Fate Series Character Origin: Gilles de Montmorency Laval — Safayet Zafar

Caster 1

Full Name: Gilles de Montmorency Laval
Born: prob. c. September at France
Social standing: c (baron)

এই সেই ফেট জিরোর Gille de rais . Caster class, was a servant of Ryonnosuke

এই ব্যক্তি ছিলেন ফ্রান্সের একজন নোবেল ম্যান। ফান্সের ব্রিটানি (ফ্রান্সের উত্তর পূর্বে অবস্থিত) মিলিটারির সদস্য ছিলেন ১৫ শতাব্দীতে। তার ভাগ্য ছিল অনেক সু প্রসন্ন। তার জমা করা মোট সম্পত্তি এতোই বেশি ছিল তা ব্রিটানির ডিউকের মোট সম্পত্তিকে ছাড়িয়ে যায়। Hundred Years war এ তিনি অকল্পনীয় সাফল্য লাভ করেন যার কারণে তাকে মার্শাল অফ ফ্রান্স উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৪৩৪/১৪৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মিলিটারি থেকে অবসর নেন এবং তার জমা করা সম্পদ বিপুল ভাবে খরচ করতে থাকেন। ১৪৩২ খ্রিষ্টাব্দে তার উপর সিরিয়াল কিলিং এর অভিযোগ আনা হয় যা ছিল ১০০ এর উপর বাচ্চা হত্যার।

Caster 2এর পর পর ই এক পাদ্রীর সাথে ভয়ংকর ঝগড়া হবার পর অভিযোগের তদন্ত যাযকীয় তন্দন্তে রূপ নেয় এবং ১৪৪০ খ্রিষ্টাব্দে তার অপরাধ সবার সামনে এসে পড়ে। তার বিচার কার্যে তিনি নিজের মুখে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া বাচ্চাদের পরিবারের সামনে নিজের দোষ শিকার করেন।

তিনি ১ম হত্যা করেন জেউডন নামের ১২ বছর বয়সী এক ছেলেকে ( ১৪৩২-১৪৩৩) খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। এই জেউডন ছিল পশম প্রস্তুত কারী Gulliaume Hilairet এর সহকারী।

Gille de rais এর খালাতো ভাই Gilles de sille এবং Roge de Briqueville. সেই পশম প্রস্তুতকারী কে বলে জেউডেন কে নিয়ে যায় Machecoul এ একটি বার্তা পাঠাতে। যা ছিল পুরোই একটি মিথ্যা কথা এবং সেই বালক টি আর ফিরে আসেনি। তারা পরে অপহরনের কথা বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়।

Gilles de rais এর ১৯৭১ নং বায়োগ্রাফিতে Jean Benedetti বলেছেন যে বালকটি কিভাবে gille এর হাতে পড়ে ও মারা যায়।

“[The boy] was pampered and dressed in better clothes than he had ever known. The evening began with a large meal and heavy drinking, particularly hippocras, which acted as a stimulant. The boy was then taken to an upper room to which only Gilles and his immediate circle were admitted. There he was confronted with the true nature of his situation. The shock thus produced on the boy was an initial source of pleasure for Gilles.”

Gilles de rais এর দেহ ভৃত্য poitou যিনিও এসব নির্মম হত্যাকান্ডে সহায়তা করতেন তিনি স্বীকার করেছেন যে Gilles ১ম এ বাচ্চা দের কে উলঙ্গ করতো। তারপর তাদের একটি হুকের সাথে বেধে ঝুলিয়ে দিতো এবং তাদের গায়ের উপর বীর্যপাত করতো। এরপর তাদের আশস্ত করা হতো এই বলে যে সে তাদের সাথে কিছুক্ষণ খেলতে চায়। এরপর পরইর তাদের হত্যা করা হতো।

আর যেসব বাচ্চাদের Gilles এর পছন্দ হতো তাদের সে সোডোমাইজ (sodomize = kind of. sexually abuse like oral or anal sex).

সবশেষে তাদের পেট চিরে ফেলে তাদের ভিতরের অঙ্গপ্রতঙ্গ গুলো দেখতেন Gille, তাদের চুমু খেতেন ও পেটের উপর বসে মৃত্যুযন্ত্রনা দেখতেন। শেষে মৃতদেহ গুলো তার রুমের ফায়ার প্লেসে পুড়িয়ে ফেলা হতো।

সকল দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ফাসির আদেশ দেওয়া হয় এবং ২৬ অক্টোবর, ১৪৪০ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫ বছর বয়সে মারা যান। তাকে Church of the monastrey of Notre Dame des carmes যা Nantes এ অবস্থিত, সেখানে দাফন করা হয়। ধারণা করা হয় তার হাতে মারা যাওয়া বাচ্চার সংখ্যা ১৪০ জন।

Caster 3

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান -৫ – Atlanta [Fate/Apocrypha] — Shifat Mohiuddin

Atlanta 1

চরিত্র: আটলান্টা/Atlanta
উপাধি: আর্চার অফ রেড
এনিমে: Fate/Apocrypha
ভূমিকা: মধ্যমপন্থী
জাতীয়তা: গ্রীক
জন্ম ও মৃত্যু: জানা যায় নি
মৃত্যুর ধরণ: জানা যায় নি

ছোটবেলা হয়তো আমরা অনেকেই এমন একটা গল্প পড়েছি যে, একবার এক রাজকন্যা বিয়ের সময় শর্ত জুড়ে দেন যে তাকে বিয়ে করতে চাইলে তার সাথে পাণিপ্রার্থীকে একটা দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে। জিততে পারলে রাজকন্যা মিলবে, হেরে গেলে প্রতিযোগীর শিরশ্ছেদ করা হবে। অনেক জায়গা থেকে বড়বড় বীরগণ ভিড় করলেও কাটা মাথার সংখ্যা বাড়তেই থাকে ক্রমান্বয়ে কারণ রাজকন্যা অত্যন্ত দ্রুতগতির ছিলেন। অবশেষে এক প্রতিযোগী রেসের মধ্যে একটা করে সোনার আপেল নিক্ষেপ করেন রাজকন্যাকে বিভ্রান্ত করার জন্য। স্বর্ণের আপেল জিনিসটা অনেক চিত্তাকর্ষক হওয়ায় রাজকন্যা ঝুঁকে দেখতে গেলে এই সুযোগে ঐ প্রতিযোগী রেস জিতে যান এবং ঐ রাজকন্যার স্বামী হবার সুযোগ লাভ করেন। আজকে Fate/Apocrypha এর চার নম্বর এপিসোড দেখার সময় এই কাহিনীর কথা মনে পড়ে গেল। হ্যাঁ, রেড সেকশনের আর্চার আটলান্টাই ছিলেন সেই রাজকন্যা। জটিলতা এড়ানোর জন্য রূপকথার বইয়ে কঠিন কঠিন গ্রীক নাম দেওয়া হত না আরকি। প্রায় দুই বছর আগে আমি ফেইট সিরিজের কতিপয় চরিত্রের ব্যাকগ্রাউন্ড নিয়ে ধারাবাহিক কিছু লেখা লিখেছিলাম। মধ্যে হুট করে লেখার আগ্রহ চলে যায়। আজ আবার হুট করে কীবোর্ডের গায়ে কিছু আগাছা জন্মানোর ইচ্ছা হল।

