Sakib’s Hidden Gems – Episode #48 [Movie Special]

Giovanni no Shima
https://myanimelist.net/anime/19115/Giovanni_no_Shima
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী ক্ষতিগ্রস্ত ও ভঙ্গুর জাপান এই কাহিনীর প্রেক্ষাপট। রাশিয়ার দখলকৃত শাখালিন (জাপানী ভাষায় কারাফুতো) দ্বীপে বসবাসকারী কিছু অভাগা জাপানী ও তাদের সাথে রাশিয়ানদের বিনিবনা নিয়ে এই গল্প এগিয়েছে। গল্পের কিছু রোমান্টিক দিক ফোরসড লাগলেও হিস্টরিকাল আনিমে ভক্তদের এটা দেখা উচিত।
 
Shikioriori
https://myanimelist.net/anime/37396/Shikioriori
 
কমিকস ওয়েভ স্টুডিওর চোখধাঁধানো ভিজুয়াল আর হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া কয়েকটি ছোটগল্পের মিলনে এই মুভিটি। সবাই দেখবেন কিন্তু।
 
Omoide Poroporo
https://myanimelist.net/anime/1029/Omoide_Poroporo
 
আমার ফেভারিট মুভি এটা। এই মুভিতে স্টুডিও ঘিবলি তাদের চিরাচরিত হাসিখুশি ফ্যান্টাসি থেকে সরে এসে বেশ ম্যাচিওর থিমের, পুরোই বাস্তব ও জীবনধর্মী কিছু বানিয়ে দেখিয়েছে। গল্পের চরিত্রায়ন, ম্যাসেজ, আর এন্ডিংটা এক্কেবারে নিখুঁত। অবশ্যই অবশ্যই দেখবেন।
 
Kaijuu no Kodomo
https://myanimelist.net/anime/5655/Kaijuu_no_Kodomo
 
অত্যন্ত নান্দনিক ভিজুয়াল এইটার। মনে হবে যেন ডকুমেন্টারি ফিল্ম দেখছেন। গল্পটা একটু ডীপ। পুরো সৃষ্টিজগতের রহস্য আর মহাবিশ্বের সাথে মানুষের যোগটা কোথায় – এটাই এই আনিমের আলোচ্য বিষয়। এটা সবার ভালো লাগবেনা। তবে এই বর্ণনা পড়ে যদি দেখতে ইচ্ছে করে তো অবশ্যই দেখবেন।
 
Flanders no Inu
https://myanimelist.net/anime/2623/Flanders_no_Inu_Movie
 
গ্রেভ অফ ফায়ারফ্লাইজ দেখে যেরকম কষ্ট লাগে, এইটা দেখেও সেইরকম কষ্ট লাগে। ইতালির ফ্লোরেন্স শহরের এক গরিব দুর্ভাগা বালক আর তার সাথী কুকুরের মর্মান্তিক জীবনকাহিনী এটা। দুঃখের কিছু দেখার মুড আসলে দেইখেন।
 
Steamboy
https://myanimelist.net/anime/565/Steamboy
 
স্টিমপাঙ্ক, ছিমছাম ভিজুয়াল, আর জুলভার্নের থিমওয়ালা সাইফাই ভালো লাগলে এইটাও খুব এঞ্জয় করবেন আপনারা। বেশ গতিময় ও রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা হবে এটি দেখলে।
 
Kaguya-hime no Monogatari
https://myanimelist.net/anime/16664/Kaguya-hime_no_Monogatari
 
আর্টস্টাইলের দিক দিয়ে এটি একটি অনন্য ঘিবলি মুভি। শিশুতোষ রুপকথা এখানে প্রাণ পেয়েছে নান্দনিক স্কেচবুক ধাঁচের আর্টে। গল্পটাও খুব সুন্দর আর শিক্ষণীয়।
 
