Berserk by Shaikh Mohammad Habib

যারা মাঙ্গা পড়েন এবং Berserk পড়েছেন তাদের আমার নতুন করে কিছু বলার নাই, আর যারা পড়েন নাই তাদের জন্য Berserk Golden Age Arc I II & III এই ৩টা মুভি রিকমেন্ড করব। আমার নিজের সবচেয়ে প্রিয় মাঙ্গা এবং এটার মত এপিক জিনিস আমি মুভি,অ্যানিমে,টিভি সিরিজ মিলায়ে দেখি নাই বললেই চলে। মাঙ্গার ভলিউম ৪-১৩ পর্যন্ত কাভার করা হয়েছে।
* Game of Thrones যেমন সবার জন্য না তেমনি Berserk ও একই। অন্তত ১৬+ মানুষ ছাড়া বাকিদের না দেখাই ভালো এর ভায়োলেন্স ও ম্যাচিউর কন্টেন্ট এর জন্য।

Download Link –
Berserk The Golden Age Arc I – The Egg of the King :http://www.animeout.com/berserk-the-golden-age-arc-i-the-egg-of-the-king-movie-1dual-audio720p-minihd-bluray-300mb-encoded/

Berserk – Golden Age Chapter II – The Capture of Doldrey :http://www.animeout.com/berserk-golden-age-chapter-ii-the-capture-of-doldrey-movie-bd-720p-500mb-encoded/

Berserk – Golden Age Arc III – Descent : http://kickass.to/gentleman-berserk-golden-age-arc-iii-eng-sub-descent-18xver-bd-816p-x264-10bit-mkv-t7551398.html

Berserk 1 Berserk 2 Berserk 3

এনিম রিভিউঃ টোকিও ম্যাগনিটুইড ৮.০ লেখক ব্লগার জুবায়েদ

আসসালামুয়ালাইকুম ভাই ও বোনেরা। এটা আমার প্রথম কোন এনিমকে রিভিউ দেয়া পোস্ট, যদি ভাল লাগে আপনাদের, তাহলে ভবিষতে আরো কিছু রিভিউ লেখার জন্য অনুপ্রাণিত হব।

ভূমিকম্প!!!! কতটা বিপর্যস্ত করতে পারে জনপদ?
প্রশ্নটার উওর যদি খুঁজে পেতে চান, তবে আর দেরি না করে শীঘ্রই দেখে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০ , মাত্র এগার পর্বের এ এনমিটি আপনার হৃদয়ে দাগ কাঁটার জন্য যথেস্ট। আমাদের দেশেই ঢাকা নগরীর যা অবস্থা, তা বিবেচনা করলে ঢাকা ও চট্রগ্রামবাসীদের জন্য এনেমিটি আবশ্যক বলাটাও ভুল হবেনা বলেই মনে হয়। :|

এনিমটিতে মূলত মোট তিনটা প্রধান চরিত্র – মিরাই, ইউকি ও মারি। মিরাই স্কুলে গ্রেড থ্রিতে পড়ে আর ইঊকি গ্রেড ওয়ানে। গীষ্মের আসন্ন ছুটিতে যখন মিরাইের সহপাঠীরা ব্যস্ত কে কোথায় ঘুরতে যাবে তার আলাপচারিতায় তখন নিশ্চুপ মিরাই। কারণ, গতবারের মত এবার যে তাঁর কোথাও যাওয়া হচ্ছে না। ব্যস্ত টোকিও নগরীতে বড় ব্যস্ত তাঁর বাবা-মা, এজন্য মিরাইের চাঁপা ক্ষোভ।

মিরাইের ভাই ইউকি, ইউকি মিরাইের অত্যাধিক মোবাইল প্রীতির জন্য তাঁর নাম রেখেছে মোবাইল এলিয়েন, ছেলেটা দেখতে চঞ্চল ও দুরন্ত, ভালবাসে ছবি আঁকতে ও রোবট সম্পর্কে জানতে। জাপানের আর্টিফিশিয়াল ওডাইবা আইসল্যান্ডে রোবট প্রদশনী দেখতে যাবে বলে মায়ের কাছে ওর আবদার, কিন্তু মায়ের ব্যস্ত সময় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায়। উপায় না দেখে মিরাইকে সঙ্গে করে ওডাইবা সিটিতে ইউকিকে যেতে বলেন। মিরাই এ সিদ্ধান্তের ঘোর বিরোধী, কিন্তু উপায়ান্ত শেষ পর্যন্ত রাজি হয়।

সেদিন দুজনের মায়ের জন্মদিন, ট্রেনে মিরাই ইউকি, টোকিও টাওয়ার আর রেইবো ব্রিজে দুজনের কৌথহলী দৃষ্টি। ইউকির ইচ্ছা মায়ের জন্য একটা গিফট কিনা, সে ঊদ্দেশে তারা গিফট পছন্দ করে। কিন্তু হায়! তাঁদের পছন্দ করা গিফট যে আরেকজনের হাতে। সে আরেকজন আর কেউ না, মারি। এভাবেই আরেক প্রধান চরিত্রের মারির আগমন। মারি ওদের পছন্দের কথা বুঝে ও শুনে গিফটটা অবশ্য হাতে না রেখে ইউকির হাতে ধরিয়ে দেন, হাজার হোক মায়ের জন্মদিনের জন্য পছন্দ করা জিনিস

পরে ইউকি আর মিরাই রোবট প্রদর্শনী দেখে বের হল। মিরাই আগে বের হলেও ইউকি ওয়াশ রুমে যাওয়ার নাম করে ভিতরে আবার গেল । এরপর… হঠাৎ করেই… রিক্টার স্কেল ৮ মাত্রার ভূমিকম্প!!! বিখ্যাত ওডাবা আইসল্যান্ড ধ্বংসের মুখে!!! শপিং মলের বাইরে মিরাই… ভিতরে ইউকি… প্র্যায় ধ্বংসের মুখে পড়া শপিং মলে আবার মিরাইের প্রবেশ… মিরাই ও মারির আবার দেখা… দুজনেই খুঁজছে ইউকি কে… ইউকি কি পারবে?? মিরাই কি আজ তাঁর ভাইকে হারাবে?? তারা কি একসাথে বাসায় ফিরবে? ইউকি-মিরাইের বাবা-মা ই বা কেমন আছে? তাঁদের কি জন্য কি ভবিষৎ অপেক্ষা করছে? ওদিকে মারির জন্য অপেক্ষা করছে তাঁর মা ও মেয়ে !! মারির শহরে লেগেছে আগুন, হাজার হাজার বাড়ি পুরে ছাই… মারির মা ও মেয়ে কি ভূমিকম্প থেকে রক্ষা পেয়েছে? অসম্ভব রোমাঞ্চকর তাঁদের এ এডভ্যাঞ্চার দেখতে হলে অনলাইন থেকে নামিয়ে ফেলুন টোকিও ম্যাগনিটুড ৮.০
Click This Link
Click This Link

আমি এ অসম্ভব সুন্দর এনেমিকে ১০ এ ৯ রেটিং দিলাম। বাকিটা আপনারা দেখেই বলেন।

মূল লেখা http://www.somewhereinblog.net/blog/jindhk/29658791

Magi: The Labyrinth of Magic by আসিফুল হক

বাসায় আমার আলাদা একটা রুমের মত আছে; ঠিক রুম না; বারান্দায় হার্ডবোর্ড দিয়ে পার্টিশন টাইপ। রুমের কথা বার্তা মোটামুটি প্রায় সবই বাইরে থেকে শোনা যায়। তো অইদিন এক ফ্রেন্ড বাসায় আসছে; আমার রুমে এনিম নিয়ে কথাবার্তা হইতেসে। এক পর্যায়ে সে তার প্রিয় সিরিজগুলা নিয়ে খুব উত্তেজিত স্বরে কথা বলতে বলতে শুরু করল, “অই তুই মাগি দেখসিস, মাগি? আমি অইদিন রাতে দেখা শুরু করলাম; সারারাত মাগি দেখসি।” and i was like “আস্তে ভাই আস্তে !!! তোর কাছে যেইটা এনিম; অন্যদের কাছে অইটা অন্য কিছুও হইতে পারে” !!!!

শানে নযুলঃ Magi: The Labyrinth of Magic দেখতেসি। ১৫ পর্ব চলতেসে;বাকি পর্ব আইডিএমের কিউতে। 🙂 🙂 একটু unusual; বাট বেশ ভাল লাগতেসে। Arabian nights টাইপ কাহিনী থেইকা যে এত সুন্দর এনিম conversion করা যাবে ভাবি নাই 🙂 🙂

recommendation level: Highly recommended 🙂 🙂

Magi

রিভিউঃ “Death Note” – এক বসায় দেখে শেষ করার মতো একটি কার্টুন সিরিজ — লেখক ঠোঁটকাটা নির্লজ্জ

রিভিউ লেখার অভ্যাস তেমন নেই।
আর Death Note অনেক বিখ্যাত একটি সিরিজ। অনেকেই হয়তো দেখেছেন। যারা এখনও দেখেননি তাদের জন্যই লেখার চেষ্টা করছি।

কার্টুন হলেই যে পোলাপানের দেখার জিনিস হবে তা ভুল প্রমান করার জন্য এই “Death Note” -ই যথেষ্ট।
৩৭ পর্বের পূর্ণাঙ্গ সিরিজ এটি। Genre হিসেবে “Death Note” কে বলা যায় Thriller, Mystery আর Supernatural অপূর্ব সংমিশ্রণ।
আমার ভাষায় “Death Note” হল হালকা Mystery ও Supernatural এর সংমিশ্রণে দুর্দান্ত এক Thriller!

death note

 

কার্টুনটির প্রধান দুই চরিত্র হল লাইট ইয়াগামি এবং L (এল)। মূলত এদের দুজনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, বন্ধুত্ব, শত্রুতা, প্রতিযোগিতা নিয়েই কাহিনী আবর্তিত হয়েছে। এদের সবধরনের অনুভূতি এখানে খুব শক্তভাবে প্রকাশিত হয়েছে।
লাইট ইয়াগামি হচ্ছে খুবই Smart, Talented, বুদ্ধিমান, সুদর্শন এক জাপানি ছাত্র যাকে বলা যায় one of the Japan’s Brightest!

