একটু অন্যরকম একটি স্পোর্টস এনিম – Dan Doh !! লেখক মোঃ আসিফুল হক

২৬ পর্বের এই এনিমটা মাত্র দেখে শেষ করলাম। কাহিনী – গলফ নিয়ে। গলফের নাম শুনেই কপাল কুঁচকে উঠলো তো? উঠারই কথা; আমার দেখামতে যারা গলফ খুব ভাল বোঝেন এবং নিয়মিত খেলেন তারা ছাড়া বাকি প্রায় সবার কাছেই গলফ টপ ৫ বোরিং গেইমের লিস্টে থাকবে। তবে ভয় পাবেন না; জাপানীরা আর যাই করুক; স্পোর্টস এনিম খারাপ বানায় না; যদি খারাপ লেগে থাকে তবে সেটা খেলার দোষ, এনিমের নয়।:) :)

কাহিনি খুবই সহজ সরল। Aoba Tadamichi aka Dandoh বেইসবল খেলোয়াড়, কিছুটা গরীব। একদিন সে জানতে পারে গলফ খেলায় প্রচুর পয়সা; এক টুর্নামেন্টেই সে লাখ টাকা কামাইতে পারবে। এই মোটিভেশনে এবং স্কুলের হেডমাস্টারের অনুপ্রেরণায় সে গলফ খেলায় আগ্রহী হয়। তার জন্মগত বেশ কিছু প্রতিভা ছিল; সেই সুত্রে খুব অল্পদিনেই সে খেলাটায় বেশ পারদর্শী হয়ে ওঠে।

ওভারঅল Dan Doh এনিমটা কেমন লেগেছে? – আমার মতামত – ভালই; খারাপ না। তবে অনেক গুলো জায়গায় অনেকগুলো সমস্যা বা বাজে দিক চোখে পড়েছে। সেগুলো আগে একে একে বলা যাক।

যারা Prince of Tennis দেখেছেন তারা এই এনিমটার সাথে বেশ কিছু বিষয়ে মিল পাবেন। প্রথম বিষয় – কথা নাই বার্তা নাই খুব বেশি জিনিয়াসের আগমন; যেইটা আমার প্রচন্ড বিরক্ত লাগে। ২য় বিষয় হচ্ছে; মাত্র ২৬ পর্ব হওয়ায় ক্যারেক্টারগুলো খুব বেশি ডেভেলপ করতে পারে নি; আমার মতে খুব সহজেই এইটা ৭০+ পর্ব করা যেত। এতে যেটা হয় ক্যারেক্টারগুলোর প্রতি খুব একটা মায়া জন্মায় না। কেমন যেন একটা ছাড়া ছাড়া ভাব ক্যারেক্টারগুলোর মধ্যে।

৩য় বিষয় হচ্ছে স্টরিলাইন বেশ কিছু জায়গা খাপছাড়া। যেমন এক জায়গায় রোমান্টিক করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কাহিনী বলে দিচ্ছি না; তবে দেখলেই বুঝবেন জায়গাটা একটু খাপছাড়া মনে হয়েছে; কেন জানি মনে হচ্ছিল কাহিনীতে ওইটার প্রয়োজন ছিল না ।

আরেকটা বিষয় হচ্ছে আবেগের ঘাটতি। ব্যাপারটা কেমন একটু ব্যাখ্যা করি।ফুটবল, টেনিস এমনকি বক্সিং ( হাজিমে নো ইপ্পো) নিয়েও প্রায় সব স্পোর্টস এনিমেই একটা পার্ট দেখায় যেখানে খুব গরীব কেউ শুধু খেলাটার টানে খেলে যায়। গলফ এম্নিতেই যথেষ্ট ব্যয়বহুল খেলা হওয়ায় ওই রকম কোন পার্ট ছিল না; আর স্পোর্টস এনিমে অইরকম পার্ট না থাকলে কেমন যেন খালি খালি লাগে। B-)B-)

ভাল দিক বলতে আকানো নামে একটা ক্যারেক্টার এর একটা আর্ক আছে; ওইখানে কাহিনীটা বেশ ইন্টারেস্টিং। সে একজন প্রো গলফার, তবে বেশ কিছু কারণে তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের পথে; ওইখানে তার নবজাগরণ ঘটে। এছাড়া মাঝে Dan Doh এর বাবাকে নিয়ে হালকা টুইস্ট টাইপ কিছু জায়গা আছে; সেটা খুব একটা উল্লেখের বিষয় না অবশ্য।

আর্ট স্টাইল, কাহিনী, সাউন্ড, স্টোরি, ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট – সবগুলোই মোটামুটি এভারেজ লেভেলের। Over the moon কোন সাইড অবশ্য এই এনিমের নাই।

এখন অবশ্য জিজ্ঞেস করে বসতে পারেন পুরা রিভিউতে শুধু নেগেটিভ ছাড়া একটা পজেটিভ দিক বলেন নাই; দেখুম কেন? ভাল প্রশ্ন। উত্তর হইল, গলফের মত এইরকম একটা বোরিং খেলারেও যে ইন্টারেস্টিং বানাইছে এইটাইতো বহুত। আর সব মিলিয়ে এনিমটা আমার খুব একটা খারাপ লাগে নাই। তবে সেইটা আমার সামনে পরীক্ষা বইলাও হইতে পারে, আমি Die Hard Sports Anime ফ্যান বইলাও হইতে পারে, আবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের ষড়যন্ত্রও হইতে পারে !!!!!

Slam dunk: পিওর কমেডি, গ্যাং ফাইট, বাস্কেটবল আর one sided love এর এক অসাধারণ গল্প — লেখক মো আসিফুল হক

কমেডি, গ্যাং ফাইট, বাস্কেটবল – এনিমের জন্য একটা বেশ ইউনিক কম্বিনেশন। কিন্তু slam dunk খুব সফল আর সাবলিলভাবে এই কম্বিনেশনকে উপস্থাপন করতে পারছে। এই এনিমে যখন যেইটা করতে চাইছে খুব সফলভাবেই সেইটা করতে পারছে। যখন ফানি করতে চাইছে; it was pretty damn funny; যখন সিরিয়াস কিছু দেখাইতে চাইছে; it was pretty serious. কিন্তু এনিমটার মুল সফলতা পিওর সাস্পেন্স ভর্তি ম্যাচগুলায়। যদিও অন্য অনেক স্পোর্টস এনিমের মত এইটাতে খুব “ফেন্সি” “কুল” মুভ নাই; কিন্তু এই রিএলিজমের টাচটাই বরং এনিমটাকে বেশি সফল করছে।

মেইন ক্যারেক্টার সাকুরাগি হানামিচি এনিমটার প্রাণ বলা যায়। তার চরিত্র যদি এক বাক্যে বলতে হয় তবে বলা যায়, সাকুরাগি টেক্টলেস, রাফ, স্টুপিড, ফানি, লয়াল, স্ট্রং, ডেডিকেটেড , অধৈর্য, হট টেম্পারড এবং লাউড – একটা এনিমকে ফানি এবং ইন্টারেস্টিং করার জন্য যা দরকার সবগুলার একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। :) :)

