ইতাচি কেন আসামী (প্যারোডি ফ্যানফিক) — Rahat Rubayet

——————————————————————

রাউন্ড টেবিলে টুকটাক কথাবার্তার সাথে সাথে হালকা চা নাশতার আয়োজন চলছে। প্রাউড কিং এর কপালে চিন্তার ভাজ লক্ষ্য করছে সবাই। আর চিন্তা করবেন না-ই বা কেন কিং আরতুরিয়া পেন্ড্রাগন? স্বয়ং ইতাচি উচিহার মামলার রায়ের শুনানী আজ। অবশ্য বেডিভিয়ার আর হোয়াইট নাইট আর কারোর মতন বিচলিত হয় না খুব সহজে। কিং অব নাইটস মানে আরতুরিয়া যতক্ষণ জীবিত আছেন, অবিচার দ্যুলোক-ভুলোক কোথাওই হবার উপায় নেই।
ওদিকে কোর্টরূমে ততক্ষণে লোকজনের কোন কমতি দেখা যাচ্ছে ন। সাধারন দর্শকের আসনে জনাকয়েক ব্যক্তি বসতে বসতেই নিজেদের মাঝের ‘গুরুত্বপূর্ণ’ কথার ঝুলি উগলে দিচ্ছে। এদের মধ্যে একজন বলতে থাকে, “এ আবার কেমন কতা, বল দেকিনি? হ্যা? নিজের ভক্তকেই শেষমেষ আমাতেরাসু মেরে দিলো?”
-“আরে, রিল্যাক্স। এত সিরিয়াসনেস দেখানোর কি আছে? এটা জাস্ট একটা ট্রায়াল। আমাদের কি আমরা ‘পোটেটো চিপ্স’ খাবো আর এঞ্জয় করবো এইসব নিয়ে অফেন্ডেড ফিল করা কি আর আমাদের সাজে? মজা নিতে আসছি, চুপচাপ মজা নিয়ে যাই।”
ওদিকে জুরিবক্সে বসে আছে পাকুন, তাকামুরা মামুরো, গিলগামেশ আর ৯ জন ‘সাকুরা’। আসামীর কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে জগতবিখ্যাত ইতাচি উচিহা যার অগ্নিদৃষ্টির সামনে নষ্যি সবকিছু। বিচারকের আসন গ্রহন করলো গিন্তোকি। বাদী পক্ষের উকিল হিসেবে আছে ইজাইয়া অরিহারা আর আসামী পক্ষে আছে ফুউরা কাফকা।
বিচারকের ইশারায় গুঞ্জন স্থিমিত হয়ে আসতেই উকিল আর আসামী, বাদী সবাই প্রস্তত হতে থাকে। আসামী পক্ষের উকিলের কথা বলার বা নিজেদের ডিফেন্ড করার পালা আসলো। ফুউরা কাফকা তার পোশাক আশাক ঠিক করে বিচারকের সামনে দাড়িয়েই যেন ঘোষণা করলো,
“মহামান্য বিচারক, বাদী পক্ষের উকিল যে অভিযোগ করেছেন তা পুরোপুরি ভিত্তিহীন”, বিচার দেখতে আসা ‘সাধারন’ মানুষদের গুঞ্জন উস্কে দেবার জন্যই যেন বলতে থাকে “কারণ একজন মানুষের চোখ দিয়ে আগুন বের হবে আর তা দিয়ে আরেকজন মানুষ ভস্মীভূত হবে, এ কথা মাঙ্গা আর এনিমেতে সম্ভব বাস্তবে না।
আর তাছাড়াও একজন মানুষ কখনোই এই সুন্দর বসন্তকালে আরেকজন মানুষকে খুন করতে পারে না।”
-“তাহলে?” স্বভাবজাত প্রশ্ন
“আমাদের বাদীপক্ষের গায়ে শীত শীত ভাব হচ্ছিল, তাই আমার মক্কেল তার শীত নিবারনের চেষ্টা করেছেন মাত্র। আপনিই বলুন মহামান্য বিচারপতি, এই সুন্দর পৃথিবীতে কি কেউ কাউকে প্রানে মেরে ফেলতে পারে?”
আর থাকতে না পেরে বাদীপক্ষের উকিলের প্রশ্ন-
“তাহলে কি খুনটাই হয়নি?”
-“খুন? কিসের খুন? ভদ্রলোক তো sword art online খেলছেন। বিচারপতি, আপনি নিশ্চয়ই সর্বকালের সেরা গেম (এনিমে) SAO এর নাম শুনেছেন”
ফুউরা কাফকা কথা শেষ করতে পারল না, তার আগেই হইচই পরে গেলো যেন কোরটরুমে।
জুরি বক্সে বসে বসে নাক খোঁচাতে খোঁচাতে “কোনটা সেরা তা নিয়ে কি এদের কামড়াকামড়ি কোনদিন শেষ হবে না? এতো সেই কবে থেকেই প্রতিষ্ঠিত সত্য যে হাজিমে নো তাকামুরা সবার সেরা।”
গিলগামেশ বাকা হাসি নিয়ে তাকিয়ে আছে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে। কিছু বলতে গিয়েও বলল না, ইন্তারেস্টিং কিছু একটা দেখার লোভে ইনভাইটেশান প্রত্যাখ্যান করতে পারে নি। আরো কিছুক্ষণ ব্যাপারটা দেখবে বলে ঠিক করেছে ইতিমধ্যে।
প্রায় আধাঘন্টা যাবত উকিলদ্বয়ের বাক্যালাপ চলতে থাকলো, মজার ব্যাপার হলো, কিভাবে কিভাবে যেন বাদী পক্ষের প্রতিটি যুক্তিই স্রেফ ধোপে টিকলো না ফুউরা কাফকার প্রত্যয়ী বিশ্লেষণ এর কাছে। একটা পর্যায়ে ধীরে ধীরে কোর্ট রুমের ভেতরে সবার কাছেই পরিস্কার হয়ে গেলো রায় কোনদিকে যাচ্ছে।
কিন্তু বিচারক গিন্তোকিকে কেন যেন বিরক্ত লাগছে।
আর কেউ না জানুক, ফ্যানফিকের লেখক নিজে জানে, গিন্তোকি আসামী পক্ষকে ফাঁসি দেয়ার সুযোগ খুঁজে না পেয়ে যারপরনাই বিরক্ত।
আর তাই কিং অব দা কিংস এর সামনে বসেও দিব্যি কানি আংগুল দিয়ে কান চুলকোতে চুলকোতে প্রশ্ন করে বসে,
“তা শিতাচি , থুক্কু ইতাচি উচিহা, হাশিরামার থেকে বেটার শিনোবি বলার জন্য আপনি আপনার এক ভক্তকে খুন করেছেন- এই অভিযোগের শুনানি হবে।
তার আগে, একটা প্রশ্নের উত্তর যে দিতে হয়”, জলজল চোখে যোগ করে, “তা আপনি কি কে পপ শুনেন?”
উত্তর দিতে এক মুহূর্ত দ্বিধাবোধ করলো ‘সর্বকালের সেরা এই ফিকশনাল ক্যারেকটার’, চোখের সামনে অন্তত ডজনখানেক মেকাপ মাখা মায়াকাড়া চেহারা স্লাইডের মতন চলে গেলো সামনে দিয়ে। বুকে পাথর চাপা দিয়ে বলে ইতাচি, তার জলদগম্ভীর কন্ঠে “না”
ক্রুঢ় হাসি ফুটে উঠে, হাতুড়ির বারি হাকিয়ে ঘোষণা করতে থাকে রায়, “বিজ্ঞ আদালত আসামী ইতাচি উচিহাকে ফাঁসির দন্ডে দণ্ডিত করলো, কারণ যারা কেপপ শুনে না, তারা শুধু ছাগল ক্ল্যানের এক নম্বর বাচ্চাই না, এ দুনিয়ায় বেঁচে থাকার কোন অধিকারই তাদের নেই।”
পুরো কোর্টরুম যেন ফুসে উঠলো, সবথেকে উত্তেজিত হয়ে উঠলো, ইতাচির আদরের ছোট ভাই, ‘নিসান উচিহা’।
-‘বাকা, মানে বোকা! চক্ষুলজ্জা হাহ! নিসান যে কেপপের মিউজিক ভিডিও আর লাইভ কন্সার্ট মাংগে কিয়্যু শারিংগান দিয়ে দেখতে দেখতেই চোখের এই হাল করেছে, তা বললে কি আর ক্ষতি হত, প্রানটা তো খোয়াতে হতো না।
আমি এই বিচার মানি না, আমি হিডেন লিফ ধ্বংস করবো আর খুন করবো ৫ কাগে কে।” বলে নিজের শারিংগানে চাক্রা রিলোড করে নিতে নিতেই, পাশে হটাত হাজির হয় শিশুই উচিহা।
সাস্কের পিঠে হাত রেখে বডি ফ্লিকার দিয়ে তাকে নিয়ে যাবার আগে আগে বলতে থাকে, “এতো মন খারাপ করার কিছু নেই সাস্কে, যারা কে-পপ শুনে তারা মরে না তারা অমর …….”

