কোবাতো বন্দনা – লিখেছেন ইশমাম আনিকা

download

“কোবাতো” আনিমেটা দেখে শেষ করলাম মাত্র। এবং বলতেই হবে, অসাধারণ আনিমে ছিল। এত বেশি ভাল লেগেছে যে দৌড় দিয়ে মিথিলার পোস্টে কমেন্ট লিখা শুরু করে দিয়েছিলাম, কারণ মিথিলার সুন্দর রিভিউটা পড়েই এই আনিমে দেখতে বসেছিলাম। পরে আবিষ্কার করলাম বেশি উত্তেজনায় রচনা লিখে ফেলেছি, তাই সেই রচনা একটু বাড়িয়ে চাড়িয়ে এখানে আবার পোস্ট করছি।

কোবাতো আনিমেটা শুরুর দিকে মনে হচ্ছিল, চিনির শিরার মধ্যে সারারাত ডুবিয়ে রেখে সকালে প্রেজেন্ট করেছে। কোবাতো অতিরিক্ত বেশি সুইট, এত বেশি যে সেটা দমবন্ধ করে দেয়ার মত অবস্থা করে। শুরুতে কোবাতোকে একটা এয়ারহেড, কিছুটা এনোয়িং কেয়ারলেস একটা মেয়ে ছাড়া কিছুই মনে হয়না, এবং হানাযাওয়া কানা ইউজলেস ক্যারেক্টার যে খুব ভালভাবে ফুটিয়ে তুলতে পারেন, তা এই আনিমে দেখে সবচেয়ে বেশি বোঝা যায়। প্রথম দু-তিনটা পর্ব দেখে যদি কেউ বিরক্ত হয়ে আনিমেটা ড্রপ দেয়ার কথা ভাবে, সত্যি বলছি অবাক হব না।

এরপর আনিমেটা দেখা চালিয়ে যেতে থাকলাম, কোবাতোর স্বভাব চরিত্রে কোন পরিবর্তন এল না। কিন্তু আমি একটা ব্যাপার উপলব্ধি করলাম। তা হল, আমাদের সবার জীবনেই আসলে একজন কোবাতো প্রয়োজন, যে তার সারল্য, উচ্ছলতা, প্রাণবন্ততা দিয়ে আমাদের ম্যাড়মেড়ে মানসিকতাটা পালটে দেবে। কোবাতো সরল হতে পারে, কিন্তু বোকা নয়। সে একটা কাজ অসম্ভব জেনেও হাত গুটিয়ে বসে থাকে না, শুধুমাত্র তার সদিচ্ছার জোরে অসম্ভবকে সম্ভব করে তোলে সে। কাজের ক্ষেত্রে হাজারটা গোলমাল করে, কিন্তু তাও সে হাত গুটিয়ে বসে থাকে না, কাজটা করেই ছাড়ে। কোবাতোর ওপর বিরক্ত হওয়া যায়, কিন্তু সেটা প্রকাশ করা যায় না। তার নিষ্পাপ মুখের দিকে তাকালে সব বিরক্তি চলে যেতে বাধ্য।

13b605e23ec7ae50a8b6f6b56bde4dbd

কোবাতো বন্দনা বেশি করে ফেলছি, কারণ আমার এই ইউজলেস মেয়েটাকে দেখে খুব বেশি ভাল লেগেছে। এখন একটু অন্যদের কথাও বলা যাক!

আমি ফুজিমোতো আর কোবাতোকে শুরুতে দেখে, এমনকি প্রায় ১৯-২০ এপিসোড পর্যন্ত দেখেও কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না যে এই দুটোকে কিভাবে কাপল হিসেবে কল্পনা করব। কিন্তু শেষের দুই এপিসোড যা দেখাল :’) আমার পছন্দের কাপলগুলোর একটা (অ্যাজ ইফ আমার আর কোন পছন্দের কাপল আছে :v) হয়ে গেল কোবাতো – কিওকাযু। মাঝে অল্প সময় সেকেন্ড লিড সিন্ড্রোম ধরি ধরি করছিল, এখন সেটা পালিয়ে গেছে।

আর সবচেয়ে বড় কথা, একটা স্টোরি খালি বানালেই হয়না, সেটার এক্সিকিউশন সেইরকম না হলে আলটিমেটলি অত উপভোগ্য হয়না। কোবাতোকে প্রথমে দেখে তার অতি এন্থুসিয়াস্টিক আচরণ দেখে মেয়েটাকে এনোয়িং লাগছিল, কিন্তু আনিমে আগাতে আগাতে পুরাই “I want to protect that smile” ফিল এনে দিল, যেমনটা কিওকাযুর সাথে ঘটল, সেটা যেন আমার সাথেও ঘটল। বিরক্ত লাগে, কিন্তু সামহাউ রাগ ওঠে না। আনিমের প্রতিটা চরিত্রকেই কাহিনীর প্রয়োজনে খুব দ্রুত, কিন্তু সুচারুভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে, এতে পরিবর্তনটা চোখে লাগে না, কিন্তু মনে প্রভাব ফেলে। ফুজিমোতো কিওকাযুর ডেভেলপমেন্টটা বিশেষ করে আমার খুব ভাল লেগেছে। ওর শূণ্যতাগুলো যেন নিজে অনুভব করতে পারছিলাম।

আর ক্ল্যাম্পের মেয়েগুলাকে পেলে যে কি করব 😐 😐 প্রত্যেকটা ছেলেকে এত বেশি ইকেমেন বানাতে কে কইসে এদের :’| কিওকাযু চেতলেও চেহারা কি সুন্দর দেখা যায় <3

আর হ্যাঁ, ক্ল্যাম্প ভার্সের ইস্টার এগ!! ওয়াতানুকিকে দেখাল, তাও আবার তার কুল ফর্মে <3 আবার সুবাসার ক্যারেক্টারদের নিয়ে আস্ত একটা পর্বই দিয়ে দিল!! খুব ভাল লেগেছে :’) ফাইকে আবার দেখলাম <3 এছাড়া চবিটস এর মেইন ক্যারেক্টাররা এখানে পার্মানেন্ট চরিত্র হিসেবে আছে, সেটিং এও মিল আছে দুই আনিমের।

সবমিলিয়ে কোবাতো আনিমেটি আমার খুবই ভাল লেগেছে। সুইট একটা স্টোরি, মন ভাল করে দেবার মত মিষ্টি একটা আনিমে।

07a75ed2b83a14c71e191566552f29d1

গেট ইওর ডেইলি ডোজ অফ শিরোকুমা পান; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

খুব সাধারণ একটা নাম আনিমেটার, শিরোকুমা ক্যাফে, যার বাংলা করলে দাঁড়ায় শ্বেতভল্লুকের কাফে। আনিমেটা খুঁজে পেয়েছিলাম আমার বিভিন্ন পছন্দের সেইয়্যুদের কাজ চেক করতে করতে। তেমন কিছু আশা করিনি, ভেবেছিলাম শ্বেতভল্লুক ক্যাফে চালাবে, সেখানে অন্য প্রাণীদের ইন্টের‍্যাকশন দেখাবে হয়ত। ৫০ এপিসোড দেখে একটু চিন্তায় ছিলাম যে এতগুলো এপিসোডে এত কি দেখানো যায় একটা ক্যাফে নিয়ে।

