School Days [রিভিউ] — Zakaria Mehrab

ড়িভিউ! ড়িভিউ!! ড়িভিউ!!! 😀 😀 😀

আজ একটু আগে পড়ন্ত বিকেলে একটি সুন্দর এনিমে শেষ করিয়া আমি যারপরনাই ইম্প্রেসড । ইম্প্রেশনের ঠেলায় আমার হাত একটু পরপর ই কেঁপে কেঁপে উঠছে । কাজেই কিছু বানান ভুল টুল হলে একটু ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি তে দেখবেন ।

Anime: ইশকুলের দিনগুলি / School days (কি কিউট নাম , আসলেও কিউট একটা এনিমে)

Genre: ইয়ে আসলে এমন কোন জানরা নাই যেটা এই এনিমে কভার দেয় নাই । পুরাই মাস্টারপিস একখান ।

School Days 2
প্লটঃ
জাপানের ছোট একটি স্কুল । সেইখানে ছোট ছোট বাচ্চারা পড়ে । তাদের মধ্যে কিউট একটি বাচ্চা হল মাকোতো শিশিও থুক্কু মাকোতো ইতো । সে পছন্দ করে আরেক কিউট বাচ্চা কাটাছিড়া থুক্কু কাতসুরা রে (ইয়ে আসলে একটু ভূমিকম্প হইতেসে মেবি , তাই হাত টা বেশি ই কাঁপতেসে) । কিন্তু ইতো এরশাদের থেকেও লাজুক কিনা , সরাসরি কিছু বলতে পারে না । তাই এ বিষয়ে তার আরেক কিউট বান্ধবীর সাহায্য নেয় (হুম সে ও আরেক কিউট বাচ্চা) । এভাবেই একটি কিউট প্লটের ভিতর দিয়ে গল্পের কাহিনী আগাতে থাকে । আসলে আমার লেখায় তো আর বুঝা যাবে না এইটা কি একটা মাস্টারপিস । বরং কাছাকাছি ধারনা পাওয়ার জন্য আসিফুল হক ভাই এর একটি উক্তির কথা স্মরণ করতে পারি —

“স্টোরিটা হয়ত একেবারে ইউনিক কিছু না; কিন্তু যেভাবে পুরো গল্পটা সাজানো হয়েছে; উপস্থাপনা, দৃষ্টিকোণ এবং সম্পাদনা – তা আসলেই চমৎকারিত্বের দাবি রাখে। একটা টিপিকাল কিউট প্লটের মাঝেও অন্তর্নিহিত দ্বন্দ্বে পূর্ণ চরিত্রগুলোর পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়া, লড়াই এবং একত্রে একে অপরের পাশে থাকার যে প্রবণতা এবং নাকামার জন্য যে আত্মত্যাগ – তা এই সিরিজকে দিয়েছে অন্য এক মহিমা।”

চরিত্রঃ
কি আর বলব চরিত্রের কথা !! একটি কিউট ছেলে আর অনেক গুলা কিউট মেয়ে । প্রত্যেকের অবদান ই সমান গুরুত্বপূর্ণ । আর মেইন ক্যারেক্টার এর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট তো অসাধারণ । শুরুতে মেইন ক্যারেক্টার একটু ঘুমিয়ে থাকে, কিন্তু গল্পের মাঝামাঝি সময়ে সে জেগে উঠে । আর সে কি জাগরণ !! সেই জাগরণের পর সে নিজে তো আর ঘুমায় ই না , অন্য কাউকেও আর ঘুমাতে দেয় না । আমার প্রায় ই মনে হচ্ছিল “এমুন জাগরণ ই কি আমরা চেয়েছিলুম ?” অন্যান্য ক্যারেক্টার গুলার ও ডেভেলপমেন্ট উল্লেখযোগ্য । বলা যায় সকল চরিত্রের পারস্পরিক সহযোগিতায় ( কিংবা আবারও আসিফুল হক ভাইয়ের ভাষায় “মিথস্ক্রিয়ায়”) ক্যারেক্টার গুলা ডেভেলপমেন্টের এক চরম শিখরে আরোহণ করেছে ।

School Days 1

ওএসটি/গানঃ ইয়ে আসলে হয়েছে কি , প্লট দেখে এত ই মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম , যে এ দিকে আর কোন খেয়াল ই ছিল না । (প্লিজ মাইরেন না আমারে ) । তবে এত মাস্টারপিস এনিমের গান গুলাও তো মাস্টারপিস ই হবে, কি বলেন ?

