ব্যক্তিগত রেটিং- ৯.৩/১০
“A Journey You Would Love. A Story you can’t Stop Listening. It’s Something You will Never Forget More Like you Can’t forget ( That is Something the Creator Wants too; Never to forget it).”
ক্লাসিকাল মিউজিক যা এনিমটার মুল খোড়াক এবং আকর্ষন, ব্যাক গ্রাউন্ড মিউজিক এনিমটার একটা মুহুর্তকেও অহেতুক ভাবার ক্ষ্মতা আমাকে দেয় নি। এক কথায় এতটাই Beautiful যা একমহুর্তের জন্যও চোখকে পলক ফেলতে দেয়নি। এতটাই Deep যা এক মুহূর্তের জন্য অমনোযোগী হয়ে অন্যকিছু চিন্তা করার সুজোগ দেয় নি, এবং বসন্তের বাতাসের মত এমন এক অনুভুতির সৃষ্টি করেছে যা মনের সমস্ত অনুভুতির স্তর গুলোতে আপন ক্ষিপ্রতার সাথে প্রতিটা মুহূর্তে আঘাত হানতে থাকে, ভুলার মত নয় যা। এটা একটা ব্রিজ যা প্রত্যেক মানুষের স্মৃতির কিছু না কিছু অংশের সাথে যোগাযোগ স্তাপন করতে সক্ষম হয়ে ভিতর থেকে আলতো করে নাড়া দেয়। আবার উঠে দাড়ানোর, স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দেয়ার অন্যতম উদাহারন এই এনিমটি।
Arima Kousei সবচেয়ে কম বয়সে সাকি প্রতিযোগিতা জ়েতা একমাত্র পিয়ানিস্ট। যে তার ক্যারিয়ারের শুরুতে আকাশচুম্বি সাফল্য অর্জন করে। সুক্ষ ও নির্ভুল ভাবে বাজানো যা পার্ফেক্ট স্কোর এনে দেবে ছিল তার মুল বৈশিষ্ট। কিন্তু মা মারা যাওয়া এবং নিজের বাজানো পিয়ানোর আওয়াজ শুনতে না পাওয়ার কারনে সেই অল্প বয়সেই পিয়ানোকে চির বিদায় জানায়। আরিমার জীবন আর সবার মত চলতে থাকে। কিন্তু সবকিছুর মাঝে থেকেও অদৃশ্য। একটু সমাজ বিকেন্দ্রিক। তারপরও তার দুজন ক্লোজ ফ্রেন্ড আছে যারা ওয়াতারি এবং সোয়াবে। সোয়াবে শুধু ক্লাস ফ্রেন্ডই না একদম ছোট্ট বেলার প্রতিবেশি বন্ধু। একজন মেয় হওয়া সত্ত্বেও সোয়াবের ছেলে সুলভ আচরন একটু আলাদা মাত্রাই দিয়েছে এনিমটাতে এবং আরিমার জীবনেও। সেই ছোট্ট বেলা থেকেই আরিমার প্রত্যেক্টা প্রতিযোগিতার দর্শক সে। মা মারা যাওয়া পর বলতে গেলে ওই আরিমার খারাপ ভাল সব সময় পাশে থেকে আসছে। এবং মনে প্রানে চাইতে থাকে আরিমার জীবনে যেন আবার রঙ্গিন মাত্রা যোগ হয়।
গল্পটা এভাবে চলতে চলতে হঠাৎ করেই একটা নতুন মোড় নেয় যা আরিমার ধুসর জীবনকে রোলার কোস্টার রাইড বানিয়ে দেয়। সোয়াবে আরিমাকে তার এক বন্ধুর সাথে দেখা করানোর জন্য আমন্ত্রন জানায়, যে কিনা ওয়াতারিকে পছন্দ করে। সোয়াবে আরো যোগ করে মেয়েটাও একজন মিউজিশিয়ান তাই আরিমার মিউজিক নিয়ে কথা বলার সুজোগ থাকছে। আরিমার সময় মতই দেখা করার স্থানে চলে যেয়ে অপেক্ষা করতে থাকে। কাছ থেকেই ভেসে আসতে থাকা মন কাড়া মেলোডিকার শব্দ শুনে উৎপত্তি স্থানের দিকে ছুটে যায় আরিমা। এবং ঐ মুহুর্ত থেকেই আরিমার জীবনের বিশাল পরিবর্তন হতে যাচ্ছে এটা হয়তো আরিমা নিজেও জানতো না। ওখানে যেয়ে দেখে একটি সোনালি কেশি মেয়ে কিছু বাচ্চাদের সাথে মেলডিকা বাজাচ্ছে। মেয়েটা মেলডিকার সুরে হাসিতে, ছেলে মানুষিতে আরিমা অদ্ভুত রঙ দেখতে পায়, এমন কিছু যা সবসময় আরিমা মনে মনে খুজতে থাকে। অদ্ভুত সুন্দর দৃশ্যটি আরিমা ক্যামেরা বন্দি করবে। এমন সময় দক্ষিনা তীর্ব বাতাসে মেলডিকা বাজানোর ব্যঘাত ঘটে গল্পের নাইকা কাওরি মিয়াজানোর এবং একটি অপ্রিতিকর অবস্থায় কাওরি আরিমাকে ছবি তুলতে দেখলে আরিমার ব্যাড টাইমিং এর সিকার হয়, এবং কাওরির রুদ্র মুর্তির সম্মুক্ষিন হয়। এর পরপরই দৃশ্যপটে আগমন ঘটে ওয়াতারি ও সোয়াবের।
