রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #৩০: Mirai Nikki — Zakaria Mehrab

এনিমেঃ মিরাই নিক্কি (দ্যা ফিউচার ডায়েরি)

জনরাঃ মিস্টেরি, সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজিকাল, থ্রিলার
এপিসোড সংখ্যাঃ ২৬ এপিসোড + ১ ওভিএ
ম্যাল রেটিংঃ ৮.২

শব্দসংখ্যা সীমিত । সূচনা বাদ দিয়ে তাই অন্য পয়েন্ট এ চলে যাই । তবে যেটা মাথায় রাখতে হবে এইটা হচ্ছে ড়িভিউ 😎 গ্যাগ হিসেবে কন্টেস্ট এ পাঠালাম 😀

প্লট (আই সুলেমানলি সয়্যার দ্যাট আই এম আপটু নো গুড)ঃ

হাইস্কুল বালক আমানো ইউকিতেরু উরফে “ইউক্কি” ; পড়াশুনায় মনোযোগ নাই , মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে তার দোস্ত ডিউস এর সাথে বকবক করে আর সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি করে । তবে ফেসবুক-টুইটার না ; তার আসক্তি হল ডায়েরি লেখায় । পুরা মোবাইলটাকে সে একটা ডায়েরি বানিয়ে ফেলে যেইখানে তার প্রতিটি কাজকর্ম সে লিপিবদ্ধ করে রাখে । বেশি মোবাইল টিপলে , চোখের বারোটা বাজে । আমানোর ও বারোটা বাজল । তবে চোখের না , তার মোটামুটি পুরা চৌদ্দগুষ্টির বারোটা বেজে গেল । একদিন আমানো দেখে ঐদিনের দিনলিপি আগে থেকেই মোবাইলে এন্ট্রি করা আছে । এবং  সব এন্ট্রিগুলাই মিনিটে মিনিটে সত্য প্রমাণিত হতে থাকে । হতভম্ব আমানো আরো থ হয়ে যায় যখন সে জানতে পারে তার কল্পনার দোস্ত ডিউস আসলে একজন গড, আমানোর ডায়েরি একটি ফিউচার ডায়েরি যেটা তার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুর ভবিষ্যৎবাণী করে এবং তার মত আরো এগারোজন ডায়েরি ইউজার আছে । প্রত্যেকের উদ্দেশ্য বাকিদেরকে চন্দ্রবিন্দু করে বেঁচে থাকা । সবশেষে যে একজন টিকে থাকবে সেই হবে ডিউস এর উত্তরাধিকারী । সুতরাং ডিউস চোধুরী সাহেবের সম্পত্তির লোভে ডায়েরি ইউজাররা রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠে । আমানোর সাথে যোগ দেয় তার উপর উথালপাথাল ক্রাশ খাওয়া গাসাই ইউনো যে আমানোকে “পাবার জন্য সবকিছু করতে রাজি” ।  বাংলা সিনেমা লাগছে ?  এইখানে “সবকিছু” বলতে কি বুঝায় আপনার ধারণাই নাই । ধারণা পাওয়ার জন্য  ২৬ এপিসোড+১ ওভিএ এর এনিমেটি দেখে ফেলতে হবে ।

এইবার কাটাছেড়া করি 😀

নক্সঃ

এনিমে মেইন ক্যারেক্টার বললে চোখে কি ভেসে উঠে? বোকা, স্থিরপ্রতিজ্ঞ , বন্ধুবৎসল, সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে স্মার্ট ইত্যাদি আরো কিছু । তবে এই এনিমেটির মেইন ক্যারেক্টারটি একটি অভিজাত শ্রেণীর বলদ বাদে আর কিছু ই না । সুতরাং আপনি যদি বিন্দুমাত্র কুলনেস চান মেইন ক্যারেক্টার এর ভিতরে আপনাকে হতাশ হতে হবে ।  খালি একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই । আপনার ক্লাসের কোন মেয়ে যদি বলে বড় হয়ে আপনাকে বিয়ে করবে , কত উচ্চ শ্রেণীর বলদ হলে আপনি এই অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে পারেন? আরেকটি সতর্কতা হল ক্ষণে ক্ষণে ন্যাকা গলায় “ইউককককি , ইউককককি” আহ্লাদ শুনে যদি নায়িকার গলা চেপে ধরার পৈশাচিক আক্রোশ জেগে উঠে তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে ।

লুমোসঃ

 উৎসাহ হারাচ্ছেন ? তাইলে এইবার ভালো কিছু ফেলি । স্বীকার করতেই হবে, প্লট বেশ ইন্টারেস্টিং এবং আমার দেখা সেরা (সম্ভবত) প্লট টুইস্ট টি এই এনিমেতে রয়েছে । স্পয়লার ছাড়া এনিমেটি দেখে যেতে পারলে আপনি যে একটি বেশ ভালো কাহিনী উপভোগ করে উঠবেন এতে সন্দেহ নাই । রোমাঞ্চকর ও পিলে চমকানো কিছু সিন পাবেন , সেই সাথে রয়েছে মানানসই ওপেনিং ও এন্ডিং সং । মেইন ক্যারেক্টার বাদে বেশ কিছু প্রভাব ফেলা ক্যারেক্টার আছে । আর রয়েছে গাসাই ইউনো । ন্যাকামি বাদ দিলে ইউনোর প্রভাব সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী এবং তার কাজকর্ম দেখে মুহূর্তের জন্য মস্তিষ্ক অবশ করার জন্য হলেও এনিমেটি দেখা আসে ।

ইন্টারেস্টিং একটি জিনিস বলে রাখি । এপিসোডের নামগুলো খেয়াল করলে দেখবেন সেগুলো প্রতিটি ই মোবাইল সম্পর্কিত কোন টার্ম ।

মিসচিফ ম্যানেজডঃ 

সুতরাং পপকরন এবং প্যারেন্টাল গাইডেন্স নিয়ে বসে পড়ুন এবং দেখে ফেলুন মিরাই নিক্কি । তবে দেখার পর যখন আপনার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটিং এ যাবেন তখন দয়া করে কোন ক্রিটিকাল কোন স্থানে (যেমন ছাদে, নদীর পাড়ে ইত্যাদি) বসবেন না । গার্লফ্রেন্ড আদুরে কন্ঠে “জানু, বাবু” ডাকলে সমস্যা নাও থাকতে পারে । তবে চমকে গিয়ে আপনি ছাদ থেকে কিংবা নদীতে পড়ে গেলে সেটা সমস্যা ।

30 Mirai Nikki

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৮: Usagi Drop — Goutam Debnath Sagar

নামঃ Usagi Drop. Bunny Drop
জনরাঃ slice of life, comedy-drama
পর্বঃ ১১ ( মাঙ্গা ৯ ভলিউম)

