Lucifer and the Biscuit Hammer [Manga Recommendation] — Rezo D. Skylight

Lucifer and the Biscuit Hammer

Manga Recommendation:
Lucifer and the Biscuit Hammer
(Alternative names: Wakusei no Samidare, Hoshi no Samidare)
জনরা: Action, Adventure, Psychological, Comedy, Drama, Seinen
মাঙ্গাকা: Satoshi Mizukami
চ্যাপ্টার সংখ্যা: ৬৫
মাইএনিমেলিস্ট রেটিং: ৮.৫৬
পার্সোনাল রেটিং: ১০/১০

যারা অ্যাডভেঞ্চার, কমেডি, ড্রামা, সাইকোলজিকাল, স্লাইস অফ লাইফ থেকে শুরু করে অ্যাকশান, শৌনেন প্রায় সব জনরারই পাঁচমিশালী স্বাদ খুঁজছেন তারা Lucifer and the biscuit hammer মাঙ্গাটি পড়ে দেখতে পারেন।

এর কাহিনী তেমন আহামরি কিছু না। বলতে গেলে কাহিনীর শুরুটা হয় এক অদ্ভুত প্লট দিয়ে কিন্তু সমাপ্তি হয় ক্লাইম্যাক্সের মাধ্যমে। শুরুতে এনিমাস নামের এক জাদুকর “Biscuit Hammer” নামক এক বিশাল হাতুড়ির ব্যবহার করে নির্দিষ্ট সময় পর পুরো পৃথিবীকে ধ্বংস করে দিবে বলে প্রতিজ্ঞা করে। সোজা কথায় জাদুকর চায় পৃথিবীতে কিয়ামত ডেকে আনতে। কারণ সে নিজেকে প্রভু বলে দাবি করত এবং তার ধারণা ছিল পৃথিবীর জন্ম-মৃত্যু সবই তার হাতে। আর পৃথিবীকে এই ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অলৌকিক ক্ষমতার অধিকারী প্রিন্সেস এনিমা (প্রিন্সেস এনিমা কে তা মাঙ্গা পড়লে একসময় জানা যাবে) পৃথিবী থেকে ১২ জন মানুষ বাছাই করে ও তাদেরকে “Beast knight” এর শক্তি দান করে। এভাবেই এই ১২ জন “Beast knight” এর সাথে জাদুকর এনিমাসের এর যুদ্ধ নিয়ে শুরু হয় “Lucifer and the Biscuit Hammer” মাঙ্গার কাহিনী।

প্রথমে প্রথমে Lucifer মাঙ্গা তেমন একটা ইন্টারেস্টিং নাও লাগতে পারে। কিন্তু আপনি যদি কষ্ট করে ১৩-১৪ টা চ্যাপ্টার পড়েন, এরপর আপনি আর পড়া থামাতে পারবেন না। মাঙ্গার আর্ট মুটামুটি ভালই। বিশেষ করে শেষ চ্যাপ্টারগুলার অার্ট খুবই ভাল। আর এই মাঙ্গার সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল, একই সাথে কিছুটা স্লাইস অফ লাইফ আবার অ্যাকশন-শৌনেন (যদিও জনরা সেইনেন দেয়া কিন্তু আমার কাছে শৌনেন টাইপের লেগেছে।) এর স্বাদ পাবেন, যা অন্যান্য মাঙ্গায় তেমন পাওয়া যায় না। তাই Lucifer এর মত মাঙ্গা খুব কমই আছে বলতে গেলে। সুতরাং, আপনারা সময় পেলে “Fate of the world” নিয়ে এই ব্যতিক্রমধর্মী মাঙ্গাটি পড়ে ফেলুন।

মাঙ্গা রিভিউঃ ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ড — Rezo D. Skylight

Deadman Wonderland 1জনরাঃ অ্যাকশান, অ্যাডভেঞ্চার, ড্রামা, সাই-ফাই, শৌনেন, সুপারনেচারাল
মাঙ্গাকাঃ কাজুমা কন্দউ এবং জিনসেই কাতাওকা
চাপ্টারঃ ৫৮
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ৮.২৭
মাঙ্গাআপডেটস রেটিংঃ ৮.৩০
ব্যক্তিগত রেটিংঃ ৯/১০

“Only frustrated adults and naive kids believe themselves to be special.” – Kiyomasa Senji

“If you can’t see what’s important, then it’s because you’re too ashamed to open your eyes.” – Ganta Igarashi

ধরুণ আপনি প্রতিদিনের মত স্কুলে ক্লাস করতে এলেন, বন্ধুদের সাথে হাসি-ঠাট্টা করছেন। ঠিক এই সময়ে হটাৎ করেই অজ্ঞাত কেউ এসে আপনি বাদে আপনার সকল সহপাঠিকে আপনার চোখের সামনে মেরে ফেলল এবং পরবর্তীতে সেই মৃত্যুর দায়ভার পড়ল আপনার ঘাড়ে। আপনার কথা-বার্তা কেউ না শুনেই মিথ্যা কারণ দেখিয়ে আপনাকে পাঠানো হল টোকিয়োর সবচেয়ে ব্যতিক্রমী আর ভয়াবহ কারাগার ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ডে। যেখানে আপনার নিজের জীবন বাজি রেখে অংশগ্রহণ করতে হবে বিভিন্ন সারভাইভাল-গেমে। তখন আপনার অবস্থা কি হবে ভেবেই দেখুন? ঠিক এই একই রকমের কাহিনীর স্বীকার হয় মাঙ্গার মেইন প্রোটাগোনিস্ট গান্তা ইগারাসি। তার জীবনের এই পরিবর্তনকে কেন্দ্র করেই শুরু হয় ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ডের কাহিনী।

Deadman Wonderland 2

ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ডের প্রতিটি ক্যারেক্টারই ইন্টারেস্টিং। বিশেষ করে এর সকল ক্যারেক্টারগুলোর ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরিগুলো অসাধরণ। প্রতেকেই জীবনে কিছু না কিছু ভুল করেই বাদ্ধ হয়ে প্রবেশ করেছে ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ড নামক কারাগারে। কেউ হয়তবা নিজের আপন কাউকে বাঁচাতে গিয়ে, কেই হয়তবা বন্ধুর মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে গিয়ে, কেউ হয়তবা নিজের জীবনকে বাঁচাতে গিয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছে। আবার কেউ কেউ মিথ্যা হত্যার দায়ভার বহন করে কারাগারে প্রবেশ করেছে। এভাবে বিভিন্ন ধরণের মানুষের সমাবেশ এই কারাগারে। প্রতেকেরই নিজের জীবন রক্ষার্থে সবসময় সজাগ দৃষ্টি রাখতে হয়। এখানে কেউ কাউকে বিশ্বাস করে না, কেননা যে কেউ যে কোন সময় বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে। ঠিক এরকম ক্যারেক্টারদেরকে ফোকাস করেই স্টোরি বিল্ড-আপ হয়েছে। ক্যারেক্টারদের মধ্যে আমার ক্রো (কিয়োমাসা সেনজি) খুব পছন্দের। মেইন ক্যারেক্টার গান্তাকে প্রথমে তেমন ভালো লাগেনি, তবে পরবর্তীতে গান্তার ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট দেখানোর জন্য শেষমেশ তাকে বেশ ভালোই লেগেছে। আর সিরোও আমার খুব পছন্দের ক্যারেক্টার।

Deadman Wonderland 3

ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ডের আর্টও বেশ দারুণ। প্রতিটি প্যানেলে অ্যাকশানের দৃশ্যগুলো বেশ সুন্দরভাবে বুঝা যায়। আর গোরের দৃশ্যগুলাও বেশ ডিটেইল করে দেখানো হয়েছে। সবমিলিয়ে, মাঙ্গার কাহিনীর সাথে আর্ট বেশ মানানসই।

