Tamako Love Story রিভিউ — মোঃ আসিফুল হক
কি দেখলামঃ Tamako Love Story
স্টুডিওঃ Kyoto Animation
‘Everybody loves somebody.’
হয়ত কাউকে খুব করে ভালবাসেন, হয়ত খুব কাছের কোন বন্ধু; কিন্তু প্রত্যাখ্যাত হবার ভয়ে কখনই বলা হয়ে ওঠে নি? হটাত করেই জীবনে এমন মোড় চলে এসেছে যখন সবকিছু নতুন করে ভাবার সময় সামনে; সব সমীকরণ মেলাতে হবেই, জোর করে হলেও? এমন সময় হুট করেই একদিন তাকে বলে বসলেন – ভালবাসি। অপ্রত্যাশিত কনফেশনে চমকে উঠল প্রিয় মানুষটা; হয়ত সে মানুষটা ভালবাসার জন্য প্রস্তুত ছিল না। যেরকম প্রতিক্রিয়া আকাঙ্ক্ষিত ছিল সেটা পাওয়া হল না। কি করবেন তখন? আগে যেমন ছিলেন তেমন অবস্থায় ফিরে যাবেন? সব কিছু ভুলে যেতে বলবেন তাকে? নাকি দু’জন দু’জনকে এড়িয়ে চলা আরম্ভ করবেন? নাকি পুরো ব্যাপারটাকে পাশে সরিয়ে রেখে তাকে সঙ্গ দিয়ে যাবেন; অনিশ্চিত ভবিষ্যতের হাতে সব তুলে দিয়ে, একদিন না একদিন সে আপনাকে বুঝতে পারবে – এই আশায়?
তারপর, কোন একদিন; হটাত করেই হয়ত ইয়োকোর কিন্নরী কন্ঠ মুঠোফোনে অপরিচিত নাম্বার থেকে আসা অপ্রত্যাশিত ফোনের কথা জানিয়ে দেবে আশ্চর্য নির্লিপ্ততায়। “কেমন আছেন?” আর “ব্যস্ত আপনি?”র পরই শুরু হয়ে যাবে পরিচিত সেই খুনসুটি, কপট অভিমান, আর প্রাণখোলা হাসি। অনেক কথাই বলা হবে; বাকি থেকে যাবে হয়ত তার চেয়েও বেশি কিছু কথা। বিদায়টাও হয়ত হবে বিষণ্ণ রকম দ্রুততায়। কিন্তু বিদায় বেলায় শোনা একটা বাক্য কিন্তু দু’তিনটে শব্দ হয়ত বদলে দেবে পুরো জগতটাকেই।
তারপর একদিন হলুদ খামে নীল কাগজে ভালবাসা চিঠি পাঠাবে অভিমানকে, ফিরবে বলে। আকাশপথে উড়ে যেতে যেতে ভালবাসা গান গাইবে গুনগুন করে; তার চোখের তারায় নীল সমুদ্রটাকে আরও একটু বেশি নীল মনে হবে তখন। অভিমান তখন পথে পথে ঘুরে বেড়াবে; ভালবাসার কাছ থেকে পালিয়ে বেড়ানোর আকুতিতে। একটা সময় সে ঘরে ফিরবে; ভালবাসা যেখানে অপেক্ষা করছিল; চুপচাপ।
অভিমান দরজায় এসে মাথা নিচু করে দাঁড়াবে; অস্ফুট স্বরে হয়ত বলে উঠবে “দুঃখিত।” “কেন?” – শুধাবে ভালবাসা। “আমি যে শুধু তোমার আর তুমি আমার, ব্যস” – কাঁপা গলায় বলবে অভিমান।
Tamako love story – সহজ সরল খুব সাধারণ ভালবাসার গল্প, সহজ স্বীকারোক্তির গল্প, প্রতিউত্তরের গল্প, দ্বিধাদন্দ আর দোলাচলের গল্প, অনুভুতির গল্প, আর দুটো মানুষের কাছে আসার গল্প। কিয়োএনি এনিমেশন আর ক্যারেক্টার ডিজাইনে কখনই হতাশ করে না; এখানেও তাই। দুর্দান্ত এনিমেশন আর চরিত্রগুলোর অভিব্যাক্তিতে ভালবাসার রুপ প্রকাশের সাথে যুক্ত হয়েছে স্নিগ্ধ সুন্দর সাউন্ডট্র্যাক। “Yet another romantic movie, it’s gonna be cheesy, just like many others out there” বলে শুরু করা মুভিটা ১৫ মিনিটের মধ্যে এমনভাবে বেঁধে ফেলল যে ৮৩টা মিনিট কেটে যাওয়ার কথা টেরই পাই নি।
Bitter memories are proof that you did something. Taste the regret, bitter as it may be, and indulge in it.
