JoJo’s Bizzare Adventure (2012) [রিভিউ] — Zahin Mobashshir

JoJo

JoJo’s Bizzare Adventure (2012)
এপিসোড সংখ্যা: ২৬
জনরা: একশন, অ্যাডভেঞ্চার, সুপারন্যাচারাল, শৌনেন

সাধারণ এনিমের সুথিং ব্যাপারটা থেকে বের হয়ে একটু বোল্ড কিছু দেখতে চাইলে এই এনিমের বিকল্প হয় না। সৌনেন এনিমে মানেই একটু ফ্ল্যাশি কিছু, রুড ডায়োলগ, আর ফাইটের সময় টাইম ল্যাপ্সের ব্যাপার স্যাপার। কিন্তু এই এনিমে সৌনেনকেই মনে হয় নতুন রূপ দিয়েছে। এর মাঝে সাধারণ সৌনেন এনিমের সব তো আছেই বরং একটু বেশি করেই আছে।

এই এনিমের আর্ট আমার দেখা আজ পর্যন্ত সবচেয়ে ব্যতিক্রম আর সুন্দর আর্ট। মাঙ্গাকা ঠিক যেভাবে তার কাহিনীতে বলতে চেয়েছিল মনে হয়েছে এনিমেটা ঠিক সেভাবেই বানিয়েছে। এই এনিমের আর্ট দেখে যাতে কারওই চোখ ঝলসাতে বাদ না থাকে, সে ব্যাপারটা নিশ্চিত করা হয়েছে। এখানে এমন সব রঙের মিশ্রণ ব্যবহার করা হয়েছে যা আসলেই কোন এনিমেতে দেখা যায় না। এনিমেটা দেখার সময়ে আমার বারবার Cadillacs and Dinosaurs গেমটার কথা মনে হয়েছে কারন এনিমেটার আর্ট স্টাইলের সাথে খানিক মিল খুজে পেয়েছি আবার ক্যারেক্টারগুলাও দেখতে প্রায় একই রকম।

Jojo’s Bizzare Adventure এর সবচেয়ে যেই জিনিসটা আমার কাছে ভাল লেগেছে তা হল এর সাউন্ডট্রাক এবং সেটার যথাযোগ্য ব্যবহার। এটার ওপেনিং এর সিড়ির উপরে নায়ক আর নিচে ভিলেন দাড়ানোর সিনটা দেখে বাংলা সিনেমার কথা মনে পড়ে গিয়েছিল। এর কাহিনীতেও ঐরকম কিছুটা মিল আছে, সেটা উল্লেখ করতে একটা কথা না বললেই নয়। ভিলেনকে না মেরে আগেই উদযাপন না করলেই কি হইতো না।
যাই হোক এটার সাউন্ডট্রাকের মধ্যে সেরা হলো Roundabout। এই অসাধারণ একটা সাউন্ডট্রাক ঠিক কোথায়, কিভাবে ব্যবহার করলে এটার মর্যাদা আরও বেড়ে যাবে সেটা খুবই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে খেয়াল করা হয়েছে। প্রতিটা ক্লিফহ্যাঙ্গার মানেই Roundabout। এই এনিমের সবচেয়ে সেরা মুহুর্ত ছিল এক Jojo এর খুবই ঘনিষ্ট একজন মারা যাওয়ার পরে তারা আএ এন্ডিংই দিল না। আমি জানি এটা তেমন আহামরি কিছু না তাও মৃত মানুষকে শ্রদ্ধা দিতে এতটুকু করেছে বলে আমার মনে হওয়ায় এটাই আমার দেখা সেরা মুহুর্ত।

এনিমেটার কাহিনী সম্পর্কে কিছু বলার আসলে কোনই দরকার পড়ে না কারন এর নামই এই এনিমের কাহিনীর বহিঃপ্রকাশ। ২৬ এপিসোডে দুইটা আর্ক শেষ হয় এবং প্রতি আর্কে একেকটা JoJo অর্থাৎ Joestar পরিবারের একেকজন কর্ণধারের কাহিনী বর্ণিত হয়েছে। প্রতিটা কাহিনীই খুবই সুন্দরভাবে বর্ণনা করা হয়েছে আর এখানের ফাইট এবং সুপারন্যাচারাল জিনিসপাতির ব্যাখ্যাও খুবই সুন্দরভাবে দেওয়া হয়েছে।
সর্বপরি আমার কাছে এই এনিমেটা খুবই ভালো লেগেছে। আপনাদেরও যদি ব্যতিক্রম ধাচের কিছু দেখার ইচ্ছা থাকে তাহলে এটা দেখে ফেলুন।