Pom Poko
https://myanimelist.net/anime/1030/Heisei_Tanuki_Gassen_Ponpoko
 
আমার মতে এটা ঘিবলি মুভির মধ্যে প্রচুর আন্ডাররেটেড। উপর থেকে দেখলে বাচ্চাদের জন্য উপযোগী ফ্যান্টাসি মনে হলেও এই গল্পের কিন্তু বেশ শিক্ষণীয় অন্তর্নিহিত ম্যাসেজ আছে। বেশ ইমোশনাল ও হৃদয়স্পর্শী এই মুভিটি সবাই দেখবেন।
 
Colorful
https://myanimelist.net/anime/8142/Colorful_Movie
 
বেশ জীবনধর্মী ও শিক্ষামুলক একটি গল্প। একটি কিশোর কী কারণে আত্মহত্যা করতে পারে আর কী করে একটি আপাত বিষাদময় জীবনকেও সুখী ও সুন্দর করে তোলা যায় – তা এই মুভিতে তুলে ধরা হয়েছে।
 
Kono Sekai no Katasumi ni
https://myanimelist.net/anime/15227/Kono_Sekai_no_Katasumi_ni
 
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের শেষভাগে একটি জাপানী পবিবারের কাহিনী এটি। যুদ্ধের ভয়াবহ দিক ও তা থেকে মানুষের উঠে দাঁড়ানোর আরেকটি যুদ্ধ এই মুভিতে শক্তিশালী লেখনীর দ্বারা ফুটে উঠেছে কোন রাখঢাক ছাড়াই। আর্টও নয়নাভিরাম।
 

Colorful – মুভি রিভিউ – মোঃ আসিফুল হক

 

Colorful 1

Are you alive?

মাঝে মাঝে কি এমন সময় এসেছে যখন কোন একদিন মনে হয়েছে চিরজীবন বেঁচে থাকতে পারলে বোধহয় খুব ভাল হত? অথচ ঠিক তার পরদিনই হটাৎ করে সব কিছু অর্থহীন মনে হয়েছে? বেঁচে থাকার ইচ্ছের জায়গাগুলো কি হটাৎ করেই দখল করে নিয়েছে একরাশ হতাশা, নিজের উপর; চারপাশের মানুষগুলোর উপর? নিজের ভুলগুলোর জন্য নিজের উপর প্রবল আক্রোশ এসে ভর করেছে?
আমার ধারনা আমাদের সবার জীবনেই কখনো না কখনো এমন সময় এসেছে। এবং আমরা সেই অবস্থা কাটিয়েও উঠি, আবার ফিরে যাই যান্ত্রিক জীবন যাপনে; কখনো কারো সাহায্য নিয়ে; কখনো কখনো হয়ত নিজের মনের জোরেই।

আমরা অনেক সময়েই আসলে বেচে থাকাটাকে পুরোপুরি উপলব্ধি করতে পারি না। কারণ আমরা আসলে পুরোপুরি বেঁচে থাকি না কখনই। আমরা তিন বেলা খাই, সারারাত ঘুমাই আর সারা দিন ঊর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ুতে থাকি; ক্যারিয়ার; পড়াশুনা; দায়িত্ব; কর্তব্য – এখান থেকে সেখানে। একটু স্থির হয়ে বসে গোটা দুনিয়াটাকে, আকাশটাকে; চারপাশে মানুষগুলোকে চোখ মেলে দেখার একটুও ফুরসত মেলে না আমাদের। আমরা পুরোপুরি বেঁচে থাকি না; বেঁচে থাকার অভিনয় করি যাই আসলে।

খুব প্রিয়জন যখন বড় কোন ভুল করে ফেলে; এমন কিছু করে বসে যা জন্ম দেয় একগাদা অবিশ্বাসের; সেই ঘটনা ভুলে গিয়ে তাকে পুরোপুরি ক্ষমা করে দিতে আসলে কত সময় লাগে? ১মাস? ৬ মাস? ১ বছর? পুরোপুরি কি ভুলে যাওয়া যায় আদৌ? যদি না যায় সেক্ষেত্রে করণীয় আসলে কি? আর সেই প্রিয়জনেরই বা কি করার থাকে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনার জন্য?