হানামিচির বাস্কেটবল খুবই অপছন্দের খেলা। কিন্তু তার মনে মনে পছন্দ করা হারুকোর বাস্কেটবল খুবই প্রিয়; পাশাপাশি হারুকোর বড় ভাই আকাগি স্কুলের বাস্কেটবল টিমের ক্যাপ্টেন। হারুকোকে ইম্প্রেস করতে সাকুরাগি বাস্কেটবল টিমে যোগ দেয়। একই বছরে ভর্তি হওয়া রুকাওয়াও যোগ দেয় টিমে যে কিনা সমগ্র স্কুলে নারী সম্প্রদায়ের কাছে বিপুল জনপ্রিয়; সেই সাথে হারুকোর কাছেও। স্বাভাবিক ভাবেই সাকুরাগি রুকাওয়াকে তার ১ নাম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী ধরে নেয়। যারা নিয়মিত স্পোর্টস এনিম দেখেন বা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই এর পর কাহিনী কোন দিকে যাবে তা আন্দাজ করে ফেলেছেন। :) :)
well, মোটামুটি ওইরকমই আগায় কাহিনী; যদিও কিছু কিছু জায়গায় অল্প টুইস্ট আছে। তবে শেষ পর্যন্ত আর ৮-১০ টা স্পোর্টস এনিমের মত এইটাতে সাকুরাগি রাতারাতি রুকাওয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় না; বরং নিজের মত করে সফল হয়।:) :)

টিমের বাকি মেম্বার- আকাগি, মিতসুই, মিয়াগি, কগুরে- সব গুলো চরিত্রই অসাধারণ এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব গল্প, স্বপ্ন,স্ট্রাগল- খুব সুন্দর ভাবে এনিমে দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারই নিজের মত করে ইউনিক। :) :)

একমাত্র অপছন্দের দিক ছিল দুই একটা ম্যাচ বেশ লেংদি ছিল; ৬ দিনে পুরা সিজন শেষ করায় কিছু কিছু জায়গায় এই লম্বা ম্যাচগুলা বিরক্ত লাগছিল। তবে শেষে আমি খুব আশা করছিলাম আরও কিছু পর্ব থাকুক; হানামিচি এবং সবগুলা ক্যারেক্টার এবং স্টোরিটা এত পছন্দ হইছিল। এছাড়া আর্ট স্টাইল কিছুটা রাফ – কিন্তু এনিমের সময়কাল (১৯৯৩-৯৬) চিন্তা করলে এইটা মাফ করে দেওয়াই যায়। :) :)

এনিমটার সবচেয়ে বেস্ট দিক আমার কাছে এর কমেডি পার্ট। স্পোর্টস এনিমগুলা সাধারণত খুব সিরিয়াস টোনের হয়; ফান থাকলেও খুব বেশি থাকে না; কিন্তু এই এনিমটা জাস্ট ফুল অফ ফান এন্ড কমেডি। নিঃসন্দেহে সাকুরাগি আমার ফেভারিট এনিম ক্যারেক্টারের লিস্টে একটা জায়গা দখল করতে পারবে।

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই অসাধারণ এনিমটি।

হ্যাপি এনিমিং !!! :) :)

Fate/stay night – সব ছাপিয়ে একটি অসাধারণ রোমান্টিক এনিম — লেখক মো আসিফুল হক

পর্বঃ ২৪
জেনারঃ: একশন, ফেন্টাসি, ম্যাজিক, রোমান্স, শোনেন
ডিরেক্টরঃ ইউজি ইয়ামাগুচি

কমেডি, একশন, রোমান্স, ম্যাজিক – সব কিছুর মিশেলে মুটামুটি পরিপূর্ণ একটা এনিম। শুরুটা অনেক প্রমিজিং হওয়ায় ভেবেছিলাম বেশ খানিক্টা টেনে নিয়ে যাবে এনিমটা; কিন্তু হতাশ করে মাত্র ২৪ পর্বেই থেমে গেল। তবে অনেকের কাছে লম্বা সিরিজ বিরক্ত লাগে, তাদের জন্য এই এনিমটি আদর্শ।

গল্পের প্লটটা এইরকমঃ হোলি গ্রেইল একটা পাওয়ারফুল ম্যাজিক। এইটা যে কোন ইচ্ছা পূরণ করতে পারে। এই হোলি গ্রেইল হাত করার জন্য ৭ জন ম্যাজিশিয়ান তাদের সারভেন্টকে সাথে নিয়ে যুদ্ধ করে; জয়ী মাস্টারের কাছে হোলি গ্রেইল ধরা দেবে – এইটাই হইল যুদ্ধের নিয়ম। এই যুদ্ধ কিন্তু আবার ওই এরিনার মধ্যে ঢাকঢোল পিটিয়ে যুদ্ধ না, মাস্টাররা সবাই যার যার নর্মাল লাইফ লিড করে; একজন সুযোগ পেলে আরেকজনকে এটাক করে পরাজিত করে।

এমিয়া শিরোউ এই এনিমের প্রধান চরিত্র; এতিম হয়ে যাওয়ার পর এমিয়া কিরিতসুগু তাকে বড় করে তোলে; তার নামেই এমিয়ার শেষনাম। কিরিতসুগু নিজে অনেক বড় ম্যাজিশিয়ান হলেও এমিয়া সেই ক্ষেত্রে অনেকাংশেই ব্যারথ। হোলি গ্রেইলের ফাইটে অংশ নেওয়া কিংবা তার সারভেন্ট সেবারকে সামন করা – প্রায় সব কিছুই সে নিজের অজান্তেই করে ফেলে। গল্পের শেষদিকে অবশ্যম্ভাবী ভাবে এমিয়া কিছু পাওয়ার গেইন করে – তবে সেটাতেও অনেক ঘাটতি থাকে। ৭ জন মাস্টার নিজ নিজ সারভেন্টকে নিয়ে একে অপরের সাথে ফাইট করে এবং ধীরে ধীরে কাহিনী এগিয়ে যায়। গল্পের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রের মধ্যে ইলিয়া এবং রিন অসাধারণ। বিশেষ করে রিনের ক্যারেকটারটা বেশি জোস। :) :)

এবার দেখা যাক, এই এনিমটা কেন দেখবেন? অন্য এনিম থেইকা এইটার বিশেষত্ব কি? অন্যান্য এনিম থেকে আলাদা একটা লিড রোল এবং খুবই ডিসেন্ট একটা রোমান্স বেইসড স্টোরি এবং সংলাপ। আমি এম্নিতে রোমান্টিক এনিম দেখি না; এইটা আমার দেখা অল্প কএক্টার একটা। শেষ দিকে এসে বেশ ভাল একটা টুইস্ট আছে, দেখে ভালই লাগল। এছাড়া এমিয়া আর ৮-১০ টা মেইন কেরেক্টারের মত কুল টাইপ না, পাওয়ারও খুব বেশি নাই; শেষ দিকে যাইয়াও সেইটার খুব একটা পরিবর্তন হয় না; ফাইটগুলা করে মেইনলি তার সারভেন্ট – সেবার। এই জিনিসটা অনেকের ভাল নাও লাগতে পারে; তবে its not that bad for a change. :):):):)

সাউন্ডট্র্যাক গুলা সত্যিই অসাধারণ; কিছু কিছু জায়গায় আমার আবার টেনে পিছিয়ে গিয়ে দেখতে হয়েছে, গান শোনায় এইরকম হারিয়ে গিয়েছিলাম। এছাড়া ফাইটগুলা বেশ ডিসেন্ট; যদিও অন্যান্য বড় বড় নামের ফাইট এনিমগুলার সাথে তুলনীয় নয়।

তো আর দেরি কেন? এখনই জোগাড় করে দেখতে বসে যান এই অসাধারণ এনিমটি। আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে; কিছু জানতে এবং জানাতে চাইলে চলে আসুন এই গ্রুপে

হ্যাপি এনিমিং !!! :) :)

