Yuri!!! on ICE [রিএকশন/মিনি রিভিউ] — Mithila Mehjabin
রিএকশন(এপি ১-৩)+মিনি রিভিউ
Yuri!!! on ICE
জনরা: স্পোর্টস
স্ট্যাটাস: অনগোয়িং
এনিমেটার প্রথম পোস্টার দেখে আহামরি কিছু হতে পারে, তা ঘুনাক্ষরেও মনে হয়নি। অথচ গত রাত থেকে এনিমেটার প্রথম তিনটা পর্ব তিনবার করে দেখা শেষ, প্রতিবারই এনিমে স্টার্ট করার আগে ওপেনিং শুনতে শুনতে কান দিয়ে ধোয়া বের হওয়ার আগ পর্যন্ত শুনে গেছি, এত বেশী শুনেছি যে ঘুমের ভেতরেও মাথার ভেতর বাজছে গানটা, বিরক্ত হয়ে ভোর চারটা সময় উঠে পড়তে বাধ্য হই!
ইয়ুরি অন আইস- নামটাই গড়বড়ে! এনিমের মধ্যে না তো ইউরি আছে না ইয়াওই, ফ্যানসার্ভিস আছে যদিও, এবং ভালো পরিমাণেই আছে! সাবজেক্ট: ফিগার স্কেটিং। সোজা কথায় বরফের ওপর স্পেশাল ধরণের জুতা পড়ে পিছলিয়ে যে নাচ বা খেলা।
ম্যালের মতে, স্টুডিও মাপ্পা’র (MAPPA) চার বছর ধরে প্ল্যান করা অরিজিনাল একটি সিরিজ এটি। ক্রিয়েটর মিত্সুরো কুবো এবং ডিরেক্টর সায়ো ইয়ামামোতো সিরিজ প্ল্যানিং এর আগে রাশিয়া, বার্সেলোনা ও বেইজিং ঘুরে এসেছেন লোকেশন হান্টিং এর জন্য। ক্যারেক্টার ডিজাইনারদের একজন তাদাশি হিরামাত্সু, পরিচিত Parasyte: The Maxim এর ক্যারেক্টার ডিজাইনিংয়ের জন্য, এনিমের মেইন ক্যারেকটার: কাত্সুকি ইউরি কে দেখলেই ইযুমি শিনিচি’র কথা মনে হয়। ওপেনিং থিম “History Maker” গেয়েছেন ডীন ফুজিওকা, এই মাল্টিলিংগুয়াল মডেল, অভিনেতা ও গায়কের গাওয়া ওপেনিংটা সম্পূর্ণ চমৎকার ঝরঝরে ইংরেজীতে! সাসুগা…ইকেমেনদের জন্য গাওযা ওপেনিং এর গায়কও একজন ইকেমেন!
গল্পের শুরু কাত্সুকি ইউরি’কে নিয়ে, যার ফিগার স্কেটার হওয়ার স্বপ্নের উদ্যোক্তা পরপর পাঁচ বার গ্র্যান্ড প্রিক্স ফাইনাল জেতা ২৭ বছর বয়সী রাশান স্কেটার ভিক্টর নিকিফরভ্! ছোট থেকে দেখে আসা স্বপ্নের পথ ধরে গ্র্যান্ড প্রিক্সে আসার সুযোগ পেলেও সেটা ধরে রাখতে পারে না কাত্সুকি, প্রচন্ড পরিশ্রমের পরও প্রেশারের কাছে পরাজিত হয় সে, এবং জীবনের প্রথম গ্র্যান্ড প্রিক্স এ শেষ স্থান পাওয়ায় তার ক্যারিয়ার নিয়ে শঙ্কা দেখা দেয়! শেষমেষ সবকিছু ছেড়েছুড়ে, ফিগারের বারোটা বাজিয়ে আপাতত জাপান ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেয় ও, বাস্তবতার হাত থেকে পালিয়ে!
পাচঁ বছর পর বাড়ী ফিরলেও মন ভালো নেই কাত্সুকি’র, শুয়ে-বসে ডিপ্রেশনে ভুগতে ভুগতে বিরক্ত কাত্সুকি অবশেষে ঘর থেকে বেরোয়, উদ্দেশ্য: ছেলেবেলার স্মৃতিঘর হাসেত্সু আইস ক্যাসেল। ফিগার স্কেটিংয়ের শুরু এখান থেকেই, প্রবেশ করতেই দেখা হয় ছেলেবেলার স্কেটিং সঙ্গীনী ইউ-চান এর সাথে! দুবছরের সিনিয়র মেয়েটি ছিল তার অনুপ্রেরণার আরেক অন্যতম উৎস্য। অফিশিয়াল স্কেটিং থেকে আপাত অবসর নিলেও পঞ্চম গ্র্যান্ড প্রিক্সে ভিক্টরের পারফর্ম করা ডান্স টা আয়ত্ত করেছে ও, ইউ-চান কে দেখাবে বলে। বরফের উপর ভিক্টরের পারফর্ম করা নাচটা পারফর্ম করছে কাত্সুকি, মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে দেখছে ইউ! কি মনে হয়..একটি প্রেমের সূচনা?