Kuroko no Basuke – Extra Game [মাঙ্গা রিভিউ] — Zahin Mobashshir

kuroko-no-basuke-extra-game

মাঙ্গা: Kuroko no Basuke – Extra Game
চ্যাপ্টার সংখ্যা: ০৮

কুরকো এনিমেটা যারা দেখেছেন তারা মনে হয় ইতিমধ্যেই শুনেছেন যে কুরকোর নতুন একটা মুভি আসতে পারে। সেই মুভিটা এই মাঙ্গা থেকে এডাপ্ট করা হবেই জানা গেছে।
মাঙ্গার কাহিনী তৈরি হয়েছে একটা ম্যাচকে কেন্দ্র করে।
আমেরিকা থেকে এক স্ট্রিট বাস্কেটবল দল এসেছে জাপানের অল-স্টার টিমের সাথে এক প্রীতি ম্যাচ খেলার জন্যে। খেলা শেষে জাপানের সেই টিম খুবই দুর্বিষহভাবে হেরে যায়। কিন্তু আমেরিকার সেই স্ট্রিট বাস্কেটবল টিম ঐ টিমকে হারিয়েই ক্ষান্ত হয়নি বরং তাদেরকে যাচ্ছেতাই কথা শুনায় এবং গালিগালাজও করে। খেলাটা টিভিতে সরাসারি সম্প্রচার করায় পুরা জাপানের প্রায় সকলেই খেলাটি দেখে এবং এই ঘটনা চাক্ষুষ করে।
জেনারেশন অব মিরাকেলস এবং সাথে আমাদের লাইট আর শ্যাডোও খেলাটি দেখে এবং মনে মনে এর প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় ভাবতে থাকে।
খেলার শেষে আমেরিকার সেই বাস্কেটবল টিমের কীর্তি তাদেরকে আনা হোস্টও চাক্ষুষ করেন এবং সেই হোস্ট হচ্ছে আমাদের খুবই পরিচিত সেইরিনের ম্যানেজার রিকোর পিতাজান। তিনি ঐ মুহুর্তেই “জ্যাবারওয়াক” তথা আমেরিকান স্ট্রিট বাস্কেটবল টিমকে আরেকটা ভিন্ন টিমের সাথে ম্যাচ খেলার চ্যালেঞ্জ করে।
নতুন গঠিত টিমটির নাম দেওয়া “ভোরপোল সোয়ার্ডস”।
টিমটির মেম্বার আমাদের পরিচিত সেই “জেনারেশন অব মিরাকেলস” এবং লাইট-শ্যাডো।
“কুরকো নো বাসুকে” এনিমের তিনটা সিজনে আমরা যত্ত মুভ এবং যত্ত কম্বিনেশন দেখেছি এবং মাঙ্গাটিতে তার সব কিছুই রয়েছে তার থেকে আরও অনেক অনেক গুন বেশি আছে। “ভোরপোল সোয়ার্ডস” এর প্রতিপক্ষও কম যায় না কিছুতেই। এদের সাথে লড়াই করতে সবাইকেই মাথার ঘাম পায়ে ফেলতে হয়েছে।
কিন্তু……………………
শেষ রক্ষা কি পায় “ভোরপোল সোয়ার্ডস”
জানতে হলে পড়ে ফেলুন এই ছোট মাঙ্গাটি।
প্রথম চার চ্যাপ্টার একটু বোরিং লাগতে পারে কিন্তু তাই বলে পরের চ্যাপ্টারগুলা না পড়লে অসম্ভব ভুল করবেন ।
তাই আর দেরি না করে পড়া শুরু করে দিন এবং বাস্কেটবলের ম্যাজিকে মেতে উঠুন।
অনলাইনে পড়ার লিংক: http://kissmanga.com/Manga/Kuroko-no-Basuke-Extra-Game

ReLife [রিভিউ] — Zahin Mobashshir

relife-1

Anime: ReLife
Episode: 13
Genre: Romance, School, Slice of Life.

