মাঙ্গা সাজেশন: রিকি-ওহ[Riki-Oh] — Farsim Ahmed

কয়েদী রিকি-ওহ এর কাহিনী খুবই অদ্ভুত। ইচ্ছাকৃতভাবে মারামারি করে জেলে ঢুকেছে, যেন এর পিছনে তার কোনো উদ্দেশ্য আছে। সেই উদ্দেশ্য জানার জন্য অস্থির জেলার, যার উপরে কড়া নির্দেশ, রিকি-ওহকে কোনভাবেই শৃঙ্খলমুক্ত হতে দেয়া যাবে না। কিন্তু ব্যঘ্রহৃদয় রিকি-ওহকে কি দমিয়ে রাখা সম্ভব হবে?

কাহিনী মহা আকর্ষণীয় না, টুইস্টের অবতারণা করতে চেয়েছিলেন মাঙ্গাকা, কিন্তু তার প্রায় সবই আন্দাজযোগ্য, ফলে পুরো জিনিষটা হয়ে গেছে হাস্যকর। তবুও এটা পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি, কারণ হচ্ছে দারুন ম্যানলি অ্যাকশন প্যানেল। ডিটেইলিং করতে মাঙ্গাকা কোনো আপোষ করেননি, সেই সাথে এনাটমি বুঝিয়ে দিয়েছেন ভারী দক্ষতার সাথে। মোদ্দা কথা, ফিস্ট অব দ্য নর্থ স্টার এর ভক্ত হলে এই মাঙ্গা পড়া মাস্ট, কারণ রিকি-ওহকে অনেকেই বলে কেনশিরোর alter-ego.

Riki-Oh

হরর মাঙ্গার রাজা – ইতৌ জুন্জি

 

19230_468959826590403_8634242293780997866_n

সত্যজিৎ রায়ের অসাধারণ ছোট গল্পগুলো পড়েছেন? খগম, মঙ্গলই স্বর্গ, এমন রহস্য আর ভয়ের মিশেলে গড়ে ওঠা গল্পগুলো, যাদের কোন সুখকর সমাপ্তি নেই, বরং গায়ে কাঁটা দেয়া পরিস্থিতি। মজার ব্যাপার হল, এসব গল্পে প্রচলিত অর্থে ভূতপ্রেত নেই, সেই জায়গায় আছে অতিপ্রাকৃত বিষয়াবলী। এই সব গল্প চিত্রায়িত করা গেলে কেমন হত?

জাপানী মাঙ্গাকা ইতো জুঞ্জি মাঙ্গা আঁকছেন বিশ বছরের বেশি সময় ধরে। এরই মধ্যে তিনি হরর মাঙ্গার রাজা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে গেছেন। তাঁকে বেশিরভাগ ফ্যানই চেনে মূলত উজুমাকির মাধ্যমে, কিন্তু উনি লিখেছেন দারুণ সব ওয়ানশটও, যেগুলো তাদের নিজস্বতায় ভাস্বর। এখানেই আসে রায় সাহেবের প্রসঙ্গ তোলার কারণ। জুঞ্জি এত প্রতিভাবান, উনি সরাসরি ভূতপ্রেত নিয়ে কাজ না করে রায়ের মতই ভয়ের প্রকারভেদকে উম্মোচিত করেছেন। কত ধরনের ভয়? কিটোফোবিয়া[চুলের ভয়], মেলিসোফোবিয়া[মৌমাছির ভয়], এক্রফোবিয়া[উচ্চতার ভয়], পুপাফোবিয়া[পুতুলের ভয়], হিমোফোবিয়া[রক্তের ভয়], ট্রাইপোফোবিয়া[ছিদ্রের ভয়] আরো কত কি! উদ্ভট সব কাহিনী ফেঁদে সেই সাথে ভৌতিক আবহ সৃষ্টি করায় তাঁর জুড়ি মেলা ভার।

তাঁর মাঙ্গা যেগুলো স্ক্যানলেট হয়েছে, পড়তে পারবেন মাঙ্গাফক্সে। আর ডাউনলোড করার জন্য বাকাবিটি তো আছেই। http://bakabt.me/torrent/180715/the-junji-ito-horror-comic-collection-museum-of-terror-ito-junji-kyoufu-manga-collection

আমার নিজের পছন্দের কিছু টাইটেল হচ্ছে – The Bee Hive, The Bully, Falling, My Dear Ancestors, The Groaning Drain, Frankenstein [হ্যাঁ, মেরি শেলির সেই বিখ্যাত কাহিনীর মাঙ্গারূপ]

