Kyoto Animation (KyoAni)
এই সময়ের সেরা কয়েকটি আনিমে স্টুডিওর নাম বলতে গেলে একদম উপরের সাড়িতে যেসব নাম চলে আসবে তার মধ্যে কিয়োঅ্যানি অন্যতম। মুশি-প্রো ছেড়ে আসবার পর ১৯৮১ সালে Hideaki Hatta ও তার স্ত্রী Yoko Hatta মিলে এই স্টুডিও প্রতিষ্ঠা করেন। তখন এর নাম ছিল Kyoto Anime Studio. লোগোর ভিত্তি হিসাবে kyō-এর কাঞ্জি (京) ব্যবহার করা হয়। শুরুর দিকে তারা বিভিন্ন আনিমে মুভি ও অন্যান্য আনিমে সিরিজের জন্যে cell painting ও বিভিন্ন কমিশন কাজ করতো। এরকম চলতে থাকার পর ১৯৮৫ সালে তারা একটি লিমিটেড কম্পানি হিসাবে এবং ১৯৯৯ সালে কর্পোরেশন হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে, আর তাদের অফিশিয়াল নাম হয় Kyoto Animation. এই সময়ে কিছু বড় প্রোজেক্টের সাথে তারা কাজ করে, যেমন Cowboy Bebop, গান্দাম সিরিজ, এমনকি কিছু জীবলি মুভিতেও তারা সাহায্য করেছে।
১৯৮১ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও এই ৩০+ বছর সময়ে তাদের কাজ মাত্র ২২টি টিভি সিরিজ ও ৯টি ফিল্ম। এর কারণ তাদের প্রথম নিজস্ব কাজ আসে ২০০৩ সালে, যখন স্টুডিও গনজোর Full Metal Panic! এর সিকোয়েল সিরিজ Full Metal Panic! Fumoffu তৈরির দায়িত্ব পায় তারা। অবশ্য রিলিজ পাওয়া হিসাবে তাদের সর্বপ্রথম নিজস্ব কাজ OVA সিরিজ Munto. Munto তৈরি করেছিল তারা স্টুডিও হিসাবে নিজেদের ক্ষমতা দেখাবার জন্যে, আর Full Metal Panic! Fumoffu এর সাফল্যের কারণে সিরিজটির পরবর্তী এন্ট্রিগুলিও তৈরির দায়িত্বও তাদেরকে দেওয়া হয়।
কিয়োঅ্যানির অধীনে ২০০০ সালে Animation Do নামের একটি সাবসিডিয়ারি অ্যানিমেশন স্টুডিও তৈরি হয়, এই স্টুডিও কিয়োঅ্যানিরই একটি অংশ হিসাবে বিভিন্ন কাজে সহযোগিতা করে থাকে।
আনিমে ইন্ডাস্ট্রিতে কিয়োঅ্যানির রয়েছে অভূতপূর্ব সাফল্য। এই সাফল্য প্রমাণ করার জন্যে একটি মজার তথ্য দেওয়া যাক-
২০০৫ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে কিয়োঅ্যানির চেয়ে বেশি সফল হতে পারে নি অন্য কোন স্টুডিও। এই সময়ের মধ্যে ২০টি সিরিজ রিলিজ দেয় কিয়োঅ্যানি, যার ১৮টিরই DVD-Bluray বিক্রয়ের সংখ্যা ৩০০০ ছাড়িয়ে যায়। শতকরা হিসাবে ৯০% সাফল্যের হার, যা ২য় স্থানে থাকা ৬৯% সাফল্য নিয়ে Shaft-এর সাথে পার্থক্যটা চোখে পরার মত!