মোটেই না, ইউ যখন মুগ্ধ হয়ে কাত্সুকির নাচ দেখছে, তার তিনি বদের হাড্ডি আশেপাশেই কোথাও লুকিয়ে ভিডিও করছে নাচটির! গোলগাল তিনটে বাচ্চা, জামাই নিশিগোরিও কাছাকাছিই আছে কোথাও!
রিইউনিয়ন ও খুনসুটির পর বাড়ী ফিরে নানান ভাবে ক্লান্ত কাত্সুকি মেসেজ পায় নিশিগোরির কাছ থেকে, খবর হলো: নাচটার ভিডিও অনলাইনে আপলোড করে দিয়েছে তার তিন সুকন্যা! 😀 ব্যাস, আর যায় কই! হাজার হাজার বার রিটুইট হয়ে পৌছে যায় ভিডিওটি স্বয়ং ভিক্টর নিকিফরভের কাছে! তারপর?
তারপর কি হয় জানতে চাইলে দেখতে হবে!
এনিমেটা সম্বন্ধে প্রথমেই যা বলতে হয়, তা হলো মনোমুগ্ধকর এনিমেশন! এবং যেনতেন ধরণের মনোমুগ্ধকর না, দম বন্ধ করা মনোমুগ্ধকর! বিশেষ করে ওপেনিংয়ে তাদের ডান্সগুলো দেখলে ঘন্টাখানেক আর অন্য কিছুই দেখতে মন চাইবে না! প্রধান তিনটে ক্যারেকটার রুপোলী চুল ও নীল চোখের ভিক্টর নিকিফরভ, শিনিচির ছোট, হ্যান্ডসাম ভাই কাত্সুকি ইউরি আর সোনালী চুল ও সবুজ চোখের গর্জিয়াস লুকিং পাঙ্ক ইউরি পিলসেতস্কি! ক্যারেক্টার ডিজাইন ছাড়াও লাইট রেফলেকশন, কস্টিউম, ডান্স-কোরিওগ্রাফি আর সং চয়েসে মুন্সিয়ানা দেখিয়েছে মাপ্পা! নীলাভ সাদা ব্যাকগ্রাউন্ডটা দারুণ ভাল্লাগে! ভিএ হিসেবে আছেন ভিক্টর, কাতসুকি আর পিলসেতস্কির জন্য যথাক্রমে জুনিচি সুয়াবে, তোনিশি তোয়োনাগা, কোউকি উচিয়ামা।
স্টোরিটা দারুণ আগাচ্ছে, লেটেস্ট তিন নম্বর এপিসোডটা চমৎকার ছিল! হালকা ফ্যানসার্ভিসটা, এইরকম একটা স্পোর্টের ক্ষেত্রে তেমন বেমানান কিছু লাগে না। খালি অনসেন-সিনগুলোর সময় ভিক্টরের অস্তিত্বের কথা মাথা থেকে বাদ রাখলেই হয়, দৃশ্যত আর কোনো সমস্যা নেই কোথাও….এখনও পর্যন্ত! আইস-স্কেটিং বিষয়ে শূণ্য জ্ঞানহীন আমি ইউটিউবে মেন’স ফিগার স্কেটিং সার্চ দিয়ে যে ভিডিওই পাই, কমেন্টবক্সে ইউরি অন আইসের জয়জয়কার!
অনগোয়িং এনিমেটার তিনটে এপিসোড এসেছে এই পর্যন্ত, কত এপিসোডের হবে তা এখনও নির্দিষ্ট করা হয়নি ম্যাল এ। ডাবের এনাউন্সমেন্ট দিয়েছে ফানিমেশন, অক্টোবর ২৪, ২০১৬ অর্থাৎ আগামীকাল ইস্টার্ন টাইম অনুযায়ী রাত ১০ টায় প্রথম এপিসোডের ডাব রিলিজ হওয়ার কথা রয়েছে। *-*
মিনি রিভিউ বলেছিলাম, কিন্তু এরচেয়ে বড় রিভিউ দেয়া আদৌ পসিবল কি না, জানি না! বালিকার উচ্ছাস কে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রইল!
আমার কাছে যে অসাধারণ লেগেছে তা নতুর করে বলা বাহুল্য, এবং আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে বলে সবার কাছেই অসাধারণ লাগবে- এরকম হওয়ার কোনো কারণ নেই। কিন্তু অন্তত ওপেনিংটা দেখুন, এবং নিজেরাই বিচার করুন দেখবেন কি দেখবেন না! ওপেনিংটার কথা আলাদা করে বলতেই হয়, ম্যাল অনুযায়ী আমার দেখা এনিমের সংখ্যা মাত্র ১৪১ টা, সেই হিসেবে আহামরি অনেক ওপেনিং দেখা বা শোনা আছে, এটা বলা যায় না। কিন্তু এই ওপেনিংটা আমার জন্য নতুন অভিজ্ঞতা ছিল। বেস্ট বলে না, ওয়ান অফ আ কাইন্ড বলে। এরকম অভিভূত করা একটা ওপেনিং সচরাচর চোখে পড়েনা বলেই আমার মনে হয়েছে! জাপানীজ একজন লোক এরকম শুদ্ধ ইংরেজী উচ্চারণ করতে পারে, না শুনলে বিশ্বাস করাই মুশকিল! এরইমধ্যে এক মিলিয়নের বেশী ভিউ পড়েছে ওপেনিং ভিডিওটিতে, চেক করে আসতে পারেন নিচের লিঙ্কটি থেকে:
ভালো এনিমেটা ভালোভাবে শেষ হলে বছরের অন্যতম সেরা এনিমেগুলোর একটি হলেও হতে পারে! সবাইকেই দেখার অনুরোধ থাকবে!
