নোরাগামি- (Anime Suggestion)- by Torsha Fariha

দেখছি নোরাগামি নামের একটা অ্যানিমে।
জানরা- ফ্যান্টাসি, কমেডি, সুপারন্যাচারাল, রোমান্স।

এপিসোড নং- ১২ (বুঝতেই পারতেসেন মাঙ্গাতে কাহিনী আরো আছে  )

আমরা হয়তো জানি জাপানের অনেক রকম গড আছে। তাদের নিজস্ব শ্রাইন আছে যেখানে মানুষ জন কিছু পয়সা ফেলে নিজের উইশ প্রার্থনা করে।
তেমনি এক গডের নাম ইয়াতো যাকে সবাই ভুলে গেছে… যার নিজস্ব ভক্ত নেই, শ্রাইনও নেই। অবশ্য সে কাচের জারে টাকা জমাচ্ছে একদিন নিজের শ্রাইন বানাবে বলে  

এখন কথা টাকা কোথা থেকে পাচ্ছে সে?
সে বিভিন্ন জায়গায় সে স্প্রে দিতে লিখে আসে তার নাম, ফোন নাম্বার এবং বলা থাকে সে সব ধরনের কাজে আছে, বাথরুম ধোয়া থেকে শুরু করে আয়াকাশি দের মারা পর্যন্ত।  (চার্জ মাত্র ৫ ইয়েন  )

একদিন ইয়াতোকে বাঁচাতে গিয়ে প্রায় গাড়ির নিচে চাপা পড়তে বসে আমাদের নায়িকা হিয়োরি। এভাবেই পরিচয় তাদের।

প্রত্যেক গডেরই এক বা একাধিক শিনকি থাকে। শিনকি মানে হচ্ছে sacred treasure or weapon . আমাদের ফকির গড কোন মতে একটা শিনকি জোগাড় করে (আগের জন কান্নকাটি করে কন্ট্রাক্ট বাতিল করসে  ) । যার নাম ইউকিনে।

এভাবেই তিনজনের নানা রকম মজার মজার কাহিনী এবং সুন্দর সুন্দর ফাইট এর মধ্যে অ্যানিমে চলতে থাকে।

যারা দেখেন নাই অবশ্যই দেখবেন।  পিউর বিনোদোন  

ইয়াতো যখন সিরিয়াস থাকে তখন অনেক বেশি কুউউউউল লাগে দেখতে ♥। হিয়োরি মেয়েটাও ভালো। 
আর একটা কথা না বললেই না সেটা হল এই অ্যানিমের ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকের পুরাই ফ্যান হয়ে গেসি। বেশিইইই বস। 

যাই মাঙ্গা পড়তে 

One Shot: ‘Bokura no Ibasho’- by মোঃ মাইদুল ইসলাম মাহি

Lovely Complex মাঙ্গা না পড়লেও অ্যানিমে প্রায় সবাইই দেখেছে, বিশেষ করে যাদের কমেডি-রোমান্স জানরা পছন্দ তারা তো অবশ্যই। এর লাইভ অ্যাকশন মুভিও রিলিজ হয় ২০০৬ এ। সেই মুভিতে Atsushi Otani চরিত্রে অভিনয় করেন Koike Teppei. এই ব্যক্তি একাধারে অ্যাক্টর আর সিঙ্গার। Eiji wentz আর তেপ্পেই এর ডুয়ো একসাথে WaT (Wentz and Teppei) নামে পরিচিত। 

কিন্তু ওয়ান শটের আলোচনায় এদের কথা কেন?? কারণ আর কিছুই না… এই ওয়ান শটের কাহিনী যে এদেরই নিয়ে! মাঙ্গাকা Nakahara Aya তার ‘Lovely Complex’ মাঙ্গার লাইভ অ্যাকশন মুভিতে অভিনয় করা এই তেপ্পেই এর জীবনের কাহিনী থেকেই ওয়ান শটটি তৈরি করেছেন। সে হিসেবে এই গল্প তেপ্পেই এর জীবন থেকে নেওয়া।

কাহিনী সংক্ষেপঃ 
ওসাকাতে পরিবার ফেলে টোকিয়োতে চলে আসে তেপ্পেই গায়ক হবার স্বপ্ন নিয়ে। এইজির সাথে তার বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। চারিত্রিক অনেক পার্থক্য থাকলেও মিউজিক নিয়ে দুইজনের একই ভালোলাগা, একই স্বপ্ন। কিন্তু তাদের স্বপ্নপূরণের পথটা মসৃণ হয় না। অনেক পরিশ্রম আর লেগে থাকাটাও বিফল হয়ে পড়ে। সেই অবস্থা থেকে কীভাবে এই দুইজন সামনে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে তাইই এখানে দেখানো হয়েছে।

MAL Rating: 7.14
Personal Rating: 8
Suggestion Priority: High

আর্টওয়ার্ক ভালো লেগেছে। কাহিনীর ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। তবে একটাই চ্যাপ্টার হবার কারণে কাহিনী বেশ দ্রুতই শেষ। তেপ্পেই-এইজির কঠিন পরিশ্রমের দিনগুলি জানার জন্যে তা মোটেও যথেষ্ট না। আরও কিছু চ্যাপ্টার থাকলে খুশি হতাম। তবে সব মিলিয়ে অখুশি না।

[NB: এই ওয়ান শট যে ট্রু স্টোরি নিয়ে করা তা জানতে পারার মূল কৃতিত্ব MAL এ এর উপরে থাকা একমাত্র রিভিউটি। এজন্যেই মূলত এটা নিয়ে আগ্রহী হওয়া] 

শিকড়ের সন্ধানেঃ পর্ব ৫

আজকের নাতিদীর্ঘ এপিসোডে আলোচিত হচ্ছে ফেইট স্টে নাইট আর ফেইট জিরোর হলি গ্রেইল আর সেবার, গিলগামেশ আর বার্সার্কারের ঐতিহাসিক ও মিথিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড।

(কনটেন্ট কারটেসিঃ বিখ্যাত এনিমখোর ফারসিম আহমেদ।)

আলোচিত এনিমেঃ ফেইট জিরো, ফেইট স্টে নাইট, আনলিমিটেড ব্লেইড ওয়ার্কস, কার্নিভাল ফ্যান্টাজম (প্যারোডি)

হলি গ্রেইলঃ 

হলি গ্রেইল আসলে কি সেটা নিয়ে অনেক ধরণের মত রয়েছে, কারো মতে এটা হলো পাত্র, কাপ যা দিয়ে যিশু কোন কিছু পান করতেন, আবার কারো মতে এ হলো সেই পাত্র যাতে সেইন্ট পিটার যিশুর রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রেইলের তাৎপর্য আর ক্ষমতা নিয়েও মতভেদ রয়েছে, ধারণা করা হয় এটি যেকোন রোগ নিরাময় করতে পারে, আবার যে কাউকে অমরত্ব দিতে পারে, আবার কোন এক লিজেন্ড অনুযায়ী হলি গ্রেইল যার কাছে থাকবে তার কোন অমঙ্গল সম্ভব নয়, খ্রিষ্টপর প্রথম শতক থেকেই গ্রেইল হান্টিং খ্রিষ্টান কমিউনিটির কাছে খুব জনপ্রিয় একটা ব্যাপার, কিং আর্থার আর তার বিখ্যাত নাইটরাও অংশ নিয়েছিল গ্রেইল কোয়েস্টে, অংশ নিয়েছিল ১২-১৩ শতকের দিকে হঠাৎ করে প্রভাবশালী হয়ে উঠা নাইট টেম্পলাররা।

কিছু মুভি যেখানে হলি গ্রেইলকে ফিচার করা হয়েছেঃ

দ্যা কোয়েস্ট অব দ্যা হলি গ্রেইল (১৯১৫)

মন্টি পাইথন এন্ড দ্যা হলি গ্রেইল, কমেডি মুভি (১৯৭৫)

এক্সক্যালিবার (১৯৮১)

সেইবার/ কিং আর্থার 

ফেইট স্টে নাইট- ফেইট জিরো এনিমের বিপুল আলোচিত সেবার, চোখ ঝলসানো রুপবতী দুর্ধর্ষ এই যোদ্ধার পাস্ট লিংকেজ হিসাবে এসেছে আর্থার, ‘দ্যা ওয়ান্স এন্ড ফিউচার’ কিং অব ইংল্যান্ড। ব্রিটোনিয়ান হিস্ট্রিতে প্রায় ৬০০ শতকে কিং আর্থারের লিজেন্ড পাওয়া যায়। অর্ধেক রোমান, অর্ধেক ব্রিটিশ রক্তের অধিকারী আর্থার রোমান সাম্রাজ্য পরবর্তী ব্রিটেনকে রক্ষা করেন স্যাক্সন আগ্রাসন থেকে। আর্থার আর তার দুঃসাহসী নাইটদের বীরত্ব, সাহসিকতা, মহানুভবতার গল্প ছড়িয়ে আছে ব্রিটেনের অলিগলিতে।