Light Yagami

 

লাইট অন্যদের চেয়ে এতই এগিয়ে থাকে যে বাকি সবাই কে তার মনে হয় Boring আর Rotten! সে চায় অনেক বড় কোন পরিবর্তন। এক সময় সে হাতে পায় এই রকম একটি Note-Book যাতে যার নামই লেখা হবে সে মারা যাবে! এখন প্রশ্ন হচ্ছে লাইটের মতো Smart – বুদ্ধিমান ছেলে সেই Note Book দিয়ে কি করে?
অপরদিকে L হল পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ গোয়েন্দা। কঠিন কঠিন সব কেস এর সমাধান সে করেছে কিন্তু কেউই তার আসল পরিচয় জানেনা।

L

 

L-ও চরম বুদ্ধিমান এবং সবার চেয়ে কয়েক ধাপ এগিয়ে থাকে সবসময়। L কে মুখমুখি হতে হয় লাইটের যার কাছে রয়েছে একটি Death-Note। “জোকারের” ভাষায় একে বলা যায় “An unmovable object is on the way of an unstoppable force!”
যাই হোক রিভিউ লেখাটা মূল আকর্ষণের ধারেকাছেও যায় নি। অনেকে হয়তো রিভিউ পড়ে কার্টুনটি দেখার ব্যাপারে নিরুৎসাহিত হবেন। ভুলেও এই রিভিউ পড়ে “Death Note” কে ভুল ভাবে নিবেন না! আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি প্রথম দুই পর্ব দেখার পর পুরো ৩৭ পর্ব শেষ না করে উঠতে চাইবেন না। কাহিনীর Climax- Anti-climax অসাধারণ। উপস্থাপন, সংলাপ, সাস্পেন্স…

অসাধারণ, অসাধারণ, অসাধারণ!!!

IMDb তে Death Note এর রেটিং হল ৯.১। আমি একে ১০ এ ৯.৮ দেবো!

টরেন্ট ডাউনলোড লিংক

ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিঙ্কও দিয়ে দিচ্ছি। কিন্তু এক্ষেত্রে একেকটি পর্বের সাইজই হয়ে যাবে ২৪০ মেগা এর মতো। যেখানে টরেন্টে মাত্র ৬০-৬৫ মেগা/পর্ব! তাই টরেন্ট থেকে নামানোই উত্তম!

ডাইরেক্ট ডাউনলোড লিংক

এখনও না দেখে থাকলে নামিয়ে দেখা শুরু করুন। আশা করি নিরাশ হবেন না!

 

কিছু টুডি এনিমেশন মুভি– লেখক স্বাধীনতার বার্তা

এরকম একটা পোস্ট দেয়ার কথা চিন্তা করছিলাম অনেকদিন থেকেই। আবার ওইদিন ব্লগার স্নিগ্ধ বললেন কিছু আনকমন এনিমে ফিল্ম এর নাম লিখে পোস্ট দিতে। তাই এই পোস্টের অবতারনা। কথা না বাড়িয়ে মূল লেখায় চলে আসি।
এখান থেকে Studio Ghibli, Hayao Myazaki আর Satosi kon কে বাদ দেয়া হল। কারন এরা হলিউড এ খুব পপুলার।

the-girl-who-leapt-through-time
#১। The Girl Who Leapt Through Time (২০০৬): ডিরেক্টর Mamoru Hosoda এর মাস্টারপিস। আমার দেখা সেরা এনিমে ফিল্ম এটা। এক মেয়ে, মাকতো হঠাৎ টাইম ট্র্যাভেল করার ক্ষমতা লাভ করে। আর এই ক্ষমতা দিয়ে সে অতীতের বিভিন্ন ঘটনা পাল্টে দিতে থাকে। এক্সময় লক্ষ্য করে এভাবে টাইম লিপ করাতে এক বড় ক্ষতি হয়ে গেছে।

#২। Summer Wars (২০০৯): The Girl Who Leapt Through Time এর ডিরেক্টর এর আরেকটা মুভি। সম্ভবত তাই আশা ছিল একটু বেশি। এখানে দেখা যায় এক ম্যাথস্টার পৃথিবীর সবচেয়ে জটিল এনক্রিপশন কোড ভেঙ্গে ফেলে, এবং এর ফলে সারা ওয়ার্ল্ড এর যোগাযোগ ব্যাবস্থা নষ্ট হয়ে যায়। এরপর সেই ম্যাথস্টার এক বিশাল জয়েন্ট ফ্যামিলির সাথে পৃথিবী রক্ষায় নেমে পড়ে। শুনতে একটা থ্রিলার এর মত মনে হলেও আসলে এটা পুরোটাই একটা ফ্যামিলি ড্রামা/কমেডি।

#৩। The Place Promised in Our Early Days (২০০৫): এই সিনেমাতে জাপান দুই ভাগে বিভক্ত। একটা অংশ ইউনিয়ন (সোভিয়েত রাশিয়া) এর আন্ডারে আর অন্যটা আমেরিকার। ইউনিয়ন এর অংশে এক বিরাট টাওয়ার আছে যেটা ইউ এস অংশে থাকা তিন ফ্রেন্ড কে প্রচন্ড আকর্ষন করে। তারা প্রমিজ করে যে একদিন ওই টাওয়ারে যাবে।

The Place Promised in Our Early Days

কালের পরিক্রমায় তিনজন তিন দিকে চলে যায়। Hiroki যে এখন ছাত্রজীবন শেষ করতে পারেনি, Takuya যে ফিজিসিস্ট হিসেবে রিসার্চ করছে আর তাদের বান্ধবী Sayuri যে ন্যাক্রলেপ্সি তে আক্রান্ত হয়ে হস্পিটালাইজড। Hiroki এখনো সেই টাওয়ার এ যাওয়ার কথা চিন্তা করে, কিন্তু সে কি অন্য কারো সাহায্য পাবে? এরকম একটা গল্প নিয়েই Makoto Shinkai তার প্রথম ছবিতে এনিমে জগৎকে তাক লাগিয়ে দেন। তার ছবির প্রধান বৈশিষ্ট হল ঝকঝকে এনিমেশন। কাহিনী খুব স্লো আগায় কিন্তু তারপরেও কেন জেন ভাল লেগেছিল।

#৪। 5 Centimeters Per Second (২০০৭):

5 cm

Makoto Shinkai এর দ্বিতীয় ছবি। ছবির ট্যাগলাইন ছিল, “a chain of short stories about their distance”। আগের ছবির মতই এটাও ঝকঝকে এনিমাশনে পূর্ণ। কাহিনী এটারও স্লো, কিন্তু আমার খুব ভালো লেগেছে। ছবিটা তিনটা অংশে বিভক্ত। আমার এই সিনেমার যেটা ভালো লেগেছে সেটা হল গল্প বলার ধরন। এই সিনেমার পরই Makoto Shinkai কে দ্বিতীয় মিয়াজাকি বলা হচ্ছে। আর এবছর তার তৃতীয় ছবি, Children Who Chase Lost Voices from Deep Below বের হবে। একটা জিনিশ খেয়াল করেছেন? ডিরেক্টর এর সবগুলা সিনামার নামই বিরাট বিরাট।

#৫-৬। Ghost in the Shell (১৯৯৫) ও Innocence (২০০৪): বিখ্যাত সাইবারপাঙ্ক ঘোস্ট ইন দা শেল এর Mamoru Oshii ডুয়ালোজি। ব্রেন সাইবারাইজড করার পরও মানুষের যে নিজস্বতা থাকে সেটার নাম দেয়া হয়েছে Ghost। প্রথম ছবিতে দেখা যায়, এক হ্যাকার পাপেট মাস্টার নামে বিভিন্ন মানুষের সাইবার ব্রেন হ্যাক করে তাতে বিভিন্ন আরটিফিসিয়াল মেমোরি ঢুকিয়ে দিচ্ছে। কি তার উদ্দেশ্য? ইনভেস্টিগেশন এর দায়িত্ব পড়ে সেকশন ৯ এর সাইবর্গ অফিসার মাকটো এর উপর। একসময় মাকটো নিজের অস্তিত্ব নিয়েই সন্দিহান হয়ে পড়ে। তার মেমোরি কি আসল নাকি সে একটি এ.আই.? তার মনে হয় পাপেট মাস্টার এর কাছে এর উত্তর আছে। এ ছবি সম্পর্কে James Cameron বলেছেন, “the first truly adult animation film to reach a level of literary and visual excellence.”
আর দ্বিতীয় ছবির কাহিনীটা এরকম। Locus Solus রোবটিক্স এর তৈরি করা সেক্সডল গুলো হঠাৎ করে তার মালিকদের হত্যা করে নিজেরা ফেলফ ডিস্ট্রাক্ট হতে শুরু করে। এরকম কয়েকটি ঘটনা পর পর ঘটায় তা নজরে আসে সেকশন ৯ এর। দায়িত্ব দেয়া হয় আরেক সাইবর্গ বাটো এর উপর। ইনভেস্টিগেশন এর মাধ্যমে বের হয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক তথ্য।
এই মুভি দুইটার সাউন্ড ওয়ার্ক এক কথায় অসাধারন। মিউজিকের কিছু কিছু জায়গায় ত পুরা মন্ত্রমুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।

