আমার একটা সমস্যা আছে। আমার সহজে ঘুম ভাঙ্গে না। যখন আমি অনেক ছোট, কেবল নার্সারিতে অথবা ক্লাস ওয়ানে পড়ি, তখন থেকেই সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হত, এবং স্কুলে যাওয়ার সময় হলে আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর জন্য যথারীতি পীড়াপীড়ি করতে হত। এখনো করতে হয়। যাইহোক, তা একদিন সকালে আমাকে ঘুম থেকে উঠানোর খুব সহজ এক পদ্ধতির আবিষ্কার করা হল। সকাল বেলায় বিটিভি তে স্যামুরাই এক্স প্রচার করা হত। টিভি ছেড়ে দেয়া হল আর উদো জিনে নামের সেই ভিলেন কে দেখে আমি যে ভয় পেয়েছিলাম তাতে আমার ঘুম শেষ। আর কামিয়া কাওরু কে কেনশিন কিভাবে উদ্ধার করবে সেটা দেখার জন্য আর তর সইছিল না। এর পর অনেক দিন বিটিবি তে প্রতি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩ টার সময় স্যামুরাই এক্স দেখার জন্য বসে থাকতাম।
আমাদের বাসায় তখনও ক্যাবল নেটওয়ার্ক নেয়া হয়নি, ক্লাস টু/ থ্রি তে পড়ি, এরকম সময়ে একদিন পাশের বাসায় গিয়ে দেখি সেখানের পিচ্চি ছেলেটা খুব উত্তেজিত হয়ে কি জানি দেখছে আর কিছুক্ষণ পর পর লাফাচ্ছে, চিৎকার করছে (ঠিক ইউরোপিয়ান ফুটবল ফ্যান্ দের মত)। সেখানে কত্তসব কত আকারের আজগুবি প্রাণী! (না ন্যাশনাল জিওগ্রাফি চ্যানেল না)।দেখি কার্টুনের নাম কার্টুন নেটওয়ার্ক! কি আজব! ক্লাস ফোর বাঁ ফাইভে পড়ার সময় ক্যাবল নেটওয়ার্ক আসার পরে জানলাম এটার নাম, পকিমন!… আই অয়ানা বি দা ভেরি বেস্ট! লাইক নো ওয়ান এভার অয়াজ!… ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পাইনি বলে ক্যাবল নেটওয়ার্ক আবার সরিয়ে নেয়া হল। আমার চাইনিজ কার্টুন দেখার ক্ষান্ত হল।
ক্লাস সেভেনে আবার ক্যাবল নেটওয়ার্ক নেয়া হল। একদিন বিকেলে কার্টুন নেটওয়ার্কে দেখলাম ড্রাগন বল জি। যখন আসে পাশে কেউ না থাকে, তখন গোকুর সাথে আমিও বিছানার উপরে লাফালাফি করতাম। কা মে হা মে হাআআআআআআ!
ক্লাস এইটে যখন পড়ি, কার্টুন নেটয়ার্ক কেন যেন হটাত অ্যানিমে দেখানো বন্ধ করে দিল।তার বদলে দেয়া হত ইন্ডিয়ান (ফালতু) কার্টুন। অ্যানিম্যাক্স চ্যানেলে কোনো সাবটাইটেল ছাড়া অ্যানিমে দেখে কিছুই বুঝতাম না। পরিসমাপ্তি ঘটল অ্যানিমে দেখার আরেকটি অধ্যায়ের।
আমার স্কুলের বন্ধুরা খালি হিন্দি সিনেমা দেখতো। আমি বলতাম, ভাই তোরা ইংলিশ ভার্সানে পরস, পারলে ইংলিশ ফিল্ম দেখ” কিন্তু কে শোনে কার কথা। তা এরমাঝেও কয়জন ছিল যারা কিনা, ব্লিচ, পকিমন, ফেইরি টেইল নামের কার্টুন নিয়ে কথা বলত। আমি কান পেতে সেসব গল্প শুনে যেতাম। তখন অনেক পকিমন কার্ড জমাতাম।
এন্টার আমার এস এস সি পরীক্ষার পরে ছুটির সময়। মোবাইলে ফ্রি মেগাবাইট নিয়ে ইউটিউবে আবার দেখলাম স্যামুরাই এক্স। আমার বন্ধু তানভির আমাকে ফোন করে বলল, “দোস্ত অ্যানিমে দেখস? জাপানিজ কার্টুন?” আমি বললাম, “হোয়াট এ কোইন্সিডেন্স! আমি একটু আগাই স্যামুরাই এক্স দেখতেছিলাম।” তানভির বলল, “ আমি নারুতো দেখতেছি। জাস্ট অসাম!”… মোবাইলের সেই ছোট স্ক্রিনে নারুতোর প্রথম দুইটি পর্ব দেখার পরে আর দেখা হল না।আমার কাছ থেকে মোবাইল নিয়ে যাওয়া হল।
(স্কিপ দিস প্যারা ইফ ইউ অয়ান্ট টু )তারপর… আমি বিদেশে চলে আসলাম। লন্ডনে আমি একা হয়ে গেলাম। ছোট্ট একটা ঘরে বন্দী হয়ে ভাবতে লাগলাম, ইশ , জাফর ইকবাল আর হুমায়ুন আহমেদ এর বইগুলো নিয়ে আসতাম যদি! পুরো ৬ মাস আমি ঘরে থাকতাম, বাইরে বের হতাম না।বাইরে গেলেই ইংরেজিতে কথা বলতে হয়, আর নার্ভাস ফিল করি।আমার ঘরের একটা বড় জানালা ছিল। সেখানে সারাক্ষন দাঁড়িয়ে থাকতাম। বাংলাদেশে বন্ধুদের সাথে কথা বলতাম মোবাইল ফোনে। আব্বু বলেছেন, বাংলাদেশের বন্ধুদের সাথে শেষ কথা বলে নিতে। কারণ আমার এখানে নতুন জীবন শুরু হয়েছে। তাদের কথা আসতে আসতে ভুলে যেতে হবে।শীতের একদিনে ঘরের বড় জানালাটা বন্ধকরে ইন্টারনেট আর ফেসবুকের জানালা খুলে দিলাম।
নারুতো আমার প্রথম দেখা “অ্যানিমে”। নারুতোর মাঝে খুঁজে পেলাম আমি একাকিত্ত, অদক্ষতা, দুষ্টুমি, অবহেলা, বন্ধুত্ব… অনেক কিছু। একটা ছেলে, বাবা মা নেই, কোনও বন্ধু নেই, কিচ্ছু পারেনা, কিন্তু কিভাবে সে তার অটল আত্মবিশ্বাসে সকল প্রতিবন্ধকতা গুলোকে পেরিয়ে সামনে এগিয়ে যাচ্ছে, তা দেখে আমি অভিভূত হলাম। একটা অ্যানিমে যে একজন মানুষ কে কিভাবে প্রভাবিত করতে পারে তা নারুতো দেখে শিখেছি।
তা এখানে প্রথম যখন স্কুলে গিয়েছি, সেই একদিন এর কথা। অঙ্ক ক্লাসে গিয়ে দেখি আমার পাশের সিটে একটা মেয়ে ঋষিদেরদের মতন আসন করে বসে আছে। আমি জিজ্ঞেস না করে পারলাম না, বললাম, “ আয়শা, কি করছ?” মেয়েটা বলল, “ আমি সেইজ মোডে যাওয়ার চেষ্টা করছি”…
বৃহস্পতিবার, কম্পিউটার ক্লাসে দেখি একটা ছেলে নারুতো দেখছে। নতুন পর্ব বের হয়েছে এই মাত্র তাই। ইংলিশ ক্লাসের একটা অ্যাসাইন্মেন্টে আমি প্লানেটারি ডিভাস্টেশন কথাটি ব্যাবহার করেছিলাম, পাশে বসে থাকা ছেলেটি সেটা পরে বলে উঠলো, “ ওওওওওও! আমি জানি তুমি এইটা কোথা থেকে পাইসো!”…
