Fate Series Character Origin: Gilles de Montmorency Laval — Safayet Zafar

Caster 1

Full Name: Gilles de Montmorency Laval
Born: prob. c. September at France
Social standing: c (baron)

এই সেই ফেট জিরোর Gille de rais . Caster class, was a servant of Ryonnosuke

এই ব্যক্তি ছিলেন ফ্রান্সের একজন নোবেল ম্যান। ফান্সের ব্রিটানি (ফ্রান্সের উত্তর পূর্বে অবস্থিত) মিলিটারির সদস্য ছিলেন ১৫ শতাব্দীতে। তার ভাগ্য ছিল অনেক সু প্রসন্ন। তার জমা করা মোট সম্পত্তি এতোই বেশি ছিল তা ব্রিটানির ডিউকের মোট সম্পত্তিকে ছাড়িয়ে যায়। Hundred Years war এ তিনি অকল্পনীয় সাফল্য লাভ করেন যার কারণে তাকে মার্শাল অফ ফ্রান্স উপাধিতে ভূষিত করা হয়।

১৪৩৪/১৪৩৫ খ্রিষ্টাব্দে তিনি মিলিটারি থেকে অবসর নেন এবং তার জমা করা সম্পদ বিপুল ভাবে খরচ করতে থাকেন। ১৪৩২ খ্রিষ্টাব্দে তার উপর সিরিয়াল কিলিং এর অভিযোগ আনা হয় যা ছিল ১০০ এর উপর বাচ্চা হত্যার।

Caster 2এর পর পর ই এক পাদ্রীর সাথে ভয়ংকর ঝগড়া হবার পর অভিযোগের তদন্ত যাযকীয় তন্দন্তে রূপ নেয় এবং ১৪৪০ খ্রিষ্টাব্দে তার অপরাধ সবার সামনে এসে পড়ে। তার বিচার কার্যে তিনি নিজের মুখে হত্যাকান্ডের শিকার হওয়া বাচ্চাদের পরিবারের সামনে নিজের দোষ শিকার করেন।

তিনি ১ম হত্যা করেন জেউডন নামের ১২ বছর বয়সী এক ছেলেকে ( ১৪৩২-১৪৩৩) খ্রিষ্টাব্দের মধ্যে। এই জেউডন ছিল পশম প্রস্তুত কারী Gulliaume Hilairet এর সহকারী।

Gille de rais এর খালাতো ভাই Gilles de sille এবং Roge de Briqueville. সেই পশম প্রস্তুতকারী কে বলে জেউডেন কে নিয়ে যায় Machecoul এ একটি বার্তা পাঠাতে। যা ছিল পুরোই একটি মিথ্যা কথা এবং সেই বালক টি আর ফিরে আসেনি। তারা পরে অপহরনের কথা বলে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়।

Gilles de rais এর ১৯৭১ নং বায়োগ্রাফিতে Jean Benedetti বলেছেন যে বালকটি কিভাবে gille এর হাতে পড়ে ও মারা যায়।

“[The boy] was pampered and dressed in better clothes than he had ever known. The evening began with a large meal and heavy drinking, particularly hippocras, which acted as a stimulant. The boy was then taken to an upper room to which only Gilles and his immediate circle were admitted. There he was confronted with the true nature of his situation. The shock thus produced on the boy was an initial source of pleasure for Gilles.”

Gilles de rais এর দেহ ভৃত্য poitou যিনিও এসব নির্মম হত্যাকান্ডে সহায়তা করতেন তিনি স্বীকার করেছেন যে Gilles ১ম এ বাচ্চা দের কে উলঙ্গ করতো। তারপর তাদের একটি হুকের সাথে বেধে ঝুলিয়ে দিতো এবং তাদের গায়ের উপর বীর্যপাত করতো। এরপর তাদের আশস্ত করা হতো এই বলে যে সে তাদের সাথে কিছুক্ষণ খেলতে চায়। এরপর পরইর তাদের হত্যা করা হতো।

আর যেসব বাচ্চাদের Gilles এর পছন্দ হতো তাদের সে সোডোমাইজ (sodomize = kind of. sexually abuse like oral or anal sex).

সবশেষে তাদের পেট চিরে ফেলে তাদের ভিতরের অঙ্গপ্রতঙ্গ গুলো দেখতেন Gille, তাদের চুমু খেতেন ও পেটের উপর বসে মৃত্যুযন্ত্রনা দেখতেন। শেষে মৃতদেহ গুলো তার রুমের ফায়ার প্লেসে পুড়িয়ে ফেলা হতো।

সকল দোষ প্রমাণিত হওয়ার পর তাকে ফাসির আদেশ দেওয়া হয় এবং ২৬ অক্টোবর, ১৪৪০ খ্রিষ্টাব্দে ৩৫ বছর বয়সে মারা যান। তাকে Church of the monastrey of Notre Dame des carmes যা Nantes এ অবস্থিত, সেখানে দাফন করা হয়। ধারণা করা হয় তার হাতে মারা যাওয়া বাচ্চার সংখ্যা ১৪০ জন।

Caster 3

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Angra Mainyu [Fate series] — Shifat Mohiuddin

