান্তি বজায় রাখতেসে; সমস্যাটা কই?” Well; দুইটা সমস্যা। এক – যন্ত্র কি আসলেই মানুষের মনের পরিমাপ করতে পারে? ভাল মন্দ অপরাধ শিল্প মানবিকতা – এই জিনিসগুলো কি আসলেই পরিমাপযোগ্য? কিছু certain criteria ধরে হয়ত একটা ঘটনাকে “অপরাধ” বলা যেতে পারে; কিন্তু অপরাধ ঘটার আগেই কি সেটা যন্ত্রের মাধ্যমে প্রেডিক্ট করা সম্ভব? কিংবা ভালর সংজ্ঞাটা আসলে কি? মন্দের সংজ্ঞাটাই বা কি? আইন কি? কোন অপরাধের কি শাস্তি হওয়া উচিত তা পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা না করে যন্ত্র কি সিদ্ধান্ত নিতে পারে নাকি নেওয়া উচিত? সমাজের চলার পথে মানুষের কিছু বিশ্বাস, কিছু আশা আকাঙ্খা, কিছু তৈরি করা নিয়মই কি আইন নয়? এধরণের বেশ কিছু rhetorical প্রশ্নের উত্তর খোজার চেষ্টা করা হয়েছে – কিংবা বলা ভাল – প্রশ্ন ছুড়ে দেওয়া হয়েছে এই এনিমে।

সমস্যা দুই – সিস্টেমেই সমস্যা। এনিমটা কিছু দূর আগানোর পর দেখা যায় এমন কেউ বা কিছু লোক আছে যারা দিব্যি অপরাধ করে যাচ্ছে – সিস্টেম তাদেরকে স্ক্যান করে সেখানে “অপরাধপ্রবনতা” খুজে পাচ্ছে না। কিসের জন্য? জানতে হলে দেখতে হবে এই এনিমটি।

স্টোরিলাইন নিয়ে খুব একটা গভীরে যাচ্ছি না; চরিত্র বিশ্লেষণ নিয়েও না। স্টোরিলাইন খুব একটা জটিল না; বর্ণনা করতে গেলেই প্রচুর স্পয়লার চলে আসবে। আর ক্যারেকটারের কথায় আসি – মুল ক্যারেক্টার আমার কাছে দুইজন। “Shinya Kōgami” আর “Shōgo Makishima”। যদিও দুই জনের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক এবং বুদ্ধির লড়াই পুরো সিরিজের অন্যতম মুল উপজীব্য; কিন্তু এদের মধ্যে কে যে নায়ক আর কে যে ভিলেন পুরোপুরি কখনই নিশ্চিত হওয়া যায় না। জোরাজুরি করলে মাকিশিমা কে ভিলেন আখ্যা দেওয়া যায়; তবে পুরো সিরিজে আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র ছিল এই মাকিশিমাই। যদিও ভাল মন্দ হিরো ভিলেন –রোলগুলো এই এনিমের প্রেক্ষিতে একটু টাফ। যারা ডেথ নোট দেখসেন তারা ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন। যদিও psycho pass কোন দিক দিয়েই death note এর ধারেকাছেও না; জাস্ট dilemma টা বোঝানোর জন্যই এখানে death note এর reference টানা।


“Everyone is alone. Everyone is empty. People no longer have need of others. You can always find a spare for any replacement. Any relationship can be replaced.” – Makishima Shogo.” 

বাকি সব দিক গুলো নিয়ে এক কথায় বলতে গেলে – সুন্দর প্লট; মোটামুটি চলে টাইপ স্টোরি; adorable and likable ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট এবং interesting এন্ডিং। খুব বেশি নাড়া দেওয়ার মত ঘটনা না হলেও চরিত্র রুপায়ন আর বাকি সব দিক মিলিয়ে ভালই উৎরে গিয়েছে। গানগুলো বেশ সুন্দর; এমনকি একটা এন্ডিং সং এখন আমার মোবাইলের রিংটোন এবং আমি আমার রিংটোন এর ব্যাপারে যথেষ্টই খুতখুতে।

সুতরাং দেরি না করে আজই দেখে ফেলুন এই জম্পেশ এনিমটি; আশা করি ঠকবেন না।

এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে; ছবি আঁকতে কিংবা দেখতে চাইলে; মজার সব কুইজে অংশ নিতে চাইলে জয়েন করতে পারেন ফেসবুকে “এনিমখোর” গ্রুপে।

শেষ করব এই এনিমে আমার অন্যতম প্রিয় একটা লাইন দিয়ে –
“Books are not something that you just read words in. They’re also a tool to adjust your senses.”

