School Days [রিভিউ] — Zakaria Mehrab

ড়িভিউ! ড়িভিউ!! ড়িভিউ!!! 😀 😀 😀

আজ একটু আগে পড়ন্ত বিকেলে একটি সুন্দর এনিমে শেষ করিয়া আমি যারপরনাই ইম্প্রেসড । ইম্প্রেশনের ঠেলায় আমার হাত একটু পরপর ই কেঁপে কেঁপে উঠছে । কাজেই কিছু বানান ভুল টুল হলে একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন ।

Anime: ইশকুলের দিনগুলি / School days (কি কিউট নাম , আসলেও কিউট একটা এনিমে)

Genre: ইয়ে আসলে এমন কোন জানরা নাই যেটা এই এনিমে কভার দেয় নাই । পুরাই মাস্টারপিস একখান ।

School Days 2
প্লটঃ
জাপানের ছোট একটি স্কুল । সেইখানে ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ে । তাদের মধ্যে কিউট একটি বাচ্চা হল মাকোতো শিশিও থুক্কু মাকোতো ইতো । সে পছন্দ করে আরেক কিউট বাচ্চা কাটাছিড়া থুক্কু কাতসুরা রে (ইয়ে আসলে একটু ভূমিকম্প হইতেসে মেবি , তাই হাত টা বেশি ই কাঁপতেসে) । কিন্তু ইতো এরশাদের থেকেও লাজুক কিনা , সরাসরি কিছু বলতে পারে না । তাই এ বিষয়ে তার আরেক কিউট বান্ধবীর সাহায্য নেয় (হুম সে ও আরেক কিউট বাচ্চা) । এভাবেই একটি কিউট প্লটের ভিতর দিয়ে গল্পের কাহিনী আগাতে থাকে । আসলে আমার লেখায় তো আর বুঝা যাবে না এইটা কি একটা মাস্টারপিস । বরং কাছাকাছি ধারনা পাওয়ার জন্য আসিফুল হক ভাই এর একটি উক্তির কথা স্মরণ করতে পারি —

“স্টোরিটা হয়ত একেবারে ইউনিক কিছু না; কিন্তু যেভাবে পুরো গল্পটা সাজানো হয়েছে; উপস্থাপনা, দৃষ্টিকোণ এবং সম্পাদনা – তা আসলেই চমৎকারিত্বের দাবি রাখে। একটা টিপিকাল কিউট প্লটের মাঝেও অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্বে পূর্ণ চরিত্রগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, লড়াই এবং একত্রে একে অপরের পাশে থাকার যে প্রবণতা এবং নাকামার জন্য যে আত্মত্যাগ – তা এই সিরিজকে দিয়েছে অন্য এক মহিমা।”

চরিত্রঃ
কি আর বলব চরিত্রের কথা !! একটি কিউট ছেলে আর অনেক গুলা কিউট মেয়ে । প্রত্যেকের অবদান ই সমান গুরুত্বপূর্ণ । আর মেইন ক্যারেক্টার এর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট তো অসাধারণ । শুরুতে মেইন ক্যারেক্টার একটু ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু গল্পের মাঝামাঝি সময়ে সে জেগে উঠে । আর সে কি জাগরণ !! সেই জাগরণের পর সে নিজে তো আর ঘুমায় ই না , অন্য কাউকেও আর ঘুমাতে দেয় না । আমার প্রায় ই মনে হচ্ছিল “এমুন জাগরণ ই কি আমরা চেয়েছিলুম ?” অন্যান্য ক্যারেক্টার গুলার ও ডেভেলপমেন্ট উল্লেখযোগ্য । বলা যায় সকল চরিত্রের পারস্পরিক সহযোগিতায় ( কিংবা আবারও আসিফুল হক ভাইয়ের ভাষায় “মিথস্ক্রিয়ায়”) ক্যারেক্টার গুলা ডেভেলপমেন্টের এক চরম শিখরে আরোহণ করেছে ।

School Days 1

ওএসটি/গানঃ ইয়ে আসলে হয়েছে কি , প্লট দেখে এত ই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম , যে এ দিকে আর কোন খেয়াল ই ছিল না । (প্লিজ মাইরেন না আমারে ) । তবে এত মাস্টারপিস এনিমের গান গুলাও তো মাস্টারপিস ই হবে, কি বলেন ?