আমি এখন পর্যন্ত যে পরিমাণ শৌনেন মাঙ্গা পড়েছি, তাতে কম বেশি শৌনেন মাঙ্গার ভাব-সাব দেখলে বুঝি। বেশিরভাগ সময় শৌনেন মাঙ্গাগুলতে স্ট্রেট-প্রেডিকটেবল স্টরিলাইন থাকে, তাই সহজেই কাহিনী কিভাবে আগাবে তা অনুমান করা যায়। একইভাবে আমি ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ডকে সাধারণ শৌনেন মাঙ্গা ভেবে পড়া শুরু করেছিলাম এবং পরে পড়তে গিয়ে বেশ চমকেছি। এটি শৌনেন মাঙ্গা হয়া শর্তেও এতে গোর আর সেইনিন এলিমেন্ট তুলনামূলক খবু বেশি। এছাড়া রয়েছে আনপ্রেডিকটেবল স্টরিলাইন, চমৎকার কিছু প্লট-টুইস্ট, আর অসাধরণ মিস্টেরি-সাস্পেন্স, আর মারাত্মক কিছু অ্যাকশান-সিন। এজন্যই বাকি পাঁচ-দশটা শৌনেন মাঙ্গা থেকে এটি ব্যতিক্রমধর্মী। আর এই কারণেই একেবারে প্রথম চ্যাপ্টার থেকেই আমার আকর্ষণ ধরে রেখেছিল।

Deadman Wonderland 4

যারা এখনো ডেডম্যান ওয়ান্ডারল্যান্ড পড়েননি বা এনিমে দেখেছেন কিন্তুু মাঙ্গা পড়েননি তারা মাঙ্গাটা পড়া শুরু করে দিন। এনিমের পর মাঙ্গা চ্যাপটার ২২ থেকে শুরু করতে পারেন। আশা করি মাঙ্গাটা আপনার খুবই ভাল লাগবে, এমনকি আপনার পছন্দের মাঙ্গার তালিকায় স্থানও পেতে পারে।

[ওহ!! ডেডম্যান ওন্ডারল্যান্ড এনিমের OST গুলাও শুনে ফেলুন। অত্যন্ত চমৎকার চমৎকার OST – https://youtu.be/fhiXua2Q-to?list=PL26CF63D7FD1BE5CC]

Deadman Wonderland 5

মাঙ্গাকা কথন – ০১

উরাসাওয়া নাওকি

1

উরাসাওয়া নাওকির নাম শুনলেই যে জিনিসটি আমাদের চোখের সামনে ফুটে উঠে তা হল “মনস্টার”। মূলত সে তার মনস্টার মাঙ্গার জন্য সবচেয়ে বেশি পরিচিত। কিন্তু মনস্টার ছাড়াও তার লেখা অনেক উল্লেখযোগ্য মাঙ্গা রয়েছে। তো তার কাজ সম্পর্কে পরে জানছি। তার আগে চলুন তার সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে আসি।

উরাসাওয়া নাওকির জন্ম ০২ জানুয়ারি, ১৯৬০ সালে। খুব ছোটকাল থেকেই তার মাঙ্গাকা হয়ার স্বপ্ন ছিল। যখন তার বয়স পাঁচের ঘরে, তখন থেকেই সে ওসামু টেজুকার আঁকা বিভিন্ন চিত্রকল্প নিজে নিজে আঁকার চেষ্টা করত। এছাড়া তার আঁকা-আকি করার অনুপ্রেরণার জেগেছিল ফরাসি চিত্রশিল্পী মবিয়াসের কাজগুলো দেখে। এভাবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার মাঙ্গা আঁকার প্রতি আকর্ষণ আরও বেড়ে যায়। কিন্তু জীবনের এক পর্যায়ে এসে সে হতাশায় ভুগে তার মাঙ্গাকা হয়ার স্বপ্নকে ছেড়ে দেয়। পরবর্তীতে সে “মেইসেই বিশ্ববিদ্যালয়” থেকে ইকোনমিক্সে ডিগ্রি লাভ করে তার শিক্ষাজীবনের অবসান ঘটান। ঠিক তখনকার ঘটনা, হটাৎ একদিন মাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রির একজন এডিটর এসে তার সাথে যোগাযোগ করেন। সেই এডিটর আগে থেকেই উরাসাওয়ার প্রকাশিত কিছু চিত্রকল্প দেখেছিল। আর সেখান থেকেই তার উরাসাওয়ার সাথে কাজ করার প্রতি উৎসাহ জাগে। উরাসাওয়া চিন্তা ভাবনা করে তার প্রস্তাবে রাজি হয় এবং ১৯৮১ সালে Return ও ১৯৮৩ সালে Beta!! নামক এই দুইটি ওয়ান-সট পাব্লিশ করার মধ্য দিয়ে ‘মাঙ্গাকা জগতে’ উরাসাওয়ার যাত্রা শুরু হয়।

2

উরাসাওয়া ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে মাঙ্গাকা হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। তাকে ইতিহাসের অন্যতম সেরা মাঙ্গাকা বলা হয়ে থাকে এবং তার কাজগুলো মাঙ্গা ইন্ডাস্ট্রিতে এক নতুনত্বের প্রভাব ফেলেছে। সে তার মাঙ্গাকা ক্যারিয়ারে রোমান্টিক-কমেডি, স্পোর্টস, থ্রিলার, মিষ্টেরি, সাইকোলজিক্যাল, সাই-ফাই সহ বিভিন্ন ধরণের জনরা নিয়ে কাজ করেছে। Monster এর পাশাপাশি তার আরেকটি নামকরা মাঙ্গা রয়েছে আর তা হল 20th Century Boys। আবার সে ওসামু টেজুকার সাথে Pluto নামক মাঙ্গা নিয়েও কাজ করেছে। এছাড়া তার অন্যান্য কাজগুলোর মধ্যে Yawara!, 21st Century Boys, Master Keaton, Master Keaton Remaster, Happy!, Billy Bat এগুলো বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। এছাড়া NASA, Dancing Policeman, Jigoro!, Pineapple Army ও Shoki no Urasawa নামক কিছু ছোট মাঙ্গাও রচনা করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত তার সবচেয়ে সেরা কাজগুলো হল Monster, 20th Century Boys এবং Pluto। পার্সোনালি আমার কাছে তার Monster ও 20th Century Boys এই মাঙ্গা দুইটি সবচেয়ে ভাল লেগেছে। Big Comic Original ও Big Comic Spirits ম্যাগাজিন দুইটি দীর্ঘদিন ধরে তার প্রকাশিত মাঙ্গাগুলোর এক বিশাল অংশ পাব্লিশ করে এসেছে।

এখন পর্যন্ত উরাসাওয়ার প্রকাশিত Yawara!, Master Keaton এবং Monster এই তিনটি মাঙ্গা এনিমে অ্যাডাপটেড হয়েছে। এছাড়া তার 20th Century Boys মাঙ্গাটি ৩ পার্টের লাইভ-অ্যাকশান মুভি হিসেবে অ্যাডাপটেড হয়েছে। এমনকি ভবিষ্যতে তার মনস্টার মাঙ্গার টিভি সিরিজ অ্যাডাপশনও হতে পারে (http://goo.gl/iIv7uj)। আর উরাসাওয়া নিজে Tibet Inu Monogatari নামের একটি এনিমে মুভির ক্যারেক্টার ডিজাইনেও কাজ করেছেন।

