আজ ২৮/১০/২০১৫ইং তারিখ বুধবার থেকে আমি পাভেল আহমেদ সকল সম্মানিত এনিমখোরের জন্য এনিমে সায়েন্স নামে একটি অভূতপূর্ব নতুন সেগমেন্ট চালু করতে যাচ্ছি।
সাধারনত আমি ANIME কে আনিমু, এনিমু, আনিমে বা এনিমের পরিবর্তে এনিম উচ্চারন করি।
কিন্তু এই সেগমেন্টের নাম তো এনিমে সাইন্স!
তবে তার মানে এই নয় যে আমি আমার উচ্চারনভঙ্গি পরিবর্তন করে ফেলছি।
বরং এর মানে এই যে আমি এনিমে সায়েন্স দিয়ে বোঝাচ্ছি এনিমের মধ্যে সায়েন্স! (সেগমেন্টের নামের মধ্যেও এমনকি ভাষাগত সায়েন্স দেখা যাচ্ছে!!)
এই সেগমেন্টে এনিমের ভিতরের পদার্থ, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, সমাজবিজ্ঞান, বাংলা, অংক, ইংলিশ সব ধরনের সায়েন্স নিয়ে আলোচনা করে ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ দেওয়া হবে!
এমনকি রীতিমতো এনিম লজিক অনুসারেও সাইন্টিফিক ব্যাখ্যা বিশ্লেষণসমূহ এই পোস্টে দেওয়া হবে!!
কয়েকদিন আগে NO VO চান একটি পোস্টে জিজ্ঞাসা করেছিলেন যে, কেউ কি তাকে Spice and Wolf এর মধ্যযুগীয় অর্থনৈতিক ব্যাপারগুলো বুঝিয়ে দিতে পারবে কি না?
সে জন্যই মূলত এই লেখাটির জন্ম হয়েছে। কিন্তু এত বিশাল এক্সপ্লেনেসন কমেন্ট হিসেবে দেওয়া সম্ভব ছিল না বলেই সরাসরি পোস্ট করছি।
বিঃদ্রঃ মিরাজ সব তোর দোষ! -_-
স্পাইস এন্ড উলফ এর মধ্যযুগীয় অর্থনীতি বুঝতে হলে চাহিদা, জোগান, বিনিময় এবং অবশ্যই অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অর্থাৎ অর্থ বা টাকা বা মানি সম্পর্কে বেসিক ধারনা থাকতে অবে। আর বলাই বাহুল্য যে মানির মান আল্লায় রাখে!
এখানে বলে রাখা ভালো যে আমি কিন্তু অর্থনীতির ছাত্র না। স্কুলে থাকতে সমাজ বইতে যা পড়েছিলাম আর ভার্সিটিতে এক সেমিস্টারে যা পড়ানো হয়েছিল সেটাই আমার ভরসা!!
তো আমি যতটা সম্ভব সহজভাবে একদম বেসিক থেকে শুরু করছি তাই একটু ধৈর্য ধরুন এবং পড়তে থাকুন। বোরিং লাগলে আমি, আপনি, কোন অর্থনীতিবিদ, এনিমখোরের এডমিন প্যানেল, দুনিয়া অথবা পুরো ইউনিভার্সের কেউই কোনক্রমে দায়ী নয়!!!
তবে তার আগে…..
যারা যারা স্পাইস এন্ড উলফ দেখেনি তাদের জন্য স্পয়লার এলারট!
