Movie Time With Yami – Pseudo Episode (টিং টং মুভি টাইম)

টিং টং, সিউডো মুভি টাইম উইথ ইয়ামি

আজকে মুভি দিবস পালন করলাম, তাই মেলাদিন পরে মুভি নিয়ে আবার কিছু লিখতে ইচ্ছা হল। রিভিউ টিভিউ দেয়া ধাতে পোষাবে না, কোনটা কেমন লাগল খালি সেটা লিখতেসি।

Penguinhighway

১. পেঙ্গুইন হাইওয়ে –

খুবই ভাল লেগেছে। বাচ্চাকাচ্চা পোলাপানের ইঁচড়েপাকা গবেষণা, ট্যান্ট্রাম থেকে শুরু করে শহরের মাঝখানে পেঙ্গুইনের আবির্ভাব, সবমিলিয়ে মোটামুটি উদ্ভট একটা প্লটকে খুব এঞ্জয়েবল ভাবে প্রেজেন্ট করা হয়েছে। একটা মুহূর্তের জন্যও স্লো বা বোরিং লাগেনি। অ্যানিমেশন, ওএসটি খুবই সুন্দর। যেকোনো আনিমেতে আমি ব্যাকগ্রাউন্ড, বাড়িঘর, গাছপালা, আকাশ বাতাসের দিকে আলাদা করে নজর দেই, এইখানে সেগুলো খুবই যত্ন নিয়ে বানিয়েছে, so I’m happy!!

Kimitonamininoretara

২. কিমি তো নামি নি নোরেতারা –

আমি খুবই খুশি যে সিনোপসিস না পড়ে বা কোনোরকম গবেষণা ছাড়া শুধুমাত্র পোস্টার দেখে এই মুভি দেখতে বসেছিলাম। এইজন্য শুরুর ২৪ মিনিটের মিষ্টি অংশটুকু খুব ভাল লেগেছে দেখে। এরপরে মোটামুটি ইমোশনের আপ ডাউনের উপর দিয়ে পার করেছি। প্লট মোটেও নতুন না, এর আগে এরকম প্লট নিয়ে আরও মুভি হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও হবে, এক্সিকিউশনের কারণে কাহিনিটা আপন আপন লেগেছে। এন্ডিং পছন্দ হয়েছে। অ্যানিমেশন, ওএসটি ভাল, আমার মাথায় এখন মুভিতে অতি ব্যবহৃত গানটা কন্টিনিউয়াস ঘুরপাক খাচ্ছে।

Ninokuni

৩. নি নো কুনি –

উপরেই রাইড ইওর ওয়েভ নিয়ে যেটা বললাম, সেটার উল্টা ভার্সন এখানে বলব। ইসেকাইতে যাতায়াত, এই টাইপ প্লট মনে হয় তেমন আনকমন না, ওয়েল রিসিভড বলেই হয়ত, কিন্তু আমার মুভিটা তেমন ভাল লাগে নি। 30 minutes into the movie I got bored. পেসিং বাজে লাগল, একেবারেই টানছিল না আমাকে। অন্তত ২০/৩০ বার বোরড হয়ে উঠে গিয়ে অন্য কাজ করে এসে আবার বসেছি। কাহিনী বেশিই প্রেডিক্টেবল, ওয়েল প্রেডিক্টেবল হলে আমার কোনো সমস্যা হয় না ইউজুয়ালি, এটার এক্সিকিউশন ভাল লাগে নি। মেদেতাশি মেদেতাশি মার্কা এন্ডিংটা আমি দুই মাইল দূর থেকে চারচোখো হওয়া সত্ত্বেও দেখতে পাচ্ছিলাম, খুব পেইনফুল ভাবে সেটাই ঘটল। অ্যানিমেশন আহামরি লাগেনি, ওএসটি আদৌ শুনসি কিনা মনে পড়ে না

(নোট – এককালে কোনো কিছু বেশি ভাল লাগলে বলতাম “অতিরিক্ত ভাল লেগেছে”। Today this award goes to Penguin Highway )

Movie Time With Yami – প্ল্যানেটারিয়ানঃ নক্ষত্রের স্বপ্ন (টিং টং মুভি টাইম)

Screenshot_2016-09-01-20-35-04

জীবনে দুবার প্ল্যানেটোরিয়ামে যাওয়ার সুযোগ হয়েছে; একবার দেশে ভাসানী নভোথিয়েটারে (সম্ভবত নামটা পালটে অন্য কিছু রাখা হয়েছে এখন, আমার মনে নেই), আরেকবার কলকাতার বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে। এর মাঝে ভাসানী নভোথিয়েটার এর কথা আমার সারাজীবন মনে থাকবে। ঋতুর পালাবদল, রাতের আকাশে কন্সটেলেশন, গ্রহ নক্ষত্রের আবর্তন, বা ডায়নোসর যুগ- সবটাই এত সুন্দর ও বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছিল সেই অর্ধগোলাকার থিয়েটারে, মনে হচ্ছিল যেন আমি আসলেই সেই জায়গাগুলোতে পৌছে গেছি। খুবই চমৎকার অভিজ্ঞতা ছিল।