২৭ বছরের এক যুবক Kaizaki Arata। স্বদিচ্ছায় চাকরি ছেড়ে এখন বেকার জীবনযাপন করছে। বেকার বলে আজকাল সে আর ঘর থেকেও বের হয় না। তবে একদিন বন্ধুদের ডাকে সে সাড়া দেয় এবং বাসায় ফিরতে ফিরতে তার জীবন সম্পূর্ণরূপে পাল্টিয়ে যায়। সরকারের নতুন প্রজেক্টে কাজ করার জন্যে তাকে আহ্বান জানানো হয় এবং সে কি আর যেই সেই প্রজেক্ট! এ যে নতুন করে যৌবন অর্জন করার এক অভিনব আহ্বান।
স্বভাবতই বেকার যুবক Kaizaki ১ বছরের জন্যে মুফতে খাওয়া-দাওয়ার সাথে বছর শেষে একটা চাকরি লাভের আশায় সরকারের এই প্রজেক্টে কাজ করতে সম্মতি জানায় এবং শুরু হয় তার ReLife জীবন।
এই ব্যবস্থায় তাকে ফিরে যেতে হাইস্কুল লাইফে। তাকে ১৭ বছরের তরুন বানিয়ে হাইস্কুলের ৩য় বর্ষে ভর্তি করিয়ে দেওয়া হয় এবং সেও প্রতিশ্রুতি মতো তার নতুন জীবন তার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নির্দেশ অনুযায়ী অতিবাহিত করতে শুরু করে দেয়।
এভাবেই শুরু হয় তার পুনরায় হাইস্কুল জীবন।
প্রথমদিন থেকেই তার বিভিন্ন কিম্ভূত কান্ডকারখানা দেখে সে রীতিমতো সবার নজর কেড়ে নেয়। পরবর্তীতে তাই বাকি সহপাঠীদের সাথে পরিচিত হতে তার আর কোন বেগই পেতে হয়নি।

relife-3

এনিমেটার সেরা বিষয় হল প্রত্যেকটা ক্যারেকটারকেই খুবই সুন্দরভাবে তুলে ধরা। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারের ব্যাকগ্রাউন্ডস্টোরি থেকে শুরু করে তাদের ক্যারেক্টার গঠন খুবই ভালো লেগেছে। এছাড়া এই এনিমে কমেডিগুলা খুবই মজার। বিশেষ করে এখানের ফানি ফেস গুলা থেকে না হেসে থাকাই যায় না। প্রায় প্রতি এপিসোডেই এইসব ফানি ফেসের দেখা মেলে।

পুরা কাহিনী আমার এত্ত ভালো লেগেছে যে এটা আরও অনেক অনেকবার দেখার ইচ্ছা আছে। এনিমেটার আর্টের প্রশংসা না করলেই নয়। এনিমেটা দেখলে অবশ্যই ৭২০পিতে দেখার জন্য অনুরোধ করা হল।

এনিমেটার ওপেনিং এন্ডিং ভালোই লেগেছে। তবে সবচেয়ে ভালো লেগেছে ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক। প্রতিটা ফানি ফেস দেখানোর সাথে থাকত খুবই উপযোগী কিছু ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিক।

সর্বপরি এনিমেটা উপভোগ না করা প্রায় অসম্ভব। আর পুরা এনিমেটি যখন শেষ হয়ে আসবে তখন আপনাদের জন্যে উপস্থিত হবে ঠিক তখনই যেন আপনাদের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়বে।

যারা দেখেননি তারা শীঘ্রই এনিমেটা দেখে ফেলুন। আর যাদের কোন কারনে মন খারাপ, কাজের চাপে জীবন অতিষ্ঠ, কিছুই ভালো লাগে না; তাদেরকে বল্ব আপনারা এখনই এনিমেটা দেখে ফেলুন এবং নিজেদের চাঙ্গা করে তুলুন।

relife-4

Akatsuki no Yona [রিএকশন] — Zahin Mobashshir

Akatsuki no Yona
২৪ এপিসোডের একটা এনিমে যার জেনারগুলা হল : Action, Adventure, Comedy, Fantasy, Romance, Shoujo.
এত্তগুলা জেনার দেখেই বুঝতে পারছেন যে এই এনিমেটা আসলে মিশ্রজাতীয় কিছু উপহার দেয়ার চেস্টা করতেছে এবং আসলেই এমন কিছু উপহার দিতে সক্ষম হয়।

