Steins;Gate 0 [রিভিউ] — Shifat Mohiuddin

Steins Gate 0

Steins;Gate 0
জনরা: সায়েন্স ফিকশন
পর্ব: ২৩
স্টুডিও: White Fox
ম্যাল রেটিং: ৮.৮

স্পয়লার অ্যালার্ট!!!
(যারা ২০১১ সালে বের হওয়া Steins;Gate সিরিজটি দেখেন নি তারা পোস্টটি এড়িয়ে চলুন)

স্টাইন্স গেইট দেখেছিলাম সেই ২০১৫ সালের মাঝামাঝিতে। অন্য সবার মতই দেখার সাথে সাথে এনিমেটা একেবারে সবচেয়ে প্রিয় এনিমের সংক্ষিপ্ত তালিকায় ঢুকে যায়৷ সে অবস্থান এখনও এনিমেটা দারুণ শক্তভাবে দখল করে আছে৷ স্টাইন্স গেইটের সিকুয়েল আসছে তার প্রথম খবর পাই ২০১৭ সালের প্রথম দিকে। সত্য কথা বলতে গেলে অত বেশী প্রত্যাশা ছিল না। ভেবেছিলাম মূল এনিমের এত ভাল একটা সমাপ্তি থাকার পরেও আরেকটা কিস্তি বানানোর কীইবা দরকার আছে! তাই এপ্রিলে যখন স্টাইন্স গেইট জিরো এনিমের সম্প্রচার শুরু হয় তখন অতটা পাত্তা দেই নি৷ টনক নড়ে 23বেটা এপিসোডটা দেখার পর৷ বেটা টাইমলাইনের ভয়াবহ ভবিষ্যতের আঁচ টের পাই পর্দার এপাশে বসেই। ম্যাড সায়েন্টিস্টের বদলে স্যাড সায়েন্টিস্ট হওয়িন কিয়োমাকে দেখে রীতিমত আঁতকে উঠি! তাই কালবিলম্ব না করে দেখে ফেললাম স্টাইন্স গেইট জিরো! দেরী করে দেখার আরেকটা কারণ ছিল অনগোয়িং দেখাটাকে এড়ানো৷ কারণ স্টাইন্স গেইটের মত এনিমে অনগোয়িং দেখার মত পেইনফুল কাজ করতে আমি মোটেই রাজী ছিলাম না! তো আজকে শেষ করে ফেললাম মহাকাব্যিক এই এনিমের সিকুয়েল৷ যা প্রত্যাশা করেছিলাম তার চেয়ে কয়েক গুণ বেশী ভাল জিনিস পেয়েছি এনিমেটার কাছ থেকে৷

প্লট:
স্টাইন্স গেইট জিরোর কাহিনী আবর্তিত হয়েছে বেটা টাইমলাইনকে ঘিরে৷ যাদের বেটা টাইমলাইন কোনটি তা মনে নেই তাদের স্বার্থে বলছি, বেটা টাইমলাইন হল সেই টাইমলাইন যেখানে ওকাবে মাকিসে কুরিসেকে বাঁচাতে ব্যর্থ হয়৷ বিনিময়ে মায়ুরি বেঁচে থাকে। অন্যদিকে আলফা টাইমলাইনে কুরিসু বেঁচে যাওয়ায় মায়ুরিকে প্রাণ দিতে হয়৷ এই দুই টাইমলাইনের মাঝেই অবস্থান করে স্টাইন্স গেইট টাইমলাইন যেখানে কুরিসু এবং মায়ুরি দুজনেই বেঁচে থাকে ও বিশ্বের পরাশক্তিগুলো টাইম মেশিনের দখল পাওয়ার জন্য বিশ্বযুদ্ধেও জড়িয়ে পড়ে না।

স্টাইন্স গেইট এনিমে সিরিজে আমরা ওকাবেকে দেখি স্টাইন্স গেইট টাইমলাইনে সফলভাবে পৌছুতে। কিন্তু জিরো এনিমেটি জগতের বেটা টাইমলাইন দেখায়। জিরো প্রদর্শন করে বেটা টাইমলাইনের জগতের ভয়াবহতা যেখানে কুরিসুর বিনিময়ে মায়ুরিকে বাঁচালেও মানবজাতির উপর অশুভ শক্তির কালো ছায়া ঠিকই বিদ্যমান থাকে। ভবিষ্যত থেকে আসা সুজুহা বারবার ওকাবেকে মনে করিয়ে দেয় যে বিশ্বযুদ্ধ আসন্ন। ৫-৭ বিলিয়ন মানুষের জীবন ওকাবের হাতে, সে একটু সাহস প্রদর্শন করতে পারলেই এত মানুষের জীবন বেঁচে যায়। ওকাবে দৃঢ়ভাবে আবার টাইম ট্রাভেল করতে অস্বীকৃতি জানায়, সে আবারও তার প্রিয় কারোর মৃত্য দেখার যন্ত্রণা ভোগ করতে চায় না। সে বলে স্টাইন্স গেইট টাইমলাইন বলতে কিছুই নেই, সবই তার অলীক কল্পনা ছিল। ম্যাড সায়েন্টিস্ট ওকাবে রিনতারো হয়ে যায় স্বল্পভাষী স্বাভাবিক যুবক যে কিনা নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে যায় আর বিভিন্ন সেমিনারে অংশগ্রহণ করে। ফিউচার গ্যাজেট ল্যাবরেটরির ০০১ নাম্বারধারী মেম্বারের আর পা পড়ে না ল্যাবে। যে মায়ুরির জন্য এতকিছু সে নিজেও ল্যাবে আসলে ফাঁকা ফাঁকা বোধ করে।