তবে জুঞ্জির মুনশিয়ানা কিন্তু কেবল হরর মাঙ্গাতেই সীমাবদ্ধ না, উনি গ্যাগ মাঙ্গায়ও পারদর্শী। সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী দুই ধরনের মাঙ্গা আঁকতে পারা, সব্যসাচী ছাড়া আর কি বলা যায়? জুঞ্জি কিন্তু নিজেকে আর তাঁর স্ত্রীকে চরিত্র হিসেবে উপস্থাপন করেও একটা মাঙ্গা এঁকেছেন। বিড়ালপ্রেমী মাঙ্গাকা তাঁর স্ত্রীর সাথে লড়াই করছেন। তাঁদের পোষা বিড়াল দম্পতির কাকে বেশি ভালবাসে, জায়াকে, নাকি পতিকে, এই বিষয় নিয়ে। এমন মাঙ্গাকাকে পছন্দ না করে পারা যায়?

এফ এ সি ৬১

রান্ডম টপিক

নোবেল

জাপানিদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা কতখানি, সেটা তাদের খাবার আর আনিমে দেখলে খানিকটা আঁচ করা যায় [কিসে তাদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বেশি সেটা সঙ্গত কারণেই বলছি না, বুঝে নিন, হেহে]. তো উদ্ভাবনী ক্ষমতার পুরস্কারও তারা পেয়েছে। ২২ জন জাপানি নাগরিক এই নোবেল প্রাইজ পেয়েছেন, এর মধ্যে আছে পদার্থ, রসায়ন, শান্তি, ও সাহিত্য। http://en.wikipedia.org/wiki/List_of_Japanese_Nobel_laureates

২০১৪ সালের পদার্থবিজ্ঞানে নোবেলও ৩ জাপানি বিজ্ঞানী ভাগ করে নিয়েছেন। এই নিয়ে বুয়েটের একজন টিচার চমত্কার একটা ভিডিও বানিয়েছেন, দেখতে পারেন। https://www.youtube.com/watch?v=4G2unzNoOnY

 

আনিমে সাজেশন

গেনসৌমাদেন সাইয়ুকি[Gensoumaden Saiyuki]

সানজো, হাক্কাই, গোজিও, আর গোকু বেরিয়ে পড়ল এক রোমাঞ্চকর অভিযানে। লক্ষ্য? এক দানবকে মুক্ত করার ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দেয়া। এর পরিনতি কি হবে?

কেন দেখবেনঃ আকর্ষণীয় কাহিনীর ক্লাসিক শউনেন।  মহা বিখ্যাত চৈনিক সাহিত্য জার্নি টু দ্য ওয়েস্ট অবলম্বনে বানানো। ড্রাগনবল জি এর গোকু আসলে কোন চরিত্রের ছায়া অবলম্বনে তৈরি, তা এই সিরিজ দেখলে জানতে পারবেন।

কেন দেখবেন নাঃ ভিজুয়াল খুব একটা সুবিধার না। কাহিনীনির্ভর, তাই বিশাল মনোমুগ্ধকর কোন অ্যাকশান সিকোয়েন্স নেই। ধৈর্য ধরে দেখতে হয়।

ম্যাল রেটিং: অনেক সিকুয়েল, নিজেই দেখে নিন.

আমার রেটিং: আমার নিজেরই সবগুলো দেখা শেষ হয়নি।

 

মাঙ্গা সাজেশন

ভিনল্যানড সাগা[Vinland Saga]

দু চোখ দিয়ে সারাক্ষণ আগুন ঝরছে থরফিনের। ড্যাগার দুটো নিয়ে যখন সে হিংস্র শ্বাপদের মত ভাইকিং বাহিনীর নেতা আস্কেলাডের দিকে তাকায়, বোঝাই যায়, আস্কেলাডের জন্য তার মনে বরাদ্দ আছে রাজ্যের ঘৃণা। পিতৃহত্যার প্রতিশোধ নিতে বদ্ধপরিকর এর যাত্রার সমাপ্তি কি হবে মধুর? সে কি খুঁজে পাবে সে স্বপ্নভূমি, ভিনল্যান্ড?