তো সেই নভোথিয়েটার এর কাহিনী অ্যানিমে গ্রুপে কেন বলছি? বলার কারণ হল, কাল রাতে দেখে শেষ করেছি ৫ এপিসোডের ওএনএ, “প্ল্যানেটারিয়ানঃ চিসানা হোশি নো ইউমে”।

মেলোড্রামা সাধারণত আমাকে অতটা টানে না, কেঁদেকেটে ভাসিয়ে ফেলার মত তো অবশ্যই না। কেই এর ভিজ্যুয়াল নভেল অ্যাডাপ্টেশন কয়েকটা দেখেছি, ভালই লেগেছে, তাই প্ল্যানেটেরিয়ান দেখা শুরু করেছিলাম। এবং এই অ্যানিমের যে পার্টটা আমাকে মুগ্ধ করেছে, সেটা হল ওই নভোথিয়েটারে ইউমেমির পারফরমেন্স। হঠাৎ দেখে মনে হচ্ছিল, যেন আমি নিজেই বসে আছি ওই থিয়েটারে দর্শকের আসনে। পুরনো মুগ্ধতাটা নতুন করে ফিরিয়ে এনে দিয়েছে এই অ্যানিমেটা।

অ্যানিমের কাহিনী পোস্ট অ্যাপোক্যালিপ্টিক পৃথিবী, যেখানে বোমা হামলার কারণে বেশিরভাগ শহরই ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এমনই এক শহরের একটি প্ল্যানেটোরিয়ামে ইউমেমিকে একা ফেলে তার মালিকেরা সবাই চলে গিয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। ইউমেমি খুবই লয়াল, তাই সে সেই পরিত্যক্ত নভোথিয়েটারেও রুটিন মেনে তার দায়িত্ব পালন করে যায়; কাস্টোমার আসুক, বা না আসুক।

এমন অবস্থায় হঠাৎ একদিন প্ল্যানেটোরিয়ামে একজন কাস্টোমার এসে হাজির হয়। প্রাণ বাঁচানোর লড়াইয়ে ব্যস্ত সেই কাস্টোমারকে কী ইউমেমি দেখাতে পারবে তারাভরা আকাশ?

ডেভিড প্রোডাকশন নামটা শুনলে আমার মাথায় সবসময় যে অ্যানিমেটার নামটা আসে, তা হল জোজোর অদ্ভুতুড়ে কীর্তিকলাপ। জানা নেই, তাদের অন্য কোন মোয়ে অ্যানিমে আছে কিনা, কিন্তু প্ল্যানেটেরিয়ানের আর্ট দেখে কেন যেন বিশ্বাস হচ্ছিল না, এই স্টুডিওই জোজো বানায়! জোজোর আর্ট ভালই লাগে আমার, আর্টটা ওভার দ্য টপ বলেই একই স্টুডিওর করা মোয়ে ডিজাইন দেখে অবাক হয়েছি। ইউমেমিকে অতিরিক্ত কিউট লেগেছে, যদিও শুরুতে তার একঘেয়ে গলায় টানা কথা বলে যাওয়া শুনতে অতিরিক্ত বিরক্ত লাগছিল, কিন্তু পারফরমেন্স এর সময় তার গলাটা অতিরিক্ত সুন্দর আর সাবলীল লাগছিল। আর সেটাকে যোগ্য সাপোর্ট দিয়েছে অ্যানিমের মনোমুগ্ধকর আর্ট। অ্যানিমেটার সেরা মুহূর্ত নিঃসন্দেহে ইউমেমির পারফরমেন্স। আর শেষটা আমি যেমন আশা করেছিলাম হুবহু তেমন হয়েছে, তবে ভাল লেগেছে।

মাত্র ৫ পর্বের অ্যানিমে, গড়ে ১৮ মিনিট করে পড়ে একেক পর্বে, দেড় ঘন্টা হাতে থাকলে দেখে ফেলতে পারেন এই সুন্দর ওএনএ টা।

planetarianfeat

Movie Time With Yami – Nerawareta Gakuen (টিং টং মুভি টাইম)

tumblr_np3536OnP71tdyyjco1_500

আজ সকালে দুই ঘন্টা ক্লাস সাসপেন্ড ছিল (যা ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পাওয়ার মত বিরল ঘটনা আমাদের জন্য), ভাবলাম দুই ঘন্টা লেন্থের কোন মুভি দেখে ফেলি। ফোনের গ্যালারি ঘেটে পেলাম নেরাওয়ারেতা গাকুয়েন, ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিটের অ্যানিমে মুভি। তো শুরু করলাম দেখা।

শুরুতেই মার্কিং দিয়ে দেই, বাকি পোস্টে কী আছে হিন্ট পেয়ে যাবেন।
ভিজ্যুয়াল- ৯/১০
ওএসটি- ৮/১০
ক্যারেক্টার ডিজাইন- ৯/১০
ভয়েস অ্যাক্টিং- ১০/১০
স্টোরি- ৩/১০
ক্যারেক্টার- ০/১০