আমার আন্দাজ একই সাথে ঠিক ছিল, আবার ভুল। লিটারেলি বললে আমার বর্ণনাই ঠিক, কিন্তু এইটুকু বর্ণনা দিয়ে শিরোকুমা ক্যাফে আনিমে সম্পর্কে কিছুই বলা হয় না।

এই আনিমে দেখতে দেখতে ভাবছিলাম, আমার অনেক পছন্দের আনিমে আছে, যা অন্যদের এতটা ভাল লাগেনা, এবং আমি বুঝতেও পারি যে তাদের কেন ভাল লাগছে না। কিন্তু এই আনিমেটা কেউ পছন্দ করবে না, এটা ভাবলেও কেমন যেন অদ্ভুত লাগছে। কেন করবে না?! শিরোকুমার পানগুলো শুনলে একজন মানুষের কেন হাসি আসবে না! পেঙ্গুইনের হারেম (যা কিনা সেইম সেইয়্যুর অন্য যেকোন বিখ্যাত হারেমকে পেছনে ফেলে দেয়) দেখলে কেন কেউ মজা পাবে না! পাণ্ডার অলসতা এবং সেগুলোর পেছনের কঠিন যুক্তি কেন কাউকে ভাবিয়ে তুলবে না! বা নামাকেমোনো বা জৌগামে সানের দৃঢ় মনোবল দেখে কার মন ভরে উঠবে না!

আনিমের বেশিরভাগ চরিত্র প্রাণী, এমন আনিমে এই প্রথম দেখছি না, কিন্তু এমন অসাধারণ চরিত্রায়ন আমার মনে হয়না খুব বেশি দেখেছি। সবচেয়ে যে জিনিসটা ভাল লেগেছে, আনিমের বাঘা বাঘা সেইয়্যুদের সেরা পারফরমেন্স দেখতে পেয়েছি। প্রতিটা চরিত্রের সাথে তারা এমনভাবে মিশে গেছেন, কখনো মনে এই প্রশ্নটা আসতেই দেননি যে এতগুলো প্রাণী মানুষের মত কেন চলাফেরা করছে!

আনিমের আরেকটা ভাল দিক আমার মনে হয়েছে এর ওপেনিং আর এন্ডিং গানগুলো। তিনটি ওপেনিং, তার মাঝে প্রথম ওপেনিং “বোকু নি ইনিভিটেশন” এত বেশি ভাল, যে বাকি দুটো গান ভাল হওয়া সত্ত্বেও প্রথমটার আড়ালে ঢাকা পড়ে গেছে। আর এন্ডিং অনেকগুলো ছিল, এবং প্রায় প্রতিটাই আনিমের কোন না কোন চরিত্রকে ফোকাস করে। আমার লামা সানের এন্ডিং টা সবচেয়ে পছন্দ হয়েছে। আর একেবারে শেষ এন্ডিং টায় শিরোকুমা সবাইকে ধন্যবাদ জানাতে থাকে, শুনে খুব মন খারাপ হচ্ছিল যে এত সুন্দর আনিমেটা শেষ হয়ে যাচ্ছে।

শিরোকুমা ক্যাফে নিয়ে আসলে কথা শেষ হওয়ার নয়। প্রতিটা মুহূর্ত উপভোগ করেছি আনিমেটার, একেকটা হাসির মুহূর্ত তিন চারবার করে পেছনে টেনে দেখেছি। শিরোকুমার পানের স্ক্রিনশট দিয়ে আমার গ্যালারী ভরে গেছে। বোকু নি ইনভিটেশনের সাথে সুর মেলাতে মেলাতে মুখস্থ হয়ে গেছে। এমনকি পরের পর্বের প্রিক্যাপের কার্ডগুলোও খুব আগ্রহ নিয়ে দেখতাম। শেষ পর্বের শেষ কার্ডে যখন “সি ইউ এগেইন” লেখা উঠল, খুব মন খারাপ হয়ে গেছিল, কারণ সেটা প্রচারের পর পাঁচ বছর হয়ে গেছে, কোন ছোটখাটো ওভিএ স্পেশাল কিছুই নেই এরপর। এক চেরি ব্লসম ভিউইং থেকে আরেকটা, খুব সুন্দর একটা জার্নি ছিল ক্যাফের সাথে।

My invitation came without any prior notice. I accepted it, went to this wonderful cafe knowing nothing, enjoyed myself to the fullest. Now that the party is over, I can’t even think of moving on..

Screenshot_2017-07-12-22-05-43-741_com.mxtech.videoplayer.ad

Sket Dance – মাস্ট ওয়াচ এনিম রিভিউ – মোঃ আসিফুল হক

SKET Dance.

নাম থেকেই আসলে সিরিজের মেইন স্টোরির একটা আইডিয়া করে নেওয়া যায়। SKET এর পুরো রুপ হচ্ছে – Support, Kindness, Encouragement, Troubleshoot. হাইস্কুলের ক্লাব স্কেট ডান্সের গড়ে ওঠার উদ্দেশ্য ছিল স্টুডেন্টদের ছোট বড় নানা সমস্যায় সাহায্য করা। যদিও বেশিরভাগ সময়েই তারা ক্লাব রুমে বসে ঝিমায় এবং গল্প করে; যে কোন সমস্যা তাদের কাছে এলে সেটা সমাধানে তারা তাদের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে। সিরিজের মুল চরিত্র তিনটা – বসসুন, হিমেকো আর সুইচ।

প্রথমেই ছোট একটা জিনিস ক্লিয়ার করে নেয়া যাক। এই সিরিজটাকে অনেকেই গিন্তামার রিপ-অফ বলে দাবি করেন। যদিও সিরিজের মাঙ্গাকা এককালে গিন্তামার মাঙ্গাকার এসিস্ট্যান্ট ছিলেন এবং সেখান থেকে কিছুটা ইনফ্লুয়েন্সড হওয়াটাই স্বাভাবিক (এর ওর পোস্ট মারফত জানসি 😀 ) এবং সিরিজের সেটিং এও হয়ত কিছু মিল আছে; কিন্তু সেটা ও পর্যন্তই। দু’টো জিনিসের স্টাইল, টোন, টার্গেটে অনেক ভিন্নতা। গিন্তামা যেমন সবকিছুকে এক্সট্রীমে নিয়ে গিয়েছে; হোক সেটা কমেডি বা সিরিয়াসনেস; স্কেট ডান্স চেষ্টা করেছে পুরো সিরিজজুড়েই হাল্কা একটা ভাব ধরে রাখতে; যে কারণে কিছু ব্যাকস্টোরি ছাড়া পুরো সিরিজে তেমন সিরিয়াস কোন আর্ক বা স্টোরি নেই আসলে; এবং এই জায়গাটাই আমার কাছে মনে হয়েছে এই সিরিজের স্ট্রেংথ।

সিরিজের কোর স্টোরিলাইন খুব সিম্পল এবং এপিসোডিক। কিছু মাল্টিএপিসোড স্টোরি আছে; তবে সেগুলোর লেংথও খুব বেশি না। কমেডির পাশাপাশি ড্রামা এবং অন্যান্য এলিমেন্টগুলোও যত্ন নিয়েই ইঙ্কলুড করা হয়েছে।

