(This review contains spoiler about avatar: Legend of Korra: Season 2)
মুভি; ইংলিশ টিভি সিরিজ কিংবা এনিম সিরিজ – সবজায়গাতেই মাঝে মাঝেই একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়; প্রথম সিজনের প্রবল সাফল্যের পিছু পিছু যখন দ্বিতীয় সিজন বাজারে আসে; প্রথমটার সাথে মিলিয়ে তুলনায় প্রায়শই সেটা হতাশায় পরিণত হয়। Avatar – legend of korra কমবেশি সেই দলেরই নতুন সংযোজন। আলাদাভাবে সিরিজটা যতই উপভোগ্য হোক না কেন; avatar ang এর সাথে মিলিয়ে প্রায় অনেকেই avatar korra কে “হতাশাজনক” বলেই মনে করেন। তবে আমি অন্য কারো সাথে তুলনায় না গিয়ে যদি আলাদাভাবে এই সিরিজটাকে মূল্যায়ন করি তাহলে আমার কাছে legend of korra A+ মার্কসই পাবে। I have at least enjoyed the show; to say the list.
(এভাটারঃ লিজেন্ড অব কোরা দেখে প্রতি মুহূর্তে যেটা মনে হয়, এং এর মধ্যে যে অস্থির স্মার্টনেসটা ছিল কোরা তার ধারে কাছেও নাই, এভাটারের ফানটা খুবই ক্লাস ছিল যেখানে কোরার ক্ষেত্রে পুরা মাঠে মারা গেছে, সবচেয়ে বেশি গায়ে লাগে যেটা, এং প্রথমে শুধু এয়ারবেন্ডার ছিল দেন আস্তে আস্তে সব শিখছে, কিন্তু তারপর ও কোন ফাইটেই তার খুব একটা আউটক্লাসড হতে হয় নি, সব সময় ই সে কিছু না কিছু করে চালিয়ে নিত, আর কোরা এত্তগুলা এলিমেন্ট পেরেও শুধু মাইর খায়। – পাব্লিক রিএকশন)
এই রিভিউ মুলত korra এর দ্বিতীয় সিজনের মতামত নিয়ে লেখা; সুতরাং সেদিকেই দৃষ্টি ফেরানো যাক। আগের সিজনের বেশ কিছু হতাশাজনক দিক – যেমন স্পিরিট জগতের সাথে korraর যোগাযোগ দৃশ্যত বর্জিত ছিল প্রথম সিজনে (একজন এভাটারের বড় একটা দিকই যেখানে স্পিরিট জগতের সাথে যোগাযোগ রাখা); কিন্তু পুরো সিরিজের মাঝে এবং শেষে বেশ কিছু প্রশ্ন এবং বেশ কিছু হতাশাজনক ক্লিশে দৃশ্য পুরো সিরিজটিকে “শতভাগ সফল” হতে দেয় নি। একে একে সবগুলো ইস্যুই দেখা যাক।
(এং-এর সাথে কারও তুলনা চলেই না! সে অন্যান্য এভাটারদের তুলনাতে আগে থেকেই স্পেশাল।
আর কোরা পুরাই আনকোরা টাইপ এভাটার। দুইজন পুরাই দুই মেরুর ক্যারেক্টার। এং যেখানে মঙ্ক, সেখানে কোরা হলো পিচ্চিকাল থেকেই খেপাটে আর শো-অফ পছন্দ করে!
এই দুই টাইপ এভাটারের আচরণ, কৌশল, সাফল্য অবশ্যই এক হবে না।
তারউপর এং এর কাহিনি যখন শুরু হয় তখন ১০০ বছর ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব যুদ্ধ ছিল, অস্থিরতা ছিল। কোরা যখন আসে, তখন অলরেডি এং একটা সুন্দর আর এডভান্সড দুনিয়া রেখে যায়
তাই এং এর কাহিনির মত কিছু পাব না এইটা জেনেই কোরা দেখি। সব কিছু মিলিয়ে আমার এইটা বেশ ভালই লাগে !!! – পাব্লিক রিএকশন)
## প্রথম সিজনের মতই এই সিজনেও শেষটা কেমন যেন জোর করে এবং তাড়াহুড়া করে হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। স্পিরিট জগতের সাথে দৃশ্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন কোরা হটাত করেই এতো অল্প সময়ের মাঝে এতো বিচরন এবং এতো শক্তি কিভাবে পেল যে রাভার সাহায্য ছাড়া নিজের শক্তিতে ভাতুর মতন স্পিরিট এবং উনালকের যৌথ শক্তির সাথেও সে ফাইট করে জিতে গেল? আর সময় বৃক্ষের মাঝে বসে কসমিক লাইট খুজে পাওয়ার দৃশ্য দেখে একটা কথাই মনে পড়ে গেসে – “There is a magical solution of every problem of the hero”.