গ্রাফিক্স /ভিজ্যুয়াল/আর্টওয়ার্ক, জিনিসটাকে যাই বলা হোক না কেন, মোদ্দা কথা হল অসম্ভব সুন্দর। মাকোতো শিনকাই ফিল্ম ভেবেছিলাম শুরুতে, পরে দেখি সেটা নয়। সাকুরার গাছ ন্যাড়া করে ঢেলে ঢেলে পাঁপড়ি ছেড়ে দিয়েছে কিছুক্ষণ পরপর, স্কুল, বাড়ি, সমুদ্র বা তাদের আজগুবি জায়গা গুলা, সব দেখে চোখে ধাঁধাঁ লেগে গেছে। ক্যারেক্টার ডিজাইন খুবই সুন্দর, ছেলেগুলো হ্যান্ডসাম, মেয়েগুলো কিউট। ব্যাকগ্রাউন্ডে যাই বাজছিল, কর্ণকুহরে ভালই লেগেছে।

গেল প্রশংসা। এখানেই শেষ। আর কিছুই নাই প্রশংসা করার মত। এবার বিরক্তির পালা শুরু।

আমি অ্যানিমে মুভির ব্যাপারে মোটামুটি সর্বগ্রাসী। ছাইপাঁশ যাই হোক গিলে ফেলি। তাই এই মোটামুটি ছাইপাঁশ লেভেলের মুভিটাও গিললাম। আই মিন সিরিয়াসলি?!! কাহিনীটা আসলে কী ছিল? আদৌ কি কোন কাহিনী ছিল? সারাক্ষণ তো দেখলাম “কেতাই কেতাই” করেই সময় পার করে দিল। তাও যদি কারণটা বলত। আগের বছর কোন এক ঘটনা ঘটেছিল স্কুলে, সেজন্য স্কুলে ফোন আনা নিষিদ্ধ। ঠিক আছে, কোন সমস্যা নেই, আমাদের যুগে বাই ডিফল্ট এটাই নিয়ম ছিল। কথা হচ্ছে যে কাহিনীটা কী হয়েছিল যে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হল? পুরো মুভিতে আমি এটা জানার জন্যই বসে ছিলাম; আফসোস, কারণ বলার ধার দিয়েও গেল না। কোন কারণে সো কল্ড ফিউচার আর্থলিং এলিয়েনদের টেলিপ্যাথিতে কিছু একটা সমস্যা হয়, সেজন্য তারা এসে একটা স্কুলে সেলফোন ব্যান করতে লেগে গেল, হাউ প্যাথেটিক ক্যান ইউ গেট?

অ্যানোয়িং ক্যারেক্টার লাইফে কম দেখিনি, কিন্তু একটা মাত্র ১ ঘন্টা ৪৬ মিনিটের মুভির প্রতিটা ক্যারেক্টারকে এত বেশি বিরক্তিকর লাগবে, কোনদিন ভাবিনি। নাতসুকি মেয়েটার প্রব্লেমটা কী?!!
স্টেটমেন্ট ১- জাপানী ছেলেরা হয় বেশি ভাল।
স্টেটমেন্ট ২- না হলে জাপানী মেয়েরা বেশি শয়তান।
স্টেটমেন্ট ৩- ওভাররেটেড সুন্দেরে একটা দেয়া লাগবে তাই দিয়ে রেখেছে স্টোরিতে।

আই মিন, এই মেয়ে তার ছোটবেলার “বন্ধু” সেকিকে যেভাবে জ্বালিয়ে গেছে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত, এরকম প্রতিবেশী থাকলে আমি কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে বাড়ি ঘিরে রাখতাম। ছেলেটা আবার সেগুলা সহ্য করে মেয়েটাকেই স্যরি বলে, ঢঙের শেষ নাই।

আর শেষ পর্যন্ত কাহিনী কী দাঁড়াল? বাবা তোমরা তোমাদের মাদার মুন ছেড়ে মাদার আর্থের কেতাই ব্যান কইরা কী হাসিল করলা? এ বিগ ফ্যাট জিরো -_-

যাই হোক, আমার মেজাজ খারাপ হয়েছে, তাই একটু র‍্যান্টিং করলাম, এমনও হতে পারে যে আমি আসলে কাহিনী বুঝিনি তাই না বুঝে কথা বলছি, তবে আমার মনে হয়না এই কাহিনীর আগামাথা খুঁজে পাওয়া সম্ভব। কেউ পেয়ে থাকলে কমেন্ট সেকশনে আমার কনফিউশন গুলো ক্লিয়ার করে দেবেন অনুগ্রহ করে।

Movie Time With Yami – টিং টং মুভি টাইম

12633583_591294291035081_5444090378713510034_o

টিং টং মুভি টাইম!!! (not really ;-;)

অনেকদিন কোন মুভি নিয়ে কথাবার্তা বলি না, আজকে তাই সুন্দর একটা শর্ট মুভি সাজেস্ট করি সবাইকে।

মুভির নাম- Aki no Kanade

আকি নামের মেয়েটি যখন এলিমেন্টারী স্কুলে পড়ত, তখন থেকেই তার স্বপ্ন যে সে তাইকো ড্রামার হবে। সেজন্য সে হাইস্কুলের পাঠ চুকে যাওয়ার পর তার গ্রাম ছেড়ে টোকিওতে চলে আসে এই স্বপ্নটাকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে। কিন্তু বিধি বাম!! চাইলেই যে সবকিছু মনমত হবে তা তো নয়। টোকিওতে থাকার খরচ জোগাতে পার্ট টাইম চাকরী, সেই সাথে ড্রাম বাজানোর ট্রেনিং – এ দুটো ব্যালান্স করতে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছিল আকিকে।