Chihayafuru – রোমান্স, বন্ধুত্ব, চ্যালেঞ্জ, কমেডির মিশেলে একটি পরিপূর্ণ এনিম — লেখক মো আসিফুল হক

“Chihayafuru” কেন দেখবেন এই প্রশ্নের জবাব প্রথম ২ টা পর্ব দেখলেই পেয়ে যাবার কথা। অসাধারণ গল্প, সেই সাথে বন্ধুত্ব এবং হাল্কা রোমান্স ( আমি পার্সোনালি এনিমের রোমান্স খুবই অপছন্দ করি, সেই আমি এইটা রিকমেন্ড করতেছি :D ) – সব মিলিয়ে বেশ ইন্টারেস্টিং একটি এনিম।

“কারুতা” জাপানের একটা কার্ড গেম, তবে জুয়া টাইপ না। এই খেলায় দুইজন খেলোয়াড় সামনাসামনি বসে, তাদের মাঝে ১০০ টা কার্ড থাকে। প্রত্তেক্টা কার্ডে একটা করে কবিতা লেখা থাকে। একজন “রিডার” রেন্ডম একটা একটা কবিতা পড়তে থাকে এবং প্রতিযোগীদের কাজ সেই কার্ডটা স্পর্শ করে নিজের করে নেওয়া। যে আগে অর্ধেকের বেশি কার্ড জোগাড় করতে পারবে সেই জয়ী।

চিহায়াফুরু খুব সরল একটা গল্প – আয়াসে চিহায়া একজন উঠতি মডেলের বোন – যার মন প্রাণ সব কিছুই কারুতার জন্য উৎসর্গীকৃত এবং এই মুহূর্তে তার এক্টাই লক্ষ্য – একটা কারুতা ক্লাব সেট করা। দুই বন্ধু আরাতা এবং তাইচির সাথে তার কারুতা খেলা শুরু এবং বিকাশ – যার মধ্যে আরাতা তার প্রথম কারুতা শিক্ষক। সেই জন্য আরাতার প্রতি চিহায়ার কিছু দুর্বলতা আছে।

কাহিনি কয়েক বছর এগিয়ে যায়। সবাই এখন হাই স্কুলে, পারিবারিক কিংবা অন্যান্য কারণে একে অপরের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং চিহায়া ছাড়া বাকি দুইজন কারুতা থেকে অনেক দূরে। তাইচি চিহায়ার স্কুলে ট্রান্সফার হয়ে আসে, তার এখন গার্লফ্রেন্ড আছে, ফ্যামিলির চাপে কারুতা থেকে অনেক দূরে। এইদিকে আরাতার দাদার মৃত্যুতে সে কারুতা খেলা ছেড়ে দিয়েছে। চিহায়ার পিড়াপীড়িতে তাইচি খেলা শুরু করে এবং স্কুলে কারুতা ক্লাব বানায়; আরাতাকে খুজে বের করে তাকে কারুতায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। এবং সেই সাথে কাহিনী এগিয়ে যায়।

চিহায়ার জীবনের লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য কুইন ( জাপানের সেরা মহিলা কারুতা প্লেয়ার) হওয়া। কারন, জাপানের বাইরে এই খেলার প্রচলন খুব কম, সুতরাং জাপানে শ্রেষ্ঠ হওয়া মানে পৃথিবীর ১ নাম্বার; জীবনের লক্ষ্য হিসেবে খুব খারাপ না; কি বলেন? :) :)

চিহায়াফুরু একটু অন্যরকম একটা এনিম। না ফুল রোমান্স, না ফুল স্পোর্টস। যদিও কারুতা খেলাটা খুব পরিষ্কারভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে, কি কি স্ট্রেটেজি দরকার, কিংবা কি কি এবিলিটি থাকলে ভাল কারুতা প্লেয়ার হওয়া যায়- সবই ব্যাখ্যা করা হয়েছে, তার সাথে বেশ কিছু ইন্টেন্স কারুতা ম্যাচও আছে; কিন্তু সব ছাপিয়ে চরিত্রগুলার পারস্পরিক সম্পর্ক এনিমে মুখ্য উপাদান।

কারুতা যেহেতু একটা টু প্লেয়ার গেম, তাই এনিমে চরিত্র খুব কম। হাতে গোনা ৬-৭ টা মুল চরিত্র, সেই জন্য চরিত্রগুলো বিকশিত হওয়ার এবং তাদের মাঝে সুক্ষ সম্পর্কগুলো বিকশিত হয়েছে খুব সুনিপুণবভাবে। মাত্র ২৫ পর্বে ১ম সিজন শেষ করে দেওয়া এই এনিমের ২য় সিজন কবে আসবে সেই অপেক্ষায় আছি। :) :)

এনিমের কাহিনীতো বোঝা গেল খুব ভাল, বাকি বিষয়গুলার কি অবস্থা? হ্যাঁ, এনিমটার আর্ট স্টাইল, পেস, সাউন্ড ট্র্যাক – সব কিছুই চমৎকার। দেখতে দেখতে কোথাও বোর হয়ে যাবেন না- সেইটা নিশ্চিত করেই বলা যায়। :) :)

এই এনিমটি অনলাইনে দেখতে চাইলে এইখানে ক্লিক করতে পারেন। আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে চলে আসতে পারেন এইখানে

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই ইন্টারেস্টিং এনিমটি।

হ্যাপি এনিমিং !!! :) :) :)

ভিন্ন স্বাদের পাঁচটা এনিম ( দেখেন কয়টা কমন পড়ে ) — মো আসিফুল হক

গত ৩ বছরে বেশ অনেকগুলা এনিম দেখছি। এর মধ্যে বেশিরভাগই খুব জনপ্রিয় সিরিজ এবং হয় সুপারপাওয়ার টাইপ নয়ত স্পোর্টস জেনারের। মাঝে মাঝে রুচি বদলের জন্য কিছু ভিন্ন জেনারের এবং খুব একটা পরিচিত নয় এমন কিছু এনিম দেখছি এবং আশ্চর্যের বিষয় এই রকম বেশ কিছু ভালো ভালো এনিম আছে যার নাম আমি খুব একটা শুনি নাই। আজকে এই রকম পাঁচটা আমার খুব পছন্দের এনিমের হালকা পরিচিতি দেওয়ার চেষ্টা করতেছি। এর মধ্যে কোনটা কোনটা দেখছেন অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন । :) :) :)

Kaiji: না বুঝে এক বন্ধুর লোণ নেওয়ার সময় তার সাথে কো- সাইনার হয় কাইজি।ধারের টাকা শোধ না করতে পেরে একদিন পালিয়ে যায় সেই বন্ধু। বেশ অনেক টাকার মামলা, তার মধ্যে সুদ মিলে কাইজির স্বপ্নেরও বাইরে চলে যায় টাকার অঙ্ক। টাকা আদায়কারি তখন তাকে দুইটা অপশন দেয়, হয় তাকে যেই ভাবেই হোক টাকা পরিশোধ করতে হবে, নয়ত তাকে একটা খেলায় অংশ নিতে হবে এবং এই খেলা সাধারন কোন খেলা না, জীবন বাজি রেখে জুয়া খেলা।
কাইজি খেলায় অংশ নেয় এবং দেখে সব অংশগ্রহণকারী তার মতই কোন না কোন ভাবে ধার পরিশোধ করতে না পেরে খেলায় এসেছে।