সিরিজের প্রথম হাফে এপিসোডগুলো ছিল একদমই “ষ্টুপিড”; মানে যার যা খুশি করতেসে; আউটরেজিয়াস জিনিস আসতেসে একের পর এক (লাভ-লাভেন-লাভ জেনারেশন- মাই জেনারেশন – জেনারেশন গ্যাপ – জেনারেল জেনারেটর জেনারেশন- জেনেভা – এই সিকুয়েন্স আমি বহু দিন ভুলবো না; পৈশাচিক একটা এপি ছিল); ওইটাই বেশি ভাল ছিল। শেষঅর্ধে এরা ক্যারেক্টারগুলার মধ্যে কিছু রিলেশনশীপ ক্রিয়েট করতে গিয়েছে; এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে সেইটা অনেকটা ফোর্সড ছিল (পারসোনালিটি চেইঞ্জের এপিটা – রেয়ার এপিগুলার একটা যেইটা বিরক্ত লাগসে রীতিমতন :/ ); তবে সিরিজের খাতিরে সেটারও দরকার ছিল হয়তবা।

পুরো সিরিজে লক্ষ কোটি ক্যারেক্টার আসছে; থেকেও গেসে; আবার কিছু কিছু হারায়েও গেসে। সবারই কিছু না কিছু ইউনিক ট্রেইট ছিল; ইন্টারেস্টিং ছিল। কিছু কিছু এপিতেতো মেইন ক্যারেক্টারদের উপস্থিতি ছিল সাইডশো হিসেবে। মোমোকা, জো কুসারাগি ( :v ) , আগাতা, রোমান – সবগুলো ক্যারেক্টারই ইন্টারেস্টিং ছিল।

একটা সার্টেইন এপিসোডে সবাই মিলে উনিয়ুর বাসায় যায়। ওই এপিটা সম্ভবত সবচেয়ে উরাধুরা এপি ছিল আমার কাছে। লজিক মজিকরে গাট্টি বোঁচকায় বাইন্ধা তাকের উপর তুইল্লা রাইখা এপিটা বানাইসে। তাছাড়া জেনেসিস এর এপি, অনিহিমের মায়ের দাবড়ানি – পুরো সিরিজটাই জোস জোস এপিসোডে ভর্তি ছিল।

তবে পুরো সিরিজে সবচেয়ে পছন্দের চরিত্র ছিল সুইচ ( অনেকেরই তাই হবার কথা 😀 )। ইউকির সাথে তার হেড-টু-হেড এঙ্কাউন্টারগুলা এবং তাদের আনউইজুয়াল রিলেশনশীপ খুবই এঞ্জয়েবল ছিল। প্লাস সুইচের উইটি কমেন্টগুলা অলওয়েজই এঞ্জয়েবল ছিল।

মিউজিক, আর্ট – এইগুলা মোটামুটি ভালই ছিল। ভয়েস এক্টিং আমার বেশ ভাল্লাগসে (সেইয়ু চিনি না; কেয়ারও করি না; সো এর বেশি কিছু আসলে বলার নাই)।

সিরিজের একটা সমস্যা হচ্ছে অনেক পান এবং প্যারোডি আসলে ধরা সম্ভব না; কারণ রেফারেন্স গুলা সমন্ধে আইডিয়ায় সবারই কম বেশি ঘাটতি থাকার কথা। প্লাস আমার মতন ম্যারাথন দিলে কিছু কিছু জোকস হয়ত ক্লিশে লাগতে পারে; আহামরি তেমন কিছু না।

ওভারঅল; চমৎকার একটা সিরিজ, যারা দেখেন নাই সবার জন্যই রিকমেন্ডেড।

গ্লাসলিপ রিএকশন; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

12961176_197382797313440_1846287170956684497_o

কাল রাতে (তর্কসাপেক্ষে) এই দশকের সবচেয়ে বিতর্কিত অ্যানিমে গ্লাসলিপ দেখে শেষ করলাম। অ্যানিমেটার ব্যাপারে আজ পর্যন্ত কোনদিন কোন পজেটিভ কথা শুনিনি, অনেকটা ঝোঁকের মাথায় দেখা শুরু করেছিলাম এই ভেবে যে, ভাল না লাগলে দেখা বাদ দিয়ে দেব।

কিন্তু দেখা শুরু করার পর আবিষ্কার করলাম, আমি মোটেই বোর হচ্ছিনা। শুরুর এপিসোডে কাকেরু এসে তৌকোকে যখন বলল, “তুমি যা দেখ, আমিও তাই দেখি”, তখন একটু লেইম লেগেছিল ব্যাপারটা, পরে বুঝলাম সেটার কারণ ছিল। রোমান্স পার্টটা অতটা খারাপ ছিল না, তবে সুপারন্যাচারাল ব্যাপারটা ঢুকানোর প্রয়োজন ছিল না। ওটা ছাড়া কাহিনীটা জমত ভাল।

Screenshot_2016-04-11-22-12-11

অ্যানিমেটা খারাপ লাগার কারণ খুঁজে বের করতে আমার সত্যিই কষ্ট হয়েছে, নিজে বের করতে পারিও নি খুব বেশি, অন্যদের রিভিউ ঘাটাঘাটি করে বের করতে হয়েছে। আমি তারচেয়ে পয়েন্ট আকারে কিছু কথা বলি, বুঝতে সুবিধা হবে।

– প্রথমেই উল্লেখ করতে হবে আর্টওয়ার্ক। পিএ ওয়ার্কস এর অ্যানিমেশন, কিও অ্যানির পরে এই স্টুডিওর আর্ট আমার সবচেয়ে পছন্দ। প্রতিটা ছোট ছোট ডিটেইলের দিকে নজর রাখে তারা, উজ্জ্বল চোখজুড়ানো ল্যান্ডস্কেপ থাকে, শহরের দৃশ্য হোক বা গ্রাম, সমুদ্র হোক বা পাহাড়, সব কিছু অসম্ভব যত্ন নিয়ে আঁকে। ক্যারেক্টার ডিজাইনও সুন্দর হয়, পিএ ওয়ার্কস এর কাজ যে, সেই ছাপ থাকে। এই স্টুডিওর যত অ্যানিমে আমি দেখেছি, তার মাঝে গ্লাসলিপের আর্ট সেরা।

Screenshot_2016-04-11-20-59-27

– স্টোরি খারাপ ছিল না। আমি জানি অনেকে আমার সাথে দ্বিমত পোষণ করবেন, তাও বলছি, স্টোরি ভালই ছিল। সুপারন্যাচারাল পার্টটা যদি বাদ দেই, বাকিটা কিন্তু বাস্তব জীবনের সাথে বেশ মিল রেখে তৈরি করা হয়েছে। ক্যারেক্টারগুলো বিরক্তিকর – এই কথাটার প্রেক্ষিতে আমি বলব, এই ধরণের বিরক্তিকর ক্যারেক্টার আমাদের আশেপাশে খুঁজলেই পাওয়া যায়। এই কারণেই বরং গ্লাসলিপ স্লাইফ অফ লাইফ হিসেবে সফল। সুনদেরে ইয়ানদেরে না দেখিয়ে তারা অন্তত কিছু রিলেটেবল ক্যারেক্টার দেখাতে পেরেছে, যারা ভুল করে, জেলাসও হয়, কিন্তু সেটাকে ওভারকামও করতে পারে।