Colorful 2

 

কালারফুল মুভিটা দেখতে শুনতে আট দশটা স্বাভাবিক পরিবারের মতন অথচ নানারকম মানসিক টানাপোড়েনে থাকা এক পরিবারের গল্প, যে পরিবারের সবচেয়ে ছোট, বিষাদগ্রস্থ, জুনিয়র হাই স্কুলে পড়া ছেলেটি একের পর এক খারাপ ঘটনার পিঠে জীবনের চরমতম সিদ্ধান্তটি নিয়ে নেয়। সৃষ্টিকর্তা অপর একটা অপরাধী আত্মাকে পাঠান সেই শরীরে; আত্মার শুদ্ধির জন্য। আমরা সেই আত্মার চোখে পরিবারটাকে দেখতে পাই; ছেলেটার চারপাশের পরিবেশটা দেখতে পাই; প্রতিদিনের সংগ্রামগুলো দেখতে পাই; একে একে সবার বদলে যাওয়াটা দেখতে পাই এবং এই প্রক্রিয়ার মধ্যে একসময় আসলে জীবনের সৌন্দর্যগুলোরও খোজ পেতে আরম্ভ করি। প্রত্যেকটা মানুষের পিছনে যে আসলে অনেকগুলো মানুষের সহযোগিতা জড়িয়ে আছে; নীরবে হোক অথবা সরবে – কেউ না কেউ যে তার উপর ভরসা করে আছে, তাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে আছে – এই সহজ সত্যগুলো আমরা ভুলে যাই মাঝে মাঝেই। এই মুভিটা সেই সত্যগুলোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখতে শিখায়; সব কিছুকে মেনে নিয়ে কীভাবে বেঁচে থাকতে হয়; সবকিছুকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে কি করে জীবনটাকে উপভোগ করতে হয় তার একটা ছোট্ট উদাহরণ দেয় আমাদের।

জীবনের আসল উত্তরটা কি? তার সফলতা আর বিফলতাটাই বা কোথায়? একটা ভাল রেজাল্টে? ভাল চাকরিতে? একগাদা টাকা পয়সায়? নাকি পরিবারের সবাইকে নিয়ে; প্রিয় মানুষগুলোকে নিয়ে একটু ভাল থাকায়? তাদেরকে সময় দেওয়ায়? চারপাশের দুনিয়াটাকে দেখায়, মানুষজনের সাথে মেশায়, জীবনটাকে নিজের মতন করে উপলব্ধি করায়, উপভোগ করায়? এই প্রশ্নগুলোর উত্তরগুলো আসলে কখনোই মেলে না। কিংবা আমরা হয়ত মেলাতে চাই-ও না। চারপাশের মানুষগুলোকে দেখে; তাদের চিন্তাভাবনা আর তাদের উত্তরগুলোকেই নিজের উপর চাপিয়ে নেই, অবলীলায়। অথচ নিজেকে একবারও প্রশ্ন করে দেখি না – আমি কি আসলেই এটাই চেয়েছিলাম? আমরা কখনোই বুঝতে চেষ্টা করি না যে অপরের সফলতা মানে কখনোই নিজের ব্যার্থতাও নয়; আর ৮-১০ জনের মতন হতে না পারাটা কোন বড় সমস্যাও নয়।

প্রত্যেকটা মানুষের ভিতরেই আরেকটা মানুষ বাস করে। যে মানুষটাকে আমরা কাউকে দেখাতে চাই না; তাকে লুকিয়ে রাখতে চাই নিরন্তর। কিন্তু খুব দুর্বল মুহূর্তগুলোতে সে কি করে কি করে যেন ঠিকই বেড়িয়ে আসে। এবং সে কারণে নিজের উপর খুব অভিমান হয় পরে। কিন্তু আমরা ভুলে যাই মানুষের রঙ আসলে একটা না; অনেকগুলো। সবার আলাদা আলাদা রঙ মিলেই পুরো পৃথিবীটা রঙিন। সবার জন্য একই ছাঁচ, একই ব্লুপ্রিন্ট খাটে না; খাটা উচিতও না। দিনশেষে শুধুমাত্র একগাদা রঙকে ধারণ করে, নিজের সবগুলো অপূর্ণতাকে মেনে নিয়ে নিজের মত করে বেঁচে থাকার মাধ্যমেই আমরা বুঝতে পারি –
Yes, I am alive.

