MADE IN ABYSS [রিভিউ] — Zunaid Mashrafee

MADE IN ABYSS
লেখক: আকিহিতো সুকুশি
 
•> মাঙ্গা
প্রকাশকাল: ২০১২-চলমান।
ভলিউম:- ১১টি
প্রকাশিত: তাকেশোবো ম্যাগাজিন
 
•> এনিমে
প্রথম সিজন:
প্রচারকাল: ৭ জুলাই-১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭
এপিসোড: ১৩ টি
স্টুডিও: কিনেমা সাইট্রাস
ডাইরেক্টর: মাসায়ুকি কজিমা
 
২০১৯ সালে মোট ২টি মুভি বের হয়। “Journey’s dawn” আর “Wandering twilight”. মুলত এই দুইটা মুভিতে প্রথম সিজনে যা দেখানো হয়েছে তা একসাথে কভার করা
হয়েছে। ২০২০ সালে আরেকটি মুভি বের হয়, “Dawn of the deep soul”.
•>সিজন ২: The golden city of the scorching sun
পর্বসংখ্যা:- ১২
সম্প্রচার: জুলাই ৬-সেপ্টেম্বর ২৮,২০২২।
****
এক বিশাল খাদের আবিষ্কার হয় হঠাৎ, যে খাদের শেষ গিয়ে ঠেকেছে পৃথিবীর তলায়। মানুষ স্বাভাবিকভাবেই একে চেনে, Abyss নামে। খাদটি কেবল বিশাল খালি গহ্বর না। এর ভেতরে রয়েছে আমাদের চেনা জগতের থেকে আলাদা আরেকটা জগৎ। রয়েছে জীববৈচিত্র্য, বিভিন্নরকম ভৌগোলিক পরিবেশ, আর বিচিত্র রকমের artifacts. এমন সব পদার্থ যার সন্ধান abyss এর বাইরের পৃথিবীতে কখনো পাওয়া যায় না ‌। কিন্তু সেখানে যাওয়াটা মোটেও সহজ না। পুরো abyss একটি অজানা শক্তির চাদরে আবৃত, যেটি curse of abyss নামেই পরিচিত। যে কেউই খাদে নামুক, উপরের দিকে আসতে গেলেই শারিরীক ভাবে অসুস্থ বোধ করতে শুরু করে, হতে পারে মৃত্যুও। যতো গভীরতা, ততোই অভিশপ্ত শক্তির প্রভাব বিদ্যমান সেই “abyss” এ।
 
পৃথিবীর বুকে রহস্যময় জায়গার শেষ নেই। এই জায়গাগুলো চিরকাল মানবজাতির জন্য কৌতুহলের খোরাক জুগিয়েছে‌। মানবসভ্যতার সামনে নতুন নতুন চ্যালেঞ্জ নিয়ে এসেছে দুর্গম অঞ্চলগুলো‌। মৃত্যুর হাতছানি যতোই থাকুক, বিচিত্র জগৎকে ছুঁতে পারার তাড়না কখনোই থামে নি। Abyss ও ব্যাতিক্রম না, abyss কে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে “ওর্থ” শহর। গড়ে উঠেছে একদল অভিযাত্রী, যাদের কাজ abyss এর তলা থেকে বিভিন্ন ধরণের artifact সংগ্রহ।অভিশপ্ত শক্তির সাথে খাপ খাইয়ে গভীরে যেতে পারার সক্ষমতার উপর ভিত্তি করে এই অভিযাত্রীদের দলকে কয়েক ভাগে ভাগ করা হয়েছে‌। একেক দলের কাছে একেক রঙের বাশি দেয়া হয়, পদবীর প্রতীক হিসেবে। একেবারে নবীন যারা খাদের মুখে কাজ করে, তারা লাল বাশি, আর যারা একেবারে ভিতরে, ভয়াবহ প্রতিকুল পরিবেশে সংগ্রামে সক্ষম তারা পায় সাদা বাঁশি।
মাটির হাজারখানেক ফিট নিচে কাজ করা সহজ না অবশ্য‌ই, তাই abyss আবিষ্কারের পর খুউব কম white whistles এসেছে। এর‌ই মধ্যে একজন কিংবদন্তী white whistles লাইজা। যার মেয়ে রিকো ওর্থ শহরের‌ই বেলচেরো এতিমখানায় বড় হয়, এবং তাকেও abyss এর artifact সংগ্রহের কাজে নিয়োজিত করা হয়। “Red whistle” প্রাপ্ত রিকো যে কিনা একজন ব‌ইপড়ুয়া ও “Nerd”, হঠাৎ করেই একদিন বিদ্যুৎচালিত cyborg সদৃশ একটি artifact খুঁজে পায়। রিকো এর নাম দেয়, রেগ‌‌। এবং সেদিন থেকে তার বহুদিনের স্বপ্ন বাস্তব হবার সম্ভাবনা দেখতে পায়। খাদের শেষ প্রান্তে যেখানে white whistles দের বসবাস, সেখানে সে যাবে, দেখা করবে, তার মা লাইজার সঙ্গে।qqখনির নিচের প্রতিকুল আবহাওয়া, ভয়ংকর প্রাণী জগৎ আর অভিশপ্ত শক্তির প্রভাব- সব উপেক্ষা করেই ছোট্ট রিকো সিদ্ধান্ত নেয়, তার অভিযান চলবেই! অদ্ভুতরকম সক্ষম রেই, তাকে প্রেরণা যোগায় এই অসম্ভব প্রতিকুল পরিবেশ জয় করার।
Made in abyss এনিমের সবচেয়ে বড় শক্তি এর অসম্ভব সুন্দর এবং detailed World building. আমার কাছে abyss এর সাথে রাশিয়ার kola super deep borehole এর সাযুজ্যটা চোখে পড়েছে ভীষণ। খাদের প্রতিটা স্তরে লেখক বিভিন্নরকম পরিবেশ আর জীবজগতের বিস্তারিত ক্ষেত্র তৈরি করেছেন।
পুরো এনিমেটাই খাদের প্রতিটা স্তরে রিকোর অভিযান, তার সম্মুখে থাকা পরিবেশগত challenge এবং সেগুলোকে উতরে আসার ছোটবড় গল্পে সাজানো। তবে এর‌ই সাথে বেলচেরোর এতিমখানায় রিকোর আপাত করুণ জীবন, abyss কে ঘিরে artifact ব্যবসা, অভিজাত white whistles দের জটিল মনোজগৎটা মাঙ্গাকা সুন্দরভাবে চিত্রায়ণ করেছেন। রিকোর প্রখর মেধা ও ইচ্ছাশক্তি আপনাকে যেমন নাড়া দিয়ে যাবে। রেগ একটি cyborg ধরণের কিছু। কিন্তু এর আচার আচরণ আর প্রকৃতি বেশ আশ্চর্যজনক। একটি ভালো গল্পে নায়কের পাশাপাশি খলচরিত্রের প্রয়োজন আছে। গল্পের antagonist বন্ড্রিউডকে সময়ের অন্যতম সেরা antagonist বললে ভুল হবে না হয়তো।
সব মিলিয়ে, আমি বলবো, এই এনিমে মিস করার মতো না। এই শীতকালে কম্বলের তলায় শুয়ে দেখে ফেলুন, “Made in abyss”.