সকল তথ্যসূত্র: উইকিপিডিয়া এবং মাইএনিমেলিস্ট।
Yuri!!! on Ice: ফিগার স্কেটিংয়ের ওয়ান-টু-থ্রী! — Mithila Mehjabin
Kobato [রিভিউ] — Mithila Mehjabin
আকাশ থেকে টুপ করে একটি পরী নামল! পরনে লম্বা জামা, সাথে বড় একটা সুটকেস, আর ছোট্ট ব্যাগে একটা ছোট্ট নীলরঙা পুতুল, যেটার গলার আওয়াজ শুনলে তার খেলনা আকৃতিটা একটা অবিশ্বাস্য ব্যাপার বলে মনে হয়! মেয়েটার লম্বা চুলগুলো পা ছুঁইছুঁই করছে, দু চোখে অদ্ভুত সারল্য..অথচ সেটাই যেন তার দোষ! খেলনা পুতুলটা সারাক্ষণই বকছে তাকে। সুরেলা কন্ঠের সুকেশী ও সুবেশী পরী Hanato Kobato, আর তার ঐ পুতুল আকৃতির Iyorogi সান এর সম্পর্কটা কিন্তু যেমনটা দেখা যায় তার চেয়ে অনেক বেশী উষ্ণ! 😀 ^_^
রিভিউ: Kobato
এপিসোড: ২৪
জনরা: কমেডি, ড্রামা, ফ্যান্টাসী
ম্যাল রেটিং: ৮.১
আক্ষরিক অর্থেই আকাশ থেকে নামে Kobato নামের অদ্ভুত সারল্যে ভরা চঞ্চল মেয়েটি! কোথাকার কিসের সাথে কি যেন একটা চুক্তি হয়েছে তার, চুক্তিটা পূরণ করতে পারলে তার পছন্দের জায়গাটিতে যেতে পারবে সে, আর না পারলে কোথায় যেন আবার ফিরে যেতে হবে তাকে! 🙁
কে শোনে কার কথা, টুপ করে পড়েই সম্পূর্ণ দিশেহারা হয়ে গেল Kobato! একদিকে কানের কাছে Iyorogi সান এর কান ঝালাপালা করা বকবকানি, অপরদিকে কি করবে না করবে কিছুই বুঝতে না পেরে চোখে সর্ষে ফুল দেখছে সে! চুক্তি অনুযায়ী হাতে যাদুর বোতল নিয়ে অ্যাডভেঞ্চারে বেরিয়ে পড়ল Kobato, সাথে Iyorogi সান। চুক্তিটা হলো, ঐ যাদুর বোতল টা “কনফেট্টি” দিয়ে ভরতে হবে! জার্মান শব্দ কনফেট্টি এর বাংলা অর্থ মিষ্টি। তার মানে কি…বোতলটা মিষ্টি দিয়ে ভরবে Kobato?! মোটেই না! দুঃখ ভরাক্রান্ত হৃদয়ের সকল ব্যাথা-বেদনা দূর করে দিলে মানুষের সরল মন যে উষ্ণ ও আন্তরিক কৃতজ্ঞতা এবং ভালোবাসায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে, তা দিয়েই ভরতে হবে তাকে ঐ বোতল, Kobato যেই আরোগ্য লাভ করা উষ্ণ হৃদয়গুলোর নাম দিয়েছে “কনফেট্টি”! এটাই তার চুক্তি, ঐ বোতলটা যেন ভরে, অন্তত সেই পরিমাণ ফুটো হৃদয় সেলাই করতে হবে তাকে, ভালো করতে হবে ক্লান্ত মনের বিভ্রান্ত মানুষগুলোকে, একটা নির্দিষ্ট সময়ের ভেতর!
