জোজো পার্ট ৫ গোল্ডেন উইন্ডের জন্য স্পয়লার অ্যালার্ট।
পার্পল হেইয ফিডব্যাক পড়ার সময় আবার বুকটা ভারী হয়ে গেল।
ফুগো কিভাবে নারান্সিয়াকে খুঁজে পায়, কেন তাকে সেই রেস্তোরায় বসে থাকা বুচালাটির কাছে নিয়ে যায়, কিভাবে সেই চঞ্চল কিশোরটার উপর মায়া জন্মায়… সেসব বারবার ফুগোর মনে পড়ে।
সাথে সাথে আরেকটা প্রশ্ন মাথায় আসলো। ফুগো যখন বুচালাটির সাথে সেই নৌকোয় গেল না, প্যাশনের বসকে বিট্রে করতে চাইলো না, তখন সে কি আসলেই নিজের প্রাণের মায়ায় সেটা করেছে? ফুগো কি এমনই অপদার্থ যে, সে যেই বুচালাটির জন্য জীবন দিয়ে দেবে তার সাথে যেতে তার সাহস হল না?
আমার তা মনে হয় না। কারণ বসের শর্ত গুলোর একটা ছিল যে তারা আইল্যান্ডে পা ফেলতে পারবে না। ফুগো এত অপদার্থ হলে সেটাও করতো না।
তাহলে কি? ফুগো কি এতটাই কিংকর্তব্যবিমূঢ়?
আমার মনে হয় ফুগো, সাইকোলজিক্যালি, একটা মস্ত বড় কন্ট্রাডিকশন।
যদি সেই বিট্রেয়ালের মুহুর্তটাতে ফিরে যাই, তাহলে বুঝতে পারবেন আমি কি বলতে চাইছি। বুচালাটি যখন তার বিট্রেয়ালের কথা বলে তখন গ্যাঙের মধ্যে সবার আগে ফুগোই বলে ওঠে, “আমি তোমার জন্য জীবন দিতে রাজি আছি, কিন্তু এটা অন্য ব্যাপার। আজকে তোমার সাথে কেউ ওই নৌকোয় যাবে না।”
আমার মনে হয় ফুগো এখানে উইশফুল থিঙ্কিং করছিল। সে সবার জন্য কেয়ার করে বলেই তাদের নিশ্চিত মৃত্যু বা একরকমের আত্মহত্যার পথে যাবার কথা সমর্থনতো করেই না, এটা যে সম্ভব সেটাই সে মনে করে না। আর সে এই কথাটা এভাবে প্রকাশও করতে পারছে না কারণ সে এটাও বিশ্বাস করতে পারছে না যে বুচালাটি আর জিওরনো মধ্যকার এমন বন্ধুত্ব আর বিশ্বাস থাকতে পারে, যখন কিনা জিওরনোর অনেক আগেই ফুগো তার বিশ্বস্ত সঙ্গী ছিল।
দ্বিতীয়ত, যখন একে একে সবাই নৌকায় উঠে যেতে থাকে তখন নারানসিয়া আর ফুগো দাঁড়িয়ে থাকে তাদের যায়গায়। আর তখন নারানসিয়া ভেসে যাওয়া নোউকার দিকে তাকিয়ে বুচালাটির কাছে চিৎকার করে বলতে থাকে, “বুচেলাটি… আমার এখন কি করা উচিত?… যদি বল, “আমার সাথে আসো!” তাহলে আমি মনে সাহস পাবো। আমাকে তুমি যা করতে বলবে আমি তার সবটুকু নির্ভয়ে করতে পারবো!”
ফুগোর জন্য এটা ছিল একটা বড় ধাক্কা।
ফুগোর জীবনের প্রথম ধাক্কা ছিল যখন তার নিজের পরিবার তাকে ত্যাগ করে।
কিন্তু বুচালাটি তাকে গ্যাঙের মেম্বার হিসেবে নেবার পর তার জীবনের পরিবর্তন হয়। ফুগো একদম অ্যান্টিসোশাল, তারপরেও সে নারানসিয়াকে পথ থেকে তুলে আনে। বুচালাটির নিষেধ সত্যেও সে নারান্সিয়াকে পলপোর কাছে নিয়ে যায়। কারণ সে নারান্সিয়ার আহত চোখে নিজেকে দেখতে পেয়েছিল।
সেই নারানসিয়াকে সে পড়ালেখা সেখাতে চাইতো। স্টুপিড বলে গালি দিত, কিন্তু সে নারান্সিয়াকে অনেক আদরও করতো। শাসন করতে গিয়ে মার দিতো, শুধু মারার জন্য না, তার প্রতি মায়া থেকে সেই শাসনটা আসতো।
কিন্তু সেই নারান্সিয়াও যখন তার কাছে জানতে না চেয়ে বুচালাটির কাছে জানতে চাচ্ছিল সে তাদের সাথে যাবে কিনা, সাতার কেটে নৌকাটার দিকে যাচ্ছিল। তখন ফুগোর মনে আঘাত লাগে।
যেই নারানসিয়ার তার এত কাছের, সেই নারানসিয়ার মুখে শোনা শেষ কথাটাও ফুগোর কথাটা উপেক্ষা করে।
সে সবার জন্য নিজের জীবন দিয়ে দিতে পারবে, কিন্তু তারা কেউ তার কথা শুনলো না?
তার নিজের পরিবার যেমন তাকে ত্যাগ করেছিল, টিমের মেম্বারগুলিও তাকে সেভাবে ত্যাগ করলো? এমনকি নারানসিয়াও?
অবশ্যই ফুগো বোকা না, তার আইকিউ অনেক বেশি। তার পরেও এক্ষেত্রে তার অবুঝ ইমোশনাল সাইডটা কাজ করে। সে বিট্রেইড ফিল করে। বুচালাটি আর নারানসিয়ার দ্বারা। এটা সে মেনেও নিতে পারে না, তাই সে নিজেকে বোঝায় এই বলে – “আমি ওদের মত সেলফ রাইচাস ইডিয়েট না…”
কিন্তু ফুগো কখনো জানতে পারবে না, যে নারানসিয়ার মৃত্যুর আগেও সে ফুগোর কথা মনে করেছিল…
[ This is a story about people unable to take action.
They have no plans for the future, no comfort in memories.
The past and the future are not for them; they exist only in the
present, struggling to no avail.
Do they struggle to find purchase? To move forward? To
retreat? Who knows. They could not tell you. The world that left them to this fate provides no answers.
They know only one thing for sure – the ground under their
feet is crumbling, and they can no longer remain still.
They have no tomorrow, no home. How can they find hope? ]
পার্পল হেইজ ফিডব্যাকের মাঝখানে আছি। তাই নভেল্টার এন্ডিং কেউ স্পয়েল করবেন না
তবে এটুকু বলবো, বইটাতে ফুগোর আসল ব্যাকস্টোরি আছে, যা কিনা মাঙ্গাতে ছিল না, অ্যানিমেতেও সঠিকটা নেই। অ্যানিমের ব্যাকস্টোরিটাতে দেখানো হয়েছে অন্যরা তার অতীত সম্পর্কে কি মনে করে। ইলুসো একটা কার্ড থেকে ইনফো পড়ে শোনায়। আর বইটাতে আছে ফুগোর পয়েন্ট অফ ভিউ থেকে দেখা আসল কাহিনী। সেটা জানার জন্য হলেও বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
আশা করি একদিন DP এই নভেলটারও ওভিএ আডাপ্টেশন উপহার দিবে। … Covered in a silent, deadly haze.