Code Geass রিভিউ — Amor Asad

Code Geass: কেবলই কী অ্যানিমে? নাকি অননুভূত অভিজ্ঞতার রূপকও?
▬▬
Code Geass সম্পর্কে লেখার আগে একবার উইকি আর MAL’এ ঢুঁ মেরেছিলাম প্রোডাকশন সম্পর্কে খোঁজ খবর নিতে। অতীত অভিজ্ঞতার কারণেই জেনে নেয়া দরকার ছিল কোড গিয়াস অরিজিনাল সিরিজ নাকি মাঙ্গা অ্যাডাপশন। যেহেতু কোড গিয়াসের কোন মাঙ্গা ছিল না, তাই আলাদা কোন মানদণ্ড নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

CG1Ichirō Ōkouchi এবং Gorō Taniguchi’র প্রশংসা করতে হবে। গোপন এক সংস্থা, নেপথ্যের ভিজিলান্টে নায়ক এবং গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রগুলির মাঝে মূল্যবোধের পার্থক্য – বলা চলে সাদামাটা প্লট নিয়ে আগাচ্ছিলেন দুজন। অথচ সেই সাদামাটা প্লটকেই ব্যপক রূপ দিয়ে সিরিজকে এন্টারটেইনমেন্ট ভ্যালু তো দিয়েছেনই, সেই সাথে বিচ্ছিন্ন ভাবনার উদয় হবার সুযোগও রেখেছেন। এই লেখায় আমার নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি থেকে কিছু হাইপোথিসিস এবং কাউন্টার হাইপোথিসিস প্রস্তাব করব। এছাড়াও থাকবে ব্যক্তিগত ভালোলাগা মন্দলাগার কিছু টুকরো কথা।

Code Geass এর ঘটনাবলী অল্টারনেট টাইমলাইনের, যেখানে ব্রিটানিয়ান এম্পায়ার গোটা পৃথিবীর উপর একছত্র, একনায়কতন্ত্র কায়েমের তালে আছে। এটা স্পষ্টত যে এই ব্রিটানিয়ান এম্পায়ার আমাদের পৃথিবীতে অ্যামেরিকা; মানচিত্রে খেয়াল করলে দেখা যায়, USA এবং Latin America দুটো মিলেই ব্রিটানিয়ান এম্পায়ার। সুতরাং ব্যপারখানা দাঁড়াচ্ছে, অ্যামেরিকা ঔপনিবেশিকের ভূমিকায় আসীন এবং এক পর্যায়ে জাপান দখল করে নেয়।

CG2

 

এই দৃশ্যপটের পেছনে কিছু ব্যপার থাকতে পারে।
এক, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে এশিয়ানদের উজ্জ্বীবিত করতে এবং দলে টানতে সত্য-মিথ্যার মিশেলে কিছু অ্যর প্রোপাগান্ডা ছড়ায় জাপান। সাংস্কৃতিক আগ্রাসন, পুঁজিবাদ ছিল যার উপজীব্য বিষয় এবং ডিকটেটরশিপটুকু বাদ দিলে ব্রিটানিয়ান এম্পায়ার পুঁজিবাদী এবং ঐপনিবেশিক মনোভাবের কোন এক জাতির অর্জনের চুড়ান্তরূপ হিসেবে ধরা যায়। যুদ্ধ পরবর্তী অবস্থায় যদি পরাশক্তিরা পৃথিবী ভাগের তালে থাকত তবে হয়ত এরকমই হতো। এই থিওরীর পিছে আরেকটা ছোট কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল Nagasaki Arch, সম্ভবত পঞ্চম বা ষষ্ঠ এপিসোডে ক্ষণিকের জন্য দেখানো হয়, ব্রিটানিয়ান এম্পায়ারের জাপান আক্রমণের সময়কালে। এটা সেই আর্ক যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপানের নাগাসাকিতে ফেলা অ্যাটমিক তাণ্ডবের মাঝেও আস্ত ছিল। কোড গিয়াস ওয়ার্ল্ডেও চারপাশে ধ্বংসলীলা নিয়ে সদর্পে টিকে আছে। সোজা কথায়, ডিফরেন্ট টাইমলাইন, অ্যামেরিকা ইনভেডার, জাপান নির্দোষ। (পয়েন্ট টু বি নোটেডঃ আমি নিউক্লিয়ার অ্যাটাককে জাস্টিফাই করছি না, ক্রাইম অনুযায়ী জাপানকে খুব বেশিরকম আর নিষ্ঠুর মূল্য দিতে হয়েছে) তবে এই থিওরীতে যে ত্রুটি নেই সে দাবী করছি না, কারণ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে জাপান-জার্মান-ইতালি জোট হেরে গেলেও, জাপানের প্রোপাগান্ডা অনুযায়ী প্রস্তাবিত সিস্টেম (ব্রিটানিয়ান) বাস্তবে রূপ নেয়ার সুযোগ ছিল না। এটা ছিল স্রেফ দলভারী করার প্রয়াসমাত্র, নিদেনপক্ষে যুদ্ধচলাকালীন সময়ে। ওই সেন্টিমেন্ট এতদিন পর কেউ অ্যানিমেতে তুলে ধরবে বলে মনে হয়না। তাছাড়া সেসময় আরেক পরাশক্তি ছিল USSR, কোড গিয়াসের দুনিয়ায় রাশিয়ার অস্তিত্ব নেই।

