মুভির নামঃ Red Turtle
Production Company: স্টুডিও জিবলি ও ওয়াইল্ড বাঞ্চ।
IMDb Rating: ৭.৬
Personal Rating: ৮
২০১৭ সালের অস্কারের best animation feature film এর ক্যাটাগরিতে নমিনেশন পাওয়া।
খুব ছিমছাম সুন্দর ৮০ মিনিটের একটা মুভি। জটিল কোন কাহিনী না, স্নায়ুতে টান ধরানো কোন ক্লাইম্যাক্স না, খুব খুব খুব সাধারন একটা মুভি। এবং খুব চুপচাপ। হাসি আর কিছু চিল্লানো ছাড়া এখানে আর একটা কথাও নেই। মুভির সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং জিনিস মনে হয় এটাই। একটা কথাও না বলে কিভাবে এত সুন্দর একটা কাহিনী ফুটিয়ে তোলা যায়!
কাহিনী খুবই সরলরেখার। জাহাজভাঙ্গার পর এক লোকের জ্ঞান ফিরে নাম না জানা এক দ্বীপে। কয়দিন ধাতস্ত হওয়ার পর প্রথম সুযোগেই সে ভেলা বানায় দ্বীপ ছাড়তে যায়। কিন্তু প্রতিবারই একটু কিছুদূর যাওয়ার পর ভেঙ্গে যায় ভেলাটা। কয়েকবার চেষ্টার পর সে আবিষ্কার করে একটা লাল রঙের কচ্ছপের কাজ এটা।
গল্পটা বেশ ছোটই তাই আর বলতে গেলে এক-দুইটা যে টুইস্ট আছে সেগুলাও বলা হয়ে যায়। তাই বাকিটুকু জানতে দেখতে হবে মুভিটা।
এবার আসি সৌন্দর্যের কথায়। মুভিটা এককথায় চোখের শান্তি। ধূ-ধূ সাগরতট, সবুজ বন, নানা শেডের নীল পানি, উঁচু উঁচু ঢেউ দেখতে খুব ভাল লাগে। কিন্তু সাথে একটা একাকীত্বের অনুভূতি আসে। আমার দেখতে গিয়ে মনে হয়েছে, খাবার-পানি ছাড়া যেমন বাঁচা যায় না, তেমনি বি-শা-ল একটা জায়গায় একা থেকেও বাঁচা যায় না।
এবার ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। ডায়ালগের ঘাটতি আসলে এখানে অনেকখানিই মিটিয়ে দিয়েছে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। খুব সুদিং।
এমনিতে ড্রব্যাকের কথা যদি খুঁজে খুঁজে বলতে হয়, তবে বলব মুভিটা একটু স্লো। যারা এক্সাইটিং কিছু খুঁজছেন তারা মনে হয় কিছুটা হতাশই হবে। তবে এটা ঠিক ড্রব্যাক না। মুভির জানরাই এমন। স্লাইস অফ লাইফ- সুপার ন্যাচারাল যাদের পছন্দ কিংবা বেশ কিছুদিন ধরে যারা একশন-থ্রিলার দেখছেন, অথবা আমার মত আনিমে দেখা থেকে প্রায় অবসর নিতে বসেছেন- মোট কথা সবারই এই মুভি পছন্দ হবে।
মুভিটা আমার কাছে অনেকটা ছুটি কাটানোর মত রিল্যাক্সিং লেগেছে।
তাই, না দেখে থাকলে দেখে ফেলতে পারেন। সময়টা সুন্দর কাটবে।