এই খেলায় তারা তাদের জীবন বাজি রেখে খেলে। জিতলে ঋণের টাকা তো শোধই, সাথে পুরস্কার, আর হারলে অচিন্তনীয় শাস্তি। এই রকম সিচুএশনে কয়েকজন অতি সাধারণ মানুষের মনের অন্ধকার দিক কি রকম কদর্য ভাবে ফুটে উঠে – তাই এনিমের কাহিনী। এনিম দেখার সময় অন্তত একবার হলেও শিউরে উঠবেন নিশ্চিত। আমার খুবই প্রিয় একটা এনিম।
অনলাইনে দেখতে চাইলে 

Twelve kingdoms: ফ্যান্টাসি জেনারের, এবং ওয়ান অব দা বেস্ট। এনিম ইংরেজি ডাবড হলে আমি সাধারণত দেখি না। যেই দুই একটা ইংরেজি ডাবড হওয়া সত্ত্বেও দেখছি এইটা তার একটা। অসাধারণ গল্প, সাথে ফ্যান্টাসির লেভেল কি হইতে পারে তার একটা চরম উদাহরণ দেওয়া হইছে। স্পিড ভালো, এনিমেশন স্টাইলও চমৎকার।

যেই এনিমগুলা দিয়া এনিম দেখা শুরু করছিলাম এইটা তার মধ্যে একটা। এখনও মাঝে মাঝে শেষ ৩-৪ টা পর্ব ঘুরাইয়া ফিরাইয়া দেখি, এত ভালো লাগছে এন্ডিংটা। :):):)
অনলাইনে দেখতে চাইলে

Baki the grappler: একশন, মার্শাল আর্টস, স্ট্রিট ফাইট । এনিমটার স্টারটিং লাইনটা এইরকম,
“If one is born as a male, at least once in his life, he’ll dream of becoming strongest man alive.” 
কাহিনী স্ট্রেইট কাট। হানমা ইউজিরো, পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী লোক এবং সেই সাথে নিষ্ঠুর, স্ত্রীকে খুন করতে কিংবা ছেলের সাথে ফাইটে তাকে অর্ধমৃত করে দিতেও তার বাঁধে না।

তার ছেলে হানমা বাকি, তার জীবনের একমাত্র লক্ষ্য বাবাকে হারানো। এবং সেই লক্ষে সে অবিরত ফাইট করে যায়।
কিন্তু এই সিম্পল স্টোরিলাইনটাকে অনেকগুলা জোস ফাইট দিয়ে সেই রকম ইন্টারেস্টিং করে তোলা হয়েছে। এইটাও আমার খুব ফেভারিট একটা এনিম। :D:D:D
অনলাইনে দেখতে চাইলে

Ah my goddess: দীর্ঘ এক ক্লান্তিকর দিন শেষে Morisato keichi স্টুডেন্ট ডরমে ফিরে চাচ্ছিল শান্তিতে অন্তত ডিনারটা শেষ করতে। এমন সময় এক goddess এসে তাকে বলে, তার যে কোন একটা ইচ্ছা পূরণ করা হবে। সে কি চায়? কেইচি বলে গডেস যেন তার সাথে থেকে যায়!!!!

এই রকম ইন্টারেস্টিং একটা স্টোরিলাইন নিয়ে এনিমটা। পুরা এনিম দেখার সময় অন্তত একবার হইলেও কেইচির জায়গায় নিজেকে কল্পনা করবেন এবং আফসোস করবেন, ইস, আমার সাথে এইরকম হয় না কেন? :) :) :)
অনলাইনে দেখতে চাইলে

Nabari no ou: আধুনিক জাপানের সাথে নিনজা নিয়ে প্লট। নিনজারা এখন চাকরি বাকরি করে, অন্য সাধারণ মানুষের সাথে সহাবস্থান, কিন্তু নিজেদের নিনজা স্টাইল ধরে রেখেছে।

মিহারু এই এনিমের মেই চরিত্র। তার এমন পাওয়ার আছে যাতে সে নিনজা ওয়ার্ল্ড শাসন করতে পারে, কিন্তু সে এইসবে বিন্দুমাত্র ইন্টারেস্টেড না। কিন্তু একসময় সে ইন্টারেস্টেড হয়। কেন হয়, এবং হওয়ার পর কি হয়- তা নিয়েই এনিমের কাহিনী।
অনলাইনে দেখতে চাইলে

মাঝে মাঝে মেইনস্ট্রিম এনিমগুলা দেখতে দেখতে বিরক্তি চলে আসলে এই এনিমগুলার মত এনিমগুলা খুব কাজে দেয়। :) :)
কার কয়টা কমন পড়ল? আপনি এইরকম আনকমন কোনটা কোনটা দেখছেন? :) :)

এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে, কোন কিছু শেয়ার করতে চাইলে এইখানে চলে আসুন।:) :)

হ্যাপি এনিমিং !!!!

মেগা পোস্ট – আমার দেখা কিছু স্পোর্টস এনিম (একখানা “না দেখলে পস্তাইবেন” পোস্ট ) — লেখক মোঃ আসিফুল হক

এনিম ভালো লাগার একটা বড় কারণ এইটার বৈচিত্র্য আবার সেইসাথে একই ধাঁচের অনেক আইটেমের সমাহার। মিস্ট্রি, কমেডি, সুপারপাওয়ার, স্পোর্টস, ফ্যান্টাসি, এনশায়েন্ট হিস্ট্রি, ফ্রেন্ডশিপ, রোমান্স, ডিটেক্টিভ- কি নাই? আমি প্রায় সব ধরণের এনিমই দেখি, হোক সেইটা শোনেন, কিংবা স্পোর্টস, কিংবা ফ্যান্টাসি। তবে শোনেনের পর আমার ফেভারিট জেনার স্পোর্টস। কেন? কারণ – সহজলভ্যতা আর জোশিলা স্টোরি লাইন। :):):) বেশিরভাগ স্পোর্টস এনিমের স্টোরি বেশ সিম্পল, কিন্তু খুব ফাস্ট এবং ইন্টারেস্টিং।

নিচে আমার দেখা অল্প কিছু স্পোর্টস এনিমের নাম এবং হালকা বর্ণনা সহ রেটিং দেওয়া হল। এইখানে দেওয়া সবগুলা রেটিং এর অর্থ কোনটা কত দ্রুত দেখবেন, কোনটার আগে কোনটা দেখা উচিত; আমার কাছে কতটুকু ভালো লাগছে তা না। কারণ আমি আর্ট স্টাইল নিয়া এখন তেমন একটা মাথা ঘামাই না, কাহিনী ভালো হইলে সবই দেখি। কিন্তু এইখানে রেটিং দেওয়ার সময় সবার জন্য আর্ট স্টাইল মাথায় রাইখা দেওয়া। যেই এনিমের রেটিং এইখানে যত ভালো, সেইটা তত দ্রুত দেইখা ফেলার জন্য রিকমেন্ডেড। এবং রেটিং দেওয়া হইছে ১০ এর মধ্যে। :D :D :D

Akagi: জাপানিজ মাহজং (অনেকটা আমাদের দেশের কার্ড খেলার মত) খেলা নিয়া একটা এনিম এবং বেশ ভালো লেভেলের স্টোরিলাইন নিয়া একটা এনিম। অনেক আগের এনিম তাই আর্ট স্টাইল একটু old fashioned। দেখতে দেখতে শেষদিকে অবশ্য বোর হয়ে যাওয়ার চান্স আছে, হিরোকে একদম গডলি দেখানোর কারনে।মাত্র ২৬ পর্ব, এইজন্য এনিমে মাহজং খেলাও খুব বেশী ব্যাখ্যা করা হয় না, আমি এনিমটা দেখার আগে একদিন মাহজং নিয়া পড়াশুনা কইরা দেখতে বসছিলাম। না করলেও চলত,তবে খেলাটা সম্বন্ধে আগে একটু জাইনা নেওয়াটা বেটার। :):):)
দেখলে ভালো, না দেখলেও চলবে। সব মিলিয়ে রেটিং – ৪।

