Tokyo magnitude 8.0 রিভিউ — Monirul Islam Munna

7

Anime: Tokyo magnitude 8.0
এপিসোড সংখ্যাঃ ১১
ম্যাল রেটিংঃ ৮.২২

৮ মেগনিচুডের একটা ভূমিকম্প পুর জাপানকে কিভাবে তছনছ করে দিসে বেশ সুন্দর করে ফুটে উৎসে এই এনিমেতে। আগামী ৩০ বছরের ভিতর কমপক্ষে ৭ মেগনিচুডের একটা ভূমিকম্প আঘাত করবে, এমন প্রেডিকশন থেকে এনিমেটার কনসেপ্ট!

শুধু ভুমিকম্প কেন, ভুমিকম্পের আফটার ইফেক্টও অসাধারণ ভাবে তুলে ধরছে। খুব সাধারণ একটা এনিমে, তবে খুবই ভালো লেগেছে। বিশেষ করে একটা এপিসোড দেখে তো মনটাও খারাপ লাগছে।

গ্রাফিক্স, এনিমেশন, ক্যারেক্টার বিল্ডাপ সবই ভালো। বিশেষ করে এই ইন্ডিংটা চরম লাগে আমারঃ Melody by Tsuji Shinon http://www.youtube.com/watch?v=bjtu0G–1y4

‘ইফ ইউ লাইক দিস ইউ মে অলসো লাইক দ্যাট’ – ১৩

ইফ ইউ লাইকড ‘Tokyo Magnitude 8.0′ ইউ মে অলসো লাইক ‘Coppelion’

আপনার কাছে ‘Tokyo Magnitude 8.0′ ভালো লাগলে ‘Coppelion’ ও ভালো লাগতে পারে

কারণ-

Tokyo Magnitude 8.0′ ও ‘Coppelion’ এর মধ্যে মিল-

* প্রাকৃতিক বিপর্যয়/ পরিবেশ কোনভাবে ধ্বংস হওয়া নয়ে কাহিনি।
* অনেকটা সেইম আবহ।
* দুইটা অ্যানিমেই এর প্লট ই টোকিও শহরের ধ্বংসাবশেষ এ ঘটা।
* ট্র্যাজিক সেটিংস।

Tokyo Magnitude 8.0′ ও ‘Coppelion’ এর মধ্যে অমিল-

* Tokyo Magnitude 8.0 এ সবাই হঠাৎ করে বিপর্যয়ের মাঝে পড়ে কিন্তু Coppelion এ ৩ টা মেয়েকে ডেসার্টেড সিটি তে পাঠানো হয়।
* Tokyo Magnitude 8.0 মূলত ড্রামা জনরার কিন্তু Coppelion একশন আর সাই-ফাই জনরার।
* Coppelion এ Post-Apocalyptic ভাইব টা তুলনামূলক বেশি।

 

‘ইফ ইউ লাইক দিস ইউ মে অলসো লাইক দ্যাট’ – ১২

ইফ ইউ লাইকড ‘Hotaru no Haka’ ইউ মে অলসো লাইক ‘Tokyo Magnitude 8.0

আপনার কাছে ‘Hotaru no Haka’ ভালো লাগলে ‘Tokyo Magnitude 8.0’ ও ভালো লাগতে পারে

কারণ-

Hotaru no Haka’ ও ‘Tokyo Magnitude 8.0’ এর মধ্যে মিল-

* মেইন ক্যারেক্টার সিবলিং (ভাই-বোন)।
* কোন একটা ক্যাটাসট্রফি (দুর্ঘটনা/ দুর্যোগ) এর পরে মানুষের জীবনের অবস্থা নিয়ে কাহিনি।
* সেইম জনরা, ড্রামা।
* রিয়ালিস্টিক আর ইমোশোনাল কাহিনি।
* দুর্ঘটনার পরে ভাই-বোনের বেচে থাকা নিয়ে কাহিনি।

Hotaru no Haka’ ও ‘Tokyo Magnitude 8.0’ এর মধ্যে অমিল-

* ‘Hotaru no Haka’ অ্যানিমেই মুভি। ‘Tokyo Magnitude 8.0’ অ্যানিমেই সিরিস।
* ‘Hotaru no Haka’ এর কাহিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর আর ‘Tokyo Magnitude 8.0’ এর কাহিনি টোকিও তে ৮ মাত্রার ভুমিকম্পের পরে অবস্থা নিয়ে।