এন্ডিংঃ সবচেয়ে পারফেক্ট এন্ডিং কোন এনিমের বলেন তো ? ফুলমেটাল ? আরে নাহ । কোডগিয়াস ? হাসাইলেন । স্টেইন্স গেট ? ধুর মিয়া, মজা লন ক্যা ? অবশ্য ই ইস্কুল ডেজ । কিউট একটু একশন এর এন্ডিং কে এমন এক পূর্ণতা এনে দিয়েছে যে এটি দেখার পর আপনার দেহ মন সবকিছু পরিপূর্ণ হয়ে যাবে এবং আপনি আক্ষরিক অর্থেই একজন নতুন মানুষে রূপান্তরিত হবেন ।

একটাই কথা । মাস্ট ওয়াচ !! এই জিনিস যারা দেখবে , তারাই অনুভব করতে পারবে , জীবন কত কিউট !!

ম্যাল রেটিং জানার দরকার নাই । আমার রেটিং ? এত মাস্টারপিস এনিমেকে রেটিং দিব ? আমার ঘাড়ে আর কটা মাথা ?

পরিশেষে দুটি কথা বলতে চাই

১)এনিমে টি এত ই কিউট যে এটা বাচ্চাদের দেখানো উচিত না । কারণ কিউটনেস ওভারলোড হয়ে বাচ্চা হাঁ করে ফেলতে পারে এবং তখন তার মুখে মশা মাছি ইত্যাদি ঢুকে নানারকম রোগ সঞ্চার করতে পারে

২) এনিমে টি দেখার সময় আপনি পুরাপুরি perplexed হয়ে যাবেন এবং আপনার স্বাভাবিক শারীরিক প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে । এজন্য এনিমে টি দেখার সময় অন্যান্য কাজ যেমনঃ খাওয়া দাওয়া ইত্যাদি না করা ই ভালো (গলা দিয়ে খাবার না নামতে পারে , কারণ আপনার গলা তো perplexed)

School Days 3

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #৩০: Mirai Nikki — Zakaria Mehrab

এনিমেঃ মিরাই নিক্কি (দ্যা ফিউচার ডায়েরি)

জনরাঃ মিস্টেরি, সুপারন্যাচারাল, সাইকোলজিকাল, থ্রিলার
এপিসোড সংখ্যাঃ ২৬ এপিসোড + ১ ওভিএ
ম্যাল রেটিংঃ ৮.২

শব্দসংখ্যা সীমিত । সূচনা বাদ দিয়ে তাই অন্য পয়েন্ট এ চলে যাই । তবে যেটা মাথায় রাখতে হবে এইটা হচ্ছে ড়িভিউ 😎 গ্যাগ হিসেবে কন্টেস্ট এ পাঠালাম 😀