Aoki Densetsu Shoot!: ফুটবল নিয়া একটা এনিম। ক্লাসিক, ওল্ড ফেশন্ড। সমস্যা ওই আর্ট স্টাইলেই, তবে আকাগির চেয়ে ভালো। ৫৮ পর্ব, সুতরাং বেশ বিস্তারিত গল্প। সব মিলিয়ে রেটিং – ৫।

Area no kishi: আবারও ফুটবল। নতুন সিরিজ, চলতেছে এখনও। আমি ২৮ এপিসোড পর্যন্ত দেখছি। স্টোরিলাইন মারাত্মক, আর্ট স্টাইল সন্তোষজনক। হাইলি রিকমেন্ডেড। সব মিলিয়ে রেটিং – ৭।

Baki the grappler: স্ট্রিট ফাইট, মার্শাল আর্ট-টাইপ এনিম। অসাধারণ স্টোরি, ততোধিক পেইনফুল আর্টস্টাইল। আর্টস্টাইল নিয়া বিন্দুমাত্র খুঁতখুঁতে ভাব থাকলে না দেখা উত্তম।কিন্তু আমার খুব ফেভারিট এনিম, এই ধরণের প্লটে ওয়ান অফ দা বেস্ট স্টোরি। সব মিলিয়ে রেটিং – ৩।

Captain Tsubasa: ফুটবল। আমার কাছে যেইপর্ব গুলা আছে তাতে অডিও আর ভিডিও মিলে না, মানে কথা আগে চলে আসে আর কি!!! সেই জন্য ২ পর্ব পড়ে দেখা হয় নাই। তবে ভালো প্রিন্ট থাক্লেও খুব সম্ভবত দেখতাম না। অনেকের অবশ্য ফুটবল নিয়ে খুব প্রিয় এই এনিমটা, কিন্তু আমার ভালো লাগে নাই,কারণ এইখানেও “over the moon” হিরো ক্যারেকটার, সে সবকিছুতেই পারফেক্ট, বিরক্তিকর। সব মিলিয়ে রেটিং – ২।

Chihayafuru: জাপানিজ কারুতা (এক রকমের কার্ড গেম, অনেক গুলা কবিতা মুখস্থ করতে হয়, স্মৃতিশক্তি টেস্ট টাইপ খেলা) নিয়া এনিম। খেলার সাথে সাথে অবশ্য ফ্রেন্ডশিপ এবং রোমান্স সাইডটা বেশ জোরালো। হালকা ধাঁচের এনিম, উপভোগ্য। প্রথম থেইকা খেলার রুলস সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা কইরা গেসে। দেখলে ভালো, না দেখলেও সমস্যা নাই। সব মিলিয়ে রেটিং – ৫।

Eyeshield 21: আমেরিকান ফুটবল(রাগবি টাইপ) নিয়া এই এনিমটা। মাস্ট ওয়াচ, যদিও আর্ট স্টাইল হালকা পুরাতন ধাঁচের, তবে ওইটা আমলে না নিয়া দেইখা ফেলাটা জরুরি। সেইরকম স্টোরি এবং অনেকগুলা এক্সসাইটিং গেম। :):):) ১৪৫ এপিসোড, খেলা পুরাপুরি ব্যাখ্যা করার পাশাপাশি সব মেজর লীগগুলার খবর পর্যন্ত এনিমটায় দেওয়া। সব মিলিয়ে রেটিং – ৮।

Giant killing: উপরের প্রায় সব ফুটবল এনিম স্কুল লেভেল ফুটবল নিয়া, অনেক স্পেশাল মুভ, অনেক ড্রামাটিক ঘটনা। কিন্তু এইটা একটু ডিফারেন্ট। অনেকটা রিয়েলিটির টাচ আছে, স্ট্রেটেজিক ফুটবল নিয়া স্টোরি। Most of the time ভালো স্টোরিলাইনের এনিমের আর্ট স্টাইল খারাপ থাকে এই নীতি মাইনা যথারীতি আর্ট স্টাইল দুর্বল। তবে কাহিনী খারাপ না। সব মিলিয়ে রেটিং – ৬।

Ginga a kickoff: ফুটবল। আর্টস্টাইল ভালো, স্টোরি ডিসেন্ট। ভালো টাইম পাস এনিম। সব মিলিয়ে রেটিং – ৬।

Hajime no ippo: স্পোর্টস এনিমে আমার ফেভারিট লিস্টে 2nd best। বক্সিং নিয়ে কাহিনী। শুনে মনে হইতে পারে বক্সিং নিয়া ইন্টারেস্টিং কি হইতে পারে? কিন্তু এনিম দেখার পর ভুল ভাংবেই। অসাধারণ স্টোরি, এবং চরম ফাস্ট। প্রথম পর্ব দেখার পর একটানে সব পর্ব নামানোর এবং দেখার কাজ নন্সটপ চলছে। সব মিলিয়ে রেটিং – ১০।

Hungry heart wild striker: ফুটবল। স্টোরি এবং এনিমেশন চমৎকার। ধর তক্তা মার পেরেক – টাইপ এনিম, মানে ধরলে শেষ না কইরা উঠতে পারবেন না। ৫২ এপিসোড সুতরাং ঘটনা জমে ওঠার বেশ ভালো টাইম পাইছে। সব মিলিয়ে রেটিং – ৭।

Initial D: স্পোর্টস এনিমে আমার ফেভারিট লিস্টে নাম্বার ওয়ান। কার রেসিং নিয়ে এই এনিমটা। এইটা দেখার পর কার রেসিং এর সব মুভির কথা ভুইলা গেসি। না দেখা থাকলে পোস্ট পইরা সাথে সাথে এইটা দেখা শুরুর অনুরোধ রইল। ৪ সিজন, বেশ বড় এবং অসাধারণ কাহিনী, আর বেশী জোস এক্সসাইটমেন্ট এর একটা এনিম। সব মিলিয়ে রেটিং – ১০।

Kuroko no basuke: বাস্কেটবল। অনগোয়িং সিরিজ। শেষ হইলে স্পোর্টস এনিমের ফেভারিট লিস্টে ৩ নাম্বার স্পট দখল করব বইলা মনে হইতেছে।:) :) :) দুর্দান্ত কাহিনী এবং এনিমেশন স্টাইল। সব মিলিয়ে রেটিং – ৯।

One outs: বেইসবল, স্ট্রেটেজিক। ইন ফেক্ট, খেলার চেয়ে খেলার স্ট্রেটেজি পার্টটাই মেইন। অসাধারণ এনিম, মাস্ট ওয়াচ। সব মিলিয়ে রেটিং – ৭।

Prince of tennis: নামেই বুঝা যাইতেছে, টেনিস নিয়া এনিমটা। দেখতে গিয়া মেজাজ প্রচন্ড খারাপ হইছে। মেইন ক্যারেকটাররে এত বেশী জিনিয়াস আর এত বেশী গডলি দেখাইছে যে প্রথম ১০ পর্বের পর সব আগ্রহ হারাইয়া ফেলসি। সাথে আবার পুতুপুতু টাইপ প্রেম কাহিনী। টিনেজদের জন্য তৈরি কাহিনী। না দেখাটাই উত্তম। সব মিলিয়ে রেটিং – ২।