Inu-Oh [রিভিউ] — Shan To

Inu-Oh
Genre: Fantasy.
Themes: Historical, Music, Performing Arts.
সময়সীমা: ১ ঘন্টা ৩৮ মিনিট.
 
গল্পটি ইনু-ওহ এবং টোমোনার জীবন সংগ্রমের গল্প।টোমোনা একটি দুর্ঘটনায় তার বাবা এবং তার দুই চোখ হারায়।অপরদিকে,ইনু-ওহের বাবা তার নিজ স্বার্থের জন্য রাক্ষস মুখোশের সাথে একটি চুক্তি করেছিলেন।যার কারনে ইনু-ওহ বিকৃত শরীর নিয়ে জন্মায়।তবে তাদের মাধ্যে ছিলো বিশেষ প্রতিভা।যেমন টোমোনা বিওয়া বাজাতে এবং ইনু-ওহ নোহ নাচ করতে পারতো।তাদের এ প্রতিভার সংমিশ্রণে এমন এক জিনিস তৈরি করে যা তাদের সংস্কৃতি থেকে পুরোপুরি ভিন্ন।যার কারনে তাদের খ্যাতি সারা শহরে ছড়িয়ে পরে এবং তাদের ভাগ্য পরিবর্তন হয়।
একদিকে,ড্যান নো উরার যুদ্ধে গেঞ্জি বংশ হেইক গোষ্ঠীকে পরাজিত করে।তখন শিশু সম্রাট ও তার দাদু এক বিশেষ তরোয়াল বহন করার সময় ডুবে যায়।যুদ্ধের কয়েকশত বছর পর আশিকাগা ইয়োশিমিতসুর লোকেরা টোমোনা এবং তার বাবাকে ভাড়া করে ডুবে যাওয়া তরোয়ার খুজে বের করার জন্য।তারা হেইক গোষ্ঠীর জাহাজের ধ্বংসাবশেষ থেকে একটি তরোয়াল খুজে পেলে,এই তরোয়াল একটি শক্তির ফলক ছেড়ে দেয় যা টোমোনার বাবাকে অর্ধেক কেটে ফেলে এবং টোমোনাকে অন্ধ করে ফেলে।পরবর্তীতে টোমোনা অন্ধ বিওয়া খেলোয়াড়দের একটি সদস্য হয়ে যায়।যারা মারা যাওয়া যুদ্ধার আত্মাদের সুরেলা কন্ঠে গল্পের মাধ্যমে শান্ত করে।আরেকদিকে,ইনু-ওহ জন্মায় বিকৃত দেহ নিয়ে।তবুও সে নোহ নাচে পারদর্শী হয়ে ওঠে এবং তার ইচ্ছে ছিলো সারা দেশে সে বিখ্যাত হয়ে উঠবে নাচের মাধ্যমে।পরবর্তীতে টোমোনার সাথে তার বন্ধুত্ব হয়।একপর্যায়ে টোমোনা তার বাবার আত্মার কথা ইনু-ওহকে বললে সে খেয়াল করে হেইক যোদ্ধাদের অনেক আত্মা ইনু-ওহকে ঘিরে রেখেছে এবং তাকে তাদের গল্প বলছে।এ থেকে তারা উৎসাহিত হয়ে পারফরম্যান্স শুরু করে যেখানে টোমোনা তার নাম পরিবর্তন করে টোমোরি রাখে এবং সে নিজেকে তার
সংস্কৃতি থেকে ভিন্ন ভাবে উপস্থাপন করে যেমনঃ- মেয়েলি পোশাক পরতে শুরু করে,মেকআপ করা শুরু করে, এবং চুল বড় রাখে।তারা দুজন আধুনিক যুগের ব্র্যান্ড এর মতো গানের পাশাপাশি নাচ করা শুরু করে,,, আরো কতকি।তারা খুব তারাতাড়ি শহরে বিখ্যাত হয়ে ওঠে।তারা খ্যাতি অর্জন এর পাশাপাশি ইনু-ওহের বিবৃত শরীর ধিরি ধিরে সাভাবি হতে শুরু করে।
এনিমেশন,ভয়সে এক্টিং,সাউন্ডট্র্যাক খুবই ভালো।আনেক কালারফুল একটা এনিমে।ভয়সে এক্টাররা প্রতিটি কথাকে যেভাবে গানের মাধ্যমে বলেছে তা অসাধারণ।সব মিলিয়ে খুবই মজার একটা এনিমে এটা।