…………

মুভিঃ কালারফুল।
সময়ঃ ২ ঘন্টা ৭ মিনিট।
ম্যাল স্কোরঃ ৮.১৩।

Colorful 3

 

Movie Time With Yami – 55

colorful-2010

 

Name: Colourful
Duration: 2 hr. 7 min.
MAL Score: 8.13
Ranked: 371
Genres: Drama, Slice of Life, Supernatural

“আমি” মারা যাই, এবং “আমাকে” পুনর্জন্মের চক্র থেকে বের করে দেয়া হয়, “আমার” দ্বারা সংঘটিত অপরাধের কারণে। একজন স্বর্গের দূত আমাকে এসে বলে যে “আমি” একটি সুযোগ পেয়েছি আমার অপরাধ মনে করার জন্য, তাহলে হয়ত আমি প্রায়শ্চিত্তের সুযোগ পাব।

পার্গেটরীতে দিকভ্রষ্ট এক আত্মা ঠিক এই ঘটনাগুলোর সম্মুখীন হয়। “পুরাপুরা” নামের সেই স্বর্গের দূতটি কিছুটা জোর করেই তাকে নিয়ে যায়, তাকে এই ইন্টার্নশীপে প্রবেশ করিয়ে দেয়ার জন্য। এবং দিকভ্রষ্ট আত্মাটির শেষমেষ ঠাই হয় কোবোয়াশি মাকোতো নামের ১৪ বছর বয়সী এক মিডল স্কুল বালকের শরীরে।

কোবোয়াশি মাকোতোর পরিবারে রয়েছে তার বাবা-মা এবং এক বড় ভাই। ভাই মেধাবী ছাত্র, বাবা পরিশ্রমী চাকুরীজীবী, মা অত্যন্ত স্নেহশীল। মাকোতো ছবি আঁকতে পারে দারুণ। স্কুলের আর্ট ক্লাসে তার অবস্থান বেশ ভাল। তাহলে এমন কি ঘটেছিল মাকোতোর জীবনে, যা তাকে ঠেলে দিয়েছিল আত্মহত্যার মত বেপরোয়া কাজের দিকে? তার শরীরে অবস্থান করা আত্মাটি খুঁজতে থাকে, নিজের অপরাধ এবং মাকোতোর অতীত।

মুভিটির আর্টওয়ার্ক বেশ ভাল, প্রতিটি দৃশ্যই যত্ন নিয়ে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ক্যারেক্টার ডিজাইন মোটামুটি, আর ক্যারেক্টারগুলোর এক্সপ্রেশনে আমার চোখে একটু সমস্যা ধরা পড়েছে; ইমোশনগুলো কিছুটা কাঠখোট্টা লেগেছে কিছু জায়গায়, তবে তাতে মুভির স্টোরিতে তেমন নেতিবাচক প্রভাব পড়েনি। কাহিনীটি খুবই চমৎকার, এই কাহিনীটির কারণেই এর বাকি সব ছোটখাট খুঁত অনায়াসে মাফ করে দেয়া যায়। কাহিনীর গতি খুবই ভাল, অতি অল্প সময়ের মাঝেই কাহিনীর ভেতরে টেনে নেয়। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এই ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে মুভিটি, আর সেই সাথে মুভিটি যে বার্তাটি দর্শকের কাছে পৌছাতে চেয়েছে, সেটিও সুন্দরভাবে প্রকাশ করা হয়েছে।