কাহিনীর মোড় ঘুরে যায় যখন এক সেমিনারে একটি AI (আর্টিফিশিয়াল ইনটিলিজেন্স) এর উদ্ভোধন অনুষ্ঠানে ওকাবে হাজির হয়। সেখানে তরুণী বিজ্ঞানী হিয়াজো মাহো (আমাদের লিগাল ললি!) এবং অধ্যাপক লেনস্কিনের সাথে ওকাবের পরিচয় হয়। মাহো আর লেনস্কিন Amadeus নামের এক AI সিস্টেমের আবিষ্কর্তা। ওকাবে জানতে পারে যে মাহো আর কুরিসু একই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল এবং তারা একই বিষয়ের উপর গবেষণা করেছে৷ ওকাবে এটা জেনে দারুণ অবাক হয় যে আমাডেউস সিস্টেমটি তৈরি করা হয়েছে কুরিসুর মেমরির উপর ভিত্তি করে৷ কম্পিউটারের স্ক্রিনে জলজ্যান্ত কুরিসুকে দেখে ওকারিন তো প্রায় পাগলপ্রায়। প্রফেসর আর মাহো ওকাবেকে অনুমতি দেয় AI টির সাথে নিয়মিত কথাবার্তা বলে সিস্টেমটির উন্নতি ঘটাতে৷ ওকাবের ফোনে আমাডেউস ইনস্টল করে দেওয়া হয় আর সেখান থেকেই ওকাবে আবার টাইম ট্রাভেল জগতের ভয়ংকর বেড়াজালে আটকা পড়ে।

প্রতিক্রিয়া:
স্টাইন্স গেইট এনিমের সবচেয়ে আকর্ষণীয় অংশ নিঃসন্দেহে এর স্টোরি আর সেই স্টোরির টুইস্ট। জিরোর স্টোরিতে সেটা ভালভাবেই বিদ্যমান ছিল। আগের সিরিজের প্রথম কয়েকটা পর্ব ছিল বেশ ধীরগতির। ইউনিভার্স আর চরিত্রগুলাকে ব্যাখা করতে গিয়ে এরকম হয়েছিল বলে মনে করি৷

জিরোতে মোটামুটি ভালরকমভাবে সবকিছু আগে থেকে গোছানো থাকায় প্রথম পর্ব থেকেই পেসিং বেশ সুন্দর মনে হয়েছে। বেশ কয়েকটা নতুন চরিত্র ছিল, তাদেরকে বেশ ভালভাবেই কাহিনীতে জায়গা দেয়া হয়েছে৷ তাছাড়া পুরনো চরিত্রগুলোকেও নতুন ডেভেলপমেন্ট দেয়া হয়েছে৷ ওকাবের নতুন রূপকে কেন জানি একটু বেশীই ভাল লেগে গিয়েছে। সারাদিম আকাশ-কুসুম কল্পনা করার ওকাবের বদলে শান্ত-সৌম্য, ধীরস্থির, স্বাভাবিক ওকাবেকেই বেশী মনে ধরেছে।
তাই বলে হওয়িন কিয়োমার রিটার্নের জায়গাটা খারাপ ছিল এটা কোনভাবেই বলা যাবে না৷ মুহাহাহা করে সেই শয়তানি হাসিটা দেওয়ার পর তো গায়ের রোম পুরো খাড়া হয়ে গিয়েছিল, রক্ত চলাচলও সম্ভবত বেড়ে গিয়েছিল তিন বছর পর হাসিটা শোনার কারণে৷ পলকের মধ্যে শার্ট-প্যান্টের উপর ওকারিনের ল্যাবকোট গায়ে দেয়ার দৃশ্যটা সম্ভবত এনিমেটার সেরা জায়গা ছিল।