এই ছিল আমার অ্যানিমের কাছে আসার গল্প। অ্যানিমের জগতে আমি এখনো নতুন।
ধরুন আপনি এমন এক নোটবই পেলেন, যেখানে কারো নাম লিখলে সেই ব্যাক্তি ৪০ সেকেন্ডের মধ্যে মারা যাবে। তাহলে আপনি কি করবেন? এরকমই এক কঠিন প্রশ্ন নিয়ে শুরু হয় ডেথ নোট। এই এনিমেতে রয়েছে মানুষের বিবেকবোধ এবং ন্যায়বোধ এর এক চরম পরীক্ষা। যদি আপনি জানতে চান এরকম পরিস্থিতিতে পরলে একজন কি কি করতে পারে এবং এই এনিমের শেষ পরিণতি কি তাহলে অবশ্যই দেখবেন ডেথ নোট।
কাহিনী/প্লটঃ ১০/১০
ডেথ নোট এনিমেটির কাহিনী বেশিরভাগ এনিমে থেকে একটু ভিন্ন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘য়াগামি লাইট’, একজন ১৭ বছরের তরুণ একদিন স্কুল থেকে বাসায় ফেরার সময় একটি নোটবই পায়, যার শিরোনাম ছিল ‘ডেথ নোট’। সে ডেথ নোটের কার্যকারিতা যাচাই করে দেখল যে আসলেই এর মাধ্যমে যে কাউকে মারা যায়। এর জন্য শুধু প্রয়োজন সেই ব্যাক্তির সঠিক নাম। য়াগামি তখন এই পৃথিবীকে এক শান্তিময় স্থান বানানোর জন্য, অপরাধমুক্ত করার জন্য, অপরাধিদের নাম ডেথ নোটে লিখতে থাকে। তবে তার সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ায় এক রহস্যময় ডিটেকটিভ, এল(L)। ডেথ নোটএনিমের স্টোরি ডেভেলপমেন্ট সত্যিই তাক লাগিয়ে দেয়ার মতো যদিও ২৬ এপিসোডের পর এর আকর্ষণ কিছুটা কমে যায়।
ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্টঃ ৯.৫/১০
ডেথ নোট এনিমেটির মূল চরিত্র হল য়াগামি এবং এল। এরা দুজনই খুবই চালাক এবং চতুর। একদিকে য়াগামির ঠাণ্ডা মাথায় অপরাধিদের মেরে চলার প্রবণতা আবার আরেকদিকে এল – এর অদ্ভুত কিন্তু অসাধারণ কীর্তিকলাপ য়াগামিকে ধরার জন্য- সত্যিই আপনাকে জানিয়ে দিবে দুজনের চরিত্রের পুঙ্খানুপুঙ্খ বৈশিষ্ট্য। এছাড়াও রয়েছে কিছু সাইড ক্যারেক্টার (মেইন ক্যারেক্টারও বলা চলে) যেমনঃ মিসা আমানে এবং রিউক। এই পয়েন্টে বলা চলে ডেথ নোট এর ক্যারেক্টারদের তারা ভালোভাবে ফুটিয়ে তুলেছে যেটা অবশ্যই এনিমেটিকে করে তুলেছে আরও চমৎকার।
অ্যানিমেশনঃ ৯/১০
‘ডেথ নোট’ এর অ্যানিমেশন সম্পর্কে বলতে হলে প্রথমেই বলতে হয় এখানে নোটবইয়ে কলম দিয়ে লিখাকে তারা এতটা মজার করে তুলেছে যে, আমারও ইচ্ছে হয় খাতা কলম নিয়ে বসে পরি। অ্যানিমেশনে কিছু অন্ধকারাচ্ছন্ন দৃশ্য ছিল যাএনিমের থিমের সাথে মিলে যায়।
সাউনডট্র্যাক/মিউজিকঃ ৯.৫/১০
‘ডেথ নোট’ এর সাউনডট্র্যাক গুলো আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। এক্ষেত্রে Yoshihisa Hirano এবং Hideki Taniuchi কম্পোসার হিসেবে গুরুদায়িত্ব পালন করেছেন। বিশেষ করে ডেথ নোটের প্রথম ওপেনিং যেটা গেয়েছেNightmare ব্যান্ড, আমার খুবই পছন্দের। এনিমেটির কিছু শ্বাসরুদ্ধকর মুহূর্তের মিউজিকগুলো ওই দৃশ্যগুলোকে করে তুলে আরও ইন্টারেস্টিং।
এঞ্জয়মেনটঃ ১০/১০
‘ডেথ নোট’ এর একটি শক্তিশালী দিক হল এনিমেটির এপিসোডের গতি(pace)। এনিমেটি দেখা শুরু করলে শেষ না করে উঠতে ইচ্ছে করে না। কারণ, প্রত্যেকটি এপিসোডের শেষে এমন একটা সাস্পেন্স থাকে যে পরবর্তী এপিসোড না দেখে থাকা যায় না। তবে ২৬তম এপিসোডের পরে এই আকাঙ্ক্ষা কিছুটা কমে যায়। এনিমেটি দেখে বিড়াল এবং ইঁদুরের ছুটোছুটির কথা মনে পড়ে। এক কথায় ‘ডেথ নোট’ আপনাকে দিবে এক অবর্ণনীয় রোমাঞ্চ।
ওভারঅলঃ ৯.৫/১০
যারা যারা ডেথ নোট দেখেছেন বা দেখবেন তাদের মনে অবশ্যই একটি প্রশ্ন আসতে পারে যে য়াগামি ডেথ নোট পেয়ে যা করল তা আসলে সঠিক কিনা। এই প্রশ্নের উত্তর আপনারা নিজেরাই দিবেন। তবে আমার কাছে য়াগামির চেয়ে এল এর কর্মকাণ্ড বেশি সঠিক বলে মনে হয়েছে। ওভারঅল ডেথ নোট এখন পর্যন্ত ওয়ান অফ দা বেস্ট এনিমে, আমার কাছে।
‘I will make the world a better place’- য়াগামি লাইট। আসলেই কি সে পেরেছিল তার স্বপ্ন পূরণ করতে?জানতে হলে দেখুন ‘ডেথ নোট’।
“ডেথ নোট” একটি নাম যেটা পৃথিবীর সকল আনিমেখোর দের কাছে খুব পরিচিত নাম। অনেকের কাছেই হয়ত সর্বকালের শ্রেষ্ঠ আনিমে সিরিজ। এবং হওয়াটাই স্বাভাবিক। এইরকম সাস্পেন্স, এইরকম মাইন্ড গেম আর কোন আনিমে তে আছে নাকি আমার জানা নেই। আমার আনিমে লাইফও শুরু হয় এই আনিমে সিরিজ দিয়েই। এরপরই হয়ে উঠি আনিমে খোর।
হাইস্কুল এর মেধাবী ছাত্র “লাইট ইয়াগামি”। সবসময় ক্লাসে টপার। চুপচাপ স্বভাবের শান্তশিষ্ট ছেলে। একদিন ক্লাসে থাকাকালীন সময় জানালা দিয়ে বাইরে তাকাতেই দেখতে পেলো আকাশ থেকে একটা ডায়েরী এসে স্কুলের বাগানে পড়ল। ক্লাস শেষে বাসায় যাওয়ার পথে তার মনে পড়ল ডায়েরীটার কথা। অনেক দ্বিধা কাটিয়ে ডায়েরীটা হাতে নেয় লাইট ইয়াগামি এবং ঠিক তখনি পাল্টে যায় লাইটের জীবন। বাসায় এসে ডায়েরী খুলে দেখতেই সে বুঝতে পারলো এটা কোন নরমাল ডায়েরী নয়। এটি একটি ডেথ নোট। এতে যার নাম লেখা হয় সে কিছুক্ষনের মধ্যে মারা যায়। প্রথমে বিশ্বাস না হলেও নির্দেশিকা পড়ে কাজ করার পর আর অবিশ্বাস করার কোন অবকাশ থাকে না। সে দেখতে পায় বীভৎস চেহারার এক দানবকে যার নাম “রিয়্যুক”। সে লাইটকে জানায় এই ডেথ নোটের মালিক এখন লাইট।