চরিত্রঃ Angra Mainyu
এনিমে: Fate/stay night, Fate/Zero, Fate/stay night: Unlimited Blade Works
ভূমিকাঃ খলনায়ক
উপাধি/অপর নামঃ আহিরমান, Source of all evil in the world, Destructive spirit, Daeva of Daevas.
উপস্হিতিঃ জরুথ্রস্টবাদ, মানিবাদ এবং অন্যান্য খ্রিষ্টোত্তর ধর্ম।
¤
অ্যাংগ্রা মাইনয়ু আসলে এমন একটা চরিত্র যাকে কল্পনা করতেই যোগ্যতা লাগে।মূলত ফেইট সিরিজের এনিমেগুলোর শেষ এপিসোডে এর উপস্হিতি লক্ষ করা যায়।এর উপস্হিতি পঙ্কিল এবং বীভৎস(অনেকটা সাউরনের মত)।কাদার মত থকথকে বস্তু দ্বারা এর পুরো দেহ আবৃত।তো,এই চরিত্রটির আমদানি ঘটেছে জরুথ্রুস্টবাদ ধর্ম থেকে।তাদের ধর্মগ্রন্হ আবেস্তার অন্যতম প্রধান বিষয়বস্তু অ্যাংগ্রা মাইনয়ু যার আসল নাম আহিরমান(পার্সি ভাষায় অ্যাংগ্রা মাইনয়ু বলা হয়)।আমি এই লেখায় আহিরমান শব্দটিই ব্যবহার করবো।
¤
অ্যাংগ্রা মাইনয়ু শব্দটির আক্ষরিক অর্থ ধ্বংসাত্মক আত্মা।জরুথ্রুস্টের মতে নামটি এখনো পরিপূর্ণতা লাভ করে নি।এখানে এমন এক মনকে চিহ্নিত করা হয়েছে যার মন কলুষতায় পরিপূর্ণ এবং ধ্বংসই যার টিকে থাকার একমাত্র উদ্দেশ্য।
¤
আবেস্তার প্রথম অংশে আহিরমানকে ডেভাদের (daeva) প্রধান হিসেবে অভিহিত করা হয়।জরুথ্রুস্টের মতে ডেভারা হল fallen angel দের মত,পুরোপরি ডিমন না।ডেভারা অন্ধকার জগতে বাস করে এবং আহিরমান তাদের সর্বময় কর্তা।আহিরমান যাবতীয় নেগেটিভ ইমোশন যেমনঃদুঃখ,কষ্ট,বেদনা,ঘৃণা,হিংসা ইত্যাদির প্রতিনিধিত্ব করে।ধারণা করা হয় যে,আহিরমানই ডেভাদের ভেতরে অন্ধকারের প্রবেশ ঘটিয়েছে,যদিও সে ডেভাদের স্রষ্টা নয়।
¤
জরুথ্রুস্টবাদে আহিরমানের উৎপত্তি নিয়ে সেইরকম কোন তথ্য নেই।যেন,সৃষ্টির প্রথম থেকেই আহিরমান ছিল।আর আহিরমানের বিপরীত সত্ত্বা হল ওহরমাজদা।ওহরমাজদা হল আলোর প্রতীক এবং সে ইয়াজদাদের (creature of light) নিয়ন্ত্রন করে।তবে ইয়াসনার ৩০.৩ স্লোক অনুযায়ি দুইজন পবিত্র যমজের উৎপত্তির কথা বলা হয়েছে যাদের একজনের নাম অ্যাংগ্রা মাইনয়ু এবং অপরজনের নাম স্পেনটা মাইনয়ু।এই স্লোকটি চিরকালীন ওহরমাজদা-আহিরমান বিশ্বাসে চিড় ধরায়।তবে আহিরমানের উৎপত্তির বিস্তারিত বর্ণনা রয়েছে জুরভানিজম ধর্মে।
¤
জুরভানিজম (zurvanism) হল জরুথ্রুস্টবাদের একটি শাখা ধর্ম যা ব্যাপকভাবে প্রচলিত হয়।পরে অবশ্য শাসকদের রক্তচক্ষুর প্রভাবে এই ধর্ম বিলুপ্ত হয়ে যায়।তবুও আধুনিক জরুথ্রুস্টবাদে এখনও জুরভানিজমের প্রভাব দেখা যায়।
জুরভানিজম অনুসারে,বিশ্বজগতে প্রথম উপাদান ছিল জুরওয়ান(time) নামের একজন উভলিঙ্গ দেবতা।জুরওয়ান বংশবৃদ্ধিতে আগ্রহী ছিল এবং চাইতো যে তার পক্ষ থেকে কেউ যেন স্বর্গ আর নরক তৈরি করে।সন্তান লাভের জন্য জুরওয়ান ১০০০ বছর ধরে সাধনা করে।এই দীর্ঘ সাধনার ফল না পাওয়ায় জুরওয়ানের মনে সামান্য সন্দেহ দেখা দেয় এবং তৎক্ষনাৎই সে যমজ সন্তানের অধিকারী হয়।এই সন্তানদ্বয় ছিল ওহরমাজদা এবং আহরিমান।বলা হয় যে,সেই সাধনার ফসল ছিল ওহরমাজদা এবং সেই সূক্ষ সন্দেহের ফসল ছিল আহরিমান।
জুরওয়ান সিদ্ধান্ত নেন,যে সন্তান আগে গর্ভ ভেদ করবে তাকেই তিনি সার্বভৌম ক্ষমতা দান করবেন।ওহরমাজদা এই কথা বুঝতে পারে এবং তার ভাই আহিরমানকে এই ব্যাপারে অবহিত করে।আহিরমান এই কথা শুনে জুরওয়ানের উদর বিদীর্ন করে বাইরে বের হয়ে আসে।জুরওয়ান তার কথা মতো,আহিরমানকে সার্বভৌম ক্ষমতা দান করেন তবে তা ৯০০০ বছরের জন্য।তিনি বলে দেন যে,৯০০০ বছর পরে ওহরমাজদাই এই মহাবিশ্ব শাসন করবে।