কেন পড়বেনঃ অসাধারণ কাহিনিবিন্যাস, দারুণ সব চরিত্র, যাদের যে কোন একজনের জন্যই মাঙ্গা পড়া যায়। প্যানেলগুলো দারুণ পরিষ্কার, কাজেই অ্যাকশান সিনগুলো বুঝতে একদমই কষ্ট হয় না। বিস্ময়কর সব সত্য আর চরিত্রের পালাবদল পাঠককে শিহরিত করে তুলবে প্রতি মুহূর্তে।

কেন পড়বেন নাঃ কোন কারণ নেই, না পড়াই বোকামি।

ম্যাল রেটিং: ৮.৭৩

আমার রেটিং নেই, কারণ মাঙ্গা অন্গিং।

এফ এ সি ৬০

রান্ডম টপিক

চাকরি

ভেনডিং মেশিন থেকে একটা জুস ক্যান কিনতে গিয়েই প্রতি ক্যানে খরচ করতে হয় ১০০ ইয়েনের বেশি। তারমানে ইয়েনের মূল্যমান অবশ্যই টাকার সমান না। তাহলে আমাদের দেশে মোটামুটি ডিসেন্ট বেতন যা, জাপানে অবশ্যই তা থেকে ভিন্ন। [আমাদের দেশের ডিসেন্ট বেতনের অঙ্ক ইচ্ছা করেই বলছি না, কারণ এটা ব্যক্তিবিশেষে ভিন্ন] জাপানে সাধারণত স্টার্টিং বেতন হলো ২০০০০০ ইয়েন [বাংলাদেশী টাকায় প্রায় ১৩২০০০], স্বাভাবিক, কারণ ওই দেশে সবকিছুরই দাম আমদের দেশের চেয়ে বেশি।

জাপানে জীবনযাত্রার খরচ কোন এলাকায় থাকা হচ্ছে তার উপরেও নির্ভর করে, যেমন টোকিওতে থাকার খরচ অনেক, কিন্তু ওসাকাতে এর চেয়ে কম।

 

আনিমে সাজেশন

ড্যান্স ইন দ্য ভ্যাম্পায়ার বান্ড[Dance in the Vampire Bund]

রাজকীয় এক ললি ভ্যাম্পায়ারের সাথে যোগ দিল মায়ানেকড়ে এক কিশোর। আর সিনপ্সিসের দরকার আছে?

কেন দেখবেনঃ দারুণ সব সাউন্ডট্র্যাক, মিনা তেপেসের রয়্যাল এক্সেন্ট, আর মনোগাতারি ভাইব। কিজুমনোগাতারি এনিমেটেড হবার তেমন লক্ষন দেখা যাচ্ছে না, কাজেই দুধের স্বাদ উৎকৃষ্ট মানের ঘোলে মেটানোর জন্য এই সিরিজ দেখতে পারেন।

কেন দেখবেন নাঃ আনিমেতে প্রচুর প্রশ্নের জন্ম হয়েছে, যার সবগুলোর পরিপূর্ণ ব্যাখ্যা নেই। প্রমিসিং, কিন্তু তৃপ্তি মিটবে না সম্ভবত।

ম্যাল রেটিং: ৭.২৭

আমার রেটিং ৭

 

মাঙ্গা সাজেশন

শিজো সাইকো নো দেশি কেনিচি[Shijou Saikyou no Deshi Kenichi]

শান্ত স্বভাবের কেনিচি সারাক্ষণই বুলিং এর শিকার হয়। তাকে রক্ষার্থে এগিয়ে এলো তার এক নতুন ক্লাসমেট। মেয়েটা তাকে নিয়ে গেলো এমন এক দোজোতে, যাতে একত্র হয়েছে মার্শাল আর্টের সব মাস্টাররা। কিন্তু তাদের ট্রেনিংও তেমনি ভয়াবহ। কেনিচি কি পারবে শক্তসমর্থ হয়ে তার বুলিদেরকে ঠেকাতে? নাকি তার আগেই নারকীয় ট্রেনিঙে হবে তার মরণ!

কেন পড়বেনঃ সম্ভবত বেস্ট পিউর মার্শাল আর্ট মাঙ্গা। অনেক ধরনের মার্শাল আর্ট সম্পর্কে জানতে পারবেন, যেগুলো আসলেই ফ্যাক্ট, ফিকশন না। দারুণ প্লট, দুর্দান্ত সব গ্যাগ মোমেন্ট, কাহিনী ঝোলার উপায়ই নেই, আর আছে আকর্ষণীয় ফ্যান্সারভিস।

কেন পড়বেন নাঃ মাঙ্গাকার আঁকা এত ভালো না, যদিও সময়ের সাথে অনেক ইম্প্রুভ করেছে। আর ফ্যান্সারভিস হল দুমুখো তলোয়ার। অবশ্যই একা পড়বেন, হেহে।