দুই, একবিংশ শতাব্দীর কিছু আগে থেকে এবং তারও আগে কোল্ড অ্যর চলাকালীন সময়ে অ্যামেরিকা কাগজে কলমে সাধু সাজলেও নানা ছুতোয় বিভিন্ন দেশের অ্যাফেয়ার্সে বাগড়া দিয়েছে এবং দিচ্ছে। মধ্যপ্রাচ্যের অনেকাংশ বিভিন্ন সময়ে ইউএস সরকারের দখলে ছিল এবং এখনও আছে। সেই সাথে বন্ধু রাষ্ট্রের উপরও বড়ভাইয়ের মতো আচরণ অদৃশ্য এক কলোনিস্ট জায়ান্টের কথা মনে করিয়ে দেয়। হতে পারে Code Geass’এ এই জায়ান্টের ফিজিকাল এবং ভবিষ্যৎ এক্সট্রিম রূপ ব্রিটানিয়ান এম্পায়ার। ২০০৬ সালে নির্মিত কোড গিয়াসের প্লট সময়কাল ২০১৭ করাটা কেবলমাত্র সাইফাই রূপ দেয়নি, এই ভীতিটার খসড়া একটা রূপও প্রদান করেছে। আবারও, ডিকটেটরশীপটুকু বাদ দিয়ে। সরাসরি আঙ্গুল তোলা থেকে বিরত থাকতে এবং সাইফাই/ফ্যান্টাসি রূপদানে গিয়াস পাওয়ার আর একনায়কতন্ত্র গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন ছিল।
অ্যানিমে সিরিজ কম দেখা হলেও অ্যানিমে মুভি দেখা হয়েছে বেশ, এবং আনুপাতিক হারে দেখলে এমন সুপ্ত কোন প্লট থাকার সম্ভাবনা খুব কম হলেও একেবারে বাদ দেয়া যায় না। এমনকি জিবলি স্টুডিও এর বাইরে নয়। গেলো বছর দুয়েক আগে, জাপানিজ এয়ারক্রাফট এঞ্জিনিয়ার জিরো হোরিকোশির বায়োপিক The Wind Rises এ আমরা দেখেছি তরুন এক ইঞ্জিনিয়ারের স্বপ্ন সফল করার আপ্রাণ প্রয়াস আর সেই সাথে নিখাদ দেশপ্রেম আর জাতিগত আত্মসম্মানবোধের মিশ্রণ। কিন্তু পর্দার আড়ালে এই সত্যটুকু চাপা পড়ে গেছে যে, জিরো হোরিকোশির ফাইটার প্লেনগুলো ঠিক শান্তি বজায় রাখতে যায়নি, বরং জার্মান অ্যালায়েন্সের অংশ হিসেবে জাপান আক্রমণকারীই ছিল। গ্রুপে Md Asiful Haque ভাইয়ের ব্যপক এক রিভিউ আছে এই অ্যানিমে নিয়ে।

তিন, আবারও সেকেন্ড ওয়ার্ল্ড অ্যরের দারস্থ হতে হবে তবে ভিন্ন দৃষ্টিকোণে। হিটলার, তার নাৎসি সাম্রাজ্যের সাথে ব্রিটানিয়ান সম্রাট চার্লসের ব্রিটানিয়ান এম্পায়ারের সেন্টিমেন্ট প্রায় সদৃশ বলা চলে। হিটলারের আরিয়ানদের মতই ব্রিটানিয়ানরা অন্য জাতিকে অস্পৃশ্য এবং নীচু মনে করে। আরিয়ানিজমের (Aryanism) সূতিকাগার ছিল জার্মানি, ব্রিটানিয়ান এম্পায়ারও তাই। লেখক ও পরিচালক Ichirō Ōkouchi এবং Gorō Taniguchi’কী তবে কোড গিয়াসে অ্যান্টি-নাজিজম সেন্টিমেন্ট রেখেছেন? এই সেন্টিমেন্টের জন্ম কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে হিটলারের পক্ষে যুদ্ধ করার অপরাধবোধ থেকে? কে জানে।
আমি স্রেফ পয়েন্টগুলো উল্লেখ করলাম, গ্রহণ বা বর্জন করতে বলা আমার উদ্দেশ্য না। এগুলো হাইপোথিসিস, আগেই বলেছি। আবার অনেকটা স্বগতোক্তির মত। বাকিটা পাঠকের উপর নির্ভর করবে।

