Coffee with Asif (CWA) – পর্ব ১১ – (Games Corner – No game No life)

No Game No Life

আকাশ মিয়া(সোরা) আর সাদাবানু(শিরো) দুই ভাই বোইন। সারাডা দিন কাটে ভিড্যু গেইম খেইলা খেইলা। দিন নাই রাত নাই – সারাডা দিন খেলে। খারাপও খেলে না; “ব্ল্যাঙ্ক” ইউজার নেইম নিয়া দুই ভাই বোনে চাইরটা ক্যারেক্টার সমানতালে চালায় হাজার হাজার প্লেয়ার শোয়ায় দিতেসে কথা ছাড়াই। মানুষজনের সাথে যোগাযোগ নাই, দেখা নাই, কথা সাক্ষাত নাই; ঘরের বাইরে বাইরাইলে টিকতে না পারা এই দুই ভাই বোনের এই দুনিয়া অসহ্য লাগে; শুধু খেলা ছাড়া। হটাত একদিন আরেক জগতের কামিসামা এই দুইজনরে উঠায় নিয়া গেল তার দুনিয়ায়; ভদ্রলোক নিজেও নাকি গেমার ! সেই দুনিয়া বড়ই মজার – যা কিছু করবা সব গেইম দিয়া। কাইজ্জা করবা? একটা গেইম খেলা সমাধান কর। কোন একটা জিনিস দরকার? খেল গেইম।

দুনিয়াটার আরেকটু বর্ণনা দেই। ১৬ টা জাতি। কেউ ম্যাজিক ইউজ করতে পারে; কেউ পারে না। একেকজনের একেক রকম এবিলিটি। কিন্তু একটা জিনিস কমন। এরা একজন আরেকজনের সাথে যুদ্ধ করে, সাম্রাজ্য বাড়ায়, কাইজ্জাকাটির মিমাংসা করে – সব গেইম খেইলা। একজন আরেকজনরে চ্যালেঞ্জ করে; কিছু জিনিসপাতি বেট রাইখা। এই ১৬ জাতির মধ্যে মানব জাতির অবস্থা বেশি ছ্যাড়াব্যাড়া। পণ্ডিতি করতে গিয়া আগের রাজা খেলায় হারতে হারতে প্রায় অর্ধেক রাজ্য হারায় ফেলসে। ঘটনাক্রমে শিরো আর সোরার কপালে পড়ে এদের উদ্ধার করার দায়িত্ব। কেম্নে, কেন, তারা কি কি করে আর তাদের আসল লক্ষ্য উদ্দেশ্যই বা কি – জানতে দেইখা ফেলেন মাত্র ১২ পর্বে শেষ হওয়া এই এনিমটা !

এইবার সিরিয়াস মোটামুটি অগুরুত্বপূর্ণ কথা বার্তা। শুরুতেই সতর্কবাণী। সিরিজের জেনার এর একটা হল এচ্চি। মাইল্ড ন্যুডিটি আছে। সুতরাং; অপ্রাপ্তবয়স্ক বাচ্চাকাচ্চারা দূরে থাক (যদিও এই সতর্কবাণী কেউ যদি শুনতো তাইলে তো হইসিলই!) এছাড়া সিসকন এবং ললিকনের মৃদুমুন্দ আছর তো আছেই, সুতরাং সাধু সাবধান !

সিরিজের আপসাইডগুলা কি কি? সারটেনলি কমেডি, কাহিনীর কোথাও ঝুলে না যাওয়া (১২ পর্বে আর কি ঝুলবো? ), শিরো আর সোরার ইন্টারএকশন, চমৎকার আর্টওয়ার্ক।

আর ডাউনসাইড? প্রত্যেকটা ফিমেইল ক্যারেক্টারের ফ্যান সার্ভিসের শিকার হওয়া। মনে রাখা ভাল; শিরোর বয়স সিরিজ মতে ১১। এছাড়া মাঝে মাঝে রুলস এবং কিছু ইনফো এতো দ্রুত ন্যারেট করে যে কোপ আপ করতে খবর হয়ে যায়।

তো ফাইনাল মতামত? আমার মতন সুশীলতা সংক্রান্ত প্রবলেম না থাকলে thoroughly enjoyable এবং সম্ভবত ’১৪ এর অন্যতম ব্লকবাস্টার একটা সিরিজ, দেখাটা অবশ্যই আসে।

– CWA প্রচারিত হচ্ছে কালে ভদ্রে; বৃহস্পতি শুক্রবারের দিকে; এনিমখোরে !! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে(মাঝে মাঝে অন্য জেনারের সিরিজ নিয়েও) আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

Coffee With Asif (CWA) -পর্ব ১০ – “চরম ফাকিবাজি” Corner – Haikyuu

Haikyuu

Genre: Sports
Status: Ongoing (১২ টা এপি এয়ার হয়েছে)

কিছুদিন ধরেই নতুন স্পোর্টস এনিমের রিকমেন্ডেশন দেওয়ার জন্য লোকজনের রিকুয়েস্ট পাচ্ছি। আর CWA নিয়েও কিছু মেম্বার রিকুয়েস্ট করছিলেন মাঝে। কিন্তু আমার চরম আলসেমির কারণে আসলে কিছুই হচ্ছে না(এর জন্য আমি আসলেই অত্যন্ত দুঃখিত)। গত দুই তিন দিন Haikyuu দেখছিলাম; বেশ ভাল। ভাবলাম; একসাথে রথ দেখে কলাগুলোও বেচে ফেলি। তাই মুলত এই রিভিউর মত কিছু একটা লেখার অপচেষ্টা; বরাবরের মতনই।

Haikyuu সিরিজটা মুলত ভলিবল নিয়ে; এই খেলা নিয়ে আমার দেখা প্রথম সিরিজ। সত্যি বলতে খেলা বা সিরিজ – কোনটা নিয়েই খুব একটা উৎসাহ বা আগ্রহ ছিল না তেমন। প্রথম পর্বেই শক্তিমত্তায় অনেক নিচে থাকা মুল চরিত্রের তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কোন রকম provocation ছাড়াই “খেয়ে ফেলব; হারিয়ে দিব” টাইপ অতিরিক্ত হুমকি ধামকি (মনে রাখা ভাল; স্পোর্টস এনিম কম বেশি এইরকম ইমোশনের ডিব্বা হয়ে থাকে; সেই স্ট্যান্ডার্ডেই বেশি চোখে লেগেছে) আগ্রহ কমিয়ে দিয়েছিল অনেকটাই। তবে দ্বিতীয় এপিসোড দেখার পর বেশ খানিকটাই আগ্রহ বেড়ে গিয়েছিল। ১২ এপিসোডেও এসে সেই ভাবটা পুরোপুরি দূরীভূত না হলেও বেশ চলনসই একটা জায়গায় পৌছে গেসে সিরিজটা।

দ্বিতীয় আরেকটা সমালোচনার জায়গা বোধহয় কার শক্তিমত্তা কেমন; সে সম্পর্কে কোন সুস্পষ্ট দিক নির্দেশনা না থাকা; অনেকটা আমার ফেইরি টেইল এর কিছু এপিসোড দেখার অভিজ্ঞতার মতন। নাতসুর শক্তি এবং গিল্ডে পজিশন যা-ই হোক; প্রতিপক্ষের সবচেয়ে শক্তিশালীকে হারিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব সবসময়েই তার কাধেই এসে পড়ে; ব্যাপারটা অনেকটা সেই রকম। অবশ্য খেলাটা নিয়ে আমার জ্ঞানের প্রবল অভাবও এর পিছনে কিছুটা দায়ী হতে পারে।