কাহিনী সংক্ষেপ:
Princess Yona নামক এক মেয়েকে নিয়ে কাহিনী যে মাত্র ১৬ বছরে পদার্পণ করে। মা মারা যাওয়ার পর বাবা অনেক আদর সোহাগ দিয়ে বড় করে তুলে তাই স্বভাবতই একটু বেশি আদুরে এবং সামান্যতেই কেঁদে দেওয়া মানে ছিঁচকাঁদুনী হয়ে বড় হয়ে উঠে। এরপরে এক দুঃখজনক ঘটিনার কবলে পড়ে এবং বিশ্বাসঘাতকতার শিকার হয়ে তাকে একেবারে রাস্তায় এসে পড়তে হয়। যেই মেয়ে কখনওই রাজপ্রাসাদের বাহিরেই বের হয় নাই তার জন্যে সামনের পিচঢালা রাস্তাও বরই কাঁটা বিছানো পথ বলেই মনে হবে। তার সেই কাঁটা বিছানো রাস্তায় তার ছোটবেলার সাথীকে সংগী হিসেবে নিয়ে সে কিভাবে নিজেকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে শক্ত করে তুলে বিশ্বাসঘাতকতার প্রতিশোধ নিতে প্রস্তুত হয়ে উঠে এটিই এই এনিমের মূল কাহিনী।

এবার আমি কিছু পয়েন্ট বলব যে কারনে এনিমেটি অনেক ড্রপ দিয়ে থাকেন, :—

১. এনিমের প্রথম সিনেই একটা যুদ্ধক্ষেত্র দেখায় এবং এটা দেখার সাথে সাথেই আপনার মনে হবে আররে এনিমেটা তো Action জেনারের, এই বুঝি শুরু হল এক ঐতিহাসিক যুদ্ধ।

কিন্তু আসলে এই এক সিন যে আসলে এনিমেটার কোন সময় দেখাবে তা আপনি ১,২,৩,৪……. এপিসোড ধরে খালি চিন্তাই করতে থাকবেন এবং এক সময় ভাববেন যে আররে এত অপেক্ষা করার কি দরকার?!!! এনিমে ড্রপড।।।।

২. আগেই বলেছি যে প্রধান চরিত্র কিছুটা ছিঁচকাঁদুনে, আসলে কিছুটা বললে ভুল হবে। এনিমেতে এই ক্যারেকটারকে যতবারই দেখবেন ততবারই দেখবেন কেঁদে কেঁদে সাগর বানাচ্ছে, তখনই আপনার মনে হতে পারে যে এই মেয়ে নিজের সাগর বানাক আর আমি গিয়ে আমার সাগর পরিমাণ না দেখা এনিমে শেষ করে হার্ডডিস্কটাকে একটু ক্ষান্ত দিই।

এনিমে ড্রপড।।।।

৩.
৪.
৫.
……..

আরও অনেক কারনেই আপনি হয়ত এনিমেটা ড্রপ দিয়ে থাকতে পারেন, সেটা আপনাদের ব্যাপার। এখন আমি যদি পুরা এনিমেটা দেখে বলি এটা আসলে ড্রপ দেয়া উচিত ছিল তাহলে তো আর ভাল কিছু লেখার সুযোগই থাকে না

এবার তাহলে জেনে নিন এনিমেটি কেন দেখবেন, :—–

১. এনিমের প্রথম সিনেই আপনাকে যেই যুদ্ধের আভাস দিয়ে গেল সেটার পরেই শুরু হবে এক অসাধারণ মিউজিক যা শুনে আপনি বিমুগ্ধ না হয়ে থাকতেই পারেন না এবং পুরা এনিমে জুড়েই OST গুলা আপনাকে মুগ্ধ করবেই।
এনিমেটার ওপেনিং আর এন্ডিংগুলাই এককথায় অসাধারণ। OST গুলার প্রয়োগ এত সুন্দর সময়ে করেছে যে আপনার মনকে ছুঁয়ে যাবেই।