আর্থার আর বিখ্যাত তরবারী এক্স-ক্যালিবার (যা কোন আঘাতেই ভাঙ্গে না) মোটামুটি সর্বজনবিদিত, কিং আর্থার তার জ্ঞানী উপদেষ্টা (কোন বর্ণনায় ম্যাজিশিয়ান) মার্লিনের পরামর্শে রহস্যময় লেকে খুঁজে পান এই এক্স-ক্যালিবার, আর এর স্ক্যাবার্ড যেকোন আঘাতের বিরুদ্ধে শিল্ড হিসাবে কাজ করতে পারে। আর্থার সর্বমোট ১২টি যুদ্ধ জয়ে নেতৃত্ব দেন ব্রিটেনকে। তার সবচেয়ে ট্রাস্টেড নাইট ল্যান্সিলট আর আত্মীয় মরড্রেডের বিদ্রোহ দমনে গুরুতর আহত আর্থার, তখন তাকে একটি ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, তারপর আর কেউ তার খোঁজ পায় নি, কেউ বলে তিনি মারা গেছেন, আর কেউ বলে আর্থার এখনো জীবিত, ব্রিটেনের ভবিষ্যত কোন দূর্যোগে আবার ফিরে আসবেন তিনি ব্রিটেনকে জয়ের পথ দেখাতে, তাই তাকে বলা হয় ওয়ান্স এন্ড ফরেভার কিং

কিন্ত ফিরে আসার সময় যে তিনি সেবারের মত পরমাসুন্দরী রুপে আসবেন সেটা কিন্তু কোথাও বলা হয় নি !!

কিং আর্থার নিয়ে কিছু মুভিঃ

এক্সক্যালিবার (১৯৮১)

কিং আর্থার (২০০৪)- খুব ভালো, দেখা উচিত…

কেমেলট (টিভি সিরিজ, ২০১০)

লিজেন্ড অব কিং আর্থার (টিভি সিরিজ ১৯৭৯)

সিজ অব দ্যা সেক্সন্স (১৯৬৩)

দ্যা লাস্ট লিজিয়ন (২০০৭)

বার্সারকার/ হারকিউলিসঃ 

সম্ভবত আমাদের সবাই কমবেশি শুনেছি হারকিউলিসের নাম, মিথ, নাটক, মুভি, সিরিয়াল, গেইম বিভিন্নক্ষেত্রে অতি জনপ্রিয় শক্তিমত্তা আর বীরত্বের প্রতীক এই গ্রিক ডেমিগডকে তুলে আনা হয়েছে ফেইট স্টে নাইটের বার্সারকাররুপে…

হারকিউলিস মূলত গ্রীক ডেমিগড হেরাক্লসের রোমান নাম, কুইন অব আরগসের গর্ভে জন্ম নেওয়া দেবতাপুরী অলিম্পাসের অধিপতি বজ্রদেব জিউসের সর্বশেষ মনুষ্য সন্তান, অপ্রতিদ্বন্দ্বী শারীরিক শক্তির জন্য বিখ্যাত। হারকিউলিসের সর্বপ্রথম লিজেন্ড ছিল সম্ভবত কুখ্যাত মানুষখেকো নেমিয়ান লায়নকে খালি হাতে দমন করা, এছাড়াও হারকিউলিসের আছে বিখ্যাত ১২ লেবার (১২ টি কোয়েস্ট) যার মধ্যে অন্যতম হলো বহুমাথাওয়াল দানব হাইড্রা আর ভয়ংকর মিনাটর নিধন।

বার্সারকার চরিত্রে যেভাবে দেখানো হয়েছে হারকিউলিস তেমনই মাথামোটা, বদরাগী ছিল, তার বেশিরভাগ দুর্ভোগের কারণ তার বদমেজাজ আর বুদ্ধিশুদ্ধির অভাব, তবে বন্ধুবাৎসল আর মহানুভব হিসাবেও তার পরিচিতি রয়েছে। হারকিউলিস একমাত্র ডেমিগড যে মৃত্যুর পর পূর্ণ দেবতার স্থানে অধিষ্ঠিত হয়।

হারকিউলিসের কিছু মুভি ও টিভি সিরিজঃ 

হারকিউলিস ইউনিভার্সাল টেলিভিশন মুভিস (৫ টা মুভি, ১৯৯৪)

হারকিউলিস (১৯৯৭)

লিজেন্ড অব হারকিউলিস (২০১৪)

দ্যা লিজেন্ডারি জার্নিস অব হারকিউলিস (টিভি সিরিজ, ১৯৯৮)

ইয়াং হারকিউলিস (টিভি সিরিজ, ৯৮-৯৯)

গিলগামেশ/দ্যা কিং অব হিরোসঃ 

গিলগামেশ, ফেইট সিরিজের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র কিন্তু সরাসরি গ্রীক-এশিয়ান মিথ থেকে এসেছে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে রাজত্ব করা উরুকের (ব্যবিলন, বর্তমান ইরাক-দামেস্ক-সিরিয়া) রাজা। কথিত আছে, গিলগামেশ পুরো পৃথিবী জুড়ে তার রাজত্বকে সম্প্রসারিত করতে পেরেছিল, ইসলামী হিস্ট্রিতে একই টাইমলাইনে এরকম এক অত্যাচারী পুরো পৃথিবীর রাজা বখত-নসরের (কিংবা নমরুদ) উল্লেখ পাওয়া যায় যার সাথে খুব মিলে যায় এই গিলগামেশের।

গিলগামেশ আসুরিক শক্তির অধিকারী, তীব্র অহংকারী ও অত্যাচারী রাজা ছিল, তার অত্যাচারের নমুনা বলতে গেলেঃ উরুকের সমস্ত তরুণদের ধরে এনে বাধ্যতামূলক অসহ্য কায়িক পরিশ্রম করাত সে, আর তরুণীদের বিয়ের রাতে তার সাথে থাকতে হত, দেব-দেবীদের ও মানত না সে। দেবতারা তাকে শায়েস্তা করার জন্য পাঠান বনমানুষ এনকিদোকে, কিন্তু প্রচন্ড যুদ্ধের পর এনকিদো গিলগামেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধুতে পরিণত হয়, দু’জনে মিলে তারা বেরিয়ে পড়ে ভয়ংকর সব এডভেঞ্চারে, এর মধ্যে রয়েছে বুল অব হেভেন আর বনের অপদেবতা শামাস দমন।

ঘটনাক্রমে এনকিদো মারা গেলে গিলগামেশ শোকে অভিভূত হয়ে পরে, সে সমস্ত রাজত্ব-অহংকার-সৈন্যসামন্ত ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে জীবনের অর্থ অন্বেষণে আর অমরত্বের খোঁজে (এইখানে আবার আরেক পৃথিবীবিজয়ী সিকান্দার জুলকারনাইনের সাথে মিল রয়েছে), কিন্তু দীর্ঘ সাধনার পরও অমরত্বের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ১২৬ বছর রাজত্ব করার পর মারা যায় গিলগামেশ।

সমসাময়িক সমস্ত বীরদের চাইতে বেশি শক্তিশালী ছিল গিলগামেশ, আর সব ধনীর ধন এক করলেও তার সমান হত না, তাই তাকে বলা হয় কিং অব হিরোজ…।

 

ড়িভিউঃ Pokemon Origins – by Zakaria Mehrab

ইহাকে রিভিউ বলিলে রিভিউ এর অপমান হইবে , তাই আমি ইহাকে বলছি ড়িভিউ । ইহাই আমার প্রথম (এবং হোপফুলি শেষ) ড়িভিউ , তাই আশা করি ক্ষমাসুন্দর ও সুন্দরী দৃষ্টিতে দেখিবেন

ড়িভিউঃ Pokemon Origins

আপনি কি একজন দুর্ভাগা পোকেমন ফ্যান? জন্ম জন্মান্তর থেকে রিপিট হওয়া এপিসোড, এশ কেচাম এর বলদামি এবং হিন্দি মেগাসিরিয়াল কে হার বানানো এক একটি আর্ক দেখতে দেখতে আপনার “ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি” অবস্থা ? তাহলে আপনার, হ্যাঁ আপনার জন্যই Production I.G., Xebec এবং OLM Inc. বানিয়েছে পোকেমন অরিজিন । মূলত নিনটেনডো এর পোকেমন ফ্র্যাঞ্চাইজি ; মেইনলি পোকেমন রেড এন্ড ব্লু গেম এর কাহিনী অবলম্বন এ বানানো এই আনিমে (মতান্তরে ওভিএ) মাত্র ৪ এপিসোড এর ; জি হ্যাঁ , ভুল পড়েননি , মাত্র চার এপিসোড এ পোকেমন এর একটি আর্ক সমাপ্ত করে তারা দেখিয়ে দিয়েছে অনন্ত জলিল বাদ এ আরও অনেকেই অসম্ভব কে সম্ভব করার ক্ষমতা রাখেন । ৪টি এপিসোড এর প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত ।