এই ব্যাপারগুলো বাদ দিলে সিরিজটা বেশ ডিসেন্ট; যদি আপনি মোটামুটি বাজারে নাম শোনা স্পোর্টস এনিমগুলোকে ডিসেন্ট হিসেবে কাউন্ট করেন আর কি ! কমেডিক এলিমেন্ট, এড্রেনালিন রাশ মোমেন্টস, মোটামুটি ফাস্ট পেস, সমানে সমানে ব্যাটেল – কোন কিছুই আহামরি না হলেও মোটেও খারাপ না। আর ইদানিং একটা ট্রেইট বোধহয় ভালই চালু হয়ে যাচ্ছে; Ace of diamond এর কল্যাণে; বিপক্ষ দল ছাড়াও নিজের দলের মধ্যে কিছুটা প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং মোটামুটি একটা স্ট্রং তিমের পারস্পেক্টিভ থেকে পুরো সিরিজটাকে দেখা – সেই এলিমেন্টটাও আছে কিছু পরিমাণে; যেটা বেশ রিফ্রেশিং।

মিউজিক নিয়ে আমি খানিকটা হতাশ; বিশেষত ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। দুর্দান্ত কোন মুভ বা স্পেশাল মোমেন্টে চমৎকার একটা ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক মুহূর্তটার আবেদন বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকখানি; যেইটা এই সিরিজে কিছুটা ঘাটতি আছে বলে মনে হয়েছে।

সব মিলিয়ে; “এ+” নাম্বার হয়ত দেওয়া যাবে না সিরিজটাকে; কিন্তু “এ” গ্রেড না দেবার কোনই কারণ নাই। আমার দেখে বেশ ভাল লেগেছে; সুতরাং স্পোর্টস জেনার লাভারদের জন্য অবশ্যই রিকমেন্ডেড। বাকিরা না দেখলে অবশ্য এমন কোন মাস্টারপিস মিস করবেন না, হয়ত।

– CWA প্রচারিত হচ্ছে কালে ভদ্রে; বৃহস্পতি শুক্রবারের দিকে ; এনিমখোরে !! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

Coffee with Asif (CWA): Sports Corner – পর্ব ৯ – Kuroko no Basuke

7 Kuroko no Basket

“The battle begins this winter, The winter cup !!!”

# কুরোকো নো বাস্কেট কি জিনিস?
-ইহা একটি সুপার পাওয়ার এনিম। মুলত কিছু বেশ আকর্ষণীয় চেহারার এবং সুঠাম দেহের অধিকারী পুরুষ চরিত্রদের মধ্যে সবচেয়ে কম আকর্ষণীয় চরিত্রের নামে এনিমটির নামকরণ। নারূতোতে যেমন পাওয়ারের উৎস “chakra”, ব্লিচে “reiatsu”, ওয়ান পিসে “haki”, এখানে পাওয়ারের উৎস “বাস্কেটবল।“

# জোন কি?
-মানব সম্প্রদায়ের এমন এক অবস্থা যখন আপনি আসলে সুপারম্যান এর সাথে বসে মনির মামার দোকানে চা খেতে পারবেন।

# কেউ “জোন” এ আছে কি না বুঝব কি করে?
-সিম্পল। জোনে থাকা লোকজনের চোখ দিয়ে আলো বের হয়; লেজার ধরণের আলো। আলোর কালার এবং আলো কতদুর বিস্তৃত – এই ধরণের কিছু তথ্য দিয়ে আপনি জোনে থাকা অতিমানবদের পাওয়ারের একটা তুলনাও করতে পারবেন খুব সহজেই।

দেখতে দেখতে শেষ হয়ে গেল এই সিজনের arguably most enjoyable show, super sayian basketball – kuroko no basuke. গোটা সিরিজের অবাস্তবতা নিয়ে যত ঠাট্টাই করি না কেন, এই সিরিজটা তার গোটা পঞ্চাশ পর্বেই আমাকে যেরকম মন্ত্রমুগ্ধ করে স্ক্রিনের সাথে সেঁটে রেখেছিল; আর কোন স্পোর্টস সিরিজ এতটা পেরেছে কি না সন্দেহ।

স্টোরি লাইনঃ
সেইরিন বাস্কেটবল টিমের প্লেয়ার কুরোকো তেতসুয়া। “generation of miracles” এর ষষ্ঠ মেম্বার সে। তারই টিমমেট কাগামি। দুইজন মিলে একে একে চ্যালেঞ্জ করতে থাকে বিভিন্ন prestigious স্কুলে যোগ দেওয়া জেনারেশন অফ মিরাকলের অন্য মেম্বারদেরকে; তাদের খেলার স্টাইলকে; প্রমাণ করতে থাকে – বাস্কেটবল আসলে সিঙ্গেল প্লেয়ারের খেলা না; বরং টিম গেইম; এঞ্জয় করার বস্তু; প্রত্যেকের নিজের মত করে ভালবাসবার জিনিস। ব্যাক্তিগত এবং দলীয় – দুই জায়গাতেই নিজেদের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি করে তারা এগিয়ে চলে সফলতার দিকে।

এই সিরিজের দুটো সিজনই সবচেয়ে বেশি সমালোচনার মুখোমুখি হয় যে কারণে সেটি হচ্ছে – বাস্তবতার সাথে মিল রেখে শুরু করার চেষ্টা করে এবং সেই ধরণের একটা environment বজায় রেখে একেবারেই “out of the world” সুপার পাওয়ার ধরণের বাস্কেটবল খেলা দেখিয়ে। তারা ইনাজুমা ১১ এর মতন একেবারে পুরোপুরি অবাস্তব কিংবা স্ল্যাম ডাঙ্কের মতন একেবারে বাস্তবের কাছাকাছি – কোন সিস্টেমই ফলো না করে একসাথে দুটো নৌকায়ই পা দিতে গিয়েছে – যেটি মুলত এই সিরিজের সবচেয়ে বড় এবং মোটামুটিভাবে একক সমালোচনার ক্ষেত্র। তবে এক্ষেত্রে পালটা যুক্তিও খুব সহজেই দেওয়া যায়। একটা সিরিজের মুল উদ্দেশ্য এঞ্জয়মেন্ট – খেলা শেখানো বা রিএলিস্টিক খেলার আবহ ফুটিয়ে তোলা নয়। কিছুটা ড্রামাটিকনেস; অবাস্তবতা থাকবেই। কিন্তু কতটুকু ?– সেটাই এখন মুল প্রশ্ন। kuroko no basuke হয়ত সেই সীমারেখাকেও বেশ স্পর্ধার সাথেই ছাড়িয়ে গেছে; কিন্তু উপভোগ্যতার পাল্লায় মেপে দেখলে সেটা খুব সহজেই overlook করাই যায়। I mean; এমন কয়টা সিরিজ আছে যেগুলোর স্পেশাল কিছু এপিসোড দেখার জন্য আপনি মোবাইল অফ করে দিয়ে দেখতে বসবেন যাতে মাঝে কেউ বিরক্ত করে মজায় ভাটা না ফেলে দেয়? আমি ব্যাক্তিগতভাবে অন্তত খুব কমই দেখেছি। সেই কারণেই কুরোকো ন বাসুকে আমার কাছে পুরো নম্বরই পাবে।

ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টঃ
২৪-২৫ পর্বের স্পোর্টস এনিমে ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টের সুযোগ খুব কমই পাওয়া যায়। কিন্তু তারপরেও KnB বেশ সফলতার সাথেই মুল দুটো চরিত্রের বাইরেও আরো বেশ কিছু চরিত্র খুব সফলভাবেই ফুটিয়ে তুলতে পেরেছে। আওমিনে কিংবা মুরাসাকিবারার চরিত্র, বাস্কেটবলের প্রতি তাদের আকর্ষণ, আতসুশি চরিত্র এবং কাগামির সাথে তার চারিত্রিক মিথস্ক্রিয়া – পুরো সিরিজেই একটা রিফ্রেশিং আমেজ দেয়। তবে সিরিজে সবচেয়ে বড় রেভুলেশন খুব সম্ভবত কিয়োশি তেপ্পেই। খুবই সাধারণ কিন্তু আবার একই সাথে অসাধারণ এই চরিত্র তার দৃঢ়তা, হার না মানা সঙ্কল্প, গোটা টিমের দায়িত্ব নিজের কাধে নেওয়ার প্রবণতা, easygoing attitude – সব মিলিয়ে খুবই চমৎকার একজন বাস্কেটবল প্লেয়ার এবং প্রিয় একটা চরিত্র হয়ে উঠেছে খুব সহজেই। মার্কিং – ৮/১০

আর্ট স্টাইলঃ
চমৎকার; খুব সম্ভবত যে কোন স্পোর্টস সিরিজের মধ্যে বেস্ট। ওপেনিং সং, মাঝে পেসিং, ইন্টেন্স খেলার মাঝে স্লো মোশনের ব্যাবহার, লাইট – সবকিছু খুবই চমৎকারভাবে করা হয়েছে। মার্কিং – ৯/১০

সাউন্ডঃ
ডিসেন্ট। ওপেনিং আর এন্ডিং সং – দুইটার কোনটাই স্কিপ করার মতন না। খেলার মাঝে বিভিন্ন সময় ব্যবহার করা সাউন্ড ট্র্যাকগুলাও চমৎকার। মার্কিং – ৮/১০

এঞ্জয়মেন্টঃ
পুরোপুরি। একদম শেষ এপিসোডটা অতি আবেগ আর নাটুকেপনার জন্য খানিকটা বিরক্ত লেগেছে। সেইটা বাদ দিলে পুরো সিরিজটাই বেশি রকম উপভোগ্য ছিল। মার্কিং – ১০/১০

ওভারঅলঃ
খানিকটা অবাস্তবতায় ক্ষতি কি? এনিমে এতো কিছু হিসাব নিকাশের দরকারই বা কি? এই সিজনে যেই কয়টা সিরিজ বাজারে আসার সাথে সাথেই যেই সাইজ পেয়েছি তাই নামায় দেখেছি – তাদের মধ্যে একটা এই kuroko no basuke. যারা খুব বেশি বাস্কেটবল খেলা দেখেন, পছন্দ করেন কিংবা নিজেরাই খেলেন – তাদের খানিকটা অস্বস্তি আর আপত্তি উপেক্ষা করলে পুরো সিরিজটা বরং “খুব পছন্দের সিরিজ” এর লিস্টেই থাকবে। ওভারঅল মার্কসঃ ৮.৫/১০

ফ্যান মেইড ট্রেইলারঃ https://www.youtube.com/watch?v=UMh317uj9Bw

 

– CWA প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শুক্রবার; এনিমখোরে !! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

Coffee With Asif (CWA): Manga Corner – পর্ব ৮ – Liar game

 

Doubt them, question them, suspect them, and take a good long look into their hearts. Humans are the kind of beings that can’t put their pain into words, after all.
-Shinichi Akiyama

liargame1

পুরো মাঙ্গাটার রিভিউ বোধহয় এক লাইনেই বলে দেওয়া যায় এইভাবে – “একজন অসম্ভব রকমের সৎ মেয়ে কোনভাবে একটা খেলায় জড়িয়ে যায় যেখানে জিততে হলে মিথ্যে কথা বলতে হবে; আর হার মানেই ভয়ঙ্কর পরিনাম। এবং right from the word “go” সে নিজে মিথ্যের কবলে পড়ে সব খুইয়ে বসে এবং সাহায্য চায় একজন ধান্দাবাজের।”

সহজ সরল এবং অপ্রতিম একটা কাহিনী। বিশেষত্ব? এই খেলার মাধ্যমে এই সিরিজ অন্বেষণ করে বেড়িয়েছে মানব মনের অন্ধকার অংশ – মিথ্যা, শঠতা, লোভ ও স্বার্থপরতা এবং সেগুলোকে ছাপিয়ে মানুষের প্রতি মানুষের ভালবাসা বিশ্বাসের শক্তিকে।

মাঙ্গার প্রতি আমার শুরু থেকেই কেমন যেন একটা বিতৃষ্ণা ছিল; কেন জানি। এতো দিনেও তাই কোন সিরিজ পড়া হয়ে ওঠে নি। এই সিরিজের গল্প kaijiর সাথে অনেকটাই সমান্তর – তথ্যটা জানার পর কৌতুহলবশত পড়া শুরু করলাম; এবং দুই দিন পর আমি লিটারেলি জোরে জোরে লাইন বাই লাইন পড়ে গেসি; এইরকমই থ্রিলিং একটা সিরিজ !!!

কাঞ্জাকি নাও- একজন অসম্ভব সৎ মেয়ে। এতটাই সৎ যে তা মাঝে মাঝেই তার কাজকর্ম বোকামি বলে প্রতীয়মান হয়। স্বভাবতই সে লায়ার গেমের জন্য সবচেয়ে অযোগ্য প্রতিযোগী হবার কথা – যে খেলার মুল লক্ষ্যই হল মিথ্যা আর ধোকাবাজির মাধ্যমে প্রতিপক্ষের কাছ থেকে অর্থ দখল করা; আর হারলেই যেখানে অপেক্ষা করছে বিশাল অঙ্কের ঋণ আর ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎ। কিন্তু একদিন নাও অবাক বিস্ময়ে তার দোরগোড়ায় ১০০ মিলিওন ইয়েন আর খেলায় অংশগ্রহণের আমন্ত্রণপত্র পায়। নানা ঘটনার চক্করে খেলায় অংশ নিয়ে প্রথমেই পুরো অর্থ খুইয়ে বসে সে। উপায়ান্তর না দেখে দ্বারস্থ হয় জিনিয়াস জুয়াড়ি Shinichi Akiyama’র। তার সহায়তাতেই এই খেলার আসল উদ্দেশ্য এবং এর পিছনের লোকদের পরিচয় উন্মোচনের মিশনে নামে দুজনে।

মাঙ্গার আর্ট খুব আহামরি না; বিশেষ করে প্রথম দুই এক ভল্যুম। পরে খানিকটা উন্নতি হলেও আহামরি কিছু হয় নি; তবে চালিয়ে নেওয়া যায় খুব সহজেই।

গল্পের চরিত্রগুলো অত্যন্ত চমৎকারভাবে গড়ে তোলা; এবং মাঙ্গার মুল এবং প্রধান আকর্ষণ। শুরুতেই নাও কে উপস্থাপন করা হয় বোকাসোকা, সহজ সরল, সবসময় অন্যের মুখাপেক্ষী, অল্পতেই কান্নাকাটি করা একজন হিসেবে। কিন্তু যতই গল্প এগুতে থাকে নাও ততই আকিয়ামার সাহায্যে শক্তিশালী হয়ে উঠতে থাকে, এবং তার সরলতা আর সর্বসত্ত্বা দিয়ে সে সবাইকে সাহায্য করার মাধ্যমে সবার প্রিয় হয়ে উঠতে থাকে।

আসা যাক আকিয়ামার চরিত্র বিশ্লেষণে (সতর্কবানীঃ অতিরিক্ত উত্তেজিত ফ্যান গার্লদের মতন প্যানপ্যানানি সামনে)। জিনিয়াস বল্লেও বোধ হয় কম বলা হয়ে যাবে আকিয়ামাকে। মোটামুটি ডেথ নোটের এলের মতন ঠান্ডা মাথায় সব পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া; সব সময় ন্যায় আর সত্যের সাথে থাকা আকিয়ামা এক কথায় দুর্দান্ত। তার এই কাজকর্ম এবং ক্ষমতার বিশ্লেষণে আর গেলাম না; সেটা পড়ার সময় নিজেই পড়ে নেবেন খন।