আটলান্টার পিতৃপরিচয় নিয়ে বিশেষ কিছু জানা যায় না। রাজা Iasus এর ঘরে তার জন্ম এই ধারণাটাই বেশি জনপ্রিয়। আটলান্টাকে জন্মের পরপরই মারাত্মক প্রতিকূল পরিবেশের মুখোমুখি হতে হয়েছিল। তার পিতা পুত্র সন্তানের আশা করেছিলেন, আটলান্টাকে দেখে তিনি আশাহত হন। কন্যাসন্তান পালনের ইচ্ছা না থাকায় তিনি আটলান্টাকে জঙ্গলে রেখে আসেন। একটি বন্য ভাল্লুক আটলান্টাকে প্রতিপালন করে। (এইসব ঘটনা গ্রীক পুরাণে নিত্যনৈমিত্তিক!) বয়ঃপ্রাপ্তির সাথে সাথে আটলান্টা শিকারিদের সাথে মেশা শুরু করেন এবং কিছুদিনের মধ্যেই নিজের দক্ষতা প্রদর্শন করে অন্য সবার থেকে শ্রেষ্ঠ হয়ে উঠেন। সভ্য সমাজের সাথে না চলা নিয়ে আটলান্টার মনে কোন দুঃখ ছিল না। আটলান্টা দেবী আর্টিমেসের অনুসারী হয়ে কুমারীব্রত গ্রহণ করেন। নিজের নারীত্ব নিয়ে তার মনে বিন্দুমাত্র দুশ্চিন্তা ছিল না এবং জীবনযাত্রায় পুরুষকে তিনি নিতান্তই অপ্রয়োজনীয় মনে করতেন। তাছাড়া তার বিয়ে নিয়ে অমঙ্গলজনক ভবিষ্যৎবাণী ছিল।

আটলান্টার বীরত্বের প্রথম নিদর্শন পাওয়া যায় ‘ক্যালিডোনিয়ার বন্য শূকর’ শিকারের সময়। ঠিকমত পূজা না করায় দেবী আর্টেমিস ক্যালিডোনিয়া রাজ্যে একটা বন্য শূকর পাঠান সেখানের মানুষকে শায়েস্তা করার জন্য। ক্যালিডোনিয়ার রাজপুত্র মেলিয়েগারের নেতৃত্বে একদল শিকারি প্রস্তুত হয় শিকারের জন্য। আটলান্টা এই শিকারি দলে যোগ দিতে চাইলে নারী হওয়ার কারণে অনেকেই এর বিরোধিতা করে। মেলিয়েগার বিবাহিত হওয়ার পরও আটলান্টার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তার চাপাচাপিতেই আটলান্টাকে দলে নিতে সবাই রাজী হয়। আটলান্টার ছোঁড়া তীরই সর্বপ্রথম শূকরটার গায়ে আঘাত হানতে সমর্থ হয়। অবশেষে মেলিয়েগার তার বর্শা দিয়ে শূকরটাকে হত্যা করেন। পরবর্তীতে মেলিয়েগার প্রথম আঘাতের কৃতিত্বস্বরূপ আটলান্টাকে শূকরের ছাল উপহার দিতে চাইলে মেলিয়েগারের মামারা এর বিরোধীতা করে। তারা আটলান্টার কাছ থেকে পুরষ্কার কেড়ে নিতে চাইলে মেলিয়েগার রেগেমেগে তার দুই মামাকে হত্যা করেন। ভাতৃদ্বয়ের মৃত্যুর কারণে রাগে অন্ধ হয়ে তাই মেলিয়েগারের মা আলথিয়া একটি জাদুর কাষ্ঠখণ্ডকে আগুনে নিক্ষেপ করে যাতে মেলিয়েগারের জীবনীশক্তি অবস্থান করছিল। ফলে মেলিয়েগার মারা যান এবং কিছুক্ষণ পরে জঙ্গল থেকে আরেকটা বন্য শূকর এসে আলথিয়াকে হত্যা করে।

¤

আটলান্টা কলচিস (Fate/stay night এর ক্যাস্টার মিডিয়ার রাজ্য) অভিযানে যেতে চাইলেও জ্যাসন (মিডিয়ার স্বামী) তাতে রাজী হন নি। কারণ হিসেবে আবারও সেই নারী হয়ে জন্ম নেওয়াটাকেই দাঁড়া করানো হয়। তবে কলচিস অভিযান নিয়ে তৈরি হওয়া একাধিক কাহিনীর একটি অনুযায়ী আটলান্টা অভিযানে ঠিকই যোগ দিয়েছিলেন। তিনি যুদ্ধে আহতও হন এবং কথিত আছে যে মিডিয়া তাকে সেবাশুশ্রূষা দিয়ে সারিয়ে তোলেন।
(ফেইট সিরিজ বড়ই বিশাল ব্যাকগ্রাউন্ডওয়ালা একটা সিরিজ। অনেককিছুর সাথেই অনেককিছুর কানেকশান পাওয়া যায়!)