এরপর শুরু হয় লাইট এর পৃথিবী থেকে ক্রিমিনালদের মুছে ফেলার মিশন। এক এক করে হাজারো মানুষ কে মেরে ফেলে লাইট। এরই মধ্যে লাইট এর একটি ছদ্মনাম হয়ে যায় “কিরা”। হঠাৎ কাহিনীতে যোগ হয় এক্সাইটমেন্ট, যার নাম “এল”। যে পুলিশ এর হয়ে কাজ করে। এরপর যা শুরু হয় তা না দেখলে বলে বোঝানো যাবে না।
সিরিজ এর ক্যারেক্টার ডিজাইন অনেক ভাল। এল এবং লাইট কে অসাধারন বানিয়েছে। এই দুইজন কে নিয়ে পুরো বিশ্বে চলে নানারকম কসপ্লে, ব্যাকগ্রাউন্ড সাউন্ড, মিউজিক, স্টোরি, ক্যারেক্টার সব কিছুই একেকটা মাস্টারপিস এই সিরিজের। যদিও অনেকে এই সিরিজের এন্ডিং নিয়ে সমালোচনা করেছে, কিন্তু আমার মনে হয়েছে এটাই ঠিক।
সব শেষে বলব এই আনিমে যদি এখনো কেউ না দেখে থাকেন তাহলে আপনার আনিমে লাইফ এখনো শুরু হয় নি। জলদি দেখে ফেলুন অন্যতম সেরা এই সিরিজটি।
এনিম দেখার শুরু অনেক অনেক পরে হওয়াতে DBZ দেখা হয় নি; তাই গকুর প্রতি ভালবাসা টান কোনটাই সৃষ্টি হয় নাই; তবে উপরের সবার কমেন্ট পরে আর আগের অনেক আলাপ আলোচনায় মনে হয় এক জেনারেশন; অসামনেসের একটা জেনারেশন পিছায় গেসি। তবে এতে তেমন আফসোস নাই; সময় সুযোগ থাকলেও DBZ মে বি দেখা হবে না (নিজের স্বভাব জানি বলেই বলা; সুতরাং গকু পার্ট না হয় বাদ থাকুক )
নারুতো আমার দ্বিতীয় এনিম ( ডেথ নোট এর পর); এর প্রতি ভালবাসাটা অন্যরকম; ফিলার শিপ্পুডেন যতটাই মেজাজ খারাপ করে দিক না কেন। তবে নারুতো পছন্দ হইলেও নারুতোকে পছন্দ – ব্যাপারটা এমন না; কারণ নারুতোতে আমার সবচেয়ে প্রিয় ক্যারেক্টার শিকামারুর; মাঝে মাঝে আমি চিন্তায় পড়লে শিকামারুর ওই কায়দায় হাত ভাজ করে চিন্তা করি তবে নারুতোর প্রতি টানটা মে বি সবসময়ই থেকে যাবে; নারুতোই প্রথম হিরো যে আমাকে একসাথে হাসাইছে; কাদাইছে; নারুতো না থাকলে শুধু ডেথ নোটের অসাম্নেস দিয়ে মে বি আমার এনিম দেখা এতদুর আসতো না !!!!
ব্লিচ ভাল লাগে; খালি কোপানি মাইর ধইর ফাইটের এর জন্য; ফাইটের জন্য ব্লিচের চেয়ে বেস্ট বা এর কাছাকাছিও কোনটা আসতে পারবে না; যদিও পেথেটিক হিটম্যান রিবর্ন এর ফাইটগুলাও আমার প্রিয়। কিন্তু হিরো হিসেবে ইচিগো আমার লিস্টে অনেক অনেক অনেক পিছনে !!!
কিন্তু ৩ ক্যারেক্টারের মধ্যে প্রিয় সিলেক্ট করতে হলে লুফি কোন প্রতিযোগিতা ছাড়াই ভোট পাবে আমার; এই জায়গায় জোরো হইলেও পাইত। সেই আর্লং আর্কে “আত্তারিমায়দা” চিৎকার থেকে শুরু করে ম্যারিনফোর্ডে লুফির সাথে গড়াগড়ি করে কান্নাকাটি – একটা ক্যারেক্টার এত্তবার গুজবাম্প আর এত্ত এত্ত আবেগে আর কেউই ভাসাতে পারে নাই; ইন ফ্যাক্ট আমার এখন প্লে লিস্টে ১২ টা গানের ৩ টাই one piece এর AMV; এবং প্রত্যেকটা গান আসে আর আমি সব থামায় ভিডিও সহ দেখি
সো; at the end of the day; লুফি ইজ মাই ইজিএস্ট চয়েস
যারা সাধারনতএনিম দেখে তাদের মধ্যে এনিম নিয়ে প্যাশনটা মনে হয় খানিক বেশিই থাকে; এই প্যাশনের বহিঃপ্রকাশ কেউ ঘটায় দিনের পর দিন সারাদিন এনিম দেখে পার করে (যেমন আমি); কেউ বেশ ভাল টাকা পয়সা খরচ করে কস্প্লে করে; ছবি একে; রিভিউ লিখে; বিভিন্ন এনিম ফোরামে আড্ডা দিয়ে তর্ক করে – নানাভাবে। আজকে একটা বেশ মজার জিনিস দেখলাম। আমার পরিচিত একজনের একটা অভ্যাস হল এনিম দেখে মাঝে মাঝে তা নিয়ে কবিতা লেখা !!! সিরিয়াসলি; এনিম নিয়ে কবিতা – আইডিয়াটা কখনই আমার মাথায় আসে নি !!!! এবং জিনিসটা দেইখা বেশ ভাল লাগসে। যাই হোক; উনার অনুমতিক্রমে একটা কবিতা প্রকাশ করছি; যারা এনিম দেখেন না তারাও অনেকে ডেথ নোট দেখেছেন বা অন্তত এর সাথে পরিচিও; কবিতাটা সেই ডেথ নোট নিয়ে লেখা –
নতুন জগৎ
Anime: Deathnote
বিস্তৃত আধারে দাঁড়িয়ে আমি
করেছি শপথ বিদ্রোহের পথে,
তাই আমি দেব না তোমায়
আমাকে বাধা দিতে।
আর দরজার ওপাশের আলো
বলছে যে ভবিষ্যতের কথা,
আমি সত্য করব
সেই সুপ্ত স্বপ্নকে।
যে সমাপ্তি সবাই চায়
কোন একদিন আমি দেখাব তোমায়
এক নতুন ও উজ্জ্বল জগৎ
বাস্তবতার প্রাচীরে দাঁড়িয়ে
আমি করেছি প্রতিজ্ঞা অসম্ভবের পথে,
তাই আমি দেব না তোমায়
আমাকে বাধা দিতে।
আর যে দুঃস্বপ্নে তোমরা
আছ,মায়াজালকে জড়িয়ে
আলোকিত করব আমি অন্ধকার,
কারণ আমিই একমাত্র যে
হয়তো মানবতা
ও মনুষ্যত্ত্বকে বিসজর্ন দিয়ে,
কোন একদিন আমি দেখাব তোমায়
পুরাতন রিভিউঃ
কার্টুন হলেই যে পোলাপানের দেখার জিনিস হবে তা ভুল প্রমান করার জন্য এই “Death Note” -ই যথেষ্ট।
৩৭ পর্বের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ এটি। Genre হিসেবে “Death Note” কে বলা যায় Thriller, Mystery আর Supernatural অপূর্ব সংমিশ্রণ।
আমার ভাষায় “Death Note” হল হালকা Mystery ও Supernatural এর সংমিশ্রণে দুর্দান্ত এক Thriller!