পাবলিক রিএকশনঃ (এই পার্টটা এডমিন ফারসিম আহমেদের FAC থেকে ধার নেওয়া)
কানজাকি নাও প্রচন্ড রকম সৎ একটা মেয়ে। এতই সৎ যে তাকে বর্তমান সমাজের মূল্যবোধের যে অবস্থা তাতে প্রশংসা না করে বোকাই বলা যায়। তো এমন সৎ ভালোমানুষ এক মেয়েকে যদি লায়ার গেইম নামের এমন একটা খেলায় অংশ নিতে হয়, যে খেলার মূল কথায় হচ্ছে অন্য প্রতিযোগীদের ধোঁকা দেয়া, তাহলে কেমন হবে? যা হবার, তাই হলো। নাও প্রথম রাউন্ডেই তার প্রাথমিক পুঁজি একশ মিলিয়ন ইয়েন হারালো। পেনাল্টি হিসেবে দুইশ মিলিয়ন ইয়েনের খাঁড়া যখন ঝুলছে তার উপর, সেই অবস্থায় অসহায় নাও খোঁজ পেল এক জিনিয়াস প্রতারকের, নাম তার আকিয়ামা শিনিচি। এই দুই সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুর মানুষ যখন জুটি বাঁধলো, তার পরিনতি কি হবে? তারা কি পারবে লোভ আর প্রতারণা যার পরতে পরতে মেশানো, সেই লায়ার গেমের ভয়াবহ জগতকে জয় করতে?

কেন পড়বেনঃ

অসাধারণ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলার, যারা ওয়ান আউটস বা আকাগি এর মত ওয়ান ম্যান শো গুলো উপভোগ করেছেন, তাদের জন্য মাস্ট রিড।

কেন পড়বেন নাঃ তেমন কোনো কারণ নেই।

আমার রিএকশনঃ ভবিষ্যতে গলাবাজি করে বলতে পারব এইরকম একটা বস মাঙ্গা দিয়া আমার মাঙ্গা পড়ার শুরু হয়েছিল !!!

শুরু করেছিলাম আকিয়ামার চমৎকার একটা উক্তি দিয়ে; শেষটাও তাই –
“Trust.” That act without a doubt a very noble one.. but you know, what many people do, that they call “trust,” is actually giving up on trying to understand others. And that has nothing to do with “trust,” but is rather.. apathy. There are countless people out there who fail to realize that apathy is a far more devastating act than doubting others.
-Shinichi Akiyama

 

Coffee With Asif (CWA): Anime Review – পর্ব ৭ – Black Lagoon

2014-04-Black-Lagoon-Pictures

এনিম – Black Lagoon (Season 1)
অবস্থা – Completed
টোটাল এপি সংখ্যা – ১২

রিভিউ –

Okajima Rokuro একজন জাপানি ব্যাবসায়ী; আট দশ জন ব্যাবসায়ীর মতনই খাওয়া; ঘুম; ব্যাবসা আর উপরের বসের লাত্থি গুতো খেয়ে তার কাটে। তার জীবনে হটাত একটা পরিবর্তন আসে; যখন সে একদল ভাড়াটে গুন্ডাদের দ্বারা অপহৃত হয়। সে দেখা পায় নতুন এক জগতের; যে জগত নিদারুণ; যে জগত বিশ্বাসঘাতকতার; আবার একই সাথে যে জগত পরস্পরকে ভালবাসার; একে অন্যকে অবলম্বন করে বেচে থাকার!!!

নির্মোহ দৃষ্টিতে দেখলে Black lagoon একশন প্যাকড; গল্পে খুব বেশি গভীরতাহীন; কিছু কিছু ক্ষেত্রে দুর্বল চরিত্রায়নে পূর্ণ চানাচুর মার্কা একটা এনিম!! কিন্তু এর সফলতা হচ্ছে; সিরিজটা নিজের দুর্বলতাগুলো সমন্ধে যথেষ্ট সচেতন এবং সেগুলোকে নিজেদের শক্তিতে রুপান্তর করে নিয়েছে। একটু গভীরে দেখা যাক।

মোটামুটি চারটে প্রধান চরিত্রকে ঘিরেই সিরিজটি। প্রধান চরিত্র Revi কম বেশি প্রোটোটিপিকাল “sexy girl with guns” ক্যাটাগরিরই একজন। নিহিলিস্টিক;নীরস; স্রষ্টা আর আবেগ ভালবাসায় অবিশ্বাসী রেভির ৮-১০টা এইরকম চরিত্র থেকে বিশেষত্ব কোথায়? বিশেষত্ব সংলাপে। witty and crude – Rock এর সাথে তার কথা চালাচালি অন্তত উপভোগ্য – to say the least. এছাড়া অর্থলোভী এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে sociopath revir’র ভেতর নরম সত্ত্বার প্রকাশটাও এই সিরিজের একটা শক্তিশালী দিক।

 

তবে Revi কে দৃশ্যপট থেকে সরিয়ে বিবেচনা করলে বাকি চরিত্রগুলো পাতে তুলতে খানিক কষ্ট হবার কথা। মুল চরিত্র rock occasionally ব্রিলিয়ান্স দেখালেও সেটা প্রায় ক্ষেত্রেই অপ্রতুল।

এনিমেশন স্টাইল এর দিক থেকে এটা হয়ত Madhouse এর সেরা কাজগুলোর একটা নয়; তবে কাজ চমৎকার। একটা সিরিজ যার মুল থিমই ভায়োলেন্স – Black lagoon এ সে হিসেবে গোর ভাবটা যথেষ্ট কম। কিছু কিছু হলিউডি মুভির মতন টিডিয়াস on-your-face ধাঁচের brainless stupid গোলাগুলি না; বরং একশন সিনগুলো যথেষ্ট মুন্সিয়ানার সাথে করা হয়েছে। এছাড়া ক্যামেরা এঙ্গেলের কাজও বেশ দেখার মতন।

সাউন্ডট্র্যাকগুলোও চমৎকার; অন্তত একটা action based series এর কাছে যেমন আশা থাকে। সিরিজ দেখার পর খুব সম্ভবত কোন ট্র্যাক ডাউনলোডের জন্য youtube এ দৌড়াবেন না; কাজ চালিয়ে নেবার মতন সাউন্ডট্র্যাক; তবে এদের সার্থকতা সিরিজের Dark humorous টোন তৈরি করে দিয়েছে বেশ ভালভাবেই।

সিরিজের সবচেয়ে বলার মতন দিক বোধহয় ভয়েস এক্টিং। Toyoguchi Megumi রেভির ভয়েসের সারকাস্টিক এবং মোহনীয় টোন ফুটিয়ে তুলেছেন চমৎকার দক্ষতায়। এছাড়া বাকিদের কাজও ছিল বেশ চমৎকার।

দিনশেষে black lagoon এ যেমন খুব চোখ ধাঁধানো কিছু নেই; তেমনি criticize করারও খুব বেশি কিছু নেই। ভাল মন্দ মিলিয়ে একটা বেশ উপভোগ্য একটা সিরিজ!!!

211538_1403490665518_full

Coffee With Asif (CWA): Sports Corner – পর্ব ৬ – Hajime no ippo

 

“Hard work doesn’t always pay off.
But the ones who succeed are the ones who worked hard!!”

