Maris the Chojo [OVA রিভিউ] — Nudrat Mehraj Sadab

maris-the-chojo

Name: Maris the chojo
Genere: Sci-fi, Comedy
Running time: 46 মিনিট

Rumiko Takahashi’র ১৯৮০ সালের ওয়ানশট মাংগা থেকে ১৯৮৬ সালের এডাপটেশন এই OVA টি। এটাকে “Loosely based Sci-fi” ও বলা যায়। চিরাচরিত সাই-ফাই থেকে এখানে পার্সোনাল এজেন্ডা বেশি মুখ্য ছিল।

Maris হল Inter galactic space patrol এর অধীনে কর্মরত একজন তরুণী। যে কিনা Thanatos নামক গ্রহে বাস করত। এই গ্রহে বসবাসকারী মানুষের মধ্যে একটি স্পেশালিটি আছে। সাধারণ মানুষের চেয়ে ৬ গুণ বেশি শক্তিশালী এরা। কোন এক কারণে একসময় এই গ্রহ ধ্বংস হয়ে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। তার আগেই ঐ গ্রহের মানুষদের সরিয়ে ফেলা হয়। কিন্তু তাদের সেই স্পেশালিটির কারণে তাদেরকে শেকল পড়ে থাকতে হত যাতে সেই পাওয়ার আনলিশ না হয়।
-যাই হোক একদিন এজেন্সি থেকে নির্দেশ আসে একটি কিডন্যাপিং কেস হ্যান্ডল করার। বিখ্যাত ধনকুবেরের ছেলে Maru Kogane কে কিডন্যাপ করেছে কে বা কারা। তাকে উদ্ধার করতে পারলে পুরস্কার হিসেবে বেশ ভাল এ্যামাউন্টের টাকা পাবে। Maris এই দায়িত্ব পেয়ে খুশি হয়। কারণ তার মদ্যপ বাবার হিংস্র চালচলন আর মায়ের দেখভালের জন্য তাকে টাকা পাঠাতে হয় কিছুদিন পর পর। আর তার অসামান্য স্ট্রেংথের কারণে অলরেডি ৪টা স্পেসশিপ ধ্বংস হয়ে গেছে। যার দরুণ এজেন্সির পক্ষ থেকে বড় ঋণের বোঝা বইতে হচ্ছে। এছাড়া তার নিজেরও এই জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা চলে আসছে। তাই সে তার এ্যাসিস্টেন্ট নাইন-টেইল ফক্স Murphy’র সাথে রওয়ানা দেয়।
এক সময় কিডন্যাপারের কাছ থেকে কল আসে। সে আর কেউ না, তার একসময়কার প্রতিদ্বন্দ্বী Sue। যাকে সে রেসলিং এ হারায়। বাট থিংস গেট প্রিটি সিরিয়াস যখন জানা যায় তার এই কিডন্যাপে জড়ানোর কাহিনী। তো নানান ঝামেলা শেষে Maris পৌঁছে যায় Sue’ র বেইজমেন্টে। সেখানে আবার তাদের মধ্যে ছোটখাটো ম্যাচ হয়ে যায়। এরপরই ঘটে আন-এক্সপেক্টেড ঘটনা। Maris কি পারে ঐ ছেলেকে বাঁচাতে? শেষের দিকের টুইস্ট টার জন্যে হলেও পুরোটা দেখা উচিৎ বলে মনে করি। দেখার পর বারবার এটাই মাথায় আসবে Life is not a fairy tale.
-পুরোটা সময় নানা ধরণের কমেডিক এলিমেন্টে ভর্তি। এর মধ্যে ২-১ টা হয়ত ফোর্সড মনে হবে। কিন্তু বাকিগুলো ন্যাচারাল। কিছু হয়ত স্টুপিড মনে হতে পারে। কিন্তু ৮০’র এনিমে হিসেবে একটি OVA তে এর বেশি কিছু আশা করা যায়না। তবে যতটুক দরকার ততটুকুই আছে। আর আরেকটা মজার ব্যাপার হল গল্পের এক পর্যায়ে যখন তারা একটা গ্রহে ক্র্যাশ করে সেখানের কোন একটা বারের সামনে ডার্থ ভেডারকে (স্টার ওয়ার্স) জুস খেতে দেখা যায়। এছাড়াও অন্য এলিমেন্ট গুলো একদমই বোর হতে দিবেনা। এটা দেখে যে সময় নষ্ট হবেনা তা বলে দিতে পারি।
আর সাউন্ডট্র্যাকের ব্যাপারে বলব সেই পরিচিত ইউজুয়াল ৮০’র গান। শুনতে মজাই লাগবে। ওভারঅল হালকা ধাঁচের একটি এনিমে। দেখে খারাপ লাগবেনা।

Comments