প্লট (আই সুলেমানলি সয়্যার দ্যাট আই এম আপটু নো গুড)ঃ

হাইস্কুল বালক আমানো ইউকিতেরু উরফে “ইউক্কি” ; পড়াশুনায় মনোযোগ নাই , মাঝে মাঝে কল্পনার রাজ্যে তার দোস্ত ডিউস এর সাথে বকবক করে আর সারাদিন মোবাইল টিপাটিপি করে । তবে ফেসবুক-টুইটার না ; তার আসক্তি হল ডায়েরি লেখায় । পুরা মোবাইলটাকে সে একটা ডায়েরি বানিয়ে ফেলে যেইখানে তার প্রতিটি কাজকর্ম সে লিপিবদ্ধ করে রাখে । বেশি মোবাইল টিপলে , চোখের বারোটা বাজে । আমানোর ও বারোটা বাজল । তবে চোখের না , তার মোটামুটি পুরা চৌদ্দগুষ্টির বারোটা বেজে গেল । একদিন আমানো দেখে ঐদিনের দিনলিপি আগে থেকেই মোবাইলে এন্ট্রি করা আছে । এবং  সব এন্ট্রিগুলাই মিনিটে মিনিটে সত্য প্রমাণিত হতে থাকে । হতভম্ব আমানো আরো থ হয়ে যায় যখন সে জানতে পারে তার কল্পনার দোস্ত ডিউস আসলে একজন গড, আমানোর ডায়েরি একটি ফিউচার ডায়েরি যেটা তার সাথে সম্পর্কিত সবকিছুর ভবিষ্যৎবাণী করে এবং তার মত আরো এগারোজন ডায়েরি ইউজার আছে । প্রত্যেকের উদ্দেশ্য বাকিদেরকে চন্দ্রবিন্দু করে বেঁচে থাকা । সবশেষে যে একজন টিকে থাকবে সেই হবে ডিউস এর উত্তরাধিকারী । সুতরাং ডিউস চোধুরী সাহেবের সম্পত্তির লোভে ডায়েরি ইউজাররা রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠে । আমানোর সাথে যোগ দেয় তার উপর উথালপাথাল ক্রাশ খাওয়া গাসাই ইউনো যে আমানোকে “পাবার জন্য সবকিছু করতে রাজি” ।  বাংলা সিনেমা লাগছে ?  এইখানে “সবকিছু” বলতে কি বুঝায় আপনার ধারণাই নাই । ধারণা পাওয়ার জন্য  ২৬ এপিসোড+১ ওভিএ এর এনিমেটি দেখে ফেলতে হবে ।

এইবার কাটাছেড়া করি 😀

নক্সঃ

এনিমে মেইন ক্যারেক্টার বললে চোখে কি ভেসে উঠে? বোকা, স্থিরপ্রতিজ্ঞ , বন্ধুবৎসল, সময় ও ক্ষেত্রবিশেষে স্মার্ট ইত্যাদি আরো কিছু । তবে এই এনিমেটির মেইন ক্যারেক্টারটি একটি অভিজাত শ্রেণীর বলদ বাদে আর কিছু ই না । সুতরাং আপনি যদি বিন্দুমাত্র কুলনেস চান মেইন ক্যারেক্টার এর ভিতরে আপনাকে হতাশ হতে হবে ।  খালি একটা ছোট্ট উদাহরণ দেই । আপনার ক্লাসের কোন মেয়ে যদি বলে বড় হয়ে আপনাকে বিয়ে করবে , কত উচ্চ শ্রেণীর বলদ হলে আপনি এই অভিজ্ঞতা ভুলে যেতে পারেন? আরেকটি সতর্কতা হল ক্ষণে ক্ষণে ন্যাকা গলায় “ইউককককি , ইউককককি” আহ্লাদ শুনে যদি নায়িকার গলা চেপে ধরার পৈশাচিক আক্রোশ জেগে উঠে তাহলে কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে ।

লুমোসঃ

 উৎসাহ হারাচ্ছেন ? তাইলে এইবার ভালো কিছু ফেলি । স্বীকার করতেই হবে, প্লট বেশ ইন্টারেস্টিং এবং আমার দেখা সেরা (সম্ভবত) প্লট টুইস্ট টি এই এনিমেতে রয়েছে । স্পয়লার ছাড়া এনিমেটি দেখে যেতে পারলে আপনি যে একটি বেশ ভালো কাহিনী উপভোগ করে উঠবেন এতে সন্দেহ নাই । রোমাঞ্চকর ও পিলে চমকানো কিছু সিন পাবেন , সেই সাথে রয়েছে মানানসই ওপেনিং ও এন্ডিং সং । মেইন ক্যারেক্টার বাদে বেশ কিছু প্রভাব ফেলা ক্যারেক্টার আছে । আর রয়েছে গাসাই ইউনো । ন্যাকামি বাদ দিলে ইউনোর প্রভাব সবচেয়ে সুদূরপ্রসারী এবং তার কাজকর্ম দেখে মুহূর্তের জন্য মস্তিষ্ক অবশ করার জন্য হলেও এনিমেটি দেখা আসে ।