অনেক দিন মনে রাখব মুভিটা; অনেক অনেক দিন।
(নোটঃ এই মুভিটা Tamako market সিরিজের সিক্যুয়াল। জ্ঞানীগুণীজন বলে থাকেন মুভির আগে সিরিজ দেখা থাকলে মুভিটার আনন্দ আরও বেশি করে পাওয়া যাবে; এবং সিরিজটাও নাকি মন্দ না। আমি অবশ্য সিরিজ না দেখেই দেখেছি।)
All Fiction 1: Random Topic
র্যান্ডম টপিক
স্পিরিচুয়াল সাকসেসর/Spiritual Successor
কোন সাহিত্যকর্ম বা কল্পকাহিনীর সাথে অপর একটি সাহিত্যকর্মের কাহিনিসুত্রে মিল না থাকা সত্ত্বেও উভয়েই একই ভাব বহন করে, অথবা অনেক কিছুতেই সাদৃশ্য থাকে , এরূপ একটি কাহিনীকে পূর্ববর্তী কাহিনীর স্পিরিচুয়াল সাকসেসর বলা হয়ে থাকে। একে স্পিরিচুয়াল সিক্যুয়ালও বলা হয়। দেখা যায় যে উভয় কাহিনীর সুপারন্যাচারাল ব্যাপারগুলো, অথবা কাহিনীর অগ্রগতিতে অনেকখানি মিল থাকে, কিন্তু তাকে সম্পূর্ণ এক বলা যায়না। গতানুগতিক সিক্যুয়ালগুলোতে যেমন একই কাহিনীধারাই বজায় রাখা হয়, এটা ঠিক সেরকম না।
এই ‘স্পিরিচুয়াল সাকসেসর’ টার্মটাতে বুঝানো হয় যে কোন সাহিত্যকর্মের স্পিরিট অপর কোন সাহিত্যকর্মে পরবর্তীতে সঞ্চালিত হয়, কিন্তু কাহিনীসূত্র হুবহু থাকেনা।
উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, জনপ্রিয় “প্রিন্স অফ পার্সিয়া” সিরিজের স্পিরিচুয়াল সাকসেসর হল “অ্যাসাসিন্স ক্রিড”। অ্যাসাসিনস ক্রিড গেমটিকে প্রিন্স অফ পার্সিয়ার গতানুতিক সিক্যুয়াল বানানোর কথা থাকলেও পরবর্তীতে তাকে একই ভাবধারার একটি গেম সিরিজ হিসেবে তৈরি করা হয়, সরাসরি সিক্যুয়াল নয়।
যুগে যুগে অনেক সাহিত্যকর্মই প্রকাশিত হয়েছে। হয়তোবা দেখা গেছে, এক প্রজন্মের সাহিত্যিকরা পূর্ববর্তী সাহিত্যিকদের লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে কিছু সাহিত্য রচনা করেছেন, তাই তাতে পূর্বসুরির প্রভাব রয়ে গেছে।
অনেক জায়গাতেই দেখা যায়, মানুষজন তাদের প্রিয় সিরিজের ভাবধারার সাথে মিল থাকা অপর কোন সিরিজকে নকল বলছে। কিন্তু আদতে তা হল পূর্ববর্তী সিরিজটির স্পিরিচুয়াল সাকসেসর, নকল নয়।
অ্যানিমের ইতিহাস – চতুর্থ পর্বঃ স্নেক এন্ড সাসকে – নিউক্লিয়াস এন্ড অ্যাটম – ফাহিম বিন সেলিম
অ্যানিমের গল্প বলতে গেলে মাঙ্গাকে তো বাদ দেওয়া যায় না! লেখা-আঁকার যুগলবন্ধী প্রচলিত ছিলো বহু আগে থেকেই। কিন্তু অ্যানিমের মত “মাঙ্গা”-র প্রসার ভালোভাবে শুরু হল যুদ্ধের পর। ১৯৪৭ সালে নতুন সংবিধান অনুযায়ী জাপানে সকল সেন্সরশীপ নিষিদ্ধ হয়ে যাওয়ায় সাহিত্য, বিনোদনের অন্যান্য মাধ্যমের মত মাঙ্গা-অ্যানিমেতেও ভিন্নধারার সূচনা ঘটল। ১৯৪৫ থেকে ১৯৫২ পর্যন্ত যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনের সময়গুলোতে, আমেরিকার তত্বাবধায়নে থাকার কারণে তাদের সংস্কৃতি দ্বারা অনুপ্রানিত হওয়াকেও একটা কারণ হিসেবে বলা যায়। মার্কিন সুপার-হিরো কমিকস জাপানীদের জন্য নতুন এক অভিজ্ঞতা ছিল। অনুপ্রানিত হলেও, জাপান অবশ্য তা অনুসরন করল না।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করা হলেও সামগ্রিকভাবে যুদ্ধ-শান্তির প্রভাবটা বেশ ভালোভাবেই লক্ষনীয় ছিল। ১৯৫১ সালে, প্রথমবারের মত ‘সুপার হিরো’-দের কাহিনী জাপান নিজেদের আদলে বলা শুরু করল। ওসামু তেজুকা, যাকে বলা হয় আধুনিক অ্যানিমের নিউক্লিয়াস মাঙ্গার ধর্মপিতা, আঁকা শুরু করেন Tetsuan Atom(Mighty Atom), যেটা অধিক পরিচিত Astro Boy নামে।
আধুনিক আরেকটি উল্লেখযোগ্য মাঙ্গা অবশ্য তারও আধ-দশক আগে শুরু হয়েছে। ১৯৪৬ সাল থেকে শুরু হয়ে দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে যা প্রকাশিত হয়! ১৯৭৪ সালে মাঙ্গা প্রকাশ শেষ হওয়ার পাঁচ বছর আগেই অবশ্য তার অ্যানিমে প্রচারও শুরু হয়ে গিয়েছিল, ১৯৬৯ সালে। এবং তা আজ অবধি চলছে!