¤

Atlanta 2

আটলান্টাকে নিয়ে সবচেয়ে জনপ্রিয় যে কাহিনী সেটা হল রূপকথার সেই দৌড় প্রতিযোগিতার গল্প। ক্যালিডোনিয়ার শূকর শিকারের পর আটলান্টার বাবা নিজের মেয়েকে স্বীকৃতি দেন। তিনি নিজের মেয়েকে রাজ্যে ফিরিয়ে নেন এবং বিয়ের জন্য চাপ প্রয়োগ করতে থাকেন। সরাসরি বিরোধিতা করা বোকামি হবে ভেবে আটলান্টা শর্ত জুড়ে দেন যে তাকে রেসে পরাজিত করতে পারলেই বিয়ের অনুমতি মিলবে। আটলান্টা তার সময়ের সর্বাধিক গতি সম্পন্ন মানুষ ছিলেন তাই তার কুমারীত্ব অক্ষুণ্ণ থাকে। কথিত আছে যে, আটলান্টা নানাভাবে তার প্রতিযোগীদের সুযোগ করে দিতেন। যেমন: বর্ম পরিধান করে অংশগ্রহণ অথবা প্রতিযোগীকে অর্ধেক পথ এগিয়ে দেওয়ার পর দৌড় দেওয়া। এরপরও কেউই তাকে পরাজিত করতে পারছিল না। তখনই দৃশ্যপটে আসেন মেলানিওন। (হিপ্পোমেনেস নামেও পরিচিত) মেলানিওন আটলান্টাকে ভালবাসতেন। তাই তিনি ভালবাসার দেবী আফ্রোদিতির কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। আফ্রোদিতি প্রেমিকদের প্রতি দয়াশীল হওয়ায় মেলানিওনকে তিনটি সোনার আপেল দেন আটলান্টাকে বিভ্রান্ত করার জন্য। নির্দিষ্ট সময়ে রেস শুরু হওয়ার পর আটলান্টা কিছুক্ষণের মধ্যেই মেলানিওনকে পেরিয়ে যান। তখনই মেলানিওন প্রথম আপেলটি নিক্ষেপ করেন। সোনার সেই আপেল দেখতে এতই চিত্তাকর্ষক ছিল যে আটলান্টা সেটা তুলে নিতে গিয়ে দেখেন যে মেলানিওন তাকে পেরিয়ে গেছে। তারপরও আটলান্টা আত্মবিশ্বাসী ছিলেন রেসে জয়লাভ করার ব্যাপারে। এবং এর প্রমাণ দেন তিনি আবারও মেলানিওনকে পেরিয়ে যাওয়ার মাধ্যমে। তখনই মেলানিওন দ্বিতীয় আপেলটি নিক্ষেপ করেন। আত্মবিশ্বাসী আটলান্টা আবারও সেই আপেলটি কুড়িয়ে নেন। লক্ষ্যসীমার নিকটবর্তী হওয়ার পর যখন আটলান্টা মেলানিওনকে আবার পেরিয়ে যাচ্ছিলেন তখন মেলানিওন শেষ আপেলটি নিক্ষেপ করে আটলান্টাকে বিভ্রান্ত করে দেন এবং রেসে জয়লাভ করে আটলান্টাকে জিতে নেন।

কুমারীব্রত ভেঙ্গে গেলেও আটলান্টা এবং মেলানিওনের সংসার ঠিকমতই চলছিল। আনন্দের স্রোতে ভাসতে ভাসতে মেলানিওন আফ্রোদিতির প্রতি তার দায়বদ্ধতা ভুলে যান। তাই রাগান্বিত হয়ে আফ্রোদিতি সুযোগের অপেক্ষা করতে থাকেন। একবার জিউসের মন্দিরের পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার আফ্রোদিতি দম্পতির মাথায় নিষিদ্ধ কিছু করার প্ররোচনা ঢুকিয়ে দেন। ফলে মেলানিওন আটলান্টাকে নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন এবং সেখানে তারা মিলিত হন। মন্দিরের পবিত্রতা নষ্ট হওয়ায় জিউস ক্ষুদ্ধ হয়ে মেলানিওন ও আটলান্টাকে সিংহ বানিয়ে দেন। গ্রীকদের ধারণা অনুযায়ী ব্যাপারটা অত্যন্ত কাব্যিক এবং ট্র‍্যাজিক ছিল কারণ তারা বিশ্বাস করতো সিংহরা নিজেদের মাঝে প্রজনন করতে পারে না, তারা মনে করতো সিংহরা শুধুমাত্র চিতাদের সাথে প্রজনন করে। ফলে মেলানিওন এবং আটলান্টা চিরদিনের জন্য আলাদা হয়ে যান।
(প্রথমে আটলান্টার বিড়ালের মত কান আর লেজ দেখে অবাক হয়েছিলাম। এখন ব্যাপারটা খাপে খাপে মিলে যাচ্ছে। সিংহী অবস্থায় মৃত্যুবরণ করার কারণে হয়তো সামনিংয়ে এর প্রভাব পড়েছে। নভেল পড়ি নি তাই জানি না সামনে এই ব্যাপারে কিছু বলা হবে কিনা। তবে টাইপ-মুনের প্রশংসা করতেই হবে, মিথের অনুসরণ আর ওয়াইফু চার্মের কাজ দুটোই একসাথে হয়ে গেল।

অ্যাকিলিসের আটলান্টাকে বড় বোন ডাকার ব্যাপারটা একটু ধোয়াটে লেগেছিল। এই ব্যাপারের সাথে একটা ঘটনার সংযোগ ঘটানো যায়। একবার এক শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অ্যাকিলিসের বাবা পেলেয়ুসের সাথে আটলান্টার একটা কুস্তি ম্যাচ হয়েছিল। ম্যাচে আটলান্টা জয়লাভ করে ব্যাপক খ্যাতি অর্জন করেন। হয়তো অ্যাকিলিস এই ঘটনার কথা জানতো। তবে আন্টি না ডেকে সিস ডাকার ব্যাপারটা এখনো পরিষ্কার হচ্ছে না।

আটলান্টা এক সন্তানের মা হয়েছিলেন। তবে সেই সন্তানের বাবা মেলানিওন নাকি মেলিয়েগার তা নিয়ে মতভেদ আছে। সেই সন্তান, পার্থেনোপাসকে নিয়েও অনেক বীরত্বের কাহিনী প্রচলিত আছে।

সোর্স: উইকিপিডিয়া, এনসাইক্লোপিডিয়া ব্রিটানিকা, greekmythology.com

Notes./Angel Notes [লাইট নোভেল রিভিউ] — Tahsin Faruque Aninda

VV_CharacterMaterialNotes./Angel Notes
Author: Kinoko Nasu
Genre: Fantasy, Magic, Supernatural, Apocalyptic World
Chapter: 8

পটভূমি:
সুদূর ভবিষ্যতের কথা, যখন পৃথিবীর মৃত্যু হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই মৃত গ্রহের বসবাসকারীরা ঠিকই বেঁচে আছে তাদের টেকনোলজির কারণে। মানবজাতি নিজেদের বেঁচে থাকার সুবিধার্থে জেনেটিক টেকনোলজির দ্বারা বিভিন্ন নতুন ধরণের প্রজাতি সৃষ্টি করেছে যারা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণির সংকর [A-rays], সৃষ্টি করেছে আরও উন্নত জাতের মানব প্রজাতি যারা এই দুষিত পরিবেশে ভালভাবে বেঁচে থাকতে পারবে।

 

 

কিন্তু মানুষদের আর A-raysদের মধ্যে ভয়াবহ বড় এক যুদ্ধ লাগে, যাতে পুরা মানবজাতির প্রায় ধ্বংস হয়ে যায়, একই সাথে পৃথিবীর বাকি যেটুকু ছিল তার অবস্থাও আরও করুণ হয়ে যায়। কিন্তু যুদ্ধে বিরতি পরে যখন পৃথিবীতে আক্রমণ করে ৮জন Aristoteles, নতুন ধরণের এই শত্রুর উদ্দেশ্য যেন পুরা পৃথিবীর বাকিটুক ধ্বংস করে দেওয়া। পৃথিবীতে বসবাসকারীদের এখন সংগ্রাম এই সকল Aristoteles দের হাত থেকে নিজেদের এবং পৃথিবীতে বাঁচানো।