ইন্টারেস্টিং একটি জিনিস বলে রাখি । এপিসোডের নামগুলো খেয়াল করলে দেখবেন সেগুলো প্রতিটি ই মোবাইল সম্পর্কিত কোন টার্ম ।

মিসচিফ ম্যানেজডঃ 

সুতরাং পপকরন এবং প্যারেন্টাল গাইডেন্স নিয়ে বসে পড়ুন এবং দেখে ফেলুন মিরাই নিক্কি । তবে দেখার পর যখন আপনার গার্লফ্রেন্ড এর সাথে ডেটিং এ যাবেন তখন দয়া করে কোন ক্রিটিকাল কোন স্থানে (যেমন ছাদে, নদীর পাড়ে ইত্যাদি) বসবেন না । গার্লফ্রেন্ড আদুরে কন্ঠে “জানু, বাবু” ডাকলে সমস্যা নাও থাকতে পারে । তবে চমকে গিয়ে আপনি ছাদ থেকে কিংবা নদীতে পড়ে গেলে সেটা সমস্যা ।

30 Mirai Nikki

Area no Kishi রিভিউ — Zakaria Mehrab

হেহ হেহ আসিয়া গেল আরেকটি ইয়া বিশাআল রিভিউ থুক্কু ড়িভিউ
>
>
>
>
এই বলে আমি একখান সুন্দর, সুললিত ড়িভিউ লেখতে চাইসিলাম , কিন্তু আপাততঃ যেইটা নিয়া ড়িভিউ লেখতে যাচ্ছিলাম ঐটা শেষ করার পর থেকে মেজাজ খিচড়ায় আছে , তাই সুন্দর সুললিত রিভিউ এর পরে ইহারে যথাসম্ভব ব্যবচ্ছেদ করা হইবেক

anime: The Knight in The Area (Area No Kishi)

episodes: 37

genre: Sports, Comedy, School, Shounen (জায়গায় জায়গায় shoujo ও মনে হইতে পারে)

অগ্রজ সুগুরু একজন ফুটবল জিনিয়াস এবং প্লেমেকার , অনূর্ধ্ব ১৫ জাপান টিমের সদস্য সে এবং প্রায় সবাই তাকে জাপানের ফিউচার বলে গণ্য করে । সুগুরু নিজেও স্বপ্ন দেখে যে সে একসময় ওয়ার্ল্ড কাপ ট্রফি টা হাতে নিবে , তবে আপাততঃ তার প্রধান দুশ্চিন্তা হইল একজন আদর্শ স্ট্রাইকার খোঁজা নিয়ে , যে কিনা পেনাল্টি এরিয়ায় নির্দ্বিধায় শট নিতে ও গোল দিতে পারবে । তার ধারণা তার অনুজ কাকেরু ই হইতে পারে সেরকম আদর্শ স্ট্রাইকার (হম, পক্ষপাতিত্বের গন্ধ পাওয়া যাইতেছে) । কিন্তু সুগুরুর বলদ ভাই কাকেরু তার গুরুর আশা ভঙ্গ করে একটা দুর্ঘটনার পর সে ফুটবল খেলা ছেড়ে দেয় আর তার অগ্রজ এর স্কুলের সকার ক্লাবের বলবয় হিসেবে যোগ দেয় । যাই হোক তার ঘাড়ত্যারামি বেশিদিন টিকে না , কিছু ঘটনা- দুর্ঘটনার পর আবার সে ফুটবল খেলা শুরু করে , আর তার সাথে ঘটনাপ্রবাহে যোগ দেয় তার ছোটবেলার বান্ধবী নানা মিশিমা (হ হ , বুঝতে পারসেন তো ছোটবেলার বান্ধবী মানে কি, এখন হাসি থামান) । কাকেরু তার ভাই এর স্কুল চেঞ্জ করে নতুন আরেক স্কুল এ জয়েন করে এবং সেইখানকার ফুটবল টিম দিয়া তার যাত্রা শুরু করে এবং আমাদের কৃতার্থ করে ।
কাজেই এখন আপনিও তাকে কৃতার্থ করার জন্য হাতে ফুটবল আর পায়ে পপকর্ণ নিয়ে বসে যান এই এনিমেটি দেখতে……