Slam dunk : বাস্কেটবল। কাহিনী ভালো, আর্ট স্টাইল ওল্ড । দেখলে ভালো, না দেখলেও চলবে। সব মিলিয়ে রেটিং – ৪।

রেটিংউয়াইজ এনিমগুলি –
1 Initial D
2 Hajime no ippo

3 Kuroko no basuke

4 Eyeshield 21

5 Area no kishi
6 Hungry heart wild striker
7 One outs

8 Giant killing
9 Ginga a kickoff

10 Aoki Dentusu shoot
11 Chihayafuru

12 Akagi
13 Slam dunk

14 Baki the grappler

15 Captain tsubasa
16 Prince of tennis

আজকে আপাতত এইটুকুই। আল্লাহ বাচাইয়া রাখলে এবং লেখার আগ্রহ পাইলে নেক্সট পর্ব যদি কোনোদিন লেখি তাইলে আরও কিছু স্পোর্টস এনিমের নাম দিব ইনশাল্লাহ। :) :)

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই এনিমগুলি। আর সবগুলা এনিমই অনলাইনে দেখার জন্য ক্লিক এইখানে করতে পারেন।

হ্যাপি এনিমিং। :) :)

Kuroko no Basuke – আরেকটি classic স্পোর্টস এনিম — লেখক মো আসিফুল হক

জাপানে কিছু অতি মাত্রায় টেলেন্টেড লোক আছে, যারা এনিম বানায় এবং মাঙ্গা লেখে। এরা যে কোন একটা বোরিং টপিক্সরে ধইরা চিন্তার বাইরে ইন্টারেস্টিং বানাইয়া দিতে পারে। kuroko no basuke তারই একটা বড় উদাহরণ।

এই এনিমটা কোন খেলা নিয়া? – বাস্কেটবল। নাম শুইনাই উলটা দিকে দৌড় দিয়েন না। প্রথমে আমিও ভাবসিলাম – আর বাকি সব খেলা না হয় বাদই দিলাম, বাস্কেটবল নিয়া আবার কি বানাইব? কেম্নে সম্ভব? প্রথম পর্ব দেখার পর টানা বাকি ১৮ পর্ব ( এখন পর্যন্ত ১৯ পর্ব নেটে পাইছি) নামাইয়া দেইখা ফালাইলাম। বাকি পর্ব কবে আইব সেই চিন্তা করতেছি এখন।

তউকো একাডেমির পাঁচ জন অসাম বাস্কেটবল প্লেয়ারকে একসাথে “generation of miracles” বলা হয়। তাদের নাম সবার মুখে মুখে। ষষ্ঠ আরেকজন প্লেয়ারের নাম শোনা যায় – কিন্তু বাকি পাঁচ জনের মত না। সে কে, কি রকম – সেই সম্বন্ধে লোকের ধারণা কম।

মিডল স্কুলে সবাই আলাদা আলাদা স্কুলে ভর্তি হয়। সেই ষষ্ঠজন – কুরোকো ভর্তি হয় সেইরিন স্কুলে। সবাই অবাক হয়ে দেখে – তার হাইট, স্টেমিনা, স্পিড, ড্রিব্লিং – যা কিনা বাস্কেটবল খেলার মুল জিনিস – সবই এভারেজের নিচে। তাহলে তার বৈশিষ্ট্য কি? হ্যাঁ, তার বাহাদুরি পাসিংএ । সে “misdirection” ইউজ করে অসাধারণ পাস দেয়। সেই স্কুলে ভর্তি হয় আমেরিকা ফেরত কাগামি। তার লক্ষ্য “generation of miracles” এর সবাইকে পরাজিত করা। কুরোকো প্রমিজ করে কাগামিকে তার লক্ষ্য অর্জনে সাহায্য করার।

প্রত্যেক খেলোয়াড়ের আলাদা বৈশিষ্ট্য , আলাদা পাওয়ার, হাই স্পিড গেম, চমৎকার এনিমেশন, এবং সেই সাথে অসাধারণ স্টোরি লাইন – সব মিলে একটা জমজমাট এনিম। আর এখনও এইটার কাহিনী প্রথম দিকে আছে। আশা করাই যায়, সামনে কাহিনী আরও জমবে।

এনিমের কমেডি সাইডটাও ডিসেন্ট। রোমান্টিক সাইড যথাসম্ভব কম রাখার চেষ্টা করা হয়েছে, যতটুকু আসছে তাও কমেডির ধাঁচে। সো, এনিমটা দেইখা বোর হবার চান্স নাই। :) :) :)

অনলাইনে দেখার জন্য এই লিঙ্কে ক্লিক করতে পারেন, আইডিএম থাকলে নামাইয়াও নিতে পারেন। :) :) আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে, কিছু জানতে ও জানাতে চাইলে, কিছু শেয়ার করতে চাইলে যোগ দিতে পারেন এই ফেইসবুক গ্রুপে ।

তো আর দেরি কেন? দেখা শুরু করে দিন এই অসাধারণ এনিমটি। :) :)

হ্যাপি এনিমিং !!!!!

জন্মদিনের বিশেষ পোস্ট – Bleach – একটি “মাস্ট ওয়াচ” এনিম রিভিউ — লেখক মো আসিফুল হক


আজকে আমার জন্মদিন। সেইজন্য গতকালই একটা পোস্ট দিলেও আজকে আবার পোস্ট দেওয়ার লোভ সাম্লাইতে পারলাম না। :) :) এই এনিমটা আমার “one of the most favourite” এনিম।

সাধারণত সুপার পাওয়ার এনিমগুলাতে মেইন ক্যারেকটার একটু বেক্কল টাইপের হয়। প্রথম প্রথম তেমন কোন পাওয়ার টাওয়ার থাকে না, থাক্লেও লোকজন দাম দেয় না – এই টাইপ। ব্লিচ আবার এইদিক দিয়া বেতিক্রম। ইচিগোরে প্রথম থেইকা দেইখাই মনে হয় এনিমটার মেইন চরিত্র। উচা লম্বা আছে, প্রথমেই মাশাল্লাহ ভালই পাওয়ারও আছে, দেখতে শুন্তেও ভালা। :D :D :D বিশেষ কইরা ইচিগোর বাঙ্কাই স্টেইজ যে কোন এনিমের মধ্যে আমার মোস্ট ফেভারিট। :) :) :)

এনিমটার কাহিনী শিনিগামি(ডেথ গড) ভিত্তিক। খারাপ আত্মাকে পৃথিবী থেইকা মুক্ত করে শিনিগামিরা। এই রকম একজন শিনিগামি রুকিয়া। ইচিগোর পরিবারকে বাচাইতে সে একদিন নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার পাওয়ার ট্রান্সফার করে ইচিগোর কাছে। এই অপরাধে সউল সোসাইটিতে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। ইচিগো তাকে বাচাইতে সউল সোসাইটিতে যায় এবং ফাইট করে।

এইটা গেলো এনিমের একটা ছোট পার্ট। এই ফাইটের সময়ই একটা টুইস্ট আছে এবং আরেকটা কাহিনী শুরু হয়। টুইস্ট কিংবা কাহিনীর অল্প অংশ কইলেও এনিমের মজা যাইবোগা – তাই বাকিটা আর কইলাম না। নিজেই দেইখা নিয়েন। :D:D:D:D