 

গঠন:Guitar

৮ চ্যাপ্টারের ছোট্ট লাইট নোভেল হলেও এরই মধ্যে নাসু তার যাদু দেখিয়েছে। Kara no Kyoukai-এর মতই এখানেও গল্পের সময়ানুক্রম আগেপিছে করে রাখা হয়েছে, এবং এর কারণে গল্পের আকর্ষণটা আরও অনেক বেড়ে গিয়েছে। তবে গল্পটি পড়তে গেলে একই সাথে গল্পের পাশাপাশি এর ডিকশনারি/এনসাইক্লোপিডিয়া অংশের লেখা পড়তে হবে। মূলত, এই অংশে উল্লেখ করা ব্যাখ্যাগুলি দিয়েই আসলে পুরা ইউনিভার্সটার গঠন তুলে ধরা হয়।

 

 

পড়া শুরুর পর প্রথম কিছুক্ষণ ঘটনাক্রম বুঝতে সমস্যা হতে পারে, এবং নোভেলটির অর্ধেক পর্যন্ত না পড়া পর্যন্ত কোনকিছুই ঠিকমত বুঝে উঠা সহজ হবে না। তবে ধৈর্য্য ধরে এটুকু পড়তে পারলে বাকি অংশ বেশ আরামে পড়া যাবে।

 

চরিত্র:
ছোট গল্পে মূল চরিত্র বলতে রয়েছে ২ জন — Godo এবং V/V. দুইজনের চরিত্রের খুব বেশি ব্যাখ্যা দিতে গেলে স্পয়লার হয়ে যাবে, তবে অল্প কথায় বলতে গেলে বলা যায় কথোপকথন অংশগুলি বাদ দিলে বেশ ভালমত গল্পের সাথে মানিয়ে গিয়েছে। কথোপকথন অংশগুলি খারাপ না, তবে নাসুর জীবনের শুরুর দিকের তাড়াহুড়া করা কাজ বলে কিছুটা নবিশ ছাপ পরেছে সেখানে।

godo

*** *** ***

Ado_Edem_Slash_Emperorসমগ্র নাসুভার্সটাকে একটা শেইপ দেবার কাজ করেছে যেই লাইট নোভেল, তা হল এই Notes. বা Angel Notes. যদিও Kara no Kyoukai এর পরে এসেছে, তারপরেও নাসুভার্সের ভিত্তি ঠিক করে দেবার কাজ প্রথম করেছে কিনোকো নাসুর এই লাইট নোভেল। অবশ্য তাই বলে এমন না যে অন্যান্য গল্পগুলি না পড়লে বা সেই ব্যাপারে না জানলে এটা পড়া যাবে না। এমনকি নাসুভার্সের অন্য গল্পগুলির সাথে সামান্যই কমন জিনিস আছে এখানে।

১৯৯৯ সালের এঞ্জেলদের নিয়ে এক দৌজিন Angel Voice লিখবার আমন্ত্রণ পায় নাসু, সেখানে একই সাথে ছিল নাসুর লেখা Notes আর তাকেউচির আঁকা মাঙ্গা clowick canaan-vail. নাসুর জীবনের একদম প্রথম দিকের লেখা গল্পগুলির অন্যতম এটি, এবং দৌজিনে প্রকাশ করার জন্যে তাড়াহুড়া করে লিখতে হয়েছিল, আর সেই ব্যাপার নিয়ে নাসুর হতাশাও দেখা যায় গল্পের আগে তার ছোট্ট ভূমিকাতে। কিন্তু গল্পের পটভূমি, চরিত্র, ব্যাকগ্রাউন্ড, এবং একই সাথে পুরা ইউনিভার্সটার গঠন [যেটা পরে নাসুভার্সের অন্যান্য গল্পের সেটিং তৈরিতে বড় ভূমিকা রাখে] – সবকিছুই বেশ পরিপক্ক কাজ।

WAVE নামের একটি ব্যান্ড Notes উপলক্ষে “AFTER IMAGE” নামের একটি Doujin Orchestral Album বের করেছে, যেটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছিল। এটিকে এই নোভেলের Unofficial OST Album হিসাবে ধরে নেওয়া যায়। বিশেষ করে এর থিম মিউজিক শুনলে সন্দেহ হতে পারে যে এটি আসলে শুধুই কি একটি আনঅফিসিয়াল এলবাম, নাকি অফিসিয়াল কোন কিছু!

【WAVE】AFTER IMAGE (C71)【Doujin Orchestral/Vocal Album】

ভবিষ্যতে নতুনভাবে এবং আরও প্রফেশনাল লেখার গঠনে Notes-এর নতুন রিলিজ হবে এমন আশা করছি। তবে এই মুহুর্তে নাসুভার্সের একগাদা কাজ জমে আছে, আর শুধুমাত্র Fate অংশের একের পর এক গল্প নিয়ে Type-Moon আর নাসু যেভাবে মগ্ন হয়ে আছে, তাতে হয়তো আশায় গুড়েবালি হলেও হতে পারে। অন্তত, ufotable-এর দ্বারা এই গল্পের OVA ভার্শন আসুক এইটুক আশা করছি।

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Angra Mainyu [Fate series] — Shifat Mohiuddin

