**SPOILER ALERT**
যারা কুরকোদেখেন নাই ১০০ গজ দূরে থাকবেন।
অনেকেই কুরকোকে সুপার নেচারাল এনিমে বলে। আমি শুধুমাত্র স্পয়লারের জন্য কিছু বলতে চাই না। আসলে কুরকো কোন সুপার নেচারাল এনিমের ধারে কাছেও না তার ব্যাখ্যা দিব। কিভাবে দিব? যেইগুলাকে সুপার ন্যাচারাল মমেন্ট ধরা হয় ঐগুলা আসলে কি সেটা বুঝাব। কারন উনাদের বুঝার ক্ষমতা নাই দেখার পরেও।
কুরকো নো বাসুকেতে যেসব আবিলিটি ব্যবহার করা হয় সেগুলো হল মিসডিরেকসন, ফেন্টম সর্ট,ভানিশিং ড্রাইব,মিসডিরেকসন ওভারফ্লো, জোন ,ট্রু জোন, এম্পেরর আই,এঙ্কেল ব্রেক,পারফেক্ট কপি । পুরো সিরিজ জুড়ে এগুলোর ব্যবহার আমরা আস্তে আস্তে দেখতে পাই।
মিসডিরেকসনঃ নাম শুনেই বুঝার কথা এটা কি? মিসডিরেকসন হল মানুষের এটেনসনকে কন্ট্রোল করার ক্ষমতা মূলত আপনার চোখকে ধোঁকা দেওয়াটাই এর মূল কাজ। ম্যাজেসিয়ান ম্যাজিক সফল করার জন্য এই টেকনিক ইউস করে। কুরোকো মানুষদের অব্জার্ব করে এবং তার weak presence তার মিসডিরেকসনকে সফল করে তোলে।
মিসডিরেকসন ওভারফফ্লোঃ যখন মিসডিরেকসনের কার্জকারিতা শেষ হয়ে যায় তখন শুরু হয় মিসডিরেকসন ওভারফফ্লো। মিসডিরেকসন ওভারফফ্লো আসলে মিসডিরেকসনের মতই কিন্তু একটু ভিন্ন।শুধু মিসডিরেকসনে কুরকো নিজেকে অন্যদের কাছ থেকে আড়ালে রাখত কিন্তু এবার নিজের প্রেজেন্সকে ঠিক রেখে তার নিজের টিম মেটদের আড়ালে রাখা। এটা করা সম্ভব কুরকো করতে পারে কারন কুরকো তার সারাজীবন মিসডিরেকসন ব্যবহার করে এসেছে। এখানে ঘটনাটা হল সব আটেন্সন কুরকো কেড়ে নিচ্ছে এতে যা ফলাফল পাওয়া যায় সেটা অসাধারণ। হ্যাঁ, মিসডিরেকসন ওভারফফ্লো। এটাই মিসডিরেকসনের আসল শক্তি এটেন্সন কেড়ে নেওয়া বা দূরে সরিয়ে দেওয়া।
জোন এবং ট্রু জোনঃ সবার প্রশ্ন এটাই “জোন”। আসলে জোন হচ্ছে মানুষের ব্রেনের চরম পর্যায়ে ফোকাস। কুরকো নো বাসুকেতে জোন তখনি ব্যবহার হয় যখন খেলা চরম পর্যায়ে দাড়ায়। জোন আস্তে আস্তে গভীর হয় কিন্তু জোন মানুষের ৮০ শতাংশ ফোকাস অ্যাবিলিটি কার্জকর করতে সক্ষম। এর পরেই আসে ট্রু জোন। ট্রু জোন ইউজারকে তার ১০০ শতাংশ কার্যকর করতে সক্ষম এবং প্লেয়ারদের মধ্যে যোগাযোগকে চরম পর্যায়ে নিয়ে যায়। ট্রু জোন টিমমেটদের সাহায্য ছাড়া সম্ভব নয়। এগুলোকে কি সুপার ন্যাচারাল মনে হচ্ছে? না। এগুলো বাস্তবিক ব্যাপার আপনি নিজেকে যত ফোকাস করতে পারবেন তত বেশি ভাল ফলাফল আসা করা যায়। বিভিন্ন ধরনের খেলার সময় জোন ট্রু জোন দেখতে পাওয়া যায়। একটা কথা জেনে রাখা ভাল যে কেউ জোনে যেতে পারবে শর্ত হল এক্সট্রিম মোমেন্ট । যেমনঃ মৃত্যু ভয় বা এক্সট্রিম মোমেন্টে অনেকে অনেক অসম্ভব কাজ করে ফেলতে পারে (প্রমাণিত)