কার্টুনটির প্রধান দুই চরিত্র হল লাইট ইয়াগামি এবং L (এল)। মূলত এদের দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বন্ধুত্ব, শত্রুতা, প্রতিযোগিতা নিয়েই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। এদের সবধরনের অনুভূতি এখানে খুব শক্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
লাইট ইয়াগামি হচ্ছে খুবই Smart, Talented, বুদ্ধিমান, সুদর্শন এক জাপানি ছাত্র যাকে বলা যায় one of the Japan’s Brightest!
লাইট অন্যদের চেয়ে এতই এগিয়ে থাকে যে বাকি সবাই কে তার মনে হয় Boring আর Rotten! সে চায় অনেক বড় কোন পরিবর্তন। এক সময় সে হাতে পায় এই রকম একটি Note-Book যাতে যার নামই লেখা হবে সে মারা যাবে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে লাইটের মতো Smart – বুদ্ধিমান ছেলে সেই Note Book দিয়ে কি করে?
অপরদিকে L হল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা। কঠিন কঠিন সব কেস এর সমাধান সে করেছে কিন্তু কেউই তার আসল পরিচয় জানেনা।
L-ও চরম বুদ্ধিমান এবং সবার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সবসময়। L কে মুখমুখি হতে হয় লাইটের যার কাছে রয়েছে একটি Death-Note। “জোকারের” ভাষায় একে বলা যায় “An unmovable object is on the way of an unstoppable force!”
যাই হোক রিভিউ লেখাটা মূল আকর্ষণের ধারেকাছেও যায় নি। অনেকে হয়তো রিভিউ পড়ে কার্টুনটি দেখার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবেন। ভুলেও এই রিভিউ পড়ে “Death Note” কে ভুল ভাবে নিবেন না! আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রথম দুই পর্ব দেখার পর পুরো ৩৭ পর্ব শেষ না করে উঠতে চাইবেন না। কাহিনীর Climax- Anti-climax অসাধারণ। উপস্থাপন, সংলাপ, সাস্পেন্স…
ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিঙ্কও দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে একেকটি পর্বের সাইজই হয়ে যাবে ২৪০ মেগা এর মতো। যেখানে টরেন্টে মাত্র ৬০-৬৫ মেগা/পর্ব! তাই টরেন্ট থেকে নামানোই উত্তম!
রিভিউ লেখার অভ্যাস তেমন নেই।
আর Death Note অনেক বিখ্যাত একটি সিরিজ। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যারা এখনও দেখেননি তাদের জন্যই লেখার চেষ্টা করছি।
কার্টুন হলেই যে পোলাপানের দেখার জিনিস হবে তা ভুল প্রমান করার জন্য এই “Death Note” -ই যথেষ্ট।
৩৭ পর্বের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ এটি। Genre হিসেবে “Death Note” কে বলা যায় Thriller, Mystery আর Supernatural অপূর্ব সংমিশ্রণ।
আমার ভাষায় “Death Note” হল হালকা Mystery ও Supernatural এর সংমিশ্রণে দুর্দান্ত এক Thriller!
কার্টুনটির প্রধান দুই চরিত্র হল লাইট ইয়াগামি এবং L (এল)। মূলত এদের দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বন্ধুত্ব, শত্রুতা, প্রতিযোগিতা নিয়েই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। এদের সবধরনের অনুভূতি এখানে খুব শক্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
লাইট ইয়াগামি হচ্ছে খুবই Smart, Talented, বুদ্ধিমান, সুদর্শন এক জাপানি ছাত্র যাকে বলা যায় one of the Japan’s Brightest!
লাইট অন্যদের চেয়ে এতই এগিয়ে থাকে যে বাকি সবাই কে তার মনে হয় Boring আর Rotten! সে চায় অনেক বড় কোন পরিবর্তন। এক সময় সে হাতে পায় এই রকম একটি Note-Book যাতে যার নামই লেখা হবে সে মারা যাবে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে লাইটের মতো Smart – বুদ্ধিমান ছেলে সেই Note Book দিয়ে কি করে?
অপরদিকে L হল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা। কঠিন কঠিন সব কেস এর সমাধান সে করেছে কিন্তু কেউই তার আসল পরিচয় জানেনা।
L-ও চরম বুদ্ধিমান এবং সবার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সবসময়। L কে মুখমুখি হতে হয় লাইটের যার কাছে রয়েছে একটি Death-Note। “জোকারের” ভাষায় একে বলা যায় “An unmovable object is on the way of an unstoppable force!”
যাই হোক রিভিউ লেখাটা মূল আকর্ষণের ধারেকাছেও যায় নি। অনেকে হয়তো রিভিউ পড়ে কার্টুনটি দেখার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবেন। ভুলেও এই রিভিউ পড়ে “Death Note” কে ভুল ভাবে নিবেন না! আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রথম দুই পর্ব দেখার পর পুরো ৩৭ পর্ব শেষ না করে উঠতে চাইবেন না। কাহিনীর Climax- Anti-climax অসাধারণ। উপস্থাপন, সংলাপ, সাস্পেন্স…
ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিঙ্কও দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে একেকটি পর্বের সাইজই হয়ে যাবে ২৪০ মেগা এর মতো। যেখানে টরেন্টে মাত্র ৬০-৬৫ মেগা/পর্ব! তাই টরেন্ট থেকে নামানোই উত্তম!