আহিরমান আর ওহরমাজদা পরষ্পরের সাথে বেশ কয়েকবার যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।অবশ্য সব ধর্মগ্রন্থের শেষেই বলা হয়েছে শেষমেষ আহিরমানই পরাজিত হবে এবং নরকে পতিত হবে।যেহেতু,নরক তার নিজেরই সৃষ্টি।
আহিরমান এবং ওহরমাজদা উভয়েই একে অপরকে চ্যালন্জের মাধ্যমে পৃথিবীকে বৈচিত্র্যময় বানিয়েছে।যেমনঃওহরমাজদার ষোলটি শুভ শক্তির বিপক্ষে আহিরমান ষোলটি অশুভ শক্তির ব্যবহার করেন।এই অশুভ শক্তি গুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল মহামারি,দুর্ভিক্ষ,শীত ইত্যাদি।মানুষ নিয়মিতই তাদের যুদ্ধের কেন্দ্রে থাকত এবং তাদের কাজ হতো চারিদিকের এই অন্ধকারের মধ্যে অন্তরের সততা বজায় রাখা।কলুষতার ছোঁয়া পেলেই ডেভারা মানুষের আত্মাকে অপবিত্র করে ফেলতে পারতো।
¤
আধুনিক যুগে অবশ্য আহিরমানের উৎপত্তি নিয়ে ভিন্নমত পোষণ করা হয়।১৮৬২ সালে মার্টিন হগ নামক একজন ব্যক্তি আহিরমানের উৎপত্তির নতুন ব্যাখা দেন।তাঁর মতে,আহিরমান,ওহরামাজদার সমসাময়িক কেউ নয়।বরং ওহরামাজদারই নিজস্ব দুই সৃষ্টি হল অ্যাংগ্রা মাইনয়ু এবং স্পেনটা মাইনয়ু,যারা যথাক্রমে ওহরামাজদার ‘সৃষ্টি’ এবং ‘ধ্বংস’ বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে।এইখানে স্পেনটা মাইনয়ু নামক নতুন এক সৃষ্টির অস্তিত্ব ঘোষণা করা হয়।হগের মতে এটাই জরুথ্রুস্টবাদের মূলনীতি এবং কালেক্রমে এটাই বিকৃত হয়ে প্রচলিত রূপ নিয়েছে।
হগের এই তত্ত্ব ইয়াসনার ৩০.৩ স্লোকের যমজ সন্তান তত্ত্বকে মারাত্মক ভাবে সমর্থন করে।সমকালীন পন্ডিতেরাও হগের তত্ত্বে সমর্থন দেন এবং তাদের মতে হগের তত্ত্ব জরুথ্রুস্টবাদকে আধুনিক যুগের সাথে মানানসই করেছে।
মজার ব্যাপার হল,রুডলফ স্টাইনার নামক প্রখ্যাত একজন দার্শনিকের মতে আহিরমানের পূর্নজন্ম হবে।তাঁর মতে ৩০০০ খ্রিষ্টাব্দের পর আহিরমানের আবির্ভাব ঘটতে পারে।বর্তমান পৃথিবীতে বিদ্যমান অস্হিতিশীলতাই হবে তার আবির্ভাবের কারণ।তিনি আহিরমানকে মাত্র দুইজনের একটি তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করেছেন যারা কিনা যীশুর মৃত্যুর পর যীশুর ফোকাস নিজেদের দিকে টেনে নিতে সক্ষম হয়েছে।
¤
রেফারেন্সঃ সাহিত্য,সংষ্কৃতি এবং মিডিয়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে আহিরমানকে প্রচুরভাবে উপস্হাপন করা হয়েছে।তবে একটি উদাহরন না দিলেই নয়।বাংলাদেশের সুলেখক তানজীম রহমানের থ্রিলার-হরর উপন্যাস ‘আর্কনে’ অ্যাংগ্রা মাইনয়ুর(আহিরমান) কথা উল্লেখ আছে।আর্কন উপন্যাসের একটি প্রধান খল চরিত্র হল আর্কনেরা।জানলে খুশি হবেন যে এই আর্কনেরা হল ডেভাদের অনুরূপ।তাদের শাসনকর্তাও হল আহিরমান।লেখক আর্কন উপন্যাসে মানিকেয়িজম নামক এক ধর্মের আশ্রয় নিয়েছেন যা জরুথ্রুস্টবাদের অনুরূপ ধর্ম।এমনকি বইয়ের কয়েক জায়গায় আহিরমান লেখাও আছে।বইটির পাঠকেরা নিশ্চয়ই ব্যাপারটা বুঝতে পেরেছেন।যারা ফেইট সিরিজের ভক্ত তারা অবশ্যই আর্কন বইটা পড়ে দেখতে পারেন।
¤
স্পয়লার অ্যালার্ট
Fate/hollow ataraxia অনুযায়ি (আমি hollow ataraxia খেলি নাই।অনিন্দ্য ভাইয়ের পোস্ট এবং পরে উইকিতে কাহিনী জানতে পারি।)অ্যাংগ্রা মাইনয়ুকে অ্যাভেন্জার ক্লাস হিসেবে থার্ড হোলি গ্রেইল ওয়ারে সামন করার চেষ্টা করা হয়।কিন্তু যে সামন হয় সে নাকি একজন সাধারন বালক ছিল যার জন্ম নাকি মধ্যপ্রাচ্যে।এক্ষেত্রে টাইপ মুনের প্রশংসাই করতে হয় কারণ জরুথ্রুস্টবাদের উৎপত্তি ঘটেছিল ইরাকে।মধ্যপ্রাচ্যের চেয়ে উপুযুক্ত কোন জায়গায় অ্যাভেন্জারের জন্ম নেওয়া সম্ভব ছিল না।
¤
source:all hail wikipedia 😛