রহস্যের মারপ্যাচ, ধুন্দুমার একশন, লুতুপুতু প্রেম দেখতে দেখতে ক্লান্ত অথবা পরীক্ষা, প্রেমিক/প্রেমিকা, পরিবার নিয়ে চিন্তা করতে করতে আপনার মস্তিষ্কের নিদারুণ হাল, একটু শান্তি খুঁজছেন? তাহলে এই আনিমে টা আপনার জন্য। ১১ পর্বের ১১x২২= ২৪২ মিনিট আপনাকে Never give up বলে John Cena বানাইতে বা lifeless loser থেকে super heroতে রুপান্তর করতে অথবা Power of friendship দিয়ে কিভাবে পৃথিবী বশ করা যায় তা না দেখাইতে পারলেও নির্মল বিনোদনের প্রতিশ্রুতি আমি দিতেই পারি(আপনি sol পছন্দ না করলে ভিন্ন কথা)।

কাহিনীঃ ৩০ বছরের বেচেলর দাইকিচি তার দাদার শেষঃকৃত অনুষ্ঠানে গিয়ে দাদার ৮ বছর বয়সী অবৈধ সন্তান রিন এর দেখা পায়। স্পর্শকাতর জন্ম তার উপর মা কে তা জানা নাই বলে পরিবারের অন্যান্যরা রিন থেকে মুক্তির পথ খুঁজতে থাকে। শেষ পর্যন্ত নীরব লক্ষ্মী মেয়েটার অনাথ আশ্রমে স্থায়ী ঠিকানা হওয়ার আশংকা দেখা যাওয়ায় দাইকিচি নিজের খালাকে adopt করবে বলে সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু একজন বেচেলরের জন্য কাজের সাথে একটি মেয়ে পালন করা কি সম্ভব? রিন এর মাই বা কে? দাইকিচি কি তার চাকুরী রাখতে পারবে? রিনকে তার পরিচয় কি দিবে? Find out মরে on the next episode of Usagi Drop.

artwork আর music তেমন বলার মত কিছু না। অপেনিং বা এন্ডিং এভারেজ এগেছে। ভালো লেগেছে রিন এর সেইয়ু। দাইকিচি আর রিন এর chemistry ছিল দেখার মত। আমি রেটিং পছন্দ করি না, তাই মাল বা আমার রেটিং দিলাম না। শুধু বলব একবার ট্রাই করে দেখুন। আর আপ্নি যদি sol without romance এর ভক্ত হন বা একটু আলাদা story চেখে দেখতে চান তাহলে আপনি এইটাই খুঁজছেন।

critism বা review লেখায় আমি অতীব noob। আশা করি ভুলত্রুটিগুলো ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

28 Usagi Drop

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৭: Hadashi no Gen (Bearfoot Gen) — Rafid Rahim

নামঃ Hadashi no Gen(Bearfoot Gen) [Movie]
জনরাঃTragedy,Drama,Historical
MAL  rating:  7.96

লিঙ্কঃ http://kissanime.com/Anime/Hadashi-no-Gen

৬ অগাস্ট,১৯৪৫ মানব জাতির ইতিহাসের সব চেয়ে ভয়াল দিন। এইদিনে জাপানের হিরশিমা শহরের বুকে নরক নামিয়ে আনা হয়েছিল। সেই ভয়াবহ দিনের কিছু মর্মান্তিক ঘটনা এই মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে।

স্টোরিঃ

গল্পটি প্রধান ক্যারেক্টার একজন দুরন্ত বালক গেন(Gen) কে ঘিরেই। গেন তার পরিবার এর সাথে হিরোশিমা শহরে বাস করে।তার পরিবারে রয়েছে তার বাবা-যিনি পরিবার এর জন্য কঠোর পরিশ্রম করে খাদ্য যোগায়,তার ছোট ভাই সিনজি-যে সারাদিন গেন এর সাথে খেলা-ধুলায় মেতে থাকে,তার বড় বোন-যে শান্তশিষ্ট ও দায়িত্বশীল  এবং তার মা- যিনি জন্ম দিতে যাচ্ছে তাদের ৪র্থ সহোদর।অত্যন্ত অভাব-অনটন এর মধ্যে থাকলেও তারা সুখেই দিন কাটাত।

৬ই আগস্ট,নিত্য দিনের মত সে দিন সকালবেলাও তারা ঘুম থেকে উঠে তাদের নিত্য কাজকর্ম করতে শুরু করে,গেন তার স্কুল এর উদ্দেশে রউন হয়।

সকাল ৮টা বেজে ১৫মিনিট, “ইনলা গে” নামক বি২৯ বোমারু বিমান থেকে “লিটল বয়” হিরশিমা শহরের কেন্দ্রে নিক্ষেপ করা হোল। প্রকাণ্ড বিস্ফোরণে পুরো শহর তছনছ হয়ে গেল,মুহূর্তেই নিভে গেল হাজারো প্রাণ, শহরের একটিও দালানকোঠা অবশিষ্ট থাকল না।

হাল্কা কিছু ধ্বংসস্তূপ এর নিচে চাপা পরে গেন তার জ্ঞান হারায়। জ্ঞান ফেরার পর সে নারকীয় দৃশের সাক্ষি হয়। চারিদিকে শুধুই ধ্বংসস্তূপ এবং আহাত মানুষের হাহাকার। ক্ষতিকর তেজক্রিয়া এর আঘাতে মানুষের চামড়া পুড়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে তাদের মানুষ বলে আর চেনা যাচ্ছে না।স্তূপ এর নিচে চাপা পরে আছে অনেকে,তাদের সাহায্য করার কেউ নেই।

গেন তার পরিবার এর কথা চিন্তা করে দৌড়ে তার বাসার দিকে রউনা হয়।তার পরিবার এর সবাই বেঁচে আছে কি? তারা কি আর স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে পারবে?……স্পইলার না দিয়ে এখানেই বর্ণনা সমাপ্ত করলাম।

অ্যানিমেশন: মুভিটি ১৯৮৩ সালে বানানো হয়েছে তাই অ্যানিমেশনটাও সে সময় এর সাথে মানানসই । তবে এতে কিছু graphic দৃশ্য  রয়েছে। বিস্ফোরণ এর প্রতিক্রিয়া,তেজক্রিয়া এর সংস্পর্শে মানুষ এর চাপড়া বিকৃত হয়ে যাওয়া,আহাত মানুষের হাহাকার ও গোঙানি ইত্যাদি দৃশ্য ভয়ানক ভাবেই ফুটিয়ে তলা হয়েছে।

কেন আপনি এই আনিমে দেখবেন?