শুনতে যতই কম্পলিকটেড বা খাপছাড়া লাগুক, Kobato তার মিষ্টি, সরল, ও পরিশ্রমী আচরণের মধ্যমে সহজেই আনন্দে ভরিয়ে তোলে যেকোন দুঃখী হৃদয়! তার ভালো করে দেয়া মনের মানুষের তালিকাটা বড় হয় দিন দিন, “কনফেট্টি” দিয়ে ভরতে থাকে যাদুর বোতল। চলার পথে তার পরিচয় হয় Fujimoto সান, Sayaka সান, Kohaku চান সহ আরো বিভিন্ন দুঃখী হৃদয়ের মানুষের সাথে…যাদেরকে বিভিন্নভাবে হৃদয়রোগ থেকে আরোগ্য লাভে সহায়তা করে ও, এবং এমনকি সবচেয়ে কঠিনতম হৃদয়ের মানুষটির মনেও সবচেয়ে উষ্ণ জায়গাটিও দখল করতে সক্ষম হয় সে, যে মানুষটি অনেক আগেই দখল করেছে তার মনের উষ্ণতম জায়গাটি। 🙂 শেষ পর্যন্ত কি সময় ফুরোনোর আগে যাদুর বোতলটি ভরতে পারে Kobato? নাকি যাকে নিজের সবটুকু উষ্ণতা উজাড় করে দিয়েছে, তাকে সম্পূর্ণ একা করে দিয়ে সৃষ্টির সবকটি অস্তিত্বের বুক থেকে হারিয়ে যায় সে কোনো এক অজানায়? জানতে হলে দেখে ফেলতে হবে Kobato! 🙂 ^_^
অদ্ভুত একটা প্লটকে হৃদয়ছোঁয়া করে উপস্থাপন করার সবচেয়ে সুন্দর উদাহারণগুলোর একটি হতে পারে Kobato। 🙂 ক্যারেক্টারগুলো খুবই পছন্দনীয়। Fujimoto, Sayaka, Kohaku ও মূল কমিক রিলিফ Iyorogi সান! :3 বিশেষত Kobato কে খুবই ভালোলাগে! তার সরল, চঞ্চল এবং কেয়ারিং আচরণ যে কারো মনে জায়গা করে নেয় খুব সহজেই। ^_^ স্পেশালি তার গানটা বহুদিন মনে রাখার মত একটা গান, ঠিক কোকোরোতে গিয়ে লাগে! :’) একটা গাছের ইতিহাস কিভাবে মানুষকে দুচোখ ভরে কাঁদিয়ে ছাড়তে পারে, অন্তত সেটা জানার জন্য হলেও দেখা উচিৎ এনিমেটা! T^T
ওএসটিগুলোয় একটা চাইমিক ভাব আছে, ক্যারেক্টার ডিজাইনগুলো খুবই দৃষ্টিনন্দন। CLAMP এর সিরিজ বলেই কিনা, Holic আর Tsubasa এর মত Chobits এবং Kobato তেও ক্যারেক্টার ক্রসওভার ব্যাপারটা আছে! কাস্টের মেইন দুজনের মূলে আছেন Kana Hanazawa এবং Tomoaki Maeno!
চমৎকার একটা রিফ্রেশিং এনিমে Kobato, সবার জন্য রেকমেন্ডেড!
Arakawa Under The Bridge [রিভিউ] — Mithila Mehjabin
আমরা যারা মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত সংসারের মানুষ, বড়লোক বাপের বেটা দেখলেই পিঠপিছে কানাকানি শুরু করি!
মানুষের কথা বলি কেন, আমি নিজেই রাস্তার জ্যামে আটকা পরে বড়লোকদের গাড়িগুলোকে যে হারে গালাগালি করেছি, শুনলে ড্রাইভার তো বটেই, গাড়ীও তেড়ে মারত আসত আমাকে!
কিন্তু বড়লোকদের জীবনও কিন্তু বড় সহজ না, স্পেশালি যখন তাদের মানসিকতাটা হয় এরকম, যে কখনই “কারও কাছে ঋণী থাকা যাবে না!”
আজাইরারও একটা লিমিট আছে, কিন্তু Ichinomiya Ko এর বাকওয়াজ ডিকশনারীতে “আজাইরা” বলে কোন শব্দই নাই! নাহলে পোলাপানে টানাটানি করে পরনের প্যান্টখানা যখন ব্রিজের অনেক ওপরে, নাগালের বাইরে ঝুলায় দেয়, তখন আন্ডারওয়্যার পড়া Ichinomiya Ko এর মাথায় “কারো কাছে ঋনী থাকা যাবেনা” ধরনের আজাইরা চিন্তা আসে কোত্থেকে?
তার ঐ চিন্তাটাই কিন্তু কাল হয়েছে!
রিভিউ: Arakawa Under The Bridge
এপিসোড: ১৩
ম্যাল রেটিং: ৭.৭
জনরা: কমেডি, রোমান্স, সেইনেন
Ichinomiya Ko মস্ত বড়লোক বাপের একমাত্র ছেলে। একদিন এক সুন্দর দুপুরে আরাকাওয়া নদীর ব্রিজের ওপর দিয়ে হাটাঁর সময় কিছু ছেলেপেলে তার বড়লোকি ভাব সইতে না পেরে তার প্যান্টখানি খুলে ব্রিজের সবচেয়ে উঁচু পিলারটায় ঝুলিয়ে দেয়। আন্ডারওয়্যার পড়া Ko তার অতিসুখী জীবনের চিন্তায় এতই রোমাঞ্চিত, যে আধান্যাংটো হয়ে ব্রিজের ওপর দাড়িয়ে থাকাটা তার কাছেই নিতান্তই ক্ষুদ্র একটা ব্যাপার মনে হয়। আর তখনই সে খেয়াল করে যে নীল চোখের হলুদচুলো একটা মেয়ে ব্রিজের কিনারে বসে বড়শী দিয়ে মাছ ধরছে। “কারও কাছে ঋনী থাকা যাবেনা” নীতিতে বিশ্বাসী Ko মেয়েটির সাহায্যের প্রস্তাব বেশ ডাটের সাথে ফিরিয়ে দেয়, আর বানরের তেলা বাঁশ বেয়ে ওঠার ভঙ্গিতে প্যান্ট নামানোর জন্য পিলার বেয়ে উঠতে গিয়ে আরাকাওয়া নদীতে পরে যায়! মেয়েটা তখন বাধ্য হয় সাহায্য করতে, কিন্তু ডাঙায় উঠে জ্ঞান ফেরামাত্রই মেয়েটি তার জীবন বাঁচিয়েছে, এই ঋণ শোধের চিন্তায় পুরোপাগল হয়ে যায় আধাপাগল Ichinomiya!