আনিমে স্টুডিও হলেও জাপানের তথাকথিত আনিমে স্টুডিও হতে কিয়োঅ্যানি অনেক আলাদা। এই আলাদাভাবে কাজকর্ম এগিয়ে নিয়ে যাবার কারণে তাদের সাফল্যের ব্যাখ্যাও পাওয়া যায়-
- আভ্যন্তরীণ কাজ: সবচাইতে বড় কারণ হল, কিয়োঅ্যানি তাদের সব কাজ আভ্যন্তরীণভাবে করে থাকে। ডিরেক্টিং, অ্যানিমেশন, রাইটিং – সবকিছু কিয়োঅ্যানি নিজেদের স্টুডিওর ভেতরেই করে থাকে। অন্যান্য আনিমে স্টুডিওগুলির ক্ষেত্রে যেখানে ডিরেক্টর কিংবা অ্যানিমেটর-এর জন্যে ফ্রিল্যান্স কিংবা অন্য কোন স্টুডিওর কাছে যেতে হয়, সেখানে কিয়োঅ্যানি সবকিছু নিজেরা নিজেরাই করে থাকে। আর এর সুফলও পায় কিয়োঅ্যানি – যেহেতু নিজেদের মধ্যেই সব কাজ হয়ে থাকে, তাই আনিমে প্রস্তুতকর্তাদের মধ্যে একটা ভাল যোগাযোগ থাকে। একজন আরেকজনকে ভালমত বুঝতে পারে, ঠিকমত জেনে যায় কে কেমন কাজ চাচ্ছে, কেমন ফলাফল আশা করছে।
- অ্যানিমেশন স্কুল: অ্যানিমেশনের ক্ষেত্রে নিজেরা নিজেরা করবে – এই ব্যাপারটা নিয়ে কিয়োঅ্যানির এতই কড়াকড়ি যে তারা নিজেরাই একটি স্কুল খুলেছে যেখানে অ্যানিমেটরদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। কিয়োঅ্যানির Kyoukai no Kanata-এর প্রায় সবটুকু অ্যানিমেশনই কিয়োঅ্যানির সেই স্কুলের গ্র্যাজুয়েটদের করা।
- পারিশ্রমিক: একটি বড় কারণ কিয়োঅ্যানির পেমেন্ট সিস্টেম। কিয়োঅ্যানি তাদের স্টাফদেরকে বেতন হিসাবে পারিশ্রমিক দেয়, যেখানে অন্যান্য স্টুডিওর ক্ষেত্রে স্টাফদেরকে কমিশন হিসাবে পারিশ্রমিক দেওয়া হয়। এই কাজটা কিয়োঅ্যানির নিজেদের সাফল্যেরও একটা অন্যতম বড় কারণ, যেহেতু মাসিক বেতনের কারণে স্টাফরা নিজেদের কাজ ঠান্ডা মাথায় চিন্তাহীনভাবে করতে পারে। কোন এক আনিমে তৈরির জন্যে কাজে তাড়াহুড়া করা লাগে না, নিজেদের সময় নিয়ে সুন্দরমত কাজ শেষ করতে পারে।
- অ্যানিমেশন প্রস্তুতি: বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কিয়োঅ্যানি তাদের কোন আনিমের অ্যানিমেশনের সব কাজ সিরিজটি টিভিতে প্রচার শুরুর বেশ আগেই প্রস্তুত করে ফেলে। এর ফলে তারা সময় নিয়ে অনেকরকমের ডিটেইলস নিয়ে কাজে লেগে যেতে পারে – যে কারণে কিয়োঅ্যানির সব সিরিজই দেখতে খুবই সুন্দর হয়ে থাকে।
- LN প্রকাশণা: স্বতন্ত্র স্টুডিও হিসাবে তাদের সাফল্যের আরেকটি বড় কারণ বিভিন্ন লাইট নোভেল প্রকাশনা। নিজেদের প্রতিষ্ঠান হতে প্রতিবছর একটি লাইট নোভেল কম্পিটিশনের আয়োজন করে তারা, এবং এখান থেকে উঠে আসা ভাল লাইট নোভেলের উপর ভিত্তি করে আনিমে বের করে তারা। এই ব্যাপারটি অন্য সব আনিমে স্টুডিও থেকে তাদেরকে অনেক উপরে নিয়ে রেখেছে একটি ব্যাপারে – কাজের নিশ্চয়তা। অন্যান্য