বরাবরের মত কাহিনী শুরু হয় মাথায় ছিট ওয়ালা এক প্রফেসর এর বুড়ো বয়সের ভীমরতি কে কেন্দ্র করে, তার একদিন শখ হয় সকল বন্য জীবজন্তুর উপর তথ্য সংগ্রহ করার , এ জন্য সে নিয়োগ দেয় পাড়ার ছোটা মস্তান লাল মিয়া এবং তার নাতি নিলু আহমেদ কে , শুরু হয় চরম (এহেম) উত্তেজনাপূর্ণ, রোমাঞ্চকর এক অভিযান । এদিকে তাদের কাজে বাধা দেয়ার জন্য রয়েছে কুখ্যাত পোচার গ্রুপ রকেট সংঘ , লাল মিয়া কি ফাইরবে সকল বাধা অতিক্রম করে ন্যাশ্নাল হিরু হইতে ?? ফাইরবে কি সে বন্য প্রাণী ধরিয়া ধরিয়া তাহার টেনিস বলের স্টক শেষ করিতে ? জানতে হইলে আর দেরি না করে এখন ই মাত্র ৪ টি এপিসোড ডাউনলোড করে দেখা শুরু করে দিন পোকেমন অরিজিনস ।

এ প্রসঙ্গে বলে রাখি , আপনি যদি মাথা খাটানো এবং অপূর্ব সব কৌশল এ পরিপূর্ণ ব্যাটল উপভোগ করতে চান তাহলে আপনাকে হতাশ হইতে হবে , এখানে সবকিছুই হইবে হার্ডকোর ; ধুমধাড়াক্কা এবং বাংলা সিনেমা হইতে অনুপ্রাণিত, ঐখানে ছেলে মেয়ে গান গাইতে গাইতে স্কুল কলেজ ভার্সিটি পার হইয়া যায় , আর এইখানে লাল মিয়া বাইক দিয়া যাইতে যাইতে হয়ত দুই তিন টা জিম জিতিয়া ফালাইছে, এক দুইটা ঘুষিতেই হয়ত অপোনেনট এর পোকেমন কুপোকাত করিয়া লাইছে । আবার আপনি যদি জেসি এবং জেমস এর বেশ বড় ভক্ত হইয়া থাকেন তাইলেও এই জিনিস আপনাকে শান্তি দেবে না । তবে গেম এর সবচেয়ে মেমরেবল মুহূর্তগুলো আমার মতে ভালভাবেই ফুটে উঠেছে ৪টি এপিসোডে । সবদিক বিবেচনা করে বলতে পারি “দেইখা ফালান , কি আকা গেবনে“ ? ভালো লাগার ই কথা , না লাগলেও সমস্যা নাই, ৪ টা এপিসোড ই তো !! আপনার ফিল যাতে ওভারলোড না হইয়া যায় সেই দিক বিবেচনা করেই স্টুডিও তিনটি ডিসিশন নিয়ে নিয়েছে যে তারা আর পঞ্চম কোন এপিসোড বানাচ্ছে না

MAL babaji’s rating: 8.07
personal rating: 7.0

এক ঢিলে দুই- (Shounen Anime Suggestion)- by Mohaimenul Haque

Ao no exorcist (blue exorcist)

যারা টিভি সিরিজ দেখেন তাদের কাছে Winchester ভ্রাতৃদ্বয়কে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই । ভুত, দানো , ঘউল , ডিমনদের বিরুদ্ধে তাদের নায়কোচিত লড়াই এবং একই সাথে নিজেদের ভ্রাতৃত্ববোধের টানাপড়েন নিয়ে বানানো এই সিরিজ যারা দেখেছেন তারাই জানেন কি আকর্ষণ ছিল এর মধ্যে । এনিমে জগতে প্রায় তেমন গল্প নিয়েই বানানো হয়েছে ao no exorcist এবং শোনেন এনিমে হিসেবে চমৎকার । প্রথম দিকের পর্ব গুলো যেন supernatural এর স্মৃতিকেই ফিরিয়ে আনছিল । সাথে স্কুল লাইফ যুক্ত হয়ে হ্যারি পটারের কথাও মনে করিয়ে দিচ্ছিল ।
মূল চরিত্র satan এর ছেলেরা । কিন্তু তারা অর্ধেক মানুষও বটে । তাদের যুদ্ধ satan এর বিরুদ্ধে , আবার তাদেরকে সকলের বিশ্বাসও অর্জন করতে হবে । satan এর ছেলে হওয়ায় তাদের প্রতি আছে সবারই অবজ্ঞা । FMAB এর মত এখানেও আছে দুই ভাইয়ের সম্পর্কের রসায়ন (অবশ্যই সেভাবে তুলনীয় নয়) ।
Rin Okumura ব্যক্তিগতভাবে আমার পছন্দের চরিত্র । অন্যান্য চরিত্র গুলোও ভালো লেগেছে । Winchester ভাইয়েরা যেমন হান্টার , okumura ভাইরা হল exorcist . বাকি কাহিনী অনেকটাই এক । শেষের দিকে মনে হয় কিছুটা inuyasha র ছোঁয়াও পেয়েছি ।

Buso renkin

Nobuhiro watsuki নামটার জন্যই buso renkin দেখার একটা সুপ্ত ইচ্ছা ছিল । animax এ একসময় দেখাত , কিন্তু তখন কোন কারণে পুরোটা দেখা হয়নি । মাঝে মাঝে দু’ একটা এপিসোড দেখে ভালই মনে হচ্ছিল । এপিসোড সংখ্যা বেশি না হওয়ায় ডাউনলোড করে ফেললাম এবং প্রথম পর্ব দেখার পর অনুভূতি “নাহ! পটেনশিয়াল আছে ।”
একটা শোনেন এনিমের মধ্যে আপনি কি আশা করেন ? অবশ্যই একজন আদর্শ শোনেন । তাহলে আমার কথা বিশ্বাস করুন এই এনিমের protagonist Kazuki muto একজন আদর্শ শোনেন । নিজের জীবন দিয়ে হলেও সে রক্ষা করবে পৃথিবীকে , তার বন্ধুদেরকে , কোন বিপদই সে গ্রাহ্য করে না , চরম শত্রুকেও পরিণত করে মিত্রতে !!! shounen এনিমেতে যা যা থাকা দরকার তার সবই পাবেন এখানে ।সাথে আছে মিষ্টি মধুর romance এর ছোঁয়া ।আর কাজুকি মুটো আমার প্রিয় চরিত্র তো বটেই ।

দুটো এনিমেরই পরিণতি দেখে হতাশ । blue exorcist এ আন্দাজ করতে পারছিলাম কি হবে । তারপরও ডিমন-মানুষের প্রেম , দুই জগতের শান্তি পূর্ণ সহাবস্থান,satan এর মানবিক অনুভূতি – এগুলো আর কতকাল ?
Buso renkin এ একটা শক্তিশালী ভিলেন চরিত্রের অভাব বোধ করেছি । আমার কথা ভুল বুঝবেন না ।এই এনিমেতেই এনিমে জগতের অন্যতম powerful (literally speaking!! ) চরিত্র দেখান হয়েছে – একদম supreme being বলতে যাকে বোঝায় । কিন্তু শুধু গায়ের জোরে কি আর ভিলেন হওয়া যায় ?