কি করলে মেয়েটির ঋণটি শোধ করতে পারে সে, এই প্রশ্নের উত্তরে মেয়েটি বলে তাকে ভালোবাসতে! আর ঠিক এখানেই ফেসেঁ যায় Ko, মেয়েটির সাথে আরাকাওযা নদীর পাগলা বাসিন্দাদের একজন হয়ে যায় মাল্টিবিলিয়নেয়ার কোম্পানীর ভবিষ্যৎ প্রেসিডেন্ট Ichinomiya Ko ওরফে Recruit! মেয়েটার দাবি সে একজন ভেনাসবাসী! আরও আছে কস্টিউম পড়া কাপ্পা, সিস্টার ওরফে গালকাটা ব্রাদার, তারামুখো গিটারিস্ট হোশি, এইগো নো স্টেলা, গাইওয়ালা, সবজিওয়ালা সহ আরো অনেকেই!
কাহিনীটা অনেকের কাছে বেশ সাধারণই মনে হবে, কিন্তু উপাস্থাপন করা হয়েছে অসাধারণ ভাবে। বেশ আগের একটা এনিমে হওযা সত্বেও প্রায় ইরেডিসেন্ট একটা স্বচ্ছ পর্দার ভেতর দিয়ে যেন দেখানো হয়েছে পুরো জিনিসটা! যেটাকে বলে ফটো ম্যাটেরিয়াল, কাহিনীর প্লেসমেট আরাকাওয়া নদী এবং ব্রিজ এর আশপাশ থেকে খুব একটা সরেনা যদিও, নদী এবং এর আশে পাশের ছোট পল্লীমতন তাদের জগৎটা খুবই দৃষ্টিনন্দনভাবে দেখানো হয়েছে!
কমেডি সেই লেভেলের, ক্যারেক্টারগুলির তো মাথাই নষ্ট! পুরো সময়টা “একদল পাজি পোলাপানের হাতে ধোলাই হচ্ছেন এক আজাইরা ভদ্দরনোক” ধরনের একটা পৈশাচিক শৈশবকালীন মজা পাওয়া যায়! অদ্ভুত সব এঙ্গেল থেকে দেখানোটাও ভালোই হাসির খোরাক যোগায়! হালকা রোমান্স, কমেডি আর এত্তগুলা সুন্দর সুন্দর দৃশ্য, স্ক্রীনশট নিকে নিতে আঙ্গুল ব্যাথা হয়ে গেছে!
দারুণ একটা এনিমে, সব রমকম লাভারদের জন্য রেকমেন্ডেড!
বড়লোক পোলাপাইনদের: নো অফেন্স বাই দা ওয়ে! স্রেফ কৌতুক করার স্বার্থে পকপকানি!
Kaze no Stigma রিভিউ — Mithila Mehjabin
“Kaze no Stigma” বা “Stigma of the wind”, বাংলা করলে দাড়ায় “বাতাসের কালিমা” সত্যিই খুব চমৎকার একটা অ্যানিমে! 🙂
কাহিনীটা এরকম: Kanagi ফ্যামিলীর সবচেয়ে বড় ছেলে Kazuma kanagi তাদের পরিবারের ঐতিহ্যবাহী “Fire magic” আত্নস্থ করতে ব্যার্থ হয়, এবং স্ব-পরিবারের চার বছরের ছোট কাজিন Ayano kanagi এর সাথে একটি ডুয়ালে হেরে যায়। এতে তার পিতা Genma Kanagi অসন্তুষ্ট হয়ে তাকে ত্যাগ করে। কাহিনী শুরু হয় যখন এই Kazuma Kanagi চার বছর পর Kazuma Yogami নাম নিয়ে এবং Fire magic এর বদলে অসম্ভব Wind magic পাওয়ার নিয়ে বিদেশ থেকে জাপানে ফিরে আসে। Kanagi পরিবার তার এই হঠাৎ আবির্ভাব এর কথা জানতে পারে এবং পরিবারের ওপর তার রোষ থেকে পরিবারের সদস্যদের ক্ষতি হতে পারে ভেবে শঙ্কিত হয়। এদিকে হঠাৎ করে পরিবারের দুজন সদস্য Wind magic দ্বারা খুন হয়ে যায়। যদিও খুনী থাকে অন্য কেও, পরিবারের সদস্যরা এতে Kazuma কেই খুনী ধরে নেয় এবং তারা তাকে হন্যে হয়ে খুজতে থাকে , তন্মধ্যে সবচেয়ে আগ্রহী থাকে পরিবারের ভবিষ্যৎ প্রধান এবং Kazuma’র সেই ছোট বেলার কাজিন মেয়েটি, Ayano Kanagi, যে থাকে কাহিনীর মূল নারী চরিএ। তারপর বিভিন্ন প্লট টুইস্টের মাধ্যমে Kazuma, Ayano এবং Kazuma’র ছোট ভাই Ren Kanagi কে ঘিরে কাহিনী এগিয়ে যায়…
এখানে Ren Kanagi’র কথা না বললেই নয়। Kazuma’র এই ছোট ভাইটি থাকে অসম্ভব kawai!! 😀 ইনোসেন্ট লুকিং নরম স্বভাবের ছেলেটা যে কারো ভালোবাসা জয় করে নিতে বাধ্য! কাহিনীতে তার ভূমিকাও উল্লেখযোগ্য।
এদিকে রাগী এবং গরম স্বভাবের, অথচ সৎ সুন্দর Ayano Kanagi এবং স্থির, তেড়া, একরোখা এবং হ্যান্ডসাম লুকিং Kazuma Kanagi’র রসায়নটি থাকে খুবই মজার! 😀
মোট ২৪ টা এপিসোড এর কাহিনী, ডাব এবং সাব দোনোটাই এভেইলেবল। সাব টা দেখিনি যদিও, তবে ডাব টা এক কথায় অসাধারণ! বিশেষ করে Kazuma’ র গর্জিয়াস ভয়েসটা সবার ই ভাল্লাগার কথা।
এপ্রসঙ্গে একটা মজার জিনিস বলি, Kazuma’র ভয়েসে সবচেয়ে মজার শোনায় যে ওয়ার্ড টা, সেটা হলো “Basturd!” আর Ayano’র ভয়েসে “Pervert!” 😀
সো, আগ্রহী বন্ধুরা দেখে ফেলতে পারো। 🙂
বি:দ্র: কাহিনীটা একটানা এ্যাকশন মতন কিছু না, রোমান্স এবং কমেডিরও প্রচুর খোরাক রয়েছে…সুতরাং একঘেয়ে লাগবে না, এটা আশা করা যেতেই পারে!