এন্ডিংঃ সবচেয়ে পারফেক্ট এন্ডিং কোন এনিমের বলেন তো ? ফুলমেটাল ? আরে নাহ । কোডগিয়াস ? হাসাইলেন । স্টেইন্স গেট ? ধুর মিয়া, মজা লন ক্যা ? অবশ্য ই ইস্কুল ডেজ । কিউট একটু একশন এর এন্ডিং কে এমন এক পূর্ণতা এনে দিয়েছে যে এটি দেখার পর আপনার দেহ মন সবকিছু পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং আপনি আক্ষরিক অর্থেই একজন নতুন মানুষে রূপান্তরিত হবেন ।

একটাই কথা । মাস্ট ওয়াচ !! এই জিনিস যারা দেখবে , তারাই অনুভব করতে পারবে , জীবন কত কিউট !!

ম্যাল রেটিং জানার দরকার নাই । আমার রেটিং ? এত মাস্টারপিস এনিমেকে রেটিং দিব ? আমার ঘাড়ে আর কটা মাথা ?

পরিশেষে দুটি কথা বলতে চাই

১)এনিমে টি এত ই কিউট যে এটা বাচ্চাদের দেখানো উচিত না । কারণ কিউটনেস ওভারলোড হয়ে বাচ্চা হাঁ করে ফেলতে পারে এবং তখন তার মুখে মশা মাছি ইত্যাদি ঢুকে নানারকম রোগ সঞ্চার করতে পারে

২) এনিমে টি দেখার সময় আপনি পুরাপুরি perplexed হয়ে যাবেন এবং আপনার স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে । এজন্য এনিমে টি দেখার সময় অন্যান্য কাজ যেমনঃ খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি না করা ই ভালো (গলা দিয়ে খাবার না নামতে পারে , কারণ আপনার গলা তো perplexed)

School Days 3

সাসকের প্রতিশোধ by Farsim Ahmed

তো নারুতো দেখছিলাম। অনেকেই এই দারুন আনিমেটা দেখেননি, তাদের জন্য কাহিনী সংক্ষেপ।
নারুতো আনিমেটার মূল ক্যারেক্টার হচ্ছে উচিহা সাসকে।  বেচারা ছোটবেলা থেকেই একা মানুষ হয়েছে, কারণ তার গোত্রের সবাই খুন হয়েছে।  আর এই খুন করেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নরকের কীট নরপিশাচ এক নিনজা, উচিহা ইতাচি।  সে হচ্ছে সাসকের বড় ভাই। প্রতিশোধ নেবার তীব্র বাসনায় সাসকে নেমে পরে। তাকে মারামারি করতে শেখায় নিনজা জগতের সাধু বলে পরিচিত অরোচিমারু। প্রতিশোধ নেবার পথে সাসকের পরিচয় হয় কিছু মাইনর নিনজার সাথে। সাসকে কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? সে কি পারবে হোকাগে হবার স্বপ্ন পূরণ করতে?

ছবিতে সাসকে। ইনসেটে তার সন্ত্রাসী ভাই।
তো নারুতো দেখছিলাম। অনেকেই এই দারুন আনিমেটা দেখেননি, তাদের জন্য কাহিনী সংক্ষেপ।
নারুতো আনিমেটার মূল ক্যারেক্টার হচ্ছে উচিহা সাসকে। :)  বেচারা ছোটবেলা থেকেই একা মানুষ হয়েছে, কারণ তার গোত্রের সবাই খুন হয়েছে। :(  আর এই খুন করেছে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী নরকের কীট নরপিশাচ এক নিনজা, উচিহা ইতাচি। >:o  সে হচ্ছে সাসকের বড় ভাই।  প্রতিশোধ নেবার তীব্র বাসনায় সাসকে নেমে পরে। তাকে মারামারি করতে শেখায় নিনজা জগতের সাধু বলে পরিচিত অরোচিমারু। প্রতিশোধ নেবার পথে সাসকের পরিচয় হয় কিছু মাইনর নিনজার সাথে। সাসকে কি পারবে প্রতিশোধ নিতে? সে কি পারবে হোকাগে হবার স্বপ্ন পূরণ করতে?
ছবিতে সাসকে। ইনসেটে তার সন্ত্রাসী ভাই।
Shafin Tousif's photo.
পুলিশ বাহিনীর কাছে মাদকসহ ধরা পরবার পর মুখ লুকাচ্ছেন কোনোহার ত্রাস ইটাচি।

 

## Sasuke Shippuden – a small fairytale## by Tahsin Faruque Aninda

 

~~ ১৮+, ১৮-, সকলকেই সাবধানতা অবলম্বন করে রুপকথাটি পড়বার অনুরোধ জানানো হইলো। বিখ্যাত এই রুপকথাটি নিয়ে বেশ কিছু বছর আগে নাম পরিবর্তন করে Naruto নামে একটি আনিমে তৈরি হয় যা এখনও বেশ দাপটের সাথে এগিয়ে চলছে ~~