২. এনিমেটার ক্যারেকটার ডিজাইনিং খুবই সুন্দর। প্রত্যেকটা চরিত্রকেই নিজেদের স্বভাব অনুযায়ী অসাধারণভাবে তুলে ধরা হয়েছে। আর যারা বিশৌনেন ক্যারেকটার খুঁজে বেড়ান তাদের জন্যে এটা একটা স্বর্নের খনি। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত আপনি খালি হা আ আ আ আ আ করে দেখেই যাবেন এবং মুগ্ধ হবেন।

৩. এনিমেটার আরেকটা সুন্দর দিক হল এটার ক্যারেকটারগুলার ব্যাকস্টোরি। প্রত্যেকটা ক্যারেকটারের একেকটা সুন্দর ব্যাকস্টোরি রয়েছে যা দেখে আপনি খুব সহজেই ক্যারেকটারগুলার বর্তমান অবস্থার কারন যাচাই করতে পারবেন।

৪. এনিমেটার কাহিনী প্রথমে অগুছানো মনে হলেও ধীরে ধীরে বুঝতে পারবেন যে আসলে এনিমেটার কাহিনী খুবই গুছানো এবং এনিমেটা যে অবস্থায়ই শেষ করুক না কেন, শেষ পর্যন্ত একটা সুন্দর গুছানো কাহিনী উপহার দিয়ে যায়।

৫. আপাতত এনিমেটাই দেখেছি এবং এখনও মাংগা পড়া শুরু করিনি কিন্তু এখন থেকেই মন খারাপ হয়ে যাচ্ছে যে কিছু কিছু ক্যারেকটারের এনিমেশন দেখতে পারব না। বিশেষ করে এখানের সবচেয়ে কিউট ক্যারেকটার হল একটা কাঠবিড়ালি, যার দেখা পাওয়ার পর থেকেই আপনি তার দেখা পাওয়ার জন্যে ব্যস্ত হয়ে থাকবেন।

এবার আপনারা নিজেরাই বিচার করতে পারেন যে এনিমেটা দেখবেন কিনা।

আর কারও কোন মতামত থাকলে কমেন্টে জানাবেন।

Cat Shit One [রিভিউ] — Zahin Mobashshir

CSO 1

ইরানের এক মরুভূমির মাঝের দৃশ্য।
জংগী বাহিনী কিছু জিম্মীদেরকে নিজেদের কব্জায় আঁটকে রেখেছে।
নিরূপায় জিম্মিদেরকে জংগীদের কথা মতো বন্দীশালার দিকে ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে হচ্ছে। এমন সময় এক জিম্মী বিরোধ করে বসল, হাত বাঁধা অবস্থায়ই সে মুক্তি পেতে বিরান মরুভূমি পানে ছুট দিল………
*ঠাস*
একটা বুলেট মাটিতে আছড়ে পড়ল এবং পরমুহূর্তেই মাটিতে পড়ল নিরীহ জিম্মিটির নিথর দেহ।

কাহিনীটি পড়ে মনে হতে পারে বাস্তবে ঘটে যাওয়া কোন একটা অংশের চিত্র, আসলে এটি হল “Cat Shit ONE” নামক একটা ONA এর দৃশ্যপট।

CSO 2

নাম: Cat Shit ONE
ধরন: ONA
জনরা: Action, Fantasy, Military
ব্যপ্তি: ২২ মিনিট
ম্যাল স্কোর: ৭.২৬

Perkins এবং Botasky এরা দুজন হল একটা Special Ops গ্রুপের সদস্য। বর্তমানে তাদের মিশন হল ইরানের এক মরুভূমিতে এক বিরাট জংগী বাহিনীর হাত থেকে জিম্মিদের ছাড়িয়ে আনা। পরিকল্পনা মোতাবেক ঘটনাস্থলে গিয়ে এই দুই তুখোড় সদস্য তাদের সার্ভে সম্পাদন করে এবং হেডকোয়ার্টারে এ সম্পর্কে জানায়। কিন্তু তাদের সামনেই এক জিম্মীকে হত্যা হতে দেখে তারা হেডকোয়ার্টারকে দ্রুত ব্যাকাপ পাঠাতে বলে কারন জংগীরা সংখ্যায় ছিল অনেক বেশি এবং তারা মাত্র দুইজন।
হেডকোয়ার্টার থেকে জানানো হয় যে ব্যাকাপ আসতে দেরি হবে এবং তাদের অপেক্ষা করার নির্দেশ দেয়া হয়। এই দুইজনের মধ্যে সিনিয়র ব্যক্তি অপেক্ষা করতে নারাজ হয় এবং নিজেরাই জিম্মীদের উদ্ধার করতে তৎপর হয়। এরপরে শুরু হয় বিশাল এক জংগী বাহিনীর সাথে দুইজন Special Ops সদস্যের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ। কে জিতে এই যুদ্ধে??
জানতে দেখে ফেলুন এই ONAটি।