Sakib’s Hidden Gems – Episode #54

আনিমে: Memories
জানরা: সাইফাই, হরর, কমেডি, ড্রামা
এপিসোড সংখ্যা: ৩
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/1462/Memories
 
নব্বইয়ের দশকে নির্মিত এই anthology সিরিজটা তিনটি ভিন্ন স্বাদের ছোটগল্প মিলিয়ে মুভি আকারে পরিবেশিত হয়েছে। এটির সাথে যুক্ত ছিলেন সাতোশি কন ও কাতসুহিরো ওতোমো প্রমুখ সৃষ্টিশীল ব্যক্তি। প্রায় পৌনে দুঘণ্টার এই ফিল্মটি থিমের দিক দিয়ে যেমন মুখরোচক, তেমনি এর আরটিস্টিক ভ্যালুও বলার মতো। তিনটি গল্প নিয়ে আলাদা করে আলোচনা না করলেই নয়।
 
১। Magnetic Rose
দূর ভবিষ্যতে একদল ভ্রাম্যমাণ নভোচারী মহাকাশে ভাসতে থাকা বর্জ্য অপসারণ করতে গিয়ে এক উদ্ভট জায়গার সন্ধান পায়, যেখানে বাস্তব ও পরাবাস্তব মিলেমিশে একাকার হয়ে গিয়েছে। সাতোশি কনের তুখোড় প্রতিভার স্বাক্ষর এটি। মিউজিক ও আর্ট ডিরেকশনের জোরে অসাধারণ ভৌতিক ও রোমাঞ্চকর আবহাওয়া সৃষ্ট হয়েছে এতে, যা দর্শককে শেষ পর্যন্ত বসে থাকতে বাধ্য করে।
 
২। Stink Bomb
জাপানের এক জৈব রাসায়নিক গবেষণাগার থেকে অত্যন্ত গোপনীয় জৈব হাতিয়ার লোকসম্মুখে চলে আসার ঝুঁকি তৈরি হয়। এ ঝুঁকি সামলাতে ও সম্ভাব্য জৈব দুর্যোগ এড়াতে জাপান সরকার কী করে তা-ই লেখকের বস্তুনিষ্ঠ ভাবনায় তীক্ষ্ণ শ্লেষের সাথে পরিবেশিত হয়েছে। গল্পের থিম ও এর মনকাড়া মিউজিক আপনাকে বিশুদ্ধ বিনোদন দিবে।
 
৩। Cannon Fodder
এই গল্পে সম্পূর্ণ সামরিক শাসন নিয়ন্ত্রিত এক সমাজ কল্পনা করা হয়েছে, যেখানে প্রতিটি মানুষ কেবল অস্ত্র বানানো বা অস্ত্র ছোঁড়ার সাথে জড়িত। ভিন্ন স্বাদের আর্টস্টাইল দ্বারা সাহসীভাবে মানব সমাজের মূর্খতাকে বিদ্রূপাত্মক ভঙ্গিমায় দেখানো হয়েছে এখানে।
 
ভিন্ন স্বাদের সৃষ্টিশীল কাজের সন্ধানে থাকলে এই ফিল্মটি নির্দ্বিধায় দেখে ফেলুন।
 

Yawara! A Fashionable Judo Girl [রিভিউ] — Nazmus Sakib

আনিমে – Yawara! A Fashionable Judo Girl
এপিসোড সংখ্যা – ১২৪ + ১টি মুভি
লেখক – নাওকি উরাসাওয়া
স্টুডিও – ম্যাডহাউজ
ম্যাল রেটিং – ৭.৫০
ব্যক্তিগত রেটিং –
 