ইতিহাসের সবচেয়ে দীর্ঘকালব্যাপী এবং সর্বাধিক প্রচারিত পর্বের অ্যানিমে, মাচিকো হাসেগাওয়ার – Sazae-san।
এই Astro Boy আর Sazae-san কেই বলা যায় যথাক্রমে আধুনিক শৌনেন-সেইনেন আর শৌজো-জোসেই জনরার অ্যাডাম-ইভ।
অ্যানিমের গল্পে ফিরে আসা যাক। ১৯৪৮ সালে আলোর মুখ দেখল “জাপান অ্যানিমেটেড ফিল্ম” স্টুডিও। প্রথম দিকে তেমন উল্লেখযোগ্য কোন কিছু তৈরী করতে না পারলেও, ১৯৫৬ সালে তোয়েই কোম্পানী এই স্টুডিওকে কিনে নেওয়ার পর অবস্থা পাল্টে যায়। নতুন নাম হয় – তোয়েই অ্যানিমেশন। মাত্র দুই বছরের মাথায় তারা বের করে প্রথম রঙ্গিন জাপানিমেশন এবং সর্বপ্রথম আধুনিক “অ্যানিমে” – The Tale of the White Serpent, ১৯৬১ সালে যা সর্বপ্রথম অ্যানিমে হিসেবে আমেরিকায় মুক্তি পায়। প্রথম আধুনিক অ্যানিমে হিসেবে বিবেচিত হলেও বর্তমান-প্রচলিত অ্যানিমে থেকে ডিজনীর রুপকথার গল্পগুলোর সাথেই এটার বেশি মিল খুঁজে পাওয়া যাবে। এবং যথাযথ কারণেই এই মুভিটি তোয়েই অ্যানিমেশনকে এনে দেয় “প্রাচ্যের ডিজনী” উপাধি।
শুধু রঙই নয়, জাপানের তৎকালীন অ্যানিমেশন প্রযুক্তির একেবারে চূড়ান্ত ব্যবহার করা হয় এই চলচ্চিত্রে। কিন্তু চমকপ্রদভাবে তাইজি ইয়াবুশিতা আর কাজুহিকো ওকাবে পরিচালিত এই অ্যানিমে তৈরী করতে লেগেছিল মাত্র ৮ মাস! একসাথে কাজ করেছিল সাড়ে তের হাজারেরও বেশি কর্মী!
তার পরের বছরই ইয়াবুশিতা আবার আকিরা দাইকুবারার সাথে মিলে তৈরী করেন Magic Boy, যার জাপানী নাম Shounen Sarutobi (না, হিরুজেনও না, আসুমাও না, এমনকি কোনোহামারুও না) Sasuke [ ]!
এই অ্যানিমেও ডিজনীর গতবাধাঃ লোকগাথা-রুপকথা-গান-কথাবলাপ
প্রতিবছর একটি মুভির ধারাবাহিকতায় ১৯৬০ সালে ওসামু তেজুকার My Son Goku মাঙ্গার উপর ভিত্তি করে তৈরী হয়, Alakazam the Great। তেজুকা আবার মাঙ্গাটি এঁকেছিলেন ষোল শতকের চাইনিজ উপন্যাস Journey to the West এর অবলম্বনে। তোয়েই অ্যানিমেশনের পক্ষ থেকে তেজুকাকে পরিচালক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হলেও, তেজুকার ভাষ্যমতে স্টুডিওতে তার গমন বিজ্ঞাপনের জন্য ছবি তুলতে যাওয়া পর্যন্তই। তবুও এই মুভির কারণেই অ্যানিমেশনের প্রতি প্রথম তাঁর আগ্রহ জন্মায়। আর ১৯৬১ সালে অসন্তোষ আর সৃজনশীল অসামঞ্জস্য, যে কারণেই হোক, তোয়েই অ্যানিমেশনের সাথে চুক্তি শেষ হওয়ার সাথে সাথেই তেজুকা নিজেরই একটা স্টুডিও খুলে বসলেন!