আর কথা বাড়িয়ে লাভ কি ? Shounen genre যদি আপনি পছন্দ করেন তবে এক্ষনি দেখতে বসে পড়ুন ।

la corda d’oro primo passo – by Hrittwik Barua

আ্যনিমে : la corda d’oro primo passo (Kiniro no Corda: Primo Passo)

জনরা : কমেডি , ড্রামা , ম্যাজিক , মিউজিক ।

প্রথম দেখা আ্যনিমেগুলার মধ্যে একটা হওয়ায় এই আ্যনিমের প্রতি আলাদা একটা ভালো লাগা কাজ করে । কাহিনী মোটামুটি মানের হলেও অসাধারণ সব ক্লাসিকাল মিউজিক পিসগুলোর কারণে আ্যনিমেটা বেশি ভালো লাগে । Schubert, Chopin, Boccherini, Kreisler, Pachelbel, and Paganini মতো ক্লাসিকাল মিউজিকের মায়েস্ত্রোদের মিউজিক পিসগুলা শুনে আপনি মুগ্ধ হবেনই । যদিও আমি মিউজিকের কিছুই বুঝি না কিন্তু শুনতে ভালো লাগে । মূলত এই আ্যনিমেটা দেখার পরই ইউটিউবে সার্চ করে কিছু ক্লাসিকাল মিউজিক শুনছি ।

গল্প : সেইসো একাডেমির জেনারেল ও মিউজিক ডিপার্টমেন্টের মধ্যে জেনারেল ডিপার্টমেন্টের ছাত্রী হিনো কাহোকো যে আগে কখনোই কোন মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজায়নি । একদিন স্কুলে পৌছাতে দেরী হয়ে যাওয়ায় স্কুল প্রাঙ্গনে হঠাৎ করেই দেখতে পায় মিউজিক ফেইরি লিলি যাকে কিনা কাহোকো ছাড়া আর কেউই দেখতে পায় না । এইখান থেকেই মূলত কাহিনী শুরু হয় । লিলির কারণে স্কুলের ট্র্যাডিশনাল মিউজিক কম্পিটিশানে জেনারেল ডিপার্টমেন্ট থেকে একমাত্র নাম যায় কাহোকোর। যেহেতু কাহোকো কোন মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট বাজাতে পারে না সে লিলির থেকে একটা ম্যাজিকাল ভায়োলিন পায় যেটা কিনা একমাত্র সেই বাজাতে পারবে যে আসলে বিশ্বাস করে সে ভায়োলিন বাজাতে পারবে । এভাবেই কম্পিটিশানের প্রস্তুতি আর কম্পিটিটরদের নিয়ে কাহিনী আগাতে থাকে । ক্যারেক্টার ডেভেলাপমেন্ট গুলো ভালো লাগছে । যদিও বেশ রোমান্টিক কিন্তু ইন্ডিভিজুয়ালি কোন রোমান্টিক জুটি দেখায় না । কাহোকো আসলে কাকে পছন্দ করে সেটা রহস্যই থাকে । ব্যাপারটা একটু অস্বস্তিকর হলেও মজাই লাগে ।

মিউজিক : মিউজিক নিয়ে আসলে আর কিছুই বলার নাই । মিউজিক কম্পিটিশান নিয়ে যেহেতু আ্যনিমেটা আপনি অসাধারণ সব মিউজিক শুনবেন । ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক ও দারুণ ।

আমার পার্সোনাল ফেভারিট আভে মারিয়ার লিঙ্ক দিলাম এখানে : https://www.youtube.com/watch?v=EQYyNGJEsMo

ম্যাল রেটিং : ৭.৮
আমার রেটিং : ৭.৫

‘শিকড়ের সন্ধানে’ পর্ব ৪

নিপ্পনের সৃষ্টি আর সমকালীন আরো কিছু মিথঃ

নারুতো শিপ্পুডেন যারা দেখেছি প্রায় শেষ পর্যন্ত তারা মাঙ্গেকিউ শারিঙ্গনের শক্তিশালী জুতসু ইজানামি-ইজানাগি-সুসা’নো-সুকিওনোমি সম্পর্কে মোটামুটি জানি। কিশিমোতো সেন্সে এই নামগুলো নিয়েছেন সরাসরি জাপানিজ মিথলজি থেকে…

কোজিকিঃ

জাপানিজ মিথলজির সবচেয়ে পুরাতন দলিল হলো ‘কোজিকি’, বিভিন্ন মিথ কবিতা আর গানের মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছে এতে, ৫০০-৭০০ সালের দিকে এর সংকলনকাল। (অনেকটা বাংলা সাহিত্যের চর্যাপদের মতই, ৮ম-৯ম শতকের কবিতাসমগ্র, সর্বমোট সাড়ে ৪৬ টি কবিতা, মূল বিষয়ঃ মিথলজি)

তো এই ‘কোজিকি’ র প্রথম অংশ কামিও নো মাকি (দ্যা এইজ অব গডস) অনুযায়ী একদম শুরুতে ছিল ছিল ৫ জন ডেইটি, যারা সম্ভবত হিভেন আর ইউনিভার্স ক্রিয়েশনের সাথে জড়িত কিন্তু পরবর্তীতে এদের কোন বর্ণনা পাওয়া যায়না, এরা কোতোআমাতসুকামি (Distinguished heavenly gods) নামে পরিচিত। এদের পরপরি আসে সাত জেনারেশন কামি, যাদের সর্বশেষ জেনারেশন হলো দেবতাযুগল ইজানামি (গডেস অব ক্রিয়েশন) আর ইজানাগি (গড অব ক্রিয়েশন)।

ইজানাগি-ইজানামিঃ

কিশিমোতো সেন্সের প্রচন্ড শক্তিশালী এই অকুলার জুতসু যুগল জাপানিজ মিথে হলো জাপানের প্রধান আটটি দ্বীপের স্রষ্টা দেব-দেবী যুগল, প্রথমে ইজানাগি তার বিখ্যাত নাগিনাতা (একধরণের বর্শাসদৃশ ব্লেইড) সাগরের থেকে তুলে আনেন দ্বীপগুলো আর পরবর্তীতে এদের মিলন থেকে জন্ম নেয় আওয়াজি, আইইয়ো(শিকোকু), উকি, শুকুসি (কিউশু), ইকি, শুশিমা, সাদো আর ইয়ামাতো (হোনশু) দ্বীপগুলো। এদের থেকেই জন্ম নেয় বিভিন্ন দেব-দেবী, জাপানের এনসেস্টর- এম্পেরররা যাদের বংশধর, এ দৃষ্টিকোণ থেকে এদেরকে কতকটা আদম-হাওয়ার মতই ধরা যায়।

(Note: Izanami and Izanagi is also mentioned in the anime ‘Darker than Black’ and kind of goes with the myth too.)

আমাতেরাসু-সুকিওনোমি-সুসানোঃ 

মাঙ্গেকিউ শারিঙ্গনের পাওয়ারফুল জুতসু আমাতেরাসু প্রথম দেখানো হয় নারুতোতে ইতাচি আর জিরাইয়ার এনকাউন্টারে। আর সুসানো সর্বপ্রথম দেখানো হয় ওরোচিমারোর কার্সড সিলপ্রাপ্ত সাস্কের সাথে ইতাচির লড়াইয়ের সময়ে। জাপানিজ মিথ অনুসারে ইজানাগির বাম চোখ থেকে জন্মগ্রহণ করে সূর্য দেবতা আমাতেরাসু (দেখতে পারেন গ্রিক দেবতা এপোলা, মিল আছে) আর ডান চোখ থেকে জন্ম নেয় চন্দ্রদেবতা সুকিওনোমি (গ্রিক দেবী আরতেমিস)। আর সুসানো (পোসাইডনের মত কিছুটা) হল ধ্বংস, ঝড় আর সাগরের দেবতা, সে জন্ম নেয় ইজানাগির নাক থেকে।

ইতাচি আর সাস্কের ফাইটে সাস্কের কার্স সিল থেকে জন্ম নিয়েছিল আট মাথাওয়ালা এক বিরাট সরীসৃপ, মনে আছে তো? এটা হলো সার্পেন্ট ডিমন অরোচি (মূলতঃ একটা ড্রাগন), আর মিথে সুসানো তার তলোয়ার দিয়ে কেটে ফেলেছিল এই ডিমনের মাথা, ঠিক যেমন ইতাচির সুসানো কাটে এনিমেতে। অরোচির লেজ থেকে সুসানো খুঁজে পায় বিখ্যাত তরবারি ‘কুসানাগি’

 

জন্ম-মৃত্যুঃ

গডেস ইজানামি ফায়ার গড কুরোতসুচিকে জন্ম দিতে গিয়ে মারা যায়, আর ইজানাগি তাকে ফিরিয়ে আনতে যায় ইয়োমি বা আন্ডারওয়ার্ল্ডে। কিন্তু সেখানে গিয়ে ইজানাগি দেখে ইজানামি অলরেডি ইয়োমির অশুভ প্রভাবে নষ্ট হয়ে গেছে, তাই সে পালিয়ে চলে আসে। ইজানামি তার পিছু ধাওয়া করে তাকে কার্স দেয় যে, প্রতিদিন সে জাপানের ১০০০ বাসিন্দার মৃত্যু ঘটাবে, ইজানাগি পালটা জবাব দেয় যে সে ১৫০০ জনের জন্মের কারণ সৃষ্টি করবে। এভাবেই এই ইজানাগি-ইজানামি হলো জন্ম-মৃত্যু, শুভ-অশুভেরও দেব-দেবী যুগল।

‘শিকড়ের সন্ধানে’- পর্ব ৩

[ষড়মাত্রার ঋষি (দ্যা সেইজ অব দ্যা সিক্স পাথ)]