Arigatou Minna! 🙂
Ouran Highschool Host Club রিভিউ — Mithila Mehjabin
প্রথমে যখন এই এনিমে টা দেখতে শুরু করলাম, মেজাজটা খুব খারাপ হচ্ছিল, কারণ সহজকথায়, এহেন ছাগলমার্কা এনিমে আর দেখিনি।
আর যখন দেখা শেষ করলাম তখনও মেজাজ খারাপ হচ্ছিল, কারণ পাগলামি-ছাগলামি যে এত মজার হতে পারে, তার নমুনাগুলো আর দেখা হবেনা…!
হ্যা…বলছি Ouran Highschool Host Club এর কথা!
আসলে এই এ্যানিমে সম্পর্কে বেশী কিছু বলতে গেলে Spoiler হয়ে যায়…আর না বললে বোধহয় অবিচার হয়ে যায়..তাই একটুকিছু বলা উচিৎ..
কাহিনীর শুরু এরকম: ধনী এবং উচ্চবংশীয় ছেলে-মেয়েদের অভিজাত স্কুল Ouran Academy তে স্কলারশিপ পাওয়া একজন মধ্যবিত্ত স্টুডেন্ট Haruhi Fuziwoka পড়ার সুবিধার্থে একটু নিস্তব্ধতার আশায় একটি পরিত্যাক্ত মিউজিক রুম এ ঢুকে পড়ে, এবং অবাক হয়ে যায় ৬ জন অত্যন্ত ধনী এবং উচ্চবংশীয় স্টুডেন্ট তাকে ওয়েলকাম করছে দেখে, যা সে মোটেই আশা করেনি। সেখানে সে জানতে পারে যে এই ৬ জন স্টুডেন্ট মিলে গড়ে তুলেছে একটি হোস্ট ক্লাব, Ouran Highschool Host Club, যেখানে উচ্চবংশীয় সুদর্শন হোস্টরা অনেক অবসর সময় নিয়ে সেসকল উচ্চবংশীয় মেয়েদের এন্টারটেইন করে যাদের হাতেও অনেক অবসর সময় রয়েছে! পুরো ব্যাপারটাই Haruhi’র কাছে খাপছাড়া লাগে, কিন্ত ঘটনাচক্রে একটা অত্যন্ত দামী ভাস্ ভেঙে ফেলায় তার দায় মেটানোর জন্য তাকে বাধ্য হয়েই ক্লাবটিতে জয়েন করতে হয়। প্রখমে তাকে ঠুনকো কাজ করার জন্য রাখা হলেও পরে সে যে অত্যন্ত কাওয়াই, সেটা আবিষ্কার করে ক্লাবের হেড তাকে হোস্ট হিসেবে নিয়োগ করে, তারপর একটি চমক, এবং এখান থেকেই গল্পটির যাত্রা শুরু….:)
জীবনে যে হাসেনাই, এই এনিমেটি দেখে এমনকি সেও হাসতে বাধ্য! 😀
এনিমেটা মূলত কমেডি, তবে হালকে রোমান্স এর ছোয়াঁটা খুবই আবেদনময়। হোস্টক্লাবটির হেড Tamaki Suo এবং অন্যন্য সদস্য…Kyoya Outory, Hikaru এবং Kaoru Hitachi, Hanni Nozuka, Mory Nozuka এবং Haruhi Fuziwoka…এদেরকে ঘিরে যত কীর্তিকারখানাই এনিমেটার কাহিনী।
এনিমেটাতে মূলত বড়লোকদের বড়লোকীয় কাজকারবারের অর্থ বুঝতে অনভিজ্ঞ একজন মধ্যবিত্তের মিশেলে অম্ল-মধূর মুহুর্তগুলোর মধ্য দিয়ে দু’দলের কাছে পরস্পরকে বোঝার এবং পরস্পরের কাছে পরস্পরের প্রয়োজনীয়তা ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করা হয়েছে। এই আদর্শটিই এনিমেটাকে আরও ইন্টারেস্টিং করে তুলেছে… 🙂
২৬ টি এপিসোড এর এনিমেটাতে পাগলামি-ছাগলামির কোনো অভাব নেই! ডাব এবং সাব দুটোই আছে। তাড়াহুড়ো করে দেখতেও মন চাইবে না…যখন খুশি তখন দেখাতেও মজা বাড়বে বৈ কমবে না।
সো, হাতে অবসর থাকুক বা না থাকুক, যারা দেখনি তারা দেখে ফেলতে পারো! এনিমেটা যদিও নতুন নয়, আর এর একেকটা পর্ব দেখা মানেই অবসর সার্থক! বলে রাখা ভালো, এনিমেটার আসল স্বার্থ জাস্ট্ ফান্ …আর কিছু নয়। 🙂
এনিমেটা নতুন কিছু নয়, তারপরও এতকিছু লিখে যাদের বিরক্তি ধরিয়ে ফেললাম, তাদেরকে আগে থেকেই সরি বলে রাখছি! গোমেন্নাসাই!