তবে স্পয়লার এখনই শুরু হবে না।
আসল স্পয়লার শুরুর আগে আরেকদফা এলারট দেওয়া হবে।
আমরা যখন পণ্যদ্রব্য কেনাকাটা করি তখন সেগুলো নির্দিষ্ট দামের বিনিময়ে কিনি। প্রাচীনকালে যখন টাকা ছিল না তখন বিনিময় প্রথা চালু ছিল। অর্থাৎ এক পণ্যের বিনিময়ে অন্য একটি পণ্য কিনতো তখন মানুষ। যেমনঃ একজন কৃষক হয়তো ১ জন জেলেকে ১০ কেজি চাল দিয়ে ১০ টি ইলিশ মাছ কিনতে পারতো।
কিন্তু এই সিস্টেমের প্রধান ২ টি সমস্যা ছিলঃ
১। আমি চালের বিনিময়ে মাছ কিনতে চাইলেও যার কাছে মাছ আছে তার চাল প্রয়োজন নাও হতে পারে। সুতরাং সে আমাকে চালের বিনিময়ে মাছ বিক্রি করতে চাইবে না। তার হয়তো গম প্রয়োজন কিন্তু আমার কাছে গম নেই। তার মানে আমরা উভয়েই এক্ষেত্রে অসফল।
২। দ্রব্য মূল্যের কোন স্ট্যান্ডার্ড বা আদর্শ মাপ কাঠি ছিল না। ফলে কোন জিনিসের মূল্য কেমন হতে পারে সে সম্পর্কে কারও কোন ধারনাই ছিল না। যার কারনে বিনিময় করার সময়ে একেক জন একেক হিসাবে পণ্য বিনিময়ের মাধ্যমে বেচাকেনা করতো।
দ্রব্য মূল্যের স্ট্যান্ডার্ড বলতে আমরা মূল্য পরিমাপ করার একককেই বোঝাচ্ছি। যেমনঃ দৈর্ঘ্য, প্রস্থ মাপার জন্য ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড (SI) এককে মিটারকে আদর্শ মানা হয়। সময় মাপার জন্য সেকেন্ড, মিনিট, ঘণ্টা ইত্যাদি ব্যাবহার করা হয়।
তো এসকল সমস্যা সমাধান করার জন্য Intermediary বা মধ্যবর্তী কিছু একটার প্রয়োজন ছিল। এবং মধ্যযুগে সেই মধ্যবর্তী জিনিস হিসেবে ব্যাবহার করা হয় স্বর্ণ আর রূপা। আরও স্পেসিফিকালি বলতে গেলে স্বর্ণ আর রূপার মুদ্রা। ফলে দাম নির্ধারণে এবং কেনাকাটায় সকল সমস্যার সমাধান হয়ে গেলো।
স্বর্ণ আর রূপা কেন ব্যাবহার করা হতো?
কারন ধাতুগুলো প্রাকৃতিকভাবেই চকচকে, স্বাভাবিকের থেকে ভিন্ন রং বিশিষ্ট এবং প্রকৃতিতে এর সুলভতা কম অর্থাৎ এগুলো খুঁজে পাওয়া তুলনামূলক কঠিন ব্যাপার।
এছাড়াও স্বর্ণ আর রূপার আরেকটি সুবিধা হল পরিবনযোগ্যতা। ছোট ছোট স্বর্ণ এবং রূপার টুকরা বা কয়েন খুব সহজেই কোন ধরনের থলেতে করে পরিবহন করা যায়। ধাতু হবার কারনে স্বর্ণ ও রূপার নমনীয়তা বৈশিষ্ট্যের কল্যাণে একে গলিয়ে ইচ্ছামত আকৃতি দেওয়া যায়।
পরিবহনযোগ্যতা বৃদ্ধি করার জন্য টাকার আকৃতি ছোট রাখতে হয় এবং একই সাথে সহজে যেন ক্ষয় না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হয়। স্বর্ণ আর রূপার মুদ্রা একই সাথে ছোট আকৃতির হবার কারনে সহজে পরিবহনযোগ্য এবং সহজে ক্ষয় হয় না বলে মধ্যযুগে এর জনপ্রিয়তা ব্যাপক ছিল। ঠিক একই কারনে বর্তমানে কাগজের টাকা বা ধাতব কয়েনের পরিবর্তে ক্রেডিট কার্ড সিস্টেম এবং মোবাইল ব্যাংকিং এত জনপ্রিয় হয়েছে।
এখন স্বর্ণ দিয়ে যখন কয়েন বানানো হয় তখন ওই কয়েনের মূল্য নির্ভর করে কয়েনে থাকা খাঁটি স্বর্ণের পরিমানের উপর। সোজা ভাষায় যে কয়েনে স্বর্ণের পরিমান বেশি সে কয়েনের মূল্যও বেশি। একই কথা রূপার কয়েনের ক্ষেত্রেও খাটে। অবশ্যই স্বর্ণমুদ্রার দাম রৌপ্যমুদ্রার থেকে বেশি। এখানে আরেকটা কথা আছে। কয়েনের ফেস ভ্যালু বা ব্র্যান্ড ভ্যালুও কিন্তু একটা ফ্যাক্ট। একেক কয়েন একেক রাজ্যের লর্ড ইস্যু করেন। সত্যি কথা হল যে কয়েনের ব্র্যান্ড বা ফেস ভ্যালু এতে থাকা স্বর্ণ বা রূপার থেকেও বেশি। আমেরিকান ডলার আর বাংলাদেশি টাকার মূল্যের পার্থক্য দিয়ে ব্যাপারটা বুঝা যেতে পারে।
এখন এই ব্র্যান্ড ভ্যালু কিভাবে কয়েনের মূল্যকে প্রভাবিত করে?