এর মাঝে আকিকে হঠাৎ তার হাইস্কুলের শিক্ষক ফোন করে একটি অনুরোধ নিয়ে। প্রিয় শিক্ষকের অনুরোধে তাই গ্রামে ফিরে আসে আকি, হাইস্কুলের ড্রামস ক্লাবের সদস্যদের ট্রেনিং এ সাহায্য করতে। এরপর ঘটে সুন্দর কিছু ঘটনা, এবং আকির মনে পড়ে যায় তার নিজের ছোটবেলার কথা।

আমি জানিনা আপনাদের কি মনে হচ্ছে, তবে উপরে যা বর্ণনা দিলাম, তাতে আমার মনে হয় এটির একটা পূর্ণ ২ ঘন্টার মুভি, এমনকি ১২ এপিসোড এর অ্যানিমে হওয়ার মত পটেনশিয়াল রয়েছে। ২৫ মিনিট অনেক অল্প সময়, কিন্তু অ্যানিমে মিরাই প্রজেক্ট ট্রেইনিদেরকে এইটুকুই সময় বরাদ্দ করে, আর এই অল্প সময়ের মাঝে মুভিটিতে যেভাবে কাহিনীটা দেখানো হয়েছে, আমি চমকে গেছি যে এত সুন্দর করে এত অল্প সময়ে কিভাবে এতকিছু দেখাল। আমার আকির ছোটবেলার ঘটনাগুলো আরও ডিটেইল জানতে ইচ্ছে করছিল, টোকিওতে ওর স্ট্রাগলগুলো, আনাড়ি থেকে প্রফেশনাল ড্রামার হয়ে যাওয়ার গল্প, গ্রামে তার ড্রামের সাথে জড়িত স্মৃতিগুলো, এরপর নিজেকে আবার ফিরে পাওয়ার গল্প- এ সবই আরেকটু ডিটেইলে দেখতে পেলে হয়ত ভাল লাগত। ড্রামের বাদ্যগুলো আমার এক্সেপশনালি ভাল লেগেছে, সারাদিন ধরে শুনতেও আপত্তি নেই। আশা করে লাভ নেই জানি, তাও ক্ষীণ একটা ইচ্ছা কাজ করছে মনে, যদি ডেথ প্যারেডের মত এই মুভিটাও একটা ফুল লেংথ অ্যানিমে পেত, ভাল লাগত।

আর হ্যা, ভাল কথা, মুভির শুরুতেই ওরেকি হৌতারোকে হঠাৎ দেখে চমকে গিয়েছিলাম!! ও দেখি এখন এনার্জি কনসার্ভিং ছেড়ে ড্রাম বাজানো শুরু করেছে!!

Movie Time With Yami – 70

safe_image (1)

আনিমে মুভি যারা মোটামুটি দেখেন, তাদের কাছে মাকোতো শিনকাই নামটি অজানা নয়। এই ডিরেক্টর মূলত কোতোনোহা নো নিওয়া, ৫ সেমি / সেকেন্ড সহ তার পরিচালিত ভারী বাজেটের আনিমে মুভিগুলোর জন্যে সুপরিচিত। তার মুভিগুলোতে যে ব্যাপারগুলো খুব অহরহ পাওয়া যায়, তা হল উজ্জ্বল চোখ ধাঁধাঁনো অ্যানিমেশন, খুব সুন্দর ওএসটি আর ভালবাসার সম্পর্কের টানাপড়েন। আজ আমি এই পরিচালকের কয়েকটি ব্যতিক্রমধর্মী কাজের কথা তুলে ধরছি আপনাদের সামনে। দুই থেকে সাত মিনিট দৈর্ঘ্যের ছোট ছোট এই অ্যানিমেশন গুলোর মাঝে প্রথম দুটি মাকোতো শিনকাই এর সিগনেচার আর্টস্টাইল ফলো করে, যা দেখলে এই এই ডিরেক্টরের কাজের সাথে পরিচিত যে কেউ সহজেই বুঝতে পারবে এটি কার কাজ। আর মানবিক সম্পর্কের খুব সূক্ষ্ম দিকগুলো এই অল্প সময়ের মাঝে খুব সুন্দর করে তুলে ধরা হয়েছে তিনটি অ্যানিমেতেই।

Dareka No Manazashi

বলা হয়ে থাকে, একটি পরিবার সম্পূর্ণ হয়, যখন সেই পরিবারে সন্তানের জন্ম হয়। বাবা-মা ও সন্তাতানেরা সবাই একসাথে থেকে একে অপরকে জীবনে এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। তারপর হয়ত একটা সময় আসে, যখন সন্তানেরা নিজেদের পথ নিজেরা বেছে নিয়ে একাই সে পথে রওনা হয়ে যায়, পিছনে পড়ে থাকে সেই পুরোনো পরিবার। কিন্তু এভাবে কি সবসময় সুখ খুঁজে পাওয়া যায়? মাত্র ৬ মিনিট সময়ের মাঝে বেশ মনকাড়া অ্যানিমেশনের মধ্য দিয়ে এই সুন্দর গল্পটি দর্শকের সামনে তুলে ধরা হয়েছে।