তাই, সময় পেলে এখনই দেখে ফেলুন আমার অত্যন্ত পছন্দের এই মুভিটি।

Movie Download Link-
http://kissanime.com/Anime/Colorful-Movie

Movie time with Yami প্রচারিত হচ্ছে প্রতি বৃহস্পতিবার। সেগমেন্ট সম্পর্কে আপনার যেকোন মতামত কমেন্টে জানাতে ভুলবেন না। আশা করি মুভির সাথে আপনার উইকএন্ড ভালো কাটবে !!

আরো টুডি এনিমেশন মুভি – লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

টুডি এনিমেশন মুভি নিয়ে আগের পোস্টটা দিয়েছিলাম গত বছর। এবার আরো কিছু টুডি ফিল্ম নিয়ে হাজির হলাম। আগেরবারের মতই কোন নির্দিষ্ট ক্রমে লিখলাম না। যখন যেটার নাম মনে আসে তখনই সেটা লিখলাম। এগুলোর বেশিরভাগই গত এক বছরের মধ্যে দেখা। আর শিরোনাম টুডি এনিমেশন মুভি হলেও এই পোস্টের সবগুলো শুধুই জাপানীজ এনিমে। স্বাগতম আমার পোস্টে।

#১। Colorful (2010):

Colorful
মৃত্যুর পর একটি আত্মাকে সুযোগ দেয়া হয় আবার পৃথিবীতে ফেরত যাওয়ার। এই আত্মাকে মাকোতো কোবাইয়াশি নামে এক কিশোরের জায়গায় রিপ্লেস করা হয়। অন্যদিক এ মাকোতো নামের ছেলেটি আত্মহত্যা করে। তাকে বলা একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তাকে তার আগের জীবনের পাপকে খুঁজে বের করতে হবে। আর তাকে আরো বলে হয় ঠিক কোন ঘটনা মাকোতোকে আত্মহত্যার পথে নিয়ে গেছে তা খুঁজে বের করতে।
ডিরেক্টর Keiichi Hara এর দ্বিতীয় বিগ প্রোডাকশন। এর আগের মুভি ছিল Summer Days with Coo (২০০৭)। তারো আগে এই ডিরেক্ট কিছু টিভি সিরিজ, সেই রিলেটেড মুভি ও কিছু অল্প বাজেটের মুভি বানিয়েছেন। Colorful ছবিটি ২০১০ সালে Mainichi Film Award এ এনিমেশন গ্র্যান্ড এওয়ার্ড জিতে নেয়।
এখন আমার মন্তব্য বলতে গেলে আমি বলব খুবই unsettling মুভি। কয়েকদিন কেমন যেন খচখচ করেছে মুভিটা দেখার পর। দেখার মত।

#২। Summer Days with Coo (2007):

Summer Days with Coo

এটা বাচ্চাদের জন্য বানানো।
Kappa জাতের এক Yokai (ভূত) ২০০ বছর পর নিজেকে মডার্ন টোকিওতে আবিষ্কার করে। Kouichi Uehara নামের এক পিচ্চি তাকে খুঁজে বের করে। এরপর কাপ্পা চায় এই পরিবেশে খাপ খাইয়ে নিতে।
খারাপ না।

#৩। Redline (2010):