Arigatou Minna!
Ghost Hunt রিভিউ — Mithila Mehjabin
হরর/প্যারানর্মাল ইনভেস্টিগেশন/মিস্টেরি/একশন/টিমওয়ার্ক- এই জাতীয় এনিমে যাদের পছন্দ, তাদের জন্য এই এনিমে টা একশবার রেকমেন্ডেড!
বলছি Ghost Hunt এর কথা! 🙂
শুরুটা এরকম: Mai Taniyama স্কুলে ক্লাস শেষে রুমের আলো নিভিয়ে বন্ধুদের নিয়ে ভূতের গল্প করতে পছন্দ করে। একদিন তাদের পুরোনো স্কুলবিল্ডিংটি নিয়ে এমনই গল্পচলাকালীন একজন অপরিচিত সুদর্শন যুবক হঠাৎ করে তাদের ক্লাসরুমটিতে ঢুকে পড়লে ভয় পেয়ে যায় মেয়েগুলো! সুদর্শন ছেলেটির নাম Kazuya Shibuya, নিজেকে একজন ফ্রেশমেন হিসেবে পরিচয় দিলেও ছেলেটার কথা, কন্ঠ, স্থির – অচঞ্চল ভাবটার মধ্যে কোথাও যে একটা রহস্য লুকিয়ে আছে, এ ব্যাপারটা Mai ঠিকই বুঝতে পারে। পরদিন স্কুলে যাওয়ার পথে তাদের সেই পরিত্যাক্ত পুরোনো ভুতুড়ে স্কুল বিল্ডিংটা চোখে পড়লে কৌতুহল বশে Mai এর ভেতরে ঢুকে পড়ে, এবং পরিত্যাক্ত বিল্ডিংটিতে একটি ক্যামেরা দেখতে পেয়ে অবাক হয়ে যায়। যেই না ক্যামেরাটি ধরতে যাবে, অমনিই ঘটে যায় বিপত্তি! হঠাৎই একটা কন্ঠ শুনে ভয় পেয়ে যায় Mai, আর তারই ধাক্কায় একটা বুকশেলফ তার ওপর পড়ে যেতে নিলে কন্ঠধারী ব্যাক্তিটি তাকে বাচাঁতে গিয়ে নিজেই মারাত্নক ভাবে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এসময় Kazuya নামের গতদিনের সেই রহস্যময় ছেলেটি এসে হাজির হয়, এবং আঘাতপ্রাপ্ত ব্যাক্তিটিকে সাহায্য করে। একের পর এক অপ্রত্যাশিত ঘটনায় অবাক হয়ে গেলেও পরে Mai জানতে পারে সেই আঘাতপ্রাপ্ত ব্যাক্তিটি ছিল Kazuya’র এসিস্টেন্ট, এবং ১৭ছর বয়সী Kazuya নামের রহস্যময় ছেলেটি আসলে একজন প্যারানরমাল ইনভেস্টিগেটর, একটি সাইকিক রিসার্চ সেন্টার এর মালিক, যাকে ঐ ভুতুড়ে স্কুলবিল্ডিংটার রহস্যোদ্ঘাটনের জন্য হায়ার করা হয়েছে! এদিকে ক্যামেরাটি ভেঙে ফেলায়, এবং তার কারনে Kazuya’র এসিস্টেন্ট আপাতত কিছুদিনের জন্য অচল হয়ে যাওয়ায় তাকেই আপাতত Kazuya’র এসিস্টেন্ট হিসেবে যোগ দিতে বাধ্য হতে হয়। তাদের ইনভেস্টিগেটিং এ আরও যোগ দেয় Monk Takigawa- একজন এক্সরসিস্ট, John Brown- প্রিস্ট, Masuko Hara- স্পিরিচুয়ালিস্ট, Ayako Matsuzaki- স্রাইন মেইডেন। শুরু হয় গল্প, এবং একের পর এক রুদ্ধশ্বাস্ অভিযান!