#৭। Metropolis (২০০১): ডিটেক্টিভ বান আর তার সহকারী কেনেচি মেট্রোপলিসে এসে এক এডভেঞ্চারে জড়িয়ে পড়ার কাহিনী। স্টোরিটা ভালই, কিন্তু এনিমেশন স্টাইল আর বিশেষভাবে মিউজিকটা আমার মোটেও পছন্দ হয়নি।

#৮। Origin: Spirits of the Past (২০০৬):

Origin Spirits of the Past

অতীতে এক মহাপ্রলয় এ পৃথিবীর অধিকাংশ অংশ ধ্বংস হয়ে যায়। সে সময়ের অনেক মানুষ স্লিপিং পড এর সাহায্যে ভবিষ্যতের পৃথিবীতে পদার্পণ করে। অন্যদিকে যে বিজ্ঞানীর ভুলে এ মহাপ্রলয় শুরু হয়েছিল সেই বিজ্ঞানী এক সিস্টেম দাড়া করিয়ে যান যেন পৃথিবীকে আবার আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়া যায়। অতীতের মানুষরা চায় সে সিস্টেম চালু করে পৃথিবীকে রিস্টর করতে। কিন্তু এই যুগের যারা অধিবাসী তারা কি এমন পরিবর্তন চায়?
আমার ভালোই লেগেছিল মুভিটা, কিন্তু কেন জানি যাদেরকে আমি দেখিয়েছি তাদের বেশিরভাগেরই ভালো লাগেনাই। ফ্যান্টাসি ফিল্ম বলে হজম করাও মনে কষ্টকর।

#৯। Samurai X: Trust & Betrayal (১৯৯৯): জগদ্বিখ্যাত সিরিজ Samurai X এর প্রিকুয়্যাল। মূলত এই সিনেমটা দিয়েই আমি এনিমেশন এর ফ্যান হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের নায়ক Kenshin এর সামুরাই হয়ে ওঠার কাহিনী। আর কীভাবে সে তার গালের x মার্কটা পেয়েছিল তা ও জানানো হয়েছে এই সিনেমাতে। এটা প্রথমে তৈরি করা হয় চার পর্বের ডাইরেক্ট টু ভিডিও সিরিজ হিসেবে। পরে আরো আধাঘন্টার সিন যুক্ত করে ডাইরেক্টর’স কাট ফিল্ম হিসেবে মুক্তি দেয়া হয়। আমার দেখা সেরা মুভির একটা।

#১০। Sword of the Stranger (২০০৭):

Sword of The Stranger

জাপানের কোন এক সময়ের ইতিহাস কে উপজীব্য করে একটি ফ্যান্টাসি গল্প। বিভিন্ন ইউজার’স ভোটেড তালিকায় উপরের দিকে আছে এই মুভিটা। Kotarou নামে এক শিশু এস্যাসিনদের কাছ থেকে পেলিয়ে বেড়াচ্ছে। সে জানে না কেন তাকে এভাবে হান্ট করা হচ্ছে। পথিমধ্যে তার দেখা হয় এক সামুরাই এর সাথে, যাকে সে ভাড়া করে। এক সময় কন্ত্রাক্ট শেষ হয়ে যাওয়ার পরও, সেই সামুরাই বাচ্চাটিকে বাঁচাতে ছুটে আসে।

#১১। Tekkon Kinkreet (২০০৬):

Tekkon Kinkreet

জাপানীজ এনিমেশনের সাথে আমেরিকান এনিমেশন এর ফিউসন করে বানানো ফ্যান্টাসি। দেখার সময় আর্টওয়ার্কগুলো খুবই ভালো লাগার কথা। বিভিন্ন রিভিউতে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেয়া হয়েছে। রোটেন টমেট’স এ টপ রিভিউ তে ৯০% এর কাছাকাছি আছে। কিন্তু আফসসের বিষয় আমি আগা মাথা কিছুই বুঝি নাই। পুরা মুভিটা ভালই চলছিল। কিন্তু শেষে গিয়ে কি জানি হয়ে গেলো (ঘিবলির অনেক মুভি দেখতে গিয়েও আমার এক ই অবস্থায় পড়তে হয়েছিল)।
দুই ভাই একজন ব্ল্যাক আরেকজনে হোয়াইট। দুইজন এর ই নাকি হার্টের কিছু স্ক্রু মিসিং। এই স্ক্রু গুলা নাকি আবার হোয়াইটের কাছে আছে। এমন আরো কত কি।

## এই বার কিছু সিরিজ কম্পাইলেশন মুভির কথায় আসা যাক। আমার মতে এনিমে ফিল্ম এর চেয়ে সিরিজ বেশি ভালো (যদিও আমার ফেভারি্ট এনিমে এর কথা বলতে গেলে The Girl Who Leapt Through Time এর কথাই বলব)। এই সিরিজ বেজড মুভিগুলো মুলত সিরিজটাকে কাটছাট করে বানানো হয়েছে। তাই সিরিজে যে ঘটনে ২৪-২৫ পর্বে সাজানো হয়েছে সেগুলো এখানে ২ থেকে ২.৫ ঘন্টার মধ্যে ঠিকভাবে সাজান হয়েছে কিনা তা ও চিন্তার বিষয়।

#১৩। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – The Laughing Man(২০০৫): Kenji Kamiyama র স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স ট্রিলজির প্রথম মুভি এটা। ২০২৪ সালে এক হ্যাকার মাইক্রো মেশিন নামে এক কম্পানির সিইও কে কিডন্যাপ করে একটি সিরিজ কিডন্যাপিং এর সূচনা করে যার নাম হয় লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট। ছয় বছরেও এই ঘটনের কোন সুরাহা হয় না। ঘটনার ছয় বছর পরে ইনভেস্টিগেশন টিম এর এক মেম্বার মৃত্যর ঠিক আগ মুহুর্তে সেকশন ৯ এর ফ্রেন্ড Togusa এর কাছে সব এভিডেন্স পাঠিয়ে দেয়, কিন্তু জানাতে পারে না আসলে সে কি পেয়েছিল। Togusa এরপর শুরু করে নিজের ইনভেস্টিগেশন এবং পুলিশ বাহিনীর এক জোচ্চুরি আবিস্কার করে বসে। এরপর সেকশন ৯ লাফিং ম্যান ইনসিডেন্ট তদন্তের ভার নেয়। এই মুভির একটা খুব পছন্দের ডায়ালগ হলঃ I thought what I’d do was I’d petend I was one of those deaf mutes, or should I?
আমার মতে এটা একটা মাস্টারপিস। ২৬ পর্বের সিরিজটা আমি অনেক আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। আর মুভি ভার্সনটা ২ঘন্টা ৪০ মিনিটের।

#১৪-১৫। Ghost in the Shell: Stand Alone Complex – Individual Eleven(২০০৫) ও Solid State Society (২০০৭): স্ট্যান্ড এলোন কমপ্লেক্স সিরিজের দ্বিতীয় সিজনের কম্পাইলেশন হল Individual Eleven আর Solid State Society একটা ফিল্ম। Individual Eleven এ সাইবারাইজড ওয়ার্ল্ড এ একটা রিফুজি আপরাইজিং নিয়ে গড়ে উঠেছে। আর Solid State Society এর স্টোরিটা শুরু হয় বিভিন্ন হাই প্রোফাইল ব্যাক্তিবর্গের আত্মহত্যার মাধ্যমে ও একে একে তাদের সন্তানদের হারিয়ে যাওয়া দিয়ে। Solid State Society এর একটা সিন আমার খুব পছন্দের। এখানে ডিটেক্টিভ Togusa এর সাইবারব্রেন হ্যাক এর মাধ্যমে তার মেয়েকে কীভাবে অবডাক্ট করা হয় তা দেখানো হয়েছে। নিচে আপনাদের জন্য সিনটা দিয়ে দিলামঃ

#১৬-১৭। Code Geass: Lelouch of the Rebellion : Black Rebellion(২০০৮) ও Zero Requiem (২০০৯): মূল সিরিজ ৫০ পর্বের (২০০৬-২০০৮)। প্রথম ২৫ পর্বকে ১১৭ মিনিটে কাটছাট করে Black Rebellion ও শেষ ২৫ পর্বকে আবার ১১৭মিনিটে কাটছাট করে Zero Requiem নামে ছাড়া হয়। আমার দেখা সেরা এনিমে সিরিজের একটা। ব্রিটানিয়া এর ৯৮তম রাজা চার্লস এর তৃতীয় সন্তান এবং সিংহাসনের ১৮তম দাবিদার রাজকুমার Lelouch ও তার বোন রাজকুমারী Nunnally কে তার মায়ের মৃত্যুর পর জাপানে নির্বাসন দেয়া হয়। ঘটনাক্রমে Lelouch এক অতিমানবিক ক্ষমতার অধিকারী হয়ে ব্রিটানিয়া এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে অবতীর্ন হয়।

CG 1

এই সিরিজের দুইটা পছন্দের ডায়ালগ হলঃ
If the king doesn’t lead how can you expect his sub-ordinates to follow?
এবং
If there is a evil so great that that It cannot be destroyed by just means, what will you do? Will you become a greater evil so as to destroy evil? Or, will you remain steadfastly just and righteous even if it means surrendering to evil? Either way, evil wins.