Redline
“Sweet JP” প্রায় জিতে যাচ্ছিল ইয়েলো লাইন আর তার হাতে এসে যাচ্ছিলি রেড লাইনের টিকেট। কিন্তু শেষ মূহুর্তে প্রতিশ্রুত ম্যাচ ফিক্সিং এর কারনে বরন করে নিল সবার শেষ পজিশন। কিন্তু পপুলার ডিমান্ড আর কয়েক রেসারের রেড লাইন বর্জন করায় সে শেষ পর্যন্ত চান্স পেল রেড লাইনে। তার সারা জীবনের স্বপ্ন রেড লাইন জেতা। এখন সে কি আবার ম্যাচ ফিক্স করবে নাকি রেড লাইন জেতার চেষ্টা করবে?
মনে হচ্ছে খুবই সুন্দর একটা স্পোর্টস কাহিনী। কিন্তু ওয়েট এ মিনিট! এখানের সব রেসাররাই বিভিন্ন এলিয়েন। রেসটা একটা ইলিগ্যাল রিয়েলিটি শো। তার উপর পুরো এডাল্ট ওরিয়েন্টেড। এটা বানানো হয়েছে পুরোই Speed Racer সিরিজের ছায়ায়।
তবে একটা কথা আমি বলব, ছবির বিভিন্ন জায়গায় যতই গজগজ করি না কেন, শেষ আধা ঘন্টা স্ক্রিন থেকে চোখ সরাতে পারিনি। এটার এনিমেশন প্রশংশাযোগ্য। UK Anime Network এর রিভিউতে বলা হয়েছে “A sense of the cool and outrageous is seeped into every pore of the design” অন্যদিকে আরে রিভিউ এ বলা হয়েছে, “Speed Racer on crack”। তবে ছবি দেখা শেষ হয়ে যাওয়ার পর খুব বেশিদিন মনে থাকবে না। এটার আমেরিকান ডিস্ট্রিবিউটর ফানিমেশন এটাকে ২০১১ এর এনিমেশন বিভাগে অস্কারের জন্য সাবমিট করেছিল। আমার মতে এটার চেয়ে Colorful কে সাবমিট করলে ভালো হত। কিন্তু শুনেছি অস্কারের নিয়ম অনুযায়ী এনিমেশন বিভাগে সাবমিশনের জন্য অন্তত এক সপ্তাহের জন্য আমেরিকার কোন হলে সিনেমাটা চলতে হয়। অন্যদিক এ Colorful এখনো ইংলিশ ডাব এর জন্য লাইসেন্সই হয় নাই। :@
যাই হোক রেডলাইন খারাপ না। কিন্তু আপনার মাথা ঘুরাতে পারে এনিমেশন স্টাইলটার জন্য।

#৪। The Wings Of Honneamise (1987):

The Wings Of Honneamise
একটি দেশ স্পেস প্রোগ্রাম শুরু করেছে। এই দেশের সাথে পাশের দেশের আবার যুদ্ধ আসন্ন। প্রোগ্রামের মাঝখানে মাঝখানে অনেক সমস্যাও রয়েছে। এর মাঝেই রয়াল স্পেস ফোর্স তাদের স্পেস কার্যক্রম শেষ করতে চায়।
স্টোরিটা অনেক সিম্পল। এনিমেশন ও সিম্পল। সবকিছুই সিম্পল।

#৫। Jin-Roh the Wolf Brigade (1999):

Jin-Roh the Wolf Brigade
টোকিও শহরে চলছে দাঙ্গা। এর মাঝেই টেরোরিস্ট গ্রুপ সেক্ট এই দাঙ্গায় বোমা হামলার পরিকল্পনা করে। আর এ কাজে তারা ব্যাবহার করে ছোট ছোট মেয়েদের। যাদের বলা হয় ‘লিটল রেড রাইডিং হুড’। এমনই এক মেয়ে, করপোরাল কাযুকি এর সামনে আত্মহত্যা করে। এভাবেই শুরু হয়।
ছবিটার ডিড়েক্টর Hiroyuki Okiura এবং রাইটার Mamoru Oshii (Ghost in the Shell সিনেমা দুইটার ডিরেক্টর)। পলিটিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে ১৯৫০-১৯৭০ এর জাপানকে বেছে নেয়া হয়েছে।
আমার ভালো লেগেছে সিনেমাটা। একটু পর পর লিটল রেড রাইডিং হুড থেকে কোটেশন হয়। সবচেয়ে ভালো লেগেছে এটার এন্ডিং টা। দেখতে পারেন।