এরকম একটা পোস্ট দেয়ার কথা চিন্তা করছিলাম অনেকদিন থেকেই। আবার ওইদিন ব্লগার স্নিগ্ধ বললেন কিছু আনকমন এনিমে ফিল্ম এর নাম লিখে পোস্ট দিতে। তাই এই পোস্টের অবতারনা। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে আসি। এখান থেকে Studio Ghibli, Hayao Myazaki আর Satosi kon কে বাদ দেয়া হল। কারন এরা হলিউড এ খুব পপুলার।
#১। The Girl Who Leapt Through Time (২০০৬): ডিরেক্টর Mamoru Hosoda এর মাস্টারপিস। আমার দেখা সেরা এনিমে ফিল্ম এটা। এক মেয়ে, মাকতো হঠাৎ টাইম ট্র্যাভেল করার ক্ষমতা লাভ করে। আর এই ক্ষমতা দিয়ে সে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা পাল্টে দিতে থাকে। এক্সময় লক্ষ্য করে এভাবে টাইম লিপ করাতে এক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।
#২। Summer Wars (২০০৯): The Girl Who Leapt Through Time এর ডিরেক্টর এর আরেকটা মুভি। সম্ভবত তাই আশা ছিল একটু বেশি। এখানে দেখা যায় এক ম্যাথস্টার পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এনক্রিপশন কোড ভেঙ্গে ফেলে, এবং এর ফলে সারা ওয়ার্ল্ড এর যোগাযোগ ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ম্যাথস্টার এক বিশাল জয়েন্ট ফ্যামিলির সাথে পৃথিবী রক্ষায় নেমে পড়ে। শুনতে একটা থ্রিলার এর মত মনে হলেও আসলে এটা পুরোটাই একটা ফ্যামিলি ড্রামা/কমেডি।
#৩। The Place Promised in Our Early Days (২০০৫): এই সিনেমাতে জাপান দুই ভাগে বিভক্ত। একটা অংশ ইউনিয়ন (সোভিয়েত রাশিয়া) এর আন্ডারে আর অন্যটা আমেরিকার। ইউনিয়ন এর অংশে এক বিরাট টাওয়ার আছে যেটা ইউ এস অংশে থাকা তিন ফ্রেন্ড কে প্রচন্ড আকর্ষন করে। তারা প্রমিজ করে যে একদিন ওই টাওয়ারে যাবে।
কালের পরিক্রমায় তিনজন তিন দিকে চলে যায়। Hiroki যে এখন ছাত্রজীবন শেষ করতে পারেনি, Takuya যে ফিজিসিস্ট হিসেবে রিসার্চ করছে আর তাদের বান্ধবী Sayuri যে ন্যাক্রলেপ্সি তে আক্রান্ত হয়ে হস্পিটালাইজড। Hiroki এখনো সেই টাওয়ার এ যাওয়ার কথা চিন্তা করে, কিন্তু সে কি অন্য কারো সাহায্য পাবে? এরকম একটা গল্প নিয়েই Makoto Shinkai তার প্রথম ছবিতে এনিমে জগৎকে তাক লাগিয়ে দেন। তার ছবির প্রধান বৈশিষ্ট হল ঝকঝকে এনিমেশন। কাহিনী খুব স্লো আগায় কিন্তু তারপরেও কেন জেন ভাল লেগেছিল।
#৪। 5 Centimeters Per Second (২০০৭):
Makoto Shinkai এর দ্বিতীয় ছবি। ছবির ট্যাগলাইন ছিল, “a chain of short stories about their distance”। আগের ছবির মতই এটাও ঝকঝকে এনিমাশনে পূর্ণ। কাহিনী এটারও স্লো, কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। ছবিটা তিনটা অংশে বিভক্ত। আমার এই সিনেমার যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল গল্প বলার ধরন। এই সিনেমার পরই Makoto Shinkai কে দ্বিতীয় মিয়াজাকি বলা হচ্ছে। আর এবছর তার তৃতীয় ছবি, Children Who Chase Lost Voices from Deep Below বের হবে। একটা জিনিশ খেয়াল করেছেন? ডিরেক্টর এর সবগুলা সিনামার নামই বিরাট বিরাট।
#৫-৬। Ghost in the Shell (১৯৯৫) ও Innocence (২০০৪): বিখ্যাত সাইবারপাঙ্ক ঘোস্ট ইন দা শেল এর Mamoru Oshii ডুয়ালোজি। ব্রেন সাইবারাইজড করার পরও মানুষের যে নিজস্বতা থাকে সেটার নাম দেয়া হয়েছে Ghost। প্রথম ছবিতে দেখা যায়, এক হ্যাকার পাপেট মাস্টার নামে বিভিন্ন মানুষের সাইবার ব্রেন হ্যাক করে তাতে বিভিন্ন আরটিফিসিয়াল মেমোরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্য? ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পড়ে সেকশন ৯ এর সাইবর্গ অফিসার মাকটো এর উপর। একসময় মাকটো নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়ে। তার মেমোরি কি আসল নাকি সে একটি এ.আই.? তার মনে হয় পাপেট মাস্টার এর কাছে এর উত্তর আছে। এ ছবি সম্পর্কে James Cameron বলেছেন, “the first truly adult animation film to reach a level of literary and visual excellence.” আর দ্বিতীয় ছবির কাহিনীটা এরকম। Locus Solus রোবটিক্স এর তৈরি করা সেক্সডল গুলো হঠাৎ করে তার মালিকদের হত্যা করে নিজেরা ফেলফ ডিস্ট্রাক্ট হতে শুরু করে। এরকম কয়েকটি ঘটনা পর পর ঘটায় তা নজরে আসে সেকশন ৯ এর। দায়িত্ব দেয়া হয় আরেক সাইবর্গ বাটো এর উপর। ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক তথ্য। এই মুভি দুইটার সাউন্ড ওয়ার্ক এক কথায় অসাধারন। মিউজিকের কিছু কিছু জায়গায় ত পুরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
#৭। Metropolis (২০০১): ডিটেক্টিভ বান আর তার সহকারী কেনেচি মেট্রোপলিসে এসে এক এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। স্টোরিটা ভালই, কিন্তু এনিমেশন স্টাইল আর বিশেষভাবে মিউজিকটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি।
#৮। Origin: Spirits of the Past (২০০৬):
অতীতে এক মহাপ্রলয় এ পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সে সময়ের অনেক মানুষ স্লিপিং পড এর সাহায্যে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে পদার্পণ করে। অন্যদিকে যে বিজ্ঞানীর ভুলে এ মহাপ্রলয় শুরু হয়েছিল সেই বিজ্ঞানী এক সিস্টেম দাড়া করিয়ে যান যেন পৃথিবীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায়। অতীতের মানুষরা চায় সে সিস্টেম চালু করে পৃথিবীকে রিস্টর করতে। কিন্তু এই যুগের যারা অধিবাসী তারা কি এমন পরিবর্তন চায়? আমার ভালোই লেগেছিল মুভিটা, কিন্তু কেন জানি যাদেরকে আমি দেখিয়েছি তাদের বেশিরভাগেরই ভালো লাগেনাই। ফ্যান্টাসি ফিল্ম বলে হজম করাও মনে কষ্টকর।
#৯। Samurai X: Trust & Betrayal (১৯৯৯): জগদ্বিখ্যাত সিরিজ Samurai X এর প্রিকুয়্যাল। মূলত এই সিনেমটা দিয়েই আমি এনিমেশন এর ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের নায়ক Kenshin এর সামুরাই হয়ে ওঠার কাহিনী। আর কীভাবে সে তার গালের x মার্কটা পেয়েছিল তা ও জানানো হয়েছে এই সিনেমাতে। এটা প্রথমে তৈরি করা হয় চার পর্বের ডাইরেক্ট টু ভিডিও সিরিজ হিসেবে। পরে আরো আধাঘন্টার সিন যুক্ত করে ডাইরেক্টর’স কাট ফিল্ম হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়। আমার দেখা সেরা মুভির একটা।
#১০। Sword of the Stranger (২০০৭):
জাপানের কোন এক সময়ের ইতিহাস কে উপজীব্য করে একটি ফ্যান্টাসি গল্প। বিভিন্ন ইউজার’স ভোটেড তালিকায় উপরের দিকে আছে এই মুভিটা। Kotarou নামে এক শিশু এস্যাসিনদের কাছ থেকে পেলিয়ে বেড়াচ্ছে। সে জানে না কেন তাকে এভাবে হান্ট করা হচ্ছে। পথিমধ্যে তার দেখা হয় এক সামুরাই এর সাথে, যাকে সে ভাড়া করে। এক সময় কন্ত্রাক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, সেই সামুরাই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে।