তোয়েই অ্যানিমেশনের সাথে সাথে কাঁধে কাঁধে পাল্লা দেওয়ার জন্য – মুশি প্রোডাকশন।
মাঙ্গার মতোই অ্যানিমেতেও আমেরিকানদের অনুসরন না করে জাপানের স্বকীয় আখ্যান বর্ণণা করতেই তিনি বেশী মনোযোগী হলেন। ১৯৬৩ সালে নতুন বছরের প্রথম দিনে জাপানের টেলিভিশন ইতিহাস পাল্টে গেল চিরদিনের জন্য।
হলের বড় পর্দার গন্ডি পেড়িয়ে অ্যানিমেশনের যাত্রা শুরু হল টিভির চারকোনা বাক্সে। আর মাঙ্গার মতই এখানেও প্রথম নামটি হল – Astro Boy!
অ্যানিমের ইতিহাস – তৃতীয় পর্ব: ওয়ার এন্ড পিস – ফাহিম বিন সেলিম
ত্রিশের দশক। জাপানীজ অ্যানিমেশন ততদিনে ডিজনীর কাছে ব্যাবসায়িক খেলায় হেরে দেশীয় চলচ্চিত্র বাজারের আধিপত্য হারিয়েছে। হলের বড় পর্দায় ব্যাবসায়িক অ্যানিমেটেড ফিল্মের পরিবর্তে তারা দায়িত্ব নিয়েছে শিক্ষা-জনসচেতনতা মুলক আর বিজ্ঞাপন-প্রচারণামুলক ভিডিও তৈরীর। জাপান সরকার এসময় সাংস্কৃতিক জাতীয়তাবাদ প্রবর্তন করায়, সেন্সরশিপ অনেক কঠোর হয়ে গেল।
তারা জাপানী চেতনা আর জাতীয়তা বাদে উদবুদ্ধ সিনেমা তৈরী করা পরিচালকদের অগ্রাধিকার দেওয়া শুরু করল। এ অভিব্যক্তি আরো জোড়ালো হল ১৯৩৯-এর চলচ্চিত্র আইন প্রণয়নের পর। ছোট ছোট অ্যানিমে ফিল্ম কোম্পানীগুলো একত্রিত হয়ে বড় বড় স্টুডিও গড়ে তুলল। আবার সো চিকুর মত বৃহত্তর স্টুডিও লাইভ অ্যাকশনের পাশাপাশি অ্যানিমে ফিল্ম বের করা শুরু করল। আর এই সোচিকুর সহায়তায় কেনজো মাসাওকা(Chikara to Onna no Yo no Naka) ১৯৪৩ সালে তৈরী করেন Kumo to Churippu[The Spider and the Tulip](১৯৪৩)-র মত মাস্টারপিস[যা ২০০১ সালে প্রকাশিত অ্যানিমেজের সর্বকালের সেরা অ্যানিমের তালিকায় ৪র্থ স্থান দখল করে ]।
যুদ্ধ শুরু হল। আর এসময় সকল স্টুডিওর একত্রিকরণের ধারাবাহিকতায় মাত্র ৩ টি বড় স্টুডিও অবশিষ্ট থাকল, আর এবার তারা সেনাঅর্থায়নে সিনেমা তৈরী করা শুরু করল। আর যুদ্ধকালীন সময় আমেরিকানরা যেমন কমিক আর কার্টুনের চরিত্র ব্যাবহার করে প্রোপাগান্ডা চালিয়েছিল, পুরোনো চরিত্রদের যুদ্ধের সাজে সাজানো অথবা নতুন চরিত্রই তৈরী করা(সবচেয়ে বড় উদাহরণ Captain America); জাপান ও তার সৈন্য আর সাধারণ জনতাকে এই কঠিন সময় পার করতে সাহায্য নিল অ্যানিমের।
১৯৪৩ সালে মিতসুয়ো সেও(Ari-chan) গেইজুতসু এইগাশার প্রযোজনায়, জাপানের লোকগাথার সাথে চলমান যুদ্ধের আবহকে কাজে লাগিয়ে তৈরী করেন Momotaro’s Sea Eagles. [মজার ব্যাপার হল, আমেরিকান সমসাময়িক কার্টুন আর কমিকসে যেমন প্রতিপক্ষ হিটলার অথবা জাপানী সেনাদের আবির্ভাব ঘটা শুরু করল, তেমনই জাপানীরাও তাদের জবাব দেওয়া শুরু করল। যেমন এই অ্যানিমেতে বহুল জনপ্রিয় কার্টুন পপাই এর চরিত্র ব্লুটোকে দেখা যায় একজন সাধারণ মাতাল হিসেবে।] ৩৭ মিনিটের এই অ্যানিমেকে বলা যায় ফিচার লেংথ অ্যানিমেশনের পথে প্রথম সবচেয়ে বড় পদক্ষেপ।
মাত্র দুই বছর পরই সেও তৈরী করেন এর সিকুয়্যেল, এবার সোচিকুর প্রযোজনায় – Momotaro’s Divine Sea Warriors. ৭৩ মিনিটের এই অ্যানিমে ফিল্মটিই সর্বপ্রথম ফিচার লেংথ জাপানিজ অ্যানিমেশন। ১৯৪১ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ডিজনী মুভি Fantasia দ্বারা অনুপ্রানিত হয়ে তৈরী হওয়া এই দুটি মুভির উপরের প্রোপাগান্ডার আর যুদ্ধের ভয়াবহতার চাদরের আড়ালে ছিল শান্তি আর আশার বার্তা।
যুদ্ধে পরাজিত হলেও তাই জাপানীরা নিজেদের সমৃদ্ধ অতীত, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর সৃজনশীলতা প্রকাশের নতুন এক মাধ্যমের খোঁজ পেল। ধংসস্তুপ থেকে জাপানের নবজাগরনের সাথে নতুন শুরু হল অ্যানিমেরও।
আরো বৃহৎ, আরো ভালোভাবে!