ধীরলয়ের, রিল্যাক্সিং, ও ব্যতিক্রমী স্পোর্টস কমেডি ড্রামা। “মন্সটার”- খ্যাত উরাসাওয়ার অপেক্ষাকৃত হাল্কা স্বাদের ও হ্যাপি মুডের কাজ এটি। পুরোনো দিনের স্লো পেসড ড্রামা দেখতে চাইলে এটি হতে পারে আইডিয়াল।
 
সংক্ষিপ্ত পরিচিতিঃ
সময়কাল আশির দশকের শেষদিক। ভীষণ প্রতিভাধর এক জুডো খেলুড়ে পরিবারের তৃতীয় প্রজন্মের কিশোরী মেয়ে ইয়াওয়ারা। জুডোতে তার জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু জুডোতে মোটেও আগ্রহ নেই ওর। সে বরং চায় সাধারণ মেয়ের মতই জীবনটাকে উপভোগ করতে, যৌবনের স্বাদ নিতে, ট্রেন্ডি স্টাইলের কাপড়চোপড় পরতে। কিন্তু বাদ সাধেন ওর দাদু। এক সময়কার ডাকসাইটে জুডোকা ঐ দাদুর শাসনে ইয়াওয়ারাকে প্রতিনিয়ত জুডোর প্র্যাকটিস করতে হয়। তার দাদুর একটাই ইচ্ছা – ইয়াওয়ারা যেন বার্সেলোনা অলিম্পিকে স্বর্ণ জয় করে। শুরু হয় ইয়াওয়ারার স্বাভাবিক জীবন আর জুডোকা হিসেবে ক্যারিয়ারের মাঝে ব্যালেন্স করে পথচলা। পথে ওর অনেক বন্ধু জুটে, ভালোবাসার পাত্রও জুটে যায়। এভাবেই আমাদের চোখের সামনে সে বেড়ে উঠতে থাকে আর জীবনের নানা মোড় পেরোতে থাকে।
 
গল্পঃ ৭
ট্রাডিশনাল স্পোর্টস সিরিজগুলো থেকে এটি একটু আলাদা। এখানে মেইন ক্যারেক্টার ইতিমধ্যেই বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় হবার দাবি রাখে। কিন্তু সে কিছু মানসিক বাধার কারণে নিজের ফুল পটেনশিয়ালটা ব্যবহার করতে দ্বিধাবোধ করে। উল্টাদিকে ওর সাফল্যে উদ্বুদ্ধ হয়ে বেশ কিছু রাইভ্যালের আবির্ভাব ঘটে, যারা দিনরাত খেটে ওর লেভেলে যাবার চেষ্টা করতে থাকে। এর পাশাপাশি গল্পে ঐ সময়কার জীবনের নানা দিক ও আবেগ ফুটে উঠেছে নৈপুণ্যের সাথে।
 
চরিত্রায়ণঃ ৯
সিরিজের স্ট্রং পয়েন্ট আসলে এই জায়গাতেই। ইয়াওয়ারাকে ভালো না লেগে থাকাই যায় না, এমন করেই বাস্তবতার ছোঁয়া দিয়ে তাকে গড়ে তুলেছেন লেখক। প্রায় প্রতিটা পার্শ্বচরিত্রের আছে আলাদা বৈশিষ্ট্য, যা মনে গেঁথে যায়। বেশ দীর্ঘ এই সিরিজে মূল চরিত্র ছাড়াও এদের সবাইকে সময় নিয়ে ফুটিয়ে তুলতে পেরেছেন লেখক। প্রায় কেউকেই ওয়ান ডিমেনশনাল বলা যাবে না।
 
আর্ট ও এনিমেশনঃ ৮
আনিমের সময়কার আর্ট ও এনিমেশন স্টাইল ফলো করা হয়েছে। উরাসাওয়ার চিরাচরিত বাস্তবধর্মী ডিজাইনের প্রয়োগ ঘটেছে এখানে, যা গল্পের সাথেও যুতসই হয়েছে। “A Fashionable Judo Girl ” তকমা পাওয়া ইয়াওয়ারাকে একেক এপিসোডে একেক সাজে দেখতে পাওয়া যায়। জুডো ম্যাচের ডাইন্যামিক মুভমেন্টগুলো যত্নের সাথে দেখানো হয়েছে।
 
সাউন্ডঃ ৭
তিনটার মতো আলাদা ওপেনিং ও এন্ডিং গান ব্যবহার হয়েছে। কয়েকটা বেশ মনে ধরার মতো। তাছাড়া পুরনো দিনের কিছু সুদিং মিউজিক শোনা যাবে এই আনিমেটিতে।
 