#১১। Tekkon Kinkreet (২০০৬):
জাপানীজ এনিমেশনের সাথে আমেরিকান এনিমেশন এর ফিউসন করে বানানো ফ্যান্টাসি। দেখার সময় আর্টওয়ার্কগুলো খুবই ভালো লাগার কথা। বিভিন্ন রিভিউতে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে। রোটেন টমেট’স এ টপ রিভিউ তে ৯০% এর কাছাকাছি আছে। কিন্তু আফসসের বিষয় আমি আগা মাথা কিছুই বুঝি নাই। পুরা মুভিটা ভালই চলছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে কি জানি হয়ে গেলো (ঘিবলির অনেক মুভি দেখতে গিয়েও আমার এক ই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল)। দুই ভাই একজন ব্ল্যাক আরেকজনে হোয়াইট। দুইজন এর ই নাকি হার্টের কিছু স্ক্রু মিসিং। এই স্ক্রু গুলা নাকি আবার হোয়াইটের কাছে আছে। এমন আরো কত কি।
## এই বার কিছু সিরিজ কম্পাইলেশন মুভির কথায় আসা যাক। আমার মতে এনিমে ফিল্ম এর চেয়ে সিরিজ বেশি ভালো (যদিও আমার ফেভারি্ট এনিমে এর কথা বলতে গেলে The Girl Who Leapt Through Time এর কথাই বলব)। এই সিরিজ বেজড মুভিগুলো মুলত সিরিজটাকে কাটছাট করে বানানো হয়েছে। তাই সিরিজে যে ঘটনে ২৪-২৫ পর্বে সাজানো হয়েছে সেগুলো এখানে ২ থেকে ২.৫ ঘন্টার মধ্যে ঠিকভাবে সাজান হয়েছে কিনা তা ও চিন্তার বিষয়।
#১৩। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – The Laughing Man(২০০৫): Kenji Kamiyama র স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স ট্রিলজির প্রথম মুভি এটা। ২০২৪ সালে এক হ্যাকার মাইক্রো মেশিন নামে এক কম্পানির সিইও কে কিডন্যাপ করে একটি সিরিজ কিডন্যাপিং এর সূচনা করে যার নাম হয় লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট। ছয় বছরেও এই ঘটনের কোন সুরাহা হয় না। ঘটনার ছয় বছর পরে ইনভেস্টিগেশন টিম এর এক মেম্বার মৃত্যর ঠিক আগ মুহুর্তে সেকশন ৯ এর ফ্রেন্ড Togusa এর কাছে সব এভিডেন্স পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু জানাতে পারে না আসলে সে কি পেয়েছিল। Togusa এরপর শুরু করে নিজের ইনভেস্টিগেশন এবং পুলিশ বাহিনীর এক জোচ্চুরি আবিস্কার করে বসে। এরপর সেকশন ৯ লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট তদন্তের ভার নেয়। এই মুভির একটা খুব পছন্দের ডায়ালগ হলঃ I thought what I’d do was I’d petend I was one of those deaf mutes, or should I? আমার মতে এটা একটা মাস্টারপিস। ২৬ পর্বের সিরিজটা আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। আর মুভি ভার্সনটা ২ঘন্টা ৪০ মিনিটের।
#১৪-১৫। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – Individual Eleven(২০০৫) ও Solid State Society (২০০৭): স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কম্পাইলেশন হল Individual Eleven আর Solid State Society একটা ফিল্ম। Individual Eleven এ সাইবারাইজড ওয়ার্ল্ড এ একটা রিফুজি আপরাইজিং নিয়ে গড়ে উঠেছে। আর Solid State Society এর স্টোরিটা শুরু হয় বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যাক্তিবর্গের আত্মহত্যার মাধ্যমে ও একে একে তাদের সন্তানদের হারিয়ে যাওয়া দিয়ে। Solid State Society এর একটা সিন আমার খুব পছন্দের। এখানে ডিটেক্টিভ Togusa এর সাইবারব্রেন হ্যাক এর মাধ্যমে তার মেয়েকে কীভাবে অবডাক্ট করা হয় তা দেখানো হয়েছে। নিচে আপনাদের জন্য সিনটা দিয়ে দিলামঃ
#১৬-১৭। Code Geass: Lelouch of the Rebellion : Black Rebellion(২০০৮) ও Zero Requiem (২০০৯): মূল সিরিজ ৫০ পর্বের (২০০৬-২০০৮)। প্রথম ২৫ পর্বকে ১১৭ মিনিটে কাটছাট করে Black Rebellion ও শেষ ২৫ পর্বকে আবার ১১৭মিনিটে কাটছাট করে Zero Requiem নামে ছাড়া হয়। আমার দেখা সেরা এনিমে সিরিজের একটা। ব্রিটানিয়া এর ৯৮তম রাজা চার্লস এর তৃতীয় সন্তান এবং সিংহাসনের ১৮তম দাবিদার রাজকুমার Lelouch ও তার বোন রাজকুমারী Nunnally কে তার মায়ের মৃত্যুর পর জাপানে নির্বাসন দেয়া হয়। ঘটনাক্রমে Lelouch এক অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ব্রিটানিয়া এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ন হয়।
এই সিরিজের দুইটা পছন্দের ডায়ালগ হলঃ If the king doesn’t lead how can you expect his sub-ordinates to follow? এবং If there is a evil so great that that It cannot be destroyed by just means, what will you do? Will you become a greater evil so as to destroy evil? Or, will you remain steadfastly just and righteous even if it means surrendering to evil? Either way, evil wins.
#১৮-১৯। Death Note – Relight: Visions of a God (২০০৭) ও L’s Successors (২০০৯):
তুখোর ছাত্র লাইট ইয়াগামি এর হাতে এসে পড়ে ডেথ গডের নোট, যেই নোটের ক্ষমতা দিয়ে কোন মানুষের চেহারা আর নাম জানা থাকলে তাকে মেরে ফেলা যায়। লাইটের মনে হতে থাকে এই পৃথিবী থেকে কিছু প্রকৃতির মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হবে এবং সে এই নতুন পৃথিবী সবাইকে উপহার দিবে। তাই সে ডেথ নোটের ক্ষমতা ব্যাবহার করে একে একে বিভিন্ন খারাপ মানুষদের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে মেরে যেতে থাকে। এক সময় তা সবার নজরে আসে এবং এই খুন গুলো পরিচিতি পায় “কিরা কিলিং” নামে। পৃথিবীর এক নম্বর গোয়েন্দা এল এগিয়ে আসে এই সিরিয়াল কিলারকে থামাতে। শুরু হয় এক মেন্টাল লড়াই। লাইট যখনই এল এর আসল নাম জানবে তখনই এল পরাজিত, অন্যদিকে এল যখনই কিরার পরিচয় জানবে তখনই লাইটের ওয়ার্ল্ড রিফর্ম এর স্বপ্ন শেষ হবে। ২০০৭-২০০৮ এ চলা এই সিরিজটা মট ৩৮ পর্বের। প্রথম ২৫পর্বের কম্পাইলেশন Visions of a God আর শেষ ১২ পর্বের কম্পাইলেশন L’s Successors।
Death Note: এইটা মোটামুটি ” love at first sight” টাইপ জিনিস। সময়টা ২০১০ সালের জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি। ভার্সিটির ভর্তি শেষ, ক্লাস শুরু হয় নাই। বাসায় বসে খাই দাই আর ঝিমাই। এক বন্ধু একদিন তার পেন্ড্রাইভ দিয়া বলল, ” এইখানে একটা এনিম আছে। দেখতে পারিস।” বন্ধুটা তখনও বুঝে নাই সে কি ভুল করছে। তখনও এনিম কি জিনিস তাই জানতাম না। প্রথম ২ পর্ব জাপানিজ ভাষা কষ্ট করে দেখে ফেললাম। তার পর তো সব ইতিহাস । ৬ দিনে ৩৭ পর্ব শেষ করে ফেললাম। এরপর শুরু হইল ওই বন্ধুর যন্ত্রণা। ওর সাথে দেখা হইলেই আমার শুধু এক কথা, ” দোস, অইরকম আর কিছু এনিম দিবি ?”