বিভিন্ন এনিমেতে বহুল ব্যবহৃত একটা টার্ম, বিশেষত নারুতো’র সবকিছুই কোন না কোনভাবে এই সেইজকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। রকুদো সেন্নিনের ছয়রাস্তার (ঠিক ছয় রাস্তা না, ছয় ডিমেনশন) বর্ণনা জাপানিজ মিথলজিতে যতটা না আছে তারচেয়ে বেশি পাওয়া যায় বুদ্ধধর্মের মূলকথায়।

বুদ্ধ ধর্মে মোট দশটি প্যারালাল ওয়ার্ল্ডের কথা বলা হয়, একে ডাইমেনশন হিসাবেই চিন্তা করা যায়, মানুষ অতীতের কাজের উপর নির্ভর করে পরজন্মে এর যেকোনটায় যেতে পারে বলে ধারণা করা হয়। তবে এই দশটি পাথ আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের মধ্যেই বিরাজমান, কারণ বুদ্ধদের বিশ্বাস সষ্ট্রা আমাদের প্রত্যেকের মাঝেই রয়েছেন। এই দশপাথের মধ্যে প্রথম ছয়টি হলো নিম্নস্তরের, এগুলোই সিক্স পাথ নামে পরিচিত, আর বাকি চারটা হলো উচ্চস্তরের, দ্যা ফোর নোবেল ওয়ার্ল্ড…

সিক্স পাথঃ
১) জিগুকোদো- হেল- সবচেয়ে খারাপ আর নিচের পাথ, এর বৈশিষ্ট্য হলো নারকীয় অত্যাচার আর কল্পনাতীত অশুভ…
২) গাকিদো- ক্ষুধার্ত অতৃপ্ত আত্মাদের ডিমেনশন
৩) চিকোশোদো- এনিম্যাল ওয়ার্ল্ড- অজ্ঞতা আর দাসত্বের প্রতিনিধিত্ব করে
৪) আসুরাদো- অসুর, ডিমন কিংবা অপদেবতার ওয়ার্ল্ড- ক্রোধ, হিংসা, যুদ্ধের প্রতিভু
৫) নিনদো- হিউম্যান ওয়ার্ল্ড- এদের মাঝে ভালো খারাপ দুটিই আছে, হাতের কাছে প্রজ্ঞার দরজা পেয়েও স্বার্থের তাগিদে অন্ধ হয়ে থাকে এরা…
৬) তেনদো- দেব-দেবীর পাথ- যদিও এরা আনন্দ আর মহানুভবতার মধ্যে বাস করে, ক্ষমতার আতিশয্য এদের অন্ধ করে দেয়, তাই এরাও সিক্স পাথের সর্বোচ্চ স্তরপর্যন্তই আছে…

ফোর নোবেল ওয়ার্ল্ড হলোঃ
১) জ্ঞানার্জন (Learning)
২) আত্ম উপলব্ধি ( Self Realization)
৩) বোধিসত্ত্বা (Altruism)
৪) বুদ্ধা (Supreme Happiness)
ফোর নোবেল ওয়ার্ল্ডে তারাই যেতে পারে যারা যাবতীয় ক্ষুধা, লালসা, ঘৃণা, হিংসা, ক্রোধ, আনন্দের উর্ধ্বে, এরা মূলতঃ বিভিন্ন শ্রেণীর মঙ্ক বা সেইজ। আমাদের আলোচিত সেইজ অব দ্যা সিক্স পাথ এমনই একজন সেইজ, তার সাথে যে আগায় রিং লাগানো লাঠি থাকে তাকে বলা হয় ‘সাকুজো’ (sounding stuff), মঙ্ক স্টাফ, প্রধানত প্রার্থনার কাজে ব্যবহার করা এই দন্ডের অনেক ধরণের ব্যবহার রয়েছে। বিভিন্ন রিচুয়ালে ব্যবহার করা হতো, আর জাপানিজ মঙ্করা সাকুজো ব্যবহার করত আত্মরক্ষা ও যেকোন ফাইটিং এ।

সাকুজো মূলতঃ তিন ধরণের হয়ে থাকেঃ
১) চার রিং এর- ফোর নোবেল ট্রুথ বুঝায় (দুঃখ, দুঃখের কারণ, পরিত্রান, পরিত্রানের রাস্তা)- সাধারনত নবিশ মঙ্করা এধরণের সাকুজো ব্যবহার করে…
২) ছয় রিং -সিক্স পাথ বুঝায়- বোধিসত্ত্বারা ব্যবহার করে…
৩) ১২ রিং- বুদ্ধা ব্যবহার করে
তাহলে ব্যবহৃত সাকুজোর টাইপের উপর ভিত্তি করে বলা যায় নারুতোর রকুদো সেনিন বোধিসত্ত্বার অধিকারী একজন বোদ্ধ সন্নাসী।


‘শিকড়ের সন্ধানে’- পর্ব ২

“দ্যা ওয়ে অব নিনজা (অন্ধকারের রহস্যময় গুপ্তঘাতক)”

এনিমে বিশ্বে কম বেশি যাওয়া-আসা আছে কিন্তু নারুতো সম্পর্কে জানে না এমন কেউ নেই, তাই নিনজা কিংবা শিনোবি শব্দটিও আমাদের অতি পরিচিত। সাধারণ ধারণাটা হয়ত এরকম, নিনজারা আনসাং হিরো, সুপারহিউম্যান ক্ষমতার অধিকারী, লোকচক্ষুর আড়ালে-আবডালে নানারকম মিশন সফল করে সাপোর্ট দিয়ে চলেছে সমাজকে, নিজের জীবন বিপন্ন করছে দেশকে রক্ষার জন্য, কতকটা আজকের সিআইএ কিংবা অন্য স্পেশাল ইন্টেলিজেন্স ব্রাঞ্চগুলোর মত। একবিংশ শতাব্দীর স্পাই, শেডি ডিটেকটিভ, স্পেশাল এজেন্টদের পূর্বপুরুষ এই নিনজাদের জীবনধারা কেমন ছিল, কিভাবে সূচনা হলো নিনজুৎসুর, জাপানের ইতিহাসে তাদের ভূমিকা কি ছিল?

শিনোবি শব্দের অর্থ অনেকটা ‘নিস্তব্ধে ছিনিয়ে নেওয়া’ যা নিনজাদের কাজকর্মের অনেকটাই ধারণা দিয়ে দেয়। জাপানে নিনজাদের উৎপত্তি হয় ফিউডাল এইজে, মোটামুটি ১২-১৫ শতকের দিকে, তবে তকুগাওয়া এরায় (১৬০০-১৮৬৮) এদের দূর্দান্ত প্রতাপ দেখায় যায়। নিনজাদের জীবনধারা ছিল মূলতঃ সামুরাইদের ঠিক বিপরীত, সামুরাইরা যেমন সুস্পষ্ট কোড বুশিডো মেনে সম্মানের সাথে জীবনযাপন করত আর যুদ্ধক্ষেত্রে সামনের সারিতে ঝাঁপিয়ে পড়ত, নিনজাদের নির্দিষ্ট কোন সিস্টেম ছিল না, উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য যেকোন ধরণের অসদুপায়-নিকৃষ্ট কাজ করতে তাদের বিবেকে বাধত না, বেসিকেলি তাদের বিবেক বলতেই কিছু ছিল না। তারা ছিল ভাড়াটে যোদ্ধা, অর্থের জন্য যে কারো সাথে বেইমানি কিংবা যে কারো পক্ষে কাজ করতে তাদের কিচ্ছু যায় আসত না। এ কারণে মূলতঃ এসাসিনেশন, স্যাবোটাজ, স্পাইয়িং এদের মূল কাজ ছিল। তৎকালীন শাসকদের জন্য কম কষ্টে, বিনা অযুহাতে প্রতিপক্ষ কিংবা শত্রুকে নীরবে ধ্বংস করার এমন মাধ্যম খুব আকর্ষণীয় ছিল, তাই নিনজারা হয়ে উঠেছিল অত্যন্ত জনপ্রিয় আর প্রভাবশালী।

শুরুতে বিচ্ছিন্নভাবে শুরু করলেও ১৪ শতকের দিকে নিনজারা ধীরে ধীরে সঙ্গবদ্ধ হতে শুরু করে, ফলে ধীরে ধীরে সূচনা হয় বিখ্যাত নিনজা ক্ল্যান ইগা আর কোগা ক্ল্যানের, অন্য নিনজাদের সাথে এদের অনেক পার্থক্য ছিল, এরা ছিল ডেডলি, শক্তিশালী প্রফেশনাল নিনজা, ১৪৮০ থেকে ১৫৮০ সালের দিকে ফিউডাল লর্ডদের মাঝে বিভিন্ন কাজে এদের চাহিদা ছিল অত্যন্ত বেশি, মূলতঃ গুপ্তহত্যা আর এসপিওনাজের জন্য। কিন্তু এমন গুপ্তহত্যার চেষ্টাই তাদের কাল হয়ে দাঁড়ায়, বিখ্যাত সামুরাই লর্ড নবুনাগাকে হত্যার চেষ্টা করায় ক্ষিপ্ত হয়ে নবুনাগা তাদের নিশ্চিহ্ন করে দেন।