►দর্শক প্রতিক্রিয়া◄
এই অংশ সম্পূর্ণই অ্যানিমের স্টোরি রিলেটেড। এবং কিছু মাইল্ড স্পয়লার থাকবে, যিনি এখনও কোড গিয়াস দেখেননি, সামনে না এগোতে অনুরোধ করছি।

–**স্পয়লার অ্যালার্ট**–

কোড গিয়াস দেখতে গিয়ে এক ধরণের নতুন অনুভূতির সাথে পরিচিত হয়েছি। যখন দেখা শুরু করেছি, একের পর এক এপিসোড দেখে গিয়েছি বিরতিহীন। যখন বিরতি নিয়েছি, আবার দেখতে ইচ্ছে করেনি, একরকম অনীহা কাজ করেছে। আবার যখন দেখতে বসেছি, বিরতিহীন ভাবে দেখেছি। ইন এ সেন্স, কোড গিয়াস মাদকের মত ছিল।
সবচেয়ে যে ব্যপারটা দোলা দিয়েছে, তা হল গল্পের আনপ্রেডিক্ট্যাবিলিটি। কিছু কিছু ইভেন্ট আন্দাজ করতে পারলেও বেশীরভাগেই চমকে গিয়েছি। সুপার থ্রিলিং আর টুইস্ট ভর্তি শো’ হিসেবে কোড গিয়াস সবার শীর্ষে থাকবে কোন সন্দেহ নেই। সেই সাথে ক্যারেক্টার গুলোর তারিফ করতে হবে, এক্কেবারে নিখুঁত চিত্রায়ন। যেমন, Suzaku’কে হটাৎ করে পিষে ফেলতে চাওয়ার মত পাওয়ারফুল ইমোশন এমনি এমনি তৈরী হয়না। অথচ আইডিওলজিকালি সুজাকুর স্ট্যান্ড কোনভাবেই ফেলনা ছিল না। রক্তারক্তি থামানোই মূল ইচ্ছে ছিল সুজাকুর, তাতে সার্ভোভৌমত্ব যায় যাক। কাপুরুষত্ব? হতে পারে; কিন্তু ভুল নয়।
আচ্ছা, ভিন্ন একটা কোড গিয়াস ওয়ার্ল্ড বিবেচনা করা যাক যেখানে বর্তমান পৃথিবীর দেশসমূহের বদলে ফিকশনাল কিছু ল্যান্ড রয়েছে এবং এরিয়া ১১ শুরু থেকেই ব্রিটানিয়ান সাম্রাজ্যের অন্তর্ভূক্ত। তাহলে এরিয়া ১১’কে স্বাধীন করতে গড়ে ওঠা ব্লাক নাইট অর্গানাইজেশন আর জিরো আদতেই টেররিস্ট এবং সুজাকু আদতেই হিরো। স্রেফ ন্যাশনালিস্ট সেন্টিমেন্ট দর্শকের মনে সুজাকুর অবস্থান পাল্টে দিয়ে জিরোকে হিরো হিসেবে দাঁড় করিয়েছে।
এই পর্যায়ে প্রশ্ন করতে হবে, জিরো আদতেই হিরো ছিল কিনা। জিরো বা ‘লুলুচ ভাই ব্রিটানিয়া’র (ধন্যবাদ ইয়ামি আপু, নামটা পছন্দ হইছে) কোন ইচ্ছেই ছিলো না পাবলিক সার্ভিস দেয়ার, তার সবগুলো মোটিভ পারসোনাল এবং পারসোনাল গেইনেই তার সব প্লান। হ্যাঁ, সেগুলো হারানো জাপানের দমিত জনসাধারণের পক্ষেই গেছে কিন্তু সেটা জিরোর উদ্দেশ্য ছিল না এটা পরিস্কার। তাই, জিরো আসলে ভিলেইন। একেবারে শেষে আত্মাহুতি দিয়ে ভিজিলান্টিজম আর জাস্টিস আপহোল্ড করার চিহ্ন হিসেবে জিরো চরিত্রকে হিরোর মর্যাদায় উঠিয়ে দিয়ে গেলেই লুলুচের ক্রাইমগুলো মাফ হয়ে যায় না। ইনফ্যাক্ট, গিয়াস ব্যবহার করাটাই ক্রাইম, সুপারপাওয়ার নয়। জিরো তাই আমার চোখে সুপারহিরো তো নয়ই, হিরোও নয়।
হিরো সুজাকুও নয়। সেও ব্যক্তিগত আবেগের বশবর্তী হয়ে আনুগত্য পাল্টেছে বারংবার। একজন ন্যাশনালিস্টের চোখে সুজাকু রাজাকার, একজন অ্যানারকিস্টের চোখে সুজাকু অ্যান্টিহিরো, একজন ইউটোপিয়ানিস্টের চোখে সুজাকু হিরো।