চরিত্রঃ Angra Mainyu
এনিমে: Fate/stay night, Fate/Zero, Fate/stay night: Unlimited Blade Works
ভূমিকাঃ খলনায়ক
উপাধি/অপর নামঃ আহিরমান, Source of all evil in the world, Destructive spirit, Daeva of Daevas.
উপস্হিতিঃ জরুথ্রস্টবাদ, মানিবাদ এবং অন্যান্য খ্রিষ্টোত্তর ধর্ম।
¤
অ্যাংগ্রা মাইনয়ু আসলে এমন একটা চরিত্র যাকে কল্পনা করতেই যোগ্যতা লাগে।মূলত ফেইট সিরিজের এনিমেগুলোর শেষ এপিসোডে এর উপস্হিতি লক্ষ করা যায়।এর উপস্হিতি পঙ্কিল এবং বীভৎস(অনেকটা সাউরনের মত)।কাদার মত থকথকে বস্তু দ্বারা এর পুরো দেহ আবৃত।তো,এই চরিত্রটির আমদানি ঘটেছে জরুথ্রুস্টবাদ ধর্ম থেকে।তাদের ধর্মগ্রন্হ আবেস্তার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু অ্যাংগ্রা মাইনয়ু যার আসল নাম আহিরমান(পার্সি ভাষায় অ্যাংগ্রা মাইনয়ু বলা হয়)।আমি এই লেখায় আহিরমান শব্দটিই ব্যবহার করবো।
¤
অ্যাংগ্রা মাইনয়ু শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ধ্বংসাত্মক আত্মা।জরুথ্রুস্টের মতে নামটি এখনো পরিপূর্ণতা লাভ করে নি।এখানে এমন এক মনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যার মন কলুষতায় পরিপূর্ণ এবং ধ্বংসই যার টিকে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।
¤
আবেস্তার প্রথম অংশে আহিরমানকে ডেভাদের (daeva) প্রধান হিসেবে অভিহিত করা হয়।জরুথ্রুস্টের মতে ডেভারা হল fallen angel দের মত,পুরোপরি ডিমন না।ডেভারা অন্ধকার জগতে বাস করে এবং আহিরমান তাদের সর্বময় কর্তা।আহিরমান যাবতীয় নেগেটিভ ইমোশন যেমনঃদুঃখ,কষ্ট,বেদনা,ঘৃণা,হিংসা ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব করে।ধারণা করা হয় যে,আহিরমানই ডেভাদের ভেতরে অন্ধকারের প্রবেশ ঘটিয়েছে,যদিও সে ডেভাদের স্রষ্টা নয়।
¤
জরুথ্রুস্টবাদে আহিরমানের উৎপত্তি নিয়ে সেইরকম কোন তথ্য নেই।যেন,সৃষ্টির প্রথম থেকেই আহিরমান ছিল।আর আহিরমানের বিপরীত সত্ত্বা হল ওহরমাজদা।ওহরমাজদা হল আলোর প্রতীক এবং সে ইয়াজদাদের (creature of light) নিয়ন্ত্রন করে।তবে ইয়াসনার ৩০.৩ স্লোক অনুযায়ি দুইজন পবিত্র যমজের উৎপত্তির কথা বলা হয়েছে যাদের একজনের নাম অ্যাংগ্রা মাইনয়ু এবং অপরজনের নাম স্পেনটা মাইনয়ু।এই স্লোকটি চিরকালীন ওহরমাজদা-আহিরমান বিশ্বাসে চিড় ধরায়।তবে আহিরমানের উৎপত্তির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে জুরভানিজম ধর্মে।
¤
জুরভানিজম (zurvanism) হল জরুথ্রুস্টবাদের একটি শাখা ধর্ম যা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়।পরে অবশ্য শাসকদের রক্তচক্ষুর প্রভাবে এই ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যায়।তবুও আধুনিক জরুথ্রুস্টবাদে এখনও জুরভানিজমের প্রভাব দেখা যায়।
জুরভানিজম অনুসারে,বিশ্বজগতে প্রথম উপাদান ছিল জুরওয়ান(time) নামের একজন উভলিঙ্গ দেবতা।জুরওয়ান বংশবৃদ্ধিতে আগ্রহী ছিল এবং চাইতো যে তার পক্ষ থেকে কেউ যেন স্বর্গ আর নরক তৈরি করে।সন্তান লাভের জন্য জুরওয়ান ১০০০ বছর ধরে সাধনা করে।এই দীর্ঘ সাধনার ফল না পাওয়ায় জুরওয়ানের মনে সামান্য সন্দেহ দেখা দেয় এবং তৎক্ষনাৎই সে যমজ সন্তানের অধিকারী হয়।এই সন্তানদ্বয় ছিল ওহরমাজদা এবং আহরিমান।বলা হয় যে,সেই সাধনার ফসল ছিল ওহরমাজদা এবং সেই সূক্ষ সন্দেহের ফসল ছিল আহরিমান।
জুরওয়ান সিদ্ধান্ত নেন,যে সন্তান আগে গর্ভ ভেদ করবে তাকেই তিনি সার্বভৌম ক্ষমতা দান করবেন।ওহরমাজদা এই কথা বুঝতে পারে এবং তার ভাই আহিরমানকে এই ব্যাপারে অবহিত করে।আহিরমান এই কথা শুনে জুরওয়ানের উদর বিদীর্ন করে বাইরে বের হয়ে আসে।জুরওয়ান তার কথা মতো,আহিরমানকে সার্বভৌম ক্ষমতা দান করেন তবে তা ৯০০০ বছরের জন্য।তিনি বলে দেন যে,৯০০০ বছর পরে ওহরমাজদাই এই মহাবিশ্ব শাসন করবে।