অন্য চরিত্রগুলার মধ্যে দারুণ উন্নতি হয়েছে দারু আর মায়ুশির৷ বিশেষ করে মাথাঠাণ্ডা দারুর এরকম দারুণ আকর্ষণীয় দিক আছে তা কে জানতো! আগের সিরিজে তো দারুর পার্ভার্টনেসটাকেই বেশী দেখিয়েছে। এখানে বোঝা গেছে কেন দারু ভবিষ্যতে টাইম মেশিন আবিষ্কার করতে সমর্থ হয়েছে। সুজুহার ব্যাপারটা জানা থাকায় দারুর পিতৃসুলভ আচরণ অনেক দেখা গেছে যা অনেক নান্দনিক ছিল। ইউকির সাথে ডেইটের পর ছাদের উপর বিষণ্ণ দারুকে দেখে অনেক খারাপ লেগেছিল।

অন্যদিকে জিরোতে মায়ুশির কাজকর্মের পরিধি ছিল অনেক বিস্তৃত। মায়ুশির চিন্তাভাবনার অনেক গভীর দিক দেখিয়েছে সিরিজটা। আগের সিরিজে অনেকটাই সাক্ষী গোপাল থাকায় অনেকের হয়তো মায়ুশিকে মনে ধরে নি। এবার তাদের আগের চেয়ে মায়ুশিকে বেশী লাগবে আশা করি। আর এতদিন পর ‘তুত্তুরু’ শোনার আনন্দ তো আছেই।

সুজুহা চরিত্রটা এ সিরিজে আরো বেশী গুরুত্ব পেয়েছে। বিশেষ করে কয়েকটা অ্যাকশন সিন দুর্দান্ত হয়েছে সুজুহা আর কাগারির কল্যাণে। আগের সিরিজে সেরকম কোন অ্যাকশনই ছিল না। এবার তো মিলিটারি অ্যাকশন দেখিয়ে আরো ডার্ক হয়ে উঠেছিল সিরিজটা।

নতুন চরিত্রগুলার মধ্যে কাগারিকে অতটা ভাল লাগে নি আমার৷ ওর ‘মমি’, ‘মমি’ শুনতে বেশ বিরক্তই হয়েছিলাম। তবে কাহিনীর সাথে চরিত্রটা বেশ মিশেছিল। আর মাকিসের মত চেহারা হওয়ায় তো রীতিমত বুকটা ধকই করে উঠেছিল প্রথমবার তাকে দেখে।

বেশী ভাল লেগেছে হিয়াজো মাহো চরিত্রটা। মেয়েটা এতই ছোট যে পাঁচ ফুটও লম্বা হবে কিনা সন্দেহ!মাহোর প্রতিনিয়ত নিজেকে মাকিসের সাথে তুলনা করার জায়গাগুলা well written ছিল। সালিয়েরি আর মোজার্টের তুলনাকে রূপক হিসেবে দেখানোটা দুর্দান্ত ছিল। স্টায়েন্স গেইট একটা কল্পবিজ্ঞান এনিমে হলেও এতে যেন জ্ঞানের সব শাখার ছোঁয়া থাকে একটু হলেও৷ তো মাহোর প্রসঙ্গে ফিরে আসি।
মাহোর সাথে ভাল একটা ডেভেলপমেন্টই দেখানো হল ওকাবের৷ আমি ভাবছিলাম ক্যানন লেভেলের একটা শিপিংই কি শুরু করেছি নাকি! জিনিসটার মীমাংসা যেভাবে হয়েছে সেটা আমার খারাপ লাগে নি। মাহো খুব সুন্দর করে মিশে গিয়েছিল ফিউচার গ্যাজেট ল্যাবরেটরির সাথে।

আগের সিরিজের মত রুকাকোর সাথে ভাল একটা মোমেন্ট ছিল ওকাবের৷ দেখে বেশ আবেগপ্রবণই হয়ে পড়েছিলাম। মাঝে মাঝে মনে হয় রুকাকোর সাথেই মনের মিল হোক ওকাবের! (সমস্যা নেই, ভিজুয়াল নভেলে একটা রুট শুধুমাত্র এই দুজনের জন্যই!)

আর যার কথা না বললেই নয় সে হল মাকিসে কুরিসু। কাহিনীতে সশরীরে উপস্থিত না থাকার পরেও প্রেতাত্মার মত আমাকে তাড়িয়ে বেরিয়েছে চরিত্রটা৷ ওকারিনের মতই সিরিজটার প্রতি সেকেন্ডে সেকেন্ডে মাকিসের অভাব অনুভূত করছিলাম। আবার আমাডেউসের স্ক্রিনে তাকে দেখে দুধের স্বাদ বিন্দুমাত্র ঘোলে মিটছিল না। উল্টো বারবার মনে পড়ছিল মাকিসে এখন মৃত৷ ভাল রকমের ইমোশানাল ব্ল্যাকমেইল করে ছেড়েছে মাকিসে আমাকে বলতে হবে। ওকারিন যে পর্বে কিছুক্ষণের জন্য আলফা টাইমলাইমে চলে যায় সে পর্বটা এত বেদনাবিধুর ছিল! মাকিসে যেভাবে বেটা টাইমলাইনের ওকাবেকে শান্ত করে ওকে ভবিষ্যতে কী করতে হবে তা বুঝিয়ে দিয়েছিল সেটা খুব ভাল লেগেছিল৷ এর মাধ্যমে মাকিসে কুরিসু আবারও বুঝিয়ে দিল সে কেন এত জনপ্রিয় হওয়ার যোগ্য। ভাল থাকুক আমাদের ওয়াইফু সে যেখানেই থাকুক না কেন!