#১৮-১৯। Death Note – Relight: Visions of a God (২০০৭) ও L’s Successors (২০০৯):

DN 1

তুখোর ছাত্র লাইট ইয়াগামি এর হাতে এসে পড়ে ডেথ গডের নোট, যেই নোটের ক্ষমতা দিয়ে কোন মানুষের চেহারা আর নাম জানা থাকলে তাকে মেরে ফেলা যায়। লাইটের মনে হতে থাকে এই পৃথিবী থেকে কিছু প্রকৃতির মানুষ না থাকলে পৃথিবীটা আরো সুন্দর হবে এবং সে এই নতুন পৃথিবী সবাইকে উপহার দিবে। তাই সে ডেথ নোটের ক্ষমতা ব্যাবহার করে একে একে বিভিন্ন খারাপ মানুষদের একটি নির্দিষ্ট প্যাটার্নে মেরে যেতে থাকে। এক সময় তা সবার নজরে আসে এবং এই খুন গুলো পরিচিতি পায় “কিরা কিলিং” নামে। পৃথিবীর এক নম্বর গোয়েন্দা এল এগিয়ে আসে এই সিরিয়াল কিলারকে থামাতে। শুরু হয় এক মেন্টাল লড়াই। লাইট যখনই এল এর আসল নাম জানবে তখনই এল পরাজিত, অন্যদিকে এল যখনই কিরার পরিচয় জানবে তখনই লাইটের ওয়ার্ল্ড রিফর্ম এর স্বপ্ন শেষ হবে। ২০০৭-২০০৮ এ চলা এই সিরিজটা মট ৩৮ পর্বের। প্রথম ২৫পর্বের কম্পাইলেশন Visions of a God আর শেষ ১২ পর্বের কম্পাইলেশন L’s Successors।

যা কিছু পছন্দের…….. এনিমেশন! লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

আমার পছন্দের তালিকাতে সবসময় এনিমেশন এর প্রাধান্য থাকে। আজ আপনাদের সাথে আমার পছন্দের এনিমেশনগুলো শেয়ার করব। এক্ষেত্রে আমি কিছু ক্যাটাগরিতে ভাগ করে নিয়েছি (আমার নিজস্ব মত অনুসারে)।
তো আসুন আমার বোরিং পছন্দের দুনিয়া থেকে ঘুরে আসি।

Action/Thrillar: Darker Than Black

Darker Than Black

কোন সন্দেহ ছাড়াই আমি বলতে পারি এটা আমার দেখা অন্যতম সেরা এনিমেশনগুলোর একটি। এটা দেখেছি স্যাটেলাইট চ্যানেল Animax এ। প্রথমে কমার্শিয়ালটা দেখে খুব একটা পছন্দ হয়নি। “ওই এক্স মেন এর মত অনেক সুপার পাওয়ার ওলা মানুষদের নিয়ে একটা এনিমে।” তাই ভেবেছিলাম। কিন্তু এইসব সুপার পাওয়ার নিয়ে জাপানীজদের কাহিনীটা যে এত মানবিক হবে তা কল্পনা করি নি। সুপার হিরো ক্যাটাগরিতে আমেরিকানরা একই গৎবাঁধা কাহিনী সারাজীবন দেখাচ্ছে। সে জায়গায় এটা খুবই উঁচু মানের। প্রথম ২টা পর্ব দেখে বাকি সবগুলো গিলেছি এক এর পর এক।

এটার ডাউনলোড লিঙ্ক Click This Link

Action/Science Fatasy: Fullmetal Alchemist

FMA

পাওলো কয়েলহোর এলকেমিস্ট এর নাম শুনেনি এমন মানুষ খুব কমই আছে। কিন্তু না। এটা পাওলো কোয়েলহোর এলকেমিস্ট এর এডাপ্টেশন নয়। এটা জাপানীজ Manga Artist Hiromu Arakawa এর গ্রাফিক নোভেল এর এডাপ্টেশন। Dragon Ball Z এর পর মনে হয় এই এনিমেটাই একই সাথে টিভি ও ডিভিডি সেল এ সারা দুনিয়াতে অসাধারন সাফল্য পায়। অসাধারন কাহিনী, অসাধারন স্টোরিটেলিং, এবং একই সাথে অসাধারন ক্যারাক্টার ডিজাইনিং। পুরো কাহিনীটা দুভাই Edward Elric ও Alphonse Elric এবং কিছুটা তাদের ছোটবেলার বন্ধু Winry Rockbell এর জীবনের ট্র্যাজেডি হলেও এতে আছে তীব্র যুদ্ধবিরোধী চেতনা। যারা এনিমেশনকে শুধু ছোটদের বলে মনে করেন তারা এটা চেখে দেখতে পারেন। গ্যারান্টি দিতে পারি পস্তাবেন না। আর এর মুভিটাও যথেষ্ঠ ভালো।

Comedy/Slice of Life: Phineas and Ferb

Phineas and Ferb

অনেকে হয়ত এটা দেখে হাসতে শুরু করে দিয়েছেন। কিন্তু এটা আমার দেখা সবচেয়ে হাসির কার্টুন, এবং পুরো কার্টুনটাই ডায়ালগনির্ভর। এনিমেশন স্টাইলটা দেখে ভেবেছিলাম এটা দেখবো না। পিচ্চিদের জিনিশ। কিন্তু একদিন আমার এক ছোট কাজিন এর সাথে একটা পর্ব দেখে ফেললাম। আর এর পর থেকে প্রায় সবগুলোই দেখেছি। Disney Channel এ দেখায়। কাহিনীটা অবশ্যই চাইল্ডিশ, সহজ, আর অবশ্যি অনেক মজার।

Epic: Avatar – The Last Airbender

Avatar

সারা পৃথিবীতে এপিক ক্যটাগরিতে এর চেয়ে ভালো কোন এনিমেশন নেই বলেই বিশ্বাস করি। পৃথিবীর প্রতিটি কোনায় এনিমেশনপ্রেমীদের কাছে এটা একটা রোল মডেল। ১৬টি এওয়ার্ড নমিনেশনের মধ্যে ১৪টিই জিতে নেয় এই এনিমেশনটি। এর মধ্যে ৭টি সম্মানজনক এনি এওয়ার্ড। আমার পছন্দের স্টুডিও এর কথা বলা হলে, আমি আগে Nickelodeon এর নাম মাথায়ই আসতো না। কিন্তু এখন Nickelodeon অবশ্যই প্রথম সারিতে থাকে। ১০০ বছরের রিএনিমেশন প্রসেস থেকে উঠে আসা বালক Aang, তথা এভাটার দেখে যে তার অনুপস্থিতিতে সমস্ত পৃথিবীর শক্তি ভারসাম্য উলট পালট হয়ে গেছে। ফায়ার লর্ড প্রায় সমস্ত পৃথিবী দখল করে নিয়েছে। এখন Aang ই পারবে এই পৃথিবীকে ফায়ার লর্ড এর হাত থেকে মুক্ত করতে। কিন্তু এর আগে তার চারটি উপাদান এর বেন্ডিং মাস্টার হতে হবে। ফলে সে তার জন্য শিক্ষক খোঁজার অভিযানে নেমে পড়ে। আর এই অভিযানে তার সঙ্গী হয় ওয়াটার ট্রাইব এর বালিকা Katara ও তার ভাই Sokka। ধীরে ধিরে এই দলে যোগ হয় আর্থ কিংডম এর Toph ও ফায়ার নেশন এর প্রিন্স Zuko। শিক্ষক খোঁজার এই অভিযানটি শেষে রূপ নেয় এক অবশ্যম্ভাবী মহাযুদ্ধে।

Mecha/Comedy Science Fiction: Megas XLR

Megas xlr

এই ক্যাটাগরিতে সবচেয়ে মজার এনিমেশন হল Megas XLR। ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে এক এলিয়েন রেস পৃথিবীতে হামলা করে। পৃথিবীকে দখল করাই তাদের লক্ষ্য। আর মানবজাতি তাদের সর্বোচ্চ টেকনোলজি দিয়ে তৈরি করে একটা Meche Prototype। এই প্রোটোটাইপটির নামই Megas। একটি দুর্ঘটনার ফলে প্রোটোটাইপের টাইম ড্রাইভ এর মাধ্যমে তা চলে আসে ১৯৩৬সালের পৃথিবীতে। এটার জায়গা হয় একটি জাঙ্কইয়ার্ডে। ২০০৪সালে জাঙ্কইয়ার্ডথেকে টো টো কোম্পানীর ম্যনেজার Coop মাত্র ২ডলারে কিনে নেয় বিশ্বের সবচেয়ে ভয়ঙ্কর অস্ত্র। আর এরপর একটির পর একটি হাসির ঘটনা ঘটতে থেকে।

Romantic Comedy : Love Hina

Love Hina

এই ক্যাটাগরির খুব বেশি কিছু আমার দেখা হয়নি। এখন পর্যন্ত মাত্র ৩টা দেখেছি। তার মধ্যে এটাই সবচেয়ে ভালো লেগেছে।