ম্যাল রেটিং: ৮.৩৩

আমার রেটিং নেই, কারণ পড়া শেষ হয়নি।

এফ এ সি ৫৯.৫

[না, এটা এফেসির কোনো হেন্তাই ফ্যানফিকশন না. ফ্যানফিকশন লিখতে হলে ফ্যান থাকতে হবে. :'(]

 

রান্ডম টপিক 

নারুতো
নারুতো, বা ফিশকেক হচ্ছে এক ধরনের রামেন টপিং। সাদা রঙের, ফুলের মত করে কাটা, আর মাঝে গোলাপী রঙের স্পাইরাল[হ্যা, উজুমাকি মানে প্যাঁচানো, বা স্পাইরাল]।
আর হ্যা, মাসাশি কিশিমতো এই খাবারের নাম থেকেই তাঁর বিখ্যাত মাঙ্গা চরিত্রের নাম দিয়েছেন।

 

আনিমে+মাঙ্গা সাজেশন

নারুতো+ নারুতো শিপুদেন[Naruto+Naruto Shippuden]

নারুতোকে কেউ ভালবাসে না. ভালবাসার কোনো কারণ অবশ্য নেই, তার বাবা-মা নেই, সুদর্শন না, গরীবী হালে দিন কাটায়। সে একজন স্টকার, আবার তাকে একজন স্টকও করে. সে হতে চায় তার নিনজা গ্রামের নেতা, হোকাগে। তার স্বপ্ন কি পূর্ণ হবে? রক লি কি কোনো মেজর ফাইট জিততে পারবে? সব স্পটলাইট কি উচিহারাই পাবে? জানতে হলে দেখতে/পড়তে হবে নারুতো।

কেন দেখবেন/পড়বেন: মেইনস্ট্রিম সৌনেন অ্যাকশন ঘরানার। দুর্দান্ত সব লড়াই পাবেন, পাবেন ফীল্স[Feels] গেম, এবং ফিলস[Fills] গেম. দারুন সব সাউন্ডট্র্যাক, ওরোচিমারু আর ইতাচির মত দারুন সব চরিত্র।
কেন দেখবেন না/পড়বেন না: শেষমেষ এটা চানাচুর মার্কা একটা সিরিজই। হিট হবার সব উপাদানই আছে. কিন্তু সম্ভবত শিল্পোত্তীর্ণ না. অবশ্য প্রায় সব মেইনস্ট্রিম সৌনেনই এই দোষে দুষ্ট, অপবাদটা নারুতোর একার না.

আনিমে ম্যাল রেটিং: ৭.৭৬+৭.৯৯

আমার রেটিং ৭+নেই, কারণ অন্গিং।

মাঙ্গা ম্যাল রেটিং: ৮.১৫

আমার রেটিং ৯

এফ এ সি ৫৯

রান্ডম টপিক

হানামি[花見]

মার্চের শেষ থেকে মে এর শুরু-এই সময়ে জাপানে ফোটে চেরিব্লসম, যার আরেক নাম “সাকুরা”। এই সময় লোকজন সাকুরা গাছের নিচে জড়ো হয়, চমত্কার পার্টি হয়, সাকের সাপ্লাই থাকে পরিমাণমত, আর চলে ফুল দেখা। জাপানের সার্বজনীন+সর্বজনীন এই উত্সবের নাম হানামি, বা ফুল দেখা।

উত্সবের সূচনা হয়েছিল নারা পিরিয়ডে[৭১০-৭৯৪], ফসলে যাতে দেবতাদের আশীর্বাদ থাকে তার জন্য। এখনো এই উত্সব জোরেসোরে চলে, তবে এক্ষেত্রে বন্ধুবান্ধবের সাথে আনন্দ করাটাই মুখ্য।

জাপানে চেরি গাছের নিচে বসে সাকে পান করার সময় সাকের পেয়ালায় ফুলের পাপড়ি পড়াকে সৌভাগ্যের প্রতীক ধরা হয়।

 

আনিমে সাজেশন

 কোবাতো[Kobato]

হৃদয় জোড়া লাগানো কি এতই সহজ? মোটেই না. আর এই দুরূহ কাজ করতে পারার পুরস্কার কিনা একটা ক্যান্ডি?! ভীষণ মিষ্টি আর বোকাসোকা মেয়ে কোবাতো পৃথিবীতে নেমে এসেছে শুধু এই ক্যান্ডি যোগাড় করার উদ্দেশ্যেই। একটা বোতল ক্যান্ডি দিয়ে পূর্ণ করতে পারলে তার বহুদিনের লালিত ইচ্ছা হবে পূরণ। কি সেই ইচ্ছা?