মেজি রেস্টোরেশনের আগে টোকিও র অলি গলিতে রাজত্ব করা আরেক নিনজা ক্ল্যান ওনিওয়াবান গ্রুপ, এরা কিন্তু সরাসরি অষ্টম শোগান তকুগাওয়া ইউসিমুনের বানানো ইতিহাসের প্রথম স্বীকৃতিপ্রাপ্ত সিক্রেট সার্ভিস ও ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি, এদের মূল দায়িত্ব ছিল ফিউডাল লর্ড ও গবমেন্ট অফিসিয়ালদের উপর কড়া নজর রাখা, মেজি এরায় ধীরে ধীরে কমে আসতে থাকে নিনজাদের দৌরাত্ম্য, একসময় নিনজা হয়ে উঠে আঞ্চলিক লিজেন্ড আর মিথের সংমিশ্রন সৃষ্ট রহস্যময় লোকগাঁথা।

নিনজাদের রহস্যময় সুপারহিউম্যান টেকনিক আর স্কিল সম্পর্কে প্রচলিত আছে অনেক গুজব আর উপকথা, বলা হয় তারা অদৃশ্য হতে পারত, নিজের রেপ্লিকা তৈরী করতে পারত, বিভিন্ন প্রাণি কিংবা অন্য মানুষের বেশ নিতে পারত, নিয়ন্ত্রণ করতে পারত আগুন, পানি, বাতাস। তবে এসবকিছুর কোন সুনির্ধারিত দলিল নেই। সে যাইহোক, নিনজারা ‘নিনজুৎসু’ (দ্যা আর্ট অব স্টিলথ) নামক বিশেষ মার্শালআর্ট চর্চা করত, কঠোর সাধনার মাধ্যমে তারা এমন সব করতে পারত যা পারতপক্ষেই সাধারণের চিন্তার অনেক উর্ধ্বে। এই নিনজুতসু মূলতঃ জাপানের রহস্যে ঢাকা ধর্ম ‘শিন্তো’, বুদ্ধ সেইজআর্ট আর চাইনিজ মার্শালআর্ট থেকে পরিপূর্ণতা লাভ করেছে।
নিনজা ওয়ারফেয়ারঃ টেকনিক, ছদ্মবেশ, অস্ত্র-শস্ত্র সম্পূর্ণ ব্যতিক্রমধর্মী আর তাক লাগানো, বেশিরভাগ নিনজা ট্যাকনিক সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় বিভিন্ন ধরণের নিনজা স্ক্রল থেকে, কয়েকটা বেশ মজারঃ

১) গার্ডকে বিভ্রান্ত করতে আগুন লাগিয়ে দেওয়া- কাতন নো জুতসু, ফায়ার টেকনিক!
২) গাছে উঠে ক্যামোফ্লেজ নেওয়া, মুকতোন নো জুতসু, উড টেকনিক!
৩) আগাছা কিংবা লতাপাতা দিয়ে ঢেকে পানির নিচ দিয়ে চলাচল করা, সুইতন নো জুতসু, তারা মিজুগোমো নামক গাছের জুতো ব্যবহার করত পানির উপর দিয়ে হাটার জন্য!
৪) বলের মত গুটি মেড়ে নিশ্চল বসে থাকা, স্টোন টেকনিক…!
কি নারুতোর সাথে তেমন অমিল নেই, তাই না ?!

ছদ্মবেশ নিনজা ওয়ারফেয়ারের মূলবৈশিষ্ট্য, কখনো মঙ্ক, এন্টারটেইনার, কখনো রনিন কিংবা ভ্যাগাভন্ড, কিংবা কখনো ভবিষ্যত বক্তা হিসাবে নিনজারা তথ্য সংগ্রহ করে বেড়াত, আজকের দিনের জেন্ডার বেন্ডিং কসপ্লে কিন্তু খুব জনপ্রিয় ছিল নিনজাদের মাঝে। নিনজা ওয়ার টেকনিকগুলো খুব স্পেশাল ছিলঃ
১) এরা দলবদ্ধভাবে কাজ করত, পাসোয়ার্ড মেইনটেইন করত ২) প্রতিপক্ষ সৈন্যদের পোশাক পরে তাদের দলে ভিড়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করত ৩) এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রে পিছুহঠবার প্রয়োজনে নিজের দলের উপর চড়াও হত তারা, এই টেকনিক বিভিন্ন গৃহযুদ্ধ-বিদ্রোহ দমনেও ব্যবহার করা হয়।

নিনজাদের লাইফস্টাইল-ফাইটিং, টেকনিক আর ভিশন সম্পর্কে আরো জানতে দ্রুত দেখে নিতে পারেন কয়েকটা টেক্সটের সামারি, বিখ্যাত ‘জিরাইয়া গোকেতসু মনোগাতারি’ যার থেকে নারুতোর কাহিনী এসেছে কতকটা, ফুওতারো ইমাদা’র “দ্যা কোগা নিনজা স্ক্রল”, “দ্যা আর্ট অব ওয়ার”…

## এনিমেঃ নিনজাদের ফিচার করা এনিমের সংখ্যা কম হলেও মোটামুটি অনেক এনিমেতেই নিনজা ওয়ারিয়রদের দেখানো হয়েছে বিভিন্ন স্টাইলের ফাইটিং আর টেকনিক সহ।
১- নারুতো/নারুতো শিপ্পুডেনঃ তেমন কোন হিস্টোরিক্যাল বেস না থাকায় এটা দেখলে নিনজাদের সম্পর্কে সত্যিকারের ধারণা পাবার সম্ভাবনা কম, তবে তাদের লাইফস্টাইল, হাতিয়ার আর ওয়ারফেয়ার সম্পর্কে অবশ্যই ধারণা পাওয়া যাবে কিছুটা, আর এনিমেটা নিয়ে বলার তেমন কিছুই নেই, একজন এনিমখোরের বিরাট একটা অপূর্ণতা থেকে যাবে এটা না দেখলে, আমার পারসোনাল মোস্ট ফেভারিট, রেটিং- সাড়ে ৯/১০।
২- বাসিলিস্কঃ এই এনিমেতে ইগা আর কোগা ক্ল্যানের ইন্টারনাল ক্ল্যাশ দেখানো হয়েছে, নিনজাদের শক্তিমত্তা, ডিসেপশন, বিশ্বাসঘাতকতা, অনর্দ্বন্দ্ব আর ভয়াবহতা কিছুটা রিয়ালিস্টিকভাবে তুলে আনা হয়েছে এত, কিছুটা ভায়োলেন্স আর নুডিডিটি আছে, রেটিং সাড়ে ৭/১০
৩- নিনজা স্ক্রলঃ এক মারসেনারি নিনজার কাহিনী, একটা এনিমে আর একটা মুভি আছে, কিছুটা ভিন্নতা আছে কাহিনীতে। এনিমে রেটিং- ৭
৪- রুরোনি খেনশিনঃ ওনিওয়াবান নিনজা গ্রুপের কাহিনী চলে এসেছে এতে।
৫- কাতানাগাতারিঃ মানাবা নিনজা গ্রুপ
এছাড়া বিভিন্ন এনিমেতে অনেক ক্যারেক্টার আছে যারা নিনজা স্টাইল ধারণ করেছে, যেমনঃ ইউরোইচি, সইফন- ব্লিচ; শিগুরে-কেনিচি; ব্ল্যাক স্টার,সুবুকি- সোল ইটার; আয়ামে-গিনতামা, Sarutobi- Samurai Deeper Kyou …

এছাড়া আছে ‘Teenage Mutant Ninja Turtle’- অস্থির একটা কার্টুন, আর আছে ‘নিনজা হাত্তরি কুন’ (দেখলেই বুঝবেন কি জিনিস!)