প্রশ্ন হইল – এই এনিম প্রিয় হইল কেন? উত্তর হইল – ফাইটগুলার জন্য। নারুতোর ভক্তরা মাইর দিতে আসতে পারে – কিন্তু আমার মনে হয় ব্লিচের কিছু কিছু ফাইট নারুতোর কিছু ফাইটের চেয়েও জোস। আর শুধু সোরড ফাইট যে কত বৈচিত্র্যময় হইতে পারে , কত ইন্টারেস্টিং হইতে পারে – ব্লিচ তার প্রমাণ। আর জাঙ্গেতসু ( ইচিগোর সোরড) যখন ইচিগোকে ট্রেইনিং দেয়, সেই জায়গার ফাইট, সাউন্ড ট্র্যাক এবং ডায়লগগুলা বেশী ভাল। :):):):) আর বিয়াকুইয়া আর ইচিগোর ফাইটটাতো সিমপ্লি লেজেন্ডারি। :) :)

এছাড়াও পুরা এনিমে শুরু এবং শেষের সাউন্ড ট্র্যাকগুলা যে কোন এনিমকে ফেইল করাইতে পারবে। তবে নারুতোর সাথে এই এনিমের মুল যেই লেগিংস – নারুতোতে অন্য অনেক চরিত্র খুব ভাল লাগবে, অনেক ডিটেইলস ক্যারেকটার। কিন্তু ব্লিচে ইচিগোর বাইরে আর খুব ভাল লাগা ক্যারেকটার খুব বেশী নাই আমার। তবে ইচিগো সেইটা খুব ভালভাবেই কাভার কইরা দিসে। সব মিলাইয়া খুব জমজমাট এনিমটা। ;) ;) ;)

আরে আরে যান কই? দাঁড়ান, দাঁড়ান। দেখার লাইগা এখনই দৌড় দিয়েন না, আরও কথা বাকি আছে। ফিলার কি জিনিস জানা আছে? না? এই এনিম গুলা তো বই বা কমিক্স ( মাঙ্গা) থেইকা বানায়। বইয়ের কয়েকটা পর্ব মিলা এনিমের একটা পর্ব হইয়া যায়। এইজন্য মাঝে মাঝে বইয়ের কাহিনী আগাইয়া দেওয়ার জন্য এনিমের মাঝখানে চরিত্রগুলা অপরিবর্তিত রাইখা মুল কাহিনীর বাইরে কোন স্টোরি দিয়া চালাইয়া দেয়। এইগুলাই হইল ফিলার। খুব একটা ইন্টারেস্টিং কিছু না, মাঝে মাঝে বরং বিরক্তির উদ্রেক করে। আর এই জিনিস ব্লিচে খুব বেশী। ঠিকই ধরছেন, এই জন্যই নারুতোর যত সুনাম, ব্লিচের অত সুনাম শুনেন নাই।
তাইলে এখন কি করা? ব্লিচ দেখুম না?
কেন দেখবেন না? অবশ্যই দেখবেন। নিচে একটা লিস্ট দিতাছি –
033 *Karakura Heroes Omake 1
050 *Karakura Heroes Omake 2
064-108 *Bount arc
128-137 *Stolen Hogyoku arc
147-149 *Rukia side story. Plot&Character designs by Kubo
168-189 *New Captain arc
204-205 *Random one-episode fillers
213-214 *Karakura Riser Omake
227-265 *Zanpakutou Rebellion arc. Character designs by Kubo.
266 *Hueco Mundo Recap
287 *Magic Lamp Gaiden
298 *Hell Chapter Movie Promotion
299 *Hell Chapter Movie Prologue
303-305 *Random one-episode fillers
311-316 *Random one-episode fillers
317-341 *Gotei 13 Invasion arc
355 *New Year Special

এই পর্ব গুলা বাদ দিয়া দেখবেন। এইগুলা ফিলার। তাইলেই দেখবেন, এনিম দেখার পর ব্লিচের নাম ফেভারিট লিস্টের প্রথম ৫ টার ভিতরে ঢুকাইয়া দিসেন ।:D:D:D:D


তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই দুর্দান্ত এনিমটি।;);););)

অনলাইনে দেখার লিঙ্ক
আমি আইডিএম দিয়া নামাইয়া দেখছি।

আর এনিম নিয়ে আড্ডা দিতে চাইলে, ছবি কিংবা আপনার লেখা শেয়ার করতে চাইলে, নতুন নতুন তথ্য জানতে ও জানাতে চাইলে আমাদের সাথে এই গ্রুপে যোগ দিতে পারেন। :) :)

হ্যাপি এনিমিং !!!!!

Eyeshield 21 – একটি আদর্শ স্পোর্টস এনিম— লেখক মো আসিফুল হক


এনিমটা দেখা শুরুর আগে চিন্তা করতেছিলাম, আমেরিকান ফুটবল নিয়া এনিম, এই জিনিসের নিয়ম কানুন তো কিছুই জানি না।/:)/:)/:) ( আমেরিকান ফুটবল নরমাল ফুটবলের মত না, এইখানে আপ্নে হাত দিয়া, পা দিয়া জেম্নে পারেন বল নিয়া একটা জায়গায় পৌছাইতে পারলে গোল টাইপ, ৬ পয়েন্ট) যাই হোক, প্রথম পর্ব দেখলাম, দেখি বেশী ডিপে যায় নাই, আর মাঝখানে কি করছে রুলস ব্যাখ্যা করছে।
এবং এইটাই এনিমটার সবচেয়ে জোস পয়েন্ট, প্রত্যেক পর্বে একটু একটু কইরা খেলাটার রুলস, এক্সসেপসন্স, স্পেশাল মুভ, জাপান এবং আমেরিকায় লিগ, লিগের ফরম্যাট- কিচ্ছু বাদ দেয় নাই, সব ব্যাখ্যা করছে। ১৪৫ পর্ব হওয়ায় ব্যাখ্যা করার সময়ও পাইছে অনেক। পুরা এনিম দেখার পর আমি এখন খেলাটার প্রায় সব রুলস এবং স্ট্রেটেজি গুলা জানছি। :):):):)


কোবায়াকাওয়া সেনা – এনিমের মুল চরিত্র। বাকি ৮-১০ টা সাধারণ এনিম হিরোর মতই সেনাও বোকা সোকা ধরণের। স্কুল থেইকাই তারে ছোটখাটো পাইয়া লোকজন সব কাজকাম করাইয়া নিত, ফাই ফরমাশ খাটত আর কি !!!! :):):):)লোকজনের কাজ কইরা দিতে দিতে আর পালাইয়া থাকার চেষ্টা করতে করতে তার দৌড়ের স্পিড সেইরকম। আমেরিকান ফুটবলে আবার এই জিনিস খুব কাজের। সেনা যখন হাই স্কুলে আসে, তখন তার উপর চোখ পরে হিরুমা ইওইচির, যে কিনা স্কুল ফুটবল টিমের ক্যাপ্টেন , যে কিনা ডেভিল( আকুমা) নামে পরিচিত।

এই স্কুলের ফুটবল টীম “ডেইমন ডেভিল ব্যাটস” এর অবস্থা শোচনীয়। খেলোয়াড় নাই বললেই চলে, হিরুমা আর কুরিতা – এই দুইজন রেগুলার মেম্বার। অন্য স্কুলের সাথে খেলা থাকলে হিরুমা বিভিন্ন ক্লাব থেইকা লোকজন ধইরা আইনা খেলায় নামায়। সেনার স্পিড দেইখা হিরুমা সেনাকে দলে নেয় এবং এনিমের মুল ঘটনা শুরু হয়। ধীরে ধীরে সেনা একজন টপক্লাস ফুটবল প্লেয়ার হওয়া শুরু করে।