উরাসাওয়া নাওকির কাজগুলোর মধ্যে এক ধরণের বিশেষত্ব রয়েছে। তার সব কাজগুলো বাস্তবধর্মী এবং গভীরভাব সম্পন্ন। বিশেষ করে তিনি থ্রিলার-মিস্টেরি মাঙ্গা খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করতে পারে, আর তার বাস্তব উদাহরণ হল তার Monster ও 20th Century Boys মাঙ্গা। সে তার কাজগুলোর জন্য এখন পর্যন্ত তিনবার “সোগাকুকান মাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড”, দুইবার “টেজুকা ওসামু কালচারাল প্রাইজ” এবং একবার “কোদানসাহ মাঙ্গা অ্যাওয়ার্ড” পেয়েছে।

3

উরাসাওয়া নাওকি কিন্তু মাঙ্গাকা ক্যারিয়ারের পাশাপাশি একাধারে গায়ক, গিটারিস্ট এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে। সে “বব লেনন” স্টেজ নামে “কেঞ্জি নো উতা” নামের একটি গানও রচনা করেছেন (https://goo.gl/3KxP7y)। তিনি ২০১২ সালের জাপান এক্সপোতে “হেমেনওয়ে” নামের এক রক ব্যান্ডের সাথে লাইভ পারফর্মও করেছেন (https://goo.gl/SqBm6B)। আর তার শিক্ষাকতার ক্যারিয়ার শুরু হয় ২০০৮ সালে “নাগোয়া জোকেই” বিশ্ববিদ্যালয়ের গেস্ট-টিচার হিসেবে। সেখানে তিনি মাঙ্গা নিয়ে একটি কোর্সের উপর শিক্ষকতা করেন।

“উরাসাওয়া নাওকি” মাঙ্গা জগতের এক অনবদ্য নাম। তিনি যুগের পর যুগ মানুষের হৃদয়ে তার কাজগুলোর মাধ্যমে বেঁচে থাকবে। বর্তমানে সে তার Billy Bat মাঙ্গার কাজ নিয়ে ব্যাস্ত। আশা করি, তিনি ভবিষ্যতে আমাদের আরও অনেক দারুন দারুন মাঙ্গা উপহার দিবেন।

Arslan Senki [Reaction] — Rezo D. Skylight

Arslan Senki:
পর্ব: ২৫
স্টুডিও: SANZIGEN, LAIDENFILMS
জনরা: Action, Adventure, Drama, Fantasy, Historical, Supernatural
মাইএনিমেলিস্ট রেটিং: ৭.৯১

কিছুদিন আগে দেখে শেষ করলাম Arslan Senki। এনিমের শুরুটা বেশ ভালোই ছিল। কিছুটা Kingdom এনিমের ভাইব পাচ্ছিলাম আবার প্লটের সাথে Akatsuki no Yona-র মিল ছিল। কিন্তু পরে কাহিনী বহুত স্লো মনে হয়েছে। আর অ্যাকশনের পরিমান যতটা আশা করেছিলাম ততটা পাইনি, তবে যা ছিল খারাপ ছিল না। আর ওয়ার সিনগুলো আরও কিছুটা ডিটেইল করে দেখাতে পারতো। কিন্তু প্রত্যেক ওয়ার খুব তাড়াতাড়ি শেষ করে ফেলেছে। এছাড়া মাঝখানে সিন্দুরিয়ানদের নিয়ে যে আর্কটি ছিল তা মোটেই ভালো লাগেনি। আর মেইন ক্যারেক্টার হিসেবে আরস্লানকে মোটামুটি লেগেছে, তবে বাকি ক্যারেক্টারগুলো বেশ ভালো ছিল।

এতক্ষণ ধরে খালি খারাপ দিক আলোচনা করলাম। এখন কিছু ভালো দিকও তুলে ধরি। Arslan Senki-র আর কিছু ভালো না হোক OST ও Soundtrack গুলো ছিল অসাধরন। এনিমেশন কোয়ালেটি বেশ সুন্দর ছিল। স্টোরি স্লো মনে হলেও, মেইন প্লট খুব ভালো লেগেছে। আর মেইন ভিলেন হিসেবে Silver Mask এর চরিত্রও খুব ভালো ছিল। এছাড়া মেইন ক্যারেক্টারগুলোর মধ্যে Daryun এর যুদ্ধকৌশল, Narsus এর স্ট্রাটেজি, Gieve এর চতুর কাজকর্ম সবই ভালো লেগেছে। তবে আরস্লানের আর কিছু না হলেও তার ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট ভালোভাবে দেখানো হয়েছে। কাহিনীর টুইস্ট, মিস্টেরি স্টোরি ব্যাকগ্রাউন্ডও যথেষ্ট ভালো ছিল। আর অ্যাকশনের মধ্যে Daryun এর সাথে Silver Mask এর ফাইটটা ভালো লেগেছে। যদিও মাঝে কাহিনী খুব স্লো ছিল বটে তবে শেষ কয়েক এপিসোড খুবই ভালো ছিল।

যাই হোক, Arslan Senki ওভারঅল খুব ভালো একটা ওয়ার-ড্রামা এনিমে। যদিও শেষমেশ কাহিনী অসমাপ্ত রেখেছে, এখন সেকেন্ড সিজনের জন্য বসে থাকতে হবে। আশা করি সেকেন্ড সিজন আরও ভালো হবে।

রেটিং – ৮/১০

[যাদের Arslan Senki ভালো লেগেছে তারা একবার Kingdom এনিমেটা পরখ করে দেখতে পারেন। Kingdom এর ইন্টেনসিটি, প্লট, ক্যারেক্টার ও যুদ্ধকৌশল আমার কাছে Arslan Senki থেকে ভালো লেগেছে।]

AS

Kingdom [এনিমে রিভিউ] — Rezo D. Skylight

এনিমে রিভিউঃ
Kingdom
জনরাঃ অ্যাকশান, হিস্টোরিকাল, মিলিটারি, সেইনিন
স্টুডিওঃ Pierrot
এপিসোডঃ ৭৭ (৩৮+৩৯)
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ১ম সিজন (৮.২৫), ২য় সিজন (৮.৫৯)
আমার রেটিংঃ ১ম সিজন (৯/১০), ২য় সিজন (১০/১০)

K 1

আমরা ছোট থাকতে কমবেশি সবাই অনেক রাজা-বাদশার গল্প পড়েছি। আর এসব গল্পতে বিভিন্ন যুদ্ধ-বিগ্রহের যে কাহিনীগুলো ছিল সেগুলো কিন্তু বেশ মজারই ছিল। যাদের ইতিহাসের প্রতি লোভ বেশি, তাদের আবার এইসব টপিক আরও বেশি পছন্দের। হ্যাঁ! আমি এখন সেই ‘রাজা-বাদশার’ ও ‘যুদ্ধ-বিগ্রহের’ কাহিনীসম্পর্কিত এক এনিমের কথা বলতে যাচ্ছি, যার নাম ‘কিংডম’। তবে তা কোন কাল্পনিক গল্প না বরং ইতিহাসের সত্য কাহিনীর উপর নির্ভর করে এর কাহিনী রচিত।