“Grave of fireflies” এর সাথে এই মুভি এর অনেক মিল আছে।সুতরাং যারা “Grave of fireflies দেখে অশ্রু ঝেড়ে ছিলেন,তারা এই মুভিটি দেখার আগে অবশই একটি টিস্যু বক্স নিয়ে বসবেন অশ্রু মুছার জন্য। এই মুভিটি শুধু পরমানবিক অস্ত্রের ভয়াবহতাই দেখানো হয়নি,সেই সাথে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে সতর্ক বার্তাও পাঠানো হয়েছে ।তাছাড়া দুর্ঘটনা পরবর্তী মানুষের বেঁচে থাকার সংগ্রাম এবং অতীত কে পিছে ফেলে নতুন জীবন গড়ার অপ্রাণ চেষ্টা তুলে ধরা হয়েছে।

মুভিটি অনেক ভাল হলেও তা “Grave of Fireflies” এর ছায়ায় পোরে আন্ডার রেটেড হয়ে আছে। অনেকের মতে, কিছু দিক দিয়ে এই মুভিটি GoF কেও ছাড়িয়ে যায় ।

সব মিলিয়ে বলা যায়,এই মুভিটি একটি আন্ডার রেটেড মাস্টারপিস বটে।

27 Hadashi no Gen

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৬: Death Note — Mehedi Zaman

ডেথ নোট (Death Note)
এপিসোডঃ ৩৭
জনরাঃ মিসটেরি, সাইকোলজিক্যাল, থ্রিলার, সুপারন্যাচারাল, পুলিশ।
Myanimelist Score: ৮.৭৬

ধরুন আপনি এমন এক নোটবই পেলেন, যেখানে কারো নাম লিখলে সেই ব্যাক্তি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে মারা যাবে। তাহলে আপনি কি করবেন? এরকমই এক কঠিন প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয় ডেথ নোট। এই এনিমেতে রয়েছে মানুষের বিবেকবোধ এবং ন্যায়বোধ এর এক চরম পরীক্ষা। যদি আপনি জানতে চান এরকম পরিস্থিতিতে পরলে একজন কি কি করতে পারে এবং এই এনিমের শেষ পরিণতি কি তাহলে অবশ্যই দেখবেন ডেথ নোট।

 

কাহিনী/প্লটঃ ১০/১০

ডেথ নোট এনিমেটির কাহিনী বেশিরভাগ এনিমে থেকে একটু ভিন্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘য়াগামি লাইট’, একজন ১৭ বছরের তরুণ একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার সময় একটি নোটবই পায়, যার শিরোনাম ছিল ‘ডেথ নোট’। সে ডেথ নোটের কার্যকারিতা যাচাই করে দেখল যে আসলেই এর মাধ্যমে যে কাউকে মারা যায়। এর জন্য শুধু প্রয়োজন সেই ব্যাক্তির সঠিক নাম। য়াগামি তখন এই পৃথিবীকে এক শান্তিময় স্থান বানানোর জন্য, অপরাধমুক্ত করার জন্য, অপরাধিদের নাম ডেথ নোটে লিখতে থাকে। তবে  তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক রহস্যময় ডিটেকটিভ, এল(L)। ডেথ নোটএনিমের স্টোরি ডেভেলপমেন্ট সত্যিই তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো যদিও ২৬ এপিসোডের পর এর আকর্ষণ কিছুটা কমে যায়।

 

ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টঃ ৯.৫/১০

ডেথ নোট এনিমেটির মূল চরিত্র হল য়াগামি এবং এল। এরা দুজনই খুবই চালাক এবং চতুর। একদিকে য়াগামির ঠাণ্ডা মাথায় অপরাধিদের মেরে চলার প্রবণতা আবার আরেকদিকে এল – এর অদ্ভুত কিন্তু অসাধারণ কীর্তিকলাপ য়াগামিকে ধরার জন্য- সত্যিই আপনাকে জানিয়ে দিবে দুজনের চরিত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও রয়েছে কিছু সাইড ক্যারেক্টার (মেইন ক্যারেক্টারও বলা চলে) যেমনঃ মিসা আমানে এবং রিউক। এই পয়েন্টে বলা চলে ডেথ নোট এর ক্যারেক্টারদের তারা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যেটা অবশ্যই এনিমেটিকে করে তুলেছে আরও চমৎকার।

 

অ্যানিমেশনঃ ৯/১০

‘ডেথ নোট’ এর অ্যানিমেশন সম্পর্কে বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় এখানে নোটবইয়ে কলম দিয়ে লিখাকে তারা এতটা মজার করে তুলেছে যে, আমারও ইচ্ছে হয় খাতা কলম নিয়ে বসে পরি। অ্যানিমেশনে কিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন দৃশ্য ছিল যাএনিমের থিমের সাথে মিলে যায়।

 

সাউনডট্র্যাক/মিউজিকঃ ৯.৫/১০

‘ডেথ নোট’ এর সাউনডট্র্যাক গুলো  আমার  কাছে  খুবই  ভাল  লেগেছে। এক্ষেত্রে Yoshihisa Hirano এবং Hideki Taniuchi কম্পোসার হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে ডেথ নোটের প্রথম ওপেনিং যেটা গেয়েছেNightmare ব্যান্ড, আমার খুবই পছন্দের। এনিমেটির কিছু শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তের মিউজিকগুলো ওই দৃশ্যগুলোকে করে তুলে আরও ইন্টারেস্টিং।

 

এঞ্জয়মেনটঃ ১০/১০

‘ডেথ নোট’ এর  একটি  শক্তিশালী  দিক হল এনিমেটির এপিসোডের গতি(pace)। এনিমেটি দেখা শুরু করলে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করে না। কারণ, প্রত্যেকটি এপিসোডের শেষে এমন একটা সাস্পেন্স থাকে যে পরবর্তী এপিসোড না দেখে থাকা যায় না। তবে ২৬তম এপিসোডের পরে এই আকাঙ্ক্ষা কিছুটা কমে যায়। এনিমেটি দেখে বিড়াল এবং ইঁদুরের ছুটোছুটির কথা মনে পড়ে। এক কথায় ‘ডেথ নোট’ আপনাকে দিবে এক অবর্ণনীয় রোমাঞ্চ।

 

ওভারঅলঃ ৯.৫/১০

যারা যারা ডেথ নোট দেখেছেন বা দেখবেন তাদের মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে য়াগামি ডেথ নোট পেয়ে যা করল তা আসলে সঠিক কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিজেরাই দিবেন। তবে আমার কাছে য়াগামির চেয়ে এল এর কর্মকাণ্ড বেশি সঠিক বলে মনে হয়েছে। ওভারঅল ডেথ নোট এখন পর্যন্ত ওয়ান অফ দা বেস্ট এনিমে, আমার কাছে।

 

‘I will make the world a better place’- য়াগামি লাইট। আসলেই কি সে পেরেছিল তার স্বপ্ন পূরণ করতে?জানতে হলে দেখুন ‘ডেথ নোট’।

26 Death Note

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৫: Natsume Yuujinchou [Natsume’s Book of Friends] — Shaikh Mohammad Habib

সিরিজ : Natsume Yuujinchou/ Natsume’s Book of Friends
পর্ব সংখ্যা – ৫৪ (৪ সিজন)
জনরা – স্লাইস অফ লাইফ, ড্রামা, সুপারন্যাচারাল
মাঙ্গাকা – ইয়ুকি মিদোরিকাওয়া
ডিরেক্টর – তাকাহিরো ওমোরি