– সুপারন্যাচারাল পার্টটার কথা এবার বলি, কোন দরকার ছিল না এটার। শুরুর দিকে ভালই লাগছিল, কিন্তু এপিসোড ১২-১৩ তে শুধুশুধু টুইস্টের মত কিছু একটা দেখাতে গিয়ে এন্ডিংয়ে খামাখা কাকেরুকে ভ্যানিশ করে দিল। পিএর কাজ অবশ্য এমনই, পারফেক্ট হ্যাপি এন্ডিং বোধহয় ওদের সহ্য হয়না। তবে ওইটুকু অতৃপ্তির জন্য পুরো অ্যানিমেটাকে খারাপ বলাটা খুবই অন্যায় হবে, কারণ আমি এর চেয়ে অনেক খারাপ অ্যানিমে দেখেছি। গ্লাসলিপের দোষ হল এটা স্লাইস অফ লাইফ রোমান্স, কাজেই খুব এক্সাইটিং কিছু ঘটেনা।

সবমিলিয়ে আমার মনে হয়েছে এটা দেখার যোগ্য অ্যানিমে, বাকিটা আপনারা নিজেরা সিদ্ধান্ত নিন। কাউকে দেখতে সাজেস্ট করব না, যেহেতু এটা এত এত মানুষের ভাল লাগেনি, যার দেখার ইচ্ছা নিজ দায়িত্বে দেখবেন, তবে খুব এক্সাইটমেন্ট পাবেন না এমনটা জেনে দেখতে বসলে ভাল লাগবে, এটা বলতে পারি।

I didn’t survive Glasslip, I enjoyed it.

12973375_197382847313435_8237480134203561675_o

One Week Friends রিভিউ; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

Screenshot_2016-03-26-17-36-00-1

আজ দেখে শেষ করলাম ব্রেইনস বেইজের অ্যানিমে- Isshuukan Friends / One Week Friends.

কাওরি ফুজিমিয়াকে বলা যায় ক্লাসের সবচেয়ে ইউনিক মেয়ে। কারও সাথে কথা বলে না, যন্ত্রের মত স্কুলে আসে যায় আর পড়াশোনা করে। তার শীতল নির্বিকার চাহনি দেখে ক্লাসের অন্য স্টুডেন্টরা তার সাথে কথা বলতে ভরসা পায় না। এই কাওরিকে হঠাৎ একদিন বলে বসল হাসে ইউকি নামের ছেলেটি, “I’d like for us to be friends!!”

চমকে গেল কাওরি। কিন্তু পরক্ষণেই নিজেকে সামলে নিয়ে বিনীতভাবে হাসেকে প্রত্যাখ্যান করে দৌড়ে চলে গেল সে।

Screenshot_2016-03-26-17-35-18

এইটুকু বর্ণনা শুনলে যে কারও মনে হতে পারে, Yet another typical romance story. কিন্তু না, এরপরের কাহিনীতে আছে একটা রহস্য।

নাছোড়বান্দা হাসে তারপরেও কাওরির সাথে কথা চালিয়ে যেতে লাগল। এবং কাওরি নিজেও খেয়াল করল না যে কখন সে না চাইতেও নিয়মিত হাসের সাথে বন্ধুর মতই সময় কাটাচ্ছে। কিন্তু এদিকে সোমবার যে এগিয়ে আসছে! সোমবার এলেই তো কাওরির পৃথিবী রিসেট হয়ে যাবে! কিভাবে হাসের সাথে বন্ধুত্ব রক্ষা করবে তখন সে?

অ্যানিমেটার কাহিনী নরমাল রমকম অ্যানিমের মতই, কিন্তু এই রহস্যটার কারণে কাহিনীটা আমার কাছে বেশ ইউনিক লেগেছে। যদিও এই প্লট নতুন দেখছি না, বহু আগে দেখা একটি ইংরেজি মুভিতে প্রায় এরকম একটা কাহিনী দেখেছিলাম, তাও এই অ্যানিমেতে রহস্যটা যেভাবে ব্যবহার করেছে, তা আমার ভাল লেগেছে। রোমান্সের দিকে নজর না দিয়ে কাওরি ও হাসের অন্যান্য ক্লাসমেটদের সাথে সম্পর্ক ও তাদের নিজেদের ডেভেলপমেন্ট এর দিকে বেশি ফোকাস করা হয়েছে – এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক যেটা অ্যানিমেটাকে বোরিং হতে দেয়নি। স্লাইস অফ লাইফের মত কিছুটা ধীরগতির হলেও তা কাহিনীটাকে উপভোগ্য করে তুলেছে বলে আমি মনে করি।

Screenshot_2016-03-26-20-37-02-1

শুরুতেই ব্রেইনস বেইজের কথা উল্লেখ করেছিলাম, কারণ এই স্টুডিওটি আমার অত্যন্ত পছন্দের অ্যানিমে নাতসুমে ইউজিনচৌ এবং মুভি হৌতারুবি নো মোরি ই তৈরি করেছে, আর এ দুটোর আর্টের সাথে ইশশুকেন ফ্রেন্ডস এর আর্টে অনেক মিল। ক্যারেক্টার ডিজাইন বেশ সুন্দর, ব্রেইনস বেইজের কাজ মনে হয়েছিল দেখার সময়ই। ওএসটি অ্যানিমের থিমের সাথে মানানসই, ওপেনিং টা বেশ সুন্দর।

সবমিলিয়ে মাত্র ১২ পর্বের বেশ সুন্দর একটা স্লাইস অফ লাইফ অ্যানিমে এটি, চাইলে দেখে ফেলতে পারেন।

Screenshot_2016-03-26-17-35-36-1

জিগোকু শৌজো রিভিউ; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

জিগোকু শৌজো / হেলগার্ল সিজন ১ দেখে শেষ করলাম। শুরু করেছিলাম অনেকদিন আগে, প্রায় আট নয়মাস হবে। শুরুর দিকে খুব ইন্টারেস্টিং লাগছিল, কারণ মানুষের মনের কদাকার রূপগুলোকে খুব বাস্তবসম্মত ভাবে তুলে আনা হয়েছিল, মনে কিছুটা চাপও পড়ছিল। কিন্তু ১০-১১ টা পর্যন্ত দেখার পর আবিষ্কার করলাম, জিনিষটা বেশ বোরিং হয়ে গেছে, কারণ প্রতি এপিসোডের কাহিনী একইরকম। ভয়াবহ রিপিটেশন দেখে বোর হয়ে তখন আপাতত বাদ দিয়েছিলাম, এতদিন পর অবশেষে বাকি এপিসোড গুলো দেখলাম। এবং দেখে স্বস্তি পেলাম যে, রিপিটেশন পুরোপুরি দূর না হলেও, শেষদিকে হাজিমে ও তার মেয়ে সুগুমির কাহিনী ইনক্লুড হওয়ার কারণে জিনিষটা অনেক ইন্টারেস্টিং ভাবে শেষ হয়েছে।