লেখক ও পরিচালকের উদ্দেশ্য ছিলো মূল দুই ক্যারেক্টারের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের অন্তর্দ্বন্দ্ব তুলে ধরা।
স্যালুট দিয়ে বলতে হবে, তারা দারুণভাবে সফল।

তবে মেকিং এ কিছু ত্রুটি ছিল। কিছু দৃশ্যের ব্যাখ্যা না চাইতেই গরুর রচনা পেশ করা হয়েছে, কিছু দৃশ্য গ্যাপ দিয়ে দেখিয়ে দর্শকের কল্পনাশক্তির উপর ভরসা করা হয়েছে। ব্যক্তিগতভাবে খুঁটিনাটি বিষয়গুলি লক্ষ্য করতে পছন্দ করি – তাও আমার কাছে রোলো, ভিলেটা আর জিরোর চুক্তির ব্যপারটা ঝাপসা – কোত্থেকে হুট কী হয়ে গেল। এরকম উদাহরণ আরো দেয়া যাবে।
আবার গল্পের উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, হটাৎ করেই কাহিনীর রেশ চেপে ধরে ধীরে ধীরে এগোনো হয়েছে। এইরকম ছন্দপতনগুলি পছন্দ করতে পারিনি। সবচেয়ে বড় উদাহরণ হবে প্রথম সিজনের শেষ এবং দ্বিতীয় সিজনের শুরুর সময়টা। এতই বিরক্ত হয়েছিলাম, কোড গিয়াস দেখা বন্ধ করে অ্যাটাক অন টাইটান দেখতে বসেছিলাম।

তবে এসব ট্রিভিয়াল ব্যপার ওভারলুক করতে রাজী আমি। অন্তত সম্পূর্ণ সিরিজ শেষ করার পর সেটার আফটার ইফেক্ট হিসেবে যে ঘোরের ভীতর ছিলাম, তার জন্যে হলেও। খুব বেশি মোশন পিকচার দর্শককের অবচেতনকে আপন করে নিতে পারে না। এইটুকু ক্রেডিট দিতেই হবে কোড গিয়াসকে।

আমার রেটিং ৮.৭/১০

CG3

‘ইফ ইউ লাইক দিস ইউ মে অলসো লাইক দ্যাট’ – ০২

ইফ ইউ লাইকড  ‘Code Geass’ ইউ মে অলসো লাইক ‘Guilty Crown’

আপনার কাছে ‘Code Geass’ ভালো লাগলে ‘Guilty Crown’ ও ভালো লাগতে পারে

কারণ-

Code Geass’ ও ‘Guilty Crown’ এর মধ্যে মিল-

*দুইটা সিরিসের মেইন ক্যারেক্টার ই সরকারের বিরদ্ধে লড়াই করে, জাপান কে মুক্ত করার জন্য।
* মেইন ক্যারেক্টার এর পাওয়ার ফিমেইল ক্যারেক্টার এর কাছ থেকে পায়।
* ক্যারেক্টারাইজেশন এর মিল।
* মেইন ক্যারেক্টার এর পাওয়ার ইউনিক (The Power of the King)। লেলুচ (Lelouch) এর ক্ষেত্রে ‘গিয়াস’ (Geass) আর শু (Shu) (গিলটি ক্রাউন) এর ক্ষেত্রে ‘ভয়েড এক্সট্র্যাকশন’ (Void Extraction)
* কাহিনির সেটিংস আর আবহ তে মিল।
* মেইন ক্যারেক্টার এর সাথে একটা ফিমেইল ক্যারেক্টার থাকে যে মেইন ক্যারেক্টার কে সাপোর্ট করে। কোড গিয়াস এর ক্ষেত্রে লেলুচ এর সাথে C.C আর গিলটি ক্রাউন এর ক্ষেত্রে শু এর সাথে Inori.
* Action, Mecha, Sci-fi, Super Power জনরা এর।
* দুইটা অ্যানিমেই এর কাহিনি ই Hiroyuki Yoshino আর Ichiro Okouchi এর লেখা।
* দুইটা অ্যানিমেই এর প্রডিউসার হিসেবেই FUNimation Entertainment আছে।
* মিউজিক বেশ ভালো।
* ফিমেইল সাপোর্টিং ক্যারেক্টার, যে মেইন ক্যারেক্টার কে ভালোবাসে আর কাহিনি তেও প্রভাব আছে। Code Geass এ Shirley Fenette আর Guilty Crown এ Hare Menjou.
* দ্যাট এন্ডিং।