Itachi, a hero of the shadows by Tahsin Kamal

এখন বড় কোন রিভিউ লিখার ইচ্ছা নাই। শুধু আমার খুব প্রিয় চরিত্র গুলার একজনের নাম আর এত প্রিয় হওয়ার কারণ বলতেসি। পরে একটা ভালভাবে লিখার চেষ্টা করব।

সেই Legend টা হইলো Itachi, a hero of the shadows… who acted behind the scenes(itachir এই দিক টা আমার আরেকটা প্রিয় চরিত্র lelouch এর সাথে মিলে), the badass who had the worst tragic life…. the legendary peace lover!

ইতাচির যেই দিকগুলো আমাকে মুগ্ধ করসে- 

তার নীরব চুপচাপ চরিত্র- সচরাচর আবেগ না দেখানো আর অর্থহীন কিছু না বলা।

ভাইয়ের প্রতি সীমাহীন ভালোবাসা-
“No matter what you decide or what you do from now on… I will love you forever”(Itachi’s last words and final gift to Sasuke)

অন্যের সুখের জন্য ত্যাগ করা-
“Self-sacrifice… A nameless shinobi who protects peace within its shadow. That is a true shinobi”

জীবনের প্রতি তার বাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি-
“You’re such a child. You talk of nothing but pipe dreams… there are times when people must make painful choices.”

“People live their lives bound by what they accept as correct and true. That’s how they define “reality”. But what does it mean to be “correct” or “true”? Merely vague concepts… Their “reality” may all be a mirage. Can we consider them to simply be living in their own world, shaped by their beliefs?”

আমার চুপচাপ স্বভাবের matured টাইপ চরিত্র বেশি ভাল লাগে। সেইটাও ইতাচিকে এত ভাল লাগার একটা কারণ হতে পারে। ইতাচি আর মিনাতো এই ২ legend বেচে থাকলে নারুতো আনিমে টা আরো অনেক বেশি জোস হতে পারত। 

#RESPECT!

Itachi