আহিরমান আর ওহরমাজদা পরষ্পরের সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।অবশ্য সব ধর্মগ্রন্থের শেষেই বলা হয়েছে শেষমেষ আহিরমানই পরাজিত হবে এবং নরকে পতিত হবে।যেহেতু,নরক তার নিজেরই সৃষ্টি।
আহিরমান এবং ওহরমাজদা উভয়েই একে অপরকে চ্যালন্জের মাধ্যমে পৃথিবীকে বৈচিত্র্যময় বানিয়েছে।যেমনঃওহরমাজদার ষোলটি শুভ শক্তির বিপক্ষে আহিরমান ষোলটি অশুভ শক্তির ব্যবহার করেন।এই অশুভ শক্তি গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল মহামারি,দুর্ভিক্ষ,শীত ইত্যাদি।মানুষ নিয়মিতই তাদের যুদ্ধের কেন্দ্রে থাকত এবং তাদের কাজ হতো চারিদিকের এই অন্ধকারের মধ্যে অন্তরের সততা বজায় রাখা।কলুষতার ছোঁয়া পেলেই ডেভারা মানুষের আত্মাকে অপবিত্র করে ফেলতে পারতো।
¤
আধুনিক যুগে অবশ্য আহিরমানের উৎপত্তি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করা হয়।১৮৬২ সালে মার্টিন হগ নামক একজন ব্যক্তি আহিরমানের উৎপত্তির নতুন ব্যাখা দেন।তাঁর মতে,আহিরমান,ওহরামাজদার সমসাময়িক কেউ নয়।বরং ওহরামাজদারই নিজস্ব দুই সৃষ্টি হল অ্যাংগ্রা মাইনয়ু এবং স্পেনটা মাইনয়ু,যারা যথাক্রমে ওহরামাজদার ‘সৃষ্টি’ এবং ‘ধ্বংস’ বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে।এইখানে স্পেনটা মাইনয়ু নামক নতুন এক সৃষ্টির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়।হগের মতে এটাই জরুথ্রুস্টবাদের মূলনীতি এবং কালেক্রমে এটাই বিকৃত হয়ে প্রচলিত রূপ নিয়েছে।
হগের এই তত্ত্ব ইয়াসনার ৩০.৩ স্লোকের যমজ সন্তান তত্ত্বকে মারাত্মক ভাবে সমর্থন করে।সমকালীন পন্ডিতেরাও হগের তত্ত্বে সমর্থন দেন এবং তাদের মতে হগের তত্ত্ব জরুথ্রুস্টবাদকে আধুনিক যুগের সাথে মানানসই করেছে।
মজার ব্যাপার হল,রুডলফ স্টাইনার নামক প্রখ্যাত একজন দার্শনিকের মতে আহিরমানের পূর্নজন্ম হবে।তাঁর মতে ৩০০০ খ্রিষ্টাব্দের পর আহিরমানের আবির্ভাব ঘটতে পারে।বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান অস্হিতিশীলতাই হবে তার আবির্ভাবের কারণ।তিনি আহিরমানকে মাত্র দুইজনের একটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন যারা কিনা যীশুর মৃত্যুর পর যীশুর ফোকাস নিজেদের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে।
¤
রেফারেন্সঃ সাহিত্য,সংষ্কৃতি এবং মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আহিরমানকে প্রচুরভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।তবে একটি উদাহরন না দিলেই নয়।বাংলাদেশের সুলেখক তানজীম রহমানের থ্রিলার-হরর উপন্যাস ‘আর্কনে’ অ্যাংগ্রা মাইনয়ুর(আহিরমান) কথা উল্লেখ আছে।আর্কন উপন্যাসের একটি প্রধান খল চরিত্র হল আর্কনেরা।জানলে খুশি হবেন যে এই আর্কনেরা হল ডেভাদের অনুরূপ।তাদের শাসনকর্তাও হল আহিরমান।লেখক আর্কন উপন্যাসে মানিকেয়িজম নামক এক ধর্মের আশ্রয় নিয়েছেন যা জরুথ্রুস্টবাদের অনুরূপ ধর্ম।এমনকি বইয়ের কয়েক জায়গায় আহিরমান লেখাও আছে।বইটির পাঠকেরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।যারা ফেইট সিরিজের ভক্ত তারা অবশ্যই আর্কন বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
¤
স্পয়লার অ্যালার্ট
Fate/hollow ataraxia অনুযায়ি (আমি hollow ataraxia খেলি নাই।অনিন্দ্য ভাইয়ের পোস্ট এবং পরে উইকিতে কাহিনী জানতে পারি।)অ্যাংগ্রা মাইনয়ুকে অ্যাভেন্জার ক্লাস হিসেবে থার্ড হোলি গ্রেইল ওয়ারে সামন করার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু যে সামন হয় সে নাকি একজন সাধারন বালক ছিল যার জন্ম নাকি মধ্যপ্রাচ্যে।এক্ষেত্রে টাইপ মুনের প্রশংসাই করতে হয় কারণ জরুথ্রুস্টবাদের উৎপত্তি ঘটেছিল ইরাকে।মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে উপুযুক্ত কোন জায়গায় অ্যাভেন্জারের জন্ম নেওয়া সম্ভব ছিল না।
¤
source:all hail wikipedia 😛