স্টোরির আর্টওয়ার্ক এবং প্লটগুলো অসাধারণ, এবং এক্ষেত্রে সবচেয়ে প্রশংসার দাবিদার হচ্ছে স্টোরির সাউন্ড সিস্টেম টা। এক কথায় ভয়ঙ্কর! শুধু সাউন্ড গুলোই যে কাউকে ভয় পাওয়াতে যথেষ্ট……আর মিস্টেরি ও একশন তো আছেই! 😀
২৫ টি এপিসোড্, ডাব্ ও সাব্ দুটোই আছে। সো, যারা এই ধরনের প্লটে আগ্রহী, তারা বিনা দ্বিধায় দেখে ফেলতে পারো, নিরাশ হবে না! 🙂
আর, ইয়ে….দূর্বল চিত্তের মানুষদের রাতে না দেখাই ভালো! 😛
আর এই ধরণের প্লটের আরও কোনো সাজেশন থাকলে তা জানাবেন, প্লীজ! 🙂
আরিগাটোও মিন্না!
Myself ; Yourself! রিভিউ — Mithila Mehjabin
সো দিস ইস্ দা স্টোরি অফ Myself;Yourself! 🙂
(May contain a bit spoiler)
কথায় আছে, ” Childhood is all about future, youth is about present and Old age is all about past!” 🙂
আমরা যারা ইয়ুথ যাপন করছি, সবাই আমরা বর্তমানে বেচেঁ থাকি, এবং ভবিষ্যত কে সাজাই, অতীত নিয়ে যেহেতু করার কিছু নেই, তা নিয়ে মাথা ঘামাই না। সুন্দর অতীত নিঃসন্দেহে সম্পদ, আর দুঃসহ অতীত থেকে পালিয়ে বেড়াই! 🙁
হ্যা, অতীত কে বদলানোর কোনো উপায় নেই, কিন্তু দুঃসহ অতীতের প্রতি আমাদের অনুভূতি বা দৃষ্টিভঙ্গি কে বদলে, ‘খারাপ কিছুও আমার জীবনে ঘটেছে’- এই ব্যাপারটাকে স্বস্তির সাথে স্বীকার করেও যে সামনে এগুনো যায়, এই ধরণের একটা অনুভূতি কে জাগিয়ে তোলা কাহিনীই হলো Myself;Yourself!
🙂
শুরুটা এরকম: Sana Hidaka নামক অতিমাত্রায় কিউট ছোট্ট ছেলেটিকে পারিবারিক কারণে প্রিয় শহর, এবং প্রিয় বন্ধুদেরকে রেখে অনেক দূরে চলে যেতে হয়। পাচঁ বছর পর যখন সে আবার ফিরে আসে, ছোটোবেলার সেই প্রিয় শহর এবং বন্ধুদের চেনা ব্যাপারগুলোর সাথে মিল-অমিল, মান-অভিমান এবং স্মৃতিকাতরতা তাকে একইসাথে আনন্দ এবং অস্বস্তিতে ফেলে দেয়। এবং তার অস্বস্তির সাথে কাটাঁ হয়ে বিধেঁ সেই ছোট্টবেলার শান্ত – শিষ্ট, মিষ্টি, মার্জিত, অতিচেনা-পরিচিত মেয়ে Nanaka Yatsushiro এর আমূল বদলে যাওয়াটা। কি হয়েছিল এই পাচঁটি বছরে? Nanaka কেন আর ভায়োলিন বাজায় না? Shuu এবং Shuri Wakatsuki কেন এত ক্লোজ্? রক্তাক্ত ছুরি কেন Sana কে এত ভয় পাইয়ে দেয়?
এসব প্রশ্নের উওর জানতে হলে দেখে ফেলতে হয় সিম্পল, অথচ সুন্দর এই ছোট্ট এনিমে টা.. 🙂
গল্পের প্রতিটি চরিত্রের ভূমিকাই অনেক যত্ন নিয়ে সাজানো হয়েছে। Aoi’র কমেডি, Hinako’র ছেলেমানুষি, এবং Hoshino’র ভিতরের সত্তাটি গল্পে অন্যরকম প্রভাব ফেলে।
রোমান্স, ড্রামা, স্কুল, স্লাইস অফ লাইফ জেনরের এই এনিমেটা মোটেই টিপিকাল কিছু না, তাই দেখার জন্য কোনো তাড়াহুড়ো অনুভব হয় না। এই হাসিখুসি, প্রাণোচ্ছল মানুষগুলোর হাসির পেছনে জীবনটা যে কতটা কুৎসিত হতে পারে, তা-ই এই কাহিনীর মূল আকর্ষণ। জীবনের তুচ্ছ ব্যাপারগুলোই হাসি-কান্নার খোরাক, গল্পটা সেটাই বারবার মনে করিয়ে দেয়। অনেকের কাছেই নষ্টালজিক মনে হতে পারে। 🙂
এনিমেটির আর্টওয়ার্ক খুবই সুন্দর, এবং টাচিং সাউন্ডট্র্যাক। গল্পজুড়ে যে ব্যাপারগুলো রেফ্লেক্টেড হয়, তা মনে ছাপ ফেলে। ১৩ টি এপিসোড এবং ৩ টি স্পেশাল এপিসোড্, সাবড্ এভেইলেবল্।। 🙂
MAL rating: 7.53
Personal rating: 7
🙂
সো, আগ্রহী বন্ধুরা দেখে ফেলতে পারো! 😀
Arigatou! 🙂