একটা ব্যাপার বুঝতে হবে যে টাকার আসলে কিন্ত কোন মূল্য নেই। টাকার মূল্য দিয়ছি আমরা। টাকা মানুষের তৈরি একটা জিনিস যাকে মানুষ কোন কিছুর মূল্য নির্ধারণে ট্রাস্ট করছে। যদি কোন কয়েন বা কারেন্সির উপর থেকে মানুষের ট্রাস্ট হারিয়ে যায় তখন সেই কারেন্সি ভ্যালুলেস হয়ে যায়। তার মানে যে কারেন্সি বা কয়েনের অর্থাৎ কয়েনের যে ব্র্যান্ডের উপর মানুষ বেশি ট্রাস্ট করবে সে কয়েন বা কারেন্সির অর্থাৎ সেই ব্র্যান্ডের মূল্যও বেশি হবে। আর ট্রাস্ট কম করলে তার মূল্যও কম হবে। এটা যেমন কোন প্রোডাক্ট এর ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রে সত্য ঠিক তেমনি টাকার ফেস বা ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেও সত্য।
উদাহরনঃ ইজি (EASY) বা প্লাস পয়েন্ট ব্র্যান্ডের একটি টি সার্ট এর মূল্য একটি নন ব্র্যান্ডের টি শার্ট এর থেকে বেশি হয় যেহেতু মানুষ এই দুটি ব্র্যান্ডকে ট্রাস্ট করে। আবার পোলো শার্টের মূল্য এই দুই ব্র্যান্ডের শার্ট এর থেকেও বেশি। একই কথা আমেরিকান ডলার এবং বাংলাদেশি টাকার ক্ষেত্রেও খাটে। এই ব্যাপারটা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য C MONEY OF SOUL AND POSSIBILITY CONTROL নামের মাত্র ১১ পর্বের এনিমটি দেখতে পারেন।
বর্তমান সময়ে চালু থাকা কাগজের/প্লাস্টিকের টাকা বা ধাতব কয়েনের মূল্যও কিন্তু আসলে একটি দেশের স্বর্ণের রিজার্ভ এর উপর ভিত্তি করে নির্ধারিত হয়। অর্থাৎ আসলে আমরা এখনও সেই প্রাচীন আমলের মত স্বর্ণ দিয়েই কেনাকাটা করছি। পার্থক্য হল যে সরাসরি স্বর্ণ বা রূপা আদান প্রদান করার পরিবর্তে আমরা অন্য এমন কিছু ব্যাবহার করছি যা স্বর্ণের রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ টাকা, ডলার, পাউন্ড, রুপী, দিনার, রিয়াল, ইয়েন, পেসো এগুলো সবই আসলে কোন না কোন নির্দিষ্ট পরিমানের স্বর্ণকেই রিপ্রেজেন্ট করে।
এখান থেকেই স্পাইস এন্ড উলফের প্রথমদিকের কাহিনীর ঘোরপ্যাঁচ এর সাথে সম্পর্ক শুরু হয়েছে যেখানে আমিও বেশ কনফিউজড হয়ে গিয়েছিলাম শুরুর দিকে।
স্পয়লার এলারট>>>>>
.
.
.
.
.
ক্রাফট লরেনসকে এক ছিঁচকা ব্যাবসায়ি তথ্য দেয় যে কোন একটি নির্দিষ্ট সিলভার কয়েনের পিউরিটি বৃদ্ধি করা হচ্ছে। মানে ওই কয়েনে সিলভারের পরিমান আরও বেশি হবে। লরেন্স ব্যাপারটা নিয়ে কিছুটা সন্দিহান থাকলেও একে একটা সম্ভাবনা হিসেবে ধরে নিয়েছিল এজন্য যে, সাধারনত কয়েনের পিউরিটি বৃদ্ধি করার ব্যাপারটি কমন একটা প্র্যাকটিস।
এখন প্রশ্ন হল যে পিউরিটি বৃদ্ধি করা হলে কার কি?