#‪#‎নিনজাদের‬ নিয়ে কিছু মুভিঃ
১) নিনজা এসাসিন
২) আমেরিকান নিনজা সিরিজ
৩) জি আই জো

 

 

 

 

যেসব এনিমে দেখে কখনোই পস্তাবেন না! – শাফিউল মুনীর

কিছুদিন ধরেই ভাবছিলাম বেস্ট ২০ কিংবা বেস্ট ২৫ টা এনিমের একটা লিস্ট বানাবো, কিন্তু সিলেক্ট করতে হিমশিম খেতে হয়, এই বিকটাকার এনিমে জগতকে এত ক্ষুদ্র পরিসরে নিয়ে আসা সাধারণ এনিমখোরদের জন্য বেশ কঠিন ব্যাপার। এই লিস্টটি বেসিকেলি আমার সবচেয়ে পছন্দের কিছু এনিমের লিস্ট, তবে এতটুকু গ্যারান্টি দিচ্ছি যে এর মধ্যে কোনটা দেখে কারো বেশি খারাপ লাগবে না, কিংবা ‘দেখে লস হয়েছে’ এমন ভাবনা আসবে না। তাই কেউ যদি কোনটা না দেখে থাকেন দ্রুত দেখে ফেলার আহবান রইল। যেহেতু আমি শৌনেন এনিমে বেশি দেখেছি, তাই লিস্টে বেশিরভাগ শৌনেন…আর এনিমেগুলোর রিভিউ কিংবা সিনোপ্সিস বলা আমার উদ্দেশ্য না, কিছুটা পাবলিসিটি করছি মাত্র। গ্রুপের ওয়েবসাইটে অনেকগুলোর রিভিউ পাওয়া যাবে, আর মাই এনিমে লিস্ট ত দেখে নিতে পারেনই, তারপরও কোন এনিমে সম্পর্কে আরো কিছু জানতে চাইলে একটা কমেন্ট করতে পারেন। (এনিমেগুলো রেন্ডম সিরিয়ালে দেওয়া আছে).

১। ডেথনোটঃ অসাধারণ শ্বাসরুদ্ধকর একটা থ্রিলার, এনিমে জগতের প্রতিনিধি বলা যেতে পারে একে, যেকোন এনিমেহেটারও এটা দেখে পজিটিভ কিছু বলে যেতে বাধ্য, আপনি এনিমে দেখেন শুনলেই সবাই এর কথা প্রথমে জিজ্ঞেস করবে, মাস্ট সিন লিস্টে খুব উপরের দিকে… রেটিং- ৯/১০

২। ফুলমেটাল আলকেমিস্ট ব্রাদারহুডঃ আমার কাছে মনে হয়েছে এর থেকে পারফেক্ট কোন এনিমে হওয়া পসিবল না, যা যা থাকা দরকার সব আছে, রেটিং ১০/১০, সর্বকালের সেরা এনিমে বলে কিছু থাকলে এটাই।

৩। বাকুমানঃ আমার দেখা সেরা স্লাইস অব লাইফ, মাঙ্গাকাদের জীবন নিয়ে বানানো এই এনিমেটি দেখার পর চিন্তাভাবনার ধরণ অনেক পালটে গেছে, মাস্ট সিন একটা এনিমে, আর মাঙ্গাটা এনিমে থেকে ভালো। রেটিং – সাড়ে ৯/১০

৪। কোড গিয়াসঃ ডেথনোটের সেইম জেনারের এনিমে যেটাকে আমি পারসোনালি ডেথনোটের থেকেও এগিয়ে রাখব, কাহিনী, ক্যারেক্টার ডেভলাপমেন্ট, ফাইটিং, এন্ডিং সবই অস্থির। রেটিং- সাড়ে ৯/১০

৫। হিউকাঃ খুব সাধারণ মানের একটা সহজ সরল এনিমে, কিন্তু এর সাধারণত্বই একে অন্যরকম একটা লেভেলে নিয়ে গেছে, মিস্ট্রি, স্কুল লাইফ, স্লাইস অব লাইফ টাইপ জেনার, খুব নিরীহ, নিষ্কলুষ একটা এনিমে, একটু স্লো হলেও দেখতে খারাপ লাগবে না। রেটিং- ৯/১০

৬। স্ল্যাম ডাঙ্কঃ স্পোর্টস এনিমে অনেকেরই ভাল লাগে না, কিন্তু স্ল্যাম ডাঙ্ক সবার ভাল লাগতে বাধ্য, এটা দেখে হাসিতে গড়াগড়ি না খেয়ে কোন উপায় নেই, বাস্কেটবল গেমের পাশাপাশি অসাধারণ হিউমার, কাহিনি আর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট একে অন্যতম সেরা স্পোর্টস এনিমে হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রেটিং- ৯/১০

৭। ডি গ্রে ম্যানঃ শৌনেন এনিমের মধ্যে অপেক্ষাকৃত কম আলোচিত, কিন্তু বেশ ভাল একটা এনিমে, কাহিনী, ফাইটিং, প্লট খুব ভাল, অনেক হিউমারাস স্ট্যান্ডার্ড ডায়লগ, তবে এন্ডিং পুরাপুরি না হওয়াতে কিছুটা কমে গেছে এর আপিল, তবু না দেখার কোন কারণ নেই। রেটিং- সাড়ে ৮/১০

৮। Nura Rise of Yokai Clan নুরারিহিয়ন নো ম্যাগোঃ সম্ভবত খুব আন্ডাররেটেড একটা এনিমে, এটা নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুনি খুব কম। একটা খুব ভাল শৌনেন এনিমের সব ধরণের এলিমেন্ট ভালমত আছে এতে, সবাই দেখতে পারেন, তবে এখানেও দুই সিজন মিলে পুরাপুরি কাহিনীর শেষ হয় নাই, তবে একটা এন্ডিং আছে…রেটিং- সাড়ে ৮/১০

৯। মেজাইঃ দ্যা ল্যাবরিন্থ অব ম্যাজিক, কিংডম অব ম্যাজিকঃ আমার খুব পছন্দের একটা এনিমে, দুইটা সিজন হয়েছে, খুব ভাল কাহিনী, ফাইটিং, আর পটেনশিয়াল অনেক, মাঙ্গায় চলমান কাহিনী বেশি জটিল, হয়ত ভবিষ্যতে খুব ভাল কিছু একটা হবার সুযোগ রয়েছে। রেটিং – ৯/১০

১০। নারুতোঃ আমার সবচেয়ে বেশি পছন্দের এনিমে, নারুতো আমার সবথেকে ফেভারিট ক্যারেক্টার, ফিলার ছাড়া বিবেচনা করলে নারুতো আর নারুতো শিপ্পুডেনের মত অস্থির এনিমে খুব কমই আছে…এটা না দেখে থাকলে এনিমে জগতের অনেক বিশাল একটা অংশ মিস করবেন, এটা আপনাকে মন খুলে হাসাবে আর আপনার চোখের পানি বের করে ছাড়বে, এর বেশি আর কি প্রয়োজন? বায়াসড রেটিং- সাড়ে ৯/১০

১১। Silver Spoon (গিন নো সাজিঃ এফএমএবির রাইটারের আরেকটা অদ্ভুত ব্রিলিয়ান্ট কাজ, স্লাইস অব লাইফ, স্কুল লাইফ খুব ব্যতিক্রমধর্মী একটা কাহিনির মাধ্যমে ফুটে উঠেছে, দুই সিজন এসেছে, খুব মজার আর ভাল, তবে শোনা যাচ্ছে আর এনিমে হবে না, মাঙ্গা এগিয়ে চলছে, না দেখলে এখনি শুরু করুন, খুব ভালো কয়টা দিন যাবে… রেটিং- ৯/১০

১২। সাইকো পাসঃ সাইকোলজিক্যাল থ্রিলারের জগতে আরো একটি অসাধারণ এনিমে, খুবই চিত্তাকর্ষক প্লট, প্রথম সিজন শেষ করে দ্বিতীয় সিজনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি, একটা পর্ব দেখলেই টেনে ভিতরে নিয়ে যাবে আপনাকে, শেষ করার আগে বেরুতেই পারবেন না। রেটিং- ৯/১০

১৩। স্টেইন্স গেটঃ খুব ভাল সাই-ফাই, থ্রিলার, মজাটা শুরু হতে একটু টাইম নেয়, কয়েকটা এপিসোড ধৈর্য্য ধরে বসে দেখতে হবে, একবার শুরু হলে আর উঠা লাগবে না। রেটিং- ৯/১০

১৪। ফেইট জিরো-ফেইট স্টে নাইটঃ বহুল আলোচিত এনিমে, ফেইট জিরো খুব বেশি ভাল, ফেইট স্টে নাইট ও অনেক ভাল লেগেছে আমার, ফাইটিং, ক্যারেক্টার আর ট্যাকটিক্স সবকিছুই আকর্ষণীয়। রেটিং- জিরো- ৯/১০, ফেইট স্টে নাইট- সাড়ে ৮/১০

১৫। এভাটারঃ দ্যা লাস্ট এয়ারবেন্ডার, এভাটারঃ কোরাঃ এটা এনিমে জগতে প্রবেশাধিকার পায় নি, একটা কার্টুন, কিন্তু কাউকে এনিমখোর বানাতে চাইলে সবার আগে এটা দেখতে পরামর্শ দিতে পারেন, প্রথম এনিমেটা এভাটার এং এর কাহিনী, ফাইটিং, ফান সবকিছু অতি উচ্চমানের। পরের এনিমেটা ভিন্ন এক এভাটারের কাহিনী, ভাল… রেটিং, প্রথমটা- সাড়ে ৯, পরেরটা সাড়ে ৮