কেন দেখবেন: ক্ল্যাম্পের তৈরী,  এপিসোডিক, তাই ভেঙ্গে ভেঙ্গে দেখলেও সমস্যা নেই. কাহিনী অনেকটা মুশি-শি গোছের। এর চেয়ে বড় প্রশংসা করা আমার পক্ষে সম্ভব না.

কেন দেখবেন না: কোনো অ্যাকশন নেই, স্লাইস অব লাইফ।

ম্যাল রেটিং: ৮.১৩

আমার রেটিং ৮

 

মাঙ্গা সাজেশন

 দ্য ফ্লাওয়ারস অব ইভিল[The Flowers of Evil]

দুই ভাইবোনের মধ্যে সম্পর্কটা স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশিই অদ্ভুত। ওভারলি এটাচড বোনের অনুভূতি যখন ভাই শেয়ার করে না, বোনের সাইকো কাজকারবার ভাই কিভাবে সামাল দেবে?

কেন পড়বেন: সাইকোলজিকাল, মানহুয়া, আঁকা বেশ ভালো। ডার্ক “রোমান্স(?)”. আর না, এটা ইনসেস্ট না.

কেন পড়বেন না: কাহিনী বেশ জটিল, শেষ পর্যন্ত ধরে রাখার মত এলিমেন্ট কম, মনে রাখার মত তেমন কোনো চরিত্র নেই.

ম্যাল রেটিং: ৮.১০

আমার রেটিং ৭

 

এফ এ সি ৫৮

রান্ডম টপিক

সিকাডা[蜩, 茅蜩, ひぐらし]

আনিমেতে অনেক সময় ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক হিসাবে শোনা যায় “বিজবিজবিজ্জজ্জজ”। এটা হল সিকাডার ডাক। সিকাডা আছে অনেক প্রজাতির, এর মধ্যে জাপানে যেটা বেশি পাওয়া যায়, তার বৈজ্ঞানিক নাম Tanna japonensis, বিস্তারিত : http://en.wikipedia.org/wiki/Tanna_japonensis 

এই লিঙ্কে গেলে ২ ঘণ্টা ধরে সিকাডার ডাক শুনতে পারবেন। http://www.youtube.com/watch?v=eE-_kNWJXNw

 

আনিমে সাজেশন

 তাতাকাউ শিশো:দ্য বুক অব বান্তোরা [Tatakau Shisho:The Book of Bantorra]

“মানুষ মরে গেলে পচে যায়, বেঁচে থাকলে বদলায়, কারণে অকারণে বদলায়”? কিন্তু এই আনিমে অনুসারে মানুষ মরে গেলে বই হয়ে যায়, আর তাদেরকে সংরক্ষনের জন্য থাকে যোদ্ধা গ্রন্থাগারিকের দল!

কেন দেখবেনঃ দারুন সব ফাইটিং সিকোয়েন্স, টানটান উত্তেজনাপূর্ণ কাহিনী, এবং হামিউতস মেসেতা।

কেন দেখবেন নাঃ কাহিনী একটু অধারাবাহিক মনে হতে পারে, আর ফিনিশিংটা উদ্ভট গোছের।

ম্যাল রেটিং: ৭.৪৩

আমার রেটিং ৮

 

মাঙ্গা সাজেশন

জোজো’স বিজার এডভেঞ্চার পার্ট ৭:স্টীল বল রান [JoJo’s Bizarre Adventure Part 7:Steel Ball Run]

যখন “মন্দ কাজ করা যায় সুলভে”, আর তা করেন স্বয়ং ইউনাইটেড স্টেটস এর প্রেসিডেন্ট, ঘটনা কেমন দাঁড়াবে? চিন্তা করতে কষ্ট হচ্ছে?

আমিই বলে দিচ্ছি, এর পরিণতি হবে পুরো উত্তর আমেরিকা জুড়ে এক ঘোড়দৌড়, যেমনটি আর কেউ দেখেনি, দেখবে না পরেও আর।

এতে অংশগ্রহণকারী কারা?