Code Geass’ ও ‘Guilty Crown’ এর মধ্যে অমিল-

* Code Geass এর কাহিনি Guilty Crown এর কাহিনি এর চেয়ে ভালো।
* লেলুচ এর ক্যারেক্টারাইজেশন বেশি ভালো শু এর থেকে।
* লেলুচ নিজে থেকেই উদ্যোগ নিয়েছিলো কিন্তু গিলটি ক্রাউন এর শু অনেকটা প্রভাবিত হয়ে কাজ করেছিল।
* Code Geass এর সিসন ২ টা। Guilty Crown এর সিসন ১ টা।

কোড গিয়াস – Asif V bangladeshia Orders you… watch it :D :D

code geass দেইখা শেষ করলাম; কেমন লাগসে বুঝতেসি না; সময় লাগবো মনে হয়। তয় পুরাডা সিরিজ ধইরা শারলির লাইগা খারাপ লাগসে; মাইয়াডারে বড়ই ভালা পাইসিলাম; কিউট আছিল। আর ইউফেমিয়ার ফাইনাল কাহিনীর সময় তোমনে হইসে আমি নিজে যাইয়া যদি কিছু করতে পারতাম !!! সেই লেভেলের খারাপ লাগসিল !!! তয় লাস্টে যেইটায় বেশি শক খাওয়ার কথা; ওইটা মেলা আগেই স্পয়লার খাইয়া বইসা ছিলাম; তাই ততটা শক লাগে নাই !!! (এই কারনেই আসলে এতদিনেও না দেখে থাকার কারণ !!! )

আর দুইটা সিরিজ তুলনা করা আসলেই খুব বাজে জিনিস। সারাটা সিরিজ ধরে লুলু মামু রে লাইতো কুনের সাথে মিলানোর ট্রাই করসি এবং যেহেতু লাইতো কুন মাচ মোর কুলার এবং মাচ মোর টেলেন্টেড (অন্তত আমার মতে) – সারাটা সিরিজ কেমন যেন লাগসে। যদিও যদি কোন তুলনা না করে দেখতাম; তাইলে এট্টুক শিওর যে এইটা আমার অন্যতম প্রিয় সিরিজ হইত !!! (এখনও যথেষ্ট প্রিয়; লুলু মামুর ফ্যানরা আমারে আবার মারতে চইলা আইসেন না !!! )

 

নো অফেন্স টু রুরুশ; কিন্তু মাঝখানে তার একরকম নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়; তার প্ল্যান এর জন্য একবার তাকে ব্রিটানিয়ান আরেকবার ব্ল্যাক নাইটের সাহায্য নিতে হয়; সে তার গিয়াসের উপর কন্ট্রোল হারায় ফেলে; সে তার প্রিয় কাউকেই দিন শেষে রক্ষা করতে পারে না – সব দিক বিবেচনায় রুরুশ হয়ত অনেক বেশি ট্রাজেডি হিরো হইতে পারে; কিন্তু কম্পোজার এবং কুলনেস এবং বাকি সব দিক বিবেচনাত আমার কাছে সে লাইটের ধারে কাছেও নাই।

7 Code Geass

কিছু টুডি এনিমেশন মুভি– লেখক স্বাধীনতার বার্তা

এরকম একটা পোস্ট দেয়ার কথা চিন্তা করছিলাম অনেকদিন থেকেই। আবার ওইদিন ব্লগার স্নিগ্ধ বললেন কিছু আনকমন এনিমে ফিল্ম এর নাম লিখে পোস্ট দিতে। তাই এই পোস্টের অবতারনা। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে আসি।
এখান থেকে Studio Ghibli, Hayao Myazaki আর Satosi kon কে বাদ দেয়া হল। কারন এরা হলিউড এ খুব পপুলার।

the-girl-who-leapt-through-time
#১। The Girl Who Leapt Through Time (২০০৬): ডিরেক্টর Mamoru Hosoda এর মাস্টারপিস। আমার দেখা সেরা এনিমে ফিল্ম এটা। এক মেয়ে, মাকতো হঠাৎ টাইম ট্র্যাভেল করার ক্ষমতা লাভ করে। আর এই ক্ষমতা দিয়ে সে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা পাল্টে দিতে থাকে। এক্সময় লক্ষ্য করে এভাবে টাইম লিপ করাতে এক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

#২। Summer Wars (২০০৯): The Girl Who Leapt Through Time এর ডিরেক্টর এর আরেকটা মুভি। সম্ভবত তাই আশা ছিল একটু বেশি। এখানে দেখা যায় এক ম্যাথস্টার পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এনক্রিপশন কোড ভেঙ্গে ফেলে, এবং এর ফলে সারা ওয়ার্ল্ড এর যোগাযোগ ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ম্যাথস্টার এক বিশাল জয়েন্ট ফ্যামিলির সাথে পৃথিবী রক্ষায় নেমে পড়ে। শুনতে একটা থ্রিলার এর মত মনে হলেও আসলে এটা পুরোটাই একটা ফ্যামিলি ড্রামা/কমেডি।

