Kenichi the Mightiest Disciple [রিভিউ] — Zunaid Mashrafee

কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপল
Kenichi the Mightiest Disciple
 
জাপানি উচ্চারণ: শিজো সাইকিয়ো নো দেশি কেনিজি
মাঙ্গা:
(original)
লেখক:-সিয়ুন মাৎসুয়েনা
প্রকাশকাল:-১৯৯৯-২০০২
ভলিউম:-৫
(Remake)
এপ্রিল ২০০২-সেপ্টেম্বর ২০১৭
ভলিউম:-৬১টি
এনিমে:
প্রকাশকাল:-অক্টোবর ২০০৬- সেপ্টেম্বর ২০০৭
এপিসোড সংখ্যা: ৫০টি
স্টুডিও:- TMS entertainment
নির্দেশনা:-হাজিমে কাগেয়ামা
ওভিএ:
প্রকাশকাল: মার্চ ২০১২-২০১৪
স্টুডিও: Brains Base
পর্বসংখ্যা: ১১
 
 
একটি চরম underrated এনিমে।
শোনেন জনরায় কিছু বিষয় এতোই কমন যা প্রতিটি এনিমেতেই এসে হাজির হয়। তাদের মধ্যে একটি বিষয় হলো, দুর্বল চিকনচাকন প্রধান চরিত্রের হাট্টাকাট্টা বিশ্ববিজয়ী হয়ে ওঠার গল্প। এইটা প্রায় ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সব শোনেনে পাওয়া যায়, যার ফলে এটাই সবচেয়ে কমন “ট্রোপ”।
বিরিয়ানি তো দিনশেষে গিয়ে ভাত আর মাংস‌ই। কিন্তু রন্ধনের পদ্ধতি আর গুণে কিছু হয় কাচ্চি, কিছু হয় তেহারি কিছু হয় স্রেফ খাওয়ার অযোগ্য। শোনেন‌ও তেমনি এক‌ই কনসেপ্টের উপর বেজ করে হলেও কাহিনী বর্ণনার গুণে কোনগুলো লিজেন্ড, কোনগুলো উল্লেখ করার মতো না।
আর তারপর আসে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের মতো আন্ডাররেটেড, কেউ চিনে না টাইপ রত্ন।
জাপানি স্কুল পড়ুয়া চিকন চাকন বুলির হাতে পেদানি খাওয়া ছেলে কেনিচি। নিজেকে ডিফেন্ড করা শিখতে তাই বিভিন্ন ব‌ইপত্র পড়ে কেনিচি। কিন্তু গ্রন্হগত বিদ্যা দিয়ে কি আর বাস্তবজীবনে টিকে থাকা যায়?
বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর। বিশ্বাস হোক, আর যা হোক কোনো না কোনোভাবে রিওজানপাকু বলে একটা মার্শাল আর্ট দোজোর সন্ধান পায়। পায় বলতে, দোজোটা তাকেই একধরণের খুঁজে নেয়।
এই এনিমেটাতে যেই জিনিসটা ভালো লেগেছে, সেটা হলো মার্শাল আর্টের বাস্তবসম্মত উপস্হাপন। টেকনিক ও প্রাক্টিসের সমন্বয়ে যে সাধারণ মানুষ‌ও অসাধারণ কিছু করে দেখাতে পারে, এই মেসেজটা এখানে স্পেশাল। পপুলার মার্শাল আর্ট এনিমেগুলো বলতে সাধারণত আমরা যেগুলো চিনি, যেমন বাকি দ্য গ্রাপলার, কেনগান আশুরা এগুলোর থেকে কেনিচি দ্য মাইটিয়েস্ট ডিসাইপলের একটা দিক একটু অনন্য বলতে হবে। এখানে নেই কোন ভয়ংকর রকমের রক্তারক্তি বা masculine fantasy. এটা আমার আপনার মতো স্রেফ একটা সাধারণ ছেলের বুলির বিপক্ষে রুখে দাঁড়ানোর একটা অসাধারন কাহিনী।
কাহিনীর পেসিং শুরুর দিকে ভালো থাকলেও মাঝখানে একটু বোরিং লাগতে পারে, তবে ধৈর্য ধরে দেখতে থাকলে রতন পেতে পারেন। এনিমেশনটা পুরনো যুগের এনিমের মতোই, ঐখান থেকে ঝা চকমকে ইউফোটেবল বা মাপ্পা ক্লাসের কিছুই পাবেন না। কমেডি আছে প্রচুর, কারো কাছে একটু sketchy লাগতে পারে। কেনিচির সময় সময় হাল্কা করে মরে যাওয়ার expression টা দারুণ লেগেছে।
তো, সময় করে দেখে নিতে পারেন এই আন্ডাররেটেড এনিমেটা। কম ভালো লাগলেও হতাশ হবেন না। আর Ost টা মিস করবেন না।

Comments

Leave a Reply