#৬। K-ON! The Movie (2011):

K-ON! The Movie
এটা একটা টিভি সিরিজের ফিল্ম। আল গার্লস ব্যান্ড “আফটার স্কুল টি টাইম” এর সদসদের ইংল্যান্ড এ বেড়াতে যাওয়ার গল্প। ছবিটা দেখে নিশ্চয় বুঝতে পারছেন এটা সেই বিখ্যাত এবে রোড। সিরিজটা আমার খুবই পছন্দের ছিল। সেই সাথে এই মুভিটাও ভালো লেগেছে। সবসময়ই ওয়ার্ম, ফাজি। কমেডি ঘরনার। এই মুভি এর আগে ৩৯ পর্বের এক সিরিজ আছে। যেখানে দেখানো হয় ভগ্নপ্রায় এক লাইট মিউজিক ক্লাব এ চারজন এসে যোগ দেয়। এরপর তাদের দুষতামি, ফাইজলামি এর মাধ্যমে একটা মেডিকোর ব্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে। এইত।

#৭। Dante’s Inferno: An Animated Epic (2010):

Dante's Inferno An Animated Epic
Electronics Arts এর অর্থায়নে বিভিন্ন জাপানীজ স্টুডিও এ বিভিন্ন সেগ্মেন্ট বানানো। স্টোরিটা খুবই সিম্পল, দান্তে ক্রুসেড থেকে ফিরে এসে দেখে তার স্ত্রীকে হেল এর গার্ডরা নিয়ে যাচ্ছে। এরপর সে এক অভিযানে নেমে পড়ে তার স্ত্রী বিয়েট্রিসকে ফেরত আনার জন্য। এটা বানানো হয়েছে Dante’s Inferno গেম এর টাই ইন হিসেবে। গেমটা খেলা হয় নি কারন গেমটা পিসিতে রিলিজ পায় নি। গেমটা খেলার খুব ইচ্ছা ছিল। তাই গেমের স্বাদ এই এনিমেশন ফিল্ম এই নিতে হল। সিগ্নিফিকেন্ট দিক বলতে বিভিন্ন সেগ্মেন্ট এ বিভিন্ন এনিমেশন স্টাইল ইউজ করা হয়েছে যা প্রতিটা স্টুডিও এর সিগ্নেচার স্টাইল ফলো করেছে।

#৮। Batman: Gotham Knight (2008):

Batman Gotham Knight
এটা মনে হয় অনেকেরই দেখা আছে। ডিসি কমিক্স এর অর্থায়নে বানানো। স্টাইল এর দিক দিয়ে Dante’s Inferno এর মত। তবে একটা কথা বলতে হবে। প্রথম সেগমেন্ট Have I Got a Story for You টাকে বলতে হয়, “out of this world experience.” সম্ভবত, ব্যাটম্যান নিয়ে এখন পর্যন্ত যতগুলো জিনিসপত্র দেখেছি তার মধ্যে এটা আমার সবচেয়ে পছন্দের। ডার্ক নাইট এর ফ্যানদের মধ্যে যারা এটা দেখেননি তাদের এটা দেখার অনুরোধ থাকল।

#৯। The Disappearance of Haruhi Suzumiya (2010):