এঞ্জয়মেন্টঃ ৯
উরাসাওয়ার ও পুরনো দিনের আনিমে ভক্ত হিসেবে এটি সত্যিকার অর্থেই এঞ্জয় করেছি। মধ্যভাগে এসে খুব বেশি স্লো হয়ে যাওয়ায় ধৈর্যচ্যুতি যে একেবারেই হয়নি তা বলতে পারি না, তবে মোটের উপর এটি দেখে সময়টা দারুণ কেটেছে। দেখার পর আনিমেটাকে মিস করছি। আনিমেটি দেখতে গিয়ে নানা সময়ে বিভিন্ন রকম আবেগ অনুভব করেছি। চরিত্রগুলিকে খুব কাছের মনে হয়েছে।
 

Kenichi the Mightiest Disciple [রিভিউ] — Zunaid Mashrafee

কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপল
Kenichi the Mightiest Disciple
 
জাপানি উচ্চারণ: শিজো সাইকিয়ো নো দেশি কেনিজি
মাঙ্গা:
(original)
লেখক:-সিয়ুন মাৎসুয়েনা
প্রকাশকাল:-১৯৯৯-২০০২
ভলিউম:-৫
(Remake)
এপ্রিল ২০০২-সেপ্টেম্বর ২০১৭
ভলিউম:-৬১টি
এনিমে:
প্রকাশকাল:-অক্টোবর ২০০৬- সেপ্টেম্বর ২০০৭
এপিসোড সংখ্যা: ৫০টি
স্টুডিও:- TMS entertainment
নির্দেশনা:-হাজিমে কাগেয়ামা
ওভিএ:
প্রকাশকাল: মার্চ ২০১২-২০১৪
স্টুডিও: Brains Base
পর্বসংখ্যা: ১১
 
 
একটি চরম underrated এনিমে।
শোনেন জনরায় কিছু বিষয় এতোই কমন যা প্রতিটি এনিমেতেই এসে হাজির হয়। তাদের মধ্যে একটি বিষয় হলো, দুর্বল চিকনচাকন প্রধান চরিত্রের হাট্টাকাট্টা বিশ্ববিজয়ী হয়ে ওঠার গল্প। এইটা প্রায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব শোনেনে পাওয়া যায়, যার ফলে এটাই সবচেয়ে কমন “ট্রোপ”।
বিরিয়ানি তো দিনশেষে গিয়ে ভাত আর মাংস‌ই। কিন্তু রন্ধনের পদ্ধতি আর গুণে কিছু হয় কাচ্চি, কিছু হয় তেহারি কিছু হয় স্রেফ খাওয়ার অযোগ্য। শোনেন‌ও তেমনি এক‌ই কনসেপ্টের উপর বেজ করে হলেও কাহিনী বর্ণনার গুণে কোনগুলো লিজেন্ড, কোনগুলো উল্লেখ করার মতো না।
আর তারপর আসে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের মতো আন্ডাররেটেড, কেউ চিনে না টাইপ রত্ন।
জাপানি স্কুল পড়ুয়া চিকন চাকন বুলির হাতে পেদানি খাওয়া ছেলে কেনিচি। নিজেকে ডিফেন্ড করা শিখতে তাই বিভিন্ন ব‌ইপত্র পড়ে কেনিচি। কিন্তু গ্রন্হগত বিদ্যা দিয়ে কি আর বাস্তবজীবনে টিকে থাকা যায়?
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস হোক, আর যা হোক কোনো না কোনোভাবে রিওজানপাকু বলে একটা মার্শাল আর্ট দোজোর সন্ধান পায়। পায় বলতে, দোজোটা তাকেই একধরণের খুঁজে নেয়।
এই এনিমেটাতে যেই জিনিসটা ভালো লেগেছে, সেটা হলো মার্শাল আর্টের বাস্তবসম্মত উপস্হাপন। টেকনিক ও প্রাক্টিসের সমন্বয়ে যে সাধারণ মানুষ‌ও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারে, এই মেসেজটা এখানে স্পেশাল। পপুলার মার্শাল আর্ট এনিমেগুলো বলতে সাধারণত আমরা যেগুলো চিনি, যেমন বাকি দ্য গ্রাপলার, কেনগান আশুরা এগুলোর থেকে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের একটা দিক একটু অনন্য বলতে হবে। এখানে নেই কোন ভয়ংকর রকমের রক্তারক্তি বা masculine fantasy. এটা আমার আপনার মতো স্রেফ একটা সাধারণ ছেলের বুলির বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর একটা অসাধারন কাহিনী।
কাহিনীর পেসিং শুরুর দিকে ভালো থাকলেও মাঝখানে একটু বোরিং লাগতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে দেখতে থাকলে রতন পেতে পারেন। এনিমেশনটা পুরনো যুগের এনিমের মতোই, ঐখান থেকে ঝা চকমকে ইউফোটেবল বা মাপ্পা ক্লাসের কিছুই পাবেন না। কমেডি আছে প্রচুর, কারো কাছে একটু sketchy লাগতে পারে। কেনিচির সময় সময় হাল্কা করে মরে যাওয়ার expression টা দারুণ লেগেছে।
তো, সময় করে দেখে নিতে পারেন এই আন্ডাররেটেড এনিমেটা। কম ভালো লাগলেও হতাশ হবেন না। আর Ost টা মিস করবেন না।