#৩। The Place Promised in Our Early Days (২০০৫): এই সিনেমাতে জাপান দুই ভাগে বিভক্ত। একটা অংশ ইউনিয়ন (সোভিয়েত রাশিয়া) এর আন্ডারে আর অন্যটা আমেরিকার। ইউনিয়ন এর অংশে এক বিরাট টাওয়ার আছে যেটা ইউ এস অংশে থাকা তিন ফ্রেন্ড কে প্রচন্ড আকর্ষন করে। তারা প্রমিজ করে যে একদিন ওই টাওয়ারে যাবে।

The Place Promised in Our Early Days

কালের পরিক্রমায় তিনজন তিন দিকে চলে যায়। Hiroki যে এখন ছাত্রজীবন শেষ করতে পারেনি, Takuya যে ফিজিসিস্ট হিসেবে রিসার্চ করছে আর তাদের বান্ধবী Sayuri যে ন্যাক্রলেপ্সি তে আক্রান্ত হয়ে হস্পিটালাইজড। Hiroki এখনো সেই টাওয়ার এ যাওয়ার কথা চিন্তা করে, কিন্তু সে কি অন্য কারো সাহায্য পাবে? এরকম একটা গল্প নিয়েই Makoto Shinkai তার প্রথম ছবিতে এনিমে জগৎকে তাক লাগিয়ে দেন। তার ছবির প্রধান বৈশিষ্ট হল ঝকঝকে এনিমেশন। কাহিনী খুব স্লো আগায় কিন্তু তারপরেও কেন জেন ভাল লেগেছিল।

#৪। 5 Centimeters Per Second (২০০৭):

5 cm

Makoto Shinkai এর দ্বিতীয় ছবি। ছবির ট্যাগলাইন ছিল, “a chain of short stories about their distance”। আগের ছবির মতই এটাও ঝকঝকে এনিমাশনে পূর্ণ। কাহিনী এটারও স্লো, কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। ছবিটা তিনটা অংশে বিভক্ত। আমার এই সিনেমার যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল গল্প বলার ধরন। এই সিনেমার পরই Makoto Shinkai কে দ্বিতীয় মিয়াজাকি বলা হচ্ছে। আর এবছর তার তৃতীয় ছবি, Children Who Chase Lost Voices from Deep Below বের হবে। একটা জিনিশ খেয়াল করেছেন? ডিরেক্টর এর সবগুলা সিনামার নামই বিরাট বিরাট।

#৫-৬। Ghost in the Shell (১৯৯৫) ও Innocence (২০০৪): বিখ্যাত সাইবারপাঙ্ক ঘোস্ট ইন দা শেল এর Mamoru Oshii ডুয়ালোজি। ব্রেন সাইবারাইজড করার পরও মানুষের যে নিজস্বতা থাকে সেটার নাম দেয়া হয়েছে Ghost। প্রথম ছবিতে দেখা যায়, এক হ্যাকার পাপেট মাস্টার নামে বিভিন্ন মানুষের সাইবার ব্রেন হ্যাক করে তাতে বিভিন্ন আরটিফিসিয়াল মেমোরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্য? ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পড়ে সেকশন ৯ এর সাইবর্গ অফিসার মাকটো এর উপর। একসময় মাকটো নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়ে। তার মেমোরি কি আসল নাকি সে একটি এ.আই.? তার মনে হয় পাপেট মাস্টার এর কাছে এর উত্তর আছে। এ ছবি সম্পর্কে James Cameron বলেছেন, “the first truly adult animation film to reach a level of literary and visual excellence.”
আর দ্বিতীয় ছবির কাহিনীটা এরকম। Locus Solus রোবটিক্স এর তৈরি করা সেক্সডল গুলো হঠাৎ করে তার মালিকদের হত্যা করে নিজেরা ফেলফ ডিস্ট্রাক্ট হতে শুরু করে। এরকম কয়েকটি ঘটনা পর পর ঘটায় তা নজরে আসে সেকশন ৯ এর। দায়িত্ব দেয়া হয় আরেক সাইবর্গ বাটো এর উপর। ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
এই মুভি দুইটার সাউন্ড ওয়ার্ক এক কথায় অসাধারন। মিউজিকের কিছু কিছু জায়গায় ত পুরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

#৭। Metropolis (২০০১): ডিটেক্টিভ বান আর তার সহকারী কেনেচি মেট্রোপলিসে এসে এক এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। স্টোরিটা ভালই, কিন্তু এনিমেশন স্টাইল আর বিশেষভাবে মিউজিকটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি।

#৮। Origin: Spirits of the Past (২০০৬):

