“হবায় তো মাত্র কাহীনি শুরু“
-হুদ্দাই লেখা একটা রিভ্যু
————————————————————————————————
এনিমের নামঃ বার্সাক–সোনালী যুগের পর্ব ১–৩ ।
শুরু করার আগে ১টা সংবিধীবদ্ধ সতর্কীকরনঃ
আপনার বয়স ১৮ এর কম হইলে বার্সাক দেখার চিন্তা বাদ দেন ।
————————————————————————————————
কিল্লাইগ্গা বার্সাক?
ঈদের বন্ধের মইধ্যে আবারও বার্সাকের সিনেমা গুলা দেখলামতো (এইবার ডাব ভারসন দেখছি) , তাই মাথায় খালি বার্সাকই ঘুরতাছে । যদিও কি-বোর্ড দিয়া লেখতে আমার একটুও ভালো লাগেনা তাও ভাবলাম লেইক্ষা ফালাই, যা আছে কপালে ।
নায়কের পরিচয়
রাজা-বাদশাগো আমলের কথা । দুই দলের মইধ্যে যুদ্ধ চলতাছে, একটা দল নীল-ছাইয়া আর একটা দল লাল-ছাইয়া । নীল-ছাইয়া দলের এক ভোটকা পালোয়ান লাল-ছাইয়া দলের সৈন্যগোরে হেভভী ঘারাইতাছে কেউ পারতাছে না ব্যেডার লগে । তখন লাল-ছাইয়া দলের সেনাপতি চেইত্তা ফায়ার হইয়া এলান দিল “কেউ কি আছে ঐ গাধাডারে ঘারানের মত?” এমন সময় লাল-ছাইয়া সৈন্যগো ভিতরেরতে একটা পোলা বাইর হইল, হাতে একটা বিশাল তলোয়ার , শরীরে কালা বর্ম । ইনিই হইল গল্পের নায়ক “গাটস ভাই” । তো গাটস ভাই সেনাপতির দিকে চাইয়া কইল “১০ ট্যেকা লাগবো” সেনাপতি কইল “৭ ট্যেকা পাবি” , গাটস ভাই “শালা কিপ্টা” কইয়া পালোয়ানের দিগে আগায়া গেল । পালোয়ানরে ঘারাইয়া ট্যেকা লইয়া বাসার দিকে রওনা দিলো ।
গ্রীফিথ্ কেডা?
এক কথায় রুপকথার রাজকুমার । মেঘের মত সাদা তার চুল , চোখ যেন তার নীল সাগর , হাজার মেয়ের ঘুম হারাম করে দেয়া তার চেহারা । শুধু চেহারা-সুরতেই নয়, যুদ্ধ বিদ্যাতেও সমান পারদর্শী সে । তার নিজস্ব একটা ভারাটে গুন্ডা বাহীনিও আছে,নাম “বাজপাখীর দল” । গাটস ভাইও এই দলের একজন সদস্য । গাটস ভাইয়ের চীরপ্রতিদন্ধী সে ।
নয়িকা কি নাই?
আছে, নাম “কাসকা” । গ্রীফিথের লগে কাইল্লা কইরা একটা মাইয়া ঘুরে, ওইডাই কাসকা । রুপ তার এত আহামরি কিছু না হইলেও তলোয়ারবাজী তে কারত্তে কম যায়না সে । গাটস ভাইরে তেমন একটা বেলও দেয়না সে ।
“হবায় তো মাত্র কাহীনি শুরু” মানে কি??
মানে সোজা কথায় “বার্সাক-সোনালী যুগ”এর ৩টা সিনেমা ছিল এই কাহীনির সূচনা পর্ব । এখানে দেখানো হয়েছে গ্রীফিথের উত্থান,পতন ও পূনরুত্থান । গাটস ভাইয়ের প্রেম ও তার পরীনতি এবং তার সুখের জীবনের পরিসমাপ্তী । তাই তো এই পর্বের নাম “সোনালী যুগ” ।
এনিমেশন আর সাউন্ড
এনিমেশন যঠেষ্ট ভাল । চকচকে-যকযকে একটা ভাব আছে । গতানুগতিক জাপানীজ এনিমেশন থেকে বার্সাকের এনিমেশন বেশ আলাদা । ক্যেরেক্টার ডিজাইনে বেশ একটা থ্রীডি-থ্রীডি ভাব আনা হয়েছে ।
জায়গামত কিছু দুর্দান্ত সাউন্ড সিনেমাগুলোকে করে তুলেছে আরও প্রানবন্ত । ভয়েজ এক্টিং ইংরেজী ডাবের চেয়ে জাপানীজটাই বেশী জোশ্ লাগছে আমার কাছে ।
বিনোদনের মাত্রা
বিনোদন প্রদানের ক্ষেত্রে বার্সাক নিঃসন্দেহে একটি প্রথম সারীর এনিমে । যুদ্ধ, প্রেম, বন্ধু্ত্ব, বিশ্বাসঘাতকতা, ক্রোধ, রক্ত বন্যা, জাদু কি নেই এতে ? আর এসব কিছু মিলে বার্সাক হয়ে উঠেছে অদ্বীতিয় একটি এমিনে সিরিজ ।
তো, যাদের এখনো দেখার সৌভগ্য হয়নি, তারা আর দেরী না করে আজই দেখে ফেলুন অসাধারন এই সিনেমা সিরিজটি ।