আনিমে স্টুডিওগুলিকে কোন এডাপশনের জন্যে একধরণের নিলামে জিতে নিতে হয়, প্রতিপক্ষ স্টুডিওগুলিকে হারিয়ে দখল করতে হয় কোন LN, VN বা মাঙ্গা এডাপশনের অধিকার। এরকম কাজ না পেতে থাকলে এক সময়ে স্টুডিওটি বিলুপ্তির পথেও পরতে হতে পারে [খুব সাম্প্রতিক এমন ঘটনা দেখা হয়েছে Studio Manglobe-এর ক্ষেত্রে, বেশি কাজ না পেতে পেতে দেউলিয়া হয়ে যায় তারা]। কিয়োঅ্যানির এখানে সবচেয়ে বড় বাজিমাত – নিজেদের প্রকাশণা থেকে LN বের হয় বলে তাদের হাতে সবসময়েই কোন না কোন এডাপশনের সত্য থাকে, কাজ ফুরিয়ে যাবার চিন্তা থাকছে না আর [অবশ্য নিজেদের LN বাদেও বাইরের কোন LN থেকেও তারা এডাপশন নিয়ে আসে মাঝেমধ্যে, যেমন Amagi Brilliant Park, Hibike! Euphonium]। আবার এই সুযোগে নিজেদের LN-এরও বিজ্ঞাপন হয়ে যায় – সবদিক থেকেই Win-Win অবস্থা কিয়োঅ্যানির।
- Visual Storytelling: কিয়োঅ্যানির একটি স্ট্রং পয়েন্ট হল ভিজুয়াল স্টোরিটেলিং। একজন ন্যারেটর বা কোন ক্যারেক্টার কথার মাধ্যমে কোন ঘটনা কিংবা কারও চরিত্রের কোন দিক বুঝিয়ে দেওয়ার থেকে বরং দর্শকদেরকে চাক্ষুষরূপে একটা ঘটণা বা চরিত্রের দিক তুলে ধরা হল ভিজুয়াল স্টোরিটেলিং। কোন ক্যারেক্টারের নরণ-চরণ, আচার-আচরণ, ইন্ট্যার্যাকশন, সিনেমাটোগ্রাফি ইত্যাদির মাধ্যমে কোন একটা ব্যাপার দর্শকদের অবচেতন মনে ঢুকিয়ে দেবার এই কাজটা কিয়োঅ্যানি অনেক ভালভাবে করতে পারে। যার জন্যে Moe চরিত্র দিয়ে আনিমে ভরিয়ে রাখলেও এবং কোন বিশেষ ঘটনা না থাকলেও একটা গল্প অনেক মন ছোঁয়ার পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে কিয়োঅ্যানি।
এক্ষেত্রে একটা প্রশ্ন আসে, কিয়োঅ্যানি এরকম সব পদক্ষেপ নিয়ে এত সফল হলে অন্যান্য স্টুডিও কেন এরকম করছে না?
- ভাগ্য। কিয়োঅ্যানির সৌভাগ্য যে তাদের নেওয়া পদক্ষেপগুলি ঠিকমত সফল হতে পেরেছে।
- কিয়োঅ্যানিও একসময়ে অন্যান্য স্টুডিওর মত কাজ করতো, প্রায় ১০ বছর ধরে তারা Kadokawa-এর সাথে পার্টনারশিপে ছিল। এ সময়ে তারা বেশ কয়েকটি VN এর key adaption করে, নিয়ে আসে অন্যান্য প্রোজেক্টের এডাপশন যেমন Haruhi Suzumiya, Lucky☆Star ।
- ২০০৯ সালে তারা এক বিশাল জুয়াখেলা খেলে। নিজেদের নামে একটি কম্পিটিশনের আয়োজন করে যাতে বিজয়ী LN-এর আনিমে আডপশন করবে বলে ঘোষণা দেওয়া হয়। এই প্রোজেক্ট সাফল্যের মুখ দেখতে পাওয়ায় পরবর্তীতে এই কন্টেস্টের এন্ট্রিগুলির মধ্য থেকে Chuunibyo, Tamako Market, Free! এর এডাপশন নিয়ে আনে কিয়োঅ্যানি।
কিয়োঅ্যানির কিছু জনপ্রিয় আনিমে-
কিয়োঅ্যানির এই সাফল্যের পথটার একটা ছোট্ট বিবরণ দেওয়া যাক-