স্পয়লার অ্যালার্ট 
*
*
*
*
*
জিরোর একটা ভাল দিক ছিল যেখানে স্টায়েন্স গেইটের দুনিয়াটা খুব বিস্তারিতভাবে দেখানো হয়েছে। ২০২৫ আর ২০৩৬ সালের দুনিয়াকে খুব ডিটেইলড দেখানোতে আমরা আরেকটা বিশ্বযুদ্ধের।ভয়াবহতা আঁচ করতে পেরেছি। ওকারিনের ৩০০০ বার টাইম লিপের জায়গাটা অসাধারণ ছিল। সেই ২০৩৬ থেকে ২০১১ তে ফিরে আসা, তারপর আমাডেউসকে মুছে দিয়ে convergence মোচন করা, তারপর সফলভাবে টাইম মেশিনকে রক্ষা করা; সবই খুব দারুণভাবে দেখানো হয়েছে। আরেকটা চমৎকার দিক ছিল শেষে ওকাবে স্টাইন্স গেইট খুঁজে পেয়েছে কিনা তা পরিষ্কার না দেখানো। লেখকরা বেটা টাইমলাইনের দায়িত্ব দর্শকদের হাতে ছেড়ে দিয়ে দারুণ বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দিয়েছেন। অবশ্য স্টাইন্স গেইটের মত এনিমের কাছ থেকে এমন সমাপ্তি আশা করাই যায়!

আর ম্যাড সায়েন্টিস্ট হওয়িন কিয়োমার পূর্ণাঙ্গ আগমন সমাপ্ত হয় ২৩ নং পর্বের শেষ দুই মিনিটে। স্পয়লার অ্যালার্ট থাকার পরেও কেউ যদি এই জায়গাটা পড়ে ফেলেন তাই কিছু লিখলাম না এই ব্যাপারে৷ শুধু বলবো 18000 B.C এর জায়গাটা আমার জীবনে দেখা অন্যতম সেরা এনিমে মোমেন্ট ছিল।
*
*
*
স্পয়লার অ্যালার্ট সমাপ্ত

স্টাইন্স গেইটের ওএসটি নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়। স্টাইন্স গেইট মানেই যেন Ito Kanko, এবারও একগাদা গান ছিল ভদ্রমহিলার। ওপেনিং সং Fatima দারুণ লেগেছে, পরে জানলাম লিরিকের দিক দিয়ে এটা Hacking to the Gate এর উত্তরসূরি। ভালই লেগেছে পুরো সিরিজ ধরে একটা মাত্র ওপেনিং সং রাখায়৷ এন্ডিং দুটোই ভাল ছিল। Last Game, Amadeus সবগুলা গানই ভাল ছিল।

আর নতুন সাউন্ডট্র‍্যাকগুলা অত খেয়াল করি নি তেমন। তবে বরাবরের মত Gate Of Steiner আর Christina ট্র‍্যাক দুটো শুনে শিহরিত হয়েছি৷ শেষের পর্বে আবার Hacking to the Gate ও বেজে উঠেছিল কিছুক্ষণের জন্য! লিরিকসহ Gate Of Steiner এর একটা ইংরেজি বোনাস ট্র‍্যাকও আছে৷ এখনো কানে বাজছে গানটা, লুপ সরাতে পারছি না একদম!

যদিও জানি জাপানি ভয়েস অ্যাক্টিং সবসময়েই উৎকৃষ্ট তারপরেও ২১ পর্ব পর্যন্ত ডাবেই দেখেছি এনিমেটা৷ ফলাফল আবারও কানা হানাজাওয়া আর মামোরু মিয়োনোর ভয়েস মিস! তবে সেটা কোন ব্যাপার না। যে গুটিকয়েক এনিমের ডাব, সাবের সাথে তুলনা করতে পারে তার মধ্যে স্টাইন্স গেইট একটা৷ আমার আবার মায়ুশির ইংরেজি ভয়েসটা বেশী ভাল লাগে কিনা! কানা হানাজাওয়ার ভক্তরা আমাকে মেরে বসবেন না কিন্তু!

রেটিং: ১০/১০

Comments