যারই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৮ সালে সূচনা ঘটল জাপানের ডিজনী – তোয়েই অ্যানিমেশনের।
আর এই তোয়েই অ্যানিমেশনই অ্যানিমের ইতিহাসকে বদলে দিবে সবচেয়ে বড়ভাবে। শুধু প্রথম রঙ্গিন অ্যানিমে অথবা সর্বপ্রথম “আধুনিক” অ্যানিমেই নয়; হালের জনপ্রিয় সব অ্যানিমেগুলোতেও তারা রাখবে অবদান, দশক দশক পর এই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকেই তৈরী হবে –
Seint Seiya, Space Captain Harlock, Toriko, Sailor Moon…
Slam Dunk, One Piece…
Dragon Ball Z!
// ছবি Kumo to Churippu-র //
// Momotaro’s Divine Sea Warriors লিঙ্ক: https://www.youtube.com/
Corpse Part: Tortured Sould anime suggestion by Kazi Rafi
রাত ১টার পরে, রুমের দরজা ভিড়িয়ে, বাতি নিভিয়ে, কানে হেডফোন লাগিয়ে দেখার মতন ৪ পর্বের দম ফাটানো হাসির আর বুদ্ধিদীপ্ত কৌতুকে ভরপুর এক এনিমে Corpse Part: Tortured Soul. এইযে নাম শুনে আপনি হতভম্ব হয়ে গেলেন, এনিমের নির্মাতারা ঠিক এইটাই আশা করছে আপনার পক্ষ থেকে। কিভাবে একটা কমেডি এনিমের নাম এরকম উদ্ভট আর কিছুটা ভীতিকর হতে পারে এই প্রশ্ন নিয়ে আপনি এনিমেটি দেখা শুরু করবেন, এইটাই তাদের মূল লক্ষ্য কারন এই ৪ পর্ব ধরে এই বিষয়টি নিয়েই এই এনিমের কাহিনিটি মূলত গড়ে উঠেছে। এনিমের কাহিনী নিয়ে আর বেশী কথা বাড়ালাম নাহ, কিন্তু একটা কথা নাহ বলে পারছি নাহ, যদিও এটি মূলত খুবই হালকা মেজাজের একটি এনিমে কিন্তু প্রতি পর্বে রয়েছে বেশ গতি আর টুইস্ট যা আপনি অনেক কাছ থেকেও প্রেডিক্ট করতে পারবেন নাহ।
ওহ হ্যাঁ, বলতে একদমই ভুলে গেছি, এই এনিমে The Association of Japanese Animations (AJA) দ্বারা ‘Kid-Friendly’ সার্টিফাইড, সো গ্রুপে বাচ্চা কাচ্চা কেও থেকে থাকে এই এনিমে তাদেরো দেখার আমন্ত্রন রইল। আর অন্যরা, আপনারা আর সময় নষ্ট নাহ করে নামিয়ে দেখে ফেলুন ভয়াবহ হাসির এই এনিমেটি !!!
Cowboy Bebop review – Monirul Islam Munna
ভালো সব এনিমের এক বা একাধিক স্ত্রোং সাইড থাকে। কোনটার কাহিনী বিলডআপ অস্থির, কোনটার ক্যারেক্টার বিলডআপ মাথা নষ্ট করা,কোনটার OST ভুবন ভুলানো আবার কোনটার আর্টওয়ার্ক আর এনিমেশন দেখে চোখ জুড়ে যায়। কিন্তু কয়টা এনিমে দেখেছেন প্রতিটা সেক্টরে মুগ্ধ করবে আপনাকে?? বিরল সেই লিস্টের অন্যতম দাবিদার Cowboy Bebop!!