Angra Mainyu

রিভিউ কন্টেস্ট এন্ট্রি [২০১৫] #১৯: Fate/Zero — Debashish Paul

এনিমে- ফেইট/জিরো
এপিসোড- ২৫ (দুই সিজন মিলিয়ে)
জনরা- একশন, ফ্যান্টাসি, সুপারন্যাচারাল
স্টুডিও- Ufotable
মাইএনিমেলিস্ট রেটিং- ৮.৬৯/১০ (দুই সিজন মিলিয়ে)

 

প্লট- ফেইট/জিরোর কাহিনী হচ্ছে ফেইট/স্টে নাইট সিরিজের ১০ বছর আগের ফুয়ুকি সিটিতে হওয়া ‘৪র্থ হোলি গ্রেইল ওয়ার’ নিয়ে। ‘হোলি গ্রেইল’ হচ্ছে একটি খ্রিষ্টান রেলিক, এটি যে পাবে তার যেকোনো একটি ইচ্ছা  গ্রেইলটি পূরণ করবে। ‘হোলি গ্রেইল ওয়ারে’ ৭জন মানুষ, ৭জন হিরোয়িক স্পিরিটকে আহ্বান করে। হিরোয়িক স্পিরিটরা হচ্ছে প্রাচীনকালের বিভিন্ন বড় বড় যোদ্ধা, যারা জীবিতাবস্থায় এমনসব কাজ করেছে যাতে তাদেরকে তাদের মৃত্যুর পর ‘হিরো’ উপাধি দেয়া হয় এবং তাদের কিছু ইচ্ছা তাদের জীবিতাবস্থায় পূরণ করা হয়নি। তারা আমাদের সময়ের হিসাবের বাইরে, তার মানে তাদেরকে যেকোনো সময় থেকে এই যুদ্ধে আহ্বান করা যাবে। এই যুদ্ধে ঐ ৭জন মানুষ অংশগ্রহণ করে ‘মাস্টার’ হিসেবে আর ৭জন হিরোয়িক স্পিরিট ‘সার্ভেন্ট’ হিসেবে। ‘হোলি গ্রেইল ওয়ার’ হচ্ছে এই ৭জন মাস্টার এবং ৭জন সার্ভেন্টের যুদ্ধ। যুদ্ধ শেষে যে জিতবে, সেই পাবে ‘হোলি গ্রেইল।’

 

রিভিউ- ফেইট/জিরো সম্পর্কে বলতে গেলে প্রথমেই বলতে হবে এটির কাহিনীবিন্যাসের কথা। ফেইট/জিরোর কাহিনীবিন্যাস অসাধারণ। আমার দেখা সবচেয়ে সেরাদের একটি। কাহিনী খুবই সুন্দরভাবে গুছিয়ে দেখানো হয়েছে। কোন তাড়াহুড়ো নেই, আবার খুব ধীরগতিরও নয়। মারাত্মক সব  টানটান উত্তেজনাপূর্ণ মুহূর্তে ভরা। একটি এপিসোড দেখলে অন্যটি দেখার ইচ্ছা জাগবেই।

‘হিরো অফ জাস্টিস’ নিয়ে কিরিতসুগুর সংলাপগুলো যথেষ্ট ভাল। আবার ইস্কান্দার, আর্তুরিয়াদের রাজার দায়িত্ব নিয়ে সংলাপগুলো শুনলে মনে হবে সত্যিকারের রাজাদের কথোপকথন শুনছেন।

ফেইট/জিরোর ক্যারেক্টার ডেভেলপমেন্ট অনবদ্য। প্রত্যেক মাস্টার এবং সার্ভেন্টই মানানসই। মাস্টারদের মধ্যে বিশেষ করে কিরিতসুগু, কিরেই, তোকিয়মি। সার্ভেন্টরাও অনবদ্য। গিলগামেশ, আর্তুরিয়া, ইস্কান্দার এবং বাকি সবাই একদমই মানানসই। কিছু কিছু চরিত্র একদম আজীবন মনে গেঁথে থাকার মত।