লিঙ্ক – https://youtu.be/KSwbnUQJGnA

Cross Road

এটি থেকে আসলে তেমন কিছু আশা করার নেই, কারণ এটি আসলে একটি কোম্পানির হাই বাজেট বিজ্ঞাপন। তারপরেও এটি সাজেস্ট করার কারণ, ২ মিনিটের মাঝে শিনকাই এর উজ্জ্বল আর্টওয়ার্ক দেখার সুযোগ ও খুব হাসিখুশি একটি স্লাইস অফ লাইফ মুভি হওয়ার পটেনশিয়াল সমৃদ্ধ একটি ট্রেলার দেখা, যা শিনকাই এর জন্য বেশ বিরল।

লিঙ্ক – https://youtu.be/AfbNS_GKhPw

Kanojo to Kanojo no Neko

অ্যানিমেটির দৈর্ঘ্য মাত্র ৫ মিনিট, আর পুরো অ্যানিমেটিতে শুধুমাত্র দুটো রং ব্যবহার করা হয়েছে, সাদা ও কালো। কিন্তু এই অল্প সময়ের মাঝে একটি বেশ মনকে ছুঁয়ে যাওয়া কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে, শুধুমাত্র দুটো চরিত্রের মাধ্যমে! একটি মেয়ে ও তার পোষা বিড়াল, এই দুজনের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একই ঘটনা বর্ণনা করা হয়েছে। স্টোরিতে হয়ত তেমন গভীরতা নেই, তারপরেও বেশ উপভোগ্য একটি ওভিয়ে এটি।

লিঙ্ক – https://youtu.be/jc2xSY0iBiY

এটি এই সেগমেন্টের শেষ পর্ব। অনেক ধন্যবাদ এতদিন ধরে যারা নিয়মিত সেগমেন্টটি ফলো করেছেন তাদের, সেইসাথে এনিমখোরের সকল মেম্বারকেও ধন্যবাদ আমাকে এতদিন সাপোর্ট করার জন্যে। এবং সেইসাথে শেষবারের মত- সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

Movie Time With Yami – 69

safe_image

Name: The Case of Hana & Alice / Hana to Alice: Satsujin Jiken
Duration: 1 hr. 38 min.
MAL Score: 7.42
Ranked: 1787
Genre: Drama

যেকোন স্কুলের জন্য একটা চিত্র বোধহয় একইরকম হবে, ট্রান্সফার স্টুডেন্টের সবার সাথে মানিয়ে নেয়ার যুদ্ধ। পুরাতন স্টুডেন্টরা মনে করবে, কোত্থেকে উড়ে এসে জুড়ে বসতে চেষ্টা করছে! আর ট্রান্সফার স্টুডেন্টকে বুলিইং করতে চেষ্টা করবে।

কিন্তু আরিসুজাওয়া এসবের থোড়াই পরোয়া করে। সে বুলিইংকে পাত্তা না দিয়ে নিজের মত ঘুরে বেড়ায়, সবাইকে সাহায্য করতে চেষ্টা করে।
এরই মাঝে সে জানতে পারে ক্লাসের এক অদ্ভুত গল্প। বাইবেলের জুডাস ও তার চার স্ত্রী, অ্যানাফাইলেক্সিস, মৃত আত্মা ও সারাবছর অ্যাবসেন্ট থাকা স্টুডেন্ট- সবমিলিয়ে কাহিনীর আগামাথা কিছুই বুঝতে পারে না আরিসুজাওয়া। কিন্তু দমে না গিয়ে সে আস্তে আস্তে খোঁজ করতে থাকে। আর বেরিয়ে আসে এতসব আজগুবি কথার পেছনের গল্প।

মুভিটির গল্পটি বেশ ইন্টারেস্টিং, আমার বেশ ভাল লেগেছে। কাহিনীটা ঠিকমত বুঝতে হলে পুরো মুভিটিই শেষ পর্যন্ত দেখতে হয়, এই ব্যাপারটা ভাল লেগেছে। পেসিং শুরুতে একটু স্লো হলেও পরবর্তীতে ঠিক হয়ে যায়। আর্টওয়ার্ক মোটামুটি, চরিত্রগুলোর নড়াচড়া করার ধরণটা আমার ভাল লাগেনি। সাউন্ডট্র্যাক মনে রাখার মত না হলেও ভাল।

মুভিটি এ বছরই মুক্তি পেয়েছে একটি লাইভ একশনের প্রিক্যুয়াল হিসেবে, তাই দেরি না করে এখনই দেখে ফেলুন, আর ভাল লাগলে টপচার্টে একে সাপোর্ট করুন!!

