কিছু টুডি এনিমেশন মুভি– লেখক স্বাধীনতার বার্তা

এরকম একটা পোস্ট দেয়ার কথা চিন্তা করছিলাম অনেকদিন থেকেই। আবার ওইদিন ব্লগার স্নিগ্ধ বললেন কিছু আনকমন এনিমে ফিল্ম এর নাম লিখে পোস্ট দিতে। তাই এই পোস্টের অবতারনা। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে আসি।
এখান থেকে Studio Ghibli, Hayao Myazaki আর Satosi kon কে বাদ দেয়া হল। কারন এরা হলিউড এ খুব পপুলার।

the-girl-who-leapt-through-time
#১। The Girl Who Leapt Through Time (২০০৬): ডিরেক্টর Mamoru Hosoda এর মাস্টারপিস। আমার দেখা সেরা এনিমে ফিল্ম এটা। এক মেয়ে, মাকতো হঠাৎ টাইম ট্র্যাভেল করার ক্ষমতা লাভ করে। আর এই ক্ষমতা দিয়ে সে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা পাল্টে দিতে থাকে। এক্সময় লক্ষ্য করে এভাবে টাইম লিপ করাতে এক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

#২। Summer Wars (২০০৯): The Girl Who Leapt Through Time এর ডিরেক্টর এর আরেকটা মুভি। সম্ভবত তাই আশা ছিল একটু বেশি। এখানে দেখা যায় এক ম্যাথস্টার পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এনক্রিপশন কোড ভেঙ্গে ফেলে, এবং এর ফলে সারা ওয়ার্ল্ড এর যোগাযোগ ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ম্যাথস্টার এক বিশাল জয়েন্ট ফ্যামিলির সাথে পৃথিবী রক্ষায় নেমে পড়ে। শুনতে একটা থ্রিলার এর মত মনে হলেও আসলে এটা পুরোটাই একটা ফ্যামিলি ড্রামা/কমেডি।

#৩। The Place Promised in Our Early Days (২০০৫): এই সিনেমাতে জাপান দুই ভাগে বিভক্ত। একটা অংশ ইউনিয়ন (সোভিয়েত রাশিয়া) এর আন্ডারে আর অন্যটা আমেরিকার। ইউনিয়ন এর অংশে এক বিরাট টাওয়ার আছে যেটা ইউ এস অংশে থাকা তিন ফ্রেন্ড কে প্রচন্ড আকর্ষন করে। তারা প্রমিজ করে যে একদিন ওই টাওয়ারে যাবে।

The Place Promised in Our Early Days

কালের পরিক্রমায় তিনজন তিন দিকে চলে যায়। Hiroki যে এখন ছাত্রজীবন শেষ করতে পারেনি, Takuya যে ফিজিসিস্ট হিসেবে রিসার্চ করছে আর তাদের বান্ধবী Sayuri যে ন্যাক্রলেপ্সি তে আক্রান্ত হয়ে হস্পিটালাইজড। Hiroki এখনো সেই টাওয়ার এ যাওয়ার কথা চিন্তা করে, কিন্তু সে কি অন্য কারো সাহায্য পাবে? এরকম একটা গল্প নিয়েই Makoto Shinkai তার প্রথম ছবিতে এনিমে জগৎকে তাক লাগিয়ে দেন। তার ছবির প্রধান বৈশিষ্ট হল ঝকঝকে এনিমেশন। কাহিনী খুব স্লো আগায় কিন্তু তারপরেও কেন জেন ভাল লেগেছিল।

#৪। 5 Centimeters Per Second (২০০৭):

5 cm

Makoto Shinkai এর দ্বিতীয় ছবি। ছবির ট্যাগলাইন ছিল, “a chain of short stories about their distance”। আগের ছবির মতই এটাও ঝকঝকে এনিমাশনে পূর্ণ। কাহিনী এটারও স্লো, কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। ছবিটা তিনটা অংশে বিভক্ত। আমার এই সিনেমার যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল গল্প বলার ধরন। এই সিনেমার পরই Makoto Shinkai কে দ্বিতীয় মিয়াজাকি বলা হচ্ছে। আর এবছর তার তৃতীয় ছবি, Children Who Chase Lost Voices from Deep Below বের হবে। একটা জিনিশ খেয়াল করেছেন? ডিরেক্টর এর সবগুলা সিনামার নামই বিরাট বিরাট।

#৫-৬। Ghost in the Shell (১৯৯৫) ও Innocence (২০০৪): বিখ্যাত সাইবারপাঙ্ক ঘোস্ট ইন দা শেল এর Mamoru Oshii ডুয়ালোজি। ব্রেন সাইবারাইজড করার পরও মানুষের যে নিজস্বতা থাকে সেটার নাম দেয়া হয়েছে Ghost। প্রথম ছবিতে দেখা যায়, এক হ্যাকার পাপেট মাস্টার নামে বিভিন্ন মানুষের সাইবার ব্রেন হ্যাক করে তাতে বিভিন্ন আরটিফিসিয়াল মেমোরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্য? ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পড়ে সেকশন ৯ এর সাইবর্গ অফিসার মাকটো এর উপর। একসময় মাকটো নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়ে। তার মেমোরি কি আসল নাকি সে একটি এ.আই.? তার মনে হয় পাপেট মাস্টার এর কাছে এর উত্তর আছে। এ ছবি সম্পর্কে James Cameron বলেছেন, “the first truly adult animation film to reach a level of literary and visual excellence.”
আর দ্বিতীয় ছবির কাহিনীটা এরকম। Locus Solus রোবটিক্স এর তৈরি করা সেক্সডল গুলো হঠাৎ করে তার মালিকদের হত্যা করে নিজেরা ফেলফ ডিস্ট্রাক্ট হতে শুরু করে। এরকম কয়েকটি ঘটনা পর পর ঘটায় তা নজরে আসে সেকশন ৯ এর। দায়িত্ব দেয়া হয় আরেক সাইবর্গ বাটো এর উপর। ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
এই মুভি দুইটার সাউন্ড ওয়ার্ক এক কথায় অসাধারন। মিউজিকের কিছু কিছু জায়গায় ত পুরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

#৭। Metropolis (২০০১): ডিটেক্টিভ বান আর তার সহকারী কেনেচি মেট্রোপলিসে এসে এক এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। স্টোরিটা ভালই, কিন্তু এনিমেশন স্টাইল আর বিশেষভাবে মিউজিকটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি।

#৮। Origin: Spirits of the Past (২০০৬):

Origin Spirits of the Past

অতীতে এক মহাপ্রলয় এ পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সে সময়ের অনেক মানুষ স্লিপিং পড এর সাহায্যে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে পদার্পণ করে। অন্যদিকে যে বিজ্ঞানীর ভুলে এ মহাপ্রলয় শুরু হয়েছিল সেই বিজ্ঞানী এক সিস্টেম দাড়া করিয়ে যান যেন পৃথিবীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায়। অতীতের মানুষরা চায় সে সিস্টেম চালু করে পৃথিবীকে রিস্টর করতে। কিন্তু এই যুগের যারা অধিবাসী তারা কি এমন পরিবর্তন চায়?
আমার ভালোই লেগেছিল মুভিটা, কিন্তু কেন জানি যাদেরকে আমি দেখিয়েছি তাদের বেশিরভাগেরই ভালো লাগেনাই। ফ্যান্টাসি ফিল্ম বলে হজম করাও মনে কষ্টকর।

#৯। Samurai X: Trust & Betrayal (১৯৯৯): জগদ্বিখ্যাত সিরিজ Samurai X এর প্রিকুয়্যাল। মূলত এই সিনেমটা দিয়েই আমি এনিমেশন এর ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের নায়ক Kenshin এর সামুরাই হয়ে ওঠার কাহিনী। আর কীভাবে সে তার গালের x মার্কটা পেয়েছিল তা ও জানানো হয়েছে এই সিনেমাতে। এটা প্রথমে তৈরি করা হয় চার পর্বের ডাইরেক্ট টু ভিডিও সিরিজ হিসেবে। পরে আরো আধাঘন্টার সিন যুক্ত করে ডাইরেক্টর’স কাট ফিল্ম হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়। আমার দেখা সেরা মুভির একটা।

#১০। Sword of the Stranger (২০০৭):

Sword of The Stranger

জাপানের কোন এক সময়ের ইতিহাস কে উপজীব্য করে একটি ফ্যান্টাসি গল্প। বিভিন্ন ইউজার’স ভোটেড তালিকায় উপরের দিকে আছে এই মুভিটা। Kotarou নামে এক শিশু এস্যাসিনদের কাছ থেকে পেলিয়ে বেড়াচ্ছে। সে জানে না কেন তাকে এভাবে হান্ট করা হচ্ছে। পথিমধ্যে তার দেখা হয় এক সামুরাই এর সাথে, যাকে সে ভাড়া করে। এক সময় কন্ত্রাক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, সেই সামুরাই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে।

#১১। Tekkon Kinkreet (২০০৬):

Tekkon Kinkreet

জাপানীজ এনিমেশনের সাথে আমেরিকান এনিমেশন এর ফিউসন করে বানানো ফ্যান্টাসি। দেখার সময় আর্টওয়ার্কগুলো খুবই ভালো লাগার কথা। বিভিন্ন রিভিউতে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে। রোটেন টমেট’স এ টপ রিভিউ তে ৯০% এর কাছাকাছি আছে। কিন্তু আফসসের বিষয় আমি আগা মাথা কিছুই বুঝি নাই। পুরা মুভিটা ভালই চলছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে কি জানি হয়ে গেলো (ঘিবলির অনেক মুভি দেখতে গিয়েও আমার এক ই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল)।
দুই ভাই একজন ব্ল্যাক আরেকজনে হোয়াইট। দুইজন এর ই নাকি হার্টের কিছু স্ক্রু মিসিং। এই স্ক্রু গুলা নাকি আবার হোয়াইটের কাছে আছে। এমন আরো কত কি।

## এই বার কিছু সিরিজ কম্পাইলেশন মুভির কথায় আসা যাক। আমার মতে এনিমে ফিল্ম এর চেয়ে সিরিজ বেশি ভালো (যদিও আমার ফেভারি্ট এনিমে এর কথা বলতে গেলে The Girl Who Leapt Through Time এর কথাই বলব)। এই সিরিজ বেজড মুভিগুলো মুলত সিরিজটাকে কাটছাট করে বানানো হয়েছে। তাই সিরিজে যে ঘটনে ২৪-২৫ পর্বে সাজানো হয়েছে সেগুলো এখানে ২ থেকে ২.৫ ঘন্টার মধ্যে ঠিকভাবে সাজান হয়েছে কিনা তা ও চিন্তার বিষয়।