সিরিজের প্রধান চরিত্র নাতসুমে তাকাশি, যে কিনা ছোটবেলা থেকেই বুঝতে পারে সে অন্য সবার চেয়ে একটু আলাদা। তার রয়েছে আত্মাদের দেখতে পাওয়ার অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা।  তবে এই ক্ষমতা তার জন্য কোন কল্যাণ বয়ে আনেনি, বরং নিজেকে সবার সাথে মানিয়ে নিতে গোপন রাখতে হয়েছে আত্মাদের দেখার কথা। ঘটনাচক্রে নাতসুমে জানতে পারে তার দাদি রেইকোরও ছিল একই ক্ষমতা। তবে রেইকো ছিল কিছুটা ভিন্ন, আত্মাদের পরাজিত করে আনুগত্যের নিদর্শন হিসেবে তাদের নাম লিখে নিত তার নিজের একটি বইয়ে। উত্তরাধিকারসূত্রে সেই বই এখন নাতসুমের। নাতসুমের কাছে যেমন অসংখ্য নিরীহ আত্মা আসে তাদের নাম ফিরে পেতে তেমনি রেইকোর বই ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করার মত আত্মাদেরও মোকাবেলা করতে হয় নাতসুমের। আর এই যাত্রায় সঙ্গী হিসেবে পেয়েছে সে মাদারা/নিয়াঙ্কো সেন্সেইকে।

সিরিজটির কাহিনীতে অতিপ্রাকৃত উপাদানের উপস্থিতি সত্ত্বেও কাহিনির মুলে রয়েছে নাতসুমে তাকাশির নিজের অবস্থান খুজে পাওয়ার প্রচেষ্টা। আর এই প্রচেষ্টার মধ্য দিয়েই নাতসুমের চরিত্রের বিকাশ ঘটতে দেখা যায় সিরিজে। আত্মাদের সম্পর্কে জানার পাশাপাশি নিজের চারপাশ সম্পর্কেও সচেতন হয়ে ওঠে সে। বারবার উপেক্ষার স্বীকার নাতসুমে তাই ফুজিওয়ারা পরিবারের ভালোবাসা বুঝতে ভুল করে না। পাশাপাশি স্কুলে তার নতুন বন্ধুদেরও সে হারাতে চায় না। তাই তাকে সতর্ক পায়ে চলতে হয় প্রতি ক্ষেত্রে। তবুও নিজের দায়িত্বটুকু সে ভোলেনা, আত্মাদের নাম ফিরিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব টুকু চালিয়ে যায় সে। আর সঙ্গী হিসেবে পায় নিয়াঙ্কো সেন্সেই/ মাদারাকে। যার উদ্দেশ্য রেইকোর বইের মালিকানা পাওয়া, কিন্তু ধীরে ধীরে নাতসুমের বন্ধুতে পরিণত হতে দেখি এই বিড়ালরূপী সেন্সেইকে।

সিরিজটিতে বেশ ধীরস্থিরভাবে কাহিনী এগিয়ে নেয়া হয়েছে, যেখানে আমরা মূলত নাতসুমের বিভিন্ন আয়াকাশি/ আত্মাদের নিয়ে অভিজ্ঞতা দেখি,পাশাপাশি জানতে পারি তার দাদি রেইকোকে। তবে এক্সরসিজম এবং মাতোবা পরিবারের সাথে নাতসুমের দ্বৈরথের বিষয়গুলো বেশ আকর্ষণীয়। এটা আরও উপভোগ্য করা যেত যদিও অ্যানিমে সিরিজে প্রত্যাশিত মাত্রায় এই দ্বৈরথের উপস্থিতি নেই 🙁 ।

সব মিলিয়ে স্লাইস অফ লাইফ সিরিজ হিসেবে আমার লিস্টের অন্যতম সেরা নাতসুমে ইউজিনচোউ। নাতসুমের দ্বৈত জীবনে মানিয়ে নেয়ার চেষ্টাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পরিমিতভাবে। আবেগ, নাটকীয়তা, অতিপ্রাকৃত বিষয়ের উপস্থিতি সব কিছুই সিরিজে এসেছে পরিমিত এবং গোছানো রুপে। এ কারণেই আমার বিশ্বাস, সিরিজটি স্লাইস অফ লাইফ ফ্যানদের অন্তত নিরাশ করবে না।

25 Natsume

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৪: Children Who Chase Lost Voices from Deep Below — Amor Asad

Children Who Chase Lost Voices from Deep Below (2011)
Original Title: Hoshi wo Ou Kodomo
Mal: 7.87

সম্ভবত সবারই একটা গল্প থাকে, গল্পগুলির মধ্যে মিল থাকার প্রতিশ্রুতি নেই; তবে সব গল্পেই আছে ইচ্ছে পূরণের আকুতি। জীবনের প্রায় পুরোটা সময় আমরা একে অন্যের উপর নির্ভরশীল হই, কারণে অকারণে, চেতনে অবচেতনে। কিন্তু দিনশেষে সবার লক্ষ্য আলাদা, চাওয়া পাওয়া গুলোও। কারোটা হয়ত কষ্টসাধ্য, কারোটা ধোঁয়াশা মাত্র। তবু স্বপ্ন পূরণে মানুষ অক্লান্ত চেষ্টা করে যায়। এটাই জীবনের সৌন্দর্য্য, এতেই জীবনের মহত্য।

Children Who Chase Lost Voices (2011) অ্যানিমের দর্শন বোধকরি অনেকটা কাছাকাছি। পিতৃহীন কঠিন পরিবেশে বড় হয়ে ওঠায় আর দশজন থেকে Asuna’র জন্যে বরং চারপাশের জগতের উপর নিয়ন্ত্রণ একটু বেশিই, তবু অপ্রাপ্তি আর আকাঙ্ক্ষা তার চরিত্রের বড় একটা অংশ। অচেনা কোন জগত থেকে উদয় হওয়া Shunঅথবা, ভারপ্রাপ্ত রহস্যময় শিক্ষক Morisaki’র গল্পেও আকাঙ্ক্ষার প্রবল আনাগোনা লক্ষ্য করা যায়।