অসাধারণ এই এনিম আমার দেখা সেরা। রেটিং – ৯৫/১০০।
Naruto: সেই বন্ধুটা আমার যন্ত্রণায় টিকতে না পাইরা খুইজা টুইজা আইনা দিল নারুতো নামের একটা এনিম। দেখতে বসলাম, কেমন কেমন যেন লাগে !!! ডেথ নোট দেইখা তো আর কিছু রুচি হয় না !!!! ৩-৪ পর্ব দেখার পর দেখি, নাহ, ভালই তো, একটু অন্যরকম হইলেও জিনিসটা দেখি ভালই লাগতেছে !!! দেখি দেখি কইরা এইটারও সবটা মানে ২২০ টা পর্ব দেইখা ফালাইলাম। এই এনিমটারে মোটামুটি “anime for beginners” বলা যায়। বেশ হালকা চালের এনিম, সুপারপাওয়ার জাতীয় জিনিস থেইকা শুরু কইরা কমেডি, রোমান্স সবই হালকা পাতলা আছে। এইটা আমি অবশ্য দেখছিলাম ইংলিশ ডাবড। জাপানি ভাষার টাও সমান উপভোগ্য। আর নারুতোর সিকুয়েল হইল নারুতো শিপ্পুডেন। শিপ্পুডেন নিয়া আশা করি পরের কোন এক পর্বে আলোচনা হবে।
এই এনিমটা আমার সেরা ১০ এনিমের লিস্টে থাকবে। রেটিং – ৮৫/১০০।
avatar: মুভিটা আমার কাছে জেইরকম খারাপ লাগছে এনিমটা ততই ভাল লাগছে। ৩ সিজনের এই এনিমটায় আশ্চর্যজনকভাবে আমার সবচেয়ে প্রিয় চরিত্র এভাটার না,সাকা, অসাধারণ কমেডিয়ান। এর প্রত্যেকটা কাজ কর্ম সেই রকম মজার। বাকি চরিত্রগুলাও অসাধারণ। এইটাও সেরা লিস্টে জায়গা করে নেওয়ার মত।
রেটিং – ৮৫/১০০ ।
Nabari no Ou সাম্প্রতিক সময়ে দেখা। দেখার মত খুব ভাল কিছু পাইতেছিলাম না, তাই এইটা দেখা শুরু করছিলাম। দেইখা শেষ করতে পারি নাই, শেষে আগ্রহ পাই নাই।
তবে মেইন ক্যারেক্টারটা বেশ ভাল লাগছিল। কয়েকদিন ওর ছবি আমার ফেবুতে প্রোফাইল পিকচারও ছিল। শুধু গল্পটার জন্য জিনিসটা ভাল লাগে নাই।
রেটিং – ৪৫/১০০ ( মিহারুর জন্য খালি পাশ করাইয়া দিলাম)
আজকে আমার পিসিতে “anime” ফোল্ডারের সাইজ ১০০ জিবি পূর্ণ হইল। ভাবলাম এই খুশিতে সিরিজের ২য় পর্ব নামাইয়াই ফেলি।
hajime no ippo: স্পোর্টস জেনারের এনিম। বক্সিং নিয়ে ঘটনা। কাহিনী অনেকটা হুমায়ুন আহমেদের “হিমু” সিরিজের মত। প্রথমবার যখন পড়ি তখন বেশ ভালই লাগে, কিন্তু পরে আর ২য় বার ওই বই পড়তে ইচ্ছা হয় না। এই সিরিজটাও অনেকটা সেই রকম। কাহিনী সহজ, সরল, প্রেডিক্টেবল।
অনেক দিন মনে থাকার মত তেমন কিছু না। কিন্তু যখন দেখবেন নিশ্চিত ভাল লাগবে। খুব ফাস্ট পেসড, এবং কোন ফিলার নাই।
সব মিলিয়ে ভালই। আমার রেটিং – ৭০/১০০।
Hitman Reborn: অনেকটা আমার ছোটবেলার বাংলা ২য় পত্র রচনার মত। ভুমিকা দিয়া শুরু কইরা আবেগের বশে এত বিশাল ভুমিকা লেইখা ফালাইতাম যে মাঝে মাঝে দেখা যাইত বাকি রচনার চেয়ে ভুমিকা বড় হইয়া গেছে।
এই এনিমের কাহিনীও সেইরকম অনেকটা। ২০০+ পর্বের একটা এনিম শুরু হইতে হইতেই ৩০-৩৫ পর্ব পার !!!!
তার উপর বিয়াঙ্কি আর লাম্বো চরিত্র দুইটার জন্য মনে হইছে এনিম ক্রিএটরকে খুন করি। আরও ২-১ টা কেরেক্টার আছে না থাক্লেও কিছু হইত না।এখন ঘটনা হইল এত খারাপ হইলে পুরাটা দেখলাম কেন? এইখানেই কাহিনী। বাকি যেই ক্যারেক্টারগুলা আছে, তাদের প্রত্যেকটা ফাইট অসাধারণ লাগছে। বিশেষ কইরা শেষের দিকের ফাইনাল ফাইটটা বেশী জোস। ২-১ টা বিরক্তিকর কেরেক্টার সহ্য করতে পারলে অবশ্য এনিমটা জোস।
আমার রেটিং – ৭৫/১০০।
twelve kingdoms: বেশ অনেকদিন আগে দেখা। ফ্যান্টাসি জেনারের এনিম। অন্য জগতে গিয়ে রাজা রানি হওয়া, সেই জগত চেঞ্জ করা- এই জাতীয় কাহিনী আর কি !!!! আহামরি কিছু না হইলেও দেখার সময় দেইখা ভাল লাগবে আশা করি। তবে শেষ দিকে গিয়া কেমন যেন “শেষ হইয়াও হইল না শেষ” ভাব আসে।
আমার রেটিং – ৬৫/১০০।
One piece: যারা কোন না কোন এনিম দেখছেন বা দেখেন তাদের এইটা দেইখা ফালানোর কথা। না দেইখা থাকলে দৌড় দেন, জেম্নে পারেন জোগাড় কইরা দেখা শুরু করেন। আমার সেরা ৫ এনিমের লিস্ট করলে এইটা থাকব। বেশী জোস এনিম। লুফি, জোরো, সাঞ্জি, উসপ,নামি- কার কথা রাইখা কার কথা কইতাম !!! লুফির কাজকর্ম তো পুরাই এপিক !!!! জাহাজে যখন লুফি, উসপ আর চপারের কাজকর্ম – বেশী জোস !!! এইগুলা তো হইল কমিক দিক – সিরিয়াস দিক গুলা আরও বেশী জোস। প্রত্যেকটা ফাইট- এপিক।
রিসেন্ট পর্বগুলাতে লুফি সহ সবার পাওয়ার আপের পর আরও বেশী ভাল লাগতেছে। সকল এনিমখোরদের জন্য এইটা দেখা ফরজ।
আমার রেটিং – ৯০/১০০।
Bleach: এই এনিমটা আমার খুব পছন্দের একটা এনিম। তবে এইটা নিয়া জনতার মাঝে হালকা মিশ্র প্রতিক্রিয়া আছে। তার প্রধান কারন এই এনিমের ৩৬৬ পর্বের মাঝে প্রায় ১৪০ টা পর্বই ফিলার !!! তবে একটু সাবধানে বেছে দেখতে পারলে অতিরিক্ত ভাল একটা এনিম। বিশেষ করে “শোনেন” ক্লাসে আমার টপ চারটা এনিমের একটা এইটা।