Science Fiction: Jyu-Oh-Sei (English Title: Planet of The Beast King)

Jyu-Oh-Sei

দুই জময ভাই Thor ও Rai এর বাবা-মাকে হত্যা করা হয় ও তাদেরকে এস্কেপ ক্যাপস্যুল এ করে স্পেস কলোনী জুনো থেকে মহাশুন্যে ছুড়ে মারা হয়। কাইমেরা নামক প্রিজন প্ল্যানেটএ ক্যাপস্যুলটি অবতরন করে। অসহায় দুই ভাইকে এখানে একই সাথে মানুষ ও প্রকৃতির সাথে লড়াই করে বাঁচতে হবে। কিন্তু অতিদ্রুত Rai এর মৃত্যু হয়। আর Thor প্রতিজ্ঞা করে সে এই গ্রহ থেকে বের হয়ে যাবে, তার পরিবারের মৃত্যুর কারন বের করবে। আর এজন্য তাকে হতে হবে বিস্ট কিং, প্ল্যানেট এর রাজা। তাই ধীরে ধীরে সে গ্রহটির অভ্যন্তরীন রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ে। আর সবশেষে যখন সে বিস্ট কিং হয় তখন তার মনে হয় সে বিস্ট কিং না হলেই ভালো ছিল।

Azumanga Daioh! – হাইস্কুল কমেডি — লেখক ব্লগার স্বাধীনতার বার্তা

 

AMD 1

এনিমে নিয়ে লেখার ইচ্ছা ছিল অনেক দিন থেকেই। কিন্তু লেখি লেখি করে হচ্ছিল না। আজকে লেখতে বসে পড়লাম। দেখা যাক।
যে এনিমেটা নিয়ে লেখার ইচ্ছা সেটার নাম Azumanga Daioh, কথাটির ইংরেজী অনুবাদ দাঁড়ায় Great King Aumanga. এনিমেটা এডাপ্ট করা হয়েছে একই নামের জাপানীজ কমিক বুক থেকে। কমিক বুক এর রাইটার Kiyohiko Azuma (কিওহিকো আজুমা)।

নামকরন
নামকরন কীভাবে হল সেটা একটু বলে নেয়া যাক। রাইটার এর নামের Azuma আর জাপানিজ কমিক বুক এর জেনেরিক নাম Mangaকে একত্র করে লেখক নিজেই কয়েন করেন Azumanga শব্দটি। আর Daioh নেয়া হয়েছে যে ম্যাগাজিনে এই মাঙ্গাটা সর্বপ্রথম সিরিয়ালাইজ করা হয় সেটা থেকে। ম্যাগাজিনটার নাম Dengeki Daioh। আর এনিমে এর একপর্বে গ্রেট কিং বুঝাতে Daioh শব্দটি ব্যাবহার করা হয়েছে। সেখান থেকে এই শব্দটির ইংরেজী অনুবাদ করা হয়েছে গ্রেট কিং। Azumanga Daioh এই আর্টিস্ট এর সবচেয়ে বিখ্যাত মাঙ্গা। এবং এই মাঙ্গা থেকেই এই লেখকের যেকোন মাঙ্গাকে Azumanga বলা হয়। আর যখন Azumanga Daioh উচ্চারন করা হয় তখন এই মাঙ্গাটিকে বুঝানো হয়। যাই হোক, আমার আসল টপিক হল এনিমেটা। সেটাতে ফেরত যাচ্ছি।

কাহিনী সংক্ষেপ
কাহিণী গড়ে উঠেছে কয়েকজন হাইস্কুল পড়ুয়া মেয়ে ও তাদের টিচারদের নিয়ে। শুরু হয় এভাবে, টিচার ইউকারি টার্মের প্রথমদিন ক্লাস নিতে যাওয়ার সময় লেট হয়ে যাচ্ছেন। এমন সময় তার সাইকেল এর চেইন পড়ে যায়। অন্যদিক এ আরেক স্টুডেন্ট তাকে দেখে ভাবে, সে যদি টিচার এর সাথে লেট করে তাহলে তার কোন সমস্যা হবে না। তাই টিচার কে চেইন ঠিক করে দেয়ার জন্য এগিয়ে আসে। সে যখন সাইকেল এর চেইন ঠিক করছিল, ততক্ষনে ইউকারি স্টুডেন্টের সাইকেল নিয়ে স্কুলের দিক এ রওনা হয়ে গিয়েছে।
এরকমই ছোট ছোট ক্লিপ দিয়ে গড়ে উঠেছে ২৪পর্বের এ কমেডি সিরিজটি। প্রতিটি ক্লিপের দৈর্ঘ্য ৫-৭ মিনিট। একটি পর্বে ৩-৫টি ক্লিপ থাকে। আচ্ছা এখন ক্যারেক্টারগুলোর বর্ননা দেয়া যাক কিছু। সেখানে কিছু ঘটনা যোগ করলে স্টোরি সম্পর্কে আরো জানা হবেঃ

Chiyo Mihama (চিও মিহামা)

AMD 2

একজন চাইল্ড প্রডিজি। যে ৫ম গ্রেড থেকে সরাসরি ১০ম গ্রেড এ প্রমোশন পায়। সব কাজেই তার সমান ইফিশিয়েন্ট আর কেউ নেই। ক্লাসের সবচেয়ে মেধাবী হিসেবে দ্রুতই ক্লাস রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে মনোনীত হয়। এক ক্লাসে সে স্যারের হোমওয়ার্ক না করায় সে প্রচন্ড ভয় পেয়ে যায়, তখন সে লখ্য করে ক্লাসের অন্য কেুও হোমওয়ার্ক করেনি কিন্তু কারো কোন চিন্তা নেই  ; অন্যদিকে সে চিন্তায় অস্থির।

Tomo Takino (টোমো টাকিনো)

AMD 3

ক্লাসের হাইপারএক্টিভ আর এনার্জেটিক ক্যারেক্টার। পড়া ফাঁকি, ক্লাস ফাঁকি সবই তার মাধ্যমে হয়; যদিও সে স্বপ্ন দেখে যে সে চিও কে টপকিয়ে ফার্স্ট হবে আর সাকাকির (এর সম্পর্কে পড়ে আসা হবে) চেয়ে ভালো এথল্যাট হবে। তার সম্পর্কে একটা ঘটনা না বললেই নয়। একবার মিডটার্ম এক্সাম এর আগে সে কিছুই পড়েনি। পরীক্ষার দুইদিন আগে যখন দেখল পাহাড় পরিমাণ পড়া জমে গিয়েছে, তখন সে “Tomo’s picks for exam” নাম দিয়ে বই এর যেগুলো ইম্পর্ট্যান্ট মনে হয় সেগুলো দাগিয়ে রাখল এবং পরীক্ষার আগের দিন তার কোন চিন্তা নাই বলে পুরো ক্লাসে চিল্লিয়ে তার পিকস থেকে একটা কোয়েশ্চেন বলল যেটা কালকে অবশ্যই আসবে। এরপর কি হল সেটা আর বলব না।

Koyomi “Yomi” Mizuhara (কোয়োমি “ইয়োমি” মিজুহারা)

AMD 4

পড়াশোনা নিয়ে অত্যন্ত সিরিয়াস এক ক্যার‍্যাক্টার। টোমো এর ছোটবেলার বন্ধু। কিন্তু দুইজনের ক্যারাক্টারিস্টিকস পুরাই আলাদা। সে চিন্তা করে পায় না, কীভাবে টোম তার সাথে একই হাইস্কুল এ চান্স পেল (জাপানে সম্ভবত হাইস্কুল ভর্তি পরীক্ষা আছে)। আবার এটা নিয়ে টোমো খুবই গর্ব করে। পুরো এনিমে জুড়ে টোমোকে নানা ধরনের উপদেশ দেয়াই ছিল এর প্রধান কাজ।

Sakaki (সাকাকি)

AMD 5

উচ্চতায় ক্লাসের সবচেয়ে বড়, তাই এথল্যাট হিসেবে স্কুলে খুব সুনাম। বিড়াল, স্টাফড এনিমেল খুব পছন্দ করে, কিন্তু তার মত কোন মেয়েকে এসব পছন্দ করতে দেখেনি, তাই সবসময়ই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগে। ক্লাসে সবসময়ই কম কথা বলে। আর রাস্তার বিড়ালটাকে আদর করতে গেলেই বিড়াল্টি তার হাতে কামড় দেয়, তাই অনেকেই মনে করে সে কোন এক জায়গা থেকে মারামারি করে এসেছে।

Ayumu “Osaka” Kasuga (আইয়ুমু “ওসাকা” কাসুগা)