Sakib’s Hidden Gems – Episode #53

আনিমে: High Score Girl

জানরা: রোমান্স, গেইম, সেইনেন, কমেডি
এপিসোড সংখ্যা: ১২ + ৩ + ৯
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/21877/High_Score_Girl

সময়টা নব্বইয়ের দশক। গেমিং ইন্ডাস্ট্রি তরতরিয়ে বেড়ে উঠছে। পাড়ায় পাড়ায় গেম সেন্টার গড়ে উঠছে, যেখানে পয়সা খরচ করে কিশোর ও তরুণ বয়সীরা গেম খেলার স্বাদ নিচ্ছে। সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে একই গেমের নানা নতুন সংস্করণ আসছে।

এমতাবস্থায় আমরা দেখতে পাই প্রাইমারি স্কুলপড়ুয়া আমাদের গল্পের নায়ক ইয়াগুচি-কে। লেখাপড়া বা বন্ধুদের সাথে মেলামেশার চাইতে গেম খেলার দিকেই তার আসক্তি বেশি। একমাত্র গেম খেলার জগতেই সে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। একদিন সে গেম সেন্টারে তারই বয়সী এক মেয়ে প্লেয়ারের খোঁজ পায় ও ওর খেলার প্রতিভা দেখে খুবই আশ্চর্য হয়।

এই মেয়েটি হল গল্পের নায়িকা ওনো। সে খুব বড়লোক পরিবারের মেয়ে। পরিবারের অতিরিক্ত শাসন ও শৃঙ্খলে অতিষ্ঠ হয়ে সে মাঝেসাঝে গেম সেন্টারে গিয়ে হাঁফ ছেড়ে বাঁচে। শিশুকাল থেকেই তার সমবয়সীদের সাথে মেলামেশার সুযোগ না পাওয়ায় কারণেই হয়তো সে একেবারেই চুপচাপ থাকে। ইয়াগুচি আর ওনোর মাঝে একটা সুন্দর প্রতিদ্বন্দ্বিতা শুরু হয় আর ওরা একে অপরকে আরো এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকে। সময়ের সাথে সাথে ওদের সম্পর্কের উত্থান-পতন-পরিবর্তন হতে থাকে।

এদিকে সময় এগিয়ে যায়। রঙ্গমঞ্চে হিদাকা নামের আরেকটি মেয়ের আবির্ভাব হয়। ইয়াগুচির প্রভাবে সেও গেমিং-এর জগতে প্রবেশ করে। এই তিনজনের মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে কাহিনী এগিয়ে যায় আর ওরাও বড় হয়ে উঠতে থাকে।

গল্পের সবচাইতে আকর্ষণীয় দিক হলো এর চরিত্রগুলি। খুব যত্নের সাথে লেখক ওদের ফুটিয়ে তুলেছেন যাতে ওদের ব্যাকগ্রাউন্ড আর চিন্তাচেতনা আমরা বুঝতে পারি। গল্পের পার্শ্বচরিত্রগুলিও বেশ সুগঠিত আর গল্প এগিয়ে নেওয়ায় ও প্রয়োজনে হাস্যরস সৃষ্টিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। গল্পের নায়কের ক্যারেক্টার প্রোগ্রেশন আর গল্পের সমাপ্তি এনে দেয় অনির্বচনীয় তৃপ্তি।

গেমিং ইন্ডাস্ট্রি নিয়ে আগ্রহ থাকলে বা নস্টালজিক হতে চাইলে এই আনিমেটি দেখবেন। সত্যিকার অর্থেই একটি উৎকৃষ্ট মানের রোমকম দেখতে চাইলে এই আনিমেটি দেখবেন। গল্পের শুরুর কয় এপিসোড দেখতে অসুবিধা হতে পারে – এনিমেশন স্টাইল খাপছাড়া লাগতে পারে – তবুও পুরোটা শেষ করার মেন্টালিটি নিয়ে দেখুন। আশা করি আপনার পছন্দের তালিকায় স্থান পাবে।

 

Sakib’s Hidden Gems – Episode #52

আনিমে: Hakumei to Mikochi (Hakumei and Mikochi)

জানরা: স্লাইস অফ লাইফ, ফ্যান্টাসি
এপিসোড সংখ্যা: ১২ + ১
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/36094/Hakumei_to_Mikochi
 
কিউট পিচ্চি কিছু লিলিপুটদের নিয়ে এই আনিমের গল্প। গল্পের প্রধান চরিত্র হলো কাপড় সেলাই, রান্না ও অন্যান্য নানা কাজে পারদর্শী মিকোচি আর ছটফটে ও হাসিখুশি হাকুমেই নামের দুইটি মেয়ে। মাকানাতা নামের মফস্বল এলাকার একটি গাছের কোটরে তাদের বাড়ি। মজা ও আবেগ মিশানো ওদের নিত্যদিনের জীবন ও খুনসুটি নিয়েই গল্পের বুনন।
 