- ২০০৫ সাল: কিয়োঅ্যানির জন্যে বছরটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল, কারণ এই বছরই তারা নিয়ে আসে তাদের প্রথম VN adaption: Air. এয়ার আনিমেটি ছিল সেই সময়ের নতুন বাড়ন্ত Moe ট্রেন্ডের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং একই সাথে VN adaptation-এর জনপ্রিয় হয়ে উঠার সময়ের অন্যতম এন্ট্রি। এয়ার আনিমেটি কিয়োঅ্যানিকে আনিমে ইন্ডাস্ট্রিতে শক্ত স্থানে নিয়ে আসতে সাহায্য করে।
- ২০০৬ সাল: আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বছর কিয়োঅ্যানির জন্যে, এ বছর তারা নিয়ে আসে তাদের ২য় VN adaption: Kanon. তবে ২০০৬ সালে কিয়োঅ্যানি স্পটলাইট কেড়ে নেয় যেই সিরিজটি দিয়ে তা হল The Melancholy of Haruhi Suzumiya. এমনিতেই হারুহি সুজুমিয়ার ফ্যানবেজ বেশ বড় ছিল তখন, তার উপর অল্প কয়েকটি আনিমে নিয়ে আসা কিয়োঅ্যানির জন্যে ব্যাপারটি ছিল অনেক বড় চাপের। বলাই বাহুল্য, চাপকে উড়িয়ে দিয়ে সাফল্যের মুখ দেখতে পায় তারা।
- ২০০৭ সাল: ৩য় VN adaption নিয়ে আসে কিয়োঅ্যানি: Clannad, একই সাথে আরেকটি জনপ্রিয় Moe Comedy সিরিজLucky☆Star নিয়ে হাজির হয় তারা। দুটি সিরিজই কিয়োঅ্যানির জন্যে ব্যবসাসফল ছিল।
- ২০০৯ সাল: হারুহি সুজুমিয়া ফিরে আসে এই বছর, এবং নতুন সিরিজটির কুখ্যাত/বিখ্যাত Endless Eight-এর জন্যে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় কিয়োঅ্যানির উপর দিয়ে। কন্ট্রোভার্শিয়াল হয়ে থাকলেও সিরিজটির ব্লুরে বিক্রয় বেশ ভাল হয়। একই সাথে এই বছর থেকেই তারা LN এর পাবলিশার হিসাবে আত্মপ্রকাশ করে। তবে বছরটি কিয়োঅ্যানির জন্যে বিশেষ কিছু ছিল কারণ এই বছরেই তারা নিয়ে আসে K-On! যার ব্লুরে বিক্রয় সংখ্যা ৫ লাখ ছাড়িয়ে যায়!
- ২০১১ সাল: Nichijou এই বছরে আসে, এবং এর ব্লুরে বিক্রয় ৩০০০ ছাড়ালেও তা কিয়োঅ্যানির জন্যে খুব বেশি ছিল না। তবে তারপরেও সংখ্যাটা অন্যান্য স্টুডিওর হিসাবে বেশ বড় একটা সংখ্যা।
- ২০১২: পরবর্তী বছরগুলিতেও একই ট্রেন্ড দেখা যায়। Hyouka, Chuunibyo বেশ ভাল বিক্রয় হলেও কিয়োঅ্যানির জন্যে সেটা খুব বেশি ছিল না।
- ২০১৩ সাল: Tamako Market বেশ বড় ধরণের হতাশার কারণ হয় কিয়োঅ্যানির জন্যে। তবে এই বছরই এমন এক সিরিজ নিয়ে আসে কিয়োঅ্যানি যা তাদের অন্যতম জনপ্রিয় সিরিজে পরিণত হয়: Free!. সিরিজটি রিলিজ পাবার আগে থেকেই হিট হয়ে যায় একদম, আর এর ২য় অ্যাড মুক্তি পাবার পর তা একদম ভাইরাল হয়ে যায় নেটজুড়ে।
- ২০১৪ সাল: বছরটা তেমন ভাল ছিল না কিয়োঅ্যানির জন্যে। Kyoukai no Kanata তেমন ভাল ব্যবসা করতে পারে না, আর Amagi Brilliant Park তার চাইতে অল্প কিছু ভাল ব্যবসা করতে পারে।