ভেবেছিলাম অল্প কথায় রিএকশন লিখে পোস্ট করব, এখন দেখছি বলার মত অনেক কথা মাথায় ঘুরছে। রিভিউ লিখেই ফেলি ছোট করে।

Enma.Ai.full.722587

পৃথিবীতে যতদিন মানুষ থাকবে, ততদিন অন্যায়, অত্যাচারও থাকবে। দুর্বলেরা নির্যাতিত হবে, তাদের অধিকার খর্ব করা হবে, আর সবলেরা অন্যায়ভাবে সুবিধা ভোগ করবে। ন্যায়বিচার বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এক দিবাস্বপ্ন; নির্যাতিতের মনে তাই জ্বলতে থাকে প্রতিশোধের আগুন। ক্লাসে আপনার পাশে বসা মেয়েটিই হয়ত আরেকটি মেয়ের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইচ্ছামত তাকে দিয়ে অন্যায় করিয়ে নিচ্ছে, আপনি টেরও পাচ্ছেন না। অথবা পাশের বাড়ির যে মহিলাটিকে কিছুদিন আগে দুশ্চরিত্রা অপবাদ দেয়া হল, কেউ খোঁজ নিয়েও দেখল না যে বাস্তবে সে কত বড় ষড়যন্ত্রের শিকার। কিংবা হাসিমুখে আপনাকে সাহায্য করতে আসা প্রতিবেশীটি হয়ত মনে মনে আপনার ক্ষতি করার প্ল্যান নিয়ে এসেছে, আপনি যখন জানবেন, ততক্ষণে সব শেষ, কিচ্ছু করার নেই।

এইসব মানুষ কি তাহলে কোনদিন ন্যায়ের দেখা পাবে না? এভাবে অত্যাচারিত হয়েই পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে হবে তাদের?

তাদের জন্য রয়েছে হেল লিঙ্ক। এমন একটি ওয়েবসাইট, যা শুধুমাত্র রাত ১২ টায় একসেস করা যায়, আর যা শুধু অত্যাচারিত মানুষই একসেস করতে পারে। আপনার সাথে যে অন্যায় করেছে তার নামটা লিখে দিন সেখানে, নরক কন্যা এনমা আই আপনার হয়ে প্রতিশোধ গ্রহণ করবে। কিন্তু সেজন্য মূল্য দিতে হবে আপনাকে। আপনার মৃত্যুর পর অনন্তকালের জন্য আপনার আত্মার ঠাঁই হবে নরকে।

অ্যানিমেটির যে দিকটা আমার ভাল লেগেছে, আপনার নৈতিকতা, বিবেকবোধ এবং মনুষত্ব্যের মাঝে একটা ছোটখাটো গৃহ যুদ্ধ বাধিয়ে দিতে পারে অ্যানিমেটি, যা হয়ত ডেথ নোট, কোড গিয়াসও করতে পারেনি। কিরকম? আপনাকে প্রথমে নির্যাতিতের কষ্টটা প্রত্যক্ষভাবে দেখানো হবে। নির্যাতিতের ক্ষোভ আপনি নিজে অনুভব করবেন। আর যখন ভাগ্যের সেই লাল সুতো টেনে খুলতে সে দ্বিধাবোধ করবে, আপনার নিজেরই ইচ্ছে হবে যে গিয়ে সুতোটা খুলে দিয়ে আসি।

কিন্তু যদি ঠাণ্ডা মাথায় চিন্তা করা হয়, তাহলে ব্যাপার টা কি দাড়াতে পারে? এভাবে নিজের আত্মাকে অনন্তকালের জন্য বিসর্জন দিয়ে ক্ষণিকের মুক্তির জন্য প্রতিশোধ নেয়াটা কতখানি যৌক্তিক? প্রতিশোধের এই মরণচক্র তো তাহলে কোনদিন শেষ হবে না! রিপোর্টার হাজিমে ও তার মেয়েকে এনে অ্যানিমেটার কাহিনী আরও জটিল হয়েছে, কিন্তু সেইসাথে আরেকটা দৃষ্টিভঙ্গি দর্শকের সামনে উঠে এসেছে, তাই কাহিনীটা আরও ভাল লেগেছে।

অ্যানিমেটার আর্ট ভালই, ওএসটি অনেক সুন্দর। কাহিনীর পেসিং এ একটু সমস্যা আছে, এছাড়া ওভার অল এটি অবশ্যই সবার দেখার মত অ্যানিমে। শেষ দিকে জিগোকু শৌজোর লাইফ নিয়ে কিছু ঘটনা দেখানো হয়, এটা ভাল লেগেছে। সিজন টু দেখার জন্য আগ্রহ বেড়ে গেছে এখন।

jigoku_shoujo_sakura_kimono_girl_brunette_posture_29489_1920x1080

আন্নারাসুমানারা- স্বপ্নভঙ্গ, প্রত্যাশা ও বড় হওয়ার গল্প; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

আচ্ছা, বড় হওয়ার মানে আসলে কি? শরীরটা আকারে বেড়ে ওঠার সাথে সাথে মানুষের মনটায় কি এমন পরিবর্তন আসে, যার কারণে একসময় তার কাছে যা খুব আকর্ষণীয় ও আরাধ্য মনে হত, তা হঠাৎ করে যুক্তিহীন ও হাস্যকর লাগতে থাকে? প্রাপ্তবয়স্ক হলেই কেন মানুষকে স্বপ্ন দেখা ছেড়ে দিতে হয়? নাকি স্বপ্ন দেখা ছাড়তে তাকে বাধ্য করা হয়! স্বপ্ন দেখলে যে সমাজ তোমাকে পাগল বলবে! তোমার দিকে আঙ্গুল তুলে দেখিয়ে বলবে, দেখ, সে এখনও বড় হতে পারল না! সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ হতে ব্যর্থ। কারণ সে সমাজের ঠিক করে দেয়া নিয়ম মেনে বড় হয়ে ওঠেনি। সে সাহস করেছিল তার জন্য সাজিয়ে রাখা চকচকে পথ ছেড়ে নেমে নতুন করে পৃথিবীটাকে দেখার।