Angra Mainyu

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Caster [Fate/stay night] — Shifat Mohiuddin

আরেকটি চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান
চরিত্র: মিদিয়া (ক্যাস্টার)
এনিম: Fate/stay night,Fate/stay night [unlimited blade works]
ভূমিকাঃ খলনায়িকা
¤
আসল নামঃমিডিয়া
জাতীয়তাঃগ্রীক,কলচিয়ান
সামাজিক পদমর্যাদাঃরাজকন্যা
জন্ম ও মৃত্যুঃ১১০০-৮০০ খ্রীষ্টপূর্বের মধ্যকার যেকোন সময়ে।
মৃত্যুর ধরনঃজানা যায় নি
সময়কালঃগ্রীক অন্ধকার যুগ
¤
আমরা যারা FSN এবং FSN UBW দেখেছি তারা রূপসী এবং রহস্যময়ী চরিত্র ক্যাস্টারের সাথে সুপরিচিত।ক্যাস্টারের প্রতিটি কাজ রহস্যমন্ডিত এবং তার চরিত্রটাও অনেক জটিল একটা চরিত্র।ক্যাস্টারের আচরন অনেকের কাছেই পুরোপুরি বোধগম্য হয় নি।শেষমূহূর্তে তার নাম সকলের সামনে উন্মোচিত হয় এবং আমরা জানতে পারি যে চরিত্রটি গ্রীক মিথের একটি অত্যন্ত খ্যাতনামা গল্পের একটি প্রধান চরিত্র থেকে নেওয়া।
¤
পূর্বকথাঃগ্রীক মিথ অনুযায়ী যুদ্ধদেবতা এরেস[রোমান নাম মার্স] এর দুটি পবিত্র বনভূমি আছে।এর মধ্যের একটি বনভূমির অবস্হান গ্রীসের কলচিস রাজ্যে।কলচিস রাজ্যটি মূল গ্রীক ভূখন্ড হতে অনেক দূরে কৃষ্ণ সাগরের তীরে অবস্হিত।কলচিসের রাজা ঈটিস ছিলেন এরেসের অনেক বড় উপাসক।তাই এরেস খুশি হয়ে ঈটিসকে একটি Golden fleece[স্বর্নমন্ডিত মেষচামড়া] উপহার দেন।এই গোল্ডেন ফ্লিস কলচিসকে যাবতীয় মহামারী,প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা করত।অন্যান্য রাজ্যের মানুষরা এই ফ্লিস দখল করতে চাইতো বলে এরেস একটি নরমাংসভোজী নির্ঘুম ড্রাগনকে ফ্লিসের পাহাড়ায় রাখেন।ড্রাগনটির দাঁত ছিল বিশেষ ক্ষমতাসম্পন্ন।এই দাঁত মাটিতে পুঁতে গোড়ায় সামান্য রক্ত ঢাললে কন্কালসদৃশ কিছু যোদ্ধা জন্ম নিত।এভাবে দাঁত রোপন করে ঈটিস এক বিশাল সেনাবাহিনীর নেতা হন।এছাড়াও এরেস ঈটিসকে একজোড়া ষাঁড় উপহার দেন।ষাঁড়গুলোর নাক থেকে আগুনের নিঃশ্বাস বের হত।এই ষাঁড়গুলোকে চাষ করাবার জন্য এরেস ঈটিসকে একটি অগ্নিনিরোধক বর্মও উপহার দেন।
¤
আমাদের কাহিনী শুরু হয় সুদূর Iolcus নগর হতে।এই নগরের রাজা ছিলেন ঈসন নামক একজন বয়স্ক ব্যাক্তি।কিন্তু তার ছেলে পেলিয়াস জোরপূর্বক তার সিংহাসন দখল করে।পেলিয়াস এর সৎ ভাই জ্যাসন সিংহাসনের দাবি জানালে পেলিয়াস মনে মনে অস্বীকৃতি জানালেও কৌশলে জ্যাসনকে গোল্ডেন ফ্লিস চুরি করে নিজেকে বীর প্রমান করার পরামর্শ দেয়।পেলিয়াস জ্যাসনের মৃত্যুর ব্যাপারে নিশ্চিত ছিল কারন যারা এপর্যন্ত ফ্লিস উদ্ধারের অভিযানে গেছে তারা কেউই জীবিত ফেরত আসে নি।যাইহোক,জ্যাসন এই পরামর্শে রাজি হয়।[LIKE A TRUE HERO:-P]তবে এই শর্তে যে জ্যাসন যদি ফ্লিস নিয়ে আসতে পারে তাহলে পেলিয়াস সিংহাসন ছেড়ে দেবে।জ্যাসন তার সমসাময়িক বীরদের নিয়ে ‘Argonauts’ নামের একটি অভিযাত্রী দল গঠন করে।অনেকের মতে এই দলে নাকি হারকিউলিসও যোগ দিয়েছিলেন।তাঁরা ‘Argo’ নামের একটি জাহাজ তৈরি করেন এবং কলচিসের প্রতি যাত্রা শুরু করেন।যাত্রাপথের বিচিত্র ঘটনাগুলো আমি আর উল্লেখ করছি না।
¤
কলচিসের রাজা ঈটিসের মেয়ে ছিলেন মিডিয়া।তিনি ছিলেন একজন শক্তিশালী ডাইনী।জ্যাসন যখন দলবল নিয়ে কলচিসের রাজদরবারে গোল্ডেন ফ্লিস দাবি করেন তখন মিডিয়া জ্যাসনের প্রতি প্রথম দর্শনেই ভালোবাসার জালে আবদ্ধ হন।অনেকে মনে করেন দেবী হেরার(রোমান নাম জুনো) পরামর্শে ভালোবাসার দেবী আফ্রোদিতি(ভেনাস) মিডিয়াকে জ্যাসনের প্রতি আসক্ত করে দেন।জ্যাসন ফ্লিসের দাবি জানালে ঈটিস মৌখিকভাবে সম্মতি জানান কিন্তু মনে মনে জ্যাসনকে যাচাই করার সিদ্ধান্ত নেন।ঈটিস নিশ্চিত ছিলেন যে তাঁর পরীক্ষা থেকে জ্যাসন কোনমতেই বেঁচে ফিরে আসতে পারবে না।
¤
কিন্তু ভালোবাসায় অন্ধ মিডিয়া পিতার কূটচাল বুঝতে পারেন।মিডিয়া জ্যাসনের কাছে প্রেম নিবেদন করেন এবং জ্যাসনকে সাহায্য করেন প্রতিশ্রুতি দেন।জ্যাসন মিডিয়াকে গ্রহন করতে রাজি হয় একশর্তে যে মিডিয়াকে ফ্লিস উদ্ধার সাহায্য করতে হবে।প্রেমের জালে আবদ্ধ মিডিয়া পিতার বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতা করতে সানন্দে রাজি হয়।
¤
ঈটিসের প্রথম পরীক্ষা এমন ছিল যে জ্যাসনকে আগুনের নিঃশ্বাস ফেলা ষাঁড়দুটোকে দিয়ে হালচাষ করতে হবে।কাজটি ছিল অত্যন্ত বিপদজনক কারন ষাঁড়ের নিঃশ্বাসে দেহ পুড়ে যাওয়া অত্যন্ত স্বাভাবিক ছিল।কিন্তু মিডিয়া জ্যাসনের দেহে এক ধরনের মলম মেখে দেন ফলে জ্যাসন অতি সহজে ষাঁড়দুটোকে দিয়ে অতি সহজেই হালচাষ করে ফেলেন।
¤
দ্বিতীয় পরীক্ষা এমন ছিল যে ঐ চষা জমিতে জ্যাসনকে ঐ ড্রাগনের দাঁত মাটিতে রোপণ করতে হবে।জ্যাসন দাঁত রোপণ করার সাথেই একদল কন্কাল যোদ্ধা তাঁকে ঘেরাও করে ফেলে।কিন্তু মিডিয়ার পরামর্শ অনুযায়ী জ্যাসন কন্কাল যোদ্ধাদের ভিড়ের মধ্যে একটি পাথর নিক্ষেপ করেন।কোথা থেকে পাথরটি এসেছে বুঝতে না পেরে কন্কাল যোদ্ধারা নিজেদের মধ্যেই লড়াই শুরু করে এবং শীঘ্রই ধ্বংস হয়ে যায়।এইজন্যই বোধহয় এনিমেতে ক্যাস্টারকে দেখা যায় কন্কালসদৃশ কিছু প্রানীকে নিয়ন্ত্রন করতে।
¤
জ্যাসনের আসল কাজ ছিল ড্রাগনকে যেভাবেই হোক হারিয়ে ফ্লিস দখল করা।এক্ষেত্রেও মিডিয়া সাহায্য করতে এগিয়ে আসেন।এক রাতে জ্যাসন মিডিয়ার প্রস্তুতকৃত একধরনের ঔষধি স্প্রে ড্রাগনের শরীরে ছিটিয়ে দেয়।ফলে ড্রাগন ঘুমিয়ে পড়ে এবং জ্যাসন সহজেই ফ্লিস দখল করতে সক্ষম হন।
¤
জ্যাসন মিডিয়াকে নিয়ে কলচিস হতে পলায়ন করেন।জাহাজ দিয়ে পলায়নের সময় মিডিয়ার ভাই অ্যাপসাইরটাস তাদেরকে তাড়া করে।মিডিয়া অ্যাপসাইরটাসকে হত্যা করে তার দেহকে টুকরো করে সমুদ্রে ফেলে দেয় যাতে ঈটিস তার পুত্রের দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন।এই ফাঁকে জ্যাসন এবং মিডিয়া Iolcus এ ফিরে আসেন।পথিমধ্যে অনেক বিচিত্র ঘটনা ঘটে।সেই ঘটনাগুলো এড়িয়ে যাওয়াই শ্রেয়।
¤
Iolcus এ ফিরে আসার পরে জ্যাসন এবং মিডিয়া বিবাহ করেন।তাঁরা পাঁচ ছেলে এবং এক মেয়ের জনক-জননী হয়েছিলেন।কিন্তু কাহিনী এখানেই শেষ নয়।মিডিয়ার বাকী জীবনের বিবরন এই পোস্টে দেওয়া সম্ভব নয়।তাই আপাতত এখানেই সমাপ্তি ঘটাচ্ছি।
¤
এই পোস্টটা আগেরটার চেয়ে অনেক বড়।তাই অনেকেই পড়তে পড়তে ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলতে পারেন।যাইহোক,সকল ভুলক্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি।
¤
তথ্যসূত্রঃপার্সি জ্যকসনস গ্রীক গডস(বই),উইকিপিডিয়া,গুগলের কতিপয় ওয়েবসাইট।
আবারও কৃতজ্ঞতাঃশাফিউল মুনির ভাই।