#১৩। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – The Laughing Man(২০০৫): Kenji Kamiyama র স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স ট্রিলজির প্রথম মুভি এটা। ২০২৪ সালে এক হ্যাকার মাইক্রো মেশিন নামে এক কম্পানির সিইও কে কিডন্যাপ করে একটি সিরিজ কিডন্যাপিং এর সূচনা করে যার নাম হয় লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট। ছয় বছরেও এই ঘটনের কোন সুরাহা হয় না। ঘটনার ছয় বছর পরে ইনভেস্টিগেশন টিম এর এক মেম্বার মৃত্যর ঠিক আগ মুহুর্তে সেকশন ৯ এর ফ্রেন্ড Togusa এর কাছে সব এভিডেন্স পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু জানাতে পারে না আসলে সে কি পেয়েছিল। Togusa এরপর শুরু করে নিজের ইনভেস্টিগেশন এবং পুলিশ বাহিনীর এক জোচ্চুরি আবিস্কার করে বসে। এরপর সেকশন ৯ লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট তদন্তের ভার নেয়। এই মুভির একটা খুব পছন্দের ডায়ালগ হলঃ I thought what I’d do was I’d petend I was one of those deaf mutes, or should I?
আমার মতে এটা একটা মাস্টারপিস। ২৬ পর্বের সিরিজটা আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। আর মুভি ভার্সনটা ২ঘন্টা ৪০ মিনিটের।

#১৪-১৫। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – Individual Eleven(২০০৫) ও Solid State Society (২০০৭): স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কম্পাইলেশন হল Individual Eleven আর Solid State Society একটা ফিল্ম। Individual Eleven এ সাইবারাইজড ওয়ার্ল্ড এ একটা রিফুজি আপরাইজিং নিয়ে গড়ে উঠেছে। আর Solid State Society এর স্টোরিটা শুরু হয় বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যাক্তিবর্গের আত্মহত্যার মাধ্যমে ও একে একে তাদের সন্তানদের হারিয়ে যাওয়া দিয়ে। Solid State Society এর একটা সিন আমার খুব পছন্দের। এখানে ডিটেক্টিভ Togusa এর সাইবারব্রেন হ্যাক এর মাধ্যমে তার মেয়েকে কীভাবে অবডাক্ট করা হয় তা দেখানো হয়েছে। নিচে আপনাদের জন্য সিনটা দিয়ে দিলামঃ

#১৬-১৭। Code Geass: Lelouch of the Rebellion : Black Rebellion(২০০৮) ও Zero Requiem (২০০৯): মূল সিরিজ ৫০ পর্বের (২০০৬-২০০৮)। প্রথম ২৫ পর্বকে ১১৭ মিনিটে কাটছাট করে Black Rebellion ও শেষ ২৫ পর্বকে আবার ১১৭মিনিটে কাটছাট করে Zero Requiem নামে ছাড়া হয়। আমার দেখা সেরা এনিমে সিরিজের একটা। ব্রিটানিয়া এর ৯৮তম রাজা চার্লস এর তৃতীয় সন্তান এবং সিংহাসনের ১৮তম দাবিদার রাজকুমার Lelouch ও তার বোন রাজকুমারী Nunnally কে তার মায়ের মৃত্যুর পর জাপানে নির্বাসন দেয়া হয়। ঘটনাক্রমে Lelouch এক অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ব্রিটানিয়া এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ন হয়।

CG 1

এই সিরিজের দুইটা পছন্দের ডায়ালগ হলঃ
If the king doesn’t lead how can you expect his sub-ordinates to follow?
এবং
If there is a evil so great that that It cannot be destroyed by just means, what will you do? Will you become a greater evil so as to destroy evil? Or, will you remain steadfastly just and righteous even if it means surrendering to evil? Either way, evil wins.

#১৮-১৯। Death Note – Relight: Visions of a God (২০০৭) ও L’s Successors (২০০৯):

DN 1

তুখোর ছাত্র লাইট ইয়াগামি এর হাতে এসে পড়ে ডেথ গডের নোট, যেই নোটের ক্ষমতা দিয়ে কোন মানুষের চেহারা আর নাম জানা থাকলে তাকে মেরে ফেলা যায়। লাইটের মনে হতে থাকে এই পৃথিবী থেকে কিছু প্রকৃতির মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হবে এবং সে এই নতুন পৃথিবী সবাইকে উপহার দিবে। তাই সে ডেথ নোটের ক্ষমতা ব্যাবহার করে একে একে বিভিন্ন খারাপ মানুষদের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে মেরে যেতে থাকে। এক সময় তা সবার নজরে আসে এবং এই খুন গুলো পরিচিতি পায় “কিরা কিলিং” নামে। পৃথিবীর এক নম্বর গোয়েন্দা এল এগিয়ে আসে এই সিরিয়াল কিলারকে থামাতে। শুরু হয় এক মেন্টাল লড়াই। লাইট যখনই এল এর আসল নাম জানবে তখনই এল পরাজিত, অন্যদিকে এল যখনই কিরার পরিচয় জানবে তখনই লাইটের ওয়ার্ল্ড রিফর্ম এর স্বপ্ন শেষ হবে। ২০০৭-২০০৮ এ চলা এই সিরিজটা মট ৩৮ পর্বের। প্রথম ২৫পর্বের কম্পাইলেশন Visions of a God আর শেষ ১২ পর্বের কম্পাইলেশন L’s Successors।

আরো টুডি এনিমেশন মুভি – লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

টুডি এনিমেশন মুভি নিয়ে আগের পোস্টটা দিয়েছিলাম গত বছর। এবার আরো কিছু টুডি ফিল্ম নিয়ে হাজির হলাম। আগেরবারের মতই কোন নির্দিষ্ট ক্রমে লিখলাম না। যখন যেটার নাম মনে আসে তখনই সেটা লিখলাম। এগুলোর বেশিরভাগই গত এক বছরের মধ্যে দেখা। আর শিরোনাম টুডি এনিমেশন মুভি হলেও এই পোস্টের সবগুলো শুধুই জাপানীজ এনিমে। স্বাগতম আমার পোস্টে।

#১। Colorful (2010):

Colorful
মৃত্যুর পর একটি আত্মাকে সুযোগ দেয়া হয় আবার পৃথিবীতে ফেরত যাওয়ার। এই আত্মাকে মাকোতো কোবাইয়াশি নামে এক কিশোরের জায়গায় রিপ্লেস করা হয়। অন্যদিক এ মাকোতো নামের ছেলেটি আত্মহত্যা করে। তাকে বলা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে তার আগের জীবনের পাপকে খুঁজে বের করতে হবে। আর তাকে আরো বলে হয় ঠিক কোন ঘটনা মাকোতোকে আত্মহত্যার পথে নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করতে।
ডিরেক্টর Keiichi Hara এর দ্বিতীয় বিগ প্রোডাকশন। এর আগের মুভি ছিল Summer Days with Coo (২০০৭)। তারো আগে এই ডিরেক্ট কিছু টিভি সিরিজ, সেই রিলেটেড মুভি ও কিছু অল্প বাজেটের মুভি বানিয়েছেন। Colorful ছবিটি ২০১০ সালে Mainichi Film Award এ এনিমেশন গ্র্যান্ড এওয়ার্ড জিতে নেয়।
এখন আমার মন্তব্য বলতে গেলে আমি বলব খুবই unsettling মুভি। কয়েকদিন কেমন যেন খচখচ করেছে মুভিটা দেখার পর। দেখার মত।

#২। Summer Days with Coo (2007):

Summer Days with Coo

এটা বাচ্চাদের জন্য বানানো।
Kappa জাতের এক Yokai (ভূত) ২০০ বছর পর নিজেকে মডার্ন টোকিওতে আবিষ্কার করে। Kouichi Uehara নামের এক পিচ্চি তাকে খুঁজে বের করে। এরপর কাপ্পা চায় এই পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে।
খারাপ না।

#৩। Redline (2010):

Redline
“Sweet JP” প্রায় জিতে যাচ্ছিল ইয়েলো লাইন আর তার হাতে এসে যাচ্ছিলি রেড লাইনের টিকেট। কিন্তু শেষ মূহুর্তে প্রতিশ্রুত ম্যাচ ফিক্সিং এর কারনে বরন করে নিল সবার শেষ পজিশন। কিন্তু পপুলার ডিমান্ড আর কয়েক রেসারের রেড লাইন বর্জন করায় সে শেষ পর্যন্ত চান্স পেল রেড লাইনে। তার সারা জীবনের স্বপ্ন রেড লাইন জেতা। এখন সে কি আবার ম্যাচ ফিক্স করবে নাকি রেড লাইন জেতার চেষ্টা করবে?
মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর একটা স্পোর্টস কাহিনী। কিন্তু ওয়েট এ মিনিট! এখানের সব রেসাররাই বিভিন্ন এলিয়েন। রেসটা একটা ইলিগ্যাল রিয়েলিটি শো। তার উপর পুরো এডাল্ট ওরিয়েন্টেড। এটা বানানো হয়েছে পুরোই Speed Racer সিরিজের ছায়ায়।
তবে একটা কথা আমি বলব, ছবির বিভিন্ন জায়গায় যতই গজগজ করি না কেন, শেষ আধা ঘন্টা স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে পারিনি। এটার এনিমেশন প্রশংশাযোগ্য। UK Anime Network এর রিভিউতে বলা হয়েছে “A sense of the cool and outrageous is seeped into every pore of the design” অন্যদিকে আরে রিভিউ এ বলা হয়েছে, “Speed Racer on crack”। তবে ছবি দেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর খুব বেশিদিন মনে থাকবে না। এটার আমেরিকান ডিস্ট্রিবিউটর ফানিমেশন এটাকে ২০১১ এর এনিমেশন বিভাগে অস্কারের জন্য সাবমিট করেছিল। আমার মতে এটার চেয়ে Colorful কে সাবমিট করলে ভালো হত। কিন্তু শুনেছি অস্কারের নিয়ম অনুযায়ী এনিমেশন বিভাগে সাবমিশনের জন্য অন্তত এক সপ্তাহের জন্য আমেরিকার কোন হলে সিনেমাটা চলতে হয়। অন্যদিক এ Colorful এখনো ইংলিশ ডাব এর জন্য লাইসেন্সই হয় নাই। :@
যাই হোক রেডলাইন খারাপ না। কিন্তু আপনার মাথা ঘুরাতে পারে এনিমেশন স্টাইলটার জন্য।

#৪। The Wings Of Honneamise (1987):

The Wings Of Honneamise
একটি দেশ স্পেস প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই দেশের সাথে পাশের দেশের আবার যুদ্ধ আসন্ন। প্রোগ্রামের মাঝখানে মাঝখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। এর মাঝেই রয়াল স্পেস ফোর্স তাদের স্পেস কার্যক্রম শেষ করতে চায়।
স্টোরিটা অনেক সিম্পল। এনিমেশন ও সিম্পল। সবকিছুই সিম্পল।

#৫। Jin-Roh the Wolf Brigade (1999):

Jin-Roh the Wolf Brigade
টোকিও শহরে চলছে দাঙ্গা। এর মাঝেই টেরোরিস্ট গ্রুপ সেক্ট এই দাঙ্গায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে। আর এ কাজে তারা ব্যাবহার করে ছোট ছোট মেয়েদের। যাদের বলা হয় ‘লিটল রেড রাইডিং হুড’। এমনই এক মেয়ে, করপোরাল কাযুকি এর সামনে আত্মহত্যা করে। এভাবেই শুরু হয়।
ছবিটার ডিড়েক্টর Hiroyuki Okiura এবং রাইটার Mamoru Oshii (Ghost in the Shell সিনেমা দুইটার ডিরেক্টর)। পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ১৯৫০-১৯৭০ এর জাপানকে বেছে নেয়া হয়েছে।
আমার ভালো লেগেছে সিনেমাটা। একটু পর পর লিটল রেড রাইডিং হুড থেকে কোটেশন হয়। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটার এন্ডিং টা। দেখতে পারেন।