2347

এনিম – Hajime no Ippo

রিলেটেড স্পোর্টস – বক্সিং
অবস্থা – Completed
টোটাল এপি সংখ্যা – ৭৫
রিলেটেড এনিম – None

স্টোরি লাইন –
বক্সিং নিয়ে একটা এনিম। মাকুনচি ইপ্পো একটু “ইন্ট্রোভারট” টাইপ একটা ছেলে। এই জন্য সে সিনিওরদের কাছে সব সময় বুলিং এর স্বীকার হয়। একদিন জাপানিজ মিডেলওয়েট চ্যাম্পিয়ন তাকামুরা তাকে রক্ষা করে। তাকামুরাকে দেখেই ইপ্পোর বক্সিং জগতে প্রবেশ। বাকিটা শুধুই ইতিহাস!!

বেশ সহজ সরল এবং এক মুখী কাহিনী। কিন্তু কাহিনীর কোন জায়গায় এনিম ঝুলে যায় নি। খুব ফাস্ট পেসড এবং চমৎকার পার্শ্ব কাহিনী এনিমের প্রধান বৈশিষ্ট্য। ফিলারের অনুপস্থিতি এনিমের আরেকটি ভাল দিক।

 

কেন দেখবেন –

Character development. এমন কয়টা এনিম পাবেন যেখানে দুই এক পর্বের জন্য আপনি subconsciously চাইবেন হিরো হেরে গিয়ে প্রতিপক্ষকে জিতিয়ে দিক? প্রতিটা চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড; তাদের স্ট্রাগল এতো চমৎকারভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যে মাঝে মাঝে কাকে সাপোর্ট করবেন সেটা নিজেই ঠিক করে উঠতে পারবেন না !!!

 

কেন দেখবেন না-

বক্সিং যদি আপনার কাছে বর্বরতার আরেক নাম হয়ে থাকে; দুজন মানুষ একটা চারকোন রিং এর ভিতর একজন আরেকজনকে মারছে – এই আইডিয়াটা আপনার কাছে খুব সুখকর না হয়ে থাকে; তবে এই এনিমটা বোধহয় আপনার জন্য নয়।

Ending Song- https://www.youtube.com/watch?v=9wcxvl378nI

1920x1440-hajime-no-ippo-desktop-wallpaper

পাব্লিক রিয়েকশন-

#1: “42 ep of Hajime no Ippo is such something. I am moved.Wish I could be a friend like Umezawa kun.”

#2: শুন্তেসি “hajime no ippo” এর এন্ডিং সং। মোস্ট ইন্সপায়ারিং এন্ডিং সং এর একটা লিস্ট থাকা উচিত মনে হয়; অয়াইন্ডার আর এইটা – এরা তাইলে এক কাতারে থাকতে পারবে।

 

আমার রিয়েকশন-

কখন বুঝবেন যে আপনি একটা এনিমকে ভালবেসে ফেলেছেন? যখন সেই সিরিজটার চরিত্রগুলো আপনাকে তার সাথে সাথে চিৎকার করতে বাধ্য করবে; দম আটকে রাখতে বাধ্য করবে; হিরোর বিজয় চিৎকারের সাথে আপ্নিও দুই হাত উপরে তুলে উল্লাস করবেন; বন্ধুকে সাজেস্ট করার সময় আরেকবার পুরো সিরিজটাই তার সাথে দেখে ফেলবেন; শেষ হয়ে যাবার পর এক ধরণের শুন্যতা অনুভব করবেন; পুরো জিনিসটাই এমন ভাবে বিশ্বাস করবেন যে আপনার মনে হতে থাকবে এইরকম একটা জগত বুঝি আসলেই আছে; এবং আপ্নিও সেই জগতে চলে গেছেন !!!!

Hajime no ippo আমার জন্য সেইরকমই একটা সিরিজ !!!

ছায়া অবলম্বনে- None

1920x1080_ippo-manga-anime-HD-Wallpaper

বক্সিং ট্রিভিয়া-

# মাইক টাইসন সবচেয়ে কম বয়সে হেভিওয়েট টাইটেল জিতে নেন। তিনি খেতাবটি দখল করেন মাত্র ২০ বছর বয়সে।
# Joe Louis টানা ১১ বছর ৮ মাস হেভিওয়েট চ্যাম্পিওন এর খেতাব ধরে রাখেন যা কিনা যে কোন ওজন শ্রেণীর জন্যই বিশ্বরেকর্ড।
# Archie Moore তার প্রফেশনাল ক্যারিয়ারে ১৩১ বার প্রতিপক্ষকে নক আউট করেছেন। এই রেকর্ডের ধারেকাছেও কেউ খুব একটা নেই !!!

শুরুটা করেছিলাম ইপ্পোর কোট দিয়ে; শেষ করি সেন্দো তাকেশির একটা কোট দিয়ে –
“Hit, and get hit by a strong man. And win! Only then, can I truly believe that I’m strong. I…love that moment!“

– CWA প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শুক্রবার; এনিমখোরে!! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

(ছবি কৃতজ্ঞতাঃ মিস যাহুরা চৌধুরী অবন্তী)

Coffee With Asif (CWA): পর্ব ৫ – The Wolf Children Ame and Yuki – মুভি রিভিউ

Wolf Children

[The Wolf Children Ame and Yuki – মুভি রিভিউ]

Hana- ১৯ বছর বয়স্ক এক মেয়ে হটাত করেই তার জীবনের ভালবাসা খুজে পায়। তার ভালবাসার মানুষ kare – সবার থেকে একটু আলাদা; একজন নেকড়ে মানুষ (wolf man); এবং তার গোত্রের সর্বশেষ সদস্য। তা সত্ত্বেও তারা পরস্পরকে ভালবেসে কাছে আসতে শুরু করে এবং একটা পরিবার গড়ে তোলে। কিন্তু কিছুদিন পরেই এক ট্রাজিক ঘটনায় মারা যায় kare;yuki’র সাথে রেখে যায় এক মেয়ে-yuki আর এক ছেলে-Ame কে। যাদের দুজনই স্বতঃস্ফূর্তভাবে এবং মাঝে মাঝে নিয়ন্ত্রণহীনভাবেই নেকড়ে-মানুষ জগতে আসা যাওয়া করতে পারে। শহরের চারদেয়ালের মাঝে এদেরকে বড় করা অসম্ভব হয়ে পড়ায় hana বাচ্চাদের নিয়ে একরকম পালিয়ে আসে পাহাড়ের কাছে এক বিরান গ্রামে। এখানেই শুরু হয় বাচ্চাদের নিয়ে তার সংগ্রামের গল্প; yuki আর ame’র নিজেদেরকে খুজে পাবার গল্প; নিজেদের ভবিষ্যৎ ডিসাইড করার গল্প !!!!

Studio Ghibli এনিমেটেড মুভির জগতে মোটামুটি একটা স্ট্যান্ডার্ড সেট করে দিয়েছে; এবং তাকে ধরাছোঁয়া খুব একটা সহজ কাজ নয়। কিন্তু Mamoru Hosodaর নির্দেশনায় Madhouse Studios এর এই মুভিটা সেই স্ট্যান্ডার্ডকে খুব সফলতার সাথেই চ্যালেঞ্জ করেছে।

মুভির মুল হাইলাইটগুলার মধ্যে ছিল – ন্যারেটিভ স্টাইল – মোটামুটি একটা অবিশ্বাস্য গল্প বেশ বিশ্বাসযোগ্য উপস্থাপন এবং এর ন্যুনতম সংখ্যক চরিত্র – প্রত্যেকটা চরিত্রই fully developed।

গল্পে বেশ কিছু চমৎকার মুহূর্ত আছে; যেখানে রীতিমত আবেগের রংধনু খেলা করে। Ame আর yuki র সরলতা; তাদের সংগ্রাম; ame’র তার ক্লাস থেকে ধীরে ধীরে আলাদা হয়ে যাওয়া; সংলাপহীন বেশ অনেকগুলো মুহূর্ত – দুর্দান্ত !!!

