The Battle between 2 Bodhisattva: Hashirama vs Netero Part-5
[Naruto & Hunter x Hunter Crossover Fanfiction]
আসলে Boar এর কথাই ঠিক। Don Freecs ডার্ক কন্টিনেন্টের উপর লিখা বইয়ের ১ম কপি পাওয়া গেলেও ২য় পর্ব বা কপিটা পাওয়া যায় নি। তবে, কথিত আছে নিনজা ভিলেইজগুলোর এদিকদিয়েই ওয়েস্টার্ন এন্ট্র্যান্স ডার্ক কন্টিনেন্টের। তাই বলা যায় অনেকটাই অনিশ্চিত অবস্থায়ই হান্টার এ্যাসোসিয়েশন এই মিশনে নামে। তবে, আর কোন উপায়ও ছিল না তাদের- সরকারের কাছে যে তাদের হাত বাঁধা। কাজেই বাধ্য হয়েই এই অপ্রিয় কাজে নেতেরোর আগমন।
আর ডার্ক কন্টিনেন্ট এক্সপ্লোর এর ফলাফল যে কতটা ভয়াবহ হতে পারে, তা খুব করে জানে নিনজা ভিলেইজগুলো। তাই সকলে একজোট হয়েছে আজ হান্টার এসোসিয়েশনকে আটকাবে বলে-যে কোন মূল্যে। তাদের থেকে হাশিরামা তথা হোকাগেই মুখপাত্র হিসেবে প্রতিনিধিতব করছে সবার। ক্যাজুয়ালিটি মিনিমাইজ করতে নেতেরোর ওয়ান-অন-ওয়ান ব্যাটেলের প্রস্তাবে সম্মত হয় হাশিরামা। আর ওদের কে জায়গা করে দেয় দু’পক্ষই।
হান্টার এসোসিয়েশানের মতন না হলেও কিছুটা নির্ভার বোধ করছে নিনজা ভিলেইজ গুলোর প্রধানেরা, এই ভেবে যে লোকালয়ে এর এফেক্ট পরবে না। অর্থাৎ গ্রামের মানুষেরা আপাতত নিরাপদ। আর হাশিরামার ওপর তাদের আস্থা আছে। হাশিরামাকে টপকে ওদের ওপর আর ভিলেইজে এটাক করতে আসা চাট্টিখানি কথা না। আর হান্টার এ্যাসোসিয়েশন আর গভঃ ফোরস পুরোপুরিই নেতেরোর দিকে তাকিয়ে আছে। আসলে তাদের একজনও নেতেরোর ফুল পাওার ব্যাটেল তো দূরে থাক কোনদিন গুরুতর পরিস্থিতির সবীকার হয়ে লড়তেও দেখে নি। আর- কেউ দেখেছে বলেও জানা নেই কারো। কাজেই আস্থার মাত্রাটা অমূলক নয় মোটে।
হাশিরামাই আক্রমণ করলো প্রথমে। আন-আর্মড কমব্যাটে লড়তে শুরু করলো তার জীবনে সবচাইতে কঠিন প্রতিপক্ষের। যার নীতিবোধকে এতোদিন প্রশংসা আর সম্মানের সাথে দেখে এসেছে, তার বিরুদ্ধে এভাবে লড়াই করতে হবে ভাবে নি। অবশ্য, তাতে কি কিছু এসে যায়? নেতেরো এই মুহূর্তে তার গ্রামের জন্য একটা ‘থ্রেট’ আর তাকে প্রতিহত করার জন্য যতদূর যেতে হয় যাবে হাশিরামা।
মাথায় চিন্তার ঝড় বইতে থাকলেও থেমে নেই বডি মুভমেন্ট। নেতেরোর ঠিক বা পাশে দাঁড়িয়েই পায়ের পাতায় ভর দিয়ে কাঁধের নার্ভ পয়েন্টে সজোরে আঘাত করতে যায় সে। দেখলো বাতাসে ভেসে একটু যেন সরে গেল এক দিকে নেতেরো, মুখে তখনো হাসির ছটা লেগে রয়েছে। হাশিরামা জানতো এতো সহজে আঘাত হানা যাবে না তার ক্যালিবারের কাউকে। তাই অনেকটা ফাঁদে ফেলার জন্যেই অমন ডামি দিয়েছে। নেতেরো হালকা ডান দিকে সরে যেতেই দেখলো ইতিমধ্যেই হাশিরামার এক হাঁটু তার পাকস্থলি স্পর্শ করেছে। প্রথম আঘাতটা নেতেরো ডজ করবে জেনেই সাথেসাথেই ডান দিকে এক হাতের ওপর ভর করেই ভাঁজ করা হাঁটু সজরে ছুঁড়ে দিয়েছে।
পরক্ষনেই নেতেরো প্রায় উড়ে গিয়ে প্রায় ১০ হাত পিছনে ছিটকে পরলো। সজোর আঘাতে ফুসফুস খালি হয়ে গেছে নেতেরোর- জানে হাশিরামা। তাই ধাতস্থ হবার সময় দিবে না বলেই নেতেরোর দিকে ছুটে যায় সে। গিয়েই দেখলো কিসের কি- হাসি হাসি মুখ করে তার দিকে তাকিয়ে আছে নেতেরো। হাত দুটো অদ্ভুতভাবে বুকের কাছে তুলে ধরেছে। প্রতিক্রিয়া দেখাবার সময় পায় না হাশিরামা। তার আগেই দেখলো নেতেরোর হাত অদৃশ্য হয়ে গেছে-পরমুহূর্তেই বুকে প্রচন্ড আঘাত চোখে অন্ধকার দেখলো। একটা পাথরে পিঠ ঠেকতেই উঠে বসতে বসতে বুঝলো, এতটা স্রেফ উড়ে এসে পরেছে নেতেরোর আঘাতে। আঘাতটার দিকে নজর দেয়ার দরকার নেই। তবে বুকের গার্ড ভেঙে গেছে সেটা ঠিকই লক্ষ্য করলো।
ওদিকে মাদারা, টোবিরামাও বাকি সবার সাথেই দেখতে পাচ্ছে লড়াইয়ের প্রতিটা বিষয়। অনেকটা ক্ষেদোক্তির মতন বলতে থাকল মাদারা-“আমি বুঝতে পারছি না হাশিরামা গেঞ্জুতসু ব্যবহার করছে না কেন?” টোবিরামা কিছু বলল না, তার বড় ভায়ের জাজমেন্ট আর এবিলিটির ওপর অগাধ বিশ্বাস আছে।