#৬। K-ON! The Movie (2011):

K-ON! The Movie
এটা একটা টিভি সিরিজের ফিল্ম। আল গার্লস ব্যান্ড “আফটার স্কুল টি টাইম” এর সদসদের ইংল্যান্ড এ বেড়াতে যাওয়ার গল্প। ছবিটা দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটা সেই বিখ্যাত এবে রোড। সিরিজটা আমার খুবই পছন্দের ছিল। সেই সাথে এই মুভিটাও ভালো লেগেছে। সবসময়ই ওয়ার্ম, ফাজি। কমেডি ঘরনার। এই মুভি এর আগে ৩৯ পর্বের এক সিরিজ আছে। যেখানে দেখানো হয় ভগ্নপ্রায় এক লাইট মিউজিক ক্লাব এ চারজন এসে যোগ দেয়। এরপর তাদের দুষতামি, ফাইজলামি এর মাধ্যমে একটা মেডিকোর ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে। এইত।

#৭। Dante’s Inferno: An Animated Epic (2010):

Dante's Inferno An Animated Epic
Electronics Arts এর অর্থায়নে বিভিন্ন জাপানীজ স্টুডিও এ বিভিন্ন সেগ্মেন্ট বানানো। স্টোরিটা খুবই সিম্পল, দান্তে ক্রুসেড থেকে ফিরে এসে দেখে তার স্ত্রীকে হেল এর গার্ডরা নিয়ে যাচ্ছে। এরপর সে এক অভিযানে নেমে পড়ে তার স্ত্রী বিয়েট্রিসকে ফেরত আনার জন্য। এটা বানানো হয়েছে Dante’s Inferno গেম এর টাই ইন হিসেবে। গেমটা খেলা হয় নি কারন গেমটা পিসিতে রিলিজ পায় নি। গেমটা খেলার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই গেমের স্বাদ এই এনিমেশন ফিল্ম এই নিতে হল। সিগ্নিফিকেন্ট দিক বলতে বিভিন্ন সেগ্মেন্ট এ বিভিন্ন এনিমেশন স্টাইল ইউজ করা হয়েছে যা প্রতিটা স্টুডিও এর সিগ্নেচার স্টাইল ফলো করেছে।

#৮। Batman: Gotham Knight (2008):

Batman Gotham Knight
এটা মনে হয় অনেকেরই দেখা আছে। ডিসি কমিক্স এর অর্থায়নে বানানো। স্টাইল এর দিক দিয়ে Dante’s Inferno এর মত। তবে একটা কথা বলতে হবে। প্রথম সেগমেন্ট Have I Got a Story for You টাকে বলতে হয়, “out of this world experience.” সম্ভবত, ব্যাটম্যান নিয়ে এখন পর্যন্ত যতগুলো জিনিসপত্র দেখেছি তার মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের। ডার্ক নাইট এর ফ্যানদের মধ্যে যারা এটা দেখেননি তাদের এটা দেখার অনুরোধ থাকল।

#৯। The Disappearance of Haruhi Suzumiya (2010):

The Disappearance of Haruhi Suzumiya
এটাও আরেকটা টিভি ফিল্ম। জাপান সম্পর্কে একটা পাই চার্ট নেটে খুব পপুলার তা হলেঃ What is going on in Japan? 15% – Typical Things and 75% – Some Weird Shit. Haruhi Suzumiya সিরিজটি সম্ভবত শেষের ৭৫% এর মধ্যে পড়ে। এই মুভিটি দেখার আগে যে কারো The Melancholi of Harufi Suzumiya সিরিজের প্রথম ৬/৭ পর্ব দেখা বাধ্যতামূলক। হারুহি সুজুমিয়া নামের এক মেয়ে, ধারনা করা হচ্ছে এই মেয়ে গড। অন্যদিক এ হারুহি এর তৈরি করা ক্লাবে হারুহি জড়ো করে কয়েকজনকে। একে একে দেখা যায় এই গ্রুপের একেকজন একেক ক্ষমতা সম্পন্ন। একজন টাইম ট্রাভেলার, একজন এস্পার (মেন্টালিস্ট), একজন থট ইন্টেগ্রিটি/ডাটা এন্টিটি এর একটি নোড। এতসবের মাঝে এক সাধারন মানুষ হিসেবে সিরিজের প্রধান চরিত্র কিয়ন জড়িয়ে পড়ে। হারুহি জানে না যে তাকে গড ধারনা করে। আর অন্য তিন গ্রুপের সদস্যরা হারুহিকে অব্জার্ভ করার জন্য এ ক্লাবে যোগ দেয়। এই ক্লাব নিয়েই কাহিনী। ডিজএপেয়ারেন্স অফ হারুহি সুজুমিয়া এ দেখানো হয় সম্পুর্ণ এনভায়রন্মেন্ট চেঞ্জ হয়ে গেছে। কিন্তু কিয়ন ছাড়া আর কারো এর স্মৃতি মনে নেই। অনেক লম্বা সিনেমাটা, প্রায় ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট। কিন্তু মজা লেগেছিল দেখতে গিয়ে এবং কোন্দিক দিইয়ে পুরো সময় চলে গেল টেরই পাইনি।

#১০। Hotarubi no Mori e (2011):

Hotarubi no Mori e
সামার ভ্যাকেশনে এক ফরেস্ট স্পিরিট এর সাথে দেখা হয় পিচ্চি টাকেগাওয়ার। এরপর প্রতি সামার ভ্যাকেশনই স্পিরিটের সাথে দেখা করে এই পিচ্চি। ৫০ মিনিট এর ছোট্ট একটা মুভি।

#১১। The Sky Crawlers (2008):

The Sky Crawlers
সেম নামের উপন্যাস থেকে এডাপ্টেশন করেছেন লিজেন্ডারি ডিরেক্টর Mamoru Oshii। তবে এই সিনেমায় মনে হয় অনেক সিম্বলিক ব্যাপার স্যাপার ছিল। ওশি এর অন্যান্য ফিল্মের মতই বেশ কিছু অংশ মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। স্পেশালি শেষ দশ মিনিট যে কি দেখাল আল্লাহ জানে। যাই হোক, এটা ২০০৮ এ Mainichi Film Award এ এনিমেশন গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতে নেয়। এবং অনেকেরই প্রিয় এনিমে এর তালিকায় আছে।
একদল এরিয়াল ফাইটারদের নিয়ে গল্প। এবং সায়েন্স ফিকশন। আর সায়েন্স ফিকশন পার্ট্টাই শেষ ১০-১৫ মিনিট এর আগে দেখা যায় না। এর আগ পরযন্ত ড্রামা মুভি হিসেবে চলতে থাকে।

আজ এ পর্যন্তই। সামনে আবার আসব আরো কিছু এনিমে ফিল্ম নিয়ে।

—-

ডাউনলোড লিঙ্কসঃ
দান্টে’স ইনফার্নো ছাড়া সবগুলো বাকাবিটি এর লিঙ্ক। সবগুলোই টরেন্ট। কম সাইজেরগুলো দিলাম। তবে পেজের কোনায় অন্যান্য ভার্সন দেখা যাবে।
Colorful:720p
Summer Days with Coo: ৪৮০পি
Redline: 480p
The Wings Of Honneamise: 480p
Jin-Roh the Wolf Brigade: 480p
Dante’s Inferno: 720p
K-ON! The Movie: ৭২০পি
Batman: Gotham Knight: 720p
Hotarubi no Mori e: 720p
The Sky Crawlers: ৪৮০পি

যা কিছু পছন্দের…….. এনিমেশন! লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

আমার পছন্দের তালিকাতে সবসময় এনিমেশন এর প্রাধান্য থাকে। আজ আপনাদের সাথে আমার পছন্দের এনিমেশনগুলো শেয়ার করব। এক্ষেত্রে আমি কিছু ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিয়েছি (আমার নিজস্ব মত অনুসারে)।
তো আসুন আমার বোরিং পছন্দের দুনিয়া থেকে ঘুরে আসি।

Action/Thrillar: Darker Than Black

Darker Than Black

কোন সন্দেহ ছাড়াই আমি বলতে পারি এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা এনিমেশনগুলোর একটি। এটা দেখেছি স্যাটেলাইট চ্যানেল Animax এ। প্রথমে কমার্শিয়ালটা দেখে খুব একটা পছন্দ হয়নি। “ওই এক্স মেন এর মত অনেক সুপার পাওয়ার ওলা মানুষদের নিয়ে একটা এনিমে।” তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু এইসব সুপার পাওয়ার নিয়ে জাপানীজদের কাহিনীটা যে এত মানবিক হবে তা কল্পনা করি নি। সুপার হিরো ক্যাটাগরিতে আমেরিকানরা একই গৎবাঁধা কাহিনী সারাজীবন দেখাচ্ছে। সে জায়গায় এটা খুবই উঁচু মানের। প্রথম ২টা পর্ব দেখে বাকি সবগুলো গিলেছি এক এর পর এক।

এটার ডাউনলোড লিঙ্ক Click This Link

Action/Science Fatasy: Fullmetal Alchemist

FMA

পাওলো কয়েলহোর এলকেমিস্ট এর নাম শুনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু না। এটা পাওলো কোয়েলহোর এলকেমিস্ট এর এডাপ্টেশন নয়। এটা জাপানীজ Manga Artist Hiromu Arakawa এর গ্রাফিক নোভেল এর এডাপ্টেশন। Dragon Ball Z এর পর মনে হয় এই এনিমেটাই একই সাথে টিভি ও ডিভিডি সেল এ সারা দুনিয়াতে অসাধারন সাফল্য পায়। অসাধারন কাহিনী, অসাধারন স্টোরিটেলিং, এবং একই সাথে অসাধারন ক্যারাক্টার ডিজাইনিং। পুরো কাহিনীটা দুভাই Edward Elric ও Alphonse Elric এবং কিছুটা তাদের ছোটবেলার বন্ধু Winry Rockbell এর জীবনের ট্র্যাজেডি হলেও এতে আছে তীব্র যুদ্ধবিরোধী চেতনা। যারা এনিমেশনকে শুধু ছোটদের বলে মনে করেন তারা এটা চেখে দেখতে পারেন। গ্যারান্টি দিতে পারি পস্তাবেন না। আর এর মুভিটাও যথেষ্ঠ ভালো।

Comedy/Slice of Life: Phineas and Ferb

Phineas and Ferb

অনেকে হয়ত এটা দেখে হাসতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এটা আমার দেখা সবচেয়ে হাসির কার্টুন, এবং পুরো কার্টুনটাই ডায়ালগনির্ভর। এনিমেশন স্টাইলটা দেখে ভেবেছিলাম এটা দেখবো না। পিচ্চিদের জিনিশ। কিন্তু একদিন আমার এক ছোট কাজিন এর সাথে একটা পর্ব দেখে ফেললাম। আর এর পর থেকে প্রায় সবগুলোই দেখেছি। Disney Channel এ দেখায়। কাহিনীটা অবশ্যই চাইল্ডিশ, সহজ, আর অবশ্যি অনেক মজার।