AMD 6

বলা হয়ে থাকে ক্লাসের সবচেয়ে ডাম্ব ক্যার‍্যাক্টার। ক্লাস করতে করতে ঘুমিয়া পড়া তার নিত্যদিনের স্বভাব। সবাই বলে সে “স্পেসি”-বা যে নিজের মধ্যে ডুবে যায়। কিন্তু ধাঁধা সমাধান করতে সবচেয়ে ফাস্ট। এবং অনেক উদ্ভট চিন্তা করতে তার জুড়ি নেই। এই এনিমেতে আমার ফেবারিট ক্যারাক্টার। এর নাম শুধু আইয়ুমু কাসুগা। কিন্তু ওসাকা থেকে মাইগ্রেটেড বলে ক্লাসের সবাই তাকে ওসাকা ডাকে। সে ক্লাসে যুক্ত হয় চিও এর কয়েকদিন পরে। আর সে আসার পরেই চিও স্পোর্টস এ শেষ এর দিক থেকে দ্বিতীয় হওয়া শুরু করল।
এর সম্পর্কে একটি ঘটনা বলা যায়, তার অনেক দিনের শখ যে সে ফ্রাইং প্যান এ চামচ দিয়ে বাড়ি দিয়ে সবাইকে ঘুম থেকে জাগিয়ে তুলবে, কিন্তু সে সবার শেষে ঘুম থেকে উঠে বলে তার এ শখটা কখনো পূরণ হয় না। একদিন, এক ট্রিপে যাওয়ার পর সে দেখতে পায়, সে জাগার পরও তাদের টিচার ইউকারি এখনো ঘুমে। তখনই সে তার শখটা পূরণ করার জন্য রান্নাঘরে যায়। কিন্তু ঘুমের ঘোরে ফ্রাইং প্যান এর বদলে একটা ছুড়ি নিয়ে আসে। এরপরের ঘটনা আর বললাম না।

Kagura (কাগুরা)

AMD 7

কাগুরা এই গ্রুপের সাথে যুক্ত হয় দ্বিতীয়বর্ষে। সে সুইমিং ক্লাব এর সদস্য। আর দ্বিতীয় বর্ষে স্কুল স্পোর্টস ফেস্টিভাল জেতার স্ট্র্যাটেজি হিসাবে ইউকারি তাকে তার ক্লাসে নিয়ে আসে। ক্যার‍্যাক্টারিস্টিকস এর দিক দিয়ে সে টোমো এর মত কিছুটা। টোমো, ওসাকা আর কাগুরা এই তিনজনকে ক্লাসে একসাথে ডাকা হয় “দ্যা নাকলহেডস”।

Kaorin (কাওরিন)

AMD 8

সাকাকিকে অত্যন্ত পছন্দ করে। এস্ট্রোনমি ক্লাবের সদস্য বলে সে কোন ছুটিতেই গ্রুপের সাথে বেড়াতে বের হতে পারে না। এজন্য তার দুঃখের অন্ত নেই। এনিমেতে যে কয়েকটি সিনে উচ্চস্বরে হেসে উঠবেন, তার অনেকগুলোতেই কাওরিন এর উপস্থিতি আছে।

এবার আসা যাক শিক্ষকদের কথায়। তিনজনকে নিয়মিত দেখা যায়ঃ
Yukari Tanizaki (ইউকারি তানিজাকি)

AMD 9

যে ক্লাস নিয়ে আমাদের কাহিনী সেই ক্লাসের ক্লাস টিচার, স্কুলের ইংরেজী টিচার হট হেডেড। কালচারাল ফেস্টিভাল এর সময় যখন শুধু হন্টেড হাউজ বা ক্যাফে এর কথা এসেছিল তখন সে স্টুডেন্টদের তিরস্কার করে যে, তাদের মাথায় কোন ক্রিয়েটিভ আইডিয়া নেই। কিন্তু একটু পরেই সে যখন দেখে যে নিজেও আইডিয়া দিতে পারছে না তখন বলে উঠে, হন্টেড হাউজ আর ক্যাফে খুবই সুন্দর আইডিয়া। কথায় কথায় বাজি ধরা তার স্বভাব, আর হেরে গেলে তাকে পাওয়াই যায় না।

Minamo “Nyamo” Kurosawa (মিনামো “নিয়ামো” কুরোসাওয়া)

AMD 10

মিনামো কুরোসাওয়া আর ইউকারি একই স্কুল থেকে বের হয়েছে। কিন্তু মিনামো P.E. টিচার আর এই কারনে ইংরেজি টিচার ইউকারি এর ভাব এর কমতি থাকে না। অন্যদিকে মিনামো এর দুঃখ হল তার কোন বয়ফ্রেন্ড নেই।

Mr. Kimura (মিস্টার কিমুরা)

AMD 11

এটা এনিমে এর একমাত্র নিয়মিত পুরুষ ক্যার‍্যাক্টার, আর এ হল পরিমল। ক্লাসিক্যাল জাপানীজ পড়ান। কিন্তু এনিমেতে এর উপস্থিতি থাকে সেমি-পার্ভার্টেড ডায়ালগ দিতে। যদিও বাসায় একজন বউ আছে, সে কাওরিন এর প্রেমে পাগল, এবং দ্বিতীয় বর্ষে সে কাওরিনকে নিজের ক্লাসে নিয়ে নেয়। আর কাওরিন এর কাছে এই লোক একটা জমের নাম।

এই তো গেল ক্যার‍্যাক্টারগুলোর কথা।
এই সিরিজটার ক্ষেত্রে যেটা সবচেয়ে ভালো লেগেছে, সেটা হল, সিরিজটা শেষ করার এক/দুই পর আমার নিজের হাইস্কুল/কলেজ লাইফের এর কথা অনেক মনে পড়ে গিয়েছে। যদিও সিরিজটা দেখার সময় সেটা কখনই মনে হয় নি।

সিরিজটার কিছু ভিডিও এখানে যোগ করে দিলাম।

এটার ডাউনলোড লিঙ্ক দিলাম। টরেন্ট। :)
Torrent

আমার প্রিয় কিছু অ্যানিমে -লেখক– ব্লগার অপরিচিত আবির

মূল লেখা – http://www.somewhereinblog.net/blog/major_fuad/28939084

 

আমি জানি না কতজন এখানে অ্যানিমের সাথে পরিচিত। Anime বা অ্যানিমে হল অ্যানিমেশনের জাপানিজ প্রতিশব্দ। Manga বা ম্যাংগা হল ঐ অ্যানিমের কমিকবুক ভার্সন। একসময়ে শুধু জাপানে চালু থাকলেও অ্যানিমেগুলোর ক্রিয়েটিভিটি এবং অনন্য উপস্থাপনা ও অসাধারণ আইডিয়ার কল্যাণে সারা বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় সিরিজগুলোর মাঝে হরহামেশাই অ্যানিমেগুলোর নাম খুঁজে পাওয়া যায়। এগুলোকে আবার সাধারণ কার্টুন ভেবে বসবেন না কিন্তু। সাধারণ কার্টুন সিরিজের সাথে অ্যানিমের বিশাল ব্যবধান রয়েছে।
প্রখমত, অ্যানিমেগুলো প্রধানত প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরী। এর স্টোরিলাইন এবং ডায়ালগ মোটেও বাচ্চাদের জন্য নয়।
দ্বিতীয়ত, এগুলো চিরাচরিত কার্টুনগুলোর মতো সিঙ্গেল এপিসোড নয় বরং একটা সুনির্দিষ্ট কাহিনী নিয়ে একটা সিরিজ চলতে থাকে।
এবং অ্যানিমেতে অ্যানিমেশন কোয়ালিটির থেকে কাহিনী এবং ক্যারেক্টারের ওপর বেশি জোর দেওয়া হয়। অব্শ্য নতুন অ্যানিমেগুলোতে অ্যানিমেশনের কোয়ালিটিও অসাধারণ হয়ে উঠছে।

যাই হোক, আমার এতো প্যাচাল শুনে কাজ নেই – বরঞ্চ আমি বলব আমার দেখা কিছু সেরা অ্যানিমের লিস্টির অ্যানিমেগুলো আপনারা ট্রাই করে দেখতে পারেন। তবে সাবধান! ছোটদের নিয়ে কখনোই বসবেন না। অ্যাডাল্ট কন্টেন্ট এবং ফিজিকাল-ভার্বাল ভায়োলেন্সের মাত্রা অনেক বেশি।

Death Note:

যারা কোনদিনও অ্যানিমেশন দেখেন না তাদেরকেও অন্তত একবার আমি ডেথ নোট দেখতে অনুরোধ করবো। এরকম দারুণ কাহিনী যে আর কোথাও পাবেন না এটা আমার কাছ থেকে লিখে নিতে পারেন।

Full Metal Alchemist:

দুই ভাইয়ের মাঝে সম্পর্ক এবং যুদ্ধবিরোধী মানসিকতার সাথে অপূর্ব কাহিনী। এখন পর্যন্ত সবচেয়ে হাই রেটেড অ্যানিমেগুলোর একটি।

Elfen Lied:

হরর অ্যানিমে। যারা সাইকো মুভি দেখতে পছন্দ করেন বা ভায়োলেন্সের ভক্ত তাদের কখনোই এটা মিস করা উচিত হবে না।

Monster:

পুরোপুরি রিয়েলিস্টিক কাহিনীর ওপর নির্মিত সবচেয়ে দারুণ অ্যানিমে।

Initial D:

যারা মোস্ট ওয়ান্টেড, কার্বন, আন্ডারকভারের ফ্যান তাদের জন্য এটা দেখা বাধ্যতামূলক। এতো উত্তেজনাপূর্ণ এবং ডিটেইলড অ্যানিমে খুব একটা নেই।

কারো যদি এসব সিরিজের জনপ্রিয়তা সম্পর্কে সন্দেহ হয় তবে সোজা আইএমডিবি তে গিয়ে সার্চ করে দেখতে পারেন। আর যদি ফুল ইনফো চান তবে যেতে পারেন এখানে –

Click This Link

ডাউনলোড করতে চাইলে যান এখানে –

http://www.realitylapse.com/

 