গল্পের দিক দিয়ে Hoshi wo Ou Kodomo এককথায় অনন্যসাধারন। মনে আছে, ছেলেবেলায় ছোটখাটো যন্ত্রাংশ, মটর চালিত নৌকা ইত্যাদির উপর দারুণ আগ্রহ ছিলো। এই নিয়ে পড়ে থাকতাম। হোমমেইড রেডিওটা দেখে ছটফটে, কৌতূহলী মেয়ে Asuna’কে তাই সহজেই ভালো লেগে গেলো। স্কুল ছুটি, দে ছুট… পাহাড়ের ঢালে তার ব্যক্তিগত ছোট্ট এক ঘর আর তার ভিতর ঠাসা দুনিয়ার জিনিষপত্র। পাশের টিলায় প্রতিদিন শেষ বিকেলের রোদে পা এলিয়ে দিয়ে রেডিওটায় সুর খুজে বের করা Asuna’র সখ। কে জানত রেডিওতে অচেনা, অন্যরকম এক সুর তার সামনে অ্যাডভেঞ্চারের এক নতুন দুনিয়া খুলে দিবে? Asuna’র পরিচয় হয় কিশোর Shun এর সাথে। শীঘ্রই Asuna জানতে পারে Shun এজগতের কেউ না, বরং সবাই যাকে রুপকথাত জগত ভাবত, সেই আগাথা বা পাতালপুরী থেকে এসেছে। কথিত আছে, Agathaএমন এক যায়গা, যেখানে মৃত মানুষকে ফিরিয়ে আনা যায়। মৃত প্রিয়জনকে ফিরিয়ে আনতে যুগে যুগেAgatha’র ঠিকানা খুজে মরেছে মানুষ। ঘটনাক্রমে Shun’এর মৃত্যু হয়, শুরু হয় পাতালপুরীতে Asuna’র রোমহর্ষকর অভিযান। তবে এ যাত্রায় Asuna কিন্তু একা নয়।

অ্যানিমে নির্মাতা মাকোতো শিনকাই। এই লোকের রঙয়ের ব্যবহার বরাবরই মুগ্ধ করে। তার অ্যানিমেগুলোর আর্ট খুবই উঁচুদরের এবং দেখলে  যেন রীতিমত চোখের ব্যায়াম হয়, দারুণ প্রশান্তি লাগে। তার অন্য কাজ 5 Centimeters Per Second, Garden of Words  ইত্যাদির মতো এখানেও গ্রাফিক্সের কাজ দেখার মতো। যদি শুধু সিনেম্যাটোগ্রাফির দিক দিয়ে বিচার করতে বসি, Children who chase lost voices দশে পাক্কা দশ পাবে।  সেই সাথে আছে দারুণ ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। কাহিনীর ভিতরে ঢুকিয়ে দিতে চেষ্টার কোন কমতি নেই যেন। আর মাকোতো শিনকাই’তো আছেনই তার পরিচালনার মুন্সিয়ানায় এ দু’য়ের সাথে গল্পের মিশ্রণ ঘটাতে।

কল্পনার পঙ্খীরাজ ওড়ানো ফ্যান্টাসি, অ্যাডভেঞ্চার অ্যানিমের মধ্যেও শিনকাই সিরিয়াস কিছু দর্শন আর প্রশ্ন তুলেছেন। সত্যিই যদি মৃতের দুনিয়ায় গিয়ে আপনজনকে ফেরানো যেত,  আমরা কতখানি স্যাক্রিফাইস করে আপনজনের সাথে মিলিত হবার বাসনাকে উজ্জীবিত রাখতাম?

অথবা, নিজের বা নিজ জাতির আধিপত্য পৃথিবীর বুকে প্রতিষ্ঠিত করতে কতটা মানুষের নিষ্ঠুরতা কেমন হতে পারে? ইতিহাসের স্বার্থান্বেষী, মারকুটে, মানবতার কলঙ্ক শাসকদের চরিত্রায়নও করেছেন পরিচালক একটুক্ষণের জন্যে।

যাইহোক, একেবারে খাঁটি সোনা কিন্তু নয় CWCLVFDB, ক্যারেক্টার বিল্ড আপে কিছু ত্রুটি ছিলো। প্রথমাংশ এবং ৩০ মিনিট পর যেভাবে দৃশ্যপট পালটে গেলো, একটু বেমানান লেগেছে। কোথাও যেন কাহিনী একটু জোর করে মিলিয়ে দেয়া হয়েছে; আবার কোথাও ডায়লগ উপযুক্ত ছিলো না। তবে এসব যদি এড়িয়ে যাওয়া যায়, এটা নিঃসন্দেহে সেরা অ্যাডভেঞ্চার/ফ্যান্টাসি অ্যানিমের তালিকায় যায়গা করে নিতে পারবে। জিবলি স্টুডিওর Spirited Away এর মত এই অ্যানিমেটা একই ঘরানার। মিয়াজাকির স্পিরিটেড অ্যাওয়ে যারা পছন্দ করেছেন, তাদের জন্য অবশ্যই দেখতব্য।

আমার রেটিং ৮.৫/১০

24 Children Who Chase Lost Voices

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২৩: Monster — Tufika Anwar

# Anime: Monster
# Episodes: 74
# Genre: Mystery, Psychological Horror, Psychological Thriller

জনপ্রিয়তার দিক থেকে Monster কে মূল্যায়ন করতে যাব না। তবে কেউ যদি সত্যিকার রহস্যভরা, মনস্তাত্ত্বিক, সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী, বাস্তবিক আবার অপার্থিব,আশ্চর্যজনক, শীতল, উত্তেজনাময়, ভয়ংকর এক কথায় দুর্দান্ত Psychological Thriller দেখতে চান তবে Monster হতে পারে আপনার জন্য এক অনন্য অভিজ্ঞতা। Monster এমন কিছু বিষয় ও অভিজ্ঞতার গল্প যা সাধারণত অনাকাঙ্ক্ষিত আর এটাই তার আবেদন। ২০০৪ সালে এটি প্রথম প্রচারিত হয়।

Story: কাহিনীর ভিন্নতা Monster এর প্রধান আকর্ষণ। শুরু যদিও স্লথমন্থর কিন্তু এক জটিলতার  সাথে, Dr: Kenzou Tenma বিখ্যাত Japanese Neurosurgeon তাকে তার দায়িত্বাধীন এক রোগীর চিকিৎসা না করে এক বিখ্যাত গায়কের চিকিৎসা করতে বলা হয়, ফলে সেই রোগী মারা যায়। আত্মগ্লানিতে ভারাক্রান্ত Tenma টিক সেই মুহূর্তে আবার একই পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। সে এবার বিশাল ব্যাক্তিত্ব মেয়রের চিকিৎসা না করে তার দায়িত্বে আসা এক twin শিশুর জীবন বাঁচায় এবং মেয়র মারা যায়। স্বভাবতই ঊর্ধ্বস্তনদের বিরুদ্ধে যাওয়ায় Tenma এর জীবনে নেমে আসে বিপর্যয়। একই সাথে আশেপাশে শুরু হয় সব রহস্যজনক হত্যা।

কিছু বছর পরে Tenma এর জীবন যখন আবার স্বাভাবিক হচ্ছে তখন সব রহস্যজনক হত্যার হোতা মেয়রের জীবন না বাঁচিয়ে Tenma যার জীবন বাঁচিয়ে ছিল সেই twin দের একজন Johan Liebert Tenma এর সামনেই একটা খুন করে আর Tenma হয় প্রধান suspect.