Epic: Avatar – The Last Airbender

Avatar

সারা পৃথিবীতে এপিক ক্যটাগরিতে এর চেয়ে ভালো কোন এনিমেশন নেই বলেই বিশ্বাস করি। পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় এনিমেশনপ্রেমীদের কাছে এটা একটা রোল মডেল। ১৬টি এওয়ার্ড নমিনেশনের মধ্যে ১৪টিই জিতে নেয় এই এনিমেশনটি। এর মধ্যে ৭টি সম্মানজনক এনি এওয়ার্ড। আমার পছন্দের স্টুডিও এর কথা বলা হলে, আমি আগে Nickelodeon এর নাম মাথায়ই আসতো না। কিন্তু এখন Nickelodeon অবশ্যই প্রথম সারিতে থাকে। ১০০ বছরের রিএনিমেশন প্রসেস থেকে উঠে আসা বালক Aang, তথা এভাটার দেখে যে তার অনুপস্থিতিতে সমস্ত পৃথিবীর শক্তি ভারসাম্য উলট পালট হয়ে গেছে। ফায়ার লর্ড প্রায় সমস্ত পৃথিবী দখল করে নিয়েছে। এখন Aang ই পারবে এই পৃথিবীকে ফায়ার লর্ড এর হাত থেকে মুক্ত করতে। কিন্তু এর আগে তার চারটি উপাদান এর বেন্ডিং মাস্টার হতে হবে। ফলে সে তার জন্য শিক্ষক খোঁজার অভিযানে নেমে পড়ে। আর এই অভিযানে তার সঙ্গী হয় ওয়াটার ট্রাইব এর বালিকা Katara ও তার ভাই Sokka। ধীরে ধিরে এই দলে যোগ হয় আর্থ কিংডম এর Toph ও ফায়ার নেশন এর প্রিন্স Zuko। শিক্ষক খোঁজার এই অভিযানটি শেষে রূপ নেয় এক অবশ্যম্ভাবী মহাযুদ্ধে।

Mecha/Comedy Science Fiction: Megas XLR

Megas xlr

এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে মজার এনিমেশন হল Megas XLR। ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে এক এলিয়েন রেস পৃথিবীতে হামলা করে। পৃথিবীকে দখল করাই তাদের লক্ষ্য। আর মানবজাতি তাদের সর্বোচ্চ টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করে একটা Meche Prototype। এই প্রোটোটাইপটির নামই Megas। একটি দুর্ঘটনার ফলে প্রোটোটাইপের টাইম ড্রাইভ এর মাধ্যমে তা চলে আসে ১৯৩৬সালের পৃথিবীতে। এটার জায়গা হয় একটি জাঙ্কইয়ার্ডে। ২০০৪সালে জাঙ্কইয়ার্ডথেকে টো টো কোম্পানীর ম্যনেজার Coop মাত্র ২ডলারে কিনে নেয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। আর এরপর একটির পর একটি হাসির ঘটনা ঘটতে থেকে।

Romantic Comedy : Love Hina

Love Hina

এই ক্যাটাগরির খুব বেশি কিছু আমার দেখা হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টা দেখেছি। তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

Science Fiction: Jyu-Oh-Sei (English Title: Planet of The Beast King)

Jyu-Oh-Sei

দুই জময ভাই Thor ও Rai এর বাবা-মাকে হত্যা করা হয় ও তাদেরকে এস্কেপ ক্যাপস্যুল এ করে স্পেস কলোনী জুনো থেকে মহাশুন্যে ছুড়ে মারা হয়। কাইমেরা নামক প্রিজন প্ল্যানেটএ ক্যাপস্যুলটি অবতরন করে। অসহায় দুই ভাইকে এখানে একই সাথে মানুষ ও প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বাঁচতে হবে। কিন্তু অতিদ্রুত Rai এর মৃত্যু হয়। আর Thor প্রতিজ্ঞা করে সে এই গ্রহ থেকে বের হয়ে যাবে, তার পরিবারের মৃত্যুর কারন বের করবে। আর এজন্য তাকে হতে হবে বিস্ট কিং, প্ল্যানেট এর রাজা। তাই ধীরে ধীরে সে গ্রহটির অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর সবশেষে যখন সে বিস্ট কিং হয় তখন তার মনে হয় সে বিস্ট কিং না হলেই ভালো ছিল।

Detroit Metal City by Shaikh Mohammad Habib

সোয়িচি নেগিশি যার স্বপ্ন একজন পপ গায়ক হওয়া,সে ঘটনাচক্রে হয়ে যায় ডেথ মেটাল ব্যান্ড “Detroit Metal City” এর লিড গিটারিস্ট এবং ভোকাল। যেখানে সে Johannes Krauser II নামে এক অল্টার ইগো তৈরি করে। এই Johannes Krauser II সম্পর্কে নানা গুজব রটে যায়, যার বর্ণনা দেয়ার কিছু খুজে পাচ্ছিনা -_- , তাই উইকি থেকেই কিছু অংশ তুলে দিলাম – “rumored to be a terrorist demon from hell, to have killed his parents, to wield his giant death penis with abandon, and other menacing tales being said about him after each public performance.” অনেক কমেডি জেনারের অ্যানিমে দেখেছি, কিন্তু এই অ্যানিমের মত এত মজা কোথাও পাই নাই। মাত্র ১২টা এপিসোড, তার ওপর প্রত্যেকটা এপিসোড ১৩ মিনিট করে 🙁 , এই সিরিজ নিয়ে একটা লাইভ অ্যাকশন মুভিও আছে। যারা এখনো দেখননি তাদের জন্য আমার রিকমেন্ডেশন থাকবে এই সিরিজটা দেখার। আর আরেকটা বিষয়, ডেথ মেটাল ব্যান্ড নিয়ে করা এই সিরিজের প্রত্যেকটা গানই আমার কাছে খুব ফাটাফাটি মনে হয়েছে। আর গানের সাথে থাকে নেগিশি/Johannes Krauser II এর স্টেজ পারফর্মেন্স 😉

DMC

Azumanga Daioh! – হাইস্কুল কমেডি — লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

 

AMD 1

এনিমে নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু লেখি লেখি করে হচ্ছিল না। আজকে লেখতে বসে পড়লাম। দেখা যাক।
যে এনিমেটা নিয়ে লেখার ইচ্ছা সেটার নাম Azumanga Daioh, কথাটির ইংরেজী অনুবাদ দাঁড়ায় Great King Aumanga. এনিমেটা এডাপ্ট করা হয়েছে একই নামের জাপানীজ কমিক বুক থেকে। কমিক বুক এর রাইটার Kiyohiko Azuma (কিওহিকো আজুমা)।

নামকরন
নামকরন কীভাবে হল সেটা একটু বলে নেয়া যাক। রাইটার এর নামের Azuma আর জাপানিজ কমিক বুক এর জেনেরিক নাম Mangaকে একত্র করে লেখক নিজেই কয়েন করেন Azumanga শব্দটি। আর Daioh নেয়া হয়েছে যে ম্যাগাজিনে এই মাঙ্গাটা সর্বপ্রথম সিরিয়ালাইজ করা হয় সেটা থেকে। ম্যাগাজিনটার নাম Dengeki Daioh। আর এনিমে এর একপর্বে গ্রেট কিং বুঝাতে Daioh শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে এই শব্দটির ইংরেজী অনুবাদ করা হয়েছে গ্রেট কিং। Azumanga Daioh এই আর্টিস্ট এর সবচেয়ে বিখ্যাত মাঙ্গা। এবং এই মাঙ্গা থেকেই এই লেখকের যেকোন মাঙ্গাকে Azumanga বলা হয়। আর যখন Azumanga Daioh উচ্চারন করা হয় তখন এই মাঙ্গাটিকে বুঝানো হয়। যাই হোক, আমার আসল টপিক হল এনিমেটা। সেটাতে ফেরত যাচ্ছি।

কাহিনী সংক্ষেপ
কাহিণী গড়ে উঠেছে কয়েকজন হাইস্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও তাদের টিচারদের নিয়ে। শুরু হয় এভাবে, টিচার ইউকারি টার্মের প্রথমদিন ক্লাস নিতে যাওয়ার সময় লেট হয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় তার সাইকেল এর চেইন পড়ে যায়। অন্যদিক এ আরেক স্টুডেন্ট তাকে দেখে ভাবে, সে যদি টিচার এর সাথে লেট করে তাহলে তার কোন সমস্যা হবে না। তাই টিচার কে চেইন ঠিক করে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসে। সে যখন সাইকেল এর চেইন ঠিক করছিল, ততক্ষনে ইউকারি স্টুডেন্টের সাইকেল নিয়ে স্কুলের দিক এ রওনা হয়ে গিয়েছে।
এরকমই ছোট ছোট ক্লিপ দিয়ে গড়ে উঠেছে ২৪পর্বের এ কমেডি সিরিজটি। প্রতিটি ক্লিপের দৈর্ঘ্য ৫-৭ মিনিট। একটি পর্বে ৩-৫টি ক্লিপ থাকে। আচ্ছা এখন ক্যারেক্টারগুলোর বর্ননা দেয়া যাক কিছু। সেখানে কিছু ঘটনা যোগ করলে স্টোরি সম্পর্কে আরো জানা হবেঃ

Chiyo Mihama (চিও মিহামা)

AMD 2

একজন চাইল্ড প্রডিজি। যে ৫ম গ্রেড থেকে সরাসরি ১০ম গ্রেড এ প্রমোশন পায়। সব কাজেই তার সমান ইফিশিয়েন্ট আর কেউ নেই। ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী হিসেবে দ্রুতই ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে মনোনীত হয়। এক ক্লাসে সে স্যারের হোমওয়ার্ক না করায় সে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়, তখন সে লখ্য করে ক্লাসের অন্য কেুও হোমওয়ার্ক করেনি কিন্তু কারো কোন চিন্তা নেই  ; অন্যদিকে সে চিন্তায় অস্থির।

Tomo Takino (টোমো টাকিনো)

AMD 3

ক্লাসের হাইপারএক্টিভ আর এনার্জেটিক ক্যারেক্টার। পড়া ফাঁকি, ক্লাস ফাঁকি সবই তার মাধ্যমে হয়; যদিও সে স্বপ্ন দেখে যে সে চিও কে টপকিয়ে ফার্স্ট হবে আর সাকাকির (এর সম্পর্কে পড়ে আসা হবে) চেয়ে ভালো এথল্যাট হবে। তার সম্পর্কে একটা ঘটনা না বললেই নয়। একবার মিডটার্ম এক্সাম এর আগে সে কিছুই পড়েনি। পরীক্ষার দুইদিন আগে যখন দেখল পাহাড় পরিমাণ পড়া জমে গিয়েছে, তখন সে “Tomo’s picks for exam” নাম দিয়ে বই এর যেগুলো ইম্পর্ট্যান্ট মনে হয় সেগুলো দাগিয়ে রাখল এবং পরীক্ষার আগের দিন তার কোন চিন্তা নাই বলে পুরো ক্লাসে চিল্লিয়ে তার পিকস থেকে একটা কোয়েশ্চেন বলল যেটা কালকে অবশ্যই আসবে। এরপর কি হল সেটা আর বলব না।

Koyomi “Yomi” Mizuhara (কোয়োমি “ইয়োমি” মিজুহারা)