গল্পের প্রতিটি চরিত্রকেই পছন্দ হয়ে যায়। ওদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যগুলি সুন্দর করে ফুটে ওঠে আর ওদের একান্ত আপন বোধ হয়। এছাড়া প্রকৃতিঘেঁষা ওদের নৈমিত্তিক জীবনাচরণ দেখে দারুণ একটা প্রশান্তি কাজ করে। তার সাথে মনোরম ভিজুয়াল ও সাউন্ড একটি রিল্যাক্সিং অভিজ্ঞতা দেয়।
 
ধীরলয়ের ও প্রশান্তিকর একটি এপিসোডিক আনিমের খোঁজে থাকলে এটি বেছে নিতে পারেন। মাঝেমধ্যে এক দুইটি এপিসোড দেখলে তা আপনাদের কর্মক্লান্ত জীবনের ফাঁকে টনিক হিসেবে কাজ করবে আশা করছি।
 

Sakib’s Hidden Gems – Episode #51

আনিমে: Shirokuma Cafe (Polar Bear Cafe)

জানরা: স্লাইস অফ লাইফ, কমেডি, জোসেই
এপিসোড সংখ্যা: ৫০
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/12815/Shirokuma_Cafe
 
জাপানের কোন এক শহরতলীতে আছে “শিরোকুমা কাফে” নামের একটি চা-নাস্তা খাওয়ার রেস্টুরেন্ট। রেস্টুরেন্টের মালিক কিন্তু কোন মানুষ নয়, বরং একটি শ্বেতভল্লুক! সকালে কাজে যাওয়ার আগে বা কাজ শেষে অবসাদ দূর করতে মানুষ আর জন্তু-জানোয়ার উভয়ের কাছেই এই ক্যাফেটি জনপ্রিয়। ক্যাফেতে কাজ করে সুন্দরী ও মিশুকে সাসাকো আপা। আর ক্যাফের নিয়মিত খদ্দেরের মধ্যে আছে বোকাসোকা কিউট পান্ডা এবং ব্যঙ্গে আর ব্যর্থ প্রেমে পারদর্শী পেঙ্গুইন। এছাড়াও আছে লামা, কচ্ছপ, স্লথ, আরো অনেক পশুপাখি। এছাড়া আছে শিরোকুমার বন্ধু গ্রিজলি ভালুক। এদের মজাদার দিনকাল নিয়েই এই স্লো ও রিল্যাক্সিং এনিমেটি বানানো হয়েছে।
 
আনিমের কমেডি অংশটুকু বিশেষ করে নজর কাড়ে। মুলত স্ল্যাপস্টিক কমেডি ঘরানার এই হাস্যরসে অনেক বাস্তব জীবনের ও বুদ্ধিদীপ্ত বিষয়ের মিশেল থাকায় বেশ ফ্রেশ আর উপভোগ্য হয়। ভয়েস কাস্টে বেশ কয়েকটি পরিচিত নাম খুঁজে পাবেন। এছাড়া আর্টস্টাইল ভালো, পর্ব শুরু বা শেষের গানগুলো উপভোগ্য, কিছু হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া মুহূর্তও আছে। চরিত্রগুলিকে anthropomorphize করা হলেও ওদের জান্তব বৈশিষ্ট্যগুলি থেকে গিয়েছে। ইউনিক বৈশিষ্ট্যের চরিত্রগুলির দু-তিনটেকে পছন্দ হয়ে গেলে আপনি এটাতে হুকড হয়ে যাবেন আশা করি।
 
ধীরলয়ের কমেডির মুডে থাকলে এইটে ট্রাই করে দেখার প্রস্তাব রইল।
 

Sakib’s Hidden Gems – Episode #50

আনিমে: Tenkuu no Escaflowne (The Vision of Escaflowne)

জানরা: এডভেঞ্চার, ফ্যান্টাসি, রোমান্স, মেকা, সাইকোলজিকাল
এপিসোড সংখ্যা: ২৬
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/182/Tenkuu_no_Escaflowne
 
গল্পের নায়িকা হাইস্কুল পড়ুয়া ছাত্রী কানযাকি হিতোমি। সে তার ভালোবাসার পাত্রকে কনফেস করার মুহূর্তে জাদুবলে চলে যায় পৃথিবী ও চাঁদের মধ্যবর্তী Gaea নামক এক জগতে। সেখানে প্রকাশিত হয় তার এক আশ্চর্য ক্ষমতা – সে ভবিষ্যতে কী ঘটবে তার কিছু খন্ডচিত্র দেখতে পায় (premonition) আর তীব্র মনোনিবেশ করলে অজানা জিনিসের সন্ধান পায়। তার এই এবিলিটির কথা টের পেয়ে সাম্রাজ্যবাদী Zaibach এর রাজা ওকে নিয়ে যেতে চায়। এতে অলরেডি চলমান Fanel আর Zaibach রাজ্যের মধ্যে যুদ্ধ আরো প্রকট আকার ধারণ করে। এরই মধ্যে হিতোমি পার্শ্ববর্তী Asturia রাজ্যের নাইট এলেনের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করে। ফানেল আর তার বন্ধু রাষ্ট্রগুলি কি পারবে Zaibach রাজার আগ্রাসনকে ঠেকাতে? হিতোমি কি পারবে ওর ভালোবাসার মানুষকে নিজের হৃদয়ের কথা জানাতে? ও কি পারবে নিজের জগতে ফিরে যেতে?
 