বাকি ৭০ পর্ব খুনের মিথ্যা আসামি Tenma এর সেই Monster এর খোঁজে চলে এক ইঁদুর বিড়াল খেলা, সাথে দুইটা প্রশ্ন- কে এই Monster? সে কি চায়?

দুনিয়ার তাবৎ বর্জনীয় ও অনেকটাই অস্বস্তিকর বিষয় যেমনঃ হত্যা, শিশু নির্যাতন, মগজধলাই, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, human experiment ইত্যাদির সাথে Johan Liebert এর খোঁজেরত Tenma এর মানবিক অভিজ্ঞতা, নৈতিকতা, দৃঢ়তা, Johan Liebert এর জীবনের flashback, তার সম্মোহনী ও অলৌকিকতা, কাহিনীর কিছু অস্বস্তিকর মুহূর্ত, অপার্থিবতা একটা perfect রহস্যজনক মনস্তাতিক কাহিনীর স্বাদ দেয়।

Charecter: Monster দেখার একটা প্রধান কারণ হতে পারে এর কিছু legendary চরিত্র। Antagonist Johan Liebert আর protagonist Dr: Kenzou Tenma এনিমে জগতের দুই অনবদ্য সৃষ্টি। Tenma এর নৈতিকতা ,তার আত্ম উপলব্ধি, সম্পর্কের টানাপড়েন যেমন একটা ভালোলাগার সৃষ্টি করে, তেমনি অনেক গুনেগুনী, আশ্চর্য সম্মোহনী ক্ষমতার অধিকারী, রহস্যজনক, লাগামহীন, ভয়ংকর, manipulative, unpredictable Johan Liebert এর চরিত্র সৃষ্টি করে অস্বস্তিকতা। দীর্ঘ পর্ব জুড়ে ছোট বড় অসংখ্য চরিত্র তাদের বিশেষ চরিত্র বৈশিষ্ট্য দ্বারা  এনিমেকে করে তুলেছে রহস্যজনক ও উপভোগ্য।

Animation & sound: যদিও animation এর দিক দিয়ে Monster কে কোন master peice বলা যাবে না, তবুও এর animation সঠিকভাবই এর location Gremany & Czech Republic কে উপস্থাপন করেছে সাথে সাথে মনস্তাত্ত্বিক কাহিনীর সহায়ক facial expression এবং শীতল, বাস্তবিক ও রহস্যজনক আবহ সৃষ্টিতে সার্থক হয়েছে শতকরা ১০০ ভাগ। আর অসাধারণ শব্দ প্রবাহ যোগ করেছে নতুন মাত্রা।

আমার দেখা আশ্চর্যতম কাহিনীর একটা এনিমে। আমি Psychological storyline এর আর কোন এনিমে না দেখলেও বেশ কিছু Movie, TV series দেখেছি। আমার মতে Monster Naoki Urasawa এর এক অনবদ্য সৃষ্টি।

যদিও ৭৪ পর্ব ও ধীরগতির এনিমে তবুও Monster অবশ্যই একটা master peice এবং সমালোচক প্রশংসনীয় এনিমে। তাই Monster দেখা আপনার জন্য হবে এক অনন্য অভিজ্ঞতা, সময়ের শ্রেষ্ঠ বিনিয়োগ, এক মূল্যবান সঞ্চয়।

[Note: কেউ যদি Dr. Hannibal Lecter এর ভক্ত হয়ে থাকেন তবে তার জন্য Monster দারুন উপভোগ্য হতে পারে।]

23 Monster

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২২: Naruto (Manga) — Uchiha Aoitizhho

[Spoiler Alert] – {Given on request of the participant}

 

মাঙ্গাঃ নারুতো
ভলিউমঃ ৭২
চ্যাপ্টারঃ ৭০০
জনরাঃ একশন, অ্যাডভেঞ্চার, ফ্যান্টাসি, মার্শাল আর্টস
মাই এনিমে লিস্ট স্কোরঃ ৮.১৪/১০
আমার স্কোরঃ ৯.৮/১০

 

স্টোরিঃ

‘নারুতো’র কাহিনী গড়ে উঠেছে নিনজা ভিলেজ কোনোহার ছোট্ট বালক নারুতোকে কেন্দ্র করে। নারুতোর জন্মের সময় ওর মধ্যে সিল করে দেয়া হয় ভয়ংকর শক্তিশালী নাইন টেইলস ফক্স কিউবিকে। বাবা-মাবিহীন নারুতো সবসময় লক্ষ্য করতো ভিলেজের সবাই ওকে অবহেলা এবং একই সাথে ভয় করে, যার ফলে নারুতোর মাঝে নিজের অস্তিত্ব ফুটিয়ে তোলার প্রবল প্রচেষ্টা জেগে উঠে। তাই ওর জীবনের একমাত্র অভীষ্ট লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায় হোকাগে অর্থাৎ সবচেয়ে শক্তিশালী নিনজা ও ভিলেজের লিডার হয়ে উঠার। অনেক সময়ই দেখা যায়, মেইন চরিত্র রাতারাতি দুর্বল থেকে বিশাল শক্তিশালী হয়ে যায়। কিন্তু নারুতোতে এমন অবাস্তব জিনিস দেখানো হয়নি। নারুতোর মাঝে কিউবির পাওয়ার লুকানো থাকা সত্ত্বেও নারুতো পাওয়ারফুল হয়েছে নিজের চেষ্টায়, ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে ধীরে ধীরে। প্রথমে কাগে-বুনশিন, তারপর রাসেঙ্গান, অতঃপর রাসেন-শুরিকেন, সবশেষে সাগে ও কিউবি মোড। এভাবেই নারুতো কপর্দকহীন থেকে শক্তিশালী হয়ে উঠে এবং হোকাগে হওয়ার পথে এগিয়ে চলে। তবে এর মাঝে ঘটে যায় অনেক কিছু। চুনিন এক্সাম, অরচিমারুর কোনোহা আক্রমণ, নারুতোর টীমমেট ও বেস্ট ফ্রেন্ড সাসকের ভিলেজ ত্যাগ, আকাৎসুকি ও তবির আবির্ভাব, পেইন এর আক্রমণ ইত্যাদি ঘটনার মধ্য দিয়ে এগিয়ে যায় কাহিনী। সবশেষে নাটকীয়ভাবে আসে নিনজা ওয়ার ও মাদারার আবির্ভাব।

একাকীত্ব কী তা জানতো বলেই নারুতো বন্ধুত্বকে অগ্রাধিকার দিত। সাসকেকে ফিরিয়ে আনার জন্যে এমনকিছু নেই যা নারুতো করেনি। নারুতোর অন্যকে বোঝানোর ক্ষমতাও অনেক। গারা, নেজি, পেইন, তবি সবাই নারুতোর সংস্পর্শে এসেই ভালো হয়ে যায়। এটা কিছুটা অদ্ভুত মনে হলেও ভালো লেগেছে যে মেইন ভিলেন মাদারা শেষ পর্জন্ত নিজ বিশ্বাসে অবিচল ছিল।