হ্যাপি এনিমিং।

Sword Art Online: কল্পনা যেখানে মিশেছে বাস্তবতায়…. — মো আসিফুল হক

পটভুমিঃ
সময়টা ২০২২ সাল। ভার্চুয়াল রিয়েলিটি গেমের জগত অনেক এগিয়ে গিয়েছে; বের হয়েছে sword art online. “নার্ভ গিয়ার” ব্যাবহার করে প্লেয়াররা তাদের চরিত্রকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে; সেইসাথে ভার্চুয়াল জগত “আইনক্রাড”কে আসল জগতের মতই অনুভুত করতে পারে। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তখনই যখন এই জগতটা একটু বেশিই আসল হয়ে যায় যখন গেমের ক্রিএটর সকল প্লেয়ারের নার্ভ গিয়ারের কন্ট্রোল হাইজ্যাক করে সবাইকে ভার্চুয়াল জগতে এই শর্তে আটকে রাখে যে কেউ যদি গেমের ভিতর মারা যায় তবে সে বাস্তব জগতেও মারা যাবে এবং গেম থেকে মুক্তির একমাত্র উপায় গেমের ১০০টি লেভেল ক্লিয়ার করে আইনক্রাডের সবচেয়ে উচুতে পৌছাতে হবে কাউকে না কাউকে।

রিভিউঃ
খুব সংক্ষেপে যদি বলতে হয় তবে পুরো সিরিজটা আমাকে খানিকটা হতাশই করেছে। এই সিরিজের পক্ষে যেমন প্রচুর লোক কথা বলবে; তেমনি এর বিপক্ষে কথা বলার লোকও খুজে পাওয়াটা খুব একটা দুষ্কর নয় !!! পুরো রিভিউতে ঢুকে পড়ার আগে কিছু মন্তব্য শুনে আসা যাক –

# বিপক্ষেঃ SAO was probably the only anime this year that got bashed by most MAL users for a plot that doesn’t make any sense , a geek gamer who wins every fight (only inside a virtual world) ,clichéd harem concept , the incestuous plot hint, and the season 2 epic fail ending….. The only good thing about the anime was the action scenes, nothing else…

#পক্ষেঃ Sword Art Online, definitely one of the best anime of last year, action-packed (the double blades, damn!!), Alongside Kirito and Asuna’s romantic journey in the SAO realm, followed by Kirito fighting for her in the other world, and a beautiful ending…couldn’t ask more…

#মিশ্রঃ “মিশ্র অভিজ্ঞতা। সোর্ড আর্ট অনলাইনের গেম অংশটা ভাল; রোমান্স অংশটা খুবই কিউট; ফাইটগুলা খুবই জোস। কিন্তু সেকেন্ড গেমটাতে জেইরকম ভেজাল ঢুকানো শুরু করসে তাতে আমি মহা বিরক্ত; এই পার্টটা অনেকটা “আলিফ লায়লা” টাইপ লাগসে; “দুষ্ট রাজা নায়িকাকে আটকায় রাখসে আর নায়ক বাচাইতে যাবে” টাইপ; আর আমার কাছে “oniii chan; I love you” টাইপ জিনিসপত্র অসহ্য।

#মিশ্রঃ nobody told that SAO is a great anime. But it’s special in the view of a new anime genre. Yes, romanticism flowed in various strange ways and the anime ending was less expected…but after all people goes crazy over the internet because of the plot. Maybe my answer is confusing too, but my love for the anime is special, that’s what I have to say.

গল্পঃ 
শুরুটা যথেষ্ট পটেনশিয়াল নিয়ে শুরু হলেও সেটা ধরে রাখতে ব্যর্থ হইসে। প্রথম কয়েকটা পর্ব খুব দ্রুত আগাইসে; মনে হইসে মাঙ্গার অনেকগুলো পর্ব একসাথে এনিমের কয়েকটা পর্বে আটকানোর চেষ্টা; এবং শেষের দিক গিয়ে আবার সেটা বেশ স্লো হয়ে গেছে। এক পর্বে দুই তিনটে ভাল ভাল ফাইট দেখাইসে আবার দেখা গেসে পরের পর্বতেই আবার একটা বিশাল অংশ রোমান্স বা এই ধরণের স্লো জিনিসে কেটে গেসে। আমার ব্যাক্তিগত অভিমত রোমান্স অংশটা আরেকটু কমায় ফাইটগুলা আরেকটু ডিটেইলস বা আরেকটু স্লো দেখাইলে ভাল হইত। তবে এইটা স্বীকার করতেই হবে; আসুনা আর কিরিতো আমার দেখা অন্যতম সুইট কাপল; এদের দুইজনকে নিয়ে আলাদা করে রোমান্টিক জেনারের কোন এনিম বানাইলেও খারাপ হইত না।

এই এনিমে স্পষ্টতো দুইটা পার্ট; দুইটা গেম। প্রথমটার তুলনায় দ্বিতীয়টাতে বেশি পটেনশিয়াল ছিল; এবং সেইখানে হতাশাও বেশি। “রাজকন্যা উদ্ধার” ব্যাতিত আর কিছুই দেখায় নাই বলতে গেলে অই অংশে।