The Disappearance of Haruhi Suzumiya
এটাও আরেকটা টিভি ফিল্ম। জাপান সম্পর্কে একটা পাই চার্ট নেটে খুব পপুলার তা হলেঃ What is going on in Japan? 15% – Typical Things and 75% – Some Weird Shit. Haruhi Suzumiya সিরিজটি সম্ভবত শেষের ৭৫% এর মধ্যে পড়ে। এই মুভিটি দেখার আগে যে কারো The Melancholi of Harufi Suzumiya সিরিজের প্রথম ৬/৭ পর্ব দেখা বাধ্যতামূলক। হারুহি সুজুমিয়া নামের এক মেয়ে, ধারনা করা হচ্ছে এই মেয়ে গড। অন্যদিক এ হারুহি এর তৈরি করা ক্লাবে হারুহি জড়ো করে কয়েকজনকে। একে একে দেখা যায় এই গ্রুপের একেকজন একেক ক্ষমতা সম্পন্ন। একজন টাইম ট্রাভেলার, একজন এস্পার (মেন্টালিস্ট), একজন থট ইন্টেগ্রিটি/ডাটা এন্টিটি এর একটি নোড। এতসবের মাঝে এক সাধারন মানুষ হিসেবে সিরিজের প্রধান চরিত্র কিয়ন জড়িয়ে পড়ে। হারুহি জানে না যে তাকে গড ধারনা করে। আর অন্য তিন গ্রুপের সদস্যরা হারুহিকে অব্জার্ভ করার জন্য এ ক্লাবে যোগ দেয়। এই ক্লাব নিয়েই কাহিনী। ডিজএপেয়ারেন্স অফ হারুহি সুজুমিয়া এ দেখানো হয় সম্পুর্ণ এনভায়রন্মেন্ট চেঞ্জ হয়ে গেছে। কিন্তু কিয়ন ছাড়া আর কারো এর স্মৃতি মনে নেই। অনেক লম্বা সিনেমাটা, প্রায় ২ ঘন্টা ৪০ মিনিট। কিন্তু মজা লেগেছিল দেখতে গিয়ে এবং কোন্দিক দিইয়ে পুরো সময় চলে গেল টেরই পাইনি।

#১০। Hotarubi no Mori e (2011):

Hotarubi no Mori e
সামার ভ্যাকেশনে এক ফরেস্ট স্পিরিট এর সাথে দেখা হয় পিচ্চি টাকেগাওয়ার। এরপর প্রতি সামার ভ্যাকেশনই স্পিরিটের সাথে দেখা করে এই পিচ্চি। ৫০ মিনিট এর ছোট্ট একটা মুভি।

#১১। The Sky Crawlers (2008):

The Sky Crawlers
সেম নামের উপন্যাস থেকে এডাপ্টেশন করেছেন লিজেন্ডারি ডিরেক্টর Mamoru Oshii। তবে এই সিনেমায় মনে হয় অনেক সিম্বলিক ব্যাপার স্যাপার ছিল। ওশি এর অন্যান্য ফিল্মের মতই বেশ কিছু অংশ মাথার উপর দিয়ে গিয়েছে। স্পেশালি শেষ দশ মিনিট যে কি দেখাল আল্লাহ জানে। যাই হোক, এটা ২০০৮ এ Mainichi Film Award এ এনিমেশন গ্র্যান্ড প্রাইজ জিতে নেয়। এবং অনেকেরই প্রিয় এনিমে এর তালিকায় আছে।
একদল এরিয়াল ফাইটারদের নিয়ে গল্প। এবং সায়েন্স ফিকশন। আর সায়েন্স ফিকশন পার্ট্টাই শেষ ১০-১৫ মিনিট এর আগে দেখা যায় না। এর আগ পরযন্ত ড্রামা মুভি হিসেবে চলতে থাকে।

আজ এ পর্যন্তই। সামনে আবার আসব আরো কিছু এনিমে ফিল্ম নিয়ে।

—-

ডাউনলোড লিঙ্কসঃ
দান্টে’স ইনফার্নো ছাড়া সবগুলো বাকাবিটি এর লিঙ্ক। সবগুলোই টরেন্ট। কম সাইজেরগুলো দিলাম। তবে পেজের কোনায় অন্যান্য ভার্সন দেখা যাবে।
Colorful:720p
Summer Days with Coo: ৪৮০পি
Redline: 480p
The Wings Of Honneamise: 480p
Jin-Roh the Wolf Brigade: 480p
Dante’s Inferno: 720p
K-ON! The Movie: ৭২০পি
Batman: Gotham Knight: 720p
Hotarubi no Mori e: 720p
The Sky Crawlers: ৪৮০পি