অনেকদিন (৪৭৫-২২১ খ্রিষ্টপূর্ব) আগের কথা। তৎকালীন চীন সাম্রাজ্য সবসময় যুদ্ধ-বিগ্রহে লিপ্ত। আর তখন সমাজে দাস প্রথা থেকে শুরু করে নানাধরেণের প্রথা প্রচলিত ছিল। সেই যুগে, চীনের কিন (Qin) সাম্রাজ্যের দাস প্রথার স্বীকার দুই বালক শিন (Li Xin) আর হিও (Piao) এক বড় স্বপ্ন দেখতে শুরু করে। তাদের স্বপ্ন ছিল “Great Generals of the Heavens” তথা চীনের অন্যতম শক্তিশালী জেনারেল হওয়ার। কিন্তু তা হওয়া চারটে খানিক কথা না?! সমাজের অনেক প্রভাবশালী ব্যাক্তিরাও এই পদে কিন্তু সহজে যেতে পারে না। এই দাসের কাজ খেটে বেড়ানো এতিম ছেলে দুইজন জানত তাদের জন্য এই স্বপ্ন অসম্ভব। তারপরেও তারা তাদের এই অসম্ভব স্বপ্নকে সম্ভব করতে দৃঢ়প্রত্যয়ই ছিল। যাই হোক একদিন হটাৎ করেই রাজার লোকজন হিওকে কোন এক অজ্ঞাত কাজের জন্য ধরে নিয়ে যায়। হিও চলে যাবার পর শিন আবার নিজের মতো করে গ্রামে কাজ করা শুরু করে। এভাবে কয়েক মাস পার হয়ে গেল। এরপর একদিন হিও মৃত্যুমুখে হুট করেই আবার গ্রামে এসে হাজির হল শিনের সাথে দেখা করতে। সে বেশি কথা না বাড়িয়ে শিনকে এক নির্দিষ্ট ঠিকানায় যাওয়ার জন্য অনুরোধ করে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করল। এরপর তার অনুরোধে শিন সেখানে গিয়ে দেখতে পেল ঠিক হিওর মতো দেখতে এক বালককে যার নাম জেং (Ying Zheng), যে কিনা, কিন (Qin) সাম্রাজ্যের রাজপুত্র। কিন্তু এখন সে নিজের ক্ষমতা হারিয়ে জীবন রক্ষার উদ্দেশ্যে তার ভাইয়ের হাত থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছে। এরপর ঘটনাক্রমে শিন, জেং এর সাথে যোগ দেয়। আর দুইজনে দুইধরণের শপথ গ্রহণ করে। জেং শপথ গ্রহণ করে “Unifying China” গড়ে তুলতে তথা সকল সাম্রাজ্য মিলে একটি মাত্র যুক্তরাষ্ট্র গড়ে তুলতে; আর অপরদিকে শিন শপথ গ্রহণ করে জেংকে তার স্বপ্নবাস্তবায়নে সাহায্য করে শুধুমাত্র “Great Generals of the Heavens” না বরং “Great General of the World” হতে। এভাবে দুই বালকের শপথ গ্রহণ মাধ্যমেই শুরু হয় ‘কিংডম’ এনিমের গল্প।

K 2

‘কিংডম’ এনিমে নিয়ে আমার নিজের অনুভূতি প্রকাশের আগে কয়েকটা মন্দ কথা বলে নেই। কিংডম এনিমের যে জিনিসটি আমার কাছে প্রথমত বিরক্তিকর লেগেছে তা হল “CGI animation” বা থ্রিডি ইফেক্টের ব্যাবহার। শুধু আমি না, আমার মতো অনেকেই হয়ত এই একই কারণে প্রথম এপিসোড শুরু করার সাথে সাথেই ড্রপ মারেবে। একে তো থ্রিডি ইফেক্ট তার উপর আবার হিস্টোরিকাল-সেইনিন এনিমে। তাই এই সিরিজ দেখার আগ্রহ বেশিরভাগ মানুষই হারিয়ে ফেলে। আর এখানেই আমাদের বোকামি। আমরা সিরিজটা ভালভাবে যাচাই না করেই, আর দ্বিতীয়বার না দেখার সিদ্ধান্তটা নিয়ে বসি। ইংরেজিতে আমরা একটা প্রবাদ প্রায়ই শুনে থাকি – “Don’t judge a book by its cover.”। ‘কিংডম’ এনিমের ক্ষেত্রেও কিন্তু সেই একই প্রবাদ খাটে। প্রথম প্রথম থ্রিডি ইফেক্ট কিছুটা বিরক্তিকর লাগবে কিন্তু একবার কাহিনীর মধ্যে আপনার মন ঢুকে পড়লে আর সহজে কিংডম দেখা ছাড়তে পারবেন না। ১১-১২ এপিসোড পার হবার পর দেখেবেন এই থ্রিডি ইফেক্টের মাত্রা আস্তে আস্তে কমে গেছে। আর ২য় সিজনে বলতে গেলে কোনই থ্রিডি ইফেক্ট নেই। তাই শুরুতে থ্রিডি ইফেক্ট দেখে বিরক্ত না হয়ে নিশ্চিন্তে ‘কিংডম’ দেখা শুরু দিন।

এই একটা কারণ ছাড়া কিংডম এনিমের আর কোন ত্রুটি দেখি নি। এখন যদি প্রশ্ন করে বসেন যে, কিংডমে ভাল লাগার মতো কি আছে? আমি বলব যে ভাল লাগার মতো নাই কি। বরং আরও বলতে পারি কিংডমের মতো আরও দু-চারটা এনিমে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। এর সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হল প্রথম এপিসোড থেকেই আপনার আকর্ষণ ধরে রাখবে। কিভাবে যে একটার পর একটা এপিসোড দেখে যাবেন টেরই পাবেন না। আর এখানেই কিংডমের সার্থকতা। কাহিনী থেকে শুরু করে প্রতিটা চরিত্রই কিন্তু মারাত্মক। আর শিনের স্বপ্নযাত্রা দেখতে দেখতে আপনি নিজেও অন্যান্য ক্যারেক্টারের ভক্ত হয়ে যাবেন। বিশেষ করে শিনের বীরত্ব আর জেংএর আত্মপ্রত্যয়ই মন যে কাউকেই অবাক করে দিবে।

K 3

কিংডম এনিমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় জিনিস হল এর যুদ্ধক্ষেত্রগুলো। প্রতিটা যুদ্ধ এত সুন্দরভাবে ডিটেইলস করে দেখানো হয়েছে তা আর বলার মতো না। আর যুদ্ধ-স্ট্রাটেজিগুলাও অসাধরন। যুদ্ধে স্ট্রাটেজিগুলো এমনভাবে প্রয়োগ করা হয়েছে যেন দেখার সময় আপনি একটার পর একটা টুইস্ট পান। আর যুদ্ধেক্ষেত্রের ইন্টেনসিটিও অনেক তীব্র। বিশেষ করে যখন একপক্ষের জেনারেলের সাথে অপরপক্ষের জেনারেলের ফাইট শুরু হয়, তখন আপনার গায়ে কাঁটা দিয়ে উঠবে। কিংডমে আরও রয়েছে যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহতা, আপন মানুষ হারানোর বেদনা, প্রতিশোধ, বীরত্ব, ধ্বংসলীলাসহ এইরকম অনেক থিম। কখনো হয়ত শিনের বীরত্ব দেখে আপনার শরীরের রক্ত গরম হয়ে যাবে, আবার কিছু কিছু বীর-আত্মদান দেখে অনায়সে আপনার চোখ থেকে অশ্রু ঝরে পড়বে। এভাবে মানুষের মনের আবেগ টেনে আনার মতোই এনিমে হল কিংডম।