একটা অন্যরকম স্বাদ আছে এনিমেটাতে। প্রতিদিনের ডালভাত খেয়ে বেশ বিরক্ত হয়ে মাঝে মাঝে বিরিয়ানি খেলেও, ভিন্ন স্বাদের সাধারণ খাবারই মনে হয়। cowboy bebop দেখার সময় মনে হলে, সেই চিরচেনা স্বাদ বিসাদের খাবার থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, কলকাতার কাচ্চি আর রয়ালের বাদাম শরবত এক সাথে খেয়ে শেষ করলাম। মুখে যেন অতুলনীয় স্বর্গীয় এক স্বাদ ভর করছে, ৩-৪ দিন সেই স্বাদ যেন ভুলানো সম্ভব না।
action,adventure, Sci-fi genre ২৬ পর্বের এনিমে cowboy bebop। Adventure genre দেখে আন্দাজই করা যায়, এনিমেটার প্রতি এপিসোডেই ভিন্ন ভিন্ন কাহিনী নিয়ে। কিন্তু এই প্রতি এপিসোডের মধ্যে ছোট কিছু গল্প জোড়া লেগে লেগে আর প্রতি চরিত্রের পূর্বজীবনের কিছু কিছু ফ্ল্যাশব্যাক দেখিয়ে এক অনন্য সুন্দর গল্পের উপহার দেয়।
এনিমের মূল চরিত্রদের মধ্যে ৩ জন Spike Spiegel, Jet Black আর Faye Valentine bounty hunter! মহাশূন্যের বিভিন্ন গ্রহের নাম করা বিশাল bountyওয়ালা ক্রিমিনালদের খুজে বেড়ানো আর সেই bounty দিয়ে আয়েশ করাই মূল উদ্দেশ্য তাদের। কিন্তু সেই উদ্দেশ্য কখনও মোড় নে হাস্যকর আবার কখনও দুঃখের কোন দিকে। আর এই সব বড় বড় ক্রিমিনালদের খুজে বের করতে তাদের কাজে সাহায্য করে পিচ্চি হ্যাকার Edward Wong। ক্যারেক্টার বিলডআপ অসাধারণ এনিমেটার, সাথে তাদের অতীত জীবন কীভাবে বর্তমানে তাদের উপর প্রভাব ফেলেছে, তা বেশ স্পষ্ট।
এনিমেটার অসাধারণ একটা দিক হচ্ছে, এটার আর্টওয়ার্ক আর এনিমেশনগুলো!!! ১৯৯৮~১৯৯৯ সালে বানানো এই এনিমেটার এনিমেশনে মহাশূন্যকে, সিনারিগুলোকে, স্পেসশিপগুলকে সব কিছুকে এতো চমৎকারভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, দেখে মুগ্ধ না হয়ে উপায় নেই!!! প্রতিটা এপিসোডেই একটা চমৎকার লাইন দিয়ে শেষ হয়।
cowboy bebopএর প্রান বলা যেতে পারে এর এনিমেশন আর sound tracksগুলা। এক এক এপিসোডে প্লে করা ভিন্ন ভিন্ন sound tracksগুলোর সবগুলই মন ছুঁয়ে যাবে আপনার। মন চাবে বার বার ব্যাক করে, ostটা আরেকবার শুনে নিতে। এনিমেটা শেষ হলে, বিশাল একটা soundtrack আর OST এর কালেকশন পাবেন লিখে দিলাম
ক্লাসিক জিনিস কখনও হতাশ করে না। প্রাই ১৫বছর হয়ে গেছে এনিমেটার। এনিমের স্বাদ ১৫ বছরে অনেক বদলে গেছে মানুষের । কিন্তু এতো বছর পরও এখনো দর্শকদের একটুও হতাশ করেনি, বরং মনোযোগ সম্পূর্ণ ধরে রেখে মুগ্ধ করেছে প্রতিটি সেকেন্ড।
MAL rank #21
MAL rating 8.83
My rating: 9.2
অ্যানিমের ইতিহাস প্রথম পর্ব – ফাহিম বিন সেলিম
পশ্চিমের অ্যানিমেশন যখন বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকেই যাত্রা শুরু করেছে, তখন জাপানও খুব একটা পিছিয়ে ছিলো না। Katshudou Shashin[Moving Picture] (১৯০৭) কে ধরা হয় প্রথম অ্যানিমে ফিল্ম, সম্ভবত ব্যাক্তিগত অথবা পরীক্ষামূলক সম্প্রচারের লক্ষ্যে যা তৈরী হয়েছিল। কার তৈরী, তা অবশ্য অজানা। মাত্র ৩ সেকেন্ডের।
রাজনৈতিক ক্যারিকেচারিস্ট/কার্টুনিস্ট ওতেন শিমোকাওয়া, জাপানিজ অ্যানিমেশনের অন্যতম অগ্রদূত, একের দশকে ৫ টি অ্যানিমেটেড ফিল্ম তৈরী করেন তেনকাৎসু কোম্পানীর প্রযোজনায়। এর মধ্যে ছিলো Imokawa Mukuzo Genkanban no Maki (১৯১৭), প্রথম বাণিজ্যিকভাবে তৈরী অ্যানিমে, ২০০৫ সালে Katshudou Shahsin আবিষ্কারের পূর্বে যেটাকে ধরা হত সর্বপ্রথম অ্যানিমে।
একের দশকের আরো দুই পথিকৃৎ জুনিচি কৌইচি এবং সেন্তারো কিতায়ামা।
কার্টুনিস্ট এবং জলরঙ্গে দক্ষ আঁকিয়ে কৌইচি ১৯১৬ সালে কোবায়াশি শোকাই-এ যোগ দিয়ে একে একে তৈরী করেন প্রায় ১৫ টি মুভি। তাকে বলা যায় এই সময়ের সবচেয়ে কুশলী অ্যানিমেটর।
শিমোকাওয়া বা কৌইচির মত কিতায়ামা অবশ্য কোন বাণিজ্যিক স্টুডিওর হয়ে কাজ করতো না। বরং নিজের ব্যাক্তিগত স্টুডিওতেই চকবোর্ড পেইন্টিং আর পেপার পেইন্টিঙ্গের কলাকৌশল কাজে লাগিয়ে তিনি বেশ কিছু অ্যানিমে তৈরী করেন।
কৌইচির Namakura Gatana(১৯১৭)-র সাথে তার Urashima Tarou(১৯১৮) ২০০৭ সালে আবিষ্কৃত হয় এক অ্যান্টিক মার্কেটে।
প্রথম দিককার মাত্র কয়েক মিনিটের নির্বাক এসব অ্যানিমে দিয়ে জাপান যখন অ্যানিমেশন জগতে যাত্রা শুরু করেছে, সীমিত সামর্থের মধ্যে শত বাঁধা বিপত্তি কাটিয়ে এগিয়ে চলেছে – দুইয়ের দশকে পা রাখতেই তখন বাণিজ্যিকভাবে তাদের সামনে এসে পরলো আরেক বিশাল বাঁধা। আন্তর্জাতিক এক মহা প্রতিদ্বন্দ্বী।
ডিজনি!