Movie Download Link- http://kissanime.to/Anime/Hana-to-Alice-Satsujin-Jiken

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

Movie Time With Yami – 68

safe_image

Name: Giovanni’s Island / Giovanni no Shima.
Duration: 1 hr. 42 min.
MAL Score: 7.89
Ranked: 680
Genres: Drama, Historical

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের কথা। জাপানের এক প্রান্তে একটি শান্ত, সুন্দর অচেনা দ্বীপে হঠাৎ আগমন ঘটে রাশিয়ান সৈন্যবাহিনীর। দ্বীপের বাসিন্দারা নিরীহ মৎস্যশিকারী, সেনাবাহিনীর আগ্রাসন মাথা পেতে মেনে নেওয়া ছাড়া তাদের আর কোন উপায় থাকে না।

এই গ্রামেই বাস করে জুনপেই ও কান্তা নামের দুই কিশোর। মিয়াজাওয়া কেনজির একটি বিখ্যাত উপন্যাসের দুই চরিত্র জিওভান্নী ও ক্যাম্পানেলার নাম থেকে তাদের নাম অনুপ্রাণিত। এ কারণেই হয়ত এই দুই ভাইয়ের “নাইট অন দ্য গ্যালাকটিক রেইলরোড” উপন্যাসটি অনেক প্রিয়। তারা স্বপ্ন দেখে, একদিন গ্যালাকটিক রেইলরোডের দেখা পাবে তারাও, আর সেই রেইলরোড অনুসরণ করে তারা পৌছে যাবে এমন এক পৃথিবীতে, যেখানে কোন ভিনদেশী সৈন্য এসে তাদের ঘরছাড়া করবে না, পরিবারের সবাইকে নিয়ে অনেক সুন্দর জীবন যাপন করবে তারা।

জিওভান্নী নো শিমা মুভিটি যুদ্ধের গল্প, নিরূপায় মানুষদের বেঁচে থাকার সংগ্রামের গল্প, শত কষ্টের মাঝেও আপনজনদের কাছে পাওয়ার আকুতির গল্প, ভাষা ও সংস্কৃতির বাঁধা অতিক্রম করে মানুষকে মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার গল্প। মিয়াজাওয়া কেনজির গল্পের বিভিন্ন লাইন ব্যবহার করে কল্পনা ও বাস্তবতার মিশেলে অনেক হৃদয়স্পর্শী একটি গল্প তুলে ধরা হয়েছে। জুনপেই এর স্মৃতিগুলো যেন ছড়িয়ে রয়েছে দ্বীপটির কোনায় কোনায়, এত বছর পরেও তা এখনো তাজা!

মুভিটির আর্টওয়ার্ক অতিরিক্ত বেশি সুন্দর, অনেক বেশি ফ্লুইড অ্যানিমেশন, যা চোখকে অন্যরকম প্রশান্তি দেয়। ক্যারেক্টারগুলো নিজের অজান্তেই কখন যে আপন হয়ে যায়, টেরও পাওয়া যায় না। কাছে টেনে নেওয়ার অদ্ভুত এক ক্ষমতা আছে মুভিটির। সাউন্ডট্র্যাক পরিস্থিতি অনুযায়ী খুব মানানসই, বাচ্চাদের অপরিণত গলায় গাওয়া গানগুলো মনটাকে জুড়িয়ে দেয়। আর এ মুভিটির এন্ডিংটা অতিরিক্ত সুন্দর, আমার খুব বেশি পছন্দ হয়েছে কাহিনীটা; সর্বোপরি এর বর্ণনাশৈলী।

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Giovanni-no-Shima

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

Movie Time With Yami – 67

Name: Bungaku Shoujo / Literature Girl
Duration: 1 hr. 40 min.
MAL Score: 7.71
Ranked: 981
Genres: Drama, Mystery, Romance, School

একটা সুন্দর মুভি বা টিভি সিরিজ দেখার পরে আপনার ভাললাগার অনুভূতিটা নষ্ট করার সবচেয়ে কার্যকর উপায়টা কি বলতে পারেন? উত্তর- বিভিন্ন ফোরামে গিয়ে “বিখ্যাত” ক্রিটিকদের বিশ্লেষণমূলক রিভিউ পড়া। বুঙ্গাকু শৌজো মুভিটি দেখার পর আমার এত বেশি ভাল লেগেছিল যে, আমি দৌড়ে গেছিলাম এটার রেটিং, রিভিউ ঘাটাঘাটি করতে। এবং সেগুলো দেখার পরে আমি উপলব্ধি করি, কোনরকম ধারণা ছাড়া মুভিটি দেখা শেষ করে আমি আসলেই ভাল কাজ করেছি।

ইনৌয়ে কোনোহা, আমাদের অ্যাভারেজ হাইস্কুল স্টুডেন্ট। শান্তশিষ্ট, চুপচাপ এ ছেলেটির সাথে একদিন স্কুলের ক্যাম্পাসে দেখা হয় একটি অদ্ভুত মেয়ের। নিজেকে “বুঙ্গাকু শৌজো” বা লিটারেচার গার্ল নামে পরিচয় দেয়া এ মেয়েটি প্রতীকী অর্থে নয়, বরং আক্ষরিক অর্থেই বই এর পৃষ্ঠা চিবিয়ে খায়। এক একটি গল্প এ মেয়েটির কাছে এক একটি সুস্বাদু স্ন্যাক!