জাপানি আনিমে ( Anime ) ইতিহাস,বিস্তারিতসহ সেরা ১০০ লিষ্ট — লেখক – ব্লগার দীপ

মূল লেখা – http://somewhereinblog.net/blog/dipmama007/29531102

ইদানিং আমি জাপানিজ আনিমেগুলোর বেশ ফ্যান হয়ে গেছি। তাই এ বিষয়ে যাকিছু জানলাম শেয়ার করলাম। এবং জাপানের সবথেকে বিনোদনমুলক সাইটের করা সেরা ১০০ এর চার্ট শেয়ার করলাম। তথ্যসকল উইকি এবং ওই সাইট থেকে নেওয়া।

আনিমে

জাপানি アニメ আনিমে।
ইংরেজিভাষায়ঃ Anime অ্যানিমেই
বাংলা ভাষায়ঃ এনিমে।

সাধারণভাবে জাপানি আনিমশন চিত্রকেই আনিমে বলা হয়। কেননা এর বিকাশের লক্ষে এরাই। জাপান প্রথম আবিষ্কার থেকে শুরু করে যতপ্রকার উন্নতি সকল করেছে। এর দাবীদার নিশ্চিন্তে তারাই। এটাকে জাপানে মাঙ্গাও(কমিক) বলা হয় ।

জাপানের বাইরে পৃথিবীর অন্যান্য দেশে আনিমে বলতে জাপানে নির্মিত আনিমেশনকেই বোঝায়। তবে পাশ্চাত্য দৃষ্টিভঙ্গিতে আনিমে কিছটা অন্যরকম। ফলে সাধারনত আমরা আনিমে বলতে যা বুঝি, সেই সঙ্গায় সব জাপানি আনিমেশনই আনিমে হিসেবে আখ্যায়িত হতে পারে না। এক কথায় আনিমেকে আনিমেশনের একটি উপসেট ধরে নেয়া যেতে পারে।

কেননা আমরা আনিমে বলতে সাধারনত বাচ্চাদের কিছু মেসেজ ভিত্তিক ফিল্ম বুঝে থাকি। যদিও ধারনাটা ভুল, কিন্তু এটার প্রচলন অত্যাধিক বেশী। ফলে আমাদের ধারনা আলাদা একটা নিয়ম সৃষ্টি করেছে যে আনিমে হতে হলে বাচ্চাদের হতে হবে।

কিন্তু কিছু জাপানি আনিমেগুলো সে ধারা মানেনা। তারা অনেক এডাল্ট কন্টেন্ট ব্যবহার করে আনিমে ফিল্মগুলোতে। যা বাচ্চারা কেন বাচ্চার বাবাদের দেখতেও ঘামঝড়া অবস্থার সৃষ্টি করে। সাধারনত তারা রিয়েল একশনের থেকে এসব আনিমে বেশি বানিয়ে থাকেন।

প্রথাগতভাবে আনিমেগুলো হাতে নির্মিত হয়, তথাপি বর্তমানে অন্যান্য আনিমেশন চিত্রের মতো আনিমে নির্মাণেও কম্পিউটার সফ্‌টওয়্যার ব্যবহৃত হচ্ছে। আনিমের কাহিনী যেকোনও ধরণের সাহিত্য বা মিডিয়ার মত হতে পারে। চলচ্চিত্র, নাটক বা কল্পকাহিনীর যেকোনটি নিয়েই আনিমে নির্মাণ করা যেতে পারে। অন্যান্য মিডিয়ার মতোই ডিভিডি, টেলিভিশন সম্প্রচার, ভিডিও গেম্‌স, বিজ্ঞাপন, ভিএইচএস বা ভিসিডির মাধ্যমে আনিমে প্রচারিত এবং বণ্টিত হয়ে থাকে। মানে আনিমে মানেই ছোত পর্দা না। ঢাকঢোল পিটিয়ে সসম্মানে এগুলোকেও হলে রিলিজ করা হয়। পাশাপাশি ইংরেজিতে ডাবিং করে আন্তজাতিক ব্যবসা করা হয়।

আনিমে বা মাঙ্গা জাপানে খুবই জনপ্রিয় এবং তা বিশ্বব্যপী স্বীকৃতিপ্রাপ্ত। দেখা যায় জাপান, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান, সিঙ্গাপুর, এবং ইন্দোনেশিয়া এসকল এশীয় দেশগুলোতে আনিমে খুব জনপ্রিয়।এবং ইদানিং এগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, নরওয়ে, রাশিয়া, সুইডেন সহ এসকল পাশ্চাত্য দেশগুলোতে অধিক প্রসারিত হয়েছে।

এবং দিন দিন মুভিলাভারদের ভিতরেও প্রভাব বিস্তার করছে এর নিজস্ব সক্রিয়তায়।

বিংশ শতাব্দীর শুরু থেকেই আনিমে নির্মাণের ইতিহাস শুরু হয়েছে। ফ্রান্স, জার্মানি, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়াতে আনিমেশন চিত্র নির্মাণ শুরু হওয়ার পর জাপানি চলচ্চিত্র নির্মাতারা তাদের সংস্কৃতিতে এই পদ্ধতিটি প্রয়োগের চেষ্টা করে এবং তখন থেকেই আনিমের যাত্রা শুরু হয়।

সবচেয়ে প্রাচীন আনিমে নির্মিত হয়েছিল ১৯০৭ সালে।

১৯৩০-এর দশকে জাপানের তুলনামূলকভাবে অনুন্নত লাইভ-অ্যাকশন চলচ্চিত্র ইন্ডাস্ট্রিগুলোতে সাধারণ চলচ্চিত্র নির্মাণের পরিবর্তে আনিমের মাধ্যমে চলচ্চিত্র প্রকাশের বিষয়টি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। কম খরচে যেকোনও ধরণের কাহিনী চিত্রায়িত করার এ ভিন্ন কোনও উপায় ছিল না। যুক্তরাষ্ট্রের মতো জাপানের লাইভ-অ্যাকশন ইন্ডাস্ট্রি অর্থানুকূল্য পায় নি। সেখানে অর্থাভাব, বাজেট সমস্যা, স্থান সংকট এবং চরিত্র নির্মাণে সমস্যা ছিল। তাই এই বাজারটিও ছিল বেশ ছোট আকারের। জাপানে পশ্চিমা গড়নের কোনও মানুষ না থাকায় জাপান থেকে ইউরোপ, যুক্তরাষ্ট্র বা জাপানবিহীন কাল্পনিক বিশ্বের রূপায়ন এক প্রকার অসম্ভব ছিল। তাই আনিমেশন চিত্র শিল্পীদেরকে যেকোনও ধরণের চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে সাহায্য করেছিল।

স্নো হোয়াইট নির্মাণের মাধ্যমে ওয়াল্ট ডিজনি আনিমেশন চিত্রের মাধ্যমে যেকোনও ধরণের মিডিয়া নির্মাণকে জনপ্রিয় করে তোলেন। ডিজনির জনপ্রিয়তা ও সফলতা দেখে জাপানের আনিমেশন শিল্পীরা উৎসাহিত হন।

ওসামু তেজুকা ডিজনির অনেকগুলো আনিমেশন কাহিনী জাপানি প্রেক্ষাপটে রূপায়িত করে সেখানে খরচের পরিমাণ বেশ কমিয়ে এনেছিলেন। অবশ্য তাকে অনেকটা অদক্ষ শিল্পী ও কুশলী নিয়ে প্রতি সপ্তাহে আনিমের একটি করে পর্ব নির্মাণ করতে হত। সে সময় বেশ কয়েকজন আনিমেশন শিল্পী ডিজনি বা তেজুকা ধরণের প্রচীন পদ্ধতি থেকে খানিকটা সরে গিয়ে নতুনত্ব আনেন এবং এভাবে নির্মাণ খরচ সাধ্যের মধ্যে নিয়ে আসেন।

১৯৭০-এর দশকে জাপানে ম্যাঙ্গা শিল্প ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। ইংরেজি কমিক বইয়েরই জাপানি নাম ম্যাঙ্গা। এই ম্যাঙ্গাগুলোর কাহিনী নিয়েই তখন আনিমে নির্মিত হতে থাকে। বিশেষত ওআমু তেজুকার ম্যাঙ্গাগুলো চিত্রায়িত হয়েছিল। তেজুকাকে জাপানের অন্যতম কিংবদন্তি হিসেবে মেনে নেয়া হয় এবং তাকে বলা হয় “ম্যাঙ্গার প্রভু”।

তেজুকাসহ অন্যান্যদের চেষ্টায় আনিমের মধ্যে বৈশিষ্ট্যময়তা এবং সঠিক চরিত্রের পরিস্ফুটন সম্ভব হয়ে ওঠে। এ সময় জায়ান্ট রোবট ধরণের আনিমে এই শিল্পে বিপ্লব আনে। তেজুকা এই ধরণের আনিমে নির্মাণ করেন যার মধ্যে রয়েছে গো নাগি এবং অন্যান্য। জাপানের বাইরে জায়ান্ট রোবট ধরণটি মেকা নামে পরিচিত। সেই দশকের শেষ দিকে ইওশিয়ুকি তোমিনো এই ধরণটিকে সফলতার পর্যায়ে নিয়ে যান। ৮০’র দশকে গুনডাম এবং মাকরসের মতো রোবট আনিমে সিরিজগুলো চিরায়ত শিল্পের মর্যাদা পেয়েছে। জাপান এবং বহির্বিশ্বে এখনও রোবট ধরণটি সবচেয়ে কঠিন। ১৯৮০’র দশকে আনিমে জাপানের মূলধারার শিল্পে স্থান করে নেয় এবং তখন থেকেই এর নির্মাণ শিল্পে প্রভূত সফলতা আসে। উল্লেখ্য আনিমের আগেই ম্যাঙ্গা জাপানের মূলধারায় স্থান করে নিয়েছিল। বিশ্ববাজারে ৯০ এবং ২০০০’র দশকে আনিমের গ্রহণযোগ্যতা ক্রমশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

যাইহোক এবার আসুন দেখি সেরা আনিমে কি !!!!