AMD 4

পড়াশোনা নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস এক ক্যার‍্যাক্টার। টোমো এর ছোটবেলার বন্ধু। কিন্তু দুইজনের ক্যারাক্টারিস্টিকস পুরাই আলাদা। সে চিন্তা করে পায় না, কীভাবে টোম তার সাথে একই হাইস্কুল এ চান্স পেল (জাপানে সম্ভবত হাইস্কুল ভর্তি পরীক্ষা আছে)। আবার এটা নিয়ে টোমো খুবই গর্ব করে। পুরো এনিমে জুড়ে টোমোকে নানা ধরনের উপদেশ দেয়াই ছিল এর প্রধান কাজ।

Sakaki (সাকাকি)

AMD 5

উচ্চতায় ক্লাসের সবচেয়ে বড়, তাই এথল্যাট হিসেবে স্কুলে খুব সুনাম। বিড়াল, স্টাফড এনিমেল খুব পছন্দ করে, কিন্তু তার মত কোন মেয়েকে এসব পছন্দ করতে দেখেনি, তাই সবসময়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে। ক্লাসে সবসময়ই কম কথা বলে। আর রাস্তার বিড়ালটাকে আদর করতে গেলেই বিড়াল্টি তার হাতে কামড় দেয়, তাই অনেকেই মনে করে সে কোন এক জায়গা থেকে মারামারি করে এসেছে।

Ayumu “Osaka” Kasuga (আইয়ুমু “ওসাকা” কাসুগা)

AMD 6

বলা হয়ে থাকে ক্লাসের সবচেয়ে ডাম্ব ক্যার‍্যাক্টার। ক্লাস করতে করতে ঘুমিয়া পড়া তার নিত্যদিনের স্বভাব। সবাই বলে সে “স্পেসি”-বা যে নিজের মধ্যে ডুবে যায়। কিন্তু ধাঁধা সমাধান করতে সবচেয়ে ফাস্ট। এবং অনেক উদ্ভট চিন্তা করতে তার জুড়ি নেই। এই এনিমেতে আমার ফেবারিট ক্যারাক্টার। এর নাম শুধু আইয়ুমু কাসুগা। কিন্তু ওসাকা থেকে মাইগ্রেটেড বলে ক্লাসের সবাই তাকে ওসাকা ডাকে। সে ক্লাসে যুক্ত হয় চিও এর কয়েকদিন পরে। আর সে আসার পরেই চিও স্পোর্টস এ শেষ এর দিক থেকে দ্বিতীয় হওয়া শুরু করল।
এর সম্পর্কে একটি ঘটনা বলা যায়, তার অনেক দিনের শখ যে সে ফ্রাইং প্যান এ চামচ দিয়ে বাড়ি দিয়ে সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে, কিন্তু সে সবার শেষে ঘুম থেকে উঠে বলে তার এ শখটা কখনো পূরণ হয় না। একদিন, এক ট্রিপে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, সে জাগার পরও তাদের টিচার ইউকারি এখনো ঘুমে। তখনই সে তার শখটা পূরণ করার জন্য রান্নাঘরে যায়। কিন্তু ঘুমের ঘোরে ফ্রাইং প্যান এর বদলে একটা ছুড়ি নিয়ে আসে। এরপরের ঘটনা আর বললাম না।

Kagura (কাগুরা)

AMD 7

কাগুরা এই গ্রুপের সাথে যুক্ত হয় দ্বিতীয়বর্ষে। সে সুইমিং ক্লাব এর সদস্য। আর দ্বিতীয় বর্ষে স্কুল স্পোর্টস ফেস্টিভাল জেতার স্ট্র্যাটেজি হিসাবে ইউকারি তাকে তার ক্লাসে নিয়ে আসে। ক্যার‍্যাক্টারিস্টিকস এর দিক দিয়ে সে টোমো এর মত কিছুটা। টোমো, ওসাকা আর কাগুরা এই তিনজনকে ক্লাসে একসাথে ডাকা হয় “দ্যা নাকলহেডস”।

Kaorin (কাওরিন)

AMD 8

সাকাকিকে অত্যন্ত পছন্দ করে। এস্ট্রোনমি ক্লাবের সদস্য বলে সে কোন ছুটিতেই গ্রুপের সাথে বেড়াতে বের হতে পারে না। এজন্য তার দুঃখের অন্ত নেই। এনিমেতে যে কয়েকটি সিনে উচ্চস্বরে হেসে উঠবেন, তার অনেকগুলোতেই কাওরিন এর উপস্থিতি আছে।

এবার আসা যাক শিক্ষকদের কথায়। তিনজনকে নিয়মিত দেখা যায়ঃ
Yukari Tanizaki (ইউকারি তানিজাকি)

AMD 9

যে ক্লাস নিয়ে আমাদের কাহিনী সেই ক্লাসের ক্লাস টিচার, স্কুলের ইংরেজী টিচার হট হেডেড। কালচারাল ফেস্টিভাল এর সময় যখন শুধু হন্টেড হাউজ বা ক্যাফে এর কথা এসেছিল তখন সে স্টুডেন্টদের তিরস্কার করে যে, তাদের মাথায় কোন ক্রিয়েটিভ আইডিয়া নেই। কিন্তু একটু পরেই সে যখন দেখে যে নিজেও আইডিয়া দিতে পারছে না তখন বলে উঠে, হন্টেড হাউজ আর ক্যাফে খুবই সুন্দর আইডিয়া। কথায় কথায় বাজি ধরা তার স্বভাব, আর হেরে গেলে তাকে পাওয়াই যায় না।

Minamo “Nyamo” Kurosawa (মিনামো “নিয়ামো” কুরোসাওয়া)

AMD 10

মিনামো কুরোসাওয়া আর ইউকারি একই স্কুল থেকে বের হয়েছে। কিন্তু মিনামো P.E. টিচার আর এই কারনে ইংরেজি টিচার ইউকারি এর ভাব এর কমতি থাকে না। অন্যদিকে মিনামো এর দুঃখ হল তার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই।

Mr. Kimura (মিস্টার কিমুরা)

AMD 11

এটা এনিমে এর একমাত্র নিয়মিত পুরুষ ক্যার‍্যাক্টার, আর এ হল পরিমল। ক্লাসিক্যাল জাপানীজ পড়ান। কিন্তু এনিমেতে এর উপস্থিতি থাকে সেমি-পার্ভার্টেড ডায়ালগ দিতে। যদিও বাসায় একজন বউ আছে, সে কাওরিন এর প্রেমে পাগল, এবং দ্বিতীয় বর্ষে সে কাওরিনকে নিজের ক্লাসে নিয়ে নেয়। আর কাওরিন এর কাছে এই লোক একটা জমের নাম।

এই তো গেল ক্যার‍্যাক্টারগুলোর কথা।
এই সিরিজটার ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে, সেটা হল, সিরিজটা শেষ করার এক/দুই পর আমার নিজের হাইস্কুল/কলেজ লাইফের এর কথা অনেক মনে পড়ে গিয়েছে। যদিও সিরিজটা দেখার সময় সেটা কখনই মনে হয় নি।

সিরিজটার কিছু ভিডিও এখানে যোগ করে দিলাম।

এটার ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম। টরেন্ট। :)
Torrent

Baccano! – জাপানিজ এনিমে এর পাল্প ফিকশন —- লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

মূল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/Hyperactive/29653634

Baccano
এনিমে সিরিজ নিয়ে কিছু পোস্ট দেয়ার ইচ্ছা ছিল বেশ কয়েক মাস ধরে। কয়েক মাস আগে একটা দিয়েছিলাম। আজকে আরেকটা নিয়ে হাজির হলাম। দেখা যাক কেমন হয়।
যে এনিমেটা নিয়ে লেখা ইচ্ছা তার নাম Baccano! এটি মূলত সেম নামের একটা লাইট নভেল সিরিজ এর এডাপ্টেশন। এখানে লাইট নভেল নিয়ে কিছু বলা প্রয়োজন। এটার বাংলাদেশ কাউন্টারপার্ট এর সাথে তুলনা করলে বলা যায় সেবা প্রকাশনীর বইগুলোর মত যা তরুন বা কিশোর/কিশরীদের দিকে লক্ষ্য রেখে বাজারে ছাড়া হয়। কিন্তু সেবার বই গুলো ভাবানুবাদ হলেও জাপানিজ লাইট নভেল তাদের অনন্যতার জন্য বিখ্যাত আর সাইজ ২০০ পৃষ্ঠা এর আশেপাশে বা বেশি হয়। এমনকি অনেক নতুন নতুন আইডিয়া লাইট নভেল রাইটার দের কাছ থেকে বের হয় বলে শোনা যায়।
Baccano! এর রাইটার এর নাম Ryohgo Narita। সারাজীবনে ৫টা সিরিজ লিখছেন। সেগুলো হল Baccano!, Vamp!, Durarara!!, Ersusa Ohashi, Hariyama-san. এর মধ্যে Baccano! আর Durarara!! জাপানে বেস্টসেলার। ইউএস এও মার্কেটেড হয়েছে।

নামকরন

Baccano একটি ইটালিয়ান শব্দ। যার ইংরেজি প্রতিশব্দ Silly Commotion বা Stupid Commotion। বাংলায় আক্ষরিক অনুবাদ করলে হবে হালকা ঝামেলা। তবে সম্ভবত উটকো ঝামেলা বললে ভাল শোনায়।

এনিমে এডাপ্টেশন

একচুয়াল লাইট নভেল চলেছে ২০০৩ সাল থেকে। সিরিজটি এখনো চলছে জাপানে। এর মধ্যে কয়েকটা বই এর এডাপ্টেশন হল এনিমে সিরিজটি। যে বইগুলো থেকে এটার কাহিনী নেয়া হয়েছে সেগুলো নিচে দিয়ে দিলামঃ

#১। 1930 The Rolling Bootlegs
#২। 1931 Local Chapter The Grand Punk Railroad
#৩। 1931 Express Chapter The Grand Punk Railroad
#৪। 1932 Drug & The Dominos

এখান থেকে মোট ১৬পর্বের একটা ছোট সিরিজ তৈরি করা হয়েছে।
বাকি ১৩টা বই এখনো আন এডাপ্টেড অবস্থায় পড়ে আছে। যারা অলরেডি দেখে ফেলেছেন তাদের জিভে নিশ্চয় জল আসছে। যদি বাকিগুলো এডাপ্টেড হত!

কাহিনী সংক্ষেপ

সাল অনুসারেই কাহিনিগুলো বর্ননা করি।

১৭১১

এখানে দেখা যায় Advenna Avis নামক এক জাহাজে একদল এলকেমিস্ট শয়তান কে পৃথিবীতে নামিয়ে নিয়ে আসে। তাদের সবারই অমরত্ম লাভ করার ইচ্ছা। শয়তান তাদেরকে দেয় গ্র্যান্ড প্যানাসিয়া বা এলিক্সার অব ইমর্টালিটি। ফলে সবাই ইমর্টাল হয়ে যায়। আর যে এলকেমিস্ট এর মাধ্যমে শয়তান নেমে আসে সেই Maiza কে বানানোর প্রক্রিয়া জানিয়ে দেয় এবং আকজন ইমর্টালকে শুধু আরেকজন ইমর্টালই মারতে পারবে। Maiza ঠিক করে, কাউকেই বলবে না কীভাবে এটা বানানো সম্ভব। অন্যদিকে আরেক ইমর্টাল এলকেমিস্ট Szilard Quates এই এলিক্সার বানানোর প্রক্রিয়া জানতে মরিয়া হয়ে উঠে।

১৯৩০

নিউ ইয়র্কে এক বাবার বখাটে সন্তান Dallas Genoard এলাকায় বিভিন্ন মাফিয়া পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে খেতে থাকে। এদিকে এই ছেলের সাথে অন্যান্য মাফিয়ে গোষ্ঠির একটা ক্যাচাল লেগে যায়। এই ক্যাচালেয় একসময় ইমর্টালরা জড়িয়ে পড়ে। নাকি ইমর্টালদের ক্যাচালে মাফিয়া জড়িয়ে পড়ে????? শুরু হয় স্টুপিড কমোশান!