১৬। গিনবান কেলাইডেস্কোপঃ মাত্র ১২ এপিসোডের ডিফারেন্ট টাইপ একটা স্পোর্টস এনিমে, আর সাথে ব্যতিক্রমধর্মী রোমান্স, অবশ্যই দেখা উচিত… রেটিং- ৯

১৭। The Garden of Sinners (কারা নো কিউকাইঃ থ্রিলার, মিস্ট্রি, হরর জেনারের একটা অসাধারণ উদাহরণ, মূলতঃ ৭ টি ভিন্ন ভিন্ন মুভি মিলে এই সাত পর্বের কালেকশনটা একটা মুহূর্তের জন্যও বোরিং লাগার কথা না। রেটিং- সাড়ে ৮

১৮। ফেয়ারি টেইলঃ অতি বিতর্কিত একটা এনিমে, কাহিনী-ফাইটিং-মিউজিক-ক্যারেক্টার খুব ভাল, তবে অনেক নেগেটিভ দিক রয়েছে, দেখে সিদ্ধান্ত নেন, কন্টিনিউ করবেন কিনা, শৌনেন লাভারদের অবশ্যই ভালো লাগবে,দেখবেন… রেটিং- সাড়ে ৮

১৯। ওয়ানপিসঃ একটা মাস্টারপিস, দিনের পর দিন শুধু ভাল থেকে ভালতর হচ্ছে এই এনিমেটা, অনেকেই শুরু করতে চান না বিশাল সাইজ দেখে, আবার প্রথমদিকের কিছু পর্ব দেখে অতি আকর্ষনীয় মনে না হওয়াতে অনেকে রেখে দেন, কিন্তু বিশ্বাস করুন, ‘একজন এনিমখোরের জন্য ওয়ানপিস ই যথেষ্ট’, শুধু কষ্ট করে দেখে ফেলেন ৩০০ টার মত এপিসোড, তারপর শুধু চোখ আটকেই থাকবে না, পুরো দুনিয়া ছেড়ে ওয়ানপিসের জগতে হারিয়ে যাবেন, ফেরত আসতে পারেন কিনা সন্দেহ আছে !…রেটিং- সাড়ে ৯

২০। ব্লিচঃ বিগ থ্রির গর্বিত সদস্য, সম্ভবত সবচেয়ে সেরা ফাইটিং এনিমে বলা চলে, এই এনিমেতেই আছে এনিমে জগতের অন্যতম সেরা ভিলেন, এক একটা ডায়লগ-ফিলসফি সুপার ক্লাস, না দেখে থাকলে আপনার এনিমে ক্যারিয়ার অবশ্যই অপূর্ণ। রেটিং-৯

২১। জায়ান্ট কিলিং– ফুটবল নিয়ে নির্মিত এই স্পোর্টস এনিমেটি অনেক ব্যতিক্রমধর্মি এর স্বজনদের থেকে, ফুটবল লাভাররা অবশ্যই দেখবেন, রিয়ালিস্টিক, উত্তেজনাপূর্ণ, গতিময় আর অনেক উপভোগ্য, দেখলেই বুঝবেন কেন দেখা উচিত…রেটিং ৯

২২। গোসিকঃ মিস্ট্রি-ডিটেক্টিভ জনরার একটা ছোটখাট এনিমে, তালিকার বাকিগুলোর মত হাই প্রোফাইল না, তবে মিস্ট্রিগুলা খুব ই ভালও, দেখতে অবশ্যই ভাল লাগবে…রেটীং – সাড়ে ৮

২৩। কাতেকিউ হিটম্যান রিবর্ন- আরো একটা আন্ডাররেটেড শোনেন, খুব ভালো কাহিনী, ফাইটিং, শুরুর দিকে বেশ কিছুক্ষণ ধৈর্য্য ধরে দেখতে হবে, একটা বাচ্চা বাচ্চা টাইপ লাগতে পারে, কিন্তু মূল কাহিনী একবার শুরু হবার পর আটকে যাবেন পর্দায়, এনিমেতে একটা নির্দিষ্ট আর্ক পর্যন্ত দেখানো হয়েছে, বাকিটা মাঙ্গা পড়তে পারেন। রেটিং- ৯

২৪। কেনিচিঃ হিস্টোরিস মাইটিয়েস্ট ডিসিপালঃ মার্শাল আর্ট, ফিস্ট ফাইট জেনারের আমার দেখা বেস্ট এনিমে, ডায়লগ খুব মজার, যদিও এনিমেতে মাত্র ৫০ এপিসোডে (মাঙ্গা চ্যাপ্টার ১৪০ এর মত) শেষ করে দিয়েছে, সেগুলোও বেশ উপভোগ্য, আর মাঙ্গাটা অনেক ভাল (চ্যাপ্টার ৫৭০ এন্ড অনগোয়িং)…রেটিং- ৮

২৫। দুরারারাঃ বেশ ব্যতিক্রমধর্মী একটা এনিমে, একশন-মিস্ট্রি জেনারের, কাহিনীর ডেভেলপমেন্ট বেশ ইন্টারেস্টিং, নেরেশন আর পেসটা ভালো লাগতে বাধ্য, বেশকিছু ভালো লাগার মত ক্যারেক্টার আছে এতে, অবশ্যই দেখতে হবে এমন আরো একটি এনিমে, সম্ভবত দ্বিতীয় সিজন শীঘ্রই আসছে, অপেক্ষায় আছি… রেটিং- ৯/১০

২৬। হান্টার* হান্টারঃ অনেকেই নারুতোর সাথে এর অনেক মিল খুঁজে পেতেন প্রথমদিকে, কিন্তু বর্তমান আর্কগুলো দেখে তাদের ধারণা পাল্টাতে বাধ্য, খুব অস্থির একটা শৌনেন এনিমে, কিছুদিন আগে শেষ হওয়া এর চিমেরা এন্ট আর্কটা সম্ভবত এনিমে দুনিয়ার অন্যতম সেরা আর্কগুলোর মধ্যে একটা, প্রথম থেকেই কাহিনী, ডায়লগ, ফাইটিং সবকিছু ভালো। রেটিং- ৯/১০

২৭। সামুরাই এক্স- রুরোনি খেনশিন- আমার দেখা প্রথম এনিমে, তখন এটার মর্ম বুঝতে পারি নি, একটা মাস্টারপিস- ক্লাসিক এনিমে, সামুরাই-সোর্ড ফাইটিং লাভার না হলেও মাস্ট সিন, খেনশিন হিমুরার মত ক্যারেক্টার দেখতে পারাটাই অনেক সৌভাগ্যের, এনিমে দুনিয়ার আরেক কুল ভিলেনও আছে এতে। রেটিং- সাড়ে ৯ ২৮। গিনতামাঃ এটা সম্পর্কে কিছু বলতে চাই না, শুধু বলব এটা না দেখলে খুব বড় কিছু একটা মিস করবেন, বেশি বড়, তবে এটা দেখার আগে বেশকিছু এনিমে দেখে নেওয়া উচিত, তাহলে আসল মজাটা পাবেন, বিভিন্ন এনিমের নানাদিককে মাঝে মধ্যেই তুলে আনা হয়েছে এতে খুব ক্লাসিক হিউমার হিসাবে… রেটিং- ৯/১০

আরো কিছু এনিমে যা অবশ্যই দেখা উচিত- Kingdom, মনস্টার, কাউবয় বিবপ, সামুরাই চ্যাম্পলু, ব্ল্যাক ক্যাট, কিউ কারো মাউ, তরিকো, হানি এন্ড ক্লোভার, তোরাদোরা, ইউ ইউ হাকুশো, এডেন অব ইস্ট, তরিকো, মেলানকোলি অব হারুহি সুজুমিয়া, লগ হোরাইজন, স্পাইস এন্ড উলফ, ডিটেক্টিভ একাডেমি কিউ, সোল ইটার, শিনগেকি নো কিয়োজিন, নোডামে ক্যান্টিবেলে, ফ্যান্টমঃরিকোয়েম, মুশি শি, জোজোস বিজার এডভেঞ্চার, ইনিশিয়াল ডি, হাজিমে নো ইপ্পু, বার্সার্ক, ড্রাগন বল, ড্রাগন বল জি, ডিটেক্টিভ কোনান, ক্লানাড, চিহায়াফুরু, বকুরা ওয়া মিন্না কাওয়াইসো, এইস অব ডায়মন্ড, Cross Game, One Outs, Kuroko no Basuke… … শেষ নাই শেষ নাই, ভাল এনিমের শেষ নাই… !!!

Keep calm and watch Anime… And also don’t forget, life comes first, anime is only for recreational purpose, don’t be an Otaku, that’s seriously bad.