নব্বই-এর দশকের ট্র্যাডিশনাল আর্টস্টাইল এতে রক্ষিত হয়েছে। বেশ এস্থেটিক বলা যায়। চরিত্রগুলির বৈশিষ্ট্য বেশ নিপুনভাবে ফুটে উঠেছে। তাদের মনের অন্তর্দ্বন্দ্বগুলি তুলে ধরা হয়েছে বেশ বাস্তবিকভাবে। ক্লাসিক ঘরানার বৈচিত্র্যপূর্ণ ওএসটি আনিমেটিকে আরো উপভোগ্য করেছে। Mecha গুলোর ডিজাইন আর ফাইটগুলিও ভালোই বলা চলে। তবে সবচাইতে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে নায়িকার মানসিক বিকাশ ও তাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা একটি বেশ ম্যাচিওর ধাঁচের প্রেমের বহুভুজ।
 
যারা পুরোনো যুগের আনিমে পছন্দ করেন বা ফ্যান্টাসি জগতে ড্রামা খুঁজছেন তাদের হাই প্রায়োরিটি তালিকায় এটা জায়গা করে নেবার যোগ্যতা রাখে বলে আমি মনে করি।
 
 

Sakib’s Hidden Gems – Episode #49

আনিমে: Ristorante Paradiso

জানরা: স্লাইস অফ লাইফ, ড্রামা, জোসেই, রোমান্স
এপিসোড সংখ্যা: ১১
MAL লিঙ্ক: https://myanimelist.net/anime/5984/Ristorante_Paradiso
 
গল্পের মূল চরিত্র নিকোলেত্তা নামের প্রায় মধ্য বিশের ঘরের একটি মেয়ে। গল্পের শুরুতে সে ছোটবেলায় তাকে ছেড়ে চলে যাওয়া মায়ের খোঁজে ইতালির রোম নগরীতে আসে। ওর মা সেখানকার “রেস্তোরেন্তে দেল অরসো” নামের এক হোটেলের মালিকের সাথে ঘরকন্না করছে। ওর মার শখ অনুযায়ী ওখানকার প্রত্যেক স্টাফ হলো মধ্যবয়স্ক বা তারো বেশি বয়সের চশমা-আঁটা পুরুষ। ওর মা ওকে ওর বান্ধবির মেয়ে হিসাবে পরিচয় দেয় আর কিছুদিন সেখানে থেকে যেতে বলে। চাকুরির সন্ধানে থাকা নিকোলেত্তা ওর রান্নার আগ্রহের কারণে ওই হোটেলের শিক্ষানবিশ রাঁধুনি হিসেবে যোগদান করে। একই সাথে হোটেলের হেড ওয়েইটার
মাঝবয়েসি ডিভোর্সি ক্লাউডিওর উপর ওর দুর্বলতা এসে পড়ে। শুরু হয় নিকোলেত্তার এই নতুন শহরে ও একই সাথে ক্লাউডিওর হৃদয়ে নিজের জায়গা করে নেবার চেষ্টা।
 
আনিমের পুরোটা জুড়ে একটা শান্ত স্নিগ্ধতা আছে। কোন তাড়াহুড়ো নেই। নিকোলেত্তা আর ক্লাউডিওর উপরে বেশি ফোকাস থাকলেও আস্তে আস্তে অন্যান্য স্টাফ আর চরিত্রদেরও ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ম্যাচিওর স্বাদের এই আনিমেতে কিছু জীবনধর্মী ইস্যু উঠে এসেছে, সবই মূলত নরনারীর সম্পর্ক সংক্রান্ত।
 
ভিজুয়াল একই সাথে সিমপ্লিস্টিক আর স্টাইলিশও। গল্পের মুডের সাথে বেশ মিলে গেছে। ক্লাসিক ঘরানার ওএসটি একে এনে দিয়েছে আভিজাত্য। আর গল্প এসে ঠেকেছে এক তৃপ্তিদায়ক পরিসমাপ্তিতে।
 
কিছুটা স্লো কিন্তু ম্যাচিওর স্বাদের বাস্তবিক কাহিনিওয়ালা কিছুর সন্ধানে থাকলে এটা চেখে দেখতে পারেন। কিছুটা ওপেন মাইন্ডেড হয়ে দেখতে পারলে ভালো লাগবে আশা করি। একই লেখিকার ACCA 13-ku আর House of Five Leaves দেখার প্রস্তাব রইল। এই দুটিকে নিয়েই আগে লিখেছি।