ওপেনিং, এন্ডিং সং, ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকগুলোর মান খুবই ভাল। সার্ভেন্টদের যুদ্ধের সময় ব্যাকগ্রাউন্ডে বাজা মিউজিকগুলো খুবই মানানসই; যুদ্ধের আবহ সৃষ্টি করে।

এনিমেশন কোয়ালিটির জন্য ফেইট/জিরো নামকরা। মারাত্মক সব চোখধাঁধানো এনিমেশন। দেখলে অনেকসময় মনে হবে আপনি ঐ দৃশ্যে আছেন এবং আপনার সামনেই সবকিছু ঘটছে। Ufotable এক্ষেত্রে অসাধারণ কাজ করেছে।

যেহেতু এই এনিমের মূল কাহিনীই যুদ্ধ নিয়ে, সেহেতু যুদ্ধগুলোর মান নিয়ে আলাদাভাবে বিশ্লেষণ করা প্রয়োজন। সার্ভেন্টদের যুদ্ধ করার ধরন একেকজনের একেকরকম। সার্ভেন্টরা সাধারণত অন্য সার্ভেন্টদের সাথেই যুদ্ধ করে, তাদের মাস্টারদের নির্দেশে। সার্ভেন্টদের একেকজনের থাকে ভিন্ন ভিন্ন ‘নোবেল ফ্যান্টাজম’, যেটি তাদের স্পেশাল পাওয়ার। মাস্টারদের নিজেদের মধ্যেও যুদ্ধ হয়। মাস্টারদের যুদ্ধ মূলত ‘মাইন্ড গেম’। একেক মাস্টার অন্য মাস্টারদের মাইন্ড গেমে পরাজিত করার চেষ্টা করেন। কিরিতসুগু এবং কিরেই এর মাইন্ড গেম অ-সা-ধা-র-ণ!

সবকিছু মিলিয়ে ফেইট/জিরো একটি অসাধারণ এনিমে। কাহিনীবিন্যাস, এনিমেশন, মিউজিক সব ক্ষেত্রেই খুবই ভাল। সব ভাল তার, শেষ ভাল যার। ফেইট/জিরোর শেষটাও যথারীতি খুবই ভাল হয়েছে। যতটুকু এখানে বলা হয়েছে, তার চেয়েও ভাল দেখার আশা করলেও নিরাশ হবেন না।