 

এফ এ সি ৪৮

রান্ডম টপিক

 প্রাকৃতিক দুর্যোগ

 

 

যারা “নিপ্পন-সামার” সবকিছুতেই মুগ্ধ, আর ভবিষ্যতে ঐ দেশে বসত গাড়ার চিন্তা করছেন, আগে এক এফেসিতে বলেছিলাম, জাপানীরা বিদেশী[গাইজিন]দের পছন্দ করে না। এছাড়া জাপান ভয়াবহ ধরনের দুর্যোগ কবলিত দেশ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ভূমিকম্প, টাইফুন, অগ্ন্যুৎপাত সেখানে নিয়মিত। রিখটার স্কেলে ৭ মাত্রার ভূমিকম্প তো রীতিমত ডালভাত। সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আছে প্রচুর, সুপ্ত তো আছেই। ওদিকে দ্বীপদেশ হবার কারনে সাগরের উৎপাতেরও অভাব নেই। বুঝুন তবে?

 

 

আনিমে সাজেশন

টোকিও ম্যাগনিচিউড ৮.০[Tokyo Magnitude 8.0]

চমৎকার সকালটা ভয়াবহ হয়ে গেলো তখনই, যখন ৮.০ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানল। পরিবারের সদস্যরা হয়ে গেলো আলাদা, সম্পূর্ণ অপরিচিত লোকজন বারিয়ে দিল সাহায্যের হাত। অবশ্য সবার হাতই কি অমন সরল বিশ্বাসে ধরা যায়?

 

কেন দেখবেনঃ দুর্যোগের প্রেক্ষিতে মানবিক সম্পর্কের আখ্যান, সেই সাথে প্রয়োজনীয় সাসপেন্স, একটানে শেষ করে ফেলার মতো একটা আনিমে।

কেন দেখবেন নাঃ এন্ডিঙটা দেখলে খানিকক্ষণ ট্রমাটাইজড হয়ে থাকলেও থাকতে পারেন।  আমি নিজে বেশ কয়েকবার রিপিট করেছি জায়গাটা, ঠিক দেখছি নাকি বোঝার জন্য।

 

ম্যাল রেটিং ৮.২২

আমার রেটিং ৯

 

 

মাঙ্গা সাজেশন

 হেভেন’স ডোর[Heaven’s Door]

মৃত্যুপথযাত্রী দুই তরুণ-তরুণী পালিয়ে গেলো হাসপাতাল থেকে। লক্ষ্য? সাগরের অসীমতা!

 

কেন পড়বেনঃ দ্য ফলট ইন আউয়ার স্টারস ধাঁচের কিছু হলেও হতে পারে, আমি ঐ বইও পড়িনি, মুভিও দেখিনি, শুধু খানিকটা সিনপ্সিস পড়েছিলাম, তা থেকে তুলনা করছি। কাহিনী, আঁকা বেশ ভালো।

কেন পড়বেন নাঃ তেমন কোন কারণ খুঁজে পাচ্ছি না।

 

ম্যাল রেটিং ৭.৮৮

আমার রেটিং ৭

এনিম রিভিউঃ টোকিও ম্যাগনিটুইড ৮.০ লেখক ব্লগার জুবায়েদ

আসসালামুয়ালাইকুম ভাই ও বোনেরা। এটা আমার প্রথম কোন এনিমকে রিভিউ দেয়া পোস্ট, যদি ভাল লাগে আপনাদের, তাহলে ভবিষতে আরো কিছু রিভিউ লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হব।

ভূমিকম্প!!!! কতটা বিপর্যস্ত করতে পারে জনপদ?
প্রশ্নটার উওর যদি খুঁজে পেতে চান, তবে আর দেরি না করে শীঘ্রই দেখে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০ , মাত্র এগার পর্বের এ এনমিটি আপনার হৃদয়ে দাগ কাঁটার জন্য যথেস্ট। আমাদের দেশেই ঢাকা নগরীর যা অবস্থা, তা বিবেচনা করলে ঢাকা ও চট্রগ্রামবাসীদের জন্য এনেমিটি আবশ্যক বলাটাও ভুল হবেনা বলেই মনে হয়। :|