নিনজা দুনিয়া নিয়ে গড়ে উঠা ‘নারুতো’তে নিনজাদের বিভিন্ন কলা-কৌশল এত সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যে একসময় নিজেকেই নিনজা মনে হচ্ছিল। পুরো মাঙ্গা জুড়ে দেখা যায় প্রচুর নিনজা ফাইট এবং প্রত্যেকটি ফাইটই একটির থেকে অন্যটি ভিন্ন ও টুইস্টে পরিপূর্ন। প্রতিটি মিশনও ছিল অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর। তাই যাদের একশন ও অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় তাদের জন্যে নারুতো সেরা।

 

ক্যারেক্টারঃ

নারুতো মাঙ্গাটা যেহেতু অনেক বড়, তাই এতে ক্যারেক্টারও আছে প্রচুর, সংখ্যার দিক দিয়ে যা অন্য যেকোনো মাঙ্গার চাইতে বেশী এবং স্যার কিশিমতো প্রতিটি চরিত্রকেই গুরুত্বসহকারে তুলে ধরেছেন। প্রায় প্রতিটি চরিত্ররই ফ্যামিলি ব্যাকগ্রাউন্ড, দুঃখ-কষ্ট, বিলিফ এত সুন্দর করে দেখনো হয়েছে যে সবার অনুভূতিই স্পর্শ করবে এবং প্রত্যেকের বিশ্বাস ও যুক্তিকেই সঠিক বলে মনে হবে। যেমন, ইতাচির নিজ ক্লানকে ধ্বংস করা, নাগাতো থেকে পেইন হয়ে উঠা, অবিতোর প্রতিশোধ, মাদারার নিনজা ওয়ার্ল্ড ধ্বংস করার পরিকল্পনা এমনকি সাসকের প্রতিশোধস্পৃহা সবগুলোর পিছনেই এত সুন্দর করে যুক্তি দেখানো হয়েছে যে প্রতিটি চরিত্রকেই শক্তিশালী করে তুলেছে।

 

আর্টঃ

নিনজা ওয়ার্ল্ড হিসেবে নিনজাদের মুখোশ, বিশেষ ধরনের পোশাকের পাশাপাশি স্যার কিশিমতো একটু ভিন্নতারও ছুঁয়া লাগিয়েছেন, যেমন নারুতোর গায়ে দেখা যায় কমলা রঙের এক জাম্পস্যুট যা তাকে কিন্তু ভালোই মানিয়েছে।

 

১৯৯৭ সাল থেকে ২০১৪ এই দীর্ঘ ১৭ বছরের পথচলায় ‘নারুতো’-র সাথে কেটেছে অসংখ্য ভক্তের শৈশব ও কৈশোর। নারুতোর সাথে সাথেই বড় হয়ে উঠেছে অনেকে। আমি যদিও নারুতোর শুরুর সময়টায় নারুতোর পাশে ছিলাম না, তবে নারুতোর শেষ সময়টায় নারুতোর পাশে থাকতে পেরে নিজেকে ভাগ্যবতী মনে করছি। নারুতো দেখা শুরু করার পর হতে এই পর্যন্ত সবসময় নারুতো আমার পাশে বন্ধুর মতো ছিল। কখনো মন খারাপ হলে বা হতাশা কাজ করলে নারুতো থেকেই আমি অনুপ্রেরণা-উৎসাহ পেয়েছি। নারুতো থেকে সবচেয়ে বড় যেই শিক্ষাটা পেয়েছি তা হোল “Never give up” । সত্যি বলতে কি, নারুতোর জন্ম নেওয়া থেকে শুরু করে একটু একটু করে বড় হওয়া, নতুন নতুন জিনিস শিখা, নতুন বন্ধু বানানো এগুলো দেখতে দেখতে একসময় নারুতোকে বন্ধুর চাইতেও বেশী কিছু মনে হয়েছে। Really Naruto came as a story and left as a legend. নারুতো গল্প হিসেবে আসলেও হিরো-মহানায়ক হয়েই আমাদের মনে জায়গা করে নিয়েছে।

22 Naruto manga

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২১: Shigatsu wa Kimi no Uso [Your Lie in April] — Maisha Musarrat

Are you going to forget ???? do you think you’ll be able to forget ??? প্রত্যেক মানুষের জীবনেই রয়েছে এমন কিছু ঘটনা…এমন কিছু মানুষ …যাকে চাইলেও ভোলা যায়না..মনের কোনো এক কোণে সে ঠিকই তার জায়গা করে নেয়.. your lie in April (shigatsu wa kimi no uso) আনিমেটি জীবনের ঠিক এই দিকটাই অসাধারণ ভাবে তুলে এনেছে আমাদের সামনে ..

আনিমেটির কাহিনী আবর্তিত পিয়ানো প্রডিজি Kousei Arima কে ঘিরে  …মায়ের মৃত্যুর কারণে যার সংগীত ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে খুব অল্প বয়সেই। সেই ঘটনার বছরখানেক পর্… ছেলেবেলার বন্ধু Watari আর Tsubaki এর সাথে Arima এর স্কুলজীবন কেটে যাচ্ছিল সাদামাটাভাবেই….কিন্তু বর্ণহীন সাদাকালো সেই জীবন হঠাৎ করেই নানা রং এ রঙ্গিন হয়ে উঠলো …উচ্ছল প্রানবন্ত তরুণী Miyazono Kaori এর আগমনে …ভায়োলিনিস্ট Kaori এর জীবন ও সংগীত সম্পর্কে দৃষ্টিভঙ্গি Arima এর পুরো জীবনটাই ওলটপালট করে দেয়। যেখানে Arima এরকাছে সংগীত মানে ছিলো নির্ভুল অনুকরণ..সেখানে Kaori এর কাছে …”Music is freedom”… মুক্তমনা Kaori এর সংস্পর্শে এসে নতুনভাবে নিজের স্বাধীনতা আবিষ্কার করা আরিমা কি আবার সংগীত জগতে ফিরে আসতে পারবে???? Kaori…বন্ধু watari এর গার্লফ্রেন্ড হওয়া সত্ত্বেও …Kaori এর চোখে শুধুমাত্র Watari এর বিকল্প হওয়া সত্ত্বেও …সে কি পারবে তার সংগীত এরমাধ্যমে কাওরি এর হৃদয় এ পৌঁছাতে???নাকি আজীবন তাকে “friend A” হয়েই থাকতে হবে???