19 FZ

চরিত্র বিশ্লেষন এবং উৎস অনুসন্ধান – Caster [Fate/Zero] — Shifat Mohiuddin

¤
চরিত্র: Caster
এনিম: ফেইট/জিরো
ভূমিকা: খলনায়ক
¤
আসল নাম: Gilles de Rais
জাতীয়তা: ফ্রেন্ঞ্চ
উপাধি: মার্শাল,ব্যারন,ডিউক অব ব্রিটানি
জন্ম: সেপ্টেম্বর,১৪০৫
মৃত্যু: ২৬ অক্টোবর,১৪৪০
মৃত্যুর ধরন: মৃত্যুদন্ড
¤
আমরা অনেকেই ফেইট জিরো এনিমেতে অদ্ভুত চেহারা এবং খনখনে কন্ঠস্বর বিশিষ্ট চরিত্র ক্যাস্টারের কাজকর্ম দেখে আতঙ্কিত হয়েছি।শিশুহত্যায় পারদর্শি এই চরিত্রটি ইতিহাসের একটি বাস্তব চরিত্রের সাথে সম্পর্কযুক্ত।যদিও তিনি আরতুরিয়া,ইস্কান্দর এবং গিলগামেশের মত সুপরিচিত নন এবং তার আসল নাম খুব কমই উল্লেখ করা হয়েছে।এনিমেতে তাকে অনেক আন্ডারএস্টিমেট করা হলেও বৈচিত্রের দিক দিয়ে তার জীবন অন্যান্য হিরোয়িক স্পিরিটদের চেয়ে কোন অংশে কম নয়।
¤
গিলাস ডি রেইস ছিলেন একাধারে একজন বীর নাইট এবং অত্যন্ত ধনী একজন জমিদার।তিনি তার পিতামহ কর্তৃক লালিত হন এবং তার বিশাল সম্পত্তির মালিক হন।তিনি ছিলেন ফ্রান্সের ব্রিটানি প্রদেশের জমিদার।পরবর্তিতে তিনি বিয়ের মাধ্যমে তার সম্পত্তি আরো বৃদ্ধি করেন।তিনি Anjou এবং Poito প্রদেশের জমিদারিত্বও লাভ করেন।
¤
গিলাস ফেন্ঞ্চ সেনাবাহিনীতে ১৪২৭ থেকে ১৪৩৫ পর্যন্ত অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন।ব্রিটেন এবং ফ্রান্সের মধ্যে সংগঠিত হওয়া শতবর্ষী যুদ্ধে তিনি জোয়ান অফ আর্কের সাথে যুদ্ধ করেন।যুদ্ধে বীরত্বসূচক অবদানের জন্য মার্শাল অফ ফ্রান্স উপাধি লাভ করেন।
¤
১৪৩১ সালে যখন জোয়ান অফ আর্ককে খুঁটিতে অগ্নিদগ্দ্ধ করা হয় তখন তিনি সেখানে উপস্হিত ছিলেন না।এই ব্যাপারে মনে হয় গিলাসের মনে অনেক আফসোস ছিল।ফেইট জিরো এনিমেতে জোয়ানের[আরতুরিয়ার]প্রতি তার দুর্বলতা দেখে বিষয়টা বোঝা যায়।
¤
১৪৩৫ সালে গিলাস সেনাবাহিনী থেকে অবসর নেন।তিনি একটি বিলাসবহুল বৃহৎ গির্জা নির্মানে হাত দেন।নির্মানকাজের অর্থ জোগাড়ের জন্য তিনি তার সব সম্পত্তি বিক্রি শুরু করেন।কিন্তু ক্যাথলিক কর্তৃপক্ষ গিলাসের আত্নীয়দের অনুরোধে তার এই গনহারে সম্পত্তি বিক্রির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।এতে গিলাস গির্জা কর্তৃপক্ষের উপর অত্যন্ত ক্ষুদ্ধ হন।
¤
১৪৩৮ সালে গিলাস অধিক অর্থ উপার্জনের জন্য আলকেমি এবং অন্যান্য নিষিদ্ধ কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।কথিত আছে তিনি নাকি ব্যারন নামের একটি আত্নাকে নিজের অধীনে আনতে চেয়েছিলেন।
¤
১৪৩২ সালে গিলাসের বিপক্ষে প্রথম শিশুহত্যার অভিযোগ আনা হয়।এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে গিলাসের বিপক্ষে ট্রায়াল গঠন করা হয়।ট্রায়ালে গিলাসের বিপক্ষে তিনটি গুরুতর অভিযোগ আনা হয়।তার বিরুদ্ধে ১৪০ জন শিশুহত্যার প্রমান পেশ করা হয়।অনেকের মতে নাকি হত্যাকান্ডের সংখ্যা নাকি ৬০০ এর উপরে!হত্যাকান্ডগুলো ১৪৩২ থেকে ১৪৪০ সালের মধ্যে সংগঠিত হয়।১৪৩৭ সালে গিলাসের এক আস্তানা থেকে ৩৭ টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।গিলাস তার চাকরদের সাহায্যে গ্রামান্ঞ্চল থেকে তার শিকারদের সংগ্রহ করতেন।তার ভিকটিমদের বয়স ছিলো ছয় থেকে আঠারো বছরের মধ্যে।মূলত ছেলে শিশুরাই তার মূল আকর্ষন ছিল।হত্যাকান্ডগুলোর বর্ননা অত্যন্ত নৃশংস বলে আমি বিষয়টা এড়িয়ে যাচ্ছি।যারা ফেইট জিরো দেখেছন তারা বিষয়টি ভালো বুঝতে পারবেন।
¤
গিলাস জিজ্ঞাসাবাদ পর্বে[পড়ুন রিমান্ডে] তার সকল অপরাধ স্বীকার করেন।তার এক বিশ্বস্ত চাকর হত্যাকান্ডের কৌশল এবং পদ্ধতি বর্ননা করে।গুরুতর অপরাধের সাজা হিসেবে গীর্জা গিলাস এবং তার দুই চাকরকে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত করে।২৬ অক্টোবর,১৪৪০ সালে গিলাস ডি রেইসকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।
¤
মজার ব্যাপার যে অনেক ঐতিহাসিক মনে করেন যে গিলাস নির্দোষ এবং সবকিছুই গীর্জার কারসাজি।সর্বোপরি বলা যায়,গিলাস ডি রেইস ছিলেন একজন জ্বাজল্যমান বীর যোদ্ধা,কিন্তু তিনি পতিত হলেন পাপের অন্ধকার গহ্বরে।
¤
আরেকটা ব্যাপার হলো এত নিষিদ্ধ কাজ করার পরেও গিলাস পুরোপুরি ঈশ্বরে বিশ্বাসী ছিলেন।এই ব্যাপারটি ফেইট জিরোতে গিলাসের প্রতি ঈশ্বরের প্রত্যাখানের বিষয়টি ব্যাখা করে।
¤
অনেকে গিলাসকে বিখ্যাত লোককথা ‘Bluebeard’ এর উৎস মনে করে।এজন্যই বোধহয় গিলাস তার মাস্টার রিয়োনসকিকে গিলাসকে ব্লুবিয়ার্ড সম্বোধনে ডাকতে বলে।
¤
পোস্টটা অনেক বড় তাই অনেকে বিরক্ত হবেন।তবে আশা করি সকলেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।

Fate Zero - Caster

শিকড়ের সন্ধানেঃ পর্ব ৫

আজকের নাতিদীর্ঘ এপিসোডে আলোচিত হচ্ছে ফেইট স্টে নাইট আর ফেইট জিরোর হলি গ্রেইল আর সেবার, গিলগামেশ আর বার্সার্কারের ঐতিহাসিক ও মিথিক্যাল ব্যাকগ্রাউন্ড।

(কনটেন্ট কারটেসিঃ বিখ্যাত এনিমখোর ফারসিম আহমেদ।)

আলোচিত এনিমেঃ ফেইট জিরো, ফেইট স্টে নাইট, আনলিমিটেড ব্লেইড ওয়ার্কস, কার্নিভাল ফ্যান্টাজম (প্যারোডি)