এখন এনিমের সাউন্ডট্রাক নিয়ে কিছু কথা বলি। এই কিছুক্ষণ আগে মনের আবেগ নিয়ে যে কথা বলেছিলাম তার পিছনে কিন্তু সাউন্ডট্রাকগুলোর দারুন ভূমিকা রয়েছে। কেননা, কিংডমে সঠিক দৃশ্য অনুযায়ী সঠিক সাউন্ডট্রাক ব্যাবহার করা হয়েছে। ও.এস.টি গুলো মধ্যে আমার সবচেয়ে পছন্দের “Shin Main Theme” (https://goo.gl/ndBWBw)। এই ও.এস.টি শুনে মনে অন্যরকম প্রশান্তি আসে। আর কিংডমের ওপেনিং আর এন্ডিং সংএর পিছনে রয়েছে Nothing’s Carved In Stone, The Sketchbook ও D☆DATE এর মতো ব্যান্ডগুলো। প্রতিটা গানই দারুন কিন্তু আলাদা করে ওপেনিং সং এর মধ্যে “Pride” by Nothing’s Carved In Stone (https://goo.gl/hIaAA2) আর এন্ডিং সং এর মধ্যে “21” by The Sketchbook (https://goo.gl/UQK1dS) বেশি ভাল লেগেছে। তারপরেও “Voice of Soul” by Takumi Ishida (https://goo.gl/SOqo24) এবং “Destiny Sky” by Yuki Wakai (https://goo.gl/DlVUL1) গান দুইটাও কিন্তু মারাত্মক সুন্দর। সবমিলিয়ে কিংডমে খুবই চমৎকার চমৎকার গান ব্যাবহার করা হেয়েছে।

K 4

কিংডমের ভয়েস অ্যাক্টিং রোলগুলাও কিন্তু চমৎকার। যেমন, এনিমের মূল চরিত্রগুলো – Li Xin, Ying Zheng, Lei Qiang ও He Liao Diao এর ভয়েস অ্যাক্টিং রোলে ছিলেন যথাক্রমে Masakazu Morita, Jun Fukuyama, Yoko Hikasa ও Rie Kugimiya। এছাড়া বাকি ক্যারেক্টারগুলোতেও বেশ ভাল ভাল ভয়েস অ্যাক্টিং রোল আছে।

কিংডম এনিমে দেখে কিন্তু প্রাচীন চীনের অনেক ঐতিহাসিক ধারণাও পাওয়া যায়। এই এনিমের ক্যারেক্টারগুলো সব হিস্টরিকাল ক্যারেক্টার। সম্রাট Ying Zheng এর চীন রিইউনাইটেড করার সত্য ঘটনাকে কেন্দ্র করেই কিংডম মাঙ্গা/এনিমে তৈরি করা হয়েছে। (আরও জানতে – https://goo.gl/DmnZjr)

K 5

যাই হোক, ‘কিংডম’ নিয়ে অনেক কথাই লিখালাম। এখন পর্যন্ত আমার দেখা সেরা হিস্টোরিকাল এনিমে হল কিংডম। আমার মতে এটি ‘মাস্টারপিস’ এনিমের কাতারে পড়ে। আপনারা যারা এর আগে কখনো হিস্টরিকাল এনিমে দেখেন নি বা দেখতে চান না তারা একবার হলেও এটা দেখার চেষ্টা করুন। একসময় আপনার ঠিকই ভাল লাগবে। আশা করি রিভিউটা পড়ে ভাল লেগেছে, আর অবশ্যই কিংডম দেখবেন। তাহলেই আমার রিভিউটি লেখা সার্থক হবে।

K 6

 

JoJo’s Bizarre Adventure: Stardust Crusaders [এনিমে রিভিউ] — Rezo D. Skylight

এনিমে রিভিউঃ
JoJo’s Bizarre Adventure: Stardust Crusaders
জনরাঃ অ্যাকশান, অ্যাডভেনচার, শৌনেন
এপিসোডঃ ৪৮ (২৪+২৪)
স্টুডিওঃ David Production
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ১ম সিজন (৮.২৩), ২য় সিজন (৮.৬২)
পার্সোনাল রেটিংঃ ৯/১০

JoJo

JoJo’s Bizarre Adventure সিরিজের তৃতীয় পার্ট হল Stardust Crusaders। প্রথম দুই পার্টের সূত্র ধরেই Stardust Crusaders এর কাহিনী শুরু। তাই এনিমের প্রথম সিরিজের কাহিনী টেনে না এনে সরাসরি Stardust Crusaders কাহিনী ব্যাখ্যা করছি।

যারা জোজোর প্রথম দুই পার্ট দেখেছেন তাদের নিশ্চয়ই ডিয়োর কথা মনে আছে। হ্যাঁ, সেই ডিয়োই ঠিক ১০০ বছর পর জোনাথান জোস্টারের শরীর নিয়ে জেগে উঠেছে। আর এই ডিয়োর বিরদ্ধে লড়াইয়ের জন্য জোসেফ জোস্টার তার একমাত্র পৌত্র কুজো জৌতারোর সাহায্য নিতে জাপানে আগমন করে। ততদিনে জোজো পরিবারের বংশধররা ‘স্ট্যান্ড’ ইউজারে পরিণত হয়েছে। আর তার সূত্র ধরেই জৌতারোর মাও ‘স্ট্যান্ড’ ইউজার হয়ার হাত থেকে রক্ষা পাইনি। ‘স্ট্যান্ড’ এর আবির্ভাব হয়ার সাথে সাথেই জৌতারোর মা ডিয়োর অভিশাপের কারণে এমন এক অসুখের স্বীকার হয় যা তাকে মৃত্যুর পথে ঠেলে দেয়। এখন উপায়?! একটাই উপায়; আর তা হল ডিয়োর বিরুদ্ধে লড়ে তাকে হত্যা করা। আর সেই উদ্দেশেই জৌতারো কুজো তার দাদা জোসেফ জোস্টারের সাথে তার সঙ্গীদের নিয়ে রওনা হয় মিশরের উদ্দেশ্যে। আর এখান থেকেই শুরু হয় Stardust Crusaders এর যাত্রা।

এখন প্রশ্ন হল ‘স্ট্যান্ড’ কি? স্ট্যান্ড হল একধরণের ইউনিক স্পিরিট যা যে কোন মানুষ নিজেকে রক্ষা করতে, প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে লড়তে কিংবা অন্যকোন কাজে ব্যাবহার করতে পারে। আর যারা স্ট্যান্ড ব্যাবহার করতে পারে তারা ‘স্ট্যান্ড ইউজার’ হিসেবে পরিচিত। এই স্ট্যান্ডের অরিজিন নিয়ে Stardust Crusaders-এ আর কিছু ব্যাখ্যা করা হয়নি; পরবর্তী পার্টের কাহিনী সম্পর্কে কিছু না জেনে তাই আর কিছু বলতে পারছি না।