ভাগ্যদেবীকে হাতের মুঠোয় পোরা পোকোলোকো, প্রাচ্যদেশীয় প্রবীন নরিস্কে, আদিবাসী স্যান্ডম্যান, আরব দেশ থেকে আসা আব্দুল, জিনিয়াস ব্রিটিশ জকি ডিয়েগো ব্র্যান্ডো, রহস্যময় তরুণ জাইরো জেপেলি, আর খোঁড়া এক ওয়াশড আপ জকি জনি জোস্টারসহ কয়েক হাজার প্রতিযোগী! মরুতে উঠল প্রবল ঝড়, ডাইনোসর আসল তেড়ে, অজানা সব শত্রুর আক্রমণ প্রতিনিয়ত। আর এসব কিছুর পিছনেই উদ্দেশ্য কিনা ২০০০ বছরের পুরনো এক কঙ্কাল হাতানো?! ঘোড়ার পিঠে জিন চড়ান ভালমত, শক্ত হাতে ধরুন লাগাম। এ এমন এক যাত্রা, যার হবে এক হাই ভোল্টেজ সমাপ্তি!

কেন পড়বেনঃ কাহিনী সম্পূর্ণ স্ট্যান্ডএলোণ, আগের ৬ কাহিনীর সাথে কোন সম্পর্ক নেই। আরাকি নতুন করে নিজেকে ভেঙে আবার গড়েছেন। সব স্ট্যান্ড এখন আর আগের মত হিউমানয়েড নেই, তাদের সবার নামও সঙ্গীতের সাথে জড়িত নয়। অনেক বেশি ভারসেটাইল তারা, এবং লড়াইয়ে স্ট্যান্ডএর তুলনায় স্ট্যান্ডইউজারের অংশগ্রহন বেশি। মাঙ্গাতে পাশ্চাত্যের পটভূমিতে এমন টানটান কাহিনীর অবতারণা করা, এ মনে হয় এক আরাকির পক্ষেই সম্ভব। কোথাও ঠেকে যাবার জো নেই, কাহিনী পানসে হয়নি কোথাও।

কেন পড়বেন না: কোন কারণ নেই, না পড়া মানে মিস করা।

 

ম্যাল রেটিং: ৮.৯১[ম্যালে ১৩ নাম্বার]

আমার রেটিং ১০

বি.দ্র.: ইউনাইটেড স্টেটস মানে ইউনাইটেড স্টেটস অব ফ্রিডম না, ইউনাইটেড স্টেটস অব ভ্যালেনটাইন
হাতানো?

এফ এ সি ৫৭

রান্ডম টপিক

ইওসাকই[よさこい]

জাপানের এক ধরনের ঐতিহ্যবাহী নাচ. মূলত ইউকাতা বা হাপি কোট পরে এই ধরনের নাচ পরিবেশন করা হয়. সাধারণত এই নৃত্যদল বেশ বড় হয়, এবং নাচগুলো হয় যথেষ্ট গন্ডগোল করে. ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয় নারুকো নামের একটা খঞ্জনির মত বাদ্যযন্ত্র।

রিসেন্টলি শুধুমাত্র ইওসাকইকে উপলক্ষ করে একটা আনিমে রিলিজড হয়েছে, হানায়ামাতা। এছাড়া গোল্ডেন টাইমসহ বহু আনিমেতে এই নাচ পাবেন।

 

 

আনিমে সাজেশন

 জোশিরাকু[Joshiraku]

মঞ্চে পাঁচজন যুবতীর জাপানের ঐতিহ্যবাহী পরিবেশনা। কিন্তু মঞ্চের পিছনে কি হচ্ছে? তাদের দৈনন্দিন জীবনেই বা ঘটছেটা কি?

কেন দেখবেনঃ স্লাইস অব লাইফ+প্যারোডি+কমেডি। ওপেনিং আর এন্ডিং সং খুব উপভোগ্য। সায়োনারা জেতসুবো সেন্সেই এর ক্রিয়েটরের বানানো।

কেন দেখবেন নাঃ বেশিরভাগ গ্যাগই জাপানের সংস্কৃতির বিভিন্ন দিকের সাথে জড়িত। সব রেফারেন্স নাও বুঝতে পারেন। তাছাড়া স্লাইস অব লাইফ+গ্যাগ সবার জন্য সুটেবল জন্রা না।

ম্যাল রেটিং: ৭.৫৯

আমার রেটিং ৮

 

মাঙ্গা সাজেশন

জোজো’স বিজার এডভেঞ্চার পার্ট ৬:স্টোন ওশ্যান[JoJo’s Bizarre Adventure Part 6:Stone Ocean]