হলি গ্রেইলঃ 

হলি গ্রেইল আসলে কি সেটা নিয়ে অনেক ধরণের মত রয়েছে, কারো মতে এটা হলো পাত্র, কাপ যা দিয়ে যিশু কোন কিছু পান করতেন, আবার কারো মতে এ হলো সেই পাত্র যাতে সেইন্ট পিটার যিশুর রক্ত সংগ্রহ করেছিলেন। গ্রেইলের তাৎপর্য আর ক্ষমতা নিয়েও মতভেদ রয়েছে, ধারণা করা হয় এটি যেকোন রোগ নিরাময় করতে পারে, আবার যে কাউকে অমরত্ব দিতে পারে, আবার কোন এক লিজেন্ড অনুযায়ী হলি গ্রেইল যার কাছে থাকবে তার কোন অমঙ্গল সম্ভব নয়, খ্রিষ্টপর প্রথম শতক থেকেই গ্রেইল হান্টিং খ্রিষ্টান কমিউনিটির কাছে খুব জনপ্রিয় একটা ব্যাপার, কিং আর্থার আর তার বিখ্যাত নাইটরাও অংশ নিয়েছিল গ্রেইল কোয়েস্টে, অংশ নিয়েছিল ১২-১৩ শতকের দিকে হঠাৎ করে প্রভাবশালী হয়ে উঠা নাইট টেম্পলাররা।

কিছু মুভি যেখানে হলি গ্রেইলকে ফিচার করা হয়েছেঃ

দ্যা কোয়েস্ট অব দ্যা হলি গ্রেইল (১৯১৫)

মন্টি পাইথন এন্ড দ্যা হলি গ্রেইল, কমেডি মুভি (১৯৭৫)

এক্সক্যালিবার (১৯৮১)

সেইবার/ কিং আর্থার 

ফেইট স্টে নাইট- ফেইট জিরো এনিমের বিপুল আলোচিত সেবার, চোখ ঝলসানো রুপবতী দুর্ধর্ষ এই যোদ্ধার পাস্ট লিংকেজ হিসাবে এসেছে আর্থার, ‘দ্যা ওয়ান্স এন্ড ফিউচার’ কিং অব ইংল্যান্ড। ব্রিটোনিয়ান হিস্ট্রিতে প্রায় ৬০০ শতকে কিং আর্থারের লিজেন্ড পাওয়া যায়। অর্ধেক রোমান, অর্ধেক ব্রিটিশ রক্তের অধিকারী আর্থার রোমান সাম্রাজ্য পরবর্তী ব্রিটেনকে রক্ষা করেন স্যাক্সন আগ্রাসন থেকে। আর্থার আর তার দুঃসাহসী নাইটদের বীরত্ব, সাহসিকতা, মহানুভবতার গল্প ছড়িয়ে আছে ব্রিটেনের অলিগলিতে।

আর্থার আর বিখ্যাত তরবারী এক্স-ক্যালিবার (যা কোন আঘাতেই ভাঙ্গে না) মোটামুটি সর্বজনবিদিত, কিং আর্থার তার জ্ঞানী উপদেষ্টা (কোন বর্ণনায় ম্যাজিশিয়ান) মার্লিনের পরামর্শে রহস্যময় লেকে খুঁজে পান এই এক্স-ক্যালিবার, আর এর স্ক্যাবার্ড যেকোন আঘাতের বিরুদ্ধে শিল্ড হিসাবে কাজ করতে পারে। আর্থার সর্বমোট ১২টি যুদ্ধ জয়ে নেতৃত্ব দেন ব্রিটেনকে। তার সবচেয়ে ট্রাস্টেড নাইট ল্যান্সিলট আর আত্মীয় মরড্রেডের বিদ্রোহ দমনে গুরুতর আহত আর্থার, তখন তাকে একটি ভেলায় করে নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়, তারপর আর কেউ তার খোঁজ পায় নি, কেউ বলে তিনি মারা গেছেন, আর কেউ বলে আর্থার এখনো জীবিত, ব্রিটেনের ভবিষ্যত কোন দূর্যোগে আবার ফিরে আসবেন তিনি ব্রিটেনকে জয়ের পথ দেখাতে, তাই তাকে বলা হয় ওয়ান্স এন্ড ফরেভার কিং

কিন্ত ফিরে আসার সময় যে তিনি সেবারের মত পরমাসুন্দরী রুপে আসবেন সেটা কিন্তু কোথাও বলা হয় নি !!

