The Battle between 2 Bodhisattva: Hashirama vs Netero Part-1
[Naruto & Hunter x Hunter Crossover Fanfiction]
লেকের শান্ত পানিতে নীল আর সাদা আকাশের প্রতিবিম্ব ভাসছে। ছোট ছোট ঢেউ একটা আরেকটার গায়ে ভাংতেই তাতে আকাশের প্রতিচ্ছবি কাঁপতে থাকে। থেকে থেকে টুপ করে শব্দ হচ্ছে একটু পর পর এখানে সেখানে। লেকের পাশেই একসারি ওক গাছের সবুজ পাতা ডালপালা মেলে বাতাসের তালে নাচছে যেন। মাথার ওপর পরিষ্কার আকাশ থাকলেও মেঘের সাদা ছোটোখাটো স্তুপ এখানে সেখানে ছুটে যেতে থাকে ধীরে। অদ্ভুত সুন্দর একটা পরিবেশ, সবকিছুই যেন কেমন গোছানো আর পরিপাটি করে রাখা।
লেকের ধারে পাটাতনে পা মেলে বসে আছে হাশিরমা সেঞ্জু। একটু ব্যবধানেই ছালতোলা এক গাছের গায়ে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ওর প্রানপ্রিয় বন্ধু মাদারা উচিহা। কেউ কিছু বলছে না-চুপ করে আছে বহুক্ষণ। পাটাতনে মর্মর শব্দ হতেই পিছনে ফিরে ছোট ভাই টোবিরামাকে দেখতে পায় হাশিরামা। কিছু না বললেও বড় ভাই-হাশিরামার দিকে তাকিয়ে একটু মাথা ঝাঁকাল সে। উঠে দাঁড়িয়ে মাদারার দিকে একবার তাকাল কি মনে করে। তারপর ধির পায়ে নিজের অফিসকক্ষের দিকে ফিরতে উদ্যত হয়। সেখানেই বাকি ৪ গ্রামের কাগেরা উপস্থিত হয়েছেন।
হাশিরামা ভেতরে ঢুকে নিজের হ্যাটটা খুলে টেবিলে রাখল। তারপর চেয়ারে বসে বাকি ৪ কাগের দিকে তাকায় শান্ত চোখে। সবার চোখেই কিছুটা উৎকণ্ঠা দেখতে পেল। কাঁধের পাশেই টোবিরামা দাড়িয়ে।
প্রথমেই সুচিকাগে কথা বলে ওঠে,”আমাদের আজকের এই মিটিংএর বিষয়ের সাথে যেহেতু পুরো নিনজা ওয়ার্ল্ডের স্বার্থ জড়িত, আমার মনে হয় না এ বিষয়ে আমাদের কোন বিভেদ থাকতে পারে।”
হাশিরামার মুখের স্বভাবসুলভ হাসি মুছে গিয়ে অস্বাভাবিক গম্ভিরতা ভর করেছে। কি বলতে গিয়েও বলল না, মিজুকাগে কথা বলতে শুরু করায়। “আমরা মূল প্রসংগে যাই। আমি আমার গুপ্তচরের কাছে খবর পেয়েছি হান্টার এ্যাসোসিয়েশন ডার্ক কন্টিনেন্ট এক্সপ্লোর করতে চায়। আর আমার মনে হয় আমরা সবাই জানি তার অর্থ কি।”
এবারে কাজেকাগে কথার যোগান দেয় তার সাথে “তার অর্থ ডার্ক কন্টিনেন্টের ওয়েস্টার্ন সাইড ওপেন করলে ধ্বংসযজ্ঞ নেমে আসবে নিনজা ওয়ার্ল্ড তথা আমাদের গ্রাম গুলোর ওপর”, এর আগে ডার্ক কন্টিনেন্টের ইস্টার্ন সাইড দিয়ে এক্সপ্লোর করতে চাইলে যে নারকীয় তাণ্ডবলীলার সূচনা হয় তার দিকেই ইঙ্গিত করল বুঝি।
এবারে হাশিরামা কথা বলতে শুরু করে,”আমার মনে হয় না নেতেরো থাকাবস্থায় ‘তেমন কিছু’ হবে নিনজা ওয়ার্ল্ডে নেতেরোকে আমি চিনি ও……।”
থামিয়ে দিয়ে রাইকাগে বলতে থাকে, “তখনো কিন্তু নেতেরো হান্টার এ্যাসোসিয়েশনেই ছিল।”
“‘তেমন কিছু’ যদি হয় তবে বিষয়টা আমি হ্যান্ডেল করবো”,কথা শেষ করতে পারে না হাশিরামা- তার আগেই টোবিরামা হাতে এক কাগজ নিয়ে আসে ওর কাছে। চিঠি পাঠিয়েছে নেতেরো। হান্টার এ্যাসোসিয়েশন এর পক্ষ থেকে একটা প্রপোজাল পাঠিয়ে চিঠি। শিনোবি ভিলেজ গুলো যদি তাদের পাশের ডার্ক কন্টিনেন্টের ওয়েস্টার্ন সাইড ওপেন করতে বাধা না দেয়, সেক্ষেত্রে তাদেরকে প্রযুক্তিগত ভাবে ‘ব্যাপক উন্নতি’র ব্যবস্থা করবে হান্টার এ্যাসোসিয়েশন।
তাছাড়াও ছোট্ট আরেকটা চিরকুটে নেতেরো তার হিডেন লিফ সফরের আগ্রহের কথা জানিয়েছে।