ইউন আই মেয়েটিকে এই সত্যের মুখোমুখি হতে হয় খুব অল্পবয়সে। ঋণের বোঝায় জর্জরিত বাবাকে ছেড়ে চলে যায় তার মা, আর পাওনাদারদের হাত থেকে বাঁচার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে বেড়ায় তার বাবা। নিরুপায় আই তার এবং তার ছোটবোনের জীবন চালানোর জন্য তাই অমানুষিক পরিশ্রম করে। নিজে না খেয়ে থাকে, যেন ছোটবোন স্কুলে টিফিন নিয়ে যেতে পারে। স্কুল শেষ হওয়ার পর অনেক রাত পর্যন্ত একের পর এক পার্টটাইম জব করে, যেন বাড়িভাড়াটা সময়মত দিতে পারে। এতকিছুর সাথে সে কঠোর পরিশ্রম করে পড়াশুনা করে নিজের গ্রেডটাও ঠিক রাখে, কারণ আই জানে, গ্রেড ভাল রাখলে একসময় হয়ত সে একটা ভাল চাকরি করে এই অভাবী জীবনটাকে পরিবর্তন করতে পারবে। ছোট্ট বয়সে বড় হয়ে ওঠা এই মেয়েটি জানে, তার কাছে যা বিলাসিতা, অন্যদের কাছে তা স্বাভাবিক জীবনের অংশ। আর সেই স্বাভাবিক জীবন পাওয়ার জন্য যা কিছু করা সম্ভব, আই সে সবই করবে।

profile_picture_by_no_hurry_to_shout-d6y3rlz

আই এর ক্লাসমেট ইল দং। সবকিছু আছে তার। ধনী পিতামাতা, বিলাসবহুল জীবন, স্কুলে ভাল গ্রেড – সবকিছু। আই এর আরাধ্য জীবন জন্মগত ভাবে পাওয়া ইল দং কখনো জীবনে না শব্দটি শোনেনি। এতকিছু থাকার পরেও কোন না কোন দিক দিয়ে ইল দং ও খুশি নয়। কারণ তার উপরে রয়েছে সীমাহীন প্রত্যাশার পাহাড়। ক্লাসে সবসময় ফার্স্ট হতে হবে, দেশের সেরা ল’ স্কুলে ভর্তি হতে হবে, বাবা-মায়ের মুখ সমাজের সামনে রক্ষা করতে হবে; এর অন্যথা হলে যে সে পরিণত মানুষ হতে ব্যর্থ হবে!

সমাজের সেট করে দেয়া স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী নিজেদেরকে গড়ে তুলতে চেষ্টা করা এই মানুষদের ভীড়েও রয়েছে কিছু অলস মস্তিস্কের স্বপ্নবাজ মানুষ। এরা এখনো স্বপ্ন দেখা ভোলেনি। এদের চোখে পৃথিবীটা এখনো রঙিন এক আনন্দময় ভুবন। সমাজ তাদের আখ্যায়িত করে মানসিকভাবে বিকারগ্রস্ত হিসেবে; তাতে তাদের থোড়াই কিছু আসে যায়! এমনই একজন মানুষ হল শহরের পরিত্যক্ত থিম পার্কে এক পুরনো তাবুতে বাস করা “ম্যাজিশিয়ান”। প্রতিটি মানুষের পরিত্যক্ত স্বপ্নকে নতুন করে জাগিয়ে তুলতে চেষ্টা করা সত্যিকারের জাদু জানা এই ম্যাজিশিয়ান প্রথম দেখাতেই আইকে প্রশ্ন করে, “Do you believe in magic?”

tumblr_ngp0pu5g9Y1s2jureo1_1280

মানহোয়াটি পড়ার আগে এটির বেশ কিছু রিভিউ পড়েছিলাম, সেগুলো পড়ে আমার ধারণা হয়েছিল যে গরীব এবং খুব সিরিয়াস টাইপের একটি মেয়ে ও লেইড ব্যাক জাদুকরকে নিয়ে কাহিনী হবে, মাঝে থার্ড পার্টি হিসেবে বড়লোকের ছেলের উপস্থিতি থাকবে। আমি যে আসলে কতটা ভুল ধারণা করেছিলাম, সেটা কয়েক চ্যাপ্টার পড়েই বুঝতে পারি। শুরুর দিকে মজা লাগছিল, ইউন আই এর জীবনটা অনুভব করছিলাম, আর জাদুকরের প্রশ্নে আই এর মত আমারও মনে হচ্ছিল, জাদুবিদ্যা হল একধরণের ভ্রম। কিন্তু মানহোয়াটি যত এগিয়ে যেতে থাকে, কাহিনীটা যেন আরও গভীর হতে থাকে। প্রতিটি মানুষের আলাদা আলাদা কাহিনী গুলো চোখের সামনে ভেসে উঠতে থাকে। কে জানত, এতদিন পরে একটা মানহোয়া পড়ে এভাবে নিজের সাথে মিল খুঁজে পেয়ে কাঁদব! ইল দং ও ম্যাজিশিয়ান এর পরিপূর্ণ রূপটা আস্তে আস্তে বুঝতে পারলাম ও অনুভব করতে পারলাম। আর তাই শেষ দিকে গিয়ে বলতে ইচ্ছে করছিল, “I do believe in magic!”

মানহোয়াটি সম্পূর্ণ রঙিন, আর্টওয়ার্ক খুবই সুন্দর। পৃষ্ঠাগুলোতে রঙের কারুকাজের দিকে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছে করে। মানহোয়াটির আর্ট দেখে বারবার শ্যাফটের কথা মনে পড়ছিল। ক্যারেক্টার ডিজাইন বেশ সুন্দর, যদিও ইল দং ও তার বাবা-মাকে দেখে শুরুতে প্রচণ্ড হাসি পাচ্ছিল!! কাহিনীর পেসিং খুবই ভাল, একটার পর একটা পৃষ্ঠা উলটে গেছি বিরতিহীন ভাবে, একটুও ক্লান্ত বা বোরড না হয়ে। কাহিনী, এই আর্ট আর পেসিং এর পারফেক্ট কম্বিনেশন এই মানহোয়াটি; দেখে মনে হচ্ছিল কাহিনীটা যেন জীবিত হয়ে চোখের সামনে ভেসে উঠছে। শেষ পৃষ্ঠা পর্যন্ত একইরকম ভাবে মুগ্ধ করেছে এটি আমাকে।

সবমিলিয়ে মাত্র ২৭ চ্যাপ্টারের মাস্টারপিস লেভেলের এই মানহোয়াটি আমার খুব বেশি ভাল লেগেছে, তাই আমি রিকমেন্ড করছি, হাতে সময় নিয়ে টানা ২৭ টা চ্যাপ্টার শেষ করে ফেলুন, খুব ভাল সময় কাটবে আশা করি।

045

রোমিও এক্স জুলিয়েট রিভিউ; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

12513956_586684758162701_8807651964706537406_o

নায়ক এবং নায়িকা, দুজনেই শহরের দুই অন্যতম প্রভাবশালী গৃহস্থের সন্তান। এই দুই পরিবারের মাঝে আবার সাপে-নেউলে সম্পর্ক। কিন্তু তারপরেও ঘটনাক্রমে (!) নায়ক-নায়িকার সখ্যতা গড়ে ওঠে। এরপর শুরু হয় লড়াই ও যত দুনিয়ার ঝামেলা।

শেকসপীয়ার সাহেব সেই কবে এই এক কাহিনী শুরু করে দিয়ে গেছেন, এরপরে এই কাহিনীই ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে সারা দুনিয়াতে অন্তত কয়েক হাজারবার ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে অসংখ্য মুভি/সিরিজ। আর এই নতুন মোড়কে পুরান কাহিনী সিরিজেরই আরেকটি হল আজকের আলোচ্য অ্যানিমে, “রোমিও এক্স জুলিয়েট”।

প্রশ্ন জাগতে পারে, রোমিও জুলিয়েট এর প্রেমকাহিনী তো জানিই, তাহলে আর এই অ্যানিমে নিয়ে এত ভেজাল করার দরকার কি? ২৪ এপিসোড সময় নষ্ট করে সেই “হোয়্যারফোর দাউ আর্ট রোমিও?” র গাপানি ভার্শন কে দেখে?