তাকে ঘিরে গভীর ষড়যন্ত্রের কথা যখন কুজো জৌলিন জানতে পারল, ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। জেলে তাকে সাজা খাটতে হবে ১৫ বছরের বেশি, সেই সাথে ইনমেটদের নানা ধরনের বুলিং তো আছেই। তার বাবা তাকে বাঁচাতে গিয়ে ঢলে পড়ল কোমায়, ওদিকে যাজক সাহেবের কর্মকাণ্ডে যে পাওয়া যাচ্ছে জোস্টার পরিবারের অতীত শত্রুর গন্ধ! কিন্তু জৌলিনের শরীরে তো তার বাবারই রক্ত বইছে! স্টোন ফ্রি নামের স্ট্যান্ড নিয়ে সে কি এই পাথুরে সাগরে টিকে থাকতে পারবে? সে কি পারবে, “স্বর্গে” আসীন না হতে?

কেন পড়বেনঃ আরাকি হিরোহিকোর আঁকা হয়েছে আরও ভালো। প্রথম মহিলা জোজো, তার মানে আছে কোয়ালিটি ফ্যান্সারভিস। কিন্তু আরাকির ফোকাস কি ফ্যান্সারভিসে? উহু। অদ্ভুতুড়ে প্লট, আকর্ষণীয় সব স্ট্যান্ড, আর ধুন্ধুমার মারামারি, জোজোর আসল নির্যাস এই ইন্সটলমেনটেও উপস্থিত। আর এর সমাপ্তি মাঙ্গা জগতেরই সবচেয়ে আলোচিত সমাপ্তিগুলোর একটা।

কেন পড়বেন নাঃ একটাই কারণ থাকতে পারে, যদি আপনার আরাকির আঁকার স্টাইল ভালো না লাগে। আর কোন কারণ পাচ্ছি না।

ম্যাল রেটিং: ৮.২৫

আমার রেটিং ৯

 

এফ এ সি ৫৬

রান্ডম টপিক

রসনাবিলাস ৩: ফুগু

জাপানীরা কাঁচা মাছ খাওয়ায় ওস্তাদ। সামুদ্রিক এমন কিছু নেই যা তারা খায় না, এমনকি আগাছাও। কাঁচা মাছ চমৎকার করে স্লাইস করে ওয়াসাবিসহ আরও কিছু দিয়ে তারা পরিবেশন করে সুশি আর সাশিমি। তবে এসব মাছের মধ্যেও ইন্টারেস্টিং হল ফুগু। ফুগু মাছের মধ্যে টেট্রোডটক্সিন নামের এক ধরনের ভয়াবহ বিষ আছে, যেটার পুঁটলি শুধু এক্সপার্ট সুশি শেফরাই তাদের ডেলিকেট হাতযশে সরাতে পারে, এবং এজন্য তাদের লাইসেন্স নেবার দরকার হয়.  এই বিষের কোনো প্রতিষেধক নেই। প্রতি বছরই প্রচুর লোক মারা যায় ফুগু খেতে গিয়ে, তবুও তারা এই জিনিস খায়। কারণ জানতে গেলে জনৈক জাপানী বলেন, “কারণ ফুগু খেতে ভারী মজা।”

 

আনিমে সাজেশন

ব্যাম্বু ব্লেড[Bamboo Blade]

বাস্কেটবল, সকার, আমেরিকান ফুটবল, বেসবল, টেনিস, অনেক খেলা নিয়েই তো আনিমে দেখেছেন। কিন্তু পুরোপুরি কেনদোর প্রতি ডেডিকেটেড কোন আনিমে দেখেছেন?

কেন দেখবেনঃ খুব ভালো স্পোর্টস কমেডি। এর মধ্যে তামা চান বলে একটা চরিত্র আছে, তার কার্যকলাপ দেখতে খুব ভাল্লাগে।

কেন দেখবেন নাঃ তেমন কোন কারণ নেই।

ম্যাল রেটিং: ৭.৫৩

আমার রেটিং: ৭

 

মাঙ্গা সাজেশন

 লাইফ ইজ মানি[Life is Money]

১০ জনকে রান্ডমলি ধরে নিয়ে যাওয়া হল এক গোপন গেম শোতে। এতে যে জিতবে, সেই হবে অঢেল সম্পদের মালিক। তবে সমস্যা একটাই, এজন্য বাজি রাখতে হবে নিজের জীবন! একের পর এক অংশগ্রহণকারী মরতে লাগল রহস্যজনকভাবে। এখন উপায়?