Caster Fate Stay

 

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Caster [Fate/Zero] — Shifat Mohiuddin

¤
চরিত্র: Caster
এনিম: ফেইট/জিরো
ভূমিকা: খলনায়ক
¤
আসল নাম: Gilles de Rais
জাতীয়তা: ফ্রেন্ঞ্চ
উপাধি: মার্শাল,ব্যারন,ডিউক অব ব্রিটানি
জন্ম: সেপ্টেম্বর,১৪০৫
মৃত্যু: ২৬ অক্টোবর,১৪৪০
মৃত্যুর ধরন: মৃত্যুদন্ড
¤
আমরা অনেকেই ফেইট জিরো এনিমেতে অদ্ভুত চেহারা এবং খনখনে কন্ঠস্বর বিশিষ্ট চরিত্র ক্যাস্টারের কাজকর্ম দেখে আতঙ্কিত হয়েছি।শিশুহত্যায় পারদর্শি এই চরিত্রটি ইতিহাসের একটি বাস্তব চরিত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত।যদিও তিনি আরতুরিয়া,ইস্কান্দর এবং গিলগামেশের মত সুপরিচিত নন এবং তার আসল নাম খুব কমই উল্লেখ করা হয়েছে।এনিমেতে তাকে অনেক আন্ডারএস্টিমেট করা হলেও বৈচিত্রের দিক দিয়ে তার জীবন অন্যান্য হিরোয়িক স্পিরিটদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
¤
গিলাস ডি রেইস ছিলেন একাধারে একজন বীর নাইট এবং অত্যন্ত ধনী একজন জমিদার।তিনি তার পিতামহ কর্তৃক লালিত হন এবং তার বিশাল সম্পত্তির মালিক হন।তিনি ছিলেন ফ্রান্সের ব্রিটানি প্রদেশের জমিদার।পরবর্তিতে তিনি বিয়ের মাধ্যমে তার সম্পত্তি আরো বৃদ্ধি করেন।তিনি Anjou এবং Poito প্রদেশের জমিদারিত্বও লাভ করেন।
¤
গিলাস ফেন্ঞ্চ সেনাবাহিনীতে ১৪২৭ থেকে ১৪৩৫ পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে সংগঠিত হওয়া শতবর্ষী যুদ্ধে তিনি জোয়ান অফ আর্কের সাথে যুদ্ধ করেন।যুদ্ধে বীরত্বসূচক অবদানের জন্য মার্শাল অফ ফ্রান্স উপাধি লাভ করেন।
¤
১৪৩১ সালে যখন জোয়ান অফ আর্ককে খুঁটিতে অগ্নিদগ্দ্ধ করা হয় তখন তিনি সেখানে উপস্হিত ছিলেন না।এই ব্যাপারে মনে হয় গিলাসের মনে অনেক আফসোস ছিল।ফেইট জিরো এনিমেতে জোয়ানের[আরতুরিয়ার]প্রতি তার দুর্বলতা দেখে বিষয়টা বোঝা যায়।
¤
১৪৩৫ সালে গিলাস সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।তিনি একটি বিলাসবহুল বৃহৎ গির্জা নির্মানে হাত দেন।নির্মানকাজের অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি তার সব সম্পত্তি বিক্রি শুরু করেন।কিন্তু ক্যাথলিক কর্তৃপক্ষ গিলাসের আত্নীয়দের অনুরোধে তার এই গনহারে সম্পত্তি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এতে গিলাস গির্জা কর্তৃপক্ষের উপর অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হন।
¤
১৪৩৮ সালে গিলাস অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য আলকেমি এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।কথিত আছে তিনি নাকি ব্যারন নামের একটি আত্নাকে নিজের অধীনে আনতে চেয়েছিলেন।
¤
১৪৩২ সালে গিলাসের বিপক্ষে প্রথম শিশুহত্যার অভিযোগ আনা হয়।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গিলাসের বিপক্ষে ট্রায়াল গঠন করা হয়।ট্রায়ালে গিলাসের বিপক্ষে তিনটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।তার বিরুদ্ধে ১৪০ জন শিশুহত্যার প্রমান পেশ করা হয়।অনেকের মতে নাকি হত্যাকান্ডের সংখ্যা নাকি ৬০০ এর উপরে!হত্যাকান্ডগুলো ১৪৩২ থেকে ১৪৪০ সালের মধ্যে সংগঠিত হয়।১৪৩৭ সালে গিলাসের এক আস্তানা থেকে ৩৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।গিলাস তার চাকরদের সাহায্যে গ্রামান্ঞ্চল থেকে তার শিকারদের সংগ্রহ করতেন।তার ভিকটিমদের বয়স ছিলো ছয় থেকে আঠারো বছরের মধ্যে।মূলত ছেলে শিশুরাই তার মূল আকর্ষন ছিল।হত্যাকান্ডগুলোর বর্ননা অত্যন্ত নৃশংস বলে আমি বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছি।যারা ফেইট জিরো দেখেছন তারা বিষয়টি ভালো বুঝতে পারবেন।
¤
গিলাস জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে[পড়ুন রিমান্ডে] তার সকল অপরাধ স্বীকার করেন।তার এক বিশ্বস্ত চাকর হত্যাকান্ডের কৌশল এবং পদ্ধতি বর্ননা করে।গুরুতর অপরাধের সাজা হিসেবে গীর্জা গিলাস এবং তার দুই চাকরকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।২৬ অক্টোবর,১৪৪০ সালে গিলাস ডি রেইসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
¤
মজার ব্যাপার যে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে গিলাস নির্দোষ এবং সবকিছুই গীর্জার কারসাজি।সর্বোপরি বলা যায়,গিলাস ডি রেইস ছিলেন একজন জ্বাজল্যমান বীর যোদ্ধা,কিন্তু তিনি পতিত হলেন পাপের অন্ধকার গহ্বরে।
¤
আরেকটা ব্যাপার হলো এত নিষিদ্ধ কাজ করার পরেও গিলাস পুরোপুরি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন।এই ব্যাপারটি ফেইট জিরোতে গিলাসের প্রতি ঈশ্বরের প্রত্যাখানের বিষয়টি ব্যাখা করে।
¤
অনেকে গিলাসকে বিখ্যাত লোককথা ‘Bluebeard’ এর উৎস মনে করে।এজন্যই বোধহয় গিলাস তার মাস্টার রিয়োনসকিকে গিলাসকে ব্লুবিয়ার্ড সম্বোধনে ডাকতে বলে।
¤
পোস্টটা অনেক বড় তাই অনেকে বিরক্ত হবেন।তবে আশা করি সকলেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Fate Zero - Caster