লেখক সমাচার –
নারিটা রিয়োগো / Narita Ryohgo
ব্যক্তিগত তথ্য :
নারিটা রিয়োগো একজন নভেলিস্ট। তাঁর জন্ম ১৯৮০ সালের ৩০ই মে, জাপানের টোকিওতে। তিনি গিনতামা মাঙ্গার পাঁড়ভক্ত, তাঁর লেখার মধ্যেও গিনতামার প্রভাব রয়েছে ।
তাঁর দুটো লাইট নভেল ‘ডুরারারা’ এবং ‘বাকানো’র জন্য তিনি বিখ্যাত, কারণ এই দুটো নভেলই এনিমে অ্যাডাপশন পেয়েছে । ২০০৩ সালে যখন ‘বাকানো’র প্রথম ভলিউম প্রকাশিত হয়, তখন তাঁর বয়স মাত্র ২২ বছর। তার পরের বছরেই প্রকাশিত হয় তাঁর নভেল ‘ডুরারারা’র প্রথম ভলিউম ।
এর মধ্যে ‘বাকানো’ লাইট নভেলটির জন্য তিনি ‘9th Dengeki Novel Prize’ এ গোল্ডেন প্রাইজ পেয়েছেন।
লেখার ধরণ :
তাঁর লেখার স্টাইল একটু ভিন্নধাঁচের, মূলত স্যাটায়ার টাইপের(যদিও খুব কম মানুষই স্যাটায়ারিক স্টাইলের ব্যাপারটা ধরতে পারে)।
তিনি তাঁর গল্পের কাহিনীকে কতগুলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র অংশে ভাগ করে পুরো ভলিউমে ছড়িয়ে দেন। প্রতিটি অংশের কাহিনী এবং ক্যারেক্টারদের কার্যকলাপ স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলেও শেষ পর্যন্ত দেখা যায় সবগুলো অংশই একসূত্রে বাঁধা। টুকরো টুকরো কাহিনীগুলো যেমন রসে ভরা, আনন্দদায়ক, তেমনি তার ভেতর লুকিয়ে থাকে সমাজের নানা অসঙ্গতি, মানুষের অজ্ঞতা ও বিকৃত মানসিকতার প্রচ্ছন্ন ইঙ্গিত। ক্যারেক্টারগুলোকে মনে হবে হাস্যকর, পাগলাটে অথবা অতিসাধারণ। কিন্তু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করলে বোঝা যায় তাদের মাহাত্ম্য কতোটুকু, সূক্ষ্ম বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন, হাস্যরসের আড়ালে লুকিয়ে আছে গভীর কোন অর্থ।
নারিটা সেন্সেইর লেখায় কাহিনীপ্রবাহ কালানুক্রমিকভাবে সজ্জিত থাকেনা, যার ফলে কেউ কেউ হয়তো পড়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলতে পারেন। প্রত্যেকটা অংশের কাহিনী পুরোপুরি শেষ হবার আগেই তিনি অপর একটি অংশে কাহিনীর মোড় ঘুরিয়ে দেন। তাই প্রত্যেকটি অংশেরই সমাপ্তি জানতে হলে একেবারে শেষ পর্যন্ত না পড়ে উপায় থাকেনা।
শেষে যখন কাহিনীর প্রতিটা অংশ জোড়া লেগে যায়, তখন সবকিছু স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এটাই নারিটা সেন্সেইর বিশেষত্ব।
নারিটা সেন্সেইর নভেল :
বাকানো ! / Baccano!
ডুরারারা !! / Durarara!!
ভাম্প ! / Vamp!
তাঁর লেখা অন্যান্য সিরিজগুলোর ব্যাপারে জানতে-
http://en.wikipedia.org/wiki/Ryohgo_Narita