কেন পড়বেন/ পড়বেন নাঃ  একটা দারুন সেটিংকে কিভাবে গলা টিপে মেরে ফেলতে হয়, তার খুব ভালো উদাহরণ এই মাঙ্গা। শুরুটা ছিল চমৎকার, শেষে গিয়ে এমন জমাটি কাহিনী কিভাবে বেখাপ্পা হয়ে গেলো, কিছুই বুঝলাম না।

ম্যাল রেটিং: ৭.৫৯

আমার রেটিং: ৬

এফ এ সি ৫৫

রান্ডম টপিক

জাপানী লেডি গাগা

তাকেমুরা কিরিকো। স্টেজ নাম কিয়ারি পামিউ পামিউ। গান গেতে পারেন বেশ সুন্দর, সেই সাথে অনেকের কাছেই তিনি সুন্দরী। বর্তমান সময়ে জাপানের জনপ্রিয় আইডলদের একজন। লাইমলাইটে এসেছেন মূলত পনপনপন[http://www.youtube.com/watch?v=yzC4hFK5P3g] গান করে। তবে জাপানের বাইরে তিনি যে কারনে বেশি আলোচিত, সেটা হল তার গানের মিউজিক ভিডিও। অদ্ভুতুড়ে সব পোশাক, সেই সাথে যত উদ্ভট জিনিশ আপনি চিন্তা করতে পারবেন[এবং পারবেন না], কিয়ারির গানের ভিডিওতে এর সবই আছে। দেখুন http://www.youtube.com/watch?v=teMdjJ3w9iM

মনোগাতারি সিরিজের একটা চমৎকার এএমভিতে কিয়ারির নিঞ্জারি ব্যাং ব্যাং গানটা ব্যবহৃত হয়েছে, চেক করে দেখতে পারেন[NSFW]। http://www.youtube.com/watch?v=lYkkhehAxWQ

বর্তমানে কিয়ারি সিকাডাদের নিয়ে মহা ব্যস্ত:

 

 

আনিমে সাজেশন

ইরেস্পন্সিবল ক্যাপ্টেন টাইলার[Irresponsible Captain Tylor]

টাইলারের জীবনের লক্ষ্য ছিল একটাই, সেটা হলো ডেস্ক জব করে শান্তিতে অবসর জীবন কাটানো। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে তাকে হতে হলো নতুন এক স্পেসশিপের ক্যাপ্টেন, যার ক্রুরা তাকে গ্রহণ করলো না প্রথম থেকেই। সামনে আসছে ভয়াবহ যুদ্ধ, টাইলার এই দায়িত্ব সামলাতে পারবে তো?!

কেন দেখবেনঃ অনেকটা গ্রেট টিচার অনিজুকার মতো ভাইব আছে, সমস্যা সমাধানের জন্য টাইলারের যেসব কায়দা, সবই মনে হয় বোকামি, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সবই ফলপ্রসূ। এছাড়া মোটামুটি ভালো সাই-ফাই স্লাইস অব লাইফ।

কেন দেখবেন নাঃ পরের পর্বে যাবার ড্রাইভ সব সময় পাবেন না। তেমন ধারাবাহিক কাহিনী না। মনে দাগ কাটার মতো চরিত্র খুব একটা নেই।

ম্যাল রেটিং: ৮.০১

আমার রেটিং: ৭

 

মাঙ্গা সাজেশন

গিও[Gyo]

ওকিনাওয়াতে বান্ধবীকে নিয়ে যাওয়া ছিল মস্ত বড় ভুল, এটা তাদাশি যখন বুঝল ততক্ষণে অনেক দেরি হয়ে গেছে। ফশ ফশ করে ও কিসের শব্দ? পোকার মত দ্রুতগতিতে দৌড়ে যাওয়া ওগুলো কি আসলেই পৃথিবীতে জন্ম নেয়া কিছু? কেন বাতাসে শুধুই পচা লাশের গন্ধ? স্থলচর হাঙ্গর যখন তার করাল দাঁত বের করে চিবোতে আসল, ব্যাপার হয়ে দাঁড়ালো আরও ঘোরালো। রহস্যের ঘ্রাণ এর চেয়ে বাজে কখনোই হয়নি।

কেন পড়বেনঃ ইতো জুঞ্জির কাজ, মানেই স্বাভাবিক হরর আবহ। বোনাস যে দুটো গল্প দেয়া হয়েছে, তার মধ্যে দ্বিতীয় গল্পটা আমার পড়া অন্যতম সেরা হরর কাহিনী।

কেন পড়বেন নাঃ কোন কারণ নেই।

ম্যাল রেটিং: ৭.৪১

আমার রেটিং: ৮