Katshudou Shashin – THE First Ever Anime:
www.youtube.com/watch?v=i1bUwGkdBrU&desktop_uri=%2Fwatch%3Fv%3Di1bUwGkdBrU
“একজন এনিমখোরের জন্য ওয়ান পিসই যথেষ্ট” – Shafiul Munir
আপনার মন খারাপ, কোন কিছু ভালো লাগছে না? কনকনে ঠান্ডায় সমস্ত কাজের আগ্রহ হারিয়ে জমে বসে আছেন? বর্ষার বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায় প্রকৃতির নিরন্তর অবরোধে আটকা পড়েছেন? অথবা খুব খুশিতে গদমদ হয়ে আছেন আকস্মিক সাফল্যের আতিশয্যে? যেমন থাকুন, যেখানে থাকুন, কোন কাজ না পেলে, কিংবা কোন কাজ করতে ইচ্ছা না করলে, বোরড ফিল করলে কোনরকম চিন্তা-ভাবনা না করে ‘ওয়ান পিস’ দেখতে বসুন।
আপনার মন খারাপ থাকলে ভালো হয়ে যাবে, ভালো থাকলে আরো ভালো হবে, আর দূর্দান্ত সময় কাটবে সেটা ত বলার আপেক্ষাই রাখে না।
আপনি হাসবেন প্রাণখুলে, চিৎকার করবেন মনের আনন্দে, কখনো চোখ দিয়ে গড়িয়ে পড়বে জল মনের অজান্তে, নিতান্ত অনীহা থাকলেও, প্রতিটা পর্বের সাথে ভাসতে থাকবেন অদ্ভুত স্বপ্নময়তায়, বাস্তব থেকে চলে যাবেন অনেক দূরে মনের দোলনার সর্বোচ্চ বিস্তারে।
একটুও যে বাড়িয়ে বলি নি সেটা সবাই জানেন, কারণ, এই এনিমে কম বেশি সবাই দেখেছেন, সম্ভবত একাধিকবার, আর যারা দেখেন নি তারাও অপেক্ষায় আছেন উপযুক্ত সময়ের। তাই এই লেখার খুব একটা প্রয়োজন ছিল না। তবু নিজেকে আটকে রাখতে পারি নি।
হঠাৎ হার্ডডিস্কের এক কোণে আবিষ্কার করলাম ওয়ান পিসের প্রথমদিককার কিছু পর্ব, কুরো, ডন ক্রেইগ, আরলং আর লগটাউন আরো কিছু। তিনদিন-দুই রাত কিভাবে চলে গেল বুঝতেই পারলাম না, হেসেছি, কেঁদেছি আর একটা মুহূর্তেও ল্যাপটপের পর্দা থেকে চোখ সরাতে পারিনি নেহায়েত প্রয়োজন ছাড়া।
আইএমডিবির হায়েস্ট রেটেড মুভিটির কথা বলবেন? সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি সিরিয়ালের কথা বলবেন? অসাধারণ কোন গল্প-উপন্যাসের কথা বলবেন? আমার মনে হয়, একজন এনিমখোরের জন্য ওয়ান পিসই যথেষ্ট।
এফ এ সি ১৩ by Farsim Ahmed
রান্ডম টপিক
হানাকো-সান
জাপানের স্কুলে থার্ড ফ্লোরে মেয়েদের টয়লেটের থার্ড স্টলে যদি তিন বার নক করে বলেন, ”হানাকো-সান, তুমি কি ওখানে আছ?” জবাব পাওয়া যাবে, ”হ্যা।” স্টলে ঢুকলে আপনি দেখতে পাবেন লাল স্কার্ট পরা এক ছোটো মেয়েকে, যে কিনা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মারা গেছে।
জাপানের সবচেয়ে সেলিব্রেটেড ভূতগুলোর মধ্যে একটা হলো হানাকো সান। একে নিয়ে মাঙ্গা হয়েছে, আনিমে হয়েছে, মুভিও হয়েছে। ফ্র্যান্কলি, সবচেয়ে পিকুলিয়ার ভূতের গুজব আছে সম্ভবত মালয়েশিয়াতে, এরপরে জাপানে। জাপানের ভুত্গুলোকে নিয়ে আরো জানতে চলে যান এই লিঙ্কে।http://www.cracked.com/funny-7186-8-scary-japanese-urban-legends/