Origin Spirits of the Past

অতীতে এক মহাপ্রলয় এ পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সে সময়ের অনেক মানুষ স্লিপিং পড এর সাহায্যে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে পদার্পণ করে। অন্যদিকে যে বিজ্ঞানীর ভুলে এ মহাপ্রলয় শুরু হয়েছিল সেই বিজ্ঞানী এক সিস্টেম দাড়া করিয়ে যান যেন পৃথিবীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায়। অতীতের মানুষরা চায় সে সিস্টেম চালু করে পৃথিবীকে রিস্টর করতে। কিন্তু এই যুগের যারা অধিবাসী তারা কি এমন পরিবর্তন চায়?
আমার ভালোই লেগেছিল মুভিটা, কিন্তু কেন জানি যাদেরকে আমি দেখিয়েছি তাদের বেশিরভাগেরই ভালো লাগেনাই। ফ্যান্টাসি ফিল্ম বলে হজম করাও মনে কষ্টকর।

#৯। Samurai X: Trust & Betrayal (১৯৯৯): জগদ্বিখ্যাত সিরিজ Samurai X এর প্রিকুয়্যাল। মূলত এই সিনেমটা দিয়েই আমি এনিমেশন এর ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের নায়ক Kenshin এর সামুরাই হয়ে ওঠার কাহিনী। আর কীভাবে সে তার গালের x মার্কটা পেয়েছিল তা ও জানানো হয়েছে এই সিনেমাতে। এটা প্রথমে তৈরি করা হয় চার পর্বের ডাইরেক্ট টু ভিডিও সিরিজ হিসেবে। পরে আরো আধাঘন্টার সিন যুক্ত করে ডাইরেক্টর’স কাট ফিল্ম হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়। আমার দেখা সেরা মুভির একটা।

#১০। Sword of the Stranger (২০০৭):

Sword of The Stranger

জাপানের কোন এক সময়ের ইতিহাস কে উপজীব্য করে একটি ফ্যান্টাসি গল্প। বিভিন্ন ইউজার’স ভোটেড তালিকায় উপরের দিকে আছে এই মুভিটা। Kotarou নামে এক শিশু এস্যাসিনদের কাছ থেকে পেলিয়ে বেড়াচ্ছে। সে জানে না কেন তাকে এভাবে হান্ট করা হচ্ছে। পথিমধ্যে তার দেখা হয় এক সামুরাই এর সাথে, যাকে সে ভাড়া করে। এক সময় কন্ত্রাক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, সেই সামুরাই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে।

#১১। Tekkon Kinkreet (২০০৬):

Tekkon Kinkreet

জাপানীজ এনিমেশনের সাথে আমেরিকান এনিমেশন এর ফিউসন করে বানানো ফ্যান্টাসি। দেখার সময় আর্টওয়ার্কগুলো খুবই ভালো লাগার কথা। বিভিন্ন রিভিউতে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে। রোটেন টমেট’স এ টপ রিভিউ তে ৯০% এর কাছাকাছি আছে। কিন্তু আফসসের বিষয় আমি আগা মাথা কিছুই বুঝি নাই। পুরা মুভিটা ভালই চলছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে কি জানি হয়ে গেলো (ঘিবলির অনেক মুভি দেখতে গিয়েও আমার এক ই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল)।
দুই ভাই একজন ব্ল্যাক আরেকজনে হোয়াইট। দুইজন এর ই নাকি হার্টের কিছু স্ক্রু মিসিং। এই স্ক্রু গুলা নাকি আবার হোয়াইটের কাছে আছে। এমন আরো কত কি।

## এই বার কিছু সিরিজ কম্পাইলেশন মুভির কথায় আসা যাক। আমার মতে এনিমে ফিল্ম এর চেয়ে সিরিজ বেশি ভালো (যদিও আমার ফেভারি্ট এনিমে এর কথা বলতে গেলে The Girl Who Leapt Through Time এর কথাই বলব)। এই সিরিজ বেজড মুভিগুলো মুলত সিরিজটাকে কাটছাট করে বানানো হয়েছে। তাই সিরিজে যে ঘটনে ২৪-২৫ পর্বে সাজানো হয়েছে সেগুলো এখানে ২ থেকে ২.৫ ঘন্টার মধ্যে ঠিকভাবে সাজান হয়েছে কিনা তা ও চিন্তার বিষয়।