জোজোর আগের পার্ট দুইটা যারা দেখেছেন তারা জানেনই জোজো সিরিজ কেমন। জোজোর ক্যারেক্টারগুলো খুব সিম্পলিস্টিক এবং কাহিনীও অনেকটা সরল প্রকৃতির। কিন্তু তারপরেও জোজো এত ভাল লাগার কারণ কি?! ভাল লাগার অনেক কারণই আছে। প্রথমত, জোজোর ক্যারেক্টারগুলো সিম্পলিস্টিক হলেও বেশ ইন্টারেস্টিং। দেখতে দেখতে কখন যে আপনার ক্যারেক্টারগুলো আপনার ভাল লেগে যাবে টেরই পাবেন না। এছাড়া তাদের যাত্রাপথে বাধা অতিক্রম করার জন্য লড়াই করতে হয় বিভিন্ন স্ট্যান্ড উইজারদের সাথে। আর প্রতিটি লড়াই অনেক উপভোগ্য। এছাড়া কমেডিকাল মোমেন্টেরও অভাব নেই। জোজো দেখার সময় যে কতবার হাসছি তারও ঠিক নেই। আর জোজোর যে জিনিসটি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে আর তা হল ‘ইন্টেনস মোমেন্ট’ ক্রিয়েট করা। কিভাবে তারা এক একটি বাধা অতক্রম করবে তা কিছুতেই বলা যাবে না। সময় সময় আপনার মনে হবে “এখন উপায়?!”, “কিভাবে সম্ভব?!” এরকম ধরণের যতসব প্রশ্ন। কিন্তু আপনার সকল প্রশ্নের অবসান ঘটিয়ে আপনাকে এমন এক টুইস্ট উপস্থাপন করবে তাতে আপনি না চমকে বসে থাকতে পারবেন না। এমনকি আপনিও মাঝে মাঝে জোসেফ জোস্টারের মতো “Ohhh my god!!” বলে বসতে পারেন। এছাড়া জোজোতে রয়েছে রক্তগরম করা অনেক ‘হিরোয়িক মোমেন্ট’। সাথে আছে চমৎকার চমৎকার কিছু সাউন্ডট্র্যাক। আর মেইন ভিলেন হিসেবে ডিয়ো কিন্তু খুবই ইন্টারেস্টিং একজন চরিত্র। আবার মেইন প্রোটাগনিস্ট হিসেবে জৌতারোর কোনভাবেই ডিয়োর থেকে পিছিয়ে নেই। বরং অন্যান্য জোজোদের তুলনায় জৌতারো বেশি ভায়োলেন্ট। সবমিলিয়ে বলা যায়, যেকোনো অ্যাকশানপ্রেমিক এনিমেভক্তদের জোজো অবশ্যই দেখা উচিত।

জোজোর আর্টস্টাইল অন্যান্য এনিমের তুলনায় কিছুটা ব্যতিক্রম। লোকজন সাধারণত জোজোর আর্টস্টাইলকে ‘ম্যানলি আর্টস্টাইল’ বলে। মূলত জোজোর মাঙ্গাকা Hirohiko Araki-র আর্টস্টাইল এনিমেতে ফলো করা করা হয়েছে। অনেকেই হয়ত এই ‘ম্যানলি আর্টস্টাইল’ এর জন্য জোজো দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করে না। কিন্তু কয়েক এপিসোড দেখার ট্রাই করলে আপনার কাছে আর্টটা একসময় মানানসই হয়ে যাবে। তাই ভুলেও আর্টের কারণ দেখিয়ে জোজো দেখা ড্রপ মারবেন না।

এখন পর্যন্ত জোজোতে আমার দেখা সেরা পার্ট হল Stardust Crusaders। বিশেষ করে ২য় সিজনের থ্রিলিং মোমেন্ট আর এক একটা ব্যাটেল ছিল সেই জোশ। আর এন্ডিংও অসাধরণ। তাই দেরি না করে হাতে সময় থাকলে জোজো Stardust Crusaders দেখতে বসে জান। তবে অবশ্যই আগে প্রথম পার্টগুলো দেখে নিবেন। আশা করি রিভিউটি পড়ে ভাল লেগেছে এবং আপনিও জোজো দেখার সময় বেশ উপভোগ করবেন।

মাঙ্গা রিভিউঃ Pandora Hearts — Rezo D. Skylight

Pandora Hearts

Volumes: 24
Chapters: 107
Status: Finished
Published: May 18, 2006 to Mar 18, 2015
Genres: Adventure, Fantasy, Shounen, Supernatural
Authors: Mochizuki, Jun
MAL Score: 8.69
Ranked: 52

Pandora Hearts

“Instead of sighing about the past, I’d rather be happy to face the present.” – Oz Vessalius

“Don’t try to excuse yourself by saying you’re doing it for someone else’s sake.” – Xerxes Break

এতদিন যতই মাঙ্গা পড়েছি না কেন Pandora Hearts এর মতো মাঙ্গা এখন পর্যন্ত আর পাইনি। আমার কাছে Pandora Hearts মাস্টারপিস। কেননা এই একমাত্র মাঙ্গা যার কাহিনী কোনভাবেই প্রেডিক্ট করা সম্ভব নয়। কাহিনী যে কোনদিক থেকে কোনদিকে মোড় নিবে তা বুঝাই মুশকিল। এখন মূল কথায় আসি।

Pandora Hearts এর প্লট রচিত হয়েছে ভিক্টোরিয়ান যুগে ইউরোপিয়ান সেটিংসের এক কাল্পনিক দেশে। যেই দেশের শাসন ক্ষমতা মূলত নিয়ন্ত্রণ করে প্যান্ডরা নামের এক সঙ্ঘটন। আর প্যান্ডরার সকল কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণ করে সেই দেশের বড় বড় চারটি রাজপরিবার। সেইরকম একটি সম্ভ্রান্ত রাজপরিবার হল ‘Vessalius Family’। এই পরিবারের সবচেয়ে জ্যেষ্ঠ পুত্রের নাম হল ‘Oz Vessalius’। অজের বয়স যখন পনেরোর ঘরে তখন সেই দেশের রীতি অনুযায়ী ‘Coming of age ceremony’ নামের এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যে অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অজকে পরিবারের পরবর্তী শাসক হিসেবে স্বীকৃত করা হয়। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানের দিনই নতুন এক ট্রাজেডির সৃষ্টি হয়। কিছু গুপ্তঘাতক এসে সবাইকে হত্যা করা শুরু করে আর অজকে মৃত্যুর দুয়ারে দাড়া করিয়ে তারা বলে ‘Your sin is your existence.’। অজ কি পারবে এই মৃত্যুর হাত থেকে বাঁচতে? সে কি জানতে পারবে তার সিন কি? জানতে হলে মাঙ্গাটা পড়ুন।

অনেক মাঙ্গারই শুরুর কাহিনী দেখে আসলে কাহিনীর গভীরতাটুকু কেমন তা বুঝা যায় না। একইভাবে প্যান্ডরার কাহিনীর গভীরতাও ঠিক প্রথম প্রথম বুঝা যাবে না। মাঙ্গার প্রথম দিকটা কিছুটা লাইট-হার্টেড, তবে কাহিনী আগানোর সাথে সাথে আরও ডার্ক হতে শুরু করে। এই মাঙ্গায় বেশ ভাল পরিমাণে মিষ্টেরি রয়েছে। তবে প্রথমে এত মিষ্টেরি দেখে কিছুটা বোরিং লাগতে পারে। কিন্তুু যখন এক একটা টুইস্ট এসে সামনে হাজির হবে ঠিক তখনই প্যান্ডরার কাহিনী অসাধরণ লাগবে। মূলত প্যান্ডরার টুইস্টগুলোই প্যান্ডরার সবচেয়ে উপভজ্ঞ বিষয়।

প্যান্ডরা হার্টসের যে জিনিসটি আমার সবচেয়ে ভাল লেগেছে তা হল এর গল্প উপস্থাপন করার কৌশল। প্যান্ডরার মাঙ্গা পড়ার সময় মাথায় নানা ধরণের প্রশ্ন এসে হাজির হতে পারে। কিন্তুু মজার ব্যাপার হল প্যান্ডরার মাঙ্গা পড়তে পড়তেই নিজের অজান্তেই সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে জাবেন; যা অনেকটা পাজেলের মতো। এর আরেকটা প্লাস পয়েন্ট হল এতে কোন ধরণের প্লট হোলের উপস্থিতি নেই। আবার এর মতো এত বিশাল কাস্টের ক্যারেক্টার খুব কম মাঙ্গাতেই আছে। কিন্তুু প্রতিটি ক্যারেক্টারই ইউনিক আর ইন্টারেস্টিং। তবে আমার সবচেয়ে ফেভরাইট ক্যারেক্টার হল Xerxes Break।