## Sasuke Shippuden – একটি ছোট্ট রুপকথা ##

একদা সাসকিকুন এক “ছেলে”ধরা পেদো-সাপের খপ্পরে পড়লো, যে কিনা সাসকির “শরীর” চায়।

প্রথম প্রথম সাসকি বললো, “তুই আমার দেহ পেলেও এটা-সেটা পাবি না”
পেদোকুন বলিলো, “দেহই তো চাই! বাকিটুকু নিজে করে নিব। তবে আমার বাসায় অনেক খেলনা আছে।”
সাসকি ভাবলো, আহা কি ভাল সাপ! খেলনা দিবে, খালি শরীরটা নিবে। খারাপ কি! তখন খুশিতে গদগদ হয়ে নাচতে নাচতে সাপটির সাথে চলে গেলো সাসকিকুন, যাবার সময়ে তার বান্ধবি শাক্রাকে ঢুশ মেরে দিয়ে গেল যেন তাকে কখনই না ভুলে। আর এতদিন জানের সাথি নার্তুকে বুড়োআঙ্গুল দেখিয়ে চলে যেতে একটুও দ্বিধা করলো না…

এদিকে দিন যায়, বছর যায়, সাসকি বড় হয়। সাসকির “শরীর”-এর দেখভালের জন্যে পেদো-সাপ তাকে অনেক ভাল খাবার দেয়, সুন্দর খেলনা দেয়, তার বয়সী কিছু ছ্যাছড়া পোলাপাইনের সাথে খেলাধুলার সুযোগ দেয় যাতে “শরীর”-এর সাথে সাথে সাসকির এটা-সেটা এবং “মন”টাও পেয়ে যেতে পারে!
তবে বয়সের দোষে বড় হতে হতে খেলনার প্রতি আকর্ষণ কমে যায়, আর নিজেই অন্যের শরীরের দিকে আকর্ষিত হতে থাকে। নিজে রীতিমত খোলামেলা কাপড়চোপড় পরা শুরু করে।

সাসকির এই পরিবর্তন দেখে পেদো-সামা আর লোভ সামলাতে পারলো না! ভাবলো, “এতদিনের আরাধনা অবশেষে সাফল্যের মুখ দেখতে শুরু করেছে! সাসকি হবে আমার! ওর শরীর হবে আমার! ওর এটা-সেটাও হবে আমার!!!”

যদিও পেদো-সামা এত কিছু পরিকল্পনা করছিল, আর ভাবছিল কিভাবে সাসকিকুনকে ধোঁকা দিয়ে তার শরীর হাতিয়ে নেবে, কিন্তু তাকে বিস্মিত করে সাসকি নিজে চলে আসে পেদোসামা-সর্পরাজের কাছে। পেদোরাজকে বিছানায় পেয়ে বলেই বসে, “পেদোসামা সর্পকুন, এবার কি চাও বল।”

সাসকিকুনের বীরত্মে সর্পসামা আর লোভ সামলাতে না পেরে ঝাপিয়ে পরে সাসকিকুনের উপর। কিছুক্ষণ ধ্বস্তাধস্তি চললো। সাসকিকুন তার জামা খুলিয়া ফেলিল, পেদোসামা দেখিল সাসকির পাখা গজিয়ে গিয়েছে! পিপীলিকার পাখার কাহিনি মনে পরে খুশিতে সাসকিকুনের উপর ঝাপিয়ে পরলো পেদোদামা, সাসকির শরীর এবার শুধুই তার হবে, আর কারও নয়!
তবে বয়সের সেই পুরানো দোষ, সাসকি নিজের শরীর দিতে নয়, পেদোসামার শরীরই পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলো। এবং চক্ষু দিয়ে খুটিয়ে খুটিয়ে পেদোরাজের সমস্ত শরীর নিজের করে নিল!

পেদো হয়ে গেল সাসকিকুনের, এখন সে মুক্ত! কিন্তু যেমন গুরু তেমন শিষ্য বলে কথা। পরের শরীর ভোগের সেই লালসা সাসকির এখনও যায় নি। এবার পালা তার ছ্যাছড়া ডিজুস দলের। একে একে তিনজনকেই মুক্ত করে নিল সাসকি। যখন শরীর নিস্তেজ হয়ে পরে, তখন রাক্ষুসে জুগুকে শরীর শোষণ করে নেয়। পানির ছলনা দেখে মোহিত হতে গেলে চুইগেতুসকে নিয়ে ছেলেখেলায় মত্ত হয়। আর কারিনার তো কথাই নাই! ক্ষুধা লাগলেই কামড়িয়ে বসে!!!

এভাবেই সুখে শান্তিতে বসবাস করিতে লাগিলো সাসকিকুন ও তাহার তাকু নামক দলটি।

~~ আমার কাথাটি মুড়িল, জুবি-গাছটি ফাটিল ~~