#১৩। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – The Laughing Man(২০০৫): Kenji Kamiyama র স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স ট্রিলজির প্রথম মুভি এটা। ২০২৪ সালে এক হ্যাকার মাইক্রো মেশিন নামে এক কম্পানির সিইও কে কিডন্যাপ করে একটি সিরিজ কিডন্যাপিং এর সূচনা করে যার নাম হয় লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট। ছয় বছরেও এই ঘটনের কোন সুরাহা হয় না। ঘটনার ছয় বছর পরে ইনভেস্টিগেশন টিম এর এক মেম্বার মৃত্যর ঠিক আগ মুহুর্তে সেকশন ৯ এর ফ্রেন্ড Togusa এর কাছে সব এভিডেন্স পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু জানাতে পারে না আসলে সে কি পেয়েছিল। Togusa এরপর শুরু করে নিজের ইনভেস্টিগেশন এবং পুলিশ বাহিনীর এক জোচ্চুরি আবিস্কার করে বসে। এরপর সেকশন ৯ লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট তদন্তের ভার নেয়। এই মুভির একটা খুব পছন্দের ডায়ালগ হলঃ I thought what I’d do was I’d petend I was one of those deaf mutes, or should I?
আমার মতে এটা একটা মাস্টারপিস। ২৬ পর্বের সিরিজটা আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। আর মুভি ভার্সনটা ২ঘন্টা ৪০ মিনিটের।

#১৪-১৫। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – Individual Eleven(২০০৫) ও Solid State Society (২০০৭): স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কম্পাইলেশন হল Individual Eleven আর Solid State Society একটা ফিল্ম। Individual Eleven এ সাইবারাইজড ওয়ার্ল্ড এ একটা রিফুজি আপরাইজিং নিয়ে গড়ে উঠেছে। আর Solid State Society এর স্টোরিটা শুরু হয় বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যাক্তিবর্গের আত্মহত্যার মাধ্যমে ও একে একে তাদের সন্তানদের হারিয়ে যাওয়া দিয়ে। Solid State Society এর একটা সিন আমার খুব পছন্দের। এখানে ডিটেক্টিভ Togusa এর সাইবারব্রেন হ্যাক এর মাধ্যমে তার মেয়েকে কীভাবে অবডাক্ট করা হয় তা দেখানো হয়েছে। নিচে আপনাদের জন্য সিনটা দিয়ে দিলামঃ

#১৬-১৭। Code Geass: Lelouch of the Rebellion : Black Rebellion(২০০৮) ও Zero Requiem (২০০৯): মূল সিরিজ ৫০ পর্বের (২০০৬-২০০৮)। প্রথম ২৫ পর্বকে ১১৭ মিনিটে কাটছাট করে Black Rebellion ও শেষ ২৫ পর্বকে আবার ১১৭মিনিটে কাটছাট করে Zero Requiem নামে ছাড়া হয়। আমার দেখা সেরা এনিমে সিরিজের একটা। ব্রিটানিয়া এর ৯৮তম রাজা চার্লস এর তৃতীয় সন্তান এবং সিংহাসনের ১৮তম দাবিদার রাজকুমার Lelouch ও তার বোন রাজকুমারী Nunnally কে তার মায়ের মৃত্যুর পর জাপানে নির্বাসন দেয়া হয়। ঘটনাক্রমে Lelouch এক অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ব্রিটানিয়া এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ন হয়।

CG 1

এই সিরিজের দুইটা পছন্দের ডায়ালগ হলঃ
If the king doesn’t lead how can you expect his sub-ordinates to follow?
এবং
If there is a evil so great that that It cannot be destroyed by just means, what will you do? Will you become a greater evil so as to destroy evil? Or, will you remain steadfastly just and righteous even if it means surrendering to evil? Either way, evil wins.

#১৮-১৯। Death Note – Relight: Visions of a God (২০০৭) ও L’s Successors (২০০৯):

DN 1

তুখোর ছাত্র লাইট ইয়াগামি এর হাতে এসে পড়ে ডেথ গডের নোট, যেই নোটের ক্ষমতা দিয়ে কোন মানুষের চেহারা আর নাম জানা থাকলে তাকে মেরে ফেলা যায়। লাইটের মনে হতে থাকে এই পৃথিবী থেকে কিছু প্রকৃতির মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হবে এবং সে এই নতুন পৃথিবী সবাইকে উপহার দিবে। তাই সে ডেথ নোটের ক্ষমতা ব্যাবহার করে একে একে বিভিন্ন খারাপ মানুষদের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে মেরে যেতে থাকে। এক সময় তা সবার নজরে আসে এবং এই খুন গুলো পরিচিতি পায় “কিরা কিলিং” নামে। পৃথিবীর এক নম্বর গোয়েন্দা এল এগিয়ে আসে এই সিরিয়াল কিলারকে থামাতে। শুরু হয় এক মেন্টাল লড়াই। লাইট যখনই এল এর আসল নাম জানবে তখনই এল পরাজিত, অন্যদিকে এল যখনই কিরার পরিচয় জানবে তখনই লাইটের ওয়ার্ল্ড রিফর্ম এর স্বপ্ন শেষ হবে। ২০০৭-২০০৮ এ চলা এই সিরিজটা মট ৩৮ পর্বের। প্রথম ২৫পর্বের কম্পাইলেশন Visions of a God আর শেষ ১২ পর্বের কম্পাইলেশন L’s Successors।