১৯৩১

এ সময় দেখা যায় ট্রান্সকন্টিনেন্টাল ট্রেন The Flying Pussyfoot নিউ ইয়র্ক সিটির উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করে। কিন্তু একই সময়ে ট্রেন এ উঠে পড়ে একদল রেবেল যারা এ ট্রেনকে জিম্মি করে তাদের নেতাকে ছাড়িয়ে আনার স্বপ্ন দেখে। আরেকদল সন্ত্রাসী – যারা শুধু একটা ত্রাস সৃষ্টি করার জন্য ট্রেনে আসে। এদের নেতা Ladd Russo। একজন প্রফেশনাল হিটম্যান যে খুন করতে করতে সাইকোতে পরিণত হয়েছে। আরেকদল ডাকাত যাদের উদ্দেশ্য ট্রেনে ডাকাতি করা। আরো আসে একজন এসাসিন, আরেকজন ইনফর্মেশন ব্রোকার এবং একজন ইমর্টাল। সবাই মিলে আরেকটা স্টুপিড কমোশান সৃষ্টি করে!

১৯৩২

Eve Genoard তার নিঁখোজ বড় ভাই Dallas Genoard কে খুজে বের করার জন্য ইনফর্মেশন ব্রোকারদের সাহায্য নেয়। অন্তদিক এক মাফিয়া বস হঠাৎ করেই আরেক মাফিয়ে ফ্যামিলি এর বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে। কিন্তু এই অভিযানের সাথে কোন একভাবে ডালাস জড়িত। কীভাবে? আরেকটা ছোট স্টুপি কমোশান শুরু হয়।

ক্যারেক্টার এর বর্ননা দিলাম না। দিতে গেলে পুরা কাহিনী বলে দিতে হবে। এর চেয়ে ক্যার‍্যাক্টারদের একটা স্নিক পিক নেন নিচের ছবি থেকেঃ

Baccano 2

এভালুয়েশন

বইগুলো একের পর এক প্রকাশিত হয়েছে। অর্থাৎ একটা বই এর কাহিনীর সাথে অন্য বই এর কাহিনী এর সামান্য যোগসূত্র ছাড়া আর কিছু নেই। কিন্তু এনিমে এডাপ্টেশন পুরাই অন্য লেভেলের হয়েছে। ১৯৩০-৩২ এর তিনটে কাহিনীই একসাথে শুরু হবে। একটু পর পর স্টোরির একেকটা লেয়ার আনলক হতে থাকবে। আর শেষে গিয়ে সবগুলো স্টোরি ভিউয়ার দের কাছে ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
অন্য কোন এনিমে এর সাথে এটার তুলনা চলে না। সম্ভবত এটার তুলনা হয়েছে সিনেমা জগতের দিকপাল পাল্প ফিকশন এর সাথে। বলা হয়েছে কিছুটা এভাবে, “পাল্প ফিকশন যেভাবে সিনেমার স্বাদকে পরিবর্তিত করেছে ঠিক সেভাবে বাক্কানো হবে এমন একটা এনিমে যা এনিমে দেখার স্বাদ পরিবর্তিত করবে…… শুরু থেকে শেষ হয়ে শেষ না হওয়া এনিমেটা একটা ক্রেজি রাইড এ দর্শকদের নিয়ে যাবে…… বাক্কানো এনিমেতে সত্যিই ইউনিক কিছু প্রদান করে।”
এবং আমি বলছি এটার ইউনিকনেস মোটেও মিথ্যে না।
১৬ পর্বের ছোট এই সিরিজটা আমি একটানা বসে দেখে ফেলেছি। বলা যায় মন্ত্রমুগ্ধের মত।

যারা দেখতে চান তাদের জন্য ডাউনলোড লিঙ্কঃ
ডিভিডি রিপঃ http://thepiratebay.se/torrent/4940044/
৭২০পিঃ http://thepiratebay.se/torrent/6746582/

আমার প্রিয় কিছু অ্যানিমে -লেখক– ব্লগার অপরিচিত আবির

মূল লেখা – http://www.somewhereinblog.net/blog/major_fuad/28939084

 

আমি জানি না কতজন এখানে অ্যানিমের সাথে পরিচিত। Anime বা অ্যানিমে হল অ্যানিমেশনের জাপানিজ প্রতিশব্দ। Manga বা ম্যাংগা হল ঐ অ্যানিমের কমিকবুক ভার্সন। একসময়ে শুধু জাপানে চালু থাকলেও অ্যানিমেগুলোর ক্রিয়েটিভিটি এবং অনন্য উপস্থাপনা ও অসাধারণ আইডিয়ার কল্যাণে সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজগুলোর মাঝে হরহামেশাই অ্যানিমেগুলোর নাম খুঁজে পাওয়া যায়। এগুলোকে আবার সাধারণ কার্টুন ভেবে বসবেন না কিন্তু। সাধারণ কার্টুন সিরিজের সাথে অ্যানিমের বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
প্রখমত, অ্যানিমেগুলো প্রধানত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরী। এর স্টোরিলাইন এবং ডায়ালগ মোটেও বাচ্চাদের জন্য নয়।
দ্বিতীয়ত, এগুলো চিরাচরিত কার্টুনগুলোর মতো সিঙ্গেল এপিসোড নয় বরং একটা সুনির্দিষ্ট কাহিনী নিয়ে একটা সিরিজ চলতে থাকে।
এবং অ্যানিমেতে অ্যানিমেশন কোয়ালিটির থেকে কাহিনী এবং ক্যারেক্টারের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়। অব্শ্য নতুন অ্যানিমেগুলোতে অ্যানিমেশনের কোয়ালিটিও অসাধারণ হয়ে উঠছে।

যাই হোক, আমার এতো প্যাচাল শুনে কাজ নেই – বরঞ্চ আমি বলব আমার দেখা কিছু সেরা অ্যানিমের লিস্টির অ্যানিমেগুলো আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে সাবধান! ছোটদের নিয়ে কখনোই বসবেন না। অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট এবং ফিজিকাল-ভার্বাল ভায়োলেন্সের মাত্রা অনেক বেশি।

Death Note:

যারা কোনদিনও অ্যানিমেশন দেখেন না তাদেরকেও অন্তত একবার আমি ডেথ নোট দেখতে অনুরোধ করবো। এরকম দারুণ কাহিনী যে আর কোথাও পাবেন না এটা আমার কাছ থেকে লিখে নিতে পারেন।

Full Metal Alchemist:

দুই ভাইয়ের মাঝে সম্পর্ক এবং যুদ্ধবিরোধী মানসিকতার সাথে অপূর্ব কাহিনী। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হাই রেটেড অ্যানিমেগুলোর একটি।

Elfen Lied:

হরর অ্যানিমে। যারা সাইকো মুভি দেখতে পছন্দ করেন বা ভায়োলেন্সের ভক্ত তাদের কখনোই এটা মিস করা উচিত হবে না।

Monster:

পুরোপুরি রিয়েলিস্টিক কাহিনীর ওপর নির্মিত সবচেয়ে দারুণ অ্যানিমে।

Initial D:

যারা মোস্ট ওয়ান্টেড, কার্বন, আন্ডারকভারের ফ্যান তাদের জন্য এটা দেখা বাধ্যতামূলক। এতো উত্তেজনাপূর্ণ এবং ডিটেইলড অ্যানিমে খুব একটা নেই।

কারো যদি এসব সিরিজের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সন্দেহ হয় তবে সোজা আইএমডিবি তে গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। আর যদি ফুল ইনফো চান তবে যেতে পারেন এখানে –

Click This Link

ডাউনলোড করতে চাইলে যান এখানে –

http://www.realitylapse.com/

 

জাপানি আনিমে ( Anime ) ইতিহাস,বিস্তারিতসহ সেরা ১০০ লিষ্ট — লেখক – ব্লগার দীপ

মূল লেখা – http://somewhereinblog.net/blog/dipmama007/29531102

ইদানিং আমি জাপানিজ আনিমেগুলোর বেশ ফ্যান হয়ে গেছি। তাই এ বিষয়ে যাকিছু জানলাম শেয়ার করলাম। এবং জাপানের সবথেকে বিনোদনমুলক সাইটের করা সেরা ১০০ এর চার্ট শেয়ার করলাম। তথ্যসকল উইকি এবং ওই সাইট থেকে নেওয়া।

আনিমে

জাপানি アニメ আনিমে।
ইংরেজিভাষায়ঃ Anime অ্যানিমেই
বাংলা ভাষায়ঃ এনিমে।

সাধারণভাবে জাপানি আনিমশন চিত্রকেই আনিমে বলা হয়। কেননা এর বিকাশের লক্ষে এরাই। জাপান প্রথম আবিষ্কার থেকে শুরু করে যতপ্রকার উন্নতি সকল করেছে। এর দাবীদার নিশ্চিন্তে তারাই। এটাকে জাপানে মাঙ্গাও(কমিক) বলা হয় ।

জাপানের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আনিমে বলতে জাপানে নির্মিত আনিমেশনকেই বোঝায়। তবে পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গিতে আনিমে কিছটা অন্যরকম। ফলে সাধারনত আমরা আনিমে বলতে যা বুঝি, সেই সঙ্গায় সব জাপানি আনিমেশনই আনিমে হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারে না। এক কথায় আনিমেকে আনিমেশনের একটি উপসেট ধরে নেয়া যেতে পারে।

কেননা আমরা আনিমে বলতে সাধারনত বাচ্চাদের কিছু মেসেজ ভিত্তিক ফিল্ম বুঝে থাকি। যদিও ধারনাটা ভুল, কিন্তু এটার প্রচলন অত্যাধিক বেশী। ফলে আমাদের ধারনা আলাদা একটা নিয়ম সৃষ্টি করেছে যে আনিমে হতে হলে বাচ্চাদের হতে হবে।

কিন্তু কিছু জাপানি আনিমেগুলো সে ধারা মানেনা। তারা অনেক এডাল্ট কন্টেন্ট ব্যবহার করে আনিমে ফিল্মগুলোতে। যা বাচ্চারা কেন বাচ্চার বাবাদের দেখতেও ঘামঝড়া অবস্থার সৃষ্টি করে। সাধারনত তারা রিয়েল একশনের থেকে এসব আনিমে বেশি বানিয়ে থাকেন।