-_- হম ফরমালিটি শেষ , এইবার শুরু করি এক ভুতুড়ে রেটিং সিস্টেম ……… (নিচের অংশ মোটামুটি পারসনাল রি একশান বলা যায় , কোন স্পয়লার নাই , তারপর ও কারো ডর লাগলে এইহানেই ইস্তফা দ্যান)
>
>
>
>
এনিমের প্রথম ৫ এপিসোড হচ্ছে বেশি ইমোশনাল , ট্র্যাজিক এনিমের শেষে যেইরাম ইমোশন এর ফোয়ারা ছুটতে থাকে এই প্রথম ৫ এপিসোড এ মোটামুটি দ্বিগুণ ফোয়ারা বইয়ে দেয় ; আপাতত স্পয়লার না দিয়া এর বেশি কিছু বলা যাইতেছে না , যাই হোক এই ৫ এপিসোড এর জন্য আমার রেটিং ৮/১০

এরপরের ৮-১০ এপিসোড হচ্ছে কাকেরুর নতুন ফুটবল টিম নিয়ে । তাহলে কি ভাবছেন ? এখন শুরু হবে আসল খেলা ? জি না , এই কয়েক এপিসোড এ যা হয় তারে খেলা না বইলা ভগী বললে বেশি ভালো হয় । অধিকাংশের ই হয়ত ফিফা ২০০২ ওয়ার্ল্ড কাপ গেইম টার কত্থা খেয়াল আছে । ঐ যে কিছু প্লেয়ার দের পাশে তারা আঁকা থাকে , মাঝমাঠের পর কোন এক জায়গায় তাদের পায়ে বল এনে দাও , ৫০০ মিলিসেকেন্ড ধরে D বাটন প্রেস কর , দরকার হলে গোলপোস্ট সামনে চলে আসবে , তাও গোল হবেই । এই কয়েকটা এপিসোডেও এমন তারকাখচিত খেলা দেখা যায় , যেইগুলা দেখিয়া আপাতত চারপাশে তারা দেখা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না । বিল্ড আপ এর কোন বালাই নাই , হঠাৎ এরকম অমানুষিক খেলা দেখিয়া এই কথা মনে হওয়া খুব ই স্বাভাবিক যে কেন তারা ওয়ার্ল্ড কাপ না খেলে হাই স্কুল ফুটবল খেলছে !! স্পোর্টস এনিমে আর স্পোর্টস এনিমে নাই , সুপারপাওয়ার এনিমে হইয়া গেসে । তাই এই কয়েকটা এপিসোড এর জন্য আমার রেটিং ৫.৫/১০

তারপর ১৪-১৫ এপিসোড থেকে বলা যায় আসল স্পোর্টস এনিমের রেশ পাওয়া শুরু হয় । ভগী একেবারে নাই হয়ে যায় বলব না , কিন্তু সহনীয় পর্যায়ের ভগী , এট লিস্ট দেখে আর অনন্ত জলিল এর কথা মনে পড়ে না । এনিমেতে এতটুকু ভগী সহ্য করাই যায় , সব তো আর স্ল্যাম ডাঙ্ক এর মত না । মোটামুটি ৩০ এপিসোড পর্যন্ত ভালো একটা ফ্লো নিয়ে কাহিনী আগায় এবং এই অংশতে আমার রেটিং ৮.৫/১০

এরপর ৩০ থেকে শেষ পর্যন্ত দেখে যা মনে হল তা হইল , বাজেট শেষ হয়ে আসছে , এখন লাগাও জোড়াতালি । একটা কেবলমাত্র ভালো খেলা পাওয়া গেছিল এই কয়েক এপিসোড এ , আর বাকি সব হাইলাইটস , এমনিতে স্পোর্টস এনিমেতে শেষ বলে কিছু নাই, যত ইচ্ছা তত টানা যায় , কিন্তু একসময় শেষ করতে হয় । কিন্তু তারপর ও স্ল্যাম ডাঙ্ক কিংবা জায়ান্ট কিলিং যেরকম মোটামুটি একটা লেভেল এ যাইয়া শেষ করসে , এইটার ফিনিশিং সেই তুলনায় খুব ই এব্রাপ্ট , এবং এই মেজাজ খিচড়ানো ফিনিশিং এর জন্য যথাসম্ভব উদার হয়ে রেটিং দিলাম ৬.৫/১০