প্যান্ডরা হার্টসের মাঙ্গায় এলিস ইন ওন্ডারল্যান্ডের অনেক রেফারেন্স আছে। মনে হয় মাঙ্গাকা জুন ফেইরিটেলের খুব ভক্ত ছিল। এজন্যই তার মাঙ্গায় এলিস ইন অন্ডারল্যান্ডের অনেক এলিমেন্ট ব্যাবহার করেছে। আর প্যান্ডরার ক্যারেক্টার ডিজাইন বেশ সুন্দর, আর্টও যথেষ্ট ভালো।

যারা প্যান্ডরা হার্টসের এনিমে দেখেছেন তারা চ্যাপ্টার ৩৩ থেকে পড়া শুরু করতে পারেন। আরেকটা কথা, এনিমের লাস্ট কয়েক এপিসোডের সাথে মাঙ্গার কোনই মিল নেই। আর কেউ যদি ক্লাম্পের Tsubasa: RESERVoir CHRoNiCLE মাঙ্গার ভক্ত হয়ে থাকেন এবং এ ধরণের মাঙ্গা খুঁজছেন তারা Pandora Hearts এর মাঙ্গা পড়ে দেখতে পারেন। কারণ এই দুই মাঙ্গার মধ্যে যথেষ্ট মিল রয়েছে।

আশা করি রিভিউটি পড়ে ভাল লেগেছে এবং আপনারা হাতে সময় নিয়ে Pandora Hearts এর মাঙ্গাটি পড়ে দেখবেন। পরিশেষে আমি এইটুকু বলতে পারি, আপনি যদি পুরো মাঙ্গাটা পড়ে শেষ করেন তাহলে Pandora Hearts নিশ্চয়ই আপনার অন্যতম পছন্দের মাঙ্গার তালিকায় স্থান পাবে।

আমার রেটিং – ১০/১০

এনিমে রিভিউঃ The Tatami Galaxy — Rezo D. Skylight

এনিমে রিভিউঃ
The Tatami Galaxy
পর্ব সংখ্যা: ১১
জনরা: Mystery, Psychological, Romance
স্টুডিও: Madhouse
মাইএনিমেলিস্ট রেটিং: ৮.৬৫
আমার রেটিং: ৯/১০

Tatami Galaxy

আমরা মনে মনে প্রায়ই বলি, “ইশ!! আজ যদি এই কাজটা না করে অই কাজটা করতাম তাহলে আজ আমার এই পরিণতি হত না।” বিশেষ করে আমাদের জিবনে হতাশা নেমে আসলে আমরা এই ধরণের কথা বার্তা বেশি বলি। এখন প্রশ্ন হল হতাশা কি? হতাশা আসলে কিছুই না। মানুশের নিজস্ব অসন্তুষ্টি থেকেই হতাশার উৎপত্তি। আমরা যদি অন্য রাস্তা ধরে হাঁটতাম আমাদের ভাগ্যের কি কোন পরিবর্তন হত? নাকি শেষ পরিনতি একই হত? মানুষের এই ধরণের আকাঙ্খা, অশান্তি আর হতাশাকে কেন্দ্র করেই ‘The Tatami Galaxy’ এনিমের কাহিনী রচিত।

এনিমের কেন্দ্রিয় চরিত্র ওয়াতাশি। সে তার কলেজের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু তার মনে নেই কোন সুখ, নেই কোন শান্তি। সে তার অতিতকে পরিবর্তন করতে চায়। তার ধারণা সে যদি অন্য ক্লাবে যোগ দিত বা অন্য কাজ করত তাহলে তার এই হাল হত না; সে হয়তবা খুঁজে পেত তার ‘rose colored life’। তার এই ইচ্ছা পুরন হয় এবং সে পুনরায় ফিরে যায় তার দুই বছর আগের জিবনে। কিন্তু প্রতিবারই তার এই অসন্তুষ্টি থেকে যায়। মনে হয় যেন সে একটা গালাক্সির মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে, যে গালাক্সি তার ৪.৫ টাটামি দিয়ে তৈরি ঘরের গালাক্সি। এইজন্যেই মনে হয় এনিমের নাম ‘The Tatami Galaxy’ দেয়া হয়েছে। যাই হোক এই ওয়াতাশিসহ আকাশি, অজু, হিগুচি নামের আরও অনেক ক্যারেক্টারকে কেন্দ্র করেই টাটামি গালাক্সির কাহিনী শুরু।

আমার কাছে টাটামি গালাক্সি খুব ভাল লেগেছে। যদিও আর্টস্টাইল কিছুতা অদ্ভুত ছিল। তারপরেও কয়েকটা এপিসোড দেখার পর সমস্যা হয় নেই। আর কমেডি হিসেবেই এনিমেটা চমৎকার ছিল। ওয়াতাশি আর অজুর কাজকর্ম দেখে অনেক হেসেছি। টাটামি গালাক্সি দেখে যে কেউই মজা পাবেন। আর কাহিনীর শেষটাও অত্যন্ত চমৎকার। তাই সময় পেলে দেখে ফেলুন স্টুডিও ম্যাডহাউস প্রযোজিত ১১ এপিসোডের এই অসাধরন এনিমেটি।

মাঙ্গা রেকমেন্ডেশনঃ Koe no Katachi, Onani Master Kurosawa ও Aku no Hana — Rezo D. Skylight

মাঙ্গা রেকমেন্ডেশনঃ Koe no Katachi, Onani Master KurosawaAku no Hana

মানুষ তার নিজেকে বদলে কিভাবে নতুন মানুষে পরিণত হতে পারে তার উজ্জ্বল উদাহরণ Koe no Katachi, Onani Master Kurosawa এবং Aku no Hana এই তিনটি মাঙ্গায় খুব ভালোভাবে তুলে ধরা হয়েছে। এই মাঙ্গাগুলো না পড়ে থাকলে পড়তে পারেন। পড়লে অবশ্যই আপনার ভালো লাগবে। এমনকি আপনার ফেভরাইট মাঙ্গাতেও পরিণত হতে পারে। যে কোন ‘স্লাইস অফ লাইফ’ জনরার ফ্যানদের জন্য এগুলো ‘Must Read’ মাঙ্গা।

3 in 1

Koe no Katachi:
প্রথমে Koe no Katachi এর কথায় আসি। Koe no Katachi তে প্রথমে কিছুটা সাইকোলজিকাল টাইপের থাকে। পরবর্তীতে অনেকটা লাইট হার্টেড হয়ে যায়। তবে এর প্রতিটি ক্যারেক্টারই ইন্টারেস্টিং, যদিও দুই একটা অত্যন্ত বিরক্তিকর ক্যারেক্টার রয়েছে। এই মাঙ্গায় বুলি করা ব্যাপারটাকে ভালো ভাবে দেখানো হয়েছে। অবশ্য পরবর্তীতে গিয়ে প্রত্যেকের মধ্যেই পরিবর্তন আসে আর সবাই সবাইকে বুঝতে শুরু করে। সবমিলিয়ে, Koe no Katachi বেশ ভালো একটা মাঙ্গা। এন্ডিংও বেশ ভালো। তাই এই মাঙ্গাটা একবার পড়ে দেখুন, অবশ্যই ভালো লাগবে। আর্টও বেশ ভালো। আর সামনে বছর Kyoani এর এনিমে মুভি অ্যাডাপশন নিয়ে আসছে, এখন তার অপেক্ষায় বসে আছি।

চ্যাপ্টারঃ ৬৪
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ৮.৬৭
আমার রেটিংঃ ১০/১০