সামনে ব্লিচ নিয়ে একটা বিস্তারিত পোষ্ট দেওয়ার ইচ্ছা আছে। ওইখানে কোন পর্ব কেন দেখতে হবে, আর কেন বাদ দিতে হবে তার একটা আলোচনা দেওয়ার ইচ্ছা আছে।
মারামারি টাইপ দেখতে চাইলে অসাধারণ একটা এনিম।
আমার রেটিং- ৮০/১০০।
InuYasha প্রথম ১৫ পর্ব দেখছি। কোন ক্যাটাগরিতে আমার হিসাবে ফালাইতে পারি নাই। বেশী জোরাজুরি করলে হয়ত নারুতো, ওয়ান পিস, হিটম্যান রিবরন , আর ব্লিচ- এই সিরিজে ফালাইতে হবে, তবে এই সিরিজে ফালাইলে বাকি এনিমগুলার অপমান হবে বইলা আমার বিশ্বাস। এই এনিমটা ১৩-১৪ বছর বয়সীদের যারা নতুন এনিম দেখা শুরু করছে তাদের জন্য বিশেষ কইরা বানানো হইছে বইলা মনে হয়।
তামিল সিনেমা টাইপ রোমান্স ই মেইন বিষয়। আমার হিসেবে দেইখা টাইম লস। দেখলে নিজ দাইত্তে দেখবেন।
আমার রেটিং – ৫০/১০০।
prince of tennis এইটার আলচনার জন্য উপরের আলোচনা আরেকবার পইরা নিতে পারেন। কাছাকাছি বিষয়। মুল নায়কের ভাব দেখলে মেজাজ খারাপ হইয়া যাবার সম্ভাবনা প্রবল।
তবে মাথা ঠাণ্ডা কইরা দেখলে মাঝে মাঝে আবার ভালও লাগে। স্পোর্টস জেনারের এনিম। টেনিস নিয়া মুল কাহিনী।
আমার রেটিং- ৫৫/১০০।
full metal alchemist এইটা নিয়া আমার মতামত জানাইলে অবশ্য মাইর খাওয়ার ভয় আছে। মোটামুটি এখন পর্যন্ত যারা এইটা দেখছে সবাই ভাল বলছে। কিন্তু আমার কাছে কেন যেন ভাল লাগে নাই। তবে কোন ভয় না নিয়া দেইখা ফেলতে পারেন। আমারে এখন পর্যন্ত যতজন এইটার কথা বলছে সবাই এক কোথায় ভাল বলছে।
আমার রেটিং- ৫৫/১০০।
ah my goddes ফ্যান্টাসি ক্যাটাগরির। টাইম পাস করার জন্য দেখা যাইতে পারে। আহামরি কিছুই না। তবে সময় থাকলে দেখে ফেলা যাইতে পারে।
আমার রেটিং- ৬০/১০০।
এইখানে দেওয়া সব রেটিং আমার নিজস্ব মতামত। যে কেউ চাইলে যেই কোন নাম্বার দিতে পারেন, কোন অসুবিধা নাই।
আমার চেনাজানা যাদের সাথে এনিম নিয়ে কথা বলেছি তারা মুলত ২ ভাগে বিভক্ত। একদল হইল চরম এনিমখোর, আরেকদল ঘোর বিরোধী। এনিমের ব্যাপারে দেখি মাঝামাঝি অবস্থানে তেমন কেউ নাই !!! যাই হোক, যারা বিরোধী তাদের বিরোধের প্রধান কারন গুলার মধ্যে একটা হইল তাদের মতে এনিম হইল ” পুরাই বাচ্চাদের জিনিস।” আপনি যদি এই দলের লোক হন তাইলে এই এনিম দেখা আপনার জন্য ফরজ। এইটা দেখার পরেও যদি কেউ বলেন এনিম শুধু ” বাচ্চাদের জিনিস” তাইলে বলব এখন পর্যন্ত দুনিয়াতে বড়দের জিনিস বইলা কিছু তৈরি হয় নাই। আর যারা এখনও এনিম এর সাথে তেমন পরিচিত না এবং চিন্তা করতেছেন খুব হালকা কিছু দিয়ে এনিম দেখা শুরু করব তাদের জন্য এই এনিম না। কারন এইটার বেশ কিছু জায়গা হজম করতে অনেক এনিমখোরকেও সমস্যায় পড়তে হয়েছে।
কাহিনীতে যতই শিনিগামি ( Death God) থাকুক, যতই অতিপ্রাকৃত বিষয় আষয় থাকুক, দিনশেষে এইটা একটা ডিটেকটিভ এনিম। ইয়াগামি লাইট, যে কিনা সমগ্র জাপানের সবচেয়ে মেধাবি ছাত্র, একদিন একটা ডায়েরীর সন্ধান পায়। এইখানে কারো নাম লিখলে সেই লোক হার্ট এটাকে মারা যায়। এই ডায়েরি দিয়ে লাইট দুনিয়াটাকে শুদ্ধ করার স্বপ্ন দেখে। এই কেইস নিয়ে দুনিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা যখন দিশেহারা, তখন দেখা দেয় গোয়েন্দা “L”। তার আসল নাম কেউ জানে না। তদন্তের এক পর্যায়ে সে অনেকটা সিউর হয় ইয়াগামি লাইটই এই সিরিয়াল কিলিঙের মুল হোতা। এবং তা প্রমাণের জন্য ইয়াগামি লাইটের সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। এইদিকে লাইটও বুঝতে পারে এই লোক তাকে ধরার চেষ্টা করতেছে। কিন্তু তাকে মারার জন্য তার আসল নাম জানতে হবে। এক পর্যায়ে দেখা যায়, L চিন্তা করতেছে, ” কিভাবে প্রমাণ করা যায় ইয়াগামি লাইটই দায়ী?” আর লাইট চিন্তা করতেছে,” এলের আসল নাম কি?” এই যুদ্ধে যে পরে উত্তর পাবে সেই মারা যাবে। এইরকম চরম টানটান উত্তেজনার মধ্যে আগায় কাহিনী।
কাহিনীতে ২-১ টা জায়গা আছে যেখানে আপনি চমকে উঠতে বাধ্য। অবাক হয়ে বসে চিন্তা করতে তাকবেন, ” এও কি সম্ভব? এত প্ল্যান, এত ভবিষ্যতের চিন্তা মানুষ কিভাবে করে?” এল এবং ইয়াগামি লাইটের প্রতিটা স্টেপ দাবার চালের মত, অনেক ভাবনা চিন্তার ফসল এবং গভীর অর্থপূর্ণ। মাঝখানে ৩-৪ টি পর্ব হয়ত মনে হবে কাহিনী হালকা ঝুলে গেছে, তবে ওইটা মেনে নিয়ে দেখতে থাকেন। পরে আরও অনেক টুইস্ট পাবেন। এই এনিমের আরেকটা অসাধারণ জিনিস, কে ভাল কে খারাপ আপনি ঠিক করতে পারবেন না। এক সময় এর পক্ষ নিবেন তো আরেক সময় ওর পক্ষ নিতে মন চাইবে। আর বোনাস হিসেবে এনিমটার সাউন্ড ট্র্যাক অসাধারণ। তাহলে দেখা শুরু করে দিন “Death Note”।