হে হে , এই অদ্ভুতুরে রেটিং সিস্টেম শেষ প্রায় , আরেকটু ধৈর্য ধরেন

এনিমের মাঝে মাঝে হঠাৎ করে নাদেশিকো জাপান মানে জাপান মহিলা ফুটবল টিম কেও ফোকাস করা হয়েছে । মানে একটু বেশি ই ফোকাস করা হয়েছে , এবং ১৫ এপিসোড এর পর মোটামুটি সব ভগী ই এই মহিলা ফুটবল টিম রে ঘিরে । এম্নিতে আমি জানি না জাপানের মহিলা ফুটবল টিম বা পৃথিবীর অন্যান্য প্রান্তে যেইসব মহিলা ফুটবল টিম পারফর্ম করে তারা কেমন খেলে বা কিভাবে খেলে , তবে আর যাই হোক এই লেভেল এর খেলা যে খেলে না তাহা আমি মোটামুটি নিশ্চিত । একেকজন যেই হাফ ভলি , ফুল ভলি , ব্যাকহিল করে গোল দেয় ইহা যদি ইব্রাহিমোভিচ দেখিতেন তিনি হয়ত ফুটবল খেলা ছাড়িয়া আজ গম চাষ করতেন । ইব্রার ফুটবল ক্যারিয়ার কে এমনভাবে হুমকির মুখে ফেলার জন্য নাদেশিকো জাপান এর এই পার্টটুকুর রেটিং ৬/১০

খেলা চলাকালীন এনিমেশন গুলা যথেষ্ট ভালো , বিশেষ করে ড্রিবলিং এবং ফেইন্ট মুভগুলা । রেটিং ৮/১০

ফাইনালি, সব স্পোর্টস এনিমেতেই কিছু মাত্রার কমেডি এক্সপেক্টেড , এইহানেও সেইটা আছে , তবে খেলার মধ্যকার কমেডি খুব কম (যেটা স্ল্যাম ডাঙ্ক এ প্রচুর পরিমাণ এ) । কমেডির জন্য আলাদা এপিসোড আছে , খেলোয়াড় রা খেলা থেকে বিরতি নিয়ে কোথাও ঘুরতে গেল এরকম কিছু এপিসোড কমেডির জন্য বরাদ্দ । মোটামুটি এঞ্জয়েবল , বিশেষ করে ৩২ নম্বর এপিসোড টা কমেডির জন্য প্রাইসলেস । কমেডির জন্য রেটিং ৭/১০

অতএব শেষমেশ আমার রেটিং দাঁড়াইল ৭.১/১০

আর এইদিকে MAL সাহেবের রেটিং ৭.৪৫/১০ (আরেহ কাছাকাছি ই তো দেখি)

“So Lets enjoy soccer” (আমার কথা না কিন্তু , এনিমেতে কেউ একজন বলসে)

জি এতক্ষন ধৈর্য ধরে আপনার পিসি/ল্যাপ্টপ/মোবাইল বা অন্যকিছুর স্ক্রিন না ভেঙ্গে এই আজাইরা জিনিস পড়ার জন্য ধন্যবাদ । 😀 ড়িভিউটি শেষ হইল (বাপ্রে বাপ)

ড়িভিউঃ Pokemon Origins – by Zakaria Mehrab

ইহাকে রিভিউ বলিলে রিভিউ এর অপমান হইবে , তাই আমি ইহাকে বলছি ড়িভিউ । ইহাই আমার প্রথম (এবং হোপফুলি শেষ) ড়িভিউ , তাই আশা করি ক্ষমাসুন্দর ও সুন্দরী দৃষ্টিতে দেখিবেন