কাওরি মিয়াজানো আসলে তোয়া হলে একটা ভায়লিন কম্পিটিশনে অংশ গ্রহন করেতে যাচ্ছিল এবং ওরা সবাই কাওরির পারফর্ম দেখতে আসছিলা। পারফর্মেন্স শুরু হলে পুরো হল নিস্তব্ধ হয়ে যায় কাওরির মনমুগ্ধকর ভায়লিনের সুরে, যেখানে সে তার একোম্পানিস্ট পিয়ানো বাজককে,গ্রামারকে গ্রায্য করে পুরো নোটটা নিজে্র করে নিয়ে বাজাতে থাকে। আরিমা মনে বিশেষ রঙ্গে আন্দলিতে হয়ে উঠে, তবে সে এও বুঝতে পারে এটা দর্শকদের নাড়া দিলেও কম্পিটিশনের ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল করে না। পারফর্মেন্স শেষ হলে বেরুনোর সাথে সাথে কাওরিকে দুটো বাচ্চা ছুটে এসে ফুল দেয়। ফুল নিতে নিতে আরিমা ওয়াতারি আর সোয়াবেকে দেখে কাওরি। কিন্তু সে ছুটে সবার আগে আরিমার কাছে আসে জানার জন্য যে ওর কেমন লেগেছে।
কাওরির এই আবির্ভাব আরিমার মনে গেথে যায় প্রথম দিন থেকেই। এরপর একদুপুরে ওতারি না থাকায় কাওরি আরিমার সাথে বের হয়ে এক রেস্টুরেন্টে খেতে যায়। ওখানে ওদের মনোযোগ ভাঙ্গে দুটো বাচ্চার Twinkle Twinkle Little star এর পিয়ানো ভার্সন বাজাতে শুনে। কাওরি বাচ্চাদের কাছে গেলে বাচ্চারে ওদের শেখানোর জন্য বলে কিন্তু কাওরি আরিমাকে দেখিয়ে বলে ওর কাছ থেকে শিখতে, আরিমা প্রথমে না করলে কাওরির হুমকির মুখে অসহায় হয়ে শেখাতে রাজি হয়। বাজানো শুরু করলে সবার নজর আরিমার দিকে পড়ে। আরিমা হারিয়ে যেতে থাকে এবং হুঠ করেই আবার আরিমার সামনে থেকে নোট গুলো হারিয়ে যেতে থাকে আর সেই সাথে সে তার বাজানো সুর আর শুনতে না পেয়ে তৎক্ষনাত বাজানো বন্ধ করে দেয়। যা খুব ভাল মতই কাউরির চোখে ধরা পড়ে।
কাহিনি মুলত নুতুন মোড় নেয় যখন কাওরি তোয়া কম্পিটিশানে অডিয়েন্স ভোটে সেকেন্ড রাউন্ডে উঠে। সে হুঠ করেই আরিমাকে তার একম্পানিস্ট হওয়ার প্রস্তাব দেয় এবং একমত জোর পুর্বক আরিমাকে রাজি করায় তার সাথে পারফর্ম করার জন্য, এটা জানা সত্তেও যে আরিমা পিয়ানো বাজাতে সক্ষম নয়। আরিমাকে দিয়ে রাত দিন প্রাক্টিস করিয়ে নিতে থাকে পারফর্ম করার জন্য যার মধ্যে বেশ কিছু নজর কাড়া মুহূর্ত আছে।
কম্পিটিশনের দিন পারফর্মের সময় আরিমা আবার খেই হারিয়ে ফেলতে থাকে এবং একপর্যায়ে সে বাজানো বন্ধ করে দেয় কিন্তু কাওরি তার ভায়োলিন বাজানো চালিয়ে যেতে থাকে, এক পর্যায়ে কাওরিও বাজানো বন্ধ করে দেয়। তারপর আরিমাকে সাহস জাগানোর জন্য ওকে কিছু কথা বলে। পেছন থেকে যতই ভায়লিন বাজানো রত কাওরিকে আরিমা দেখে ততটাই মুগ্ধ আর সাহস পেতে থাকে। কম্পিটিশনের নিয়ম অনুযায়ি মাঝ পথে বাজানো বন্ধ করলে ডিকোয়ালিফাইড। এবং তারা দুজনই এটা ভাল করে বুঝতে পারে। কিন্তু কাওরির উদ্দেশ্য আসলে অন্যকিছু ছিল এটা আরিমা কিছুটা আচ করতে পেরেছিল তাই আরিমা তার সব দিয়ে বাজানো আবার শুরু করে শুধু মাত্র কাওরির জন্য, এরপর দুজন একত্রে মিলে একটি মিরাকল পারফর্ম করে যা সবাইকে মুগ্ধ করে দেয় এবং একটি আনফরগেটেবল পারফর্মেন্স গিফট করে সবাইকে। তবে পারফর্মেন্স শেষে কাওরি মুখ থুবড়ে পড়ে যায় স্টেজের উপর।
আরিমার জীবনের নতুন অধ্যায় , কাওরির হস্পিটালের জীবন শুরু এখান থেকে এবং এর প্রভাব সোয়াবের উপরও পড়ে, কাহিনী আরো অনেক মোড় নিতে থাকে আমাদের দেয় অসম্ভব কিছু সুন্দর মুহুর্ত যা আমি চাইব সবাই নিজেরা দেখে অনুভুতিটা নেক, আমার মতই।
বিঃদ্রঃ এপ্রিলের বলা মিথ্যাটা কিন্তু পুরো এনিমটা দেখেই জেনে নিতে হবে। যদিও আমি মাঝ পথে আচ করতে পেরেছিলাম