এনিমের জোস দিক গুলার একটা হইল প্রত্যেকটা দলের এবং অনেক খেলোয়াড়ের স্পেশাল এবিলিটিস গুলা। সেনার ডেভিল ব্যাটস ঘোস্ট, ডেভিল ব্যাট হারিকেন, মোন্তার ডেভিল বেকফায়ার, শিনের স্পিয়ার ট্যাকল, ট্রাইডেন্ট ট্যাকল, রিকুর রোডেও ড্রাইভ, সাকুরবার এভারেস্ট পাস- এইরকম বহু স্পেশাল মুভে এনিম ভর্তি। আর এর সাথে প্রত্যেক টিমের নানা রকম স্ট্রেটেজির মিশেলে একটা জমজমাট এনিম।


এনিমের চরিত্রগুলাও বেশ ভাল। বিশেষ কইরা হিরুমা, সেনা, শিন, সাকুরাবা, রিকু – এই চরিত্রগুলা তো বেশী অস্থির। আর বাকি চরিত্রগুলাও অসাধারণ। :):):):)


এনিমের কোন একটা দিক যদি খারাপ লাগে তবে শেষের দিকে ম্যাচগুলার লেংথ খারাপ লাগতে পারে। যেমন কোন কোন ম্যাচ ৩ পর্ব ধরে দেখাচ্ছে, ওইখানে মনে হইতে পারে ২ পর্বে শেষ করা যাইত। আমার মতে ১৪৫ পর্বকে ১০০-১১০ পর্বে শেষ করে ফেললে পারফেক্ট হইত। তবে এইটা খুব বড় একটা ফ্যাক্টর না। অল্প দুএকটা ম্যাচে এইরকম মনে হইতে পারে।


এনিমের কমেডি সাইডটা বেশ ভাল, সাধারণত স্পোর্টস এনিমে কমেডি খুব কম থাকে। কিন্তু এইখানে প্রায় পুরা এনিম জুড়েই একটা কমেডির আভাস আছে, যেইটা খুব ইন্টারেস্টিং।


হাজিমে নো ইপ্পো এবং ইনিশিয়াল ডি এর পর এইটা আমার মোস্ট ফেভারিট স্পোর্টস এনিম। সেনার ডেভিল ব্যাট ঘোস্টের সময় দেওয়া সাউন্ড ট্র্যাকটা এনিম সাউন্ড ট্র্যাকের মধ্যে আমার অন্যতম ফেভারিট।:D:D:D:D


তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই দুর্দান্ত এনিমটি। :):):)

“Hunter X Hunter 2011” – Naruto’র সাথে পাল্লা দেওয়ার মত অসাধারণ একটা এনিম — লেখক মো আসিফুল হক


এই এনিমটার নাম কয়েকদিন ধইরাই শুন্তেছিলাম, কিন্তু তেমন বেশী প্রশংসা শুনি নাই, তাই ভাবছিলাম বোধহয় এভারেজ টাইপ কোন এনিম হইব। এক ফ্রেন্ডের পিসিতে দেইখা ভাবলাম, দেখি, কি অবস্থা। প্রথম ২ পর্ব দেখার পরে বাকিটুকু দেখার জন্য অপেক্ষা করতে পারলাম না। এক টানে ৩৭ টা পর্ব ( আপাতত ৪০ পর্ব রিলিজ হইছে) দেইখা ফালাইলাম । দেখার পর চিন্তা করতেছি এই জিনিস আগে দেখি নাই কেন?


Hunter X Hunter 2011 – এইটা আগের Hunter X Hunter এর রিমেক, বানাইছে সেই Madhouse-ই, যারা কিনা Death Note এর জন্য আমার কাছে সবসময়ের জন্য প্রিয়। আমি অবশ্য আগেরটা দেখি নাই, কিন্তু এইটা দেইখাই বুঝতে পারতেছি কেন রিমেক দরকার হইল। :) :)


প্রথমেই কথা হইল, Hunter কি?
এনিমের থেইকাই উত্তরটা দেই –
“Fearsome monsters…Exotic creatures…Vast riches… Hidden treasures…Evil enclaves… Unexplored lands…The word “unknown” holds magic. And some incredible people are drawn to that magic. They are known…as Hunters !”


গন ফ্রিকস তার আন্টির সাথে whale island এ থাকে, বাবা মা নেই। তার বাবা একজন হান্টার, সম্ভবত পৃথিবীর অন্যতম সেরা। তার ছোটবেলা থেকেই লক্ষ্য তার বাবাকে খুজে বের করে তার সাথে দেখা করা। এই জন্য সেও হান্টার হতে চায়। কিন্তু হান্টার হওয়া সহজ কাজ নয়। এই জন্য পরীক্ষার আয়োজন করা হয় যেখানে হাজার হাজার পরীক্ষার্থী অংশ নেয়। এই পরীক্ষা ভয়াবহ কঠিন, এমনকি মাঝে মাঝে deadly. গন এই পরীক্ষায় অংশ নেয় এবং সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় killua, kurapika, leorio’র সাথে।


killua একটা assasin পরিবারের সন্তান। তার বাবা মার ইচ্ছা ছেলে বিশাল এসাসিন হবে- তার সেই টেলেন্টও আছে। কিন্তু কিলুয়ার ইচ্ছে সে বন্ধু বানাবে,খুনোখুনি তার পছন্দ নয়। সেই জন্য সে ঘর থেকে পালিয়ে যায় এবং হান্টার এক্সামে অংশ নেয়। কুরাপিকা এবং লেওরিও – গনের বন্ধু হলেও কিলুয়াই একমাত্র তার সাথে থেকে যায়।


kurapika’র সমগ্র race কে একটা সন্ত্রাসী সংগঠন হত্যা করে শুধু তাদের চোখ বিক্রি করার জন্য- যেই চোখের আলাদা ক্ষমতা আছে বলে বিশ্বাস করা হয়। কুরাপিকা তার সমগ্র রেইসের পক্ষে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হান্টার হতে চায়।


leorio’র এক বন্ধু তার সামনে রোগে মারা যায় অর্থের অভাবে। তাই লেওরিও হান্টার হতে চায় টাকা উপার্জনের জন্য।


এই পর্যন্ত চরিত্রগুলার বর্ণনা শুনে এনিমটা নিয়া কারোরই খুব একটা আগ্রহ জাগে নাই মনে হয়, জাগার কথাও না। প্রথম কয়েক পর্ব এইখানেই সমস্যা, কাহিনীটা গড়ে উঠতে কিছু সময় লাগে।


কিন্তু একবার চরিত্রগুলোর বর্ণনা শেষ হইলে হান্টার এক্সামের মারামারি কিংবা সাস্পেন্স- দুর্দান্ত। আর এক্সাম শেষের পর গন আর কিলুয়ার অভিযান- সেইটা আরও বেশী দুর্দান্ত।
সামনে আশা করি আরও ইন্টারেস্টিং কিছু আসবে- এখন পর্যন্ত পাওয়া আভাস- এবং এনিমটার মাঙ্গা তাই বলে। :) :) :)
এনিমটার সবচেয়ে ভাল দিক এর প্লট। যথেষ্ট গভীর এই এনিমে শুধু মেইন ক্যারেক্টার কেই হাইলাইট করা হয় নাই- বরং প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের বর্ণনা এমনভাবে দেওয়া হয়েছে যে প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারকেই আপনি ফিল করতে পারবেন। আর ফাইট সিনগুলা যথেষ্ট ডিসেন্ট।


তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই অসাধারণ এনিমটি। অনলাইনে দেখার জন্য এখানে ক্লিক করতে পারেন।


হ্যাপি এনিমিং !!! :) :) :)