এ পর্যন্ত শোনার পর মনে হতে পারে, এইতো, শুরু হল হাইস্কুল রোমান্স এর প্যানপ্যানানি, খালি এই বই চিবিয়ে খাওয়ার ব্যাপারটা একটু নতুন লাগছে। আমিও তাই ভেবে বসেছিলাম! এই মুভিটি দেখার আগে এর ১৫ মিনিটের একটি ওভিয়ে দেখা ছিল, সেটিও এমনই একটা আভাস দিয়েছিল। সুন্দর আর্টওয়ার্ক, প্রশান্তিদায়ক ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক কাহিনীটাকে উপভোগ করতে বেশ সাহায্য করছিল।

কিন্তু কিছুক্ষণ পরেই মোড় ঘুরে গেল কাহিনীর!! বেরিয়ে এল কোনোহার অতীত জীবনের এক বেদনাদায়ক কাহিনী, হাইস্কুল রোমান্স পরিণত হল মানবিক টানাপড়েন এর এক অপরিচিত গল্পে।

আচ্ছা, অনেকেই তো বলে, ভালবাসার মানুষকে কাছে রাখার জন্য আমি সবকিছু করতে পারব। সেই সবকিছুর দৌড়টা আসলে কতদূর? মিরাই নিক্কির গাসাই ইউনোর কল্যাণে সেই কতদূরের দৌড় কিছুটা হয়ত জানা আছে আমাদের, কিন্তু সেটা আমার কাছে অতি অবাস্তবতার মত লেগেছিল। এই মুভিটিতে বরং ব্যাপারগুলো বাস্তবতার খুব কাছাকাছি রেখে দেখানো হয়েছে, আর তাই আরও বেশি ভাল লেগেছে।

এ পৃথিবীতে কোন কিছুই নিখুঁত নয়, অবশ্যই এ মুভিটিও তার ব্যাতিক্রম নয়। আমার কাছে মনে হয়েছে মুভিটি তার প্রাথমিক উদ্দেশ্য থেকে বেশ খানিকটা দূরে সরে গেছে, অবশ্য এটা রিভিউ নিয়ে ঘাটাঘাটি করার আগে তেমন বড় হয়ে চোখের সামনে আসেনি। আর তা হল, লিটারেচার গার্ল নিজে। মুভিটির মাঝখানের বড় একটা অংশে তার কোন খোঁজ নেই, যদিও ঠিক সময়ে সে তার গুরুত্ব ঠিকই ফিরে পেয়েছে। কিন্তু তার এই বই চিবিয়ে খাওয়ার ব্যাপারটায় কোন আলোকপাত করা হয়নি, এটা একটু হতাশার ব্যাপার।

যাই হোক, সবমিলিয়ে মুভিটি আমার অত্যন্ত পছন্দ হয়েছে, মানবিক সম্পর্ক ও টানাপড়েন এর ব্যাপারটা এর আগে কোন মুভিতে এত সুন্দরভাবে পাইনি, আর ভুলোমনা লিটারেচার গার্ল এর পরিণত আচরণ আমাকে অনেক অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Book-Girl
OVA Link-
http://kissanime.com/Anime/Book-Girl-OVA

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

Movie Time With Yami – 66

5cm

Name: Byousoku 5 Centimeter / 5 Centimeters per Second
Duration: 3 episodes- 22 min per episode
MAL Score: 8.19
Ranked: 311
Genres: Drama, Romance, Slice if Life

এই মুভিটা দেখার আগে আমার প্রত্যাশা অনেক বেশি ছিল, দুটো কারণে। প্রথমত এটি মাকোতো শিনকাই এর পরিচালিত, এটি আগে এই ডিরেক্টরের একটাই মুভি দেখেছিলাম, “গার্ডেন অফ ওয়ার্ডস”, আর সেটি বেশ ভাল লেগেছিল; আর দ্বিতীয় কারণ হল এটি নিয়ে আমি সবধরণের অ্যানিমে গ্রুপে অনেক প্রশংসামূলক রিভিউ/রিএকশন দেখেছিলাম। কিন্তু মুভিটি দেখার পরে সত্যি কথা বলতে আমি কিছুটা নিরাশই হয়েছিলাম।

তাকাকি তোনো এবং আকারি শিনোহারা এলিমেন্টারি স্কুলের ক্লাসমেট এবং খুব কাছের বন্ধু। এলিমেন্টারী স্কুল পাসের পর আকারির বাবার বদলির কারণে আকারি অন্য একটি শহরে চলে যায়। দুজন যোগাযোগ রক্ষা করে একে অপরকে চিঠি লেখার মাধ্যমে।

এরপরে মিডল স্কুলে পড়ুয়া আকারি এবং তাকাকির আবার দেখা হয় তুষারঝড়ের মাঝে এক রেলওয়ে স্টেশনে, তাকাকি শহর ছেড়ে চলে যাওয়ার আগে তাদের শেষ দেখা এটি। তারা একজন আরেকজনকে মনের কথা জানিয়ে চলে যায় নিজেদের দ্বিখন্ডিত পথ ধরে। এরপর দুজনের ব্যস্ততা, প্রায়োরিটি এবং বাস্তবতা ও যৌক্তিকতার সাথে আবেগের সংঘাত দেখা দিতে থাকে।