ভানিশিং ড্রাইবঃএটি একটি টেকনিক ছাড়া কিছুই না। কুরকোর অব্জার্বেসন ক্ষমতা এবং কাগামির সাহায্যে টেকনিকটি সফল হয়েছে। এটার জন্য কুরকোকে নতুন করে কিছুই শিখতে হয়নি। শুধু একটু ফাস্ট হতে হয়েছে। ধরুন আপনার সামনে একটা খরগোস আর তার পিছনে একটি বাঘ আছে আপনি কাকে নিয়ে ১ম এ চিন্তা করবেন অবশ্যই বাঘকে নিয়ে কারন বাঘ আপনাকে মেরে ফেলতে পারে।ঠিক এই ব্যাপারটাই হল ভানিশিং ড্রাইব। কুরকোকে যদি খরগোস আর কাগামিকে যদি আপনি বাঘ ধরেন তাহলে ব্যপারটা পানির মত পরিস্কার।করুকোর ভানিশিং ড্রাইব সফল হওয়ার জন্য কাগামিকে প্রয়োজন কারন কাগামি টিমের সবচেয়ে টার্গেটেড প্লেয়ার কাগামি কুরকোর পিছনে থাকলে প্লেয়ারের এটেন্সন কিছু মুহূর্তের জন্য কাগামির দিকে চলে যায় ব্যাস এইতো চান্স এখন কুরকে শুধু ভালমতো অব্জার্ব করে তাড়াতাড়ি প্লেয়ারকে পিছনে ফেলে দিতে হবে। এজন্য কিছু মুহূর্তের জন্য কুরকোকে অনেক অনেক ফাস্ট হতে হয় ।তাই বলের উপর এত প্রেসার পড়ে। একারনেই কুরকোর প্রাক্টিসের সময় এতগুলো বল ফেটে যায়।
ফেন্টম সর্টঃ ফেন্টম সর্ট একটি চমৎকার টেকনিক।এটি মিদরিমার ৩ স্টার সর্ট থেকেও অসাধারণ। কুরকো নো বাসুকেতে একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন যে কুরকোর সমস্ত প্লেতে “ভ্যানিশিং” জুড়ে আছে। এটাও তার ব্যাতিক্রম না। ফেন্টম সর্ট এর জন্য দরকার অনেক অনেক প্রাকটিস। ফেন্টম সর্ট নরমাল সর্ট থকে একটু ভিন্ন নরামাল যেকোন সর্ট বাস্কেটে বল ২০-৭০ ডিগ্রিতে(আনুমানিক)পড়ে কিন্তু ফেন্টম সর্টে বাস্কেটে বল ৯০ ডিগ্রির অথবা তার একটু কমে পড়ে। মূল মন্ত্র হল থ্রোতে থ্রো এর সময় বলকে ৯০ ডিগ্রিতে ধরতে হয়। তাই কুরকোর বল ধরাটা ভিন্ন সর্ট এর সময়। ফেন্টম সর্ট ছবিতে এক্সপ্লেইন করা হলঃ
এজন্য মুরাসাকিবারার ব্লক কোন কাজে আসে নি। কিন্তু ফেন্টম সর্ট ইনভিন্সিবল না। সঠিক টাইমিং এবং প্রেডিকশন দ্বারা ফেন্টম সর্ট আটকানো সম্ভব।এজন্যই কিসে কুরকোর ফেন্টম সর্ট আটকাতে পেরেছিল।
এম্পেরর আইঃ একটা কথা জেনে রাখা ভাল যে এম্পেরর আই ফিউচার দেখতে পারে না বরং ফিউচার প্রেডিক্ট করতে পারে। এম্পেরর আই মিসডিরেকসন এর মতই। অপনেন্টকে প্রেডিক্ট করা খেলার ভিতরে নতুন কিছুই না। আকাসি শুধু অন্যদের থেকে এগিয়ে বা বেটার অপনেন্টকে প্রেডিক্ট করার সময়। ধরুন আপনি আকাশে একটি বল ছুড়ে মারলেন আপনি কিন্তু প্রেডিক্ট করতে পারবেন বলটি কোথায় পড়বে। এখন এর সাথে যদি জোন জুড়ে দেন তাহলে আকাসিতো ইনভিন্সিবল।
এঙ্কেল ব্রেকঃ এম্পেরর আইকে কাজে লাগায়ে যে টেকনিক তৈরি হয় তা হল এঙ্কেল ব্রেক। যদি আপনি অপনেন্টকে মুভমেন্ট প্রেডিক্ট করতে পারেন তাহলে এঙ্কেল ব্রেক সবচেয়ে সোজা টেকনিক।