প্রথাগতভাবে আনিমেগুলো হাতে নির্মিত হয়, তথাপি বর্তমানে অন্যান্য আনিমেশন চিত্রের মতো আনিমে নির্মাণেও কম্পিউটার সফ্‌টওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। আনিমের কাহিনী যেকোনও ধরণের সাহিত্য বা মিডিয়ার মত হতে পারে। চলচ্চিত্র, নাটক বা কল্পকাহিনীর যেকোনটি নিয়েই আনিমে নির্মাণ করা যেতে পারে। অন্যান্য মিডিয়ার মতোই ডিভিডি, টেলিভিশন সম্প্রচার, ভিডিও গেম্‌স, বিজ্ঞাপন, ভিএইচএস বা ভিসিডির মাধ্যমে আনিমে প্রচারিত এবং বণ্টিত হয়ে থাকে। মানে আনিমে মানেই ছোত পর্দা না। ঢাকঢোল পিটিয়ে সসম্মানে এগুলোকেও হলে রিলিজ করা হয়। পাশাপাশি ইংরেজিতে ডাবিং করে আন্তজাতিক ব্যবসা করা হয়।

আনিমে বা মাঙ্গা জাপানে খুবই জনপ্রিয় এবং তা বিশ্বব্যপী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। দেখা যায় জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, এবং ইন্দোনেশিয়া এসকল এশীয় দেশগুলোতে আনিমে খুব জনপ্রিয়।এবং ইদানিং এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, নরওয়ে, রাশিয়া, সুইডেন সহ এসকল পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অধিক প্রসারিত হয়েছে।

এবং দিন দিন মুভিলাভারদের ভিতরেও প্রভাব বিস্তার করছে এর নিজস্ব সক্রিয়তায়।

বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই আনিমে নির্মাণের ইতিহাস শুরু হয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াতে আনিমেশন চিত্র নির্মাণ শুরু হওয়ার পর জাপানি চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগের চেষ্টা করে এবং তখন থেকেই আনিমের যাত্রা শুরু হয়।

সবচেয়ে প্রাচীন আনিমে নির্মিত হয়েছিল ১৯০৭ সালে।

১৯৩০-এর দশকে জাপানের তুলনামূলকভাবে অনুন্নত লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবর্তে আনিমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রকাশের বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কম খরচে যেকোনও ধরণের কাহিনী চিত্রায়িত করার এ ভিন্ন কোনও উপায় ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাপানের লাইভ-অ্যাকশন ইন্ডাস্ট্রি অর্থানুকূল্য পায় নি। সেখানে অর্থাভাব, বাজেট সমস্যা, স্থান সংকট এবং চরিত্র নির্মাণে সমস্যা ছিল। তাই এই বাজারটিও ছিল বেশ ছোট আকারের। জাপানে পশ্চিমা গড়নের কোনও মানুষ না থাকায় জাপান থেকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানবিহীন কাল্পনিক বিশ্বের রূপায়ন এক প্রকার অসম্ভব ছিল। তাই আনিমেশন চিত্র শিল্পীদেরকে যেকোনও ধরণের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।

স্নো হোয়াইট নির্মাণের মাধ্যমে ওয়াল্ট ডিজনি আনিমেশন চিত্রের মাধ্যমে যেকোনও ধরণের মিডিয়া নির্মাণকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ডিজনির জনপ্রিয়তা ও সফলতা দেখে জাপানের আনিমেশন শিল্পীরা উৎসাহিত হন।

ওসামু তেজুকা ডিজনির অনেকগুলো আনিমেশন কাহিনী জাপানি প্রেক্ষাপটে রূপায়িত করে সেখানে খরচের পরিমাণ বেশ কমিয়ে এনেছিলেন। অবশ্য তাকে অনেকটা অদক্ষ শিল্পী ও কুশলী নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আনিমের একটি করে পর্ব নির্মাণ করতে হত। সে সময় বেশ কয়েকজন আনিমেশন শিল্পী ডিজনি বা তেজুকা ধরণের প্রচীন পদ্ধতি থেকে খানিকটা সরে গিয়ে নতুনত্ব আনেন এবং এভাবে নির্মাণ খরচ সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসেন।

১৯৭০-এর দশকে জাপানে ম্যাঙ্গা শিল্প ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইংরেজি কমিক বইয়েরই জাপানি নাম ম্যাঙ্গা। এই ম্যাঙ্গাগুলোর কাহিনী নিয়েই তখন আনিমে নির্মিত হতে থাকে। বিশেষত ওআমু তেজুকার ম্যাঙ্গাগুলো চিত্রায়িত হয়েছিল। তেজুকাকে জাপানের অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে মেনে নেয়া হয় এবং তাকে বলা হয় “ম্যাঙ্গার প্রভু”।

তেজুকাসহ অন্যান্যদের চেষ্টায় আনিমের মধ্যে বৈশিষ্ট্যময়তা এবং সঠিক চরিত্রের পরিস্ফুটন সম্ভব হয়ে ওঠে। এ সময় জায়ান্ট রোবট ধরণের আনিমে এই শিল্পে বিপ্লব আনে। তেজুকা এই ধরণের আনিমে নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে গো নাগি এবং অন্যান্য। জাপানের বাইরে জায়ান্ট রোবট ধরণটি মেকা নামে পরিচিত। সেই দশকের শেষ দিকে ইওশিয়ুকি তোমিনো এই ধরণটিকে সফলতার পর্যায়ে নিয়ে যান। ৮০’র দশকে গুনডাম এবং মাকরসের মতো রোবট আনিমে সিরিজগুলো চিরায়ত শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। জাপান এবং বহির্বিশ্বে এখনও রোবট ধরণটি সবচেয়ে কঠিন। ১৯৮০’র দশকে আনিমে জাপানের মূলধারার শিল্পে স্থান করে নেয় এবং তখন থেকেই এর নির্মাণ শিল্পে প্রভূত সফলতা আসে। উল্লেখ্য আনিমের আগেই ম্যাঙ্গা জাপানের মূলধারায় স্থান করে নিয়েছিল। বিশ্ববাজারে ৯০ এবং ২০০০’র দশকে আনিমের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাইহোক এবার আসুন দেখি সেরা আনিমে কি !!!!

প্রথমে এখানে একটা লিষ্ট ছিল, যেটা অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয় নি। তাই হাইলি রেকমেন্ড করা একটা আনিমে সাইট থেকে, পোলের মাধ্যমের নির্বাচন করা সেরা ১০০ আনিমে দেওয়া হলো


এযাবতকালের সেরা ১০০ টি আনিমে।

Death Note
Naruto
Bleach
Code Geass
Full Metal Alchemist
Vampire Knight
One Piece
Inuyasha
Dragon Ball Z
Detective Conan (Case Closed)
Naruto Shippuuden
Dragonball
Ouran High School Host Club
Yu-Yu Hakusho
Fruits Basket
Elfen Lied
Avatar: The Last Airbender
Pokemon
Kyo Kara Maoh! (God! Save Our King)
Hunter x Hunter
Sailor Moon
D.N.Angel
Rurouni Kenshin (Samurai X)
Cowboy Bebop
Yu-gi-oh!
Blood+
Cardcaptor Sakura
Shugo Chara
CLANNAD
Gakuen Alice
Soul Eater
Trigun
Special A
Tsubasa Chronicle
Prince of Tennis
Samurai Champloo
The Melancholy of Haruhi Suzumiya
Full Metal Alchemist: Brotherhood
Chobits
Digimon
Hellsing
Full Metal Panic!
Karin (Chibi Vampire)
D. Gray-Man
Ranma 1/2
Claymore
Eureka 7
Rosario + Vampire
Neon Genesis Evangelion
Shaman King
Wolf’s Rain
Shakugan no Shana
Fooly Cooly (FLCL)
Black Cat
Lucky Star
Air Gear
Ghost in the Shell: Stand Alone Complex
Darker than Black
Fate/stay night
Dragon ball GT
Vampire Knight Guilty
Fairy Tail
Love Hina
School Rumble
Fushigi Yuugi
Yamato Nadeshiko (The Wallflower)
Shuffle
.hack// Sign
xxxHolic
Gundam Seed
Black Blood Brothers
Trinity Blood
Katekyo Hitman Reborn!
Zero no Tsukaima
Inuysaha: The Final Act
Tokyo Mew Mew Power
Devil May Cry
Gundam Wing
Skip Beat!
Michael & Yanci
Kaze no Stigm
La Corda D’Oro ~primo passo~
Loveless
Outlaw Star
GetBackers
Full Metal Panic The Secon Raid
Houshin Engi
Tenjou Tenge
Kaichou wa Maid-Sama!
Toradora!
Hellsing Ultimate
Transformers
Escaflowne
Azumanga Daioh
Myself;Yourself
Full Metal Panic Fumoffu
Zoids
Yu-Gi-Oh! GX
Kuroshitsuji (Black Butler)
Black Lagoon

সিঙ্গেল মুভি ভিতরে আমার পছন্দ এবং এগুলোকে নির্ধিদায় আমি মাষ্ট সি বলতে পারি।

Spirited Away (2001)
Princess Mononoke (1997)
Howl’s Moving Castle (2004)
Nausicaä of the Valley of the Wind (1984)
Ghost in the Shell
Cowboy Bebop: The Movie
Akira
Paprika
Millennium Actress
Sword of the Stranger
Grave Of The Fireflies
Whisper of the Heart
Wings of Honneamise
My Neighbor Totoro

এগুলো আমি দেখেছি। গোটা ১৫ টা টিভি সিরিজ ডাউনলোড চলছে। আগামী মাসে হয়তো হয়ে যাবে। তখন দেখা শুরু করবো।

Scrapped princess – জীবন নিয়ে পালিয়ে বেড়ানো এক দুখী রাজকন্যার গল্প লেখক মো আসিফুল হক

লিনেওয়ান রাজ্যে একদিন গ্রেন্ডেলের প্রত্যাদেশ থেকে দৈববাণী আসে যে রাজকন্যা, যে কিনা একটি দুষ্ট নক্ষত্রের ছায়ায় জন্ম নিয়েছে; সে তার ১৬ তম জন্মদিনে পুরো পৃথিবী ধ্বংসের কারণ হবে। গ্রেন্ডেলের ভবিষৎবাণী কখনই মিথ্যে হয় নি। সেই কারণে প্রজাবৎসল রাজা তার রাজ্যের কথা চিন্তা করে তার সেনাবাহিনীর একজন নাইটকে দায়িত্ব দেন তার কন্যাকে হত্যা করার জন্য। সেই নাইট যে কোন কারণেই হোক; রাজকন্যাকে হত্যা করতে ব্যার্থ হয় এবং এক দম্পতি তাকে কুড়িয়ে পেয়ে বড় করে তোলে। এভাবেই কেটে যায় ১৫টি বছর। এখন এই “Scrapped princess” বা বিতারিত রাজকন্যা pacifica cassul তার পালক ভাই Shannon Cassul এবং বোন Raquel Cassul এর সাথে পালিয়ে বেড়াচ্ছে; দেশের পর দেশ; গ্রামের পর গ্রাম; শুধু আততায়ী আর বাউন্টি হান্টারদের হাত থেকেই নয়; বরং রাজার এলিট গার্ড ফোর্স এর হাত থেকেও যারা কি না “poison that will destroy the world” কে হত্যা করতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। এদিকে আবার সরকার এবং চার্চের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্ব প্রকট হয়ে উঠছে; আরেকদিকে সরকারের একটা অংশ চালিত হচ্ছে God like পিসমেকারদের ইশারায় যারা কিনা মানুষকে নিজেদের ইচ্ছা মত ব্যাবহার করতে পারে। কে এই পেসিফিকা কাসুল? দৈববাণী কি আসলেই সঠিক ছিল? ১৬তম জন্মদিনে কি ধরণের দুর্যোগ বয়ে আনবে বিতারিত রাজকন্যা? এই পিসমেকাররাই বা কারা? কি অপেক্ষা করছে রাজকন্যার ভাগ্যে?