- ২০১৫ সাল: Hibike! Euphonium অনেকটা K-On ধাঁচের বানানোর চেষ্টা করা হয়, সিরিজটা বেশ জনপ্রিয় হয়।
- ২০১৬ সাল: এ বছরে এই মুহুর্তে এয়ার হচ্ছে Musaigen no Phantom World, সিরিজটি নিয়ে এই মুহুর্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।
কিয়োঅ্যানির কাজকর্মের ধরণ নিয়ে কয়েকটি মজার তথ্য-
- Snarky Male Leads: কিয়োঅ্যানির আনিমেগুলিতে খামখেয়ালী, মুডি ধরণের নায়ক চরিত্র রাখবার একটা প্রবণতা দেখা যায়: Air-এর Yukito, Haruhi Suzumiya-এর Kyon, Kanon-এর Yuuichi, Clannad-এর Tomoya, Hyouka-এর Houtarou এবং কিছুক্ষেত্রে Free! এর Haruko ও Kyoukai no Kanata-এর Akihito.
- Carbon-Copy: কিয়োঅ্যানির বিপক্ষে একধরণের নালিশ আছে যে তারা একই রকম দেখতে সব চরিত্র তৈরি করে থাকে। চুলের স্টাইল বাদ দিলে মুখের গড়ণ, চোখের স্টাইল, সবকিছু হুবহু একইরকমের হয়ে থাকে কিয়োঅ্যানির আনিমেগুলিতে।
শুধু তাই নয়, বরং তাদের আনিমের চরিত্রগুলির ডিজাইন দেখতে গেলে একটা মজার ব্যাপার দেখা যায়, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সালের সময়টাতে তাদের সবগুলি সিরিজের চরিত্র দেখতে প্রায় একইরকম ছিল:
- Cute Girls Doing Cute Things: Moe চরিত্র, কোন প্লট বা গল্প নাই, খালি cute girls doing cute things – এরকম কারণ দেখিয়ে অনেক দর্শকই কিয়োঅ্যানির আনিমে দেখতে চায় না, তবে এই ট্রেন্ডটা এখন অনেক জনপ্রিয়। আর একে জনপ্রিয় করার পিছনে কিয়োঅ্যানিই সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। Lucky☆Star, K-On!, Nichijou ইত্যাদি এই ধরণের আনিমে শুধু বড় সাফল্যই পায় নি কিন্তু, বরং পরবর্তীতে একই ঘরানার অনেক আনিমের জন্যে পথ দেখিয়ে গিয়েছে। Non Non Biyori, Gochuumon ধরণের সিরিজগুলি এই জাতীয় আনিমের মধ্যে বেশ জনপ্রিয়। অবশ্য এরকম আনিমে তৈরি করে কিয়োঅ্যানি যে পরিমাণ সাফল্য পেয়েছে অন্যান্য স্টুডিও তার খুবই সামান্য অংশ অর্জন করতে পেরেছে মাত্র!
- 1st Doesn’t Win: কিয়োঅ্যানি ঘটা করে তাদের LN কন্টেস্ট আয়োজন করে থাকলেও সেখান থেকে আনিমে এডাপশন করার ক্ষেত্রে বিজয়ী এন্ট্রিকে তারা গ্রহণ করে নাই!! Chuunibyo, Kyoukai no Kanata, Free!, Musaigen no Phantom World – সব ক্ষেত্রেই যেগুলি আনিমে এডাপশন পেয়েছে তা হল কন্টেস্টের Special Mentionগুলি।
কিয়োঅ্যানির কাজ নিয়ে সমালোচনা যতই হোক, একটা জিনিস অবশ্যই মানতে হবে – তাদের তৈরি আনিমেগুলি বেশ ভালই সফল। তারা জানে কিভাবে জনপ্রিয় আনিমে তৈরি করতে হয়, এবং সেটাই তারা করে আসছে।