অনিক মিয়ার ক্ষুদে মাঙ্গার বাক্স, পর্ব #১

মাঙ্গার নাম: Saltiness
চাপ্টার: ৪৪ টি
মাঙ্গাকা: Furuya Minoru
ধরন: হাস্যরসাত্মক, সেইনেন, স্লাইস অফ লাইফ
 
হিমুকে তো চিনেন? হুমায়ুন আহমেদের হলুদ হিমু। সেই ভবঘুরে, উদ্ভট চালচলন, মাথা চক্কর দেওয়া থতমত খাওয়া দার্শনিক কথাবার্তার হিমু।
Saltiness মাঙ্গার কেন্দ্রীয় চরিত্র তাকেহিকো নাকামুরা কিছুটা হিমুর মতোই, কিন্তু হিমু না। কর্মহীন , ঘুরঘুর, খাইখাই করা সমাজের অকর্মা লোকটি “জীবন” কে বশীভূত করে ফেলেছে বলেই বিশ্বাস করে। দুনিয়ার সকল প্রকার দুঃখ, কষ্ট, ভেজালের ধরাছোঁয়ার বাইরে সে। তয় একদিন বোধদয় হয় প্রিয় বোনের মাথা থেকে বোঝা কমাতে নিজে থেকে কিছু করতে হবে। যতদিন সে তার বোনের ঘাড়ে চেপে থাকবে, বোনের আর বিয়ে করা হবে না, সংসার পাতা হবে না। সে যেই “জীবনকে” বশীভূত করে ফেলেছিল বলে ভেবেছিল, সেই জীবনের বাস্তবতা এক ধাক্কায় তাকে চুরমার করে দিল। “জীবন” নামের এক হিংস্র অস্তিত্বের সম্মুখীন হলো সে । এই হিংস্র জিনিসটাকে বধ করার সুবুদ্ধি হবার সাথে সাথেই তার মাথায় ঢুকে আরেক কুবুদ্ধি। হঠাৎ করেই ঘর থেকে পালায়। গ্রাম ছেড়ে টোকিওর উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দাড়াতে হবে নিজের পায়ে। টোকিও পৌছে সাক্ষাৎ হয় নানা কিসিমের weirdo দের সাথে। আর এইসব অস্বাভাবিক প্রাণীরা একত্রিত হয়ে যখন নানা তরিকায় জীবিকা নির্বাহের সন্ধান চালানো শুরু করলো, হাস্যকর সব ঘটনাও অবতীর্ণ হতে থাকল।
মাঙ্গার আর্ট সুন্দর, পরিচ্ছন্ন। বিশেষ করে এই মাঙ্গাকার খোঁচা খোঁচা দাড়িওয়ালা চেহারা আঁকার দৃশ্যের ভক্ত হয়ে গেছি। ৪৪ চাপ্টারের কাহিনি আগেই শেষ। সম্প্রতি ইংলিশ অনুবাদ সমাপ্ত হয়েছে। তাই আপনার হাতে সময় কম থাকলে, নিখাদ বিনোদন পেতে চাইলে আজই শুরু করে দেন Saltiness!
 
 

Comments

Leave a Reply