Onani Master Kurosawa:
Onani Master Kurosawa কিছুটা বেতিক্রমধর্মী মাঙ্গা (Doujinshi)। প্রথম চ্যাপ্টার পড়ে অনেকেই এর থিম দেখে পিছপা হতে পারে। কিন্তুু আপনারা যদি ধৈর্য নিয়ে পুরো মাঙ্গাটা পড়তে পারেন তাহলে নিঃসন্দেহে এই মাঙ্গা আপনার অন্যতম ফেভরাইট স্লাইস অফ লাইফ মাঙ্গায় পরিণত হবে। তবে মাঙ্গার মেইন ক্যারেক্টার কুরোসাওয়া বেশ ইন্টারেস্টিং। তার চরিত্রের সাথে অনেকটাই ‘ডেথ নোট’ এর লাইটের মিল আছে। মাঙ্গার শুরুতে কুরোসাওয়া ব্ল্যাকমেইলের স্বীকার হয় এবং পরবর্তীতে নানা ধরনের কুকর্ম করতে থাকে। কিন্তুু একটা সময়ে তার ভুল বুঝতে পারে এবং সে নিজেকে পরিবর্তনের চেষ্টা করে। এভাবে Onani Master Kurosawa-র কাহিনী খুব সুন্দরভাবে সাজানো হয়েছে। এর এন্ডিং খুব চমৎকার। মাঙ্গার আর্ট কিছুটা বাজে। তবে আমার কাছে ওভারওল মাঙ্গাটা খুব ভালো লেগেছে।

চ্যাপ্টারঃ ৩১
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ৮.৬৪
আমার রেটিংঃ ১০/১০

Aku no Hana:
উপরের দুইটি মাঙ্গা থেকে Aku no Hana সবচেয়ে বেতিক্রম। তবে এর কাহিনীর শুরুটাও ব্ল্যাকমেইলের মাধ্যমে, যা অনেকটা Onani Master Kurosawa-র মতো। তবে বাকি কাহিনী সম্পূর্ণ আলাদা। এর সাইকোলজিকাল এলিমেন্ট তুলুনামূলক অনেক বেশি। তাই সাইকোলজিকাল যাদের ভালো লাগে না তাদের না পড়াই ভালো। এই মাঙ্গা প্রথমে আমার কাছে খুব ডিস্টার্বিং মনে হয়েছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে খুব মেজাজ গরম হয়েছিল, মনে হয়েছিল ড্রপ মারি। কিন্তুু শেষ করার পর বুঝলাম মাঙ্গাটা আসলে কত ভালো। অর্থাৎ শুরুটা কিছুটা বিরক্তিকর হলেও শেষমেশ Aku no Hana খুব ভালো একটা মাঙ্গায় পরিণত হয়। কিছু ক্যারেক্টার এখানে খুব বিরক্তিকর ছিল। তারপরেও মাঙ্গার শেষ পর্যায়ে গিয়ে সবাইকে ভালো লেগেছে। এর ১৩ এপিসোডের এনিমে অ্যাডাপশনও আছে। কিন্তুু ‘Rotoscoping animation’ ব্যাবহার করার জন্যে অ্যাডাপশন খুব বাজে হয়েছে। তাই এনিমে না দেখাই ভালো। মাঙ্গার আর্ট অনেক ভালো।

চ্যাপ্টারঃ ৫৮
মাইএনিমেলিস্ট রেটিংঃ ৮.২০
আমার রেটিংঃ ১০/১০

যারা একটু বেতিক্রমধর্মী স্লাইস অফ লাইফ মাঙ্গা খুঁজছেন তারা এই তিনটি মাঙ্গা পড়ে দেখতে পারেন। আমার কাছে এই তিনটি মাঙ্গার প্রতিটিই অনেক ভালো লেগেছে। বলতে গেলে এই তিনটি মাঙ্গাই আমার পড়া সেরা স্লাইস অফ লাইফ মাঙ্গার তালিকায় থাকবে।

মাঙ্গা রিভিউঃ Kamisama ga Uso wo Tsuku / The Gods Lie — Rezo D. Skylight

Kamisama ga Uso wo Tsuku / The Gods Lie

Volumes: 1
Chapters: 5
Status: Finished
Published: Mar 25, 2013 to Jul 25, 2013
Genres: Drama, Romance, School, Slice of Life, Seinen
Authors: Ozaki, Kaori (Story & Art)
Serialization: Afternoon
MAL Score: 8.31
Ranked: 317

the gods lie

কাহিনীর শুরুটা হয় নাতসুরু নামের ১১ বছরের এক বালকের দৈনন্দিন জীবনের গল্প নিয়ে। সে ফুটবল খেলেতে খুব পছন্দ করত এবং মেয়েদেরকে সবসময় এড়িয়ে চলার চেষ্টা করত। বলতে গেলে মেয়েরাই তাকে ইগনোর করে চলতো। তার বাবা মারা যাওয়া সত্তেও, সে ও তার মা একসাথে বেশ সুখ-শান্তিতেই বসবাস করত। এভাবেই তার দিন কাটছিল। কিন্তুু গ্রীষ্মের বন্ধের কিছুদিন আগে প্রয়োজনে পড়ে সে তার ক্লাসের সুযুমুরা নামের এক মেয়ের সাথে কথা বলা শুরু করে। আস্তে আস্তে নাতসুরু সেই মেয়ের পারিবারিক কষ্টের জীবন সম্পর্কে জানা শুরু করে। এরপর গ্রীষ্মকালের ছুটিতে সে তার বন্ধুদের সাথে স্কুল ক্যাম্পিং এ না গিয়ে সুযুমুরার বাড়ি বেড়াতে যায়। কারণ সে নিজেও চায় তাদের অংশ হয়ে তাদের এই কষ্টকর পরিস্থিতি উপ্লব্ধি করতে।

আমারা অনেকেই দারিদ্রতা কি তা সহজে উপলব্ধি করতে পারিনা। যদি আমরা তাদের সমাজে গিয়ে বসবাস করি তাহলেই আমরা তাদের দুঃখ কষ্টের ব্যাপারটা বুঝতে পারব। আর ঠিক এই ব্যাপারটাই এই মাঙ্গায় খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছে। এছাড়া এখানে রোমানস ও স্কুল-লাইফকেও ভালোভাবে তুলে ধরেছে।

ক্যারেক্টারের কথা বলতে গেলে সব ক্যারেক্টারকেই আমার বেশ ভালো লেগেছে। তবে বিশেষ করে সুযুমুরাকে আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। কারণ এত কম বয়সের একজন মেয়ে হয়েও, সে পুরো পরিবারের ভরণপোষণের দায়িত্ব নিজের ঘাড়ে নিয়ে নিয়েছে। তার এই শক্তিশালী মনোবলের জন্যই মনে হয় তাকে অন্যান্য ক্যারেক্টারদের থেকে একটু আলাদা করে দেখেছি।

মাঙ্গার আর্টও যথেষ্ট ভালো। বিশেষ করে ক্যারেক্টার ডিজাইন আর ডিটেইলিং বেশ সুন্দর। এর মাঙ্গাকা হলেন Ozaki Kaori। তার সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য কাজ হল “Meteor Methuselah / Immortal Rain” মাঙ্গা। এছাড়াও তিনি Piano no Ue no Tenshi, Knife নামের আরও কিছু মাঙ্গা রচনা করেছেন।

যাই হোক এখন দেরি না করে মাত্র ৫ চ্যাপ্টারের এই ছোট মাঙ্গাটি পড়ে ফেলুন। আশা করি পড়ে বেশ ভালো লাগবে।

ব্যক্তিগত রেটিং – ৮.৫/১০

লিঙ্ক- http://kissmanga.com/Manga/Kamisama-ga-Uso-o-Tsuku