কার রেসিং এর মুভিগুলা কেন যেন কখনই আমাকে খুব বেশী টানে না। তাই এনিমের শুরুতে যখন নিশ্চিত হয়ে গেলাম যে এই এনিমটা কার রেসিং নিয়ে এবং পাশাপাশি আরও ২-১ টা জিনিস দেখে ধারণা হল হয়ত কয়েক পর্ব পরেই এইটা দেখা বাদ দিতে বাধ্য হব। কিন্তু ২-৩ টা এপিসোড দেখার পরেই বুঝতে পারলাম আমি কতটুকু ভুল ভেবেছিলাম !!!! কোনরকম বিরতি ছাড়াই টানা ৪ টা সিজন শেষ করে বলতে পারি একটা A গ্রেডের এনিম।
মাউন্ট আকিনার একটা পেট্রোল পাম্পে কাজ করে কিছু বন্ধু। সবাই মোটামুটি কার রেসিং নিয়ে চরমভাবে আগ্রহী। তাদের একটা দলও আছে। কিন্তু তাদের একজন ফুজিওয়ারা তাকুমি। খুব সাধারণ একটা ছেলে, যে কিনা কোন কাজেই খুব উৎসাহী না, কোন সিচুএশন সহজে ধরতে পারে না। গাড়ি নিয়ে যার কোন রকম আগ্রহ কিংবা জ্ঞান নেই। নিজেদের গাড়ির মডেলটাও সে বলতে পারে না। ঠেকায় পরে বাবার বেবসায় সাহায্য করার জন্য ১৩-১৪ বছর বয়স থেকে নিয়মিত গাড়ি চালায়। গাড়িটা আবার বেশ পুরনো মডেলের। কিন্তু নিয়মিত চালানোর ফলে এই গাড়ি নিয়েই তাকুমি অসম্ভব সব ড্রিফটের কাজ শিখে গেছে। গাড়ির স্টিয়ারিং হুইলের পিছনে তাকুমি অন্য এক মানুষ। অবলীলায় এমন সব মুভ দেয় যা অনেক প্রফেশনাল রাও ভয়ে পারফর্ম করে না। ইচ্ছা না থাকা সত্ত্বেও ঘটনাক্রমে একদিন পাশের এলাকার এক বিখ্যাত রেসারের সাথে তার রেসে নামতে হয়। এবং সকলকে অবাক করে দিয়ে সে রেসে জিতেও যায়। আর তার সামনে খুলে যায় রোমাঞ্চকর রেসিং জগতের দরজা
এনিমটার সবচেয়ে ভাল লেগেছে ফাস্ট পেইস। কোন জায়গায় ঘটনা ঝুলে যায় নাই। একবার ভাল লেগে গেলে মনিটরের সামনে চুম্বকের মত টেনে বসিয়ে রাখবে।
এনিমের আরেকটা দিক ভাল লাগছে যে এইটার রোমান্টিক সাইডটা। এইখানে প্রায় সব গুলা চরিত্রই রেসিং এ উন্নতি করার জন্য তাদের প্রিয়জনকে বিদায় জানায়। এবং সেই পার্ট গুলাও ভাল লাগছে।
এনিমে গাড়ি চালানোর এবং বিভিন্ন মডেলের গাড়ির কোন দিক ভাল, কোন দিক খারাপ এই নিয়াও বেশ ভাল আলোচনা করছে।
তবে এনিমের আর্ট সাইড টা বেশী ভাল লাগে নাই। ক্যারেক্টার ড্রইং অনেকটা “ক্রুড” ফর্মে করা। খুব সম্ভব রেসিং সিন গুলাকে বেশী গ্লেমারাস করার জন্য এই কাজ করছে। তবে এই দিকটা আমার কাছে খারাপ লাগছে।
এনিমের সাউন্ড ট্র্যাক গুলা যথেষ্ট ডিসেন্ট। শুনতে ভালই লাগছে।
সব মিলিয়ে বেশ ভাল একটা এনিম, সময় কাটানোর জন্য পারফেক্ট। নাম্বারিং করতে বললে আমি এই এনিমটাকে ১০০ তে ৭৫ দিব।
তাহলে যাদের কার রেসিং নিয়ে আগ্রহ আছে, তারা দেরি না করে দেখা শুরু করে দিন এই অসাধারণ এনিমটি।
বিকালের দিকে মাথায় ক্যারা উঠল; AMV বানামু। গুতাগুতি শুরু করলাম; এই জিনিস ক্যামনে বানায় – এই নিয়া। ঘাইটা ঘুইটা যা পাইলাম এবং সকলে যা বলল; তার সারমর্ম – দুই চাইরটা ভিডিও মিডিও কাইট্টা সাউন্ড জোড়া লাগায় নরমাল কিছু একটা দাঁড় করানো তেমন কঠিন কিছু না। কিছু টিউটোরিয়াল ফিউটোরিয়ালও উৎসাহের চোটে নামায় দেইখা ফালাইলাম। এরপর শুরু হইল কাহিনী? কোন এনিম নিয়া বানামু? ফাস্টে ভাবলাম; ওয়ান পিস নিয়া বানাই; ইউটিউব ঘাইটা দেখি ওই জিনিস লাখখানেকের উপর আছে। অনেক ভাইবা চিন্তা ইনিশিয়াল ডি সিলেক্ট করলাম; কিন্তু সমস্যা হইল; ভিডিও কাইট্টা যে AMV বানামু; সেইরকম ভাল রেজুলেশনের ভিডিও পাই না !!! আইচ্ছা; সেইটাও না হয় গেল; ভাল একটা গানও পছন্দ হয় না !!! সব জোগাড় কইরা যখন ঘন্টা তিনেক আগে কাজে হাত দিলাম; বোঝা গেল; টিউটোরিয়াল এবং বিভিন্ন সাইটে কোন কিছুকে “relatively easy” বলিলে সেইটা সাথে সাথে ভুলিয়া যাইতে হবে !!! সেই লেভেলের পেইন !! পেইন টেইন নিয়া শেষমেশ এই জঘন্য কিছু(এইটারে AMV বলা যাইব বইলা মনে হইতেসে না :/) একটা বানাইলাম; তাও দেড় মিনিট হয় নাই !!! তারপর তো আপলোডের যুদ্ধ আছেই !! যাই হোক; শেষ মেশ কিছু একটা বানাইতে পারসি – এতেই খুশি। সমালোচনা না আসার কোন কারণ নাই; তবে শুধু “ভুল হইসে” না বইলা “এইটা এইভাবে না কইরা এইভাবে করলে বেটার হইত” টাইপ কমেন্ট বেশি আশা করতেসি
http://www.youtube.com/watch?v=QNhdJQd9ECs