এরকম তো অনেক কাহিনীই দেখেছেন, এমনকি বাস্তব জীবনেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে। তাহলে কেন এই ONAটি দেখবেন?
এখানের মজার বিষয় হল যে, Special Ops এর সদস্য দুইজন হল কিউট দুইটা খরগোশ । এই কিউট দুইটা খরগোসই এই রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে অংশ নেয় এবং শেষ পর্যন্ত………
থাক শেষে কি হয় সেটা নিজেরাই দেখে ফেলুন।

ONAটির গ্রাফিক্সের কথা না বললেই নয়। অনেকটা 3D আমেজের গ্রাফিক্সে তৈরি এই ONAটিতে আপনারা দেখতে পারবেন কিছু অসাধারন যুদ্ধের দৃশ্য, এমনকি এখানে কিছু স্লো মোশনের ফাইটসিনও আছে যা যুদ্ধের আমজকে আরো বাস্তবশীল করে তোলে।

ONAটির Sub এবং Dub দুইটা ভার্সনই বের হয়েছে।
আমার কাছে দুইটাই ভাল মনে হয়েছে। দুইটা ভার্সনেই খুব সুন্দরভাবে চরিত্রগুলাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে তবে সব Dub ভার্সনের মতো এখানেও অর্থের কিছু পরিবর্তন হয়েছে।
যারা Third Person or FPS গেম খেলে অভ্যস্ত তাদের জন্যে Dub ভার্সনটা সাজেস্ট করব।

Sub: https://kissanime.to/Anime/Cat-Shit-One

Dub: https://kissanime.to/Anime/Cat-Shit-One-Dub

CSO 3

Annarasumanara — Zahin Mobashshir

Annarasumanara

Annarasumanara.
ইংরেজি নাম: Do you believe in Magic.
চ্যাপ্টার সংখ্যা: ২৭
Genre: Mystry, Drama, Romance, School, Psychological, Seinen.

আপনে কি ম্যাজিকে বিশ্বাস করেন?
এই এক প্রশ্ন নিয়ে কোরিয়ান এই মানহুয়াটি শুরু হয়। শেষ পর্যন্তও এই একই প্রশ্নই থেকে যাবে কিন্তু অর্থ হয়ত পালটে যাবে।

এক হাই স্কুল পড়ুয়া এক বালিকার কাহিনী। ছোটবেলা থেকেই সে ম্যাজিক পছন্দ করত কিন্তু পারিবারিক সমস্যার কারনে বর্তমানে তার আর্থিক অবস্থা খুবই করুন। তাই এসময়ে তার মাথায় ম্যাজিকের চিন্তা আসাও হারাম। নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে সে নিয়মিত পড়াশোনা করে ফলাফল ভাল করছে কারন তার মতে বড় হয়ে চাকরি নিলেই তাদের সব চিন্তা চলে যাবে। ছোট একটা বোনকে নিয়ে একটা খুপড়ি ঘরে থেকেও সে তাই মনোবল হারাচ্ছে না। এগিয়ে যাচ্ছে তার নির্দিস্ট গন্তব্যের উদ্দেশ্যে।

হঠাৎ একদিন তার কস্টে উপার্জিত টাকা বাতাসে উড়ে গেল। সেই টাকার পিছনে ধাওয়া করতে করতে সে এসে পৌছাল একটা পুরানো চিত্তবিনোদন উদ্যানে। সেখানেই তার দেখা হয়ে যায় এক যাদুকরের সাথে, এরপরেই পাল্টাতে থাকে তার জীবন।

যাদুকর তাকে তার পুরানো স্মৃতি ঘুরিয়ে এনে তাকে জাদু শিখতে রাজি করায়। এরপরে যাদুকরের সাথে বালিকাটি সময় কাটাতে থাকে এবং ধীরে ধীরে সে যাদুকরের আসল পরিচয় জানতে পারে।
কিন্তু ততদিনে তার নিজের জীবনও অতিস্ট হয়ে পড়ে। তার ফলাফল খারাপ হতে থাকে, তাকে সবাই খারাপ চরিত্রের মনে করে। তার একমাত্র সংগী যাদুকরও কি তাকে তার সাথে ধোঁকাবাজি করল? কে এই যাদুকর? তার আসল পরিচয় কি?