কৌশলঃ অপনেন্ট যেদিকে মুভ করবে তার বিপরীত দিকে মুভ করতে হবে। অপনেন্ট এর রিফ্লেক্স যতই ভাল হোক না কেন সে তার ব্যালেন্স ধরে রাখতে পারবে না।
পারফেক্ট কপিঃ কিসে প্রচণ্ড পরিমাণে ট্যালেন্টেড তা দেখলেই বুঝা যায়। কিসে তার অপনেন্টের মুভ কপি করতে পারে এবং অপনেন্টের থেকে ভাল ব্যবহার করতে পারে। পারফেক্ট কপি এক্সপ্লেইন করা আসলে সবচেয়ে কঠিন কিন্তু বুজতে পারলে কঠিনের কিছু নেই। আসলে জেনারেসন অফ মিরাকেল এর মেম্বারদের প্রতেকেরই একটি করে বিশেষ ট্যালেন্ট রয়েছে।যেমনঃ আওমিনের খেলার স্টাইল হল Street basketball,কুরকো মিসডিরেকসন, কিসে কপি,মুরাসাকিবারার হাইট হল একধরনের ওয়েপেন(ডিফেঞ্চ),মিদরিমার থ্রো,আকাসির প্লেডিকসন।শুধু যেটা জানা দরকার তা হল কিসেকেন জেনারেসন অফ মিরাকেল কে আগে কপি করতে পারে নি বা হঠাৎ করে আবার করতে পারল কেন?
কিসে তার খেলার স্টাইল ডেবেলপ করেছে কপি করে। কিন্তু জেনারেশন অফ মিরাকেল এর ট্যালেন্ট কিসে কপি করলে তার শরীরের উপর প্রচন্ড চাপ পড়বে। প্রত্যেকটি টেকনিক খুবই হাই লেবেলের যা কিসের বডি সহ্য করতে পারবে না। তাই একটা নির্দিষ্ট টাইম লিমিট রয়েছে পারফেক্ট কপির। এজন্যই আওমিনেকে কপির করার সময় কিসের পা প্রায় ভেঙ্গেই যাচ্ছিল।কুরকোর সাথে তার প্রথম হারের হতাসা,টিমমেট এর উপর বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস তাকে জেনারেশন অফ মিরাকেলকে কপি করতে সাহায্য করেছে। কিসে সব সময় টেকনিকগুলো কপি করতে পারবে কিন্তু তার শরীরকে আনবিলিবেবল পর্যায়ে ফিট থাকতে হবে,যাতে সে টেকনিক গুলোর সাথে কিপ আপ করতে পারে।
অন্যান্য ব্যাপার সমুহঃ অনেই ভাবছেন যদি কুরকো সুপার ন্যাচারাল এনিমে নাই হয় তাহলে ভানিশিং ড্রাইবের সময় কুরকোকে আমরা ভ্যানিস হয়ে যেতে দেখি কেন অথবা জোনের সময় চোখ এমন হয় কেন বা আকারিস চোখের কালার চেঞ্জ হয় কেন ইত্যাদি। আসলে বাস্তবে এগুলো কিছই ঘটে না সিরিজটা দর্শকদের কাছে ড্রামাটিক আর আকর্ষণীয় করতে এই ধরনের ইলিমেন্ট অ্যাড করা হয়েছে। কুরকো যখন ভানিশিং ড্রাইব করে তখন স্টেডিয়ামে উপস্থিতদর্শক ও অন্যান্য প্লেয়াররা দেখে কুরকো একজন প্লেয়ার কে পাস করে গেল কিন্তু প্লেয়ার কিছুই করতে পারে নি। অন্যান্য টেকনিকও একই ধরনের ঘটনা ঘটে। জোনের সময় চোখ আসলে এমন হয় না এবং আকাসির ২ চোখ সবসময় লাল ছিল আগেই বলেছি এগুলো দর্শকদের কাছে ড্রামাটিক আর আকর্ষণীয় করতে অ্যাড করা হয়েছে। তারপর কুরকোর সাইক্লোন পাস জাস্ট আনাদার কুইক পাস বাট একটু জোরে । আর বাদ বাকি যা আছে ওই ব্যাপার গুলো যারা এনিমে দেখে এমনিতেই বুজতে পারবে। ঐগুলো না বুঝার কিছু নেই।
ধন্যবাদ।