কিং আর্থার নিয়ে কিছু মুভিঃ

এক্সক্যালিবার (১৯৮১)

কিং আর্থার (২০০৪)- খুব ভালো, দেখা উচিত…

কেমেলট (টিভি সিরিজ, ২০১০)

লিজেন্ড অব কিং আর্থার (টিভি সিরিজ ১৯৭৯)

সিজ অব দ্যা সেক্সন্স (১৯৬৩)

দ্যা লাস্ট লিজিয়ন (২০০৭)

বার্সারকার/ হারকিউলিসঃ 

সম্ভবত আমাদের সবাই কমবেশি শুনেছি হারকিউলিসের নাম, মিথ, নাটক, মুভি, সিরিয়াল, গেইম বিভিন্নক্ষেত্রে অতি জনপ্রিয় শক্তিমত্তা আর বীরত্বের প্রতীক এই গ্রিক ডেমিগডকে তুলে আনা হয়েছে ফেইট স্টে নাইটের বার্সারকাররুপে…

হারকিউলিস মূলত গ্রীক ডেমিগড হেরাক্লসের রোমান নাম, কুইন অব আরগসের গর্ভে জন্ম নেওয়া দেবতাপুরী অলিম্পাসের অধিপতি বজ্রদেব জিউসের সর্বশেষ মনুষ্য সন্তান, অপ্রতিদ্বন্দ্বী শারীরিক শক্তির জন্য বিখ্যাত। হারকিউলিসের সর্বপ্রথম লিজেন্ড ছিল সম্ভবত কুখ্যাত মানুষখেকো নেমিয়ান লায়নকে খালি হাতে দমন করা, এছাড়াও হারকিউলিসের আছে বিখ্যাত ১২ লেবার (১২ টি কোয়েস্ট) যার মধ্যে অন্যতম হলো বহুমাথাওয়াল দানব হাইড্রা আর ভয়ংকর মিনাটর নিধন।

বার্সারকার চরিত্রে যেভাবে দেখানো হয়েছে হারকিউলিস তেমনই মাথামোটা, বদরাগী ছিল, তার বেশিরভাগ দুর্ভোগের কারণ তার বদমেজাজ আর বুদ্ধিশুদ্ধির অভাব, তবে বন্ধুবাৎসল আর মহানুভব হিসাবেও তার পরিচিতি রয়েছে। হারকিউলিস একমাত্র ডেমিগড যে মৃত্যুর পর পূর্ণ দেবতার স্থানে অধিষ্ঠিত হয়।

হারকিউলিসের কিছু মুভি ও টিভি সিরিজঃ 

হারকিউলিস ইউনিভার্সাল টেলিভিশন মুভিস (৫ টা মুভি, ১৯৯৪)

হারকিউলিস (১৯৯৭)

লিজেন্ড অব হারকিউলিস (২০১৪)

দ্যা লিজেন্ডারি জার্নিস অব হারকিউলিস (টিভি সিরিজ, ১৯৯৮)

ইয়াং হারকিউলিস (টিভি সিরিজ, ৯৮-৯৯)

গিলগামেশ/দ্যা কিং অব হিরোসঃ 

গিলগামেশ, ফেইট সিরিজের অন্যতম প্রভাবশালী চরিত্র কিন্তু সরাসরি গ্রীক-এশিয়ান মিথ থেকে এসেছে, খ্রিষ্টপূর্ব ২৫০০ সালের দিকে রাজত্ব করা উরুকের (ব্যবিলন, বর্তমান ইরাক-দামেস্ক-সিরিয়া) রাজা। কথিত আছে, গিলগামেশ পুরো পৃথিবী জুড়ে তার রাজত্বকে সম্প্রসারিত করতে পেরেছিল, ইসলামী হিস্ট্রিতে একই টাইমলাইনে এরকম এক অত্যাচারী পুরো পৃথিবীর রাজা বখত-নসরের (কিংবা নমরুদ) উল্লেখ পাওয়া যায় যার সাথে খুব মিলে যায় এই গিলগামেশের।

গিলগামেশ আসুরিক শক্তির অধিকারী, তীব্র অহংকারী ও অত্যাচারী রাজা ছিল, তার অত্যাচারের নমুনা বলতে গেলেঃ উরুকের সমস্ত তরুণদের ধরে এনে বাধ্যতামূলক অসহ্য কায়িক পরিশ্রম করাত সে, আর তরুণীদের বিয়ের রাতে তার সাথে থাকতে হত, দেব-দেবীদের ও মানত না সে। দেবতারা তাকে শায়েস্তা করার জন্য পাঠান বনমানুষ এনকিদোকে, কিন্তু প্রচন্ড যুদ্ধের পর এনকিদো গিলগামেশের সবচেয়ে কাছের বন্ধুতে পরিণত হয়, দু’জনে মিলে তারা বেরিয়ে পড়ে ভয়ংকর সব এডভেঞ্চারে, এর মধ্যে রয়েছে বুল অব হেভেন আর বনের অপদেবতা শামাস দমন।

ঘটনাক্রমে এনকিদো মারা গেলে গিলগামেশ শোকে অভিভূত হয়ে পরে, সে সমস্ত রাজত্ব-অহংকার-সৈন্যসামন্ত ছেড়ে বেরিয়ে পড়ে জীবনের অর্থ অন্বেষণে আর অমরত্বের খোঁজে (এইখানে আবার আরেক পৃথিবীবিজয়ী সিকান্দার জুলকারনাইনের সাথে মিল রয়েছে), কিন্তু দীর্ঘ সাধনার পরও অমরত্বের সন্ধানে ব্যর্থ হয়ে অবশেষে ১২৬ বছর রাজত্ব করার পর মারা যায় গিলগামেশ।

সমসাময়িক সমস্ত বীরদের চাইতে বেশি শক্তিশালী ছিল গিলগামেশ, আর সব ধনীর ধন এক করলেও তার সমান হত না, তাই তাকে বলা হয় কিং অব হিরোজ…।