এখানেই মজাটা। সেটিংটা এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে, আপনার মনেই হবে না যে এটা আসলে শেকসপীয়ার সাহেবের কাছ থেকে ধার করা কাহিনী। কারণ এই অ্যানিমেতে শেকসপীয়ার সাহেব নিজেই যে একজন চরিত্র!! সেটিং টা এমনভাবে করা, যেন মনে হয় যে এই ঘটনার থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই উইলিয়াম শেকসপীয়ার তার বিখ্যাত উপন্যাসটি লিখেছেন।

12604943_586684761496034_684024832718483953_o

অনেক অনেক কাল আগে, মানুষ লাপুতার মত এক ভাসমান রাজ্য নিও ভেরোনাতে বসবাস করত। সেখানকার দয়ালু শাসক ছিলেন ক্যাপিউলেট পরিবারের প্রধান। কিন্তু এক রাতে অতর্কিতে ক্যাপিউলেটদের প্রাসাদে হামলা চালায় মন্টাগিও ফ্যামিলি। নৃশংসভাবে তারা খুন করে ক্যাপিউলেট পরিবারের প্রতিটি সদস্যকে। কিন্তু ভাগ্যক্রমে ক্যাপিউলেট পরিবারের কয়েকজন ফলোয়ার চেষ্টা করে উদ্ধার করে আনে এই পরিবারের উত্তরাধিকারী জুলিয়েট ফিয়াম্মাটা অ্যাস্টো ক্যাপিউলেটকে।

এরপর কেটে যায় ১৪ টি বছর। রাজ্যে অত্যাচারী মন্টাগিও পরিবারের শাসন প্রতিষ্ঠিত। জুলিয়েটের বিরূদ্ধে জারি করা হয়েছে মৃত্যু পরোয়ানা। জুলিয়েটকে তাই মানুষ করা হয় পুরো পৃথিবীর থেকে লুকিয়ে; মেয়ে নয়, তাকে সবাই চেনে ওডিন নামের এক বালক হিসেবে।

এই ওডিনের সাথে ঘটনাক্রমে দেখা হয়ে যায় মন্টাগিও পরিবারের দয়ালু সন্তান রাজপুত্র রোমিওর। এই এনকাউন্টার কি প্রভাব ফেলবে তাদের জীবনে? বিশেষত যখন ক্যাপিউলেট পরিবারের ফলোয়াররা একত্রিত হচ্ছে, জুলিয়েটকে নতুন লীডার বানিয়ে মন্টাগিও পরিবারের পতন নিশ্চিত করার আশায়?

অ্যানিমেটির শুরুটা খুবই ভাল ছিল, শুরুর ৮-১০ টা এপিসোড দেখার সময় আমি চোখের পলক ফেলতে ভুলে যাওয়ার উপক্রম হয়েছিল। জুলিয়েটের দ্বৈত জীবন, অত্যাচারী মন্টাগিও পরিবারের কাজকর্মের নমুনা, সেখান থেকে শহরবাসীকে বাঁচানোর জন্য জুলিয়েটের আপ্রাণ প্রচেষ্টা, রোমিওর সাথে পরিচয়, বন্ধুত্ব; আর নিজের অতীত জানার পর একটু একটু করে পরিণত হতে থাকা জুলিয়েট – সব মিলিয়ে মনে হয়েছিল যে সে জুলিয়েট ড্যামসেল ইন ডিস্ট্রেস হবে না, সে স্বাবলম্বী এবং দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেবে।

কিন্তু এরপর কাহিনীটা কেমন যেন খাপছাড়া হয়ে যেতে থাকে। ক্যাপিউলেটদের সম্মান ফেরত নেয়ার যুদ্ধ হঠাত করে রূপ নেয় জার্নি টু সেভ জুলিয়েটে। এর মাঝে রাজকুমার রোমিও তার বাবার সাথে কলহের পরিণামে বিরূপ পরিস্থিতিতে পড়ে যায়, সেখান থেকে পৃথিবীকে সে নতুন রূপে চিনতে শেখে। শেষের দিকে এসে কাহিনীটা আবার লাইনে ফেরত আসে, এবং এপিসোড ২৩ এ যদি কাহিনীটা শেষ করে দিত, তাহলে এটি আমার অন্যতম পছন্দের একটি অ্যানিমের তালিকায় যুক্ত হত। কিন্তু সুপারন্যাচারাল ফেনোমেনা ঢুকিয়ে যেভাবে কাহিনীর এন্ডিং দেয়া হয়, আমার ভাল লাগেনি, তবে এটা কেবলমাত্র আমার অভিমত, অনেকের ভাল লাগতেও পারে।

স্টুডিও গনজোর এই অ্যানিমেটার আর্ট ভালই, ওএসটি খুবই সুন্দর, মনে রাখার মত। ওভার অল অ্যানিমেটা ভালই, সোর্ডফাইটগুলো দেখার মত ছিল। আপনি রোমান্স ফ্যান হয়ে থাকলে এই অ্যানিমেটি নিশ্চিতভাবে ভাল লাগবে।

12509602_586684801496030_1513153742687139574_n

Tsuritama অ্যানিমে রিভিউ; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

Tsuritama.full.1107613

জনরাঃ কমেডি, স্লাইস অফ লাইফ, স্পোর্টস, সাই-ফাই

“Even if the world ends tomorrow, I just want to fish!”

আচ্ছা, আপনারা কেউ কখনো বড়শি দিয়ে মাছ ধরেছেন? কেমন লাগে ব্যাপারটা? কাঠির গায়ে সুতো বেঁধে পানিতে টোপ ফেলে চুপ করে বসে বোরিং সময় কাটানোর মাঝে কি এমন থাকতে পারে, যা নিয়ে হারু আর কোকো এত হাইপড? কিংবা বড়শিতে মাছ গাঁথার পর সেটাকে খেলিয়ে ডাঙায় তোলা কি এমন কঠিন কাজ, যার জন্যে নাতসুকিকে “প্রিন্স” উপাধি দেয়া হয়েছে?কি এমন রয়েছে এই মাছধরাতে, যে দুনিয়া উল্টে গেলেও কিছু যায় আসে না??

কিংবা মনে করুন, আপনি একজন ট্রান্সফার স্টুডেন্ট। কিন্তু অনেক লোকজনের সামনে আপনি অত্যন্ত অকওয়ার্ড ফিল করেন। তাও কষ্টেসৃষ্টে ফার্স্ট ইমপ্রেশনটা ঠিক রাখার জন্য অনেক প্রস্তুতি নিয়ে ক্লাসে গেলেন। বুকের ভেতর হাতুড়ি পেটানোর শব্দ শুনতে শুনতে আপনি স্পীচ দেয়া শেষ করে কেবল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন, এমন সময় হঠাৎ কোত্থেকে এসে উদয় হল রাস্তায় দেখা হওয়া সেলফ প্রোক্লেইমড এলিয়েন ছেলেটি! কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিজেকে আবিষ্কার করলেন পুরো ক্লাসের সামনে, হাত নেড়ে এনোশিমা ডান্স করা অবস্থায়!! গেল আপনার সাধের ফার্স্ট ইম্প্রেশন!