মুভিটি তিনভাগে বিভক্ত, এই তিনভাগের মধ্যে তাকাকি এবং আকারির জীবনের কিছু চুম্বক অংশ তুলে ধরা হয়েছে। এলিমেন্টারি স্কুলের বাচ্চাদের অ্যাডোলেসেন্ট লাভ, মিডল স্কুলের ছেলেমেয়ের অপরিণত আবেগ ও আরেকটু পরিণত বয়সের অপ্রয়োজনীয় যুক্তিবোধ। কাহিনীকার ভালবাসা সংক্রান্ত আবেগীয় টানাপড়েন, বাস্তবতার সাথে যুদ্ধ এবং দুটো ছেলেমেয়ের আস্তে আস্তে পরিণত মানুষে রূপান্তর হওয়ার ধাপগুলো ড্রামাটিকভাবে ফুটিয়ে তুলতে চেষ্টা করেছেন, এবং কিছুদূর পর্যন্ত তিনি সফলও। কিন্তু আমার যে ব্যাপারটি ভাল লাগেনি তা হল, অতি নাটকীয়তা। মানুষের জীবনের কাহিনী, অর্থাৎ স্লাইস অফ লাইফ, এই ধরণের কাহিনীতে একটু নাটুকেপনা মেনে নেয়া যায়, কিন্তু তাই বলে “এলিমেন্টারী” স্কুলের বাচ্চা ছেলেমেয়েদের আবেগে ভেসে যাওয়ার ব্যাপারটা বেশ চোখে লেগেছে। চিঠি লিখে যোগাযোগ রক্ষার ব্যাপারটা খুব রোমান্টিক, মানছি, কিন্তু যেখানে তোমাদের হাতে সেলফোন নামক বস্তুটা আছে, একটু কষ্ট করে বস্তুটা মাঝে মাঝে ব্যবহার করলে তো এত ভেজাল বাঁধে না! ভালবাসলে সেটার প্রকাশটা স্ট্রংভাবে বের হয়ে আসেই, আমি বিশ্বাস করি এটা, কাজেই মুভির বেশকিছু জায়গা আমার কাছে বাড়াবাড়ি রকমের অবাস্তব লেগেছে। আর, মানছি জাপানের মানুষ আমাদের দেশের প্যারেন্টস দের মত ওভারপ্রোটেক্টিভ না, তাই বলে কোন বাপ মা নিজের এলিমেন্টারি স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে তুষারঝড়ের মাঝে একা একা ট্রেনে করে ৪-৫ ঘন্টার জার্নিতে যাওয়ার অনুমতি দেয়?

মুভিটির আর্টওয়ার্ক অতিরিক্ত ভাল, মাকোতো শিনকাই এর থেকে এর কম আশাও করা যায়না, এই আর্টওয়ার্ক আমাকে সাহায্য করেছে মুভিটা শেষ পর্যন্ত দেখতে। ঠাট্টা করে একজন ইউটিউব রিভিউয়ার এই মুভির নাম দিয়েছিলেন “5 wallpapers per second”!! সাউন্ডট্রাকও চমৎকার, এন্ডিং সংটা বেশ সুন্দর।

সবমিলিয়ে মুভিটি ওভারঅল খারাপ লাগেনি, তবে বেশ ওভাররেটেড লেগেছে। কে জানে, হয়তো আমার মেলোড্রামা ভাল না লাগাই এর পেছনে দায়ী!

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/5-Centimeters-per-Second

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

Movie Time With Yami – 65

8202163_orig

Name: Persona 3 Movie 2: Midsummer Knight’s Dream
Duration: 1 hr. 38 min.
MAL Score: 8.05
Ranked: 466
Genres: Action, Fantasy, Seinen, Supernatural

ডার্ক আওয়ারের ছায়ায় ঘুরে বেড়ানো ভয়ানক দানবগুলোর সাথে লড়াই করার মাধ্যমে জীবনে এগিয়ে যাওয়ার স্পৃহা খুঁজে পায় ইউকি মাকোতো। কিন্তু এই ডার্ক আওয়ারের পেছনের রহস্যটা কি? কিভাবে উদ্ভব হল এই আওয়ারের? পার্সোনা ইউজাররা একসময় জানতে পারে সেই রহস্যের কথা, এবং সেইসাথে এই সময়টা বিনাশ করার উপায়। কিন্তু সত্যিই কি এই আওয়ারকে ধ্বংস করা সম্ভব? পার্সোনা ইউজারদের সবারই কি একই লক্ষ্য, যে লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হতে থাকলে রয়েছে তাদের ক্ষমতা হারানোর সমূহ সম্ভাবনা?

মুভিটি স্প্রিং অফ বার্থ মুভিটির সিক্যুয়াল, এটি আগের মুভিটির কাহিনী খুব ভালভাবে এগিয়ে নিয়ে যায়। এখানে আর্টওয়ার্ক অনেক ইম্প্রুভ করেছে, ডার্ক শেডের মাঝে মাঝে কড়া রঙের ব্যবহারে যে কন্ট্রাস্টটা এসেছে সেটা অনেক নজরকাড়া ছিল। ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড ভাল ছিল, মুভির থিমের সাথে মানানসই। এই মুভিটিতে আগেরটির তুলনায় ফাইট একটু কম, এখানে মূলত রহস্যের ব্যাখার দিকে বেশি জোর দেয়া হয়েছে। পার্সোনা ইউজারদের নিজেদের মধ্যেকার সংঘাত এবং কনফিউশনটা খুব ভালভাবে দেখানো হয়েছে।

সবমিলিয়ে সিক্যুয়াল মুভি হিসেবে এটি আমার খুব ভাল লেগেছে, তাই আমি সাজেস্ট করব পার্সোনা সিরিজের দুটো মুভিই দেখে ফেলতে।

Movie Download Link-
http://kissanime.com/…/Persona-3-the-Movie-2-Midsummer…

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!