প্রথমে এখানে একটা লিষ্ট ছিল, যেটা অনেকের কাছে গ্রহনযোগ্য মনে হয় নি। তাই হাইলি রেকমেন্ড করা একটা আনিমে সাইট থেকে, পোলের মাধ্যমের নির্বাচন করা সেরা ১০০ আনিমে দেওয়া হলো


এযাবতকালের সেরা ১০০ টি আনিমে।

Death Note
Naruto
Bleach
Code Geass
Full Metal Alchemist
Vampire Knight
One Piece
Inuyasha
Dragon Ball Z
Detective Conan (Case Closed)
Naruto Shippuuden
Dragonball
Ouran High School Host Club
Yu-Yu Hakusho
Fruits Basket
Elfen Lied
Avatar: The Last Airbender
Pokemon
Kyo Kara Maoh! (God! Save Our King)
Hunter x Hunter
Sailor Moon
D.N.Angel
Rurouni Kenshin (Samurai X)
Cowboy Bebop
Yu-gi-oh!
Blood+
Cardcaptor Sakura
Shugo Chara
CLANNAD
Gakuen Alice
Soul Eater
Trigun
Special A
Tsubasa Chronicle
Prince of Tennis
Samurai Champloo
The Melancholy of Haruhi Suzumiya
Full Metal Alchemist: Brotherhood
Chobits
Digimon
Hellsing
Full Metal Panic!
Karin (Chibi Vampire)
D. Gray-Man
Ranma 1/2
Claymore
Eureka 7
Rosario + Vampire
Neon Genesis Evangelion
Shaman King
Wolf’s Rain
Shakugan no Shana
Fooly Cooly (FLCL)
Black Cat
Lucky Star
Air Gear
Ghost in the Shell: Stand Alone Complex
Darker than Black
Fate/stay night
Dragon ball GT
Vampire Knight Guilty
Fairy Tail
Love Hina
School Rumble
Fushigi Yuugi
Yamato Nadeshiko (The Wallflower)
Shuffle
.hack// Sign
xxxHolic
Gundam Seed
Black Blood Brothers
Trinity Blood
Katekyo Hitman Reborn!
Zero no Tsukaima
Inuysaha: The Final Act
Tokyo Mew Mew Power
Devil May Cry
Gundam Wing
Skip Beat!
Michael & Yanci
Kaze no Stigm
La Corda D’Oro ~primo passo~
Loveless
Outlaw Star
GetBackers
Full Metal Panic The Secon Raid
Houshin Engi
Tenjou Tenge
Kaichou wa Maid-Sama!
Toradora!
Hellsing Ultimate
Transformers
Escaflowne
Azumanga Daioh
Myself;Yourself
Full Metal Panic Fumoffu
Zoids
Yu-Gi-Oh! GX
Kuroshitsuji (Black Butler)
Black Lagoon

সিঙ্গেল মুভি ভিতরে আমার পছন্দ এবং এগুলোকে নির্ধিদায় আমি মাষ্ট সি বলতে পারি।

Spirited Away (2001)
Princess Mononoke (1997)
Howl’s Moving Castle (2004)
Nausicaä of the Valley of the Wind (1984)
Ghost in the Shell
Cowboy Bebop: The Movie
Akira
Paprika
Millennium Actress
Sword of the Stranger
Grave Of The Fireflies
Whisper of the Heart
Wings of Honneamise
My Neighbor Totoro

এগুলো আমি দেখেছি। গোটা ১৫ টা টিভি সিরিজ ডাউনলোড চলছে। আগামী মাসে হয়তো হয়ে যাবে। তখন দেখা শুরু করবো।

Slam dunk: পিওর কমেডি, গ্যাং ফাইট, বাস্কেটবল আর one sided love এর এক অসাধারণ গল্প — লেখক মো আসিফুল হক

কমেডি, গ্যাং ফাইট, বাস্কেটবল – এনিমের জন্য একটা বেশ ইউনিক কম্বিনেশন। কিন্তু slam dunk খুব সফল আর সাবলিলভাবে এই কম্বিনেশনকে উপস্থাপন করতে পারছে। এই এনিমে যখন যেইটা করতে চাইছে খুব সফলভাবেই সেইটা করতে পারছে। যখন ফানি করতে চাইছে; it was pretty damn funny; যখন সিরিয়াস কিছু দেখাইতে চাইছে; it was pretty serious. কিন্তু এনিমটার মুল সফলতা পিওর সাস্পেন্স ভর্তি ম্যাচগুলায়। যদিও অন্য অনেক স্পোর্টস এনিমের মত এইটাতে খুব “ফেন্সি” “কুল” মুভ নাই; কিন্তু এই রিএলিজমের টাচটাই বরং এনিমটাকে বেশি সফল করছে।

মেইন ক্যারেক্টার সাকুরাগি হানামিচি এনিমটার প্রাণ বলা যায়। তার চরিত্র যদি এক বাক্যে বলতে হয় তবে বলা যায়, সাকুরাগি টেক্টলেস, রাফ, স্টুপিড, ফানি, লয়াল, স্ট্রং, ডেডিকেটেড , অধৈর্য, হট টেম্পারড এবং লাউড – একটা এনিমকে ফানি এবং ইন্টারেস্টিং করার জন্য যা দরকার সবগুলার একটা কমপ্লিট প্যাকেজ। :) :)

হানামিচির বাস্কেটবল খুবই অপছন্দের খেলা। কিন্তু তার মনে মনে পছন্দ করা হারুকোর বাস্কেটবল খুবই প্রিয়; পাশাপাশি হারুকোর বড় ভাই আকাগি স্কুলের বাস্কেটবল টিমের ক্যাপ্টেন। হারুকোকে ইম্প্রেস করতে সাকুরাগি বাস্কেটবল টিমে যোগ দেয়। একই বছরে ভর্তি হওয়া রুকাওয়াও যোগ দেয় টিমে যে কিনা সমগ্র স্কুলে নারী সম্প্রদায়ের কাছে বিপুল জনপ্রিয়; সেই সাথে হারুকোর কাছেও। স্বাভাবিক ভাবেই সাকুরাগি রুকাওয়াকে তার ১ নাম্বার প্রতিদ্বন্দ্বী ধরে নেয়। যারা নিয়মিত স্পোর্টস এনিম দেখেন বা দেখেছেন তারা নিশ্চয়ই এর পর কাহিনী কোন দিকে যাবে তা আন্দাজ করে ফেলেছেন। :) :)
well, মোটামুটি ওইরকমই আগায় কাহিনী; যদিও কিছু কিছু জায়গায় অল্প টুইস্ট আছে। তবে শেষ পর্যন্ত আর ৮-১০ টা স্পোর্টস এনিমের মত এইটাতে সাকুরাগি রাতারাতি রুকাওয়াকে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায় না; বরং নিজের মত করে সফল হয়।:) :)

টিমের বাকি মেম্বার- আকাগি, মিতসুই, মিয়াগি, কগুরে- সব গুলো চরিত্রই অসাধারণ এবং প্রত্যেকেরই নিজস্ব গল্প, স্বপ্ন,স্ট্রাগল- খুব সুন্দর ভাবে এনিমে দেখানো হয়েছে। প্রত্যেকটা ক্যারেক্টারই নিজের মত করে ইউনিক। :) :)

একমাত্র অপছন্দের দিক ছিল দুই একটা ম্যাচ বেশ লেংদি ছিল; ৬ দিনে পুরা সিজন শেষ করায় কিছু কিছু জায়গায় এই লম্বা ম্যাচগুলা বিরক্ত লাগছিল। তবে শেষে আমি খুব আশা করছিলাম আরও কিছু পর্ব থাকুক; হানামিচি এবং সবগুলা ক্যারেক্টার এবং স্টোরিটা এত পছন্দ হইছিল। এছাড়া আর্ট স্টাইল কিছুটা রাফ – কিন্তু এনিমের সময়কাল (১৯৯৩-৯৬) চিন্তা করলে এইটা মাফ করে দেওয়াই যায়। :) :)

এনিমটার সবচেয়ে বেস্ট দিক আমার কাছে এর কমেডি পার্ট। স্পোর্টস এনিমগুলা সাধারণত খুব সিরিয়াস টোনের হয়; ফান থাকলেও খুব বেশি থাকে না; কিন্তু এই এনিমটা জাস্ট ফুল অফ ফান এন্ড কমেডি। নিঃসন্দেহে সাকুরাগি আমার ফেভারিট এনিম ক্যারেক্টারের লিস্টে একটা জায়গা দখল করতে পারবে।

তাহলে আর দেরি কেন? এখনই দেখা শুরু করে দিন এই অসাধারণ এনিমটি।

হ্যাপি এনিমিং !!! :) :)