HorribleSubs_Tsuritama_-_10_720p.mkv_snapshot_04.04_2012.06.16_13.44.05
অথবা, সবসময় একটা হাঁস বগলদাবা করে ঘুরে বেড়ানো ইয়ামাদার আসল উদ্দেশ্যটা কি? হারুর ব্যাপারে সে এত সতর্ক কেন? ইউকি আর নাতসুকিকে জোর করে মাছ ধরতে নিয়ে যাওয়ার মত পাগলামি ছাড়া তো আর তেমন কিছুই করেনা সে। কিংবা হারুই বা সমুদ্রে মাছ ধরতে এত আগ্রহী কেন? এনোশিমার প্রাচীন লোকগাঁথার সাথে কি ওদের কোন সম্পর্ক আছে?

অ্যানিমেটার শুরুটা এমনই ওলট পালট মার্কা, কোথা থেকে কি হচ্ছে আমি কিছু ঠাহর করে উঠতে পারছিলাম না। মাথায় মাছের জার নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সেলফ প্রোক্লেইমড এলিয়েন হারুর কাজকর্ম দেখে হাসি পাচ্ছিল, আবার ওর সরলতা দেখে মায়াও লাগছিল। কিন্তু যত এগোলাম, তত যেন কাহিনীটা আমাকে ভেতরে টানতে থাকল! ভেবেছিলাম কি, আর শেষে হলটা কি! সিম্পল একটা মনকে খুশি করে দেয়া হাসিখুশি স্লাইস অফ লাইফ অ্যানিমে হঠাৎ হয়ে গেল একটি জমজমাট রূদ্ধশ্বাস সাইফাই অ্যানিমে! এবং সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপারটি হল, এতকিছুর মধ্যেও অ্যানিমেটা আমার মুখ থেকে একবারের জন্যেও হাসিটা মুছতে দেয়নি!
tsuritama_by_squ_chan-d56d05l
অ্যানিমেটার আর্টওয়ার্ক অতিরিক্ত সুন্দর। উজ্জ্বল, ঝলমলে রঙ ব্যবহার করে এনোশিমা নামক সমুদ্র উপকূলের শহরটিকে খুব মনোমুগ্ধকর উপায়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে; দেখে যে কারও মনে হতে বাধ্য, একবার যদি এনোশিমায় যেতে পারতাম! ক্যারেক্টার ডিজাইন বেশ উদ্ভট, আর এই উদ্ভট ডিজাইনের কারণেই যেন অ্যানিমেটা প্রাণ পেয়েছে। নাতসুকির মাছধরা বিষয়ক জ্ঞান, ইউকি ও হারুর এ বিষয়ে অজ্ঞানতা, শুধুমাত্র এই ফিশিং এর কারণে চারটা ছেলের জীবনে পরিবর্তন, তাদের মানুষ হিসেবে পরিণত হয়ে উঠতে দেখলে নিজের অজান্তেই তাদেরকে আপন মনে হতে থাকবে!

অ্যানিমেটার ওএসটি খুবই চমৎকার, ওপেনিং এন্ডিং একটাও স্কিপ করার মত না। আর ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক প্রতিটা সিচুয়েশনে পার্ফেক্টভাবে ব্যবহৃত হয়েছে। মাছধরা থেকে শুরু করে ক্লাইম্যাক্স, সবখানেই নিখুঁত আবহ তৈরি করেছে এর ওএসটি।

সবমিলিয়ে অ্যানিমেটা আবার খুবই ভাল লেগেছে, ভিন্নধাঁচের স্লাইস অফ লাইফ ও সাই-ফাইয়ের মিশ্রণ দেখে আরও বেশি ভাল লেগেছে। অনেকদিন পরেও তাপিওকার “ডাক” মনে করে আমি হাসব, নাতসুকি, ইউকি, হারু আর ইয়ামাদার বন্ধুত্বের কথা মনে করে আনন্দ পাব। আর ক্লাইম্যাক্সের সেই লোম খাড়া করা মূহুর্তগুলো তো কখনোই পুরনো হবার নয়!

tsuritama_wallpaper_by_chatlantic-d5974r8

অ্যানিমে রিভিউঃ বারটেন্ডার; লিখেছেন ইশমাম আনিকা

lunar-bartender-01-x2641280x7201639e648-mkv_snapshot_04-25_2011-03-19_02-30-54

আজ দেখে শেষ করলাম “বারটেন্ডার”। রাফিউলের ভাষায় বলি, “বাউরে বাউ, কি যে দেখলাম এইটা!!” হার্ড লিকারের উপর কেউ পিএইচডি করতে চাইলে এই অ্যানিমে দেখা আবশ্যক!!

সাসাকুরা রিউ একজন বারটেন্ডার। টোকিও শহরের গিনজা নামক এলাকায় অবস্থিত তার বার, “এডেন হল।” রিউ অত্যন্ত দক্ষ একজন বারটেন্ডার, যে কারণে তার তৈরি করা ককটেলকে বলা হয় “গ্লাস অফ গড”। প্রতিদিন বিভিন্ন ক্যারেক্টারিস্টিকের এবং ভিন্ন ভিন্ন সোশ্যাল স্ট্যাটাসের মানুষ আসে বারে, আর এক গ্লাস ককটেলের সাথে উঠে আসে তাদের সুখ-দুঃখের গল্প। সাসাকুরা রিউ নৈপুণ্যের সাথে ককটেলের গ্লাসে ফুটিয়ে তোলে তার শিল্পকর্ম, আর সেইসাথে এর সাথে সম্পর্কিত একেকটি অদ্ভুত গল্প দিয়ে মুগ্ধ করে অতিথিকে, কারণ, একজন বারটেন্ডারের যে দায়িত্ব এটা, অতিথি যেন যাওয়ার সময় একটি সুন্দর সময়ের স্মৃতি সাথে করে নিয়ে যান।

অ্যানিমের কাহিনী এপিসোডিক, প্রতিটা পর্বে বিভিন্ন ধরণের ককটেল আর তার সৃষ্টির ইতিহাস বেশ ইন্টারেস্টিংভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। সাসাকুরা রিউ যখন ককটেলগুলো বানায়, ঐ দৃশ্যটা বেশ অ্যামেজিং। আর প্রতিটা মানুষের মনের ভেতরের কথা সে যেভাবে টেনে বের করে আনে, এটাও ইন্টারেস্টিং।

অ্যানিমেটার আর্টওয়ার্ক অনেক ভাল, সঙ্গত কারণেই “ডেথ প্যারেড” এর কথা বারবার মনে পড়ছিল। ক্যারেক্টার ডিজাইন চমৎকার, আর ওএসটিও বেশ ভাল। এন্ডিং সংটা একবারও স্কিপ করতে পারিনি।

সবমিলিয়ে খুবই এক্সেপশনাল এবং ইন্টারেস্টিং একটি অ্যানিমে এটি, ১১ টা এপিসোড বেশ উপভোগ করেছি।

12022554_555071621324015_3926291896555078707_o