স্ক্রেপড প্রিন্সেস ক্লাসিকাল ফ্যান্টাসি; ড্রামা এবং সায়েন্স ফিকশনের এক অসাধারণ মিশ্রণ। প্লট যথেষ্ট immersive এবং বিশ্বাসযোগ্য। এনিমটির চরিত্রগুলো যথেষ্ট যত্ন নিয়ে তৈরি করা; সেই সাথে আনন্দদায়ক এবং ওয়েল রিটেন। মাঝখানে সায়েন্স ফিকশনের প্রবেশ মোটেও কাহিনীকে cliché করা কিংবা গল্পের চরিত্রগুলোর বন্য উদ্দামতায় জিনিসপত্র ধ্বংসের উপাদান হিসেবে ব্যাবহার হয় নি; বরং গল্পের সাথে সামঞ্জস্যপুর্ন “হারিয়ে যাওয়া বিজ্ঞান” উপাদানটি প্লটকে আরও বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছে।

গল্পের মুল প্লট আবর্তিত হয় পেসিফিকা কাসুল চরিত্রটিকে ঘিরে; যে কিনা এইটুকু জানে যে তাকে হত্যার জন্য অনেকেই সচেষ্ট; কিন্তু তার ভুমিকা কিংবা সে আসলেই কে এই নিয়ে তার বিভ্রান্তি এবং তার কারণে সাধারণ মানুষের মৃত্যুতে তার অসহায় আর্তনাদ এনিমে সেইরকম মেলোড্রামার তৈরি করে নি। খানিকটা ইচড়ে পাকা , এনার্জেটিক, খানিকটা spoiled; পেসিফিকা না angsty না bratty. ব্যাপারটি ফুটিয়ে তোলার জন্য চমৎকার মুন্সিয়ানার দরকার; সেক্ষেত্রে এর লেখক খুব সুন্দরভাবে চরিত্রটিকে উপস্থাপনের কৃতিত্বের দাবি করতেই পারেন।

পাশাপাশি পাসিফিকার দত্তক ফ্যামিলি ; তার বড় ভাই শানন যে কিনা একজন মাস্টার সোর্ডসম্যান এবং বোন রাকুএল যে বেশ ভাল জাদুকর এবং তাদের মধ্যে পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া গল্পের প্লটকে সবসময়েই প্রানবন্ত রেখেছে । এর পাশাপাশি উচ্চাকাঙ্ক্ষী লেওন শুরু করে পাশের রাজ্যের সেন্সেস; কিংবা গির্জার ভ্রমণরত তদন্তকারী বারগেইন্স – প্রত্যেকটি পার্শচরিত্রই “fun to watch.”
একটা জিনিস বলে রাখা ভাল; প্রথম বর্ণনা শুনে যেই রকম মার মার কাট কাট ভাব মনে আসতেছে এনিমটা মোটেও সেইরকম না। মাঝে মাঝেই আকর্ষণীয় মারামারির দৃশ্য আছে; তবে সাধারণত এনিমটা বেশ স্লো এবং soothing একটা পেইসে এগিয়ে গিয়েছে।

কালারফুল পরিবেশ, সহজ কিন্তু সুন্দর চরিত্র রুপায়ন, রক্তের অনুপস্থিতি, এবং আকর্ষণীয় পোশাক আশাকের এনিমটিতে একশন সিকুয়েন্সের মধ্যে ড্রাগুন এবং পিসমেকারদের ফাইটগুলো যথেষ্ট ইন্টারেস্টিং। এছাড়া শুরু এবং শেষের গানগুলোতে ব্যাগপাইপের ব্যাবহার যথেষ্ট কানের জন্য শ্রুতিমধুর করে তুলেছে। এছাড়া অন্যান্য এনিমের চেয়ে এই এনিমের এন্ডিংটা কিঞ্চিত আলাদা। কিভাবে? সেটা দেখতেই তো বসবেন। এক কথায় বলা যায় আপনি যদি ভাল স্টোরিলাইন, সুন্দর একটি মেসেজ, ভাল ডায়লগ এবং আকর্ষণীয় চরিত্র নিয়ে বানানো even paced ফান এবং সিরিয়াসনেসের মিশেলে কোন এনিম দেখতে চান; তবে scrapped princess আপনার জন্যই…

মেগা রোমান্টিক এনিম রিভিউঃ Tora Dora, Lovely Complex, Kaichou Wa Maid Sama লেখক মো আসিফুল হক

কয়দিন আগে এক এনিম বিশেষজ্ঞ ফ্রেন্ডরে গুতাইতেসি সাজেশনের জন্য। যেইটার নামই কয় হয় দেখসি নয়ত পছন্দ হইতেসে না। এক পর্যায়ে কইল, “তুই তো রোমান্টিক এনিম দেখসই না; এইবার একটা দেইখা দেখ, কেমন লাগে।” আমিও “কি আছে জীবনে” বইলা ভাব্লাম এইবার দেইখাই ফেলি। B-)B-)B-)B-)
শুরু করলাম তোরাদোরা দিয়া; এরপর লাভলি কমপ্লেক্স এবং সর্বশেষ কাইচৌওয়া মেইড সামা।

Tora Dora: এই এনিম দিয়া রোমান্টিক এনিম ধরাটা একটা মহা ভুল হইসে। এখন আর কোন রোমান্টিক এনিমই আর সেইরকম ভাল লাগে না। তোরাদোরা এক কথায় অসাধারন। কাহিনী, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট, ট্র্যাক, কমেডি, রোমান্স – সবকিছু। রিয়ুজি এবং তাইগা – দুই মেরুর দুই বাসিন্দা।

একজন রিয়ুজি শান্তশিষ্ট লেজবিশিষ্ট টাইপ আর অন্যদিকে তাইগা মার মার কাট কাট টাইপ। কিন্তু রিয়ুজির চেহারায় এমন কিছু আছে যা তাকে গুন্ডা গুন্ডা ভাবতে বাধ্য করে; এইজন্য লোক জন তার সাথে খুব একটা মিশে না। রিয়ুজি তাইগার এক ফ্রেন্ডকে এবং তাইগা রিয়ুজির এক ফ্রেন্ডকে মনে মনে পছন্দ করে। দুইজন দুইজনের জন্য ম্যাচ করতে গিয়ে এক পর্যায়ে একজন আরেকজনকে পছন্দ করে ফেলে। তারপর? তারপরেই টুইস্ট। ঘটনার অনেকদুর পর্যন্ত আমার মনে হইতেছিল টিপিকাল হিন্দি সিনেমা স্টাইলেই আগাইতেসে; শেষে কি হইব তা তো বুঝতেই পারতেসি; দেইখা কি হইব? কাহিনীর শেষে মনে হইসে গালে কইসা চড় খাইসি – এইরকম টুইস্ট। :):):):):)

রোমান্টিক এনিমে মাঝে মাঝেই কাহিনী খুব ঝুলাইয়া ফেলে; অনেক অবাস্তব কিছু দেখায়; কিন্তু তোরাদোরা প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত একটা সেনিটি বজায় রাখসে। দুইটা জিনিস অনেক দিন মনে থাকব – রোমান্টিক এনিমে one of the best kiss scene আরএই সাউন্ডট্র্যাকটা । গানটা সিমপ্লি মাই ফেভারিট এনিম সাউন্ডট্র্যাক।:D:D:D

আমার রেটিং: ৮.৭/১০।

Lovely Complex: হালকা ধাঁচের খুব সুন্দর একটা রোমান্টিক এনিম। ছেলে চরিত্র অতানি এবং নারী চরিত্র রিসা। রিসা অতানির চেয়ে বেশ খানিকটা লম্বা। এদের মাঝে সারাদিনই খুনসুটি লেগে থাকে। সাধারনভাবে এরা সবার কাছে “হানশিন কিওশিন” ( কমেডি ক্যারেক্টার) নামেই পরিচিত। এইভাবে ঝগড়া করতে করতে আর মজা করতে করতে একদিন মেয়েটা বুঝতে পারে সে অতানিকে ভালবেসে ফেলেছে। অনেক সাহস সঞ্চয় করে এবং সংকোচ ফেলে দুইবার অতানিকে প্রপোজও করে ফেলে। কিন্তু অতানি মনে করে এইটা বোধহয় রিসা মজা করতেসে এবং সেও দুইবারই রিজেক্ট করে।

আরেকটা টিপিকাল হিন্দি সিনেমা কাহিনী মনে হচ্ছে? দেখতে থাকুন, আশা করি শেষ অংশ দেখে হতাশ হবেন না।:):):):)

আমার রেটিং: ৭.৫/১০।

Kaichou Wa Maid Sama:শোজো এনিম বা রোমান্টিক এনিমের যে কয়টা লিস্ট দেখা যায় তার অধিকাংশের মধ্যেই এইটা লিস্টের প্রথম দিকে থাকে। দুইটা মেইন চরিত্র উসুই তাকুমি এবং মিসাকি – অসম্ভব এপেলিং ক্যারেক্টার। বিশেষ করে মেইল ক্যারেক্টার উসুই তাকুমির জন্য তো দুনিয়ার প্রায় সব নারী এনিমখোররা এক কথায় পাগল !!!B-)B-)B-)B-)

এছাড়া মিসাকি ক্যারেক্টারটাও অসাধারন। কিন্তু আমার মনে হইসে এনিমটা লেখক নিজ হাতে ধ্বংস করার জন্য লেখসেন। অত্যন্ত ঝুলে যাওয়া কাহিনী। মিসাকি একটা মেইল ডমিনেটেড স্কুলের স্টুডেন্ট কাউন্সিল প্রেসিডেন্ট, স্কুলের পরিবেশ ঠিক রাখার ব্যাপারে প্রচন্ড স্ট্রিক্ট; স্কুলের ছেলেদের কাছে মাঝে মাঝেই ভয় এবং বিরক্তির কারণ। তবে ছাত্র ছাত্রী এবং শিক্ষকরাও তাকে সমীহ করে চলে। কিন্তু তার পরিবার অনেক গরীব হওয়ায় তাকে একটা মেইড ক্যাফেতে কাজ করতে হয়। মিসাকি এই ঘটনা স্কুলের সবার কাছ থেকে গোপন রাখে। এর মাঝে মিসাকি মাঝে মাঝেই বিপদে পড়লে উসুই তাকে উদ্ধার করে। এর বাইরে কাহিনী উদ্ধার বা লেখা আমার পক্ষে সম্ভব হয় নাই। কমেডি আছে; তবে cliche. তবে এই মতামত একান্তই আমার ব্যাক্তিগত; অনেককেই বলতে শুনেছি কাহিনী তাদের খুব একটা খারাপ লাগে নাই, সুতরাং একটা ঝুকি নিয়ে দেখে ফেলতেই পারেন। তবে আমার মনে হয় না দেখে খুব লাভ আছে। :|:|:|:|:|

আমার রেটিং: ৪/১০।

তবে আর দেরি কেন? দেখা শুরু করেন এই এনিমগুলি। আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে চলে আসুন এই গ্রুপে ।