ভিজুয়াল আর্টঃ 
এক কথায় স্টানিং। আইনক্রাড জগতটা আমার এত্ত পছন্দ হইসে যে মনে হইসে কোনভাবে যদি অই জগতে চলে যেতে পারতাম !!! ফাইট সিন গুলা অসাম; তবে কেউ মারা যাওয়ার ইফেক্টটা আরেকটু রিএলিস্টিক হইলে ভাল হইত; যেহেতু কেউ গেইমে মারা জাওয়া মানে বাস্তব জগতেও মারা যাওয়া; সুতরাং আরেকটু ভয়াবহতা আনলে মনে হয় বেটার হইত।

সাউন্ডঃ 
ভিজুয়াল আর্টের মতই; বেশ ভাল। সিম্পল এবং স্পট অন।

ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টঃ 
কিরিতো আর আসুনা বাদে আমি বাকি সব ক্যারেকটারের নাম ভুলে গেসি; সিরিয়াস্লি; আর আমি দেখে শেষ করলাম আজকে বিকেলে !!! কোন ক্যারেকটারের সাথেই তেমন ইমোশনাল এটাচমেন্টের সুযোগ রাখে নাই রাইটার। আসুনা এবং কিরিতো যথেষ্ট লাইকেবল ক্যারেক্টার এবং তাদের জুটিটা অন্যতম কিউট একটা জুটি হবার পরেও তাদের সাথেও তেমন ইমোশনাল এটাচমেন্ট হয় না।

সব মিলিয়েঃ
“দুষ্টু প্রেমের মিষ্টি কাহিনী” জাতীয় হাল্কা ধাচের কাহিনী, বেশ আকর্ষণীয় ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট আর বেশ ভাল গ্রাফিক্সের কারণে দুর্বল প্লটের এই এনিমটা বেশ খানিকটা অভাররেটেডই বটে !!! মোটামুটি ত্রিভুজ চতুর্ভুজ এবং বহুভুজ প্রেম আর আবেগ নিয়ে বেশ ভাল একটা টাইম পাস করসে মাত্র ২৫ পর্বের এই এনিমটা !!!! তবে খুব বেশি সমালোচকের দৃষ্টিতে না দেখলে “টাইম পাস এনিম” হিসেবে বেশ ভালই লাগসে sword art online.

রিকমেন্ডেশনঃ 
যারা অনলাইন গেমে আসক্ত; তাদের খুব ভাল লাগার কথা এই এনিমটা। স্টোরি যেমনই হোক; গেম পার্ট; গেমের মধ্যে ফাইটিং পার্ট; গেমের জগত – অসম্ভব ভাল এবং সুন্দর। এছাড়া যারা হাল্কা ধাচের কিছু দেখার জন্য খুজছেন এবং গল্প নিয়ে খুব একটা মাথাব্যাথা নেই তারাও দেখে ফেলতে পারেন। দিনশেষে বলা যায়;
“it’s a good anime, but not great”

Karas রিভিউ — Matiur Rahman Minar

“Where there is a city, there is a Karas to protect the city’s will.”

Karas (OVA) দেখলাম। মাত্র ৬ এপিসোডের। শুরুতেই অস্থির একটা ফাইট দিয়ে শুরু -এরকম এনিমে বোধহয় এই প্রথম দেখলাম। তাও আবার সুপার পাওয়ার্ড সোর্ড ফাইটিং।

অ্যাকশন আর অ্যানিমেশন একটু বেশিই সুপার্ব। এইজন্যে অবশ্যই 720P দেখার পরামর্শ থাকবে। যদি কিছুক্ষণের জন্য ধুন্দুমার-ঊড়াধুরা-সব ভেঙ্গেচুরে চুরমার টাইপ আনিমে দেখতে চান তাহলে Karas দেখে ফেলতে পারেন।
“Where there is a city, there is a Karas to protect the city’s will.”

Karas (OVA) দেখলাম। মাত্র ৬ এপিসোডের। শুরুতেই অস্থির একটা ফাইট দিয়ে শুরু -এরকম এনিমে বোধহয় এই প্রথম দেখলাম। তাও আবার সুপার পাওয়ার্ড সোর্ড ফাইটিং।

অ্যাকশন আর অ্যানিমেশন একটু বেশিই সুপার্ব। এইজন্যে অবশ্যই 720P দেখার পরামর্শ থাকবে। যদি কিছুক্ষণের জন্য ধুন্দুমার-ঊড়াধুরা-সব ভেঙ্গেচুরে চুরমার টাইপ আনিমে দেখতে চান তাহলে Karas দেখে ফেলতে পারেন।

Karas

Hyouka (氷菓) by সাদিয়া হুমায়রা মৌনতা

“I am not lazy…..i am just conserving energy”- একটা জনপ্রিয় লাইন ফেসবুকে, কিন্তু এই লাইনটা সবচেয়ে বেশি যায় “oreki houtarou” of Hyouka এর সাথে …কেউ যদি easy going mystery school life আনিমে দেখতে চান, এইটা ট্রাই করতে পারেন। 🙂

Hyouka