ড়িভিউঃ Pokemon Origins

আপনি কি একজন দুর্ভাগা পোকেমন ফ্যান? জন্ম জন্মান্তর থেকে রিপিট হওয়া এপিসোড, এশ কেচাম এর বলদামি এবং হিন্দি মেগাসিরিয়াল কে হার বানানো এক একটি আর্ক দেখতে দেখতে আপনার “ছাইড়া দে মা কাইন্দা বাচি” অবস্থা ? তাহলে আপনার, হ্যাঁ আপনার জন্যই Production I.G., Xebec এবং OLM Inc. বানিয়েছে পোকেমন অরিজিন । মূলত নিনটেনডো এর পোকেমন ফ্র্যাঞ্চাইজি ; মেইনলি পোকেমন রেড এন্ড ব্লু গেম এর কাহিনী অবলম্বন এ বানানো এই আনিমে (মতান্তরে ওভিএ) মাত্র ৪ এপিসোড এর ; জি হ্যাঁ , ভুল পড়েননি , মাত্র চার এপিসোড এ পোকেমন এর একটি আর্ক সমাপ্ত করে তারা দেখিয়ে দিয়েছে অনন্ত জলিল বাদ এ আরও অনেকেই অসম্ভব কে সম্ভব করার ক্ষমতা রাখেন । ৪টি এপিসোড এর প্রত্যেকটি ভিন্ন ভিন্ন পরিচালক কর্তৃক পরিচালিত ।

বরাবরের মত কাহিনী শুরু হয় মাথায় ছিট ওয়ালা এক প্রফেসর এর বুড়ো বয়সের ভীমরতি কে কেন্দ্র করে, তার একদিন শখ হয় সকল বন্য জীবজন্তুর উপর তথ্য সংগ্রহ করার , এ জন্য সে নিয়োগ দেয় পাড়ার ছোটা মস্তান লাল মিয়া এবং তার নাতি নিলু আহমেদ কে , শুরু হয় চরম (এহেম) উত্তেজনাপূর্ণ, রোমাঞ্চকর এক অভিযান । এদিকে তাদের কাজে বাধা দেয়ার জন্য রয়েছে কুখ্যাত পোচার গ্রুপ রকেট সংঘ , লাল মিয়া কি ফাইরবে সকল বাধা অতিক্রম করে ন্যাশ্নাল হিরু হইতে ?? ফাইরবে কি সে বন্য প্রাণী ধরিয়া ধরিয়া তাহার টেনিস বলের স্টক শেষ করিতে ? জানতে হইলে আর দেরি না করে এখন ই মাত্র ৪ টি এপিসোড ডাউনলোড করে দেখা শুরু করে দিন পোকেমন অরিজিনস ।

এ প্রসঙ্গে বলে রাখি , আপনি যদি মাথা খাটানো এবং অপূর্ব সব কৌশল এ পরিপূর্ণ ব্যাটল উপভোগ করতে চান তাহলে আপনাকে হতাশ হইতে হবে , এখানে সবকিছুই হইবে হার্ডকোর ; ধুমধাড়াক্কা এবং বাংলা সিনেমা হইতে অনুপ্রাণিত, ঐখানে ছেলে মেয়ে গান গাইতে গাইতে স্কুল কলেজ ভার্সিটি পার হইয়া যায় , আর এইখানে লাল মিয়া বাইক দিয়া যাইতে যাইতে হয়ত দুই তিন টা জিম জিতিয়া ফালাইছে, এক দুইটা ঘুষিতেই হয়ত অপোনেনট এর পোকেমন কুপোকাত করিয়া লাইছে । আবার আপনি যদি জেসি এবং জেমস এর বেশ বড় ভক্ত হইয়া থাকেন তাইলেও এই জিনিস আপনাকে শান্তি দেবে না । তবে গেম এর সবচেয়ে মেমরেবল মুহূর্তগুলো আমার মতে ভালভাবেই ফুটে উঠেছে ৪টি এপিসোডে । সবদিক বিবেচনা করে বলতে পারি “দেইখা ফালান , কি আকা গেবনে“ ? ভালো লাগার ই কথা , না লাগলেও সমস্যা নাই, ৪ টা এপিসোড ই তো !! আপনার ফিল যাতে ওভারলোড না হইয়া যায় সেই দিক বিবেচনা করেই স্টুডিও তিনটি ডিসিশন নিয়ে নিয়েছে যে তারা আর পঞ্চম কোন এপিসোড বানাচ্ছে না

MAL babaji’s rating: 8.07
personal rating: 7.0