(জিনোরার রোলটা ক্লিয়ার হলো না। এরা পার সিজন কাহিনী শেষ করে, লেজেন্ড অব আং এর মত না, কাজেই ব্যাখ্যা দরকার ছিল।
বুমির ক্যারেক্টারটা একদম শেষদিকে গিয়ে সোক্কার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, ওয়ান আর বুমিই আসলে এই সিরিজের পাওয়া।
আর ১০০০০ বছরের ডার্কনেসকে এত সহজে হারানো, কিভাবে কি। ডার্ক অবতারকে আরো কয়েক পর্ব ধরে দেখানো দরকার ছিল, কিভাবে সে ত্রাস ছড়ায়। পরের সিজনে ব্যাপারটা নিয়ে যেতে পারত। তারপর ভালো একটা সৌনেন ভাইব আনা যেত। ডার্ক অবতারের চেহারাও খুব একটা সুবিধার না, টিপিক্যাল পাওয়ার রেঞ্জার এর ভিলেনগুলোর মত দেখতে। এপিসোড ৭ থেকে বিল্ডাপ বেশ ভালো ছিল, কিন্তু শেষমেষ তো ব্যাপারটা খুব বেশি ক্লিশে হয়ে গেল। – পাবলিক রিএকশন)
## জেনোরা কে; তার শক্তির রহস্য কি; প্রকৃতি কি; কোরাকে যখন সে হেল্প করেছে সেটার প্রকৃতি কি ছিল – এইরকম হাজারো প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখেই সিরিজ শেষ হয়ে গেসে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে; আলাদা সিগ্নিফিক্যান্ট কোন চরিত্র নয়; বরং কোরার দুর্বলতা কাটানোর জন্য আরেকটা “magical solution” এই জেনোরা।
## উনালক শুধু একজন ওয়াটার বেন্ডার। সে কিভাবে “এভাটার” হতে চেয়েছিল বা হয়েছিল তারও মীমাংসা হয় নি সিরিজে (যদিও এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না; আর “রাভা তাকে সব বেন্ডিং পাওয়ার দিয়েছে” ব্যাখ্যার মাধ্যমে এইটা উৎরে যাওয়া যায়।
## কোন রকম ইন্টারেকশন; কথাবার্তা ছাড়াই দুটো জায়ান্ট মারামারি করে যাচ্ছে – এই জায়গাটা আমার তেমন একটা পছন্দ হয় নি। পুর ফাইটের দৃশ্য যথেষ্ট ভাল হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বোরিং লেগেছে।
## জেনারেল আয়রোর স্পিরিট ওয়ার্ল্ডে ঘুরাফেরার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ঠিক পরিষ্কার না। এইটা আরেকবার সিরিজটা রিভিশন দেওয়ার সময় বুঝতে পারব বলে আশা করতেসি।
## কিছু কিছু চরিত্রের উপর থেকে গুরুত্ব একেবারেই তুলে দেওয়া; যেমন – asami. এছাড়া মাকো – কোরা; মাকো – আসামি; বোলেন – এস্কা – এই সম্পর্কগুলোও মোটামুটি unresolved অবস্থায় শেষ হয়েছে। সেটা অবশ্য “সাম্নের সিজনে পরিষ্কার হবে” যুক্তিতে মেনে নেওয়া যায়।
(সিজানটা শুরুতেই, তুলনামূলক ভাবে আগের সিজান থেকে মোটামুটি ভালোই শুরু করে। আভাটার wan আসার পর তো Avatar the legend of korra এর মোরটাই ঘুরে গেল। অস্থির হওয়া শুরু করল অল থেঙ্কস তো আভাটার ওয়ান! এরপরের এপিগুলার ফাইট,স্টোরি সব বেশ ভালো ছিল। কিন্তু ‘কররা’ থেকে ‘জিনরা’ যেন বেশী অস্থির ছিল এই সিজানে, এমনকি শেষ এপিতে তো মনে হল যেন ‘জেনরাই’ পৃথিবীকে সেইভ করল। কিন্তু কোন ক্রেডিট দিলো না!! অদ্ভুত লাগলো আর একটা ব্যাপার ক্লিয়ার না, ‘জিনোরা’ যে লাইট নিয়ে নামলো সেটা কি ভাবে সেটা দেখাল না হয়তো পরের সিজানে দেখাব!! আর আশা করি নেক্সট সিজানে আভাটার আরও মেচিউর হবে । – পাবলিক রিএকশন)
## এই সিরিজের সবচেয়ে বড় পাওয়া বোধহয় টেনজেনের টেনযেন হয়ে ওঠা। তার “I am Tenzin. I am Tenzin!” মন্ত্র যেন আমার জন্যই বলা; আমাকেই বলা!!! Avatar Ang এর ছায়া থেকে বেড়িয়ে টেনজেনের নিজেকে খুজে পাওয়া তাই এই সিরিজে আমার সবচেয়ে প্রিয় দিক।
## পুরো সিরিজের সবচেয়ে পাওয়ারফুল চরিত্র আমার দৃষ্টিতে প্রথম এভাতার wan. চরিত্রটি বেশ ভালভাবে তৈরি করা এবং যথেষ্ট likeable.
## বুমির এককভাবে সম্পূর্ণ একটা ইউনিট শেষ করে ফেলার দৃশ্যটা বেশ চমকপ্রদ ছিল। at least we came to know spirit likes music !!! Well; at least most of them!!!
দিনশেষে ang এর সাথে তুলনা না করে এবং পুরো সিরিজের সাথে emotional attachment এর কথা মাথায় না নিয়ে শুধু এন্টারটেনমেন্ট এর ভিউ থেকে দেখলে korra অবশ্যই সফল। তবে প্রোডাকশন হাউজ অল্প কিছু পর্বে অনেক কিছু দেখানোর চেষ্টা করার ভুলের মাশুল দ্বিতীয়বার গুণতেছে বলেই মনে হচ্ছে আমার !!!