আনিমেটি দেখতে বসলে সবার আগে নজর কাড়বে এর চোখ ধাধানো অ্যানিমেশন …উষ্ণ উজ্জ্বল সব রং এর সমারোহ নিমিষেই মন ভাল করে দেয় ..সাথে রয়েছে অসাধারণ সঙ্গীতায়োজন… তা সে আনিমেটির অপেনিং ই হোক কিংবা আরিমার বাজানো পিয়ানো…সবসময়ই তা ছিলো ১০০% নিখুঁত

তো আর দেরি কেন?? Koiusei Arima আর Miyazono Kaori এর সাথে এই মিউজিক্যাল জার্নি তে আপনিও বেড়িয়ে পরুন আর অনুভব করুন বন্ধুত্ব..ভালবাসা.. জীবন..জীবনের নানা কষ্টকর অভিজ্ঞতাসত্ত্বেও এগিয়ে যাওয়া..আর সর্বোপরি ..সংগীতের প্রতি অপরিমেয় ভালবাসা.. 🙂

21 Shigatsu

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #২০: Fairy Tail — Mehedi Zaman

ফেইরি টেইল (Fairy Tail)
এপিসোডঃ ২৪২+(চলমান)
জনরাঃ অ্যাকশান,এডভেনচার,ম্যাজিক,কমেডি,শাউনেন।
Myanimelist Score: ৮.৩৭

শুনে মনে হতে পারে এটি কোন রুপকথার এনিমে। আপনি যেমন সঠিক তেমনি ভুলও বটে। কারণ, বাক্যটি আসলে ‘ফেইরি টেল’ নয় ‘ফেইরি টেইল’।এইরকম অদ্ভুত নাম নিয়ে স্থাপিত হয়েছে একটি গি্লড। এই গিলডে যোগ দিতে আসা একজন তরুণীকে নিয়ে এনিমের গল্প শুরু। গিলডের এই নামের পেছনেও রয়েছে এক মজার গল্প আর এইসব জানতে এবং ম্যাজিকাল জগতে হারিয়ে যেতে দেখতে হবে ফেইরি টেইল।

 

কাহিনী/প্লটঃ ৮.৫/১০

লুসি হার্টফিলিয়া, ১৭ বছর বয়সী এক তরুণী, সে ফিওরে কিংডম এর মাগ্নলিয়া শহরের এক নামকরা গিলডে যোগ দেওয়ার জন্য আসে। আসার সময়ই তার সাথে দেখা হয় নাটসু দ্রাগ্নীলের, যে ফেইরি টেইল  এর একজন সদস্য। এভাবেই শুরু হয় ফেইরি টেইল এনিমেটির কাহিনী। এনিমেটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হল  টিমওয়ার্ক ও বন্ধুত্ব। এনিমেটিতে রয়েছে ম্যাজিকের মাধ্যমে ফাইট করার এক দারুণ অভিজ্ঞতা।এর স্টোরির  রয়েছে বিভিন্ন আর্ক যার ফলে মেইন প্লটের আগে জানতে পারবেন কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড স্টোরি। প্রথমদিকে মনে হতে পারে এনিমেটির নির্দিষ্ট কোনও কাহিনী নেই, কিন্তু আসলে এনিমেটির রয়েছে একটি চমকপ্রদ প্লট যা আপনাকে একটির পর একটি এপিসোড দেখতে আগ্রহী করে তুলবে।

 

ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টঃ ৯/১০

ফেইরি টেইল এমন একটি এনিমে যেখানে রয়েছে প্রচুর ক্যারেক্টার। তবে মেইন ক্যারেক্টার এর মধ্যে নাটসু, লুসি, গ্রে, এরজা, হ্যাপি এরা হল উল্লেখযোগ্য। ফেইরি টেইল এর একটি শক্তিশালী বিষয় হল এর ক্যারেক্টার দের তারা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছে। প্রত্যেক ক্যারেক্টার এর পিছনে রয়েছে একটি শক্তিশালী ব্যাকগ্রাউন্ড যা এনিমেটির ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টে রেখেছে এক অনন্য অবদান।

 

অ্যানিমেশনঃ ৮.৫/১০

ফেইরি টেইল এর অ্যানিমেশন কোয়ালিটি একটা বড় শো হিসেবে প্রশংসনীয়। এনিমেটির এনভাইরনমেনট অনেক কালারফুল যা ফেইরি টেইল এর স্টোরিলাইন এর সাথে বেশ সাদৃশ্যপূর্ণ। ক্যারেক্টার দের ফেসিয়াল এক্সপ্রেসন ভালভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে এবং এর ফলে ফেইরি টেইল এর এত এত ক্যারেক্টার দেরকে খুব সহজেই মনে রাখা যায়।

 

সাউনডট্র্যাক/মিউজিকঃ ৯.৫/১০

ফেইরি টেইল এনিমেটির একটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় দিক হল এর সাউনডট্র্যাক। ফেইরি টেইল এর সাউনডট্র্যাকগুলো আমার কাছে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে আমেযিং সাউনডট্র্যাক। তাদের প্রোডাকশন কোম্পানি A-1 Pictures এবং Yasuharu Takanashi (একজন মিউজিক ডিরেক্টর)এক্ষেত্রে গুরুদায়িত্ব পালন করে। বিশেষ করে Masayume Chasing & Strike Out ওপেনিং দুটো আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আপনি ফেইরি টেইল এনিমেটি না দেখে থাকলে খুবই ভাল মিউজিক মিস করছেন।

 

এঞ্জয়মেনটঃ ৮.৫/১০

ফেইরি টেইল এনিমেটি দেখে আপনি খুবই মজা পাবেন। কারণ এই এনিমেটির বেশ কিছু সিরিয়াস পার্টেও রয়েছে মেইন ক্যারেক্টারদের বিভিন্ন হাস্যকর কার্যকলাপ। আপনি যদি কমেডি জনরার ভক্ত হন তবে অবশ্যই আপনার কাছে ফেইরি টেইল ভাল লাগবে।

 

ওভারঅলঃ ৮.৫/১০

এই রেটিংটি আমার ব্যক্তিগত রেটিং। সবমিলিয়ে আমার কাছে ফেইরি টেইল এনিমেটি অনেক ভাল লেগেছে। এটুকু বলতে পারি যে, এনিমেটি আপনাকে হতাশ করবে না। তবে যারা খুব সাস্পেন্সের ভক্ত তাদের কাছে ফেইরি টেইল মাঝে মাঝে কিছুটা বোরিং লাগতে পারে। অনেকে বলে থাকেন যে, ফেইরি টেইল এর ফাইটগুলো শুধু নাকামা পাওয়ার আপ দিয়ে জেতা হয়। কিন্তু Erza vs Midnight, Natsu vs Jackal এই ফাইটগুলো সহ আরও অনেক ফাইটই Strategy বেসড।

 

ফেইরি টেইল হয়তবা সেরাদের সেরা নয় তবে এর বেশ কিছু নিজস্ব গুণ রয়েছে যা নিঃসন্দেহে এনিমেটিকে করে তুলে চমকপ্রদ এবং ইন্টারেস্টিং। সবশেষে একটা কথাই বলতে পারি যে, ‘I will fight for my friend  than watching them get hurt, I will fight for those I love.’- এরজা স্কারলেট, এরকমই কিছু অসাধারণ মুহূর্তের জন্য শুরু করে দিন ফেইরি টেইল।

20 Fairy Tail