আনিমে সাজেশন
শিনসেকাই ইওরী(Shinsekai Yori)
বর্তমান সময় থেকে এক মিলেনিয়াম পরে জাপানে এক সুশৃঙ্খল সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। এই ব্যবস্থায় শাসক শ্রেণী হলো কান্তাস(এক ধরনের সাইকিক পাওয়ার) ব্যবহার করতে পারদর্শী মানুষ, আর শাসিত শ্রেণী হচ্ছে বাকেনেজুমি(ইঁদুরমুখো দু-পেয়ে এক প্রজাতি )। কাহিনীর নায়িকা সাকি তার কান্তাসকে আরো ভালোভাবে ব্যবহার করতে শেখার জন্য ট্রেনিং স্কুলে গেল তার বন্ধুদের সাথে। এই অবস্থায় তারা এক যন্ত্রের কাছ থেকে আবিষ্কার করলো, তাদের কাছ থেকে লুকিয়ে রাখা হচ্ছে ১০০০ বছরের রহস্যময় ইতিহাস, যা প্রকাশ পেলে পাল্টে ফেলতে পারে পুরো সমাজ ব্যবস্থাকেই। সাকির দুই বন্ধু নৃশংসভাবে খুন হলো, আরেক বন্ধু রহস্যজনকভাবে উধাও হয়ে গেল। কি করবে এখন সাকি?
কেন দেখবেনঃ সাইকোলজিক্যাল-হরর ঘরানার এই আনিমের সবচেয়ে স্ট্রং পয়েন্ট হলো এর প্লট, এটা বলে দেয়া যায়, এরকম ইউনিক প্লট খুব কম পাবেন। অসাধারণ সাউন্ডট্র্যাক সঠিক সব জায়গায়, সেই সাথে ভয়াবহ শকিং লাস্ট এপিসোড, এক কথায় ২০১৩ এর টপ ১০ এ থাকার মত এই আনিমে। এর প্রশংসা একটু বেশিই করছি, কারণ আনিমেটা বাংলাদেশে রীতিমত আন্ডার এপ্রিশিয়েটেড।
কেন দেখবেন না: বিল্ডিং আপ একটু স্লো, আর খানিকটা ইয়াওই এবং ইউরি এলিমেন্ট আছে, তবে সবই কাহিনীর প্রয়োজনে, এবং কখনোই মাত্রাতিরিক্ত নয়।
ম্যাল রেটিং ৮.৪৬
আমার রেটিং ৯
মাঙ্গা সাজেশন
নব্লেস(Noblesse)
হান শিনউর হঠাত দেখা হয়ে গেল বোকাসোকা রাইয়ের সাথে। তার স্কুলের হেডমাস্টার ফ্র্যান্কেনস্টাইনের কথামত রাইকে সে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করলো, চমত্কার বন্ধুত্ব গড়ে উঠলো তাদের মধ্যে। কিন্তু শিনউ কি জানত, রাই আসলে ৮২০ বছরের দীর্ঘ নিদ্রাভঙ্গ করে কফিন থেকে উঠে আসা এক ভয়াবহ অতিপ্রাকৃত ক্ষমতাশালী নোবেল, কাদিস এত্রামা ডি রাইজেল? আর সে হচ্ছে সব নোবেলদের রক্ষক, সবচেয়ে শক্তিশালী নোবেল, ”নব্লেস”?
কেন পড়বেনঃদারুন কাহিনী, কোথাও ঠেকে যাবার জো নেই, চমত্কার সব ফাইটিং সিন, প্রয়োজনে জায়গামত কোয়ালিটি গ্যাগ এলিমেন্ট আছে। ওয়েবটুন্, তাই পুরোটাই রঙিন, আনিমে দেখার স্বাদ মাঙ্গা পড়ে পাওয়া যায়। এছাড়া টিপিক্যাল সৌনেন মাঙ্গাতে যেমন নায়ককে যথেষ্ঠ স্ট্রাগল আর ট্রেনিং করে শক্তিশালী হতে হয়, এখানে নায়ক অলরেডি সবচেয়ে শক্তিশালী, কাজেই অন্য রকম একটা টেস্ট পাওয়া যাবে।
কেন পড়বেন নাঃনা পড়ার কোনো কারণ নেই।
ম্যাল রেটিং ৮.৬৯
আমার রেটিং নেই, যেহেতু কমপ্লিট হয়নি।