কয়েন তো একই থাকছে।
এর উত্তর একটাই।
আর সেটা হল একই কয়েনে সিলভারের পরিমান বাড়ছে। ফলে নতুন কয়েনগুলোর মূল্য পুরানো কয়েনগুলো থেকে বেশি হবে। তার মানে কয়েনও টেকনিক্যালি একই থাকছে না।
এখন এই ক্ষেত্রে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ হল নতুন কয়েন সার্কুলেশনের সময় পুরানোগুলো অন্য কোন দেশের কয়েনের সাথে এক্সচেঞ্জ করে ফেলা অর্থাৎ বিক্রি করে ফেলা।
ক্রাফট Holo কে জিজ্ঞাসা করে জানতে পারে যে ওই ছিঁচকা মিথ্যা বলছিল। ক্রাফট এর কথা অনুসারে কয়েনের ভ্যালু নিয়ে জালিয়াতি নতুন কিছু নয়, কিন্তু সে এই মিথ্যার পিছনের কারণটি ধরতে পারছিলো না। কারন তথ্যটি যদি মিথ্যা হয় এবং ক্রাফটের যদি লস হয় অথবা লাভ-লস কিছুই না হয় তাহলে ওই ছিঁচকারও কোন লাভ হওয়ার কথা না।
ক্রাফট এক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত নেয় যে সে এই তথ্যটি বিশ্বাস করার ভান করবে কিন্তু পিছনে সে তথ্যের যথার্থতা জাচাই করার জন্য তদন্ত চালিয়ে যাবে। যদি তথ্যটি সত্যি হয় তখন সে প্রফিট করতে পারবে। আর তথ্যটি মিথ্যা হবার মানে হল যে, কেউ একজন ষড়যন্ত্র করছে। তখন ক্রাফট এই তথ্যটি ব্যাবহার করে প্রফিট করতে পারবে। মানে যেদিকে তাকাই শুধু প্রফিট আর প্রফিট!
যাই হোক ক্রাফট আর ছিঁচকার মধ্যে ডিল হয় যে ছিঁচকা ক্রাফটের কাছ থেকে ১০ ট্রেনি/থরেনি সিলভার কয়েনের বিনিময়ে ইনফরমেশন দিবে যে কোন কয়েনের সিলভার বৃদ্ধি করা হচ্ছে। এছাড়াও ক্রাফট প্রফিট করার পর প্রফিটের ১০% ও তাকে দিতে হবে। পুরান এবং নতুন কয়েনের ভ্যালুর পার্থক্য থেকেই প্রফিট আসবে। অবশ্যই তাদের মাঝে অফিসিয়াল কাগজেই চুক্তিপত্র সই করে ডিল হয়। কারন মুখের কথায় তো আর চিড়া ভিজে না!
তো শেষ পর্যন্ত জানা গেলো যে ট্রেনি/থরেনি সিলভার কয়েনের সিলভার পিউরিটি বৃদ্ধি পেতে পারে।
এখানে ক্রাফট হোলো এর কাছে কয়েনের মূল্য এক্সপ্লেইন করে ট্রেনি আর ফিলিং সিলভার কয়েনের তুলনা দিয়ে। ফিলিং সিলভার কয়েন বেশ জনপ্রিয় এবং এর সিলভার এর পরিমাণও বেশ রিচ। একারনে এটা ট্রেনি সিলভার কয়েনের প্রতিদ্বন্দ্বী রাইভাল। যখন মার্কেটে বিদেশী নতুন কোন কয়েন নিয়ে আসা হয় তখন দেশি কয়েনের রাইভাল বৃদ্ধি পায়। ওই বিদেশী কয়েন প্রস্তুতকারক দেশ তখন মার্কেটে প্রভাব বিস্তার শুরু করে। এটা ঠেকানোর জন্য দেশি কয়েনগুলোর পিউরিটি বৃদ্ধি করার প্রয়োজন পড়ে যাতে দেশি কয়েনের ভ্যালু আরও বেশি হয়।
উদাহরণঃ কাপড়ের ব্যাবসায়িদের মধ্যে কাপড়ের কোয়ালিটি নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়। যে যত কম মূল্যে যত ভালো কাপড় দিতে পারবে মানুষ তার কাপড়ের দিকেই বেশি আগ্রহী হবে। কয়েনের কম্পিটিশনের ব্যাপারটিও অনেকটা এরকমই।
এই লজিক থেকে ক্রাফট ধারনা করে যে হয়তো ওই ছিঁচকা সত্যি কথাই বলছিল।
তদন্ত করার জন্য ক্রাফট হোলোকে নিয়ে তার এক পরিচিত মানি এক্সচেঞ্জ ব্যাবসায়ির কাছে যায়। এই মানি এক্সচেঞ্জ এর সিস্টেম আজ অবধি একইভাবে চালু আছে। তারা এক ধরনের কারেন্সির বিনিময়ে আরেক ধরনের কারেন্সি এক্সচেঞ্জ করে দেয় এবং কারেন্সি হ্যান্ডেলিং এর জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমান ফি রাখে।