এনিমটিতে মূলত মোট তিনটা প্রধান চরিত্র – মিরাই, ইউকি ও মারি। মিরাই স্কুলে গ্রেড থ্রিতে পড়ে আর ইঊকি গ্রেড ওয়ানে। গীষ্মের আসন্ন ছুটিতে যখন মিরাইের সহপাঠীরা ব্যস্ত কে কোথায় ঘুরতে যাবে তার আলাপচারিতায় তখন নিশ্চুপ মিরাই। কারণ, গতবারের মত এবার যে তাঁর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। ব্যস্ত টোকিও নগরীতে বড় ব্যস্ত তাঁর বাবা-মা, এজন্য মিরাইের চাঁপা ক্ষোভ।

মিরাইের ভাই ইউকি, ইউকি মিরাইের অত্যাধিক মোবাইল প্রীতির জন্য তাঁর নাম রেখেছে মোবাইল এলিয়েন, ছেলেটা দেখতে চঞ্চল ও দুরন্ত, ভালবাসে ছবি আঁকতে ও রোবট সম্পর্কে জানতে। জাপানের আর্টিফিশিয়াল ওডাইবা আইসল্যান্ডে রোবট প্রদশনী দেখতে যাবে বলে মায়ের কাছে ওর আবদার, কিন্তু মায়ের ব্যস্ত সময় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। উপায় না দেখে মিরাইকে সঙ্গে করে ওডাইবা সিটিতে ইউকিকে যেতে বলেন। মিরাই এ সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী, কিন্তু উপায়ান্ত শেষ পর্যন্ত রাজি হয়।

সেদিন দুজনের মায়ের জন্মদিন, ট্রেনে মিরাই ইউকি, টোকিও টাওয়ার আর রেইবো ব্রিজে দুজনের কৌথহলী দৃষ্টি। ইউকির ইচ্ছা মায়ের জন্য একটা গিফট কিনা, সে ঊদ্দেশে তারা গিফট পছন্দ করে। কিন্তু হায়! তাঁদের পছন্দ করা গিফট যে আরেকজনের হাতে। সে আরেকজন আর কেউ না, মারি। এভাবেই আরেক প্রধান চরিত্রের মারির আগমন। মারি ওদের পছন্দের কথা বুঝে ও শুনে গিফটটা অবশ্য হাতে না রেখে ইউকির হাতে ধরিয়ে দেন, হাজার হোক মায়ের জন্মদিনের জন্য পছন্দ করা জিনিস

পরে ইউকি আর মিরাই রোবট প্রদর্শনী দেখে বের হল। মিরাই আগে বের হলেও ইউকি ওয়াশ রুমে যাওয়ার নাম করে ভিতরে আবার গেল । এরপর… হঠাৎ করেই… রিক্টার স্কেল ৮ মাত্রার ভূমিকম্প!!! বিখ্যাত ওডাবা আইসল্যান্ড ধ্বংসের মুখে!!! শপিং মলের বাইরে মিরাই… ভিতরে ইউকি… প্র্যায় ধ্বংসের মুখে পড়া শপিং মলে আবার মিরাইের প্রবেশ… মিরাই ও মারির আবার দেখা… দুজনেই খুঁজছে ইউকি কে… ইউকি কি পারবে?? মিরাই কি আজ তাঁর ভাইকে হারাবে?? তারা কি একসাথে বাসায় ফিরবে? ইউকি-মিরাইের বাবা-মা ই বা কেমন আছে? তাঁদের কি জন্য কি ভবিষৎ অপেক্ষা করছে? ওদিকে মারির জন্য অপেক্ষা করছে তাঁর মা ও মেয়ে !! মারির শহরে লেগেছে আগুন, হাজার হাজার বাড়ি পুরে ছাই… মারির মা ও মেয়ে কি ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেয়েছে? অসম্ভব রোমাঞ্চকর তাঁদের এ এডভ্যাঞ্চার দেখতে হলে অনলাইন থেকে নামিয়ে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০
Click This Link
Click This Link

আমি এ অসম্ভব সুন্দর এনেমিকে ১০ এ ৯ রেটিং দিলাম। বাকিটা আপনারা দেখেই বলেন।

মূল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/jindhk/29658791