মানহুয়াটার সবচেয়ে সুন্দর জিনিস হল এর আর্ট। অসাধারণ আর্টের সাথে রয়েছে আবার অসাধারণ কালার, যা আপনাকে মুগ্ধ করবেই। চরিত্র গঠনের দিকেও অনেক লক্ষ্য রাখা হয়েছে।

বি.দ্র: মানহুয়াটা পড়ার সময় অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন যেন প্রতি চ্যাপ্টারের পেজ যেন ৭-৯টা হয়। এটার পেজটা আসলে অনেক লম্বা কিন্তু আপনি যদি কাটা পেজ পড়েন তাহলে আর্টটার মজা পাবেন না

Ping Pong The Animation রিভিউ — Zahin Mobashshir

Ping Pong

কোন এনিমেকে পার্ফেক্ট কখন বলবেন?

যদি এনিমেটি দেখে আপনার খায়েশ মিটে?

যদি এনিমেটি দেখে তৃপ্তি পান?

যদি এনিমেটি দেখার সময় অন্যসব কিছু ভুলে যান এবং এরপরের এপিসোড না দেখে উঠতে পারেন না?

সবার উত্তর কখনওই এক হবে না, হওয়াটাই বরং অস্বাভাবিক।

Ping Pong The Animation

এপিসোড সংখ্যা: ১১

Genre: Psychological, Seinen, Sports.

এনিমেটির কাহিনী একদমই সাধারণ। দুই বন্ধু পিং পং তথা টেবিল টেনিস খেলতে ভালবাসে। তাই দুইজনেই স্কুলের টেবিল ট টেনিস ক্লাবে অংশ নেয়। একজন অনেকদিন হইল টেবিল টেনিস খেলে যার নাম Yukata Hoshino। তার প্রতিভা নিয়ে ক্লাবের কারও কোন সন্দেহ নেই কিন্তু প্রতিভা থাকলে যা হয়, অহংকারে পরিপূর্ণ Hoshino এর মন। তার মতে তার থেকে ভাল কোন প্লেয়ার থাকতেই পারে না। অহংকারবশত তাই সে নিয়মিত প্রাক্টিসে যায় না এবং খবরদারি করে ঘুরে বেড়ায়। অন্যদিকে তারই বন্ধু Makoto Tsukimoto। এই ব্যক্তি টেবিল টেনিস খেলা নতুন শুরু করলেও সে কখনওই প্রাক্টিস ফাকি দেয়া না এবং নিয়মিত খেলেই যায়।

দুই বন্ধুর পিং পং খেলার কাহিনী নিয়েই এনিমেটি এগিয়ে যায়। পরবর্তীতে ইন্টার হাই টেবিল টেনিসে গিয়েই তাদের জীবনের ঘুড়ি পালটায় যায়।

এবার আগের কথায় ফিরে আসি।
এনিমেটি দেখার পরে অনেককেই রিকমেন্ড করেছিলাম। কেউই এখন পর্যন্ত বলল না যে এনিমেটি অসাধারণ ছিল।
সবার মতামত মিলবে তা হওয়া সম্ভবপরও নয়।

এনিমেটি যে কারনে আমার কাছে মাস্টারপিস লেগেছে তার প্রধান কারন ছিল এর জনরা। একটা স্পোর্টস এনিমেতে কি করে সাইকোলজিক্যাল জনরা অন্তর্ভুক্ত হতে পারে?!!!

এই প্রশ্নের উত্তর যারা খুঁজে পেয়েছেন তাদের কাছেই কেবল এনিমেটির স্বার্থকতা ধরা পড়েছে।

এনিমেটির জনরায় সাইকোলজিক্যাল অন্তর্ভুক্ত করার কারন খুঁজে পাওয়ার কারনেই এটা আমার কাছে মাস্টারপিস লেগেছে।

এবার আপনারাও এই ১১ পর্বের এনিমেটি দেখে যাচাই করে দেখতে পারেন।