সাধারনত মধ্যযুগে কয়েনের পিউরিটি বাড়ানো-কমানো কমন একটা ব্যাপার ছিল। আর মানি এক্সচেঞ্জারেরা এই ব্যাপারে বেশ সেন্সিটিভ ছিল। যখন কয়েনের পিউরিটি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় তার আগে বেটা টেস্টিং এর উদ্দেশ্যে পিউরিটি সামান্য বৃদ্ধি করে মার্কেটে ছাড়া হয় মানুষের রিএকশন দেখার জন্য। এই রিএকশনের উপর নির্ভর করে যে পিউরিটি বাড়ানো হবে কিনা।
যা বলছিলাম, মানি এক্সচেঞ্জারের কাছে যখন তারা যায় তখন সেও বলতে পারে না যে আসলেই পিউরিটিতে কোন পরিবর্তন আছে কিনা। তাই হোলো দুটি ট্রেনি কয়েন হাতে নিয়ে কানের কাছে ঝাঁকিয়ে শব্দ থেকে রূপার ঘনত্ব বোঝার চেষ্টা করছিল। একটি ট্রেনি কয়েনকে পার্মানেন্টলি হাতে রেখে অন্য কতোগুলো ট্রেনি কয়েনকে একটা একটা করে বার বার এক্সচেঞ্জ করে সে এই কাজ করছিল। অনেক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন মানি এক্সচেঞ্জারেরা নাকি এভাবে কয়েনের পিউরিটি পরীক্ষা করতে পারেন যদিও ব্যাপারটা লেজেন্ডে পরিনত হয়েছে!
তো এভাবেই হোলো এবং ক্রাফট বুঝতে পারে যে কয়েনের পিউরিটি নেমে গিয়েছে। অর্থাৎ ওই পুচকা ছিঁচকা আসলে একটা মিচকা!
কয়েনের ভ্যালু কমে যাওয়ার পরেও যদি ক্রাফট প্রফিট করতে পারে তাহলে প্রফিটের ১০% ওই ছিঁচকা পাবে। আর যদি ক্রাফট লস করে তাহলে ছিঁচকা শুধুমাত্র ক্রাফটের কাছ থেকে নেওয়া ১০ ট্রেনি সিলভার কয়েন ফেরত দিবে। অর্থাৎ কোনভাবেই ছিঁচকার লস হচ্ছে না। উল্টো এই ১০ ট্রেনি সিলভার কয়েনকে পুঁজি হিসেবে খাটিয়ে ইতিমধ্যে সে হয়তো প্রফিট করে নিতে পারবে কোথাও থেকে (হয়তো!)।
হোলো এরপর নতুন এক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে ক্রাফটের কাছে সম্ভাব্য পরিস্থিতি ধরিয়ে দেয়। হয়তো ছিঁচকা সরাসরি ক্রাফটের কাছ থেকে প্রফিট করবে না। হয়তো কোন থার্ড পার্টির কাছ থেকে সে প্রফিট নিবে। ক্রাফটের মস্তিষ্কের বেয়ারিংগুলো বন বন করে ঘুরতে থাকে এবং অবশেষে সে এই মিথ্যার পিছনের জালিয়াতি ধরতে পারে! সে বলে যে কয়েনের মূল্য কমে গেলে তার থেকে প্রফিট করার একটা ট্রিক তার জানা আছে।
সে গিয়ে তৎক্ষণাৎ মিলন (!) কোম্পানিকে পরিস্থিতি সম্পর্কে ইনফর্ম করে তাদের সাথে এই বিষয়ে ডিল করার উদ্দেশ্যে। মিলন কোম্পানি সামান্য তদন্ত করে জানতে পারে যে ছিঁচকার পিছনের মিচকা হল মেডিও কোম্পানি। কিন্তু মেডিও কোম্পানিরও এমনকি এত বড় আকারের ষড়যন্ত্র করার মত ক্ষমতা নেই। তার মানে এদেরও পিছনের আসল মিচকা হল কোন এক অভিজাত ছিঁচকা।
এখন প্রশ্ন হল যে ট্রেনি সিলভার কয়েনের পিউরিটি বৃদ্ধি পাচ্ছে এই গুজব ছড়িয়ে তাদের লাভটা কি?
গুজব ছড়িয়ে লাভটা কি সে প্রশ্নের উত্তর পরের পর্বে পাবেন। আপাতত যা পেয়েছেন তাই নিয়েই সন্তুষ্ট থাকুন। একদিনে বেশি ডোজ নেওয়া ঠিক নয়!
আজকের মত এখানেই শেষ করছি।
ভালো থাকুন
সুস্থ থাকুন
সুখে থাকুন
শান্তিতে থাকুন এবং
এনিম দেখুন!
2 B Continued