আসসালামুয়ালাইকুম ভাই ও বোনেরা। এটা আমার প্রথম কোন এনিমকে রিভিউ দেয়া পোস্ট, যদি ভাল লাগে আপনাদের, তাহলে ভবিষতে আরো কিছু রিভিউ লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হব।
ভূমিকম্প!!!! কতটা বিপর্যস্ত করতে পারে জনপদ?
প্রশ্নটার উওর যদি খুঁজে পেতে চান, তবে আর দেরি না করে শীঘ্রই দেখে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০ , মাত্র এগার পর্বের এ এনমিটি আপনার হৃদয়ে দাগ কাঁটার জন্য যথেস্ট। আমাদের দেশেই ঢাকা নগরীর যা অবস্থা, তা বিবেচনা করলে ঢাকা ও চট্রগ্রামবাসীদের জন্য এনেমিটি আবশ্যক বলাটাও ভুল হবেনা বলেই মনে হয়।
এনিমটিতে মূলত মোট তিনটা প্রধান চরিত্র – মিরাই, ইউকি ও মারি। মিরাই স্কুলে গ্রেড থ্রিতে পড়ে আর ইঊকি গ্রেড ওয়ানে। গীষ্মের আসন্ন ছুটিতে যখন মিরাইের সহপাঠীরা ব্যস্ত কে কোথায় ঘুরতে যাবে তার আলাপচারিতায় তখন নিশ্চুপ মিরাই। কারণ, গতবারের মত এবার যে তাঁর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। ব্যস্ত টোকিও নগরীতে বড় ব্যস্ত তাঁর বাবা-মা, এজন্য মিরাইের চাঁপা ক্ষোভ।
মিরাইের ভাই ইউকি, ইউকি মিরাইের অত্যাধিক মোবাইল প্রীতির জন্য তাঁর নাম রেখেছে মোবাইল এলিয়েন, ছেলেটা দেখতে চঞ্চল ও দুরন্ত, ভালবাসে ছবি আঁকতে ও রোবট সম্পর্কে জানতে। জাপানের আর্টিফিশিয়াল ওডাইবা আইসল্যান্ডে রোবট প্রদশনী দেখতে যাবে বলে মায়ের কাছে ওর আবদার, কিন্তু মায়ের ব্যস্ত সময় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। উপায় না দেখে মিরাইকে সঙ্গে করে ওডাইবা সিটিতে ইউকিকে যেতে বলেন। মিরাই এ সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী, কিন্তু উপায়ান্ত শেষ পর্যন্ত রাজি হয়।
সেদিন দুজনের মায়ের জন্মদিন, ট্রেনে মিরাই ইউকি, টোকিও টাওয়ার আর রেইবো ব্রিজে দুজনের কৌথহলী দৃষ্টি। ইউকির ইচ্ছা মায়ের জন্য একটা গিফট কিনা, সে ঊদ্দেশে তারা গিফট পছন্দ করে। কিন্তু হায়! তাঁদের পছন্দ করা গিফট যে আরেকজনের হাতে। সে আরেকজন আর কেউ না, মারি। এভাবেই আরেক প্রধান চরিত্রের মারির আগমন। মারি ওদের পছন্দের কথা বুঝে ও শুনে গিফটটা অবশ্য হাতে না রেখে ইউকির হাতে ধরিয়ে দেন, হাজার হোক মায়ের জন্মদিনের জন্য পছন্দ করা জিনিস
পরে ইউকি আর মিরাই রোবট প্রদর্শনী দেখে বের হল। মিরাই আগে বের হলেও ইউকি ওয়াশ রুমে যাওয়ার নাম করে ভিতরে আবার গেল । এরপর… হঠাৎ করেই… রিক্টার স্কেল ৮ মাত্রার ভূমিকম্প!!! বিখ্যাত ওডাবা আইসল্যান্ড ধ্বংসের মুখে!!! শপিং মলের বাইরে মিরাই… ভিতরে ইউকি… প্র্যায় ধ্বংসের মুখে পড়া শপিং মলে আবার মিরাইের প্রবেশ… মিরাই ও মারির আবার দেখা… দুজনেই খুঁজছে ইউকি কে… ইউকি কি পারবে?? মিরাই কি আজ তাঁর ভাইকে হারাবে?? তারা কি একসাথে বাসায় ফিরবে? ইউকি-মিরাইের বাবা-মা ই বা কেমন আছে? তাঁদের কি জন্য কি ভবিষৎ অপেক্ষা করছে? ওদিকে মারির জন্য অপেক্ষা করছে তাঁর মা ও মেয়ে !! মারির শহরে লেগেছে আগুন, হাজার হাজার বাড়ি পুরে ছাই… মারির মা ও মেয়ে কি ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেয়েছে? অসম্ভব রোমাঞ্চকর তাঁদের এ এডভ্যাঞ্চার দেখতে হলে অনলাইন থেকে নামিয়ে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০
Click This Link
Click This Link
আমি এ অসম্ভব সুন্দর এনেমিকে ১০ এ ৯ রেটিং দিলাম। বাকিটা আপনারা দেখেই বলেন।
মূল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/jindhk/29658791