দিনশেষে The Wolf Children Ame and Yuki তাই জীবনের গল্প বলা; সংগ্রামের গল্প বলা; হাসি কান্না আর দৈনন্দিন জীবন জাপনের খুনসুটিতে বেচে থাকার গল্প; একটা must watch মুভি !!!

Coffee With Asif (CWA): Sports Corner – পর্ব ৪ – Over Drive

Over Drive

এনিম – Over Drive

রিলেটেড স্পোর্টস – সাইক্লিং
অবস্থা – Completed
টোটাল এপি সংখ্যা – ২৬
রিলেটেড এনিম – Yowamushi Pedal

স্টোরি লাইন

“আমাদের বাই সাইক্লিং ক্লাবে জয়েন করে ফেল” – ফুকাজাওয়া; শিনোজাকি মিকোতোর সিক্রেট ক্রাশ মিকোতোকে বলে।

দুর্ভাগ্যক্রমে হাই স্কুল স্টুডেন্ট হওয়া সত্ত্বেও মিকোতো বাইসাইকেল চড়তে জানে না (আমিও জানি না; শরমের কথা বার্তা :/ ); যে কোন খেলাধুলায়ই তার সফলতা শুন্যর কোঠায়(আমারও 🙁 )। তারপরেও ফুকাজাওয়ার কথা মত ক্লাব সমন্ধে কোন আইডিয়া না নিয়েই সে বাইসাইকেল ক্লাবে জয়েন করে। দুই সেনপাই ইয়োসকে আর তেরাও এর সাথে সাইকেলের পেডালের চাপ দিতেই তার সামনে খুলে যায় অন্য এক জগত; নিজেকে আবিষ্কার করে নতুন ভাবে !!! চুড়ান্ত ব্যার্থতা আর আনন্দ হাসি কান্না সকল আবেগের মধ্য দিয়ে যাত্রা শুরু হয় চুড়ায় !!!

কেন দেখবেন –

অনেক এনিমের অনেক পর্বই মাঝে মাঝে রিভিশন দেওয়া হয়; এর মধ্যে ওভার ড্রাইভের ১৮ তম পর্ব সবার উপরে। এই পর্বটা কতশত বার যে দেখসি তার হিসাব নাই !!! কেন দেখবেন এ একটা কথাই শুধু বলতে পারি – ২৬ পর্বে শেষ হওয়া স্পোর্টস এনিমগুলার মধ্যে আমার সবচেয়ে, সবচেয়ে প্রিয় এনিম ওভার ড্রাইভ। 🙂

কেন দেখবেন না-

শুরুটা ভাল রকম স্লো; ১ম ৮-৯ পর্ব শুধু সেটাপ। যদিও এর পুরোটাই সুদে আসলে পুষিয়ে দিয়েছে শেষ ৭-৮টা পর্ব; ২৬ পর্বের একটা এনিমের জন্য তারপরেও এইটা একটা serious sin. এছাড়া আবেগ; স্টোরিলাইন সব কিছুই খানিকটা চাইল্ডিশ (most of the sports anime ই তাই); তারপরেও চাইল্ডিশ জিনিসে এলার্জি থাকলে সিরিজটা এভএড করে যাওয়াটাই উত্তম !!!

Opening Song- https://www.youtube.com/watch?v=BtNA5ubzps8

এইটা আসলে একটা AMV এর লিঙ্ক; গানটা সিঙ্গেলভাবে পাইলাম না বলে AMV টাই দিলাম। AMV টা প্রোবাবলি one of the worst (আমার বানানোগুলা হিসাবে আন্তেসি না; তাইলে দুনাইয়ার কারোরই লাস্ট হবার কোন চান্স নাই 😀 ); তবে গানটা যে কোন এনিমে শোনা আমার সবচেয়ে প্রিয় গানগুলোর একটা; কারণটা এনিমের ১৮তম পর্ব শেষ করতে পারলেই পরিষ্কার হয়ে যাবার কথা !!!

পাব্লিক রিএকশন (গৌরব রয়):-

Eyshild 21 যাদের ভালো লাগছে , OVer drive তাদের মনে হয় ভালও লাগবে বলে আশা রাখি।২৬ এপিসোডের একটা এনিম।কাহিনি খুব ফাস্ট ।সাইক্লিং নিয়ে।এবং খুব বড় না।কিন্তু আমার মনে হয়ছে যে কাহিনি পুর্নতা পেয়ছে ।এক রাতের মদ্ধে দেখে শেষ করে ফেলা যাওয়ার মত এনিমে। আর্ট স্টাইল যথেস্ট ভাল। নায়ক্টার সাথে হিট্ম্যান রিবর্ন এর সুনা এর মিল আছে ।নায়ক কে অতি মাত্রায় জিনিয়াস দেখায় নাই ।আর অবাস্তব করে নাই কাহিনি টা।তবে নায়কের নায়ক সুল্ভ কিছু জিনিশ তো থাকেই,এবং সেটার বহিপ্রকাশ অনেক ভাল ছিল। ব্যাস্ততা এর মাঝএ দেখে অন্তত মনে হবে যাক সময় টা মনে হয় নস্ট হয়নি…….

আমার রিএকশন-

বস বস এবং বেশি বস !!!  

ছায়া অবলম্বনে-

অন্য সব টিপিকাল ২৬ পর্বের স্পোর্টস এনিমের মতই; পুরো ফর্মুলা মেনেই করা; শুধু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের দুর্দান্ত ব্যাবহার এই সিরিজটাকে আলাদা মাত্রা দিয়েছে।

রেসিং ট্রিভিয়া- 

# প্রথম বাই সাইকেল রেস হয় আনুমানিক ১৮৬৮ সালে; প্যারিসে। প্রায় ১২০০ মিটারের রেস ছিল এটি।  

# জেমস মুর নামক জনৈক ভদ্রলোক এই রেসটি জিতে নিএছিলেন।  

# L’auto নামক ম্যাগাজিনের বিক্রি বাট্টা বাড়াতে ১৯০৩ সালে প্রথম আয়োজন হয় সাইক্লিং এ সবচেয়ে মর্যাদাশীল প্রতিযোগিতা Tour de France এর ।

# প্রায় ২১ দিন ব্যাপি চলা এই প্রতিযোগিতার বর্তমান ভার্শনে বিভিন্ন ধাপে পাড়ি দিতে হয় প্রায় ৩২০০ কিমি পথ।

# দুই বিশ্বযুদ্ধ ছাড়া প্রতিবছরই আয়োজন হয়ে আসছে এই প্রতিযোগিতার।

# ২১ দিন এবং ৩২০০ কিমি পথ হলেও শেষ পর্যন্ত কিন্তু বিজয়ী নির্ধারণ হয় সেকেন্ড বা মিনিটের পার্থক্যেই !!! ১৯৮৯ সালে ১ম এবং ২য় স্থান অধিকারীর মধ্যে সময়ের পার্থক্য ছিল ৮ সেকেন্ড !!!

 

– CWA প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শুক্রবার; এনিমখোরে!! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

Coffee With Asif (CWA): Sports Corner – পর্ব ৩ – Dan Doh!!

Dan Doh 1

এনিম – Dan Doh!!

রিলেটেড স্পোর্টস – Golf
অবস্থা – Completed
টোটাল এপি সংখ্যা – ২৬
রিলেটেড এনিম – None

 

স্টোরি লাইন

তাদামিচি আওবা (ডাকনাম Dan Doh)কে ঘিরেই আবর্তিত হয় সিরিজটি। Dan Doh এবং তার দুই বন্ধু স্কুলের বেসবল টিমের সেরা খেলোয়াড়। কিন্তু স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সাথে একটা ঘটনার পর তারা গলফের জগতের সাথে পরিচিত হয়। শিঞ্জি মিকিয়াসু; একজন সাবেক প্রো গলফার তাদেরকে বেসিক ট্রেনিং দেন। তার বিশ্বাস; একদিন এই ছেলেরা তাকেও ছাড়িয়ে যেতে পারবে। Dan Doh যখন থেকেই প্রতিযোগিতামুলক ইভেন্টগুলোতে অংশ নিতে থাকে ততই তার বন্ধুত্বসুলভ স্পিরিট; নিষ্ঠা; সততা আশেপাশের লোকজনের মধ্য থেকে সেরাটা বের করে আনে এবং তার বন্ধু হতে থাকে !!!

কেন দেখবেন

গলফ নিয়ে আমার মতে এর চেয়ে আনন্দদায়ক উপায়ে কোন সিরিজ বানানো সম্ভব না !!! এই সিরিজ দেখার পর আমি গলফ এর নিয়ম কানুন সমন্ধে অনেক কিছুই জানতে পারসি; তাছাড়া পুরো সিরিজটাই অন্যান্য যে কোন স্পোর্টস এনিম সিরিজের মতনই আনন্দদায়ক। “গলফ মানুষ খেলে ক্যামনে” – জাতীয় প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্য হইলেও এই সিরিজটা দেখাটা আসে।

 

কেন দেখবেন না-

যারা Prince of Tennis দেখেছেন তারা এই এনিমটার সাথে বেশ কিছু বিষয়ে মিল পাবেন। প্রথম বিষয় – কথা নাই বার্তা নাই খুব বেশি জিনিয়াসের আগমন; যেইটা আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগে। ২য় বিষয় হচ্ছে; মাত্র ২৬ পর্ব হওয়ায় ক্যারেক্টারগুলো খুব বেশি ডেভেলপ করতে পারে নি; আমার মতে খুব সহজেই এইটা ৭০+ পর্ব করা যেত। এতে যেটা হয় ক্যারেক্টারগুলোর প্রতি খুব একটা মায়া জন্মায় না। কেমন যেন একটা ছাড়া ছাড়া ভাব ক্যারেক্টারগুলোর মধ্যে।

 

৩য় বিষয় হচ্ছে স্টরিলাইন বেশ কিছু জায়গা খাপছাড়া। যেমন এক জায়গায় রোমান্টিক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কাহিনী বলে দিচ্ছি না; তবে দেখলেই বুঝবেন জায়গাটা একটু খাপছাড়া মনে হয়েছে; কেন জানি মনে হচ্ছিল কাহিনীতে ওইটার প্রয়োজন ছিল না ।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে আবেগের ঘাটতি।

যাদের গলফ নিয়ে আগে থেকে কিছুটা হলেও ধারণা আছে তাদের জন্য সাবধানবাণী-

আপনার যদি আগে থেকেই গলফ সমন্ধে আইডিয়া থাকে বা গলফ খেলোয়াড় হয়ে থাকেন; তবে নিজ রিস্ক নিয়ে দেখবেন। কারণ এই সিরিজে জনাব Dan Doh সাহেব যা করেন তা Tiger woods কেও লজ্জায় ফেলে দিবে; ফান না; সিরিয়াস !!!

 

 

Opening Song: https://www.youtube.com/watch?v=5oPI-5HjuSA

 

আমার রিএকশনঃ 

“২৬ পর্বে আনন্দের সহিত গলফ শিখুন” বিজ্ঞাপন দিতে পারে এই সিরিজটা। খেলার কিছু বেসিক রুলস জানার জন্য এবং খানিকটা আগ্রহ জন্মানোর জন্য পারফেক্ট !!!

 

ছায়া অবলম্বনেঃ  

Prince of tennis – আমি বাম হাতেই এই জগতের সেরা প্লেয়াররে কাইত কইরা ফেলতে পারি; আর ডান হাতে খেলুম কুন দুক্ষে !!!

 

 

– CWA প্রচারিত হচ্ছে প্রতি শুক্রবার; এনিমখোরে!! আমাদের আর কোথাও কোন শাখা নেই !!! স্পোর্টস এনিম নিয়ে আপনার যে কোন আবদার; আবেদন; আহ্লাদ; হুমকি; জিজ্ঞাসা – সব কিছুই জানাতে পারেন আমাদের; আমরা তার সমাধান দেবার চেষ্টা করব কোন না কোন সময় ইনশাল্লাহ !!! আমাদের সাথেই থাকুন !!!

 

Coffee With Asif (CWA): লিজেন্ড অফ কোরা – দ্বিতীয় সিজন সমাপ্তি পর্যালোচনা

(This review contains spoiler about avatar: Legend of Korra: Season 2)

মুভি; ইংলিশ টিভি সিরিজ কিংবা এনিম সিরিজ – সবজায়গাতেই মাঝে মাঝেই একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায়; প্রথম সিজনের প্রবল সাফল্যের পিছু পিছু যখন দ্বিতীয় সিজন বাজারে আসে; প্রথমটার সাথে মিলিয়ে তুলনায় প্রায়শই সেটা হতাশায় পরিণত হয়। Avatar – legend of korra কমবেশি সেই দলেরই নতুন সংযোজন। আলাদাভাবে সিরিজটা যতই উপভোগ্য হোক না কেন; avatar ang এর সাথে মিলিয়ে প্রায় অনেকেই avatar korra কে “হতাশাজনক” বলেই মনে করেন। তবে আমি অন্য কারো সাথে তুলনায় না গিয়ে যদি আলাদাভাবে এই সিরিজটাকে মূল্যায়ন করি তাহলে আমার কাছে legend of korra A+ মার্কসই পাবে। I have at least enjoyed the show; to say the list. 

(এভাটারঃ লিজেন্ড অব কোরা দেখে প্রতি মুহূর্তে যেটা মনে হয়, এং এর মধ্যে যে অস্থির স্মার্টনেসটা ছিল কোরা তার ধারে কাছেও নাই, এভাটারের ফানটা খুবই ক্লাস ছিল যেখানে কোরার ক্ষেত্রে পুরা মাঠে মারা গেছে, সবচেয়ে বেশি গায়ে লাগে যেটা, এং প্রথমে শুধু এয়ারবেন্ডার ছিল দেন আস্তে আস্তে সব শিখছে, কিন্তু তারপর ও কোন ফাইটেই তার খুব একটা আউটক্লাসড হতে হয় নি, সব সময় ই সে কিছু না কিছু করে চালিয়ে নিত, আর কোরা এত্তগুলা এলিমেন্ট পেরেও শুধু মাইর খায়। – পাব্লিক রিএকশন) 

এই রিভিউ মুলত korra এর দ্বিতীয় সিজনের মতামত নিয়ে লেখা; সুতরাং সেদিকেই দৃষ্টি ফেরানো যাক। আগের সিজনের বেশ কিছু হতাশাজনক দিক – যেমন স্পিরিট জগতের সাথে korraর যোগাযোগ দৃশ্যত বর্জিত ছিল প্রথম সিজনে (একজন এভাটারের বড় একটা দিকই যেখানে স্পিরিট জগতের সাথে যোগাযোগ রাখা); কিন্তু পুরো সিরিজের মাঝে এবং শেষে বেশ কিছু প্রশ্ন এবং বেশ কিছু হতাশাজনক ক্লিশে দৃশ্য পুরো সিরিজটিকে “শতভাগ সফল” হতে দেয় নি। একে একে সবগুলো ইস্যুই দেখা যাক।

(এং-এর সাথে কারও তুলনা চলেই না! সে অন্যান্য এভাটারদের তুলনাতে আগে থেকেই স্পেশাল।
আর কোরা পুরাই আনকোরা টাইপ এভাটার। দুইজন পুরাই দুই মেরুর ক্যারেক্টার। এং যেখানে মঙ্ক, সেখানে কোরা হলো পিচ্চিকাল থেকেই খেপাটে আর শো-অফ পছন্দ করে!
এই দুই টাইপ এভাটারের আচরণ, কৌশল, সাফল্য অবশ্যই এক হবে না।
তারউপর এং এর কাহিনি যখন শুরু হয় তখন ১০০ বছর ধরে চলে আসা দ্বন্দ্ব যুদ্ধ ছিল, অস্থিরতা ছিল। কোরা যখন আসে, তখন অলরেডি এং একটা সুন্দর আর এডভান্সড দুনিয়া রেখে যায়
তাই এং এর কাহিনির মত কিছু পাব না এইটা জেনেই কোরা দেখি। সব কিছু মিলিয়ে আমার এইটা বেশ ভালই লাগে !!! 
– পাব্লিক রিএকশন) 

## প্রথম সিজনের মতই এই সিজনেও শেষটা কেমন যেন জোর করে এবং তাড়াহুড়া করে হয়েছে বলেই মনে হয়েছে। স্পিরিট জগতের সাথে দৃশ্যত যোগাযোগবিচ্ছিন্ন কোরা হটাত করেই এতো অল্প সময়ের মাঝে এতো বিচরন এবং এতো শক্তি কিভাবে পেল যে রাভার সাহায্য ছাড়া নিজের শক্তিতে ভাতুর মতন স্পিরিট এবং উনালকের যৌথ শক্তির সাথেও সে ফাইট করে জিতে গেল? আর সময় বৃক্ষের মাঝে বসে কসমিক লাইট খুজে পাওয়ার দৃশ্য দেখে একটা কথাই মনে পড়ে গেসে – “There is a magical solution of every problem of the hero”.

(জিনোরার রোলটা ক্লিয়ার হলো না। এরা পার সিজন কাহিনী শেষ করে, লেজেন্ড অব আং এর মত না, কাজেই ব্যাখ্যা দরকার ছিল।
বুমির ক্যারেক্টারটা একদম শেষদিকে গিয়ে সোক্কার কথা মনে করিয়ে দিয়েছে, ওয়ান আর বুমিই আসলে এই সিরিজের পাওয়া।
আর ১০০০০ বছরের ডার্কনেসকে এত সহজে হারানো, কিভাবে কি। ডার্ক অবতারকে আরো কয়েক পর্ব ধরে দেখানো দরকার ছিল, কিভাবে সে ত্রাস ছড়ায়। পরের সিজনে ব্যাপারটা নিয়ে যেতে পারত। তারপর ভালো একটা সৌনেন ভাইব আনা যেত। ডার্ক অবতারের চেহারাও খুব একটা সুবিধার না, টিপিক্যাল পাওয়ার রেঞ্জার এর ভিলেনগুলোর মত দেখতে। এপিসোড ৭ থেকে বিল্ডাপ বেশ ভালো ছিল, কিন্তু শেষমেষ তো ব্যাপারটা খুব বেশি ক্লিশে হয়ে গেল। – পাবলিক রিএকশন) 

## জেনোরা কে; তার শক্তির রহস্য কি; প্রকৃতি কি; কোরাকে যখন সে হেল্প করেছে সেটার প্রকৃতি কি ছিল – এইরকম হাজারো প্রশ্ন অমীমাংসিত রেখেই সিরিজ শেষ হয়ে গেসে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হয়েছে; আলাদা সিগ্নিফিক্যান্ট কোন চরিত্র নয়; বরং কোরার দুর্বলতা কাটানোর জন্য আরেকটা “magical solution” এই জেনোরা। 

## উনালক শুধু একজন ওয়াটার বেন্ডার। সে কিভাবে “এভাটার” হতে চেয়েছিল বা হয়েছিল তারও মীমাংসা হয় নি সিরিজে (যদিও এটা তেমন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু না; আর “রাভা তাকে সব বেন্ডিং পাওয়ার দিয়েছে” ব্যাখ্যার মাধ্যমে এইটা উৎরে যাওয়া যায়। 

## কোন রকম ইন্টারেকশন; কথাবার্তা ছাড়াই দুটো জায়ান্ট মারামারি করে যাচ্ছে – এই জায়গাটা আমার তেমন একটা পছন্দ হয় নি। পুর ফাইটের দৃশ্য যথেষ্ট ভাল হলেও অনেক ক্ষেত্রেই বোরিং লেগেছে। 

## জেনারেল আয়রোর স্পিরিট ওয়ার্ল্ডে ঘুরাফেরার প্রক্রিয়াটা আমার কাছে ঠিক পরিষ্কার না। এইটা আরেকবার সিরিজটা রিভিশন দেওয়ার সময় বুঝতে পারব বলে আশা করতেসি। 

## কিছু কিছু চরিত্রের উপর থেকে গুরুত্ব একেবারেই তুলে দেওয়া; যেমন – asami. এছাড়া মাকো – কোরা; মাকো – আসামি; বোলেন – এস্কা – এই সম্পর্কগুলোও মোটামুটি unresolved অবস্থায় শেষ হয়েছে। সেটা অবশ্য “সাম্নের সিজনে পরিষ্কার হবে” যুক্তিতে মেনে নেওয়া যায়। 

(সিজানটা শুরুতেই, তুলনামূলক ভাবে আগের সিজান থেকে মোটামুটি ভালোই শুরু করে। আভাটার wan আসার পর তো Avatar the legend of korra এর মোরটাই ঘুরে গেল। অস্থির হওয়া শুরু করল অল থেঙ্কস তো আভাটার ওয়ান! এরপরের এপিগুলার ফাইট,স্টোরি সব বেশ ভালো ছিল। কিন্তু ‘কররা’ থেকে ‘জিনরা’ যেন বেশী অস্থির ছিল এই সিজানে, এমনকি শেষ এপিতে তো মনে হল যেন ‘জেনরাই’ পৃথিবীকে সেইভ করল। কিন্তু কোন ক্রেডিট দিলো না!! অদ্ভুত লাগলো আর একটা ব্যাপার ক্লিয়ার না, ‘জিনোরা’ যে লাইট নিয়ে নামলো সেটা কি ভাবে সেটা দেখাল না হয়তো পরের সিজানে দেখাব!! আর আশা করি নেক্সট সিজানে আভাটার আরও মেচিউর হবে । – পাবলিক রিএকশন) 

## এই সিরিজের সবচেয়ে বড় পাওয়া বোধহয় টেনজেনের টেনযেন হয়ে ওঠা। তার “I am Tenzin. I am Tenzin!” মন্ত্র যেন আমার জন্যই বলা; আমাকেই বলা!!! Avatar Ang এর ছায়া থেকে বেড়িয়ে টেনজেনের নিজেকে খুজে পাওয়া তাই এই সিরিজে আমার সবচেয়ে প্রিয় দিক। 

## পুরো সিরিজের সবচেয়ে পাওয়ারফুল চরিত্র আমার দৃষ্টিতে প্রথম এভাতার wan. চরিত্রটি বেশ ভালভাবে তৈরি করা এবং যথেষ্ট likeable. 

## বুমির এককভাবে সম্পূর্ণ একটা ইউনিট শেষ করে ফেলার দৃশ্যটা বেশ চমকপ্রদ ছিল। at least we came to know spirit likes music !!! Well; at least most of them!!! :P 

দিনশেষে ang এর সাথে তুলনা না করে এবং পুরো সিরিজের সাথে emotional attachment এর কথা মাথায় না নিয়ে শুধু এন্টারটেনমেন্ট এর ভিউ থেকে দেখলে korra অবশ্যই সফল। তবে প্রোডাকশন হাউজ অল্প কিছু পর্বে অনেক কিছু দেখানোর চেষ্টা করার ভুলের মাশুল দ